ভাবনা আমার.. [হাবিজাবি!]
# # #
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক লাগে। ফ্যাশন হবে হয়তো কোন, অনেকেই দেখি এফবি তে 'ধর্ম' দিয়ে রাখে 'হিউম্যানিটি' অথবা 'মানবতা'।
আমি বুঝি না অনেক কিছুই। তবুও এটুকু অন্তত জানি, দুনিয়াতে কোন ধর্মই কাউকে অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি করার অধিকার দেয় না, বরং বিপদে যে কারো পাশে দাড়াতেই উত্সাহ দেয়।
যারা যারা এফবি-তে 'মানবতা' ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে কেবল জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি একবারও দ্বিধাহীন চিত্বে বলতে পারবে যে তাদের ধর্ম মানবতা পরিপন্থী? তাদের একবারও কি মনে হয় না, এই কাজটা হয়তো তার নিজের ধর্মকেই ছোট করে দেখাচ্ছে?
হয়তো, ক্রমাধুনিক জীবনধারায় নিজের ধর্মকে ছোট করে দেখানোটাই যুগের দাবি। নিজ ধর্ম কে সম্মান করে যে যার মতন নিজেদের নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি 'মানবতা'র ডাকে সাড়া দিয়ে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে পথ চলাটা হয়তো 'চলে না'।
নিজ ধর্মকে ঠিক ভাবে না জেনে, না মেনে এভাবে অসম্মান বা অপমান করাটা কতটা আধুনিকতা বা এমন করার অধিকার মানুষ কে কোন 'মানবতা' কতখানি দিয়েছে;
বড় জানতে ইচ্ছে করে..!
# # #
কয়েকদিন আগে একটা পেপারে হলিউডের এক অভিনেত্রীর সাক্ষাত্কার চোখে পড়ল হঠাত্,
সে খুব আফসোস করে বলতেছিল যে
এত এত সুপারহিরো মুভি হয় কিন্তু
নারী চরিত্রের অর্থাত্ সুপারওম্যান বা ওয়ান্ডারওম্যান টাইপ কোন মুভি হয় না।
তাকে সামনে পাইলে বলতাম। সিনেমার পর্দায় না, একটু কষ্ট করে হলেও আমাদের ছোট্ট দেশটায় একটু ঘুরে গেলেই চলবে। একটু চোখ মেলে দেখলে বলতে গেলে আমাদের দেশের প্রায় যে কোন পরিবারেই খুঁজে পাওয়া যায় একেকজনা সুপারওম্যান আর ওয়ান্ডারওম্যান,
আমরা সাধারণত তাদের আদর করে 'আম্মু' বলে ডেকে থাকি!
# # #
পুরাতন সব কিছুরই একটা আলাদা ফ্লেভার আছে। হোক তা মানুষ, কোন জায়গা অথবা সম্পর্ক।
হয়তো তাতে নিত্যনতুন সময়ের তীব্র মাদকতাময় কোন নেশা থাকে না কিন্তু স্থির শান্ত সমাহিত একটা আচ্ছাদনে নিজেকে জড়িয়ে রাখা যায়, যতক্ষন ইচ্ছা ঠিক ততক্ষন। আর চোখ বন্ধ করে মনের ভেতর চাইলেই অনুভব করা যায়, হৃদয় জুড়ে খুব আদুরে মিষ্টি একটা গন্ধ।
# # #
ভালো সময়ে সবাই পাশে থাকতে জানে,
আমি খারাপ টাইমে কাছে থাকতে চাওয়ার মানুষ।
লাল সবুজের বাঘগুলারে একটু বেশিই ভালোবাসি। ভালো খেলে জিতার আনন্দের চাইতে হারার পর দিনের পর দিন জান দিয়া খেলে যাওয়া এত্ত বড় হার্টওয়ালা একেকটা টাইগারের চোখের পানির দাম কখনই কিছু কম হইতে পারে না।
খেলার হারজিত তো থাকবই, এত অল্পেই হাল ছাইড়া দিলে কিসের সাপোর্টার! এই একটা জায়গায় নির্লজ্জ বেহায়ার মতন ভালোবাসাতেই আমার ভালো থাকা।
কিছুই করার নাই,
দেশ তো আমার একটাই।
সো, যত যাই হোক -
আওয়াজ হইব একটাই..
বাং-লা-দেশ;
বাং-লা-দেশ,
বাং-লা-দেশ..
অলওয়েজ উইদ মাই বিলাভেড টাইগারস -
টিল আই ডাই;
টিল আই ডাই,
টিল আই ডাই.. :')
গ্রেট পোষ্ট।
তবে একখানে সামান্য দ্বিমত আছে, বছরের ৩৩০ দিনই যদি কোনো দলের খারাপ সময় থাকে, তবে খারাপ সময়ে থেকেও একটু চিন্তার আছে, ভালো খেলবে টা কবে আর?
নিজের কথাই বলি, আমার সময় খারাপ যাইতাছে সেই ইস্কুল লাইফ থিকাই। বাসার মানুষজন কিন্তু এখনও আমার পাশেই আছে, ভরসা হারা হইতে দেয় নাই তাই হাসিখুশি থাকার চেষ্টায় ভালোই আছি।
টাইগারদেরও আমার কাছে ফ্যামিলির মতই মনে হয়।
তাই শুধু নিজের কাজটাই কইরা যাইতাছি, ব্যাস!
" দেশ্তো আমাদের এক্টাই" গর্যাট ! দেশটি ছাড়া কি আছে আর আমাদের ! দেশ কিন্তু এখন উচ্ছন্নে যাচ্ছে আর আমরা "নীরু" হয়ে বাঁশিে বাজাচ্ছি ! ধ্ন্যবাদ !
আর সবাই কে কি করছে তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট না করে
নিজে নিজের জায়গা থেকে নিজের কাজটা করে যাওয়াই ভালো।
ধর্ম যদি মানবতার কথাই বলবে তবে প্রতিটি ধর্মেই এতো যুদ্ধ আসলো কোথা থেকে? প্রতিটি ধর্মের ইতিহাসই যুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে আর এতোগুলো ধর্মেরই দরকার কী ছিলো? প্রত্যেক ধর্মই বলে আমি ভাল আর অন্যে খারাপ তাই থেকে এতো অশান্তি হে বালক। চাঁদের মধ্যে শুধু প্রেমিকার চেহারা খুঁজলেই কী আর চাঁদের পাহাড় নাই হয়ে যাবে। চাঁদ ভর্তিই গর্ত
খালি গর্ত নিয়া বইসা থাকলে লাভ নাই, পুরা চাঁদই বরং দেখতে ভালো।
মন্তব্য করুন