ইউজার লগইন
ব্লগ
Don’t know why
একবার একজনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে এসেছিলাম। তারপর সেইজন আমাকে কত আনাচকানাচে খুঁজে বেড়িয়েছে, আমি সব খবর পেতাম, কিন্তু আর কখনোই তাকে ধরা দেইনি। এই আমিটা আমার খুব অচেনা। সাধারনত কারো প্রতি টান অনুভব করলে আমি সর্বস্ব বাজি রেখে আল্লাহর নামে চোখ বন্ধ করে দেই ঝাপ। ডিগনিটি, সেল্ফরেসপেক্ট, ফোরসাইট, জাজমেন্ট সব তখন আমাকে ছেড়ে গিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে মজা দেখতে থাকে। যখন তারা ফিরে আসে তখন আমি মোটামুটি সর্বহারা। আগে ভয়ংকর রকম খারাপ লাগতো, এখন বুঝে গেছি আমার মনে অনেকগুলি বেইমান বাস করে। চাই আর না চাই এদের নিয়েই আমার আমৃত্যু থাকতে হবে। একবার মেনে নেয়ার পর সব সহজ হয়ে আসে, তাই খারাপ লাগার তীব্রতাও ধীরে ধীরে কমে এসেছে।
I’m just glad to see you again
জানালা খুলতে চাইনা এই কারনেই। হুড়মুড় করে কত কত প্রাচীন নক্ষত্রের আলোর বানে ভেসে যায় সবকিছু, কোনমতে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে থাকি, আমার তো ভেসে যাওয়া চলবেনা!
নোরা জোনসকে প্রথম দেখি/শুনি এমটিভিতে। তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি, প্রথম শুনলাম ‘Come Away With Me’ এবং গান শোনা মাত্র এ্যালবাম যোগাড় করে ফেললাম। তারপর টুপ করে এই মেয়ের প্রেমে পড়ে গেলাম, গভীর প্রেম। আমার গান শোনার সঙ্গীদের আবার আমার মতো এতো ভাল লাগেনি ওর গান। তাই শেয়ার করতে না পেরে নোরা জোনস হয়ে উঠলো একান্তই আমার নিজের। অনেকগুলি কারনের মধ্যে অন্যতম কারন, সবগুলি গানই একটা যাযাবর হৃদয়ের কথা বলে। এখনো কোথাও যদি ওর গান বাজতে শুনি, যত সিরিয়াস কথার মধ্যেই থাকিনা কেন, আনমনা হয়ে যাই।
Come on in
Did you have a hard time sleeping
‘Cause the heavy moon was keeping me awake
And all I know is I’m just glad to see you again..
দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ৩
আজকে আমার এই অফিসে শেষ কর্মদিবস। এরপর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত কাগজে-কলমে আমি অফিসের কর্মচারী থাকলেও, ছুটিতে থাকবো। তারপর থেকে আর কাগজে-কলমেও আর থাকবো না এখানকার কোথাও।
আজ আমার এ অফিসে কাজ পাওয়ার স্মৃতিটা মনে পড়ছে বারবার। ২০১৮ সালের শুরুর দিকে, জানুয়ারির ২০ তারিখে আমায় জার্মানির ইলমিনাউ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন দিয়ে দিয়েছিলো। সেদিন মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাশ করে বের হতে পেরে আমার ভালও লাগছিল আবার একটু চিন্তাও হচ্ছিলো। কেননা ঠিক সেদিন থেকেই চালু হয়ে গিয়েছিল ১৮ মাসের একটা ঘড়ি। এ সময়ের ভেতর আমায় "মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন" সম্পর্কিত কোন একটা চাকুরি জোগাড় করতে হবে নয়তো ব্যাবসা দাঁড় করাতে হবে। নাহলে জার্মানি থেকে পাঠিয়ে ফেরত দেয়া হবে। অন্য কোন লাইনের চাকুরি বা ব্যাবসা হলেও হবে না।
যার জন্য কোনকিছুর সঙ্গে পরামর্শ করতে হয় না
মৌসুম এসে পড়েছে। ঝরা পাতার মৌসুম। বছরের অদ্ভুত সুন্দর একটা সময়। খুব অল্প কয়েকটা দিনের জন্য এ সময়টা আসে। সব গাছের পাতা অল্প কয়েকদিনের জন্য রঙিন হয়ে যায়। পথ চলতে চলতে রঙিন পাতাওয়ালা গাছ দেখতে দেখতে চিরপরিচিত রাস্তাঘাটও খানিকের জন্য অচেনা ঠেকে। তারপর একদিন গাছগুলোকে শুন্য করে দিয়ে সব পাতা ঝরে যায়। পরের বছর আবার পাতায় পাতায় ভরে ওঠার জন্য।
এ সময়টায় করার মতো একটা দারুণ কাজ হচ্ছে ট্রেনে চেপে ঘুরতে যাওয়া। ট্রেনের জানালা দিয়ে রঙিন বাহারি পাতাসমৃদ্ধ গাছগুলো যখন যখন একটা পর একটা পার হয়, তখন সাধারণ ছোটখাটো মানসিক অশান্তির কারণগুলো এমনিতেই ঝরে যায়। তবে খুব বড় যেগুলো, সেগুলো ঝরে না। সেগুলো কখনোই ঝরে না। নিজেদের মতো থেকে যায়। কখনো, হয়তো কোন এক বন্ধ্যা সময়ের বানে, গোপন কুঠুরি থেকে বের হয়ে এসে নিউরণে আঘাত হানে।
আশ্চর্য মেঘদল
আজকাল বাংলা লেখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরে একটা নস্টালজিয়ার মধ্যে আছি, তাই একটা কিছু লেখার জন্য মন একটু তাগাদা দিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু আমার ব্রাউজারের অদ্ভুত আচরনের ফলে বাংলা লেখা এখন প্রচুর সময়সাপেক্ষ, এতো কষ্ট করতে এখন আর ভাল লাগেনা। বুড়ো হয়েছি।
দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ২
কাটছে সময় কি তার আপন গতিতে? কে জানে তা। আমার তো কখনো মনে হয় সময় যেন কাটছেই না, আবার কখনো মনে হয় এত দ্রুত সবকিছু ঘটছে যেন দেখা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছুই করা হচ্ছে না। তবে এটাও কিন্তু হতে পারে যে, সময় তার নিজের মতো করে সকলের জীবনে ভারসাম্যতা ঠিক করে দেয়। যে কারণে কখনো সেটিকে দ্রুতগতির মনে হয় আবার কখনো মনে হয় মন্থর। আসলে নিজের গতিতে সে আবহসঙ্গীতের মতো চলতেই থাকে পুরোটা সময়।
আজকাল একসঙ্গে নতুন বাসা খোঁজা এবং পুরোনো বাসা হাতবদলের কর্ম সম্পাদনে ব্যস্ত সময় কাটছে। তবে সে ব্যস্ততাটা যে আসলে কি, তা বলা বড় কঠিন। এই যেমন; পুরোনো বাসা কোন মেরামত ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবেই নতুন ভাড়াটিয়াকে বুঝিয়ে দেয়া যাবে কিনা, তা দেখতে আসবেন যিনি, তিনি যেন মুগ্ধ হন- সে চেষ্টা চললো তিনটি দিন। সেটা ছিল একটা ব্যস্ততা। কিন্তু আসলেই কি?
এমনও তো প্রেম হয়!
খুব সকালে সিএনজি পাওয়াই যায়। তবে সেটা আপনার মন মতো হবে কিনা বলা মুশকিল। তবে আরেকটু পর সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কম। মানিক খুঁজছে সিএনজি, তার চোখে রাজ্যের ঘুম। ঘুম চোখে থাকলেও সে পরিপাটি। মাথায় মুখে পানি দেয়া রং জ্বলে যাওয়া টিআইবির টি-শার্ট এর সাথে সাথে একটা নতুন ট্রাউজার। অপরিপক্ক ড্রাইভার তাকেই 'স্যার' ডেকে বসতে পারে। কিন্তু যাদের জীবন স্যার ডেকে ডেকে চলে যায় তাদের স্যার শুনতে খারাপ লাগে না। কিন্তু পরিপক্ক চালকরা বুঝে যায়। এই বোঝা না বোঝার ভেতরেই, মানিক ভোরের সকালকে মাথায় রেখে মৃদুস্বরে বলে, মামা যাবেন মিরপুর ১৩? বিআরটিএর সাথে? সিএনজি চালক দাত খোঁচাচ্ছিল। সকাল সকাল এদের দাতে কোন হীরে-জহরত লুকিয়ে থাকে, তাই ভাবে মানিক। সেই গুপ্তধনের সন্ধানে থাকা চালক চায় সাড়ে তিনশো। সে জানায় আড়াইশো। রাজী হয় না।
দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ১
ইয়েন্স গুটোভস্কি নামের এক ব্যাক্তিকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখলাম "ভাঙ্গনজনিত কারণে নতুন বাসার প্রয়োজন পড়েছে" লিখে। কারও সন্ধানে ভাড়া পাওয়ার মতো বাসা থাকলে তাকে যেন জানানো হয়।
যে শহরে থাকি সে শহরের বাসিন্দাদের একটা "ফেসবুক পেইজ" রয়েছে। সেখানে বাসিন্দারা নিজেদের মজার ছবি, অভিজ্ঞতা, অভিযোগ ইত্যাদি যেমন প্রকাশ করেন, তেমন ঘরের পুরোনো আসবাবপত্র বিক্রি, ঘর ভাড়া দেয়া ইত্যাদির বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেন। আবার ইয়েন্সের মতো কেউ কেউ ঘর ভাড়া বা আসবাবপত্র ইত্যাদির খোঁজে থাকলে, তারাও সুবিধাটা ব্যাবহার করেন।
কবিতা: ধান্দাবাজির এই শহরে ঘাসফুলেদের ঠাঁই নাই
আজকাল সিনেমা
উপন্যাস, গান
কোথাও ঘাসফুলের
কথা বলা হয় না,
কেউ আর বলে না
শিশিরের বিন্দুতে
ঠিকরে পড়া রোদের কথা।
আজকাল শুধু খুন
ধর্ষণ, দুর্ঘটনা আর
ভাঙনের কথা বলে সবাই
জীবনের অর্থ পাল্টে হয়েছে
যেকোন উপায়ে আপন
প্রাণ বাঁচাই।
পরিবারের অর্থ পাল্টে হয়েছে
আগুনের গোলক,
আর কেউ এই "আজকাল"কে মানতে
না চাইলে, পরিবারই তাকে দেহ-
মনে পিটিয়ে লম্বা করে দেখিয়ে দেয়
কোথাকার কোন বালব্যাটা হে তুই বালক?
দুই, চার, পাশশো কিংবা ক'টা হাজার
টাকাও আজ কথা বলে। আর তুই এসেছিস
হিন্দি চুল তুলে আঠিঁ বানাতে?
আর তো সমাজের অন্যান্য
ইনস্টিটিউশনের কথাগুলো বাদই দিলাম।
বিয়ে নাকি এককালে অমন একটি ইনস্টিটিউশন ছিল
হাহাহা, আজকালের বিয়ে মানে যেকোন ছুতোয়
নির্যাতন আর প্রতারণা।
ধর্ম নাকি একসময় মানুষের ভেতর শান্তির
বাতাস বইয়ে দিতো। অট্টহাসি পায় সে কথাটা
এখন ভাবলে। আজ মেকি বানোয়াট শান্তির আধাঁরে
গল্প: জানি না ক'জন জানে সেটা
মুর্শেদ সাহেব পেনশন পান ২৫ হাজার টাকা। তার গাড়ির ড্রাইভার বেতন নেন ১৭ হাজার টাকা। বাদবাকি আট হাজার টাকায় মুর্শেদ সাহেবকে প্রতি মাসে বাড়ির বাজার খরচ, বিদ্যুত বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল দিতে হয়।
গল্প: ঠিক সেই ঘটনাটিই সেদিন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ঘটেছিল
তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার ক্ষণটির কথা আজও আমার মনে আছে। টিএসসি এলাকায় ডাস-এর ঠিক পেছনটায়, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যটির সামনে; বেদির নিচের যে ছোট্ট সবুজ ঘাসটুকু- ওই খানটায় একটা ঠান্ডা লাচ্ছির গ্লাস নিয়ে বসে ছিলে তুমি। আমি বোধহয় সেদিন তোমায় খানিকটা সময় অপেক্ষা করিয়েছিলাম, তাই না?
সেদিন হয়েছিল আমাদের প্রথম দেখা। আর তার আগে যে কত শত শত টেক্সট মেসেজ চালাচালি! নামি, বেনামি কত অসংখ্য মাধ্যমে। মেসেজ আদানপ্রদান করে-করেই নিজেদের সব কথা বলা হয়ে গিয়েছিল আমাদের, তাই না? যেন বলার ছিল না কোনকিছু, যেবার আমরা প্রথমবারের মতো নিজেদের সামনাসামনি দেখেছিলাম।
দেখা হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কি করেছিলে তুমি? বরফ ঠান্ডা লাচ্ছি মুখে নিয়ে বিষম খেয়েছিলে, ঠিক না? আমাকে যেমনটি ভেবেছিলে একদমই তেমনটি ছিলাম না আমি, ঠিক কিনা? ডিজিটাল এই যুগে আমরা কজনই বা নিজেদের সারাদিন কেমন দেখায়, সেটা পৃথিবীকে দেখাই?
স্কুলের প্রেম
গীতিকবিতাঃ স্কুলের প্রেম
আহসান হাবিব
০১/০৮/২০২২
স্কুল জীবন মজার জীবন
বারে বারে প্রেম আসে
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।
সর্দি যেমন প্রথম প্রথম
অতি মাত্রায় ঝরে
স্কুলের প্রেম তেমনি
জ্বালায় সকাল দুপুর
সারা রাত্রি ধরে
কখনো তা বিসৃতি হয় না
স্বপনেতেও আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।
সর্দি যেমন পেকে গেলে
অতি নাহি ঝরে
স্কুলের প্রেম তেমনি ভাবায়
বছর ছয় মাস পরে।
কেমনে করবো বিয়া সখি
কেমন খাওয়াবো
এসব চিন্তা আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।
পাকা সর্দি ঢোক গিললে
গলাধঃকরণ হলে।
বেঁচেই গেলো চিন্তা নাহি
ভোগাবে না দিলে
স্কুলের প্রেম সফল
হইলে ভালো
না হইলে জ্বলবে
সারা জীবন
কখনো আবার মরন
হয়ে আসে।
এই প্রেমেতে রস বেশী তাই
আবেগেতে ভাসে।
কন তুমি বিদেশ গেলে
গীতিকবিতাঃ কেন তুমি বিদেশ গেলে
আহসান হাবিব
৩১/৭/২০২২
ও বন্ধুরে, সোনা বন্ধরে আমার...
কেন তুমি বিদেশ গেলে আর তো এলে না
আমার আন্ধার নিশি বুঝি আর পোহাবে না।
কেন তুমি বিদেশ গেলে আর তো এলে না।।
তোমায় নিয়া বাধিলাম ঘর আশার বালু চরে
ঝড় নাই বারিস নাই তবু কেন যে গেল পড়ে।
আমি মিছা আশায় মন বাধি,
তোমায় ভুলতে পারি না।।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না
দিনটা কাটে যেমন তেমন রাতটা বড়ই একা
মাঝ সমুদ্র জনমানবহীন নাই যে কারো দেখা
থাকি থাকি ঘুম ভেঙে যায়,
আর নিদ্রা আসে না।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না
পাড়া পরশী মন্দ বলে, এটা সেটা কথার ছলে
মুখ বুজে সব সহ্য করি,জবাব দিব কিসের বলে
পড়শী বাড়ীর বুড়া দাদুও খুটা মারে
সইতে পারি না।
আসবে বলে গেলে চলে
আর তো এলে না
আমি অধীর হয়ে বসে আছি
গীতি কবিতাঃ আমি অধীর হয়ে বসে আছি
আহসান হাবিব
২৪/০৭/২০২২
দয়ালরে, ওহো দয়াল আমার
আমি অধীর হয়ে বসে আছি
আসবে তুমি কবে?
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।
ভালোবাসার ডালি দিয়ে
পাঠাইলে এই ভবে
খাবার তরে জীবকে মেরে
উদর পুর্তি হবে
দয়ালরে,ওহো দয়াল আমার
পরবাস জীবন শেষ হইলে
নিধন খেলা শেষ হবে
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।
মায়া মমতায় ভরা মনটা আমার
যতোই করে দিন গুজরান
মানবতার নিধন, মানবতার হরন
দেখে দেখে হয় যে পেরেশান
দয়ালরে ওহো দয়াল আমার
জানাতাম নাতো আপন ভাইকে
মেরে দুনিয়ায় বাদশা হবে।
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে?
তোমার দেয়া নির্মল প্রকৃতি
উজার হয়ে হারাইছে শ্রী
ধনের লোভে জনের লোভে
প্রতিযোগিতার নিচ্ছি প্রস্তুতি।
দয়ালরে ও দয়াল আমার
ধর্মের নামে শত বিভাজনে
কত খুন হয়েছে, আরো কতো হবে
পরবাস আর ভাল্লাগে না
জানিনা শেষ হবে কবে।
গল্প: এক এক্লিপস্-এ আটকে পড়া কালে ব্লু মুন খুব হেল্প করেছিল
সেবার ভালো না লাগার ব্যামোটা বেশ ভালো ভাবে আমাকে পেয়ে বসেছিল। কোনোকিছু ভালো লাগে না। সকালে ঘুম থেকে উঠতে ভালো লাগে না। বিছানায় গড়াগড়ি দিতে ভালো লাগে না। কারো সঙ্গে কথা বলতে ভালো লাগে না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগে না। ভাজা-পোড়া খেতে ভালো লাগে না। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে ভালো লাগে না, চ্যাটিং করতে ভালো লাগে না। টরেন্ট দিয়ে মুভি নামাতে ভালো লাগে না। লাগে না তো লাগেই না। মাথাভর্তি সাইকেডেলিক জ্যাম। ঘরের স্পিকারে পিংক ফ্লয়েডের এক্লিপস্ বাজতে থাকে টানা। দিনের পর দিন কেটে যায়। আশপাশের মানুষ আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। আমি তাদের জন্য কিছুই করতে পারি না।