ইউজার লগইন

বিষাক্ত মানুষ'এর ব্লগ

এ ট্রিবিউট টু এডাম

গতসপ্তাহে কক্সবাজার গিয়েছিলাম অফিসের এক কনফারেন্সে। এই বছরে এই নিয়ে চারবার আসা হলো কক্সবাজার। ঢাকা থেকে ৪৫ মিনিটেই উড়োজাহাজে কক্সবাজার। এয়ারপোর্টের গেইটে গাড়ি দাড়িয়ে আছে ড্রাইভারের হাতে আমার নাম। গাড়ি নিয়ে এলো পাঁচতারা হোটেলে , যা চাচ্ছি তাই পাচ্ছি, শুধু সমুদ্রটা দেখার সময় পাচ্ছি না।

রাতে প্রেজেন্টেশনে শেষবারের মত চোখ বুলিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। হোটেলের বারান্দা থেকে দুরে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে সমুদ্রের ডাক শোনা যাচ্ছে। মন মাতাল করা সে শব্দ। রাত বেশি হয়ে গেছে এখন সাগরে যাওয়াটা কি খুব বেশি ঝুঁকি হবে?

এই সন্ধ্যারাতে আমি ঝুঁকির কথা ভাবছি, এখনো রাত এগারোটাও বাজেনি। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি হয়তো !

কক্সবাজার যতবার আসি ততবার আমার প্রথম সমুদ্র দেখার স্মৃতিটা ঘুরেফিরে মাথায় আসে। সেই স্মৃতি অনেকগুলো বন্ধুর, সেই স্মৃতি 'এডাম' এর।

পুষ্টি কি জিনিস

পুষ্টি হল পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু আহরন করে খাদ্যবস্তুকে পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরন দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ , রোগ প্রতিরোধ , বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা ৷ অর্থ্যাৎ দেহ সুস্থ ও সবল রাখার প্রক্রিয়াকে পুষ্টি বলে৷ পুষ্টির ইংরেজি শব্দ (Nutrition)। অপরদিকে খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির যোগান দেয় , তাদের একসঙ্গে পরিপেষক বা নিউট্রিয়েন্টস (Nutrients) বলে ৷ যেমন :— গ্লুকোজ , খনিজ লবণ , ভিটামিন ইত্যাদি ৷

সূত্র : উইকিপিডিয়া

এইসব বাজার-সদাই

বিষয়টা এমন না যে আমি জীবনেও বাজার করি নাই।

আমার বাজার-সদাইয়ের দৌড় কালে ভাদ্রে চিনি-লবন-সাবান পর্যন্ত, তাও আবার নির্দিষ্ট পরিচিত দোকান থেকে যেখানে দামাদামির কোন বিষয় নাই ঠকার কোন চান্স নাই।

তবে তরি-তরকারী মাছ-মাংস কেনার অভিজ্ঞতা আমার নাই বললেই চলে। সেগুলো সর্বদা আব্বার ডিপার্টমেন্ট। আব্বা আমাদের উপর ভরসা করতে পারে না এইগুলোর ব্যাপারে অথবা হয়তো নিজে যাচাই বাছাই করে কিনতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আব্বা সব সময়। কারন বাজার এনে সব সময়ই আম্মা বা ইদানিং বউমাদের বেশ আগ্রহ নিয়ে গল্প করেন ঢেরসটা কিভাবে চিনতে হয়, ডাটাটা কিভাবে বুঝতে হয়, আজ পর্যন্ত কেউ বুড়ো শশা গছিয়ে দিতে পার নাই কেন, ইত্যাদি ইত্যাদি।

আগা নাও যে ডুব ডুব ----- ভাওয়াইয়া

এই গানটা বছর তিনেক আগে ক্লোজআপ ওয়ান অনুষ্ঠানের বাছাই পর্বে সাজু নামের এক প্রতিযোগি গেয়েছিলো। এই গানটা সে যখন গাচ্ছিলো আমি তখন আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে গেছি সেখানে ড্রয়িংরুমে টিভিতে গাটা হচ্ছে। গানটা শুনে শরীরে রোমকূম সব দাড়িয়ে গেল আমার। মনে হচ্ছিলো আগের জন্মের অসংখ্যবার শোনা গান এক জন্ম পরে শুনছি।

আমার খুব ছোটবেলায় শোনা গান এটা। ছোটবেলায় মানে একেবারেই শিশুকালের। তখনো মনে হয় আমি মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছি বা হইনি। আমাদের বাসায় আব্বাস উদ্দিনের কিছু ক্যাসেট ছিলো যেটা সম্ভবত আমার দাদী অথবা আমার মা অথবা আমার ফুপুরা শুনতো। সেই ক্যাসেটের মাঝে এই গানটা ছিলো। জানি না গানটা কার এত প্রিয় ছিলো, নিয়মিত গানটা চলতো ক্যাসেটে। আমার শুধু সুরটা মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিলো সেই সময়। কথাগুলো কিছুই বুঝতাম না মনেও ছিলো না। আজ রাতে গানটা আবার মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। নেটে লিরিক নেই। সুতরাং দায় থেকে অন্তর্জালে এই কঠিন লিরিকটা শুনে শুনে টুকে রাখলাম যারা গানটা খুঁজবে তাদের জন্য।

ওরে আগা নাও যে ডুব ডুব
পাছা নাওয়ে বইসো
ঢোঙায় ঢোঙায় ছ্যাকঙ জল রে
ও কইন্যা পাছা নাওয়ে বইসো

ওরে জল ছেঁকিতে জল ছেঁকিতে

আমার পুলাপান বেলা ২.২

আমরা যখন নিচের দিকের ক্লাসে পড়তাম সাইফুদ্দিন স্যারকে দেখতাম শুধু বড়দের ক্লাস নিতো। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি স্যারকে। ছোটখাট রুগ্ন শরীর, ফর্সা চামড়া তার নিচে নীল নীল রগ দেখা যেত। স্যার পাঞ্জাবী, পায়জামা, নেহেরু টুপি পড়তেন সাথে কালো চামড়ার স্যান্ডেল। টুপি পড়া অবস্থায় কেউ বুঝতেও পারবে না সেই টুপির নিচে যে মস্ত টাক। স্যার যখন অজু করতেন তখন মাথা মাসেহ করার সময় সেই টাক দেখা যেত। বড় ভাইদের দেখতাম সেই ছোটখাট মানুষটাকে বেশ সমিহ করে চলতো, যদিও সাইফুদ্দিন স্যারকে কখনো বেত হাতে দেখি নাই।

এক সময় আমরা উপরের ক্লাসে উঠলাম এবং সাইফুদ্দিন স্যারকে পেলাম। সেই রুগ্ন শরীর সেই চামড়ার ভাঁজ সেই নীল রগ সব আগের মতই। স্যারের ক্লাসগুলো ছিলো বেশ মজার, মাঝে মাঝেই স্যার পড়া থামিয়ে গল্প জুড়ে দিতেন। এত মজার করে গল্প বলতেন যে ক্লাসের সবচাইতে দুষ্টু ছেলেরাও চুপ করে শুনতো। স্যারের একটা গল্প এই মুহূর্তে মনে পড়ছে -

ছ্যাপ

স্থান: মৌচাক মার্কেট ট্রাফিক সিগন্যাল
সময়: মধ্য দুপুর
ঘটনা সাল : বহুদিন আগে (তখন ঢাকা শহরে নতুন ট্যাক্সি নেমেছে, ইয়েলো ক্যাব-ব্ল্যাক ক্যাব)

ট্রাফিক সিগন্যালে বেশ জটলা বাস-ট্রাক-রিকশা-মটরসাইকেল সব মিলিয়ে একটা বিরাট ভজঘট। সেই ভজঘট জ্যামে নতুন ঝা-চকচকে এক কালো ট্যাক্সি এসে থামলো। জ্যামে বসে ঘামতে থাকা অনেকেই ঘাড় ঘুরিয়ে কালো ট্যাক্সিটাকে দেখছে নগরবাসীর জন্য তখন এটা নতুন বস্তু। ভেতরে ড্রাইভার বেশ বনেদি ভাব নিয়ে উৎসুক নগরবাসীর দৃষ্টি উপভোগ করছে।
এক খালি রিকশা পেছন থেকে হালকা ব্রেক করে ট্যাক্সিটার পেছনে থামলো, কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। রিকশাটা থামার ঠিক আগ মুহূর্তে সামনের চাকা দিয়ে হালকা একটা ঘষা দিলো ট্যাক্সিটার পেছনে এবং সেই আলতো ছোঁয়াতেই ট্যাক্সির পেছনে প্ল্যাস্টিকের খোলসের মত দেখতে বাম্পার নামক বস্তুটা দুম করে খসে পড়লো। রিকশাওয়ালা নির্বিকার। এদিকে ট্যাক্সির ড্রাইভার বেশ মারমুখি ভাব নিয়ে সিট থেকে তেড়ে এলো রিকশাওয়ালার দিকে মুখে খিস্তি-
- হালার পুত, করলি কি তুই কামডা !! তর রিকশা বেঁচলেও তো বাম্পারের দাম দিতে পারবি নারে হালার পুত। তুই এইডা কি করলি !!!

আমার পুলাপান বেলা ১.১

আমরা দুই ভাই, বড় ভাই আমার চেয়ে দুই বছরের বড়। যার কারনে আমার ছুটো বয়সের সব কিছুই দুই বছর আগে আগে ঘটছে। যেমন ধরেন অ আ পড়া A B C D পড়া আলিফ বা তা সা পড়া ইত্যাদি। আবার যেমন ধরেন আমাদের দুই ভাইয়ের মুসলমানি এক সাথেই হইছে। মানে ভাইয়ার তখন মুসলমানির বয়স হইছে তাই সেইটা ঠিক আছে কিন্তু ফ্রীতে আমি দুই বছর আগেই মুসলমান হইয়া গেছি Big smile

সেই ছোট বয়সে একদিন আমার দাদা আম্বরশাহ মসজিদ থিকা এক হুজুর নিয়োগ দিলেন আমাদের আরবী পড়ানির জন্য। সেই হুজুরের নাম ছিলো 'বড় চানপুইড়া হুজুর' (বলা বাহুল্য উনার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরে ছিলো) তিনি বেশ রাশভারী লোক ছিলেন, সেই হুজুরকে আমার বেশ পছন্দ হইলো। চিকন একটা বেত নিয়া প্রতিদিন ভোরে তিনি আমাদের দুই ভাইকে পড়াইতে আসতেন, তবে তিনি সেই বেত আমাদের উপর কখনো প্রয়োগ করেন নাই, শুধু ভয় দেখাইতেন। উনার মুখে সব সময় পান এবং বেশ সুন্দর গন্ধওয়ালা জর্দা খাইতেন, সেই সুঘ্রান আমার খারাপ লাগতো না। আমার দাদীও পান খাইতেন পান খাইতে খাইতে তিনি সন্ধ্যায় উঠানের কোনায় বসে শচীন দেব বর্মন গাইতেন ..... 'কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া', তবে আমার দাদীর মুখের পানের ঘ্রান ছিলো পৃথিবীর সব চাইতে বড় সুগন্ধি।

ল্যাঞ্জা ইজ অলয়েজ ভেরী ডিফিকাল্ট টু হাইড

28940.jpg

ল্যাঞ্জা লুকানো ছাগুদের প্রিয় কিছু উক্তি এইরকম -
- আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃনা করি!
- আমরাও জামাত-শিবির ঘৃনা করি!
- আমরাও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মান করি!
- আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন!
- আমিও মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম!
- আমার প্রিয় বন্ধুও মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হইছে !
- আমরাও ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদমিনার যাই!
- আমাদের বাসায়ও পাকিস্তানী বাহিনী আগুন জ্বালায়েছে!

ল্যাঞ্জা লুকানো ছাগু এবিতেও আছে দুই একটা, মাঝে মাঝে এদের ল্যাঞ্জা বাইর হইয়া যায়।

একখানে চুটকি করা হইছে জিন্নারে নিয়া। তো স্বাভাবিক ভাবেই ল্যাঞ্জালুকানো ছাগুর গায়ে একটু লাগছে কিন্তু সে এখন কি করবে !!! তার তো ল্যাঞ্জা ভাঁজ কইরা লুকায়া রাখা আছে। সে তো নারায়ে তাকবির বইলা ঝাপায়া পড়তে পারে না!

এখন ছাগু প্রথমে ইনায়া বিনায়া শুরু করলো আমার বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা আছিলো। তারপর সে জানাইলো - আমি কিন্তু জিন্নার ভক্ত না!!

ইশটপ!!!!! ইপ ইউ ডিড নট উয়াচ ইশপিড - দ্যা গতি

সিনেমার নাম "ইশপিড", কিয়ানু রিভস আর সান্ড্রা বুলকের স্পিড থেকে মারিং না, একেবারে খাঁটি দেশি পণ্য।
সোয়া চারটার শো দেখার জন্য আমরা পৌনে চারটায় মধ্যে বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে হাজির। কিন্তু টিকিট নাই। টিকিটের জন্য ডজন ডজন মানুষ হাহাকার করছে, চারিদিকে বাতাস সেই হাহাকারে ভারী হয়ে গেছে। কাউন্টার থেকে জানালো হলিউডের যে সিনেমাগুলো বাকি পেক্ষাগৃহে চলছে সেগুলোর টিকিট আছে। মনে মনে বললাম - আরে বেটা বুরবক, জলিল এর কাছে জুলিয়া রবার্টস এর বেল আছে রে !! কোথাকার কোন "মিরর মিরর" কোথাকার কোন 'দ্যা হাঙ্গার গেম'! ইশপিড এর কাছে বেল আছে এগুলার!! জলিল ভাই জিন্দাবাদ।

সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম পরবর্তি শো টা দেখবো, যা আছে কপালে। কিন্তু পরবর্তি শো পৌনে তিন ঘন্টা পরে। তাতে কি ! জলিলের ইশপিড দেখতেই হবে।

"বাংলা গানে বর্ষা" ই-বুকের জন্য আগ্রহীদের অংশগ্রহনের আহবান জানাচ্ছি

হে জনগন, গত বছর বর্ষায় "আমরা বন্ধু" থেকে একটা গান সংকলন নিয়া ই-বুক বানানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো। আমরা অনেকে তখন ঝাপিয়ে পড়েছিলাম সেই ই-বুক তৈরীর কাজে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারনে গত বছর সেটা শেষ করা হয় নাই।

সুতরাং এইবার আমরা বর্ষার প্রথম দিনেই ই-বুকটা প্রকাশ করতে চাই .... ছলে বলে কৌশলে যেভাবেই হউক ।

ই-বুকটা শুধু মাত্র গান দিয়ে ঠাসা থাকবে, বর্ষা নিয়ে যত বাংলা গান আছে সেগুলোর সংকলন। বিভিন্ন ঘরানার বাংলা গান। যেমন - রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক, হারানো দিনের, ব্যান্ড .... ইত্যাদি।

প্রতিটা গানের লিরিক দেয়া হবে এবং অনলাইনে শোনার লিংক দেয়া থাকবে (ডাউনলোড করার লিংকও দেয়া হতে পারে)।

এখন, প্রথম কাজ হচ্ছে গানের লিস্ট তৈরী করা। এই বিশাল কাজের জন্য আগ্রহীদের অংশগ্রহন করার জন্য অনুরোধ করছি। Smile

আপনারা কমেন্টে গানের নাম দিতে পারেন।

(দয়া করে এখানে কেউ লিরিক দিয়েন না .. সেটা পরে হবে) :

আপডেট : এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গানের লিস্ট দেয়া হলো । দয়া করে কোন গান বাদ গেলে উল্লেখ করুন। Smile

রবীন্দ্র

১. আজ শ্রাবণের আমন্ত্রণে

মধুর বসন্ত এসেছে

মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে,
মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে।

কুহকলেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,
লিখিছে প্রণয়কাহিনী বিবিধ বরনছটাতে।

হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামলবরনী,
যেন যৌবনপ্রবাহ ছুটেছে কালের শাসন টুটাতে।

পুরানো বিরহ হানিছে নবীন মিলন আনিছে,
নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।

মধুর বসন্ত এসেছে - সাগর সেন

ভয়ংকর ভূত পিচ্চি হান্নু (বাচ্চাদের পড়া নিষেধ)

যে মেয়েটার সাথে আমার প্রেম ছিলো তার সাথে সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা-রাত-গভীর রাত ফোনে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করেছি আট বছর। পরিমিত ব্যয়ে গভীর রাতে যখন আমরা দু'জন অপ্রয়োজনীয় আলাপ করতাম তখন প্রায়ই মেয়েটা কথার মাঝে বলতো - ভয় করছে। নিঝুম রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে, একা অন্ধকার রুমে মেয়েটার ভয় পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম সে যেন আরো ভয় পায়, শেষে তার ভয় বাড়াবার জন্য তাকে ভূতের গল্প শোনাতাম। এমনই কপাল, আমার ভয়ংকর ভয়ংকর সব ভূতের শুনে সে মজা পেত। এমনকি মাঝে মাঝে ভয় না পেলেও দুষ্টুমি মাখা আদুরে গলায় বলতো - অনেক ভয় লাগছে, ভুতের গল্প শোনাও।
সে ছিলো আট বছর আগের কথা, এখন সে আমার সাথে একই রুমে থাকে তবুও প্রায়ই ভুতের গল্প শোনার বায়না করে, আমি ঠিক করেছি গল্পগুলো লিখে রাখবো এবং সে রাতদুপুরে ভুতের গল্প শোনার আব্দার করলে ব্লগ খুলে তাকে বসিয়ে দিবো।

'অপরাজেয় বাংলা'- একটি ছোটখাটো অসামান্য তথ্যচিত্র

2.jpg

'অপরাজেয় বাংলা' তিনজন মুক্তিযোদ্ধার এই ভাস্কর্যটি সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত ভাস্কর্য। ফার্স্টএইড বাক্স হাতে সেবিকা, সময়ের প্রয়োজনে রাইফেল কাঁধে তুলে নেয়া গ্রীবা উঁচু করে ঋজু ভঙ্গিমায় গ্রামের টগবগে তরুন এবং দু'হাতে রাইফেল ধরা আরেক শহুরে মুক্তিযোদ্ধা।

'ঘুমিয়ে পড়' - Lesson 1

ছোটবেলার প্রিয় একটা গান ছিলো এটা, ক্যাসেটের যুগ ছিলো যখন। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ফার্মগেট থেকে ক্যাসেট কিনতাম।
এই ব্যান্ডের দুটো এ্যলবাম বের হয়েছিলো। Lesson-1 ও Lesson-2 । মনে হচ্ছে কয়েক যুগ পর শুনলাম, র‍্যাগে জনরার গান। খুবই হালকা গানের কথা তাও কত যে ভাল লাগতো শুনতে। কল্পনার প্রেমিকার উদ্দেশ্যে গলা ছেড়ে গাইতাম কিশোরবেলার সন্ধ্যাগুলোতে ..

ঘুমিয়ে পড় যদি আমায় ভেবে
স্বপ্নে ভাসো যদি আমায় দেখে
হৃদয় মাঝে যদি রাখো গো আমায়
ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাব তোমায়

সবুজে ছাওয়া এই নির্জনতায়
একটু আরো ভালবাসো না আমায়
সিক্ত তোমার ঐ অধরে আমায়
দাও না ছুঁয়ে ওগো প্রেমের ছোয়ায়
মনের কোনে যদি রাখো গো আমায়
ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাব তোমায়

দু'চোখ ঝরে যদি অশ্রুধারায়
দৃষ্টি হারায় যদি বিষাদ ছায়ায়
দুঃখ স্মৃতি ভুলে দুর অজানায়
সুখের মাঝে খুঁজে নিও গো আমায়
বুকেতে ধরে যদি রাখো গো আমায়

একান্ত ব্যক্তিগত ঘটনা - প্রাপ্তমনস্কদের জন্য

ব্রাজিলের সুপারস্টার রোলানদোর ফর্ম যখন তুঙ্গে, সেই বিশ্বকাপের সময় সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলো রোনালদোর এই অফুরন্ত প্রাণশক্তির রহস্য কি ?
রোলানদো ইংগিতপূর্ণ হাসি দিয়ে বলেছিলো -
- প্রতি ম্যাচের আগে আমি আমার বান্ধবীর সাথে বিছানায় রাত কাটাই।

বিষয়টা কিন্তু ভেবে দেখার মত।

আজ বিকেলে আমি এক 'জায়গায়' গিয়েছিলাম, এমন না যে জায়গাটা নিষিদ্ধ, ভদ্রঘরের ছেলেরা সেখানে যায় না। জায়গাটার সুনাম-দূর্নাম দুটোই আছে। তবে একটা কথা বেশ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি এই 'জায়গাটা' আছে বলেই এই শহরের মানুষেরা তাদের শরীরিক ক্ষুদা অনেকাংশে মেটাতে পারছে।