ইউজার লগইন
ব্লগ
জানালা থেকে এক ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
আমার জানালা থেকে এক
ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
শীতের শেষে সেবার যখন খুব বরফ পড়েছিল
সে পাখিটির বাসাটাও বরফে ঢেকে যায়।
পাখিটা আমাদের ঘুলঘুলিতে এসে ঠাঁই নিয়েছিল।
ছোট্ট সে পাখিটা ধীরে ধীরে বন্ধু
তারপরে বন্ধু থেকে আপনজনে পরিণত হয়।
যদিও আমাদের ভেতর কথা হতো না কোনই
কিংবা ছোট্ট দু'টো চোখের ভেতর ওর
কোন আকুলতাও দেখি নি আমি কখনো।
শুধু একবার সেই ছোট্ট পাখিটা
আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিল।
বেচারী! কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে
আমার হাতেই নেতিয়ে পড়ে।
আমি তাকে সারিয়ে তোলার
চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি
বুকের ঠিক মাঝখানটায়
নরম পালক দিয়ে উষ্ণ
মাংস ঢেকে রাখার জায়গাটায়
খুব যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছিল
গোলাপের কাঁটা একটা।
পাখিটা একটা গোলাপকে ভালবেসেছিল
আহা রূপকথার বোকা পাখিদের দল
আর কতকাল বোকার মতো ভালবেসে যাবি তোরা?
ভাবতে ভাবতে হু হু করে কেঁদে দিয়েছিলাম আমিই।
নি:সঙ্গ জীবনটায় ওই পাখিটাই
একই প্রশ্নে বিদ্ধ অগণিত নক্ষত্রকণা
একটা তারার আলো
অনেক দুর থেকে ডাকাডাকি করে একদিন
বাড়ি এসে বার্তা দিয়ে গেল।
ভোরসকালে তখন একটু মুক্ত হাওয়ায় মেলে ধরেছিলাম
সারারাতের বাসি মুখ।
চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলাম বাতাসের মিষ্টি গন্ধ।
আর তখনই সেই তারাটা সমন নিয়ে হাজির হলো।
আমার নাকি ডাক পড়েছে!
তারাটা এসেছে আমায় নিতে!
আজব কথা!
কি করে কখন কে আমাকে ডেকে পাঠালো?
এ মকবুল, দেখলি ব্যাপারটা? কেমন করে ডাক দিয়েছে?
এখন কি সব ছেড়েছুড়ে আমায় উঠতে হবে?
এটাও একটা কথা!
পৃথিবীর প্রায় পুরোটাই না দেখা রয়ে গেল তারপর।
তারার উদ্দেশ্যে ছুটতে গিয়ে আর সবার মতো মহাশূন্যে পথও হারিয়ে ফেললাম একদিন। তারপর থেকে তো ভেসেই বেড়াচ্ছি, এ অন্তহীন যাত্রাপথে।
সাড়ে চার বিলিয়ন বছর চলে গেল! ডাইনোসরের পর মানুষ এলো।
আগুনের পর এলো চাকা। ধর্মের পর সমাজ। তারপর টাকা। তারপর মালিকানা।
তারপর যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ
রেনেসাঁ, ষোড়শ, সপ্তদশ, অষ্টাদশ
Notes from Driving School
I don't know what went wrong after about 45 minutes of driving today. The first thing I remember now is that I was finding it difficult to switch gear between 5 and 6. Although he said the even numbered gears are on at the back, and the odd numbered gears are on the front. Maybe it's just hard to make it work at high speed. Going from 1 to 2, upto 4 I have almost no issues.
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (শেষ পর্ব)
বলবো না ভাবলেও; মিসিসিপিকে বলতে হয়েছিল, কি ভাবছিলাম আমি শেষ রাতে। পরদিন সকালে সবার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে লামা-টু-চকোরিয়ার বাসে ওঠার পর থেকে প্রশ্ন করা শুরু করেছিল সে। আসলে সে প্রথমে জানতে চেয়েছিল, আগের রাতে কি করেছি, ঘুম কেমন হয়েছে- এসব। সেসব প্রশ্নের উত্তর থেকেই বেরিয়ে এসেছিল যে, আমি সারারাত ঘুমাই নি। তাই শুনে সে জিজ্ঞেস করেছিল, কেন? তখন আমি বলেছিলাম, অনেক চিন্তা মাথায় এসে বাসা বেঁধেছিল গতকাল। তাই ঘুমুতে পারি নি সারারাত। এরপর থেকে 'কি চিন্তা করেছো' জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছিল সে একটু পর পর।
There is nowhere I must go, there is nothing I must do
There is nowhere I must go, there is nothing I must do. The pain will be gone. Just be happy that there is life. And there is endless time to live like this, to feel the eyelids softly closing, and the breadth gently falling.
And then there is desire. A desire to sit down in front of a silent lake, or on the sand, where the waves are coming from far far away. To go out camping again, but this time alone. Or maybe with a good friend. Because who knows where it will take me.
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-৮)
ঘুম থেকে ওঠার পর সেদিন বেলা ১১টার দিকে আমরা লামা ফিরে যাবার উদ্দেশ্যে নৌকায় সওয়ার হই। যে ক'জন এসেছিলাম, সে ক'জনই ফিরে যাচ্ছি। সঙ্গে কেউ নতুন যোগ হয় নি, বিয়োগও হয় নি সঙ্গের কেউ।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-৭)
আমাদের বান্দরবানের দিনগুলি স্মৃতির আকাশে গভীর আনন্দ সহকারে জমিয়ে রাখার মতো কয়েকটি নক্ষত্র হয়ে টিকে আছে। মিসিসিপি যেন সেই ক'টা দিন প্রকৃতির সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছিল। শহুরে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আমি আগেও বান্দরবান গিয়েছি। লামা বাজারেই। হ্লা মংদের বাসায়। কিন্তু মিসিসিপির সঙ্গে যাওয়ার স্মৃতিটা ছিল একেবারেই অন্যরকম।
কয়েকটা দিনের জন্য আমরা যেন পাহাড়, বনানী, সবুজ প্রকৃতি, মাতামুহুরী নদী, জেলে নৌকা, শিকারের পোশাক আর সরঞ্জামের সঙ্গে একীভূত হয়ে গিয়েছিলাম। লামা বাজার এলাকা থেকে চকরিয়া পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর দুই পাশে অসংখ্য ছোট-বড় পাহাড়। সেসব পাহাড়, তাদের ঘিরে থাকা নদীপথ, সড়কপথ, জনপদ সবকিছু দু'হাত বাড়িয়ে আপন করে নিয়েছিল আমাদের।
There is a river called Main
The place is almost empty. Only one table with a few sitting. We have sat down on the round table in the middle of the restaurant. There is a certain calmness here today, as I sat down with a glass of beer in front of Maria. She works for the public service and part time at this restaurant. She goes in and out of different places and sometimes randomly says, “Hello!”.
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-৬)
টাঙুয়ার হাওড় ভ্রমণ শেষে সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার সন্ধ্যায় ছিল সুজনের ছেলে জাইমের জন্মদিনের পার্টি। রাত ১১টা পর্যন্ত এন্তার খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডাবাজি হয়েছিল সেদিন। তারপর রাত ১২ টার বাসে করে আমরা রওনা দিই ঢাকার উদ্দেশ্যে।
সেই বাসটার মৌলভীবাজার আর হবিগঞ্জ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে ঢাকায় আসার কথা ছিল। পথে হবিগঞ্জে আধাঘন্টা খাওয়া-দাওয়ার জন্য থামা হয়। আগের রাতে ভরপেট খানাপিনার পরও সুজন আইসক্রীম বক্স ভরে কেক আর মিষ্টি দিয়ে দিয়েছিল। তাই দিয়ে রাতে দুজনের বেশ হয়ে গিয়েছিল আমাদের। ব্রেকের সময় হোটেলে ঢুকে তাই শুধু ফ্রেশ হয়েই বের হয়ে আসি দুজন। মুক্ত বাতাসে দাঁড়িয়ে একটা ধুম্রশলাকায় অগ্নিসংযোগ করি আমি। মিসিসিপি তাই দেখে কপট রাগ করে। সারাদিন কেন এত সিগারেট খাই জানতে চেয়ে অভিযোগের দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। সে সময় তার চোখে একরাশ মায়া ছাড়া আর কিছু দেখি না আমি।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-৫)
সেবার বেশিদিন দেশে থাকার সুযোগ ছিল না। প্রায় বিনা নোটিশেই গিয়েছিলাম দুই সপ্তাহের চিকন একটা ছুটি নিয়ে। সেই দুই সপ্তাহের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি তাড়িয়ে তাড়িয়ে। মিসিসিপি জানতো আমি জল আর পর্বত সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, পূর্ণিমার রাতে কাকচক্ষু দীঘির জলে পা ডুবিয়ে বসে থেকে হালকা কোন সুর আর সঙ্গীর কথার মূচ্ছর্নায় হারিয়ে যেতে পছন্দ করি।
আমরা দু'জন দু'জনের সবরকম পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে জানতাম। এমনকি এটাও জানতাম, কার কখন কোন কাজটা কিভাবে করতে ভাল লাগে। কেন যে একজন মানুষকে এতটা বেশি জেনে ফেলেছিলাম, তা বলতে পারি না। দু'জনেরই এর পেছনে নির্জলা ভাললাগা কাজ করেছিল; সেটাই হয়তো একমাত্র কারণ। মুঠো মুঠো কথা তাই শেয়ার করেছিলাম আমরা। জেনে গিয়েছিলাম অনেক কিছুই একে অপরের সম্পর্কে।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ৪)
নামটা জেনেই বিদ্যুৎ চমকের মতো সব কথা মনে পড়ে গিয়েছিল আমার। তারপর কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে টানা চারটি ঘন্টা। তবে তাতে আমাদের কারোই একদম কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না, জানেন? অথচ প্রায় আজীবনই মানুষের সঙ্গে মেশার ব্যাপারে খুঁতখুঁতে আমি। কাউকে একটু ভাল লাগলে প্রথমে দুইটা মাস অপেক্ষা করি- পছন্দটা কতোটা গভীর সেটা বোঝার জন্য। তারপর তার সঙ্গে টুকটাক আলাপ শুরু করি। সেই আমি-ই কিনা প্রথমদিনই নিজের সব গার্ড নামিয়ে রেখে, সরল-সহজ, বোকা আর আত্মপ্রেমী চরিত্রটা খোলাখুলি দেখতে দিয়েছিলাম মিসিসিপিকে। অনুধাবন করতে দিয়েছিলাম আমার চিন্তাধারা। সে-ও আমাকে ঠিক একইভাবে বরণ করে নিয়েছিল তার মানসপটে। তাই কয়েক মাসেই একে অপরের খুব প্রানের মানুষ হয়ে উঠেছিলাম আমরা।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ৩)
কলেজ ছেড়ে চলে আসতে অবশ্য আমার খুব একটা খারাপ লাগছিল না। শুধু মিসিসিপির সঙ্গে কোনো কলেজের এক ক্লাসে বসে আর সময় কাটানো হবে না কিংবা একই ক্যান্টিনে সিঙ্গারা, চা-সমুচা'র অর্ডার দেয়া হবে না, অথবা কলেজের বাস স্ট্যান্ড থেকে ক্লাসরুমের ছোট্ট যে পথটুকু, সে পথে হয়তো এরপর থেকে ওকে বুঝতে না দিয়ে ওর কাছাকাছি হেঁটে যাওয়ার অভিনয়টুকু অন্য কেউ করবে- আমি না; এমন কিছু ছোট-খাটো খারাপ লাগা ছাড়া বেশি কিছু মনেও হচ্ছিল না। তবে কলেজের ক্লাসে যে আমরা ছেলে আর মেয়ে একসাথে বসতাম- এমন না। কিংবা ক্যান্টিনেও কখনো আমরা একই টেবিলে বসি নি। আসলে দূরেই ছিল মেয়েটি। দূরেই রয়ে গেল আজীবন।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব-২)
মিসিসিপি নামটা শুনে এক লহমায় অনেক কথা মনে পড়ে গেল। কিশোর বেলায় একটি বিশেষ-বাহিনী পরিচালিত কলেজে এক বছর পড়েছিলাম। সেই কলেজের নিয়ম-নীতির বাড়াবাড়ির সঙ্গে তাল মিলাতে পারি নি বলে, পরে আমায় অন্যত্র ভর্তি হতে হয়। তবে যে এক বছর ওখানে ছিলাম, সেখানেই দেখা হয়েছিল মিসিসিপির সাথে।
গল্প: তুমি আমার কাছে তুমি যা বলবা তাই (পর্ব- ১)
মনে আছে, প্রথমবার যখন মেয়েটি আমার সাথে যোগাযোগ করে, তখন আমি পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিলাম। যোগাযোগ করে মানে মেসেজ দেয় আরকি। মেসেজের শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছিল এমন না। এমনিতেই ভেঙ্গে গিয়েছিল আর ওই সময়েই মেসেজটা এসেছিল।
ঘুম ভাঙ্গা চোখ মেলে বাইরের দিকে তাকিয়ে আমি একটা জোড়া শালিক দেখতে পেয়েছিলাম। ঠিক শালিক নয়, ওদের মতোই দেখতে একটা ভিনদেশি পাখি। খানিকটা বড়। কখনও এরা মুখ দিয়ে কোন শব্দ করে তা শুনি নি। কিংবা করলেও কেবল এক ধরনের চিড়িৎ চিড়িৎ আওয়াজ শুধু। সঙ্গীকে কোন কোডেড মেসেজ পাঠায় মনে হয়। এমনভাবে যাতে অন্য কেউ বুঝতে না পারে।
তোমার চোখ
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
ডুব দিয়ে এক বালক সাঁতরায়।
ওকে ডেকে আমার
কান মলে দিতে ইচ্ছে করে।
অমন করে কি কারো চোখেতে ডুবতে আছে?
সর্বনাশা কালবোশেখী- এক পলকে গঙ্গা থেকে
সাগর মাঝে ভাসিয়ে নিলে?
হায়রে বালক, জানিস নি কি কখনো আগে
বালিকাচোখে কালবোশেখী-
হাসতে হাসতে নামতে পারে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
এমন কত গল্প জমে,
চোখ ঝাপটে গল্পগুলো
মুছতে হয় কষ্ট করে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটা
অনেক দূরে অনেক দূরে।
---