ইউজার লগইন
ব্লগ
কেন খেলিস লুকোচুরি
গীতিকবিতা/ কেন খেলিস লুকোচুরি
মোঃ আবুল হোসেন
৭/১/২০২২
কেন খেলিস লুকোচুরি , কেন খেলিস না আসলে
সকাল দুপুর গেল চলে বিকাল টাও যাবে বিফলে।কেন খেলিস লুকোচুরি , কেন খেলিস না আসলে
বর্ষা কালে ভেকের খেলা সদাই ডাকে গেঙর ঘেঙ
সবাই বুঝে সঙীর খোঁজে মাতোয়ারা হয়েছে ব্যাঙ
তোর কেন রাখডাক এত চলে আয় সকল ভুলে।
কেন খেলিস লুকোচুরি, কেন খেলিস না আসলে।
কালিবিহীন কলমটাও দামহীন ডাষ্টবিনে জায়গা মেলে
বৃষ্টির পরে ছাতাটাও ভারি ইচ্ছে হয় দেই ফেল
কেউ পুষবে না ওরে দেমাগী সাধের যৌবন
চলে গেলে
কেন খেলিস লুকোচুরি, কেন খেলিস না আসলে।
ঠিক কথা না ভুল কথা
১.
জিরুর মার সাথে ভোলুর বাবার বহুদিন ধরে ঝগড়া। নানান কারণে নানানভাবে সে ঝগড়ার জঙ্গল গড়ে উঠেছে। প্রথম প্রথম হয়তো ছিল একটা-দু'টো আগাছার ঝাড়, সেসবে রোদ-পানি কিচ্ছু ঠিক-ঠিকমতো পড়ে নি। শুধু অন্ধকারে চাপা দিয়ে দিয়ে রেখে যাওয়া হয়েছিল। সেসবই কালে কালে ভোলুর বাবার মনে যেমন, জিরুর মার মনেও তেমনি ডালপালা ছড়িয়ে জঙ্গল গড়েছিল। সেই সব নিয়েই তাদের দুজনের ঝগড়া। ভেতরের কথা কি- তা বাইরের মানুষ কি করে জানবে, কিন্তু উড়ো উড়ো সংবাদ বলতে পাওয়া গিয়েছিল এতটুকুই।
আমারে ছাড়িয়া
গীতিকবিতা/ আমারে পাগল করিয়া
আহসানুল হাবিব
২৮/১২/২০২১
আমারে পাগল কইরা ছাইড়া যাইও না।
তোমার মতো দয়াল বন্ধু কোথাও পাবো না।
জীবন যৌবন সব সপিলাম হইয়া দিওয়ানা।
কত খেলা খেল তুমি বুঝতে পারি না।
আমারে পাগল কইরা ছাইড়া যাইও না।
ছোট্ট প্রাণী মাকড়সা জাল বানায় কি যতনে
দৈর্ঘ্য প্রস্থ সঠিক মেনে জাল বানায় প্রতি ক্ষনে
কিসের আঠা লাগায় জোরা দিতে জাল আমার মাথায় আসে না।
কত খেলা খেল তুমি বুঝতে পারি না।
আমারে পাগল কইরা ছাইড়া যাইরা যাইও না।
এই যে দেহ মেশিন খানা,লিখলে কভু শেষ হবে না
ঘুমের ঘুরেও যদি আসে পায়খানা বিছনা তবু খারাপ হয়না
কিযে শিগনাল বানায় রাখছ চোখ কচলায় আর যায় পায়খানা।
কত খেলা খেল তুমি বুঝতে পারি না।
আমারে পাগল কইরা ছাইড়া যাইরা যাইও না।
লীনা আপুর জন্মদিন ও নস্টালজিয়া!
নিউজফিডে অদ্ভুত সব জিনিস ভেসে উঠে। যেমন একটু আগে শুনলাম মানস চৌধুরীর কন্ঠে রাইসুর জনপ্রিয় কবিতা, বড়লোকদের সাথে আমি মিশতে চাই। আমার ভালো লাগে না রাইসুর কবিতা। যে মানস চৌধুরীরা বিশ্বাস করে জ্ঞান অর্জন সহজ কোনো প্রক্রিয়া না, তারাই ব্রাত্য রাইসুর কবিতায় মজে। পাঠ করে শোনায়। যে রাইসু বাতিঘরকে ভারতীয় সম্প্রসারণবাদীদের এক কেন্দ্র ভাবে, সেখানেই তার কবিতা পাঠ হয়। এ পৃথিবী এমনই। আমি যেমন সকাল থেকে পড়ছিলাম লীনা দিলরুবার কবিতা। তিনি ফেসবুকে নাই, ফোনে যোগাযোগও নাই, তার এসব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখাগুলোই আছে। আগে তো তাও ফেসবুকে থাকতেন, আমার লেখাজোকা নিয়ে মন্তব্য করতেন, উনার লেখা ও চিন্তাভাবনা এবং পড়াশোনা নিয়ে জানতাম। এখন তিনি ফেসবুকে নেই। টেক্সটের রিপ্লাই নাই, এসব শুন্যতা নিয়েই বেঁচে থাকা।
আজ সোমবার৷ বিডিনিউজে গত বছর প্রকাশ পাওয়া লীনা দিলরুবার একটা কবিতার নামও, 'সোম'। কবিতাটা অন্যরকম।
সোম
আমি গান লিখি তোমার জন্য
গীতিকবিতা// আমি গান লিখি তোমার জন্য
আহসান হাবিব
৮/১২/২০২১
আমি গান লিখি শুধু তোমার জন্য
চোখ মেলে যেমন দেখেছি তোমায়
ওগো জন্মভূমি বাংলা মাগো
আজো আছ তেমনি অনন্য।
আমি গান লিখি শুধু তোমার জন্য।
ওগো জন্মভূমি বাংলা মাগো
আজো আছ তেমনি অনন্য।।
পাখির কিচির মিচির গান, ঝরনার কলকল তান
ফসল ফসলে ভরা মাঠ,সারি সারি নৌকায় ভরা নদী ঘাট
সেদিন যেমন বইতো ঝরণা ধারা আজো ঝরছে কত অনন্য।
আমি গান লিখি শুধু তোমার জন্য।
সেদিন বাতাস বইতো শনশন সুরে, ডাকিতো কেকা ঔই দুরে
রাখালের পাল ছুটটো মাঠে, হাটুরে অর্ধ দৌড়ে ছুটতো হাটে।
হাডুডু বল আরো কত খেলা খেলে হোতাম ধন্য।
তাই
আমি গান লিখি শুধু তোমার জন্য।
ঘুম ভাঙ্গা সকালে!
শীতের রাত, ফ্যান চলে না। ঘুমিয়ে গেছি আড়াইটায়, এক মুরুব্বি কন্ঠে অতিরিক্ত ভলিউমের ফজরের আজানে ঘুম ভাঙ্গে, একতলায় বাসা, কুকুরের শব্দেও বিরক্ত লাগা শুরু হয়। লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাই, দু চারটে মশাও গুনগুনিয়ে উঠে। ঘুম ভেঙ্গে মুখ তিতে হয়ে আসে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি আবার হয়তো ঘুম আসবে। মোবাইলে ফেসবুক গুতাই। ওতো ভোরে কিছুই নাই। অনেকের পুরাতন পোস্ট ফিডে আসে, তিন চারদিন আগের। নিজের প্রোফাইলে বারো তেরো পনেরো লাইক পাওয়া পোষ্ট গুলোও দেখি। আমার বান্ধবী বলেছিল সে যখন ছিল মোটামুটি সেলিব্রিটি তখন নিজের লাইক দেখে অবাক হতো। রাতে ঘুমাতো না, সারাদিন এসব লেখালেখি একটিভিজম নিয়ে থাকা, নিজের লেখায় নিজেই মুগ্ধ হওয়া। লোকজনের প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোকেই খুব সিরিয়াসলি নিত। লোকজনও আপু আপু বলে বিগলিত করতো তার হৃদয়। তারপর সে এসব ছেড়ে ছুঁড়ে ওই আইডি ডিএক্টিভেট করে বসে আছে অনেকদিন। সেজন্যই সে আমার এত ভালো বন্ধু।
তুমিই আমার পাশে থাকবে
গীতিকবিতা/তুমিই আমার পাশে থাকবে
আহসান হাবিব
৩/১২/২০২১
মরণের পরপারে যদি কোন জীবন থাকে
তোমার আমি হবো, কথা দিলাম সখি
তুমিই আমার পাশে থাকবে।
এ দুনিয়া এ প্রকৃতি মানে নি মোদের সখি
মন তবু তোমায় সখি সদাই প্রিয়া প্রিয়া ডাকবে।
তুমিই আমার পাশে থাকবে।।
তুমিতো ছিলেই পাশে আমিও ছিলাম আশে
হঠাৎ কেন কোন ক্ষণে, চলে গেলে কোন অভিমানে
আজ মর্ম জ্বালায় জ্বলি, কি করে তোমায় ভুলি
তুমিও বা কি করে এত ব্যথা সইবে।।
তুমিই আমার পাশে থাকবে।।
আজ যোজন যোজন দুরে, কেকা কেকাক ডেকে মরে
দিন মাস বছর যায়, কেকা কেকার দেখা না পায়
এপারে হলো না হলো না সখা ওপাড়েতে হবে,
তুমিই আমার পাশে থাকবে।।
আমি তো এমনি করেই থাকবো দুরে
গীতিকবিতা //আমি তো এমনি করে থাকবো দুরেআহসান হাবিব
২৯/১১/২০২১
আমি তো এমনি করেই থাকবো দুরে
যদিও মন মানে না, পাব কি আকাশের ঠিকানা
আসুক না দিন মাস বছর যুগ যুগ ঘুরে।
আমি তো এমনি করেই থাকবো দুরে।।
ঐ দেখ বিশাল আকাশ ভালো বাসে জমিনকে
কেউ কি দেখেছে কভু আকাশকে আসতে জমিনেতে
অসীম ভালোবাসার অর্ঘ জমিনকে দেয় বৃষ্টি হয়ে ঝরে
আমি তো এমনি করেই থাকবো দুরে।।
তুমি তো দিয়েছ আড়ি বলবেনা কথা তাড়াতাড়ি
আমি তো বুঝি তোমার মন, মান অভিমানেই যাচ্ছে দিনক্ষন
ভয় হয় ওগো সখা পেয়ে না হারাই তাই থাকি দুরে দুরে।
আমি তো এমনি করেই থাকবো দুরে।।
যাপিত দহনের গল্প - ৪
"সুখের বারান্দা জুড়ে রোদ পড়ে আছে
শীতের বারান্দা জুড়ে রোদ পড়ে আছে
অর্ধেক কপাল জুড়ে রোদ পড়ে আছে
শুধু ঝড় থমকে আছে গাছের মাথায়
আকাশমনির ।
ঝড় মানে ঝোড়ো হাওয়া, বাদ্ লা হাওয়া নয়
ক্রন্দনরঙের মত নয় ফুলগুলি
চন্দ্রমল্লিকার ।
জয়দেবের মেলা থেকে গান ভেসে আসে
সঙ্গে ওড়ে ধুলোবালি, পায়ের নূপুর
সুখের চট্ কা ভাঙে গৈরিক আবাসে
দিন যায় রে বিষাদে, মিছে দিন যায়..."
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের "দিন যায়" কবিতা। কিছু কিছু বিষাদমাখা দিনের জন্য যুতসই একদম একটা কবিতা। কত এমন দিন কাটে যখন বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে হয় না একটুও। সে সময়ের কবিতা।
জীবনে এমন দিন এক-আধবার আসা খারাপ না। সমস্যা হয় যখন এমন দিন স্থায়ী হতে চায়। আর আমাদের মস্তিষ্কটাও যেন কেমন। এমন দিনের প্রতীক্ষায়ই যেন থাকে ওটা। আসলে কোন রকম দিনের প্রতীক্ষতেই থাকে না আমাদের মস্তিষ্ক। ওটা শুধু অলস হয়ে পড়ার সুযোগ খোঁজে।
যাপিত দহনের গল্প - ৩
“বহুদিন ছিলো আগুনখেলার দিন
বহুদিন ছিলো জলোৎসবের তোড়
বহুদিন ছিলো পথে পথে উড্ডীন
বহুদিন কত রাত হয়ে গেল ভোর।
শূন্যতা এসে শূন্যতে ছিলো মিশে
একাকার সেই পূর্ণতা থেকে কত
বহুদিনকার দিনানুদিনের বিষে
অকাতর ঐ মুখ ছিলো উদ্গত।
সে মুখের কোন সীমানা ছিলো না যেন
এ-কালে ও-কালে ছড়ানো হাজার সাজে
মূর্ছিত হয়ে পড়ে ছিলো সব জ্ঞানও
আধোরাত্রির দূরাগত পাখোয়াজে।
অশরীরী যত নাচের বিভঙ্গেরা
জ্ঞানহীন সেই শরীরে উঠেছে মেতে
ঐ মুখ ছিলো আমার দুহাতে ঘেরা
মগ্ন শিশির নগ্ন ফসলক্ষেতে।
ছন্দ আমার বুকের বাঁপাশে এসে
তুলে আনে আজ সেই রাত্রির ভার
ও যদি ঘুমোয় ঘুমোক না অক্লেশে
ভালোবাসি ছাড়া কী-বা ছিলো বলবার।"
এক গাছে কি সব ফল ফলায়
গীতিকবিতা/ এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
আহসান হাবিব
৫/১১/২০২১
এক জনমে কি সব পাওয়া যায় ওগো বন্ধু,
এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
বড় প্রেম শুধু কাছে টানে না দুরেও নিয়া যায়
ওগো বন্ধু, দুরেও নিয়া যায়।
এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
সব নদী তো যায় না সাগরে নদীতেই মিলায়
সব কুড়িতে ফুল ফুটে না, অকালে ঝরে যায়
তোমার আমার হয়নি মিলন
তোমার আমার হয়নি মিলন
ছিলনা কপালে মোদের বিধাতার লেখায়।
এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
স্থান কাল পাত্র সময় মেনে চলে জগত সংসার
স্থান কাল পাত্র সময় ছিলনা পক্ষে তোমার আমার
তাইতো ভালোবাসার কুড়িতে ফুল ফোটেনি
গেছে অন্তরে মিলায়,
ছিলনা কপালে মোদের বিধাতার লেখায়।
এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
তুমিতো কখনো বলনি রেখেছ মনে মনে
আমিও লুকিয়ে রেখেছি মনের গহীন কোণে
আজ বলবো কাল বলবো বলে সময় গেল চলে
বুঝতে পারিনি হায়।
ছিলনা কপালে মোদের বিধাতার লেখায়।
এক গাছে কি সব ফল ফলায়।
খাইও না নেশার বড়ি
গীতিকবিতা/ খাইও না নেশার বড়ি
আহসান হাবিব
৬/১১/২০২১
তুমি খাইও না খাইও না বন্ধু গো
খাইও না নেশার বড়ি
বাপে কান্দে মায়ে কান্দে ধ্বংস হয় টাকা কড়ি।
খাইও না নেশার বড়ি।
একটা ছেলে নেশাখোর হলে, পুরা পরিবার যায় রসাতলে
কারো কাছে আশ্রয় পায়না, নেশাখোর ছেলে বলে।
নেশাখোরের থাকেনা ঈমান ধর্ম
যেখানে সেখানে করে যে চুরি।
খাইও না নেশার বড়ি
বাপে কান্দে মায়ে কান্দে ধ্বংস হয় টাকা কড়ি।
খাইও না নেশার বড়ি।
হতাশা বা সখের বশে একবার নেশা ধরিলে শেষে
নেশায় নেশা পেয়ে বসে ছাড়তে নারি হাজার চেষ্টা করিলে।
দিনে দিনে সব শেষ হয়,অসময়ে যেতে হয় দুনিয়া ছাড়ি।
খাইও না নেশার বড়ি
বাপে কান্দে মায়ে কান্দে ধ্বংস হয় টাকা কড়ি।
খাইও না নেশার বড়ি।
ইয়াবা বাবা গাঁজা আরো যত নেশার বড়ি
কিনতে লাগে টাকা রে ভাই লাগে টাকা কারি কারি
নেশার টাকা ভূতে জোগায় শুধু কথার কথা
শেষ হয়ে যায় সহায় সম্বল জমি বাড়ি
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায়
গীতিকবিতা / চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায়
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
১/১১/২০২১
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায় সেই না শৈশব কালে
বন বাদারে ঘুরছি কত দুজন নাওয়া খাওয়া ভুলে।
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায় সেই না শৈশব কালে।
একদিন ভাংছি পাখির বাসা একদিন গেছি বিলে
পাখির ছানার খাবার জুগিয়ে ফিরছি সন্ধাকালে
আমার কিছু না হইলেও নিত্য মাইর ছিল তোমারই কপালে।
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায় সেই না শৈশব কালে।
নারকেল সুপারি আম কাঠাল জলপাই গাছে কত যে চড়েছি
কয়টা খাইছি কয়টা আনছি যেন বিশ্বজয় করে ফিরেছি
এসব আলতু ফালতু ছোটাছুটিতে কখন কৈশোর গেল চলে।
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায় সেই না শৈশব কালে।
আন্ধার শীতল মাটির ঘরে সে সব কি মনে পরে তোমার
অট্টালিকায় শীতল এসির বাতাসেও ঘুম না আসে আমার
খুব কি তাড়া ছিল তোমার, খুব কি তাড়া ছিল তোমার আগে বাগেই গেলে চলে।
চাইলেই কি আর যায় ফিরা যায় সেই না শৈশব কালে।।
যাপিত দহনের গল্প - ২
জীবনের অন্যতম অর্থ সম্পর্কে আমি কৌতূহলী বহুদিন ধরে। কি কারণে 'জীবন' তার সাড়ে তিন বিলিয়ন বছরের পথ পাড়ি দিয়ে আজকের অবস্থায় এসেছে? কিসের আশায়? মানুষও তো তিনশ হাজার বছরের ইতিহাস পেছনে ফেলে এসেছে। কোন উদ্দেশ্যে?
বংশবিস্তার জীবনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য- গবেষকদের কথা এটি। কিন্তু বংশবিস্তারের দ্বারাই বা কি এমন বিরাট কার্য সম্পাদিত হয়েছে? সাড়ে তিন বিলিয়ন বছর ধরে নানান প্রজাতি জীবনের জয়গান গাইছে। অদ্যবধি তাতে করে সাড়ে ছয় হাজারের মতো স্যাটেলাইট, হাতে গোণা কিছু মহাকাশযান ও মহাকাশচারী ছাড়া বলার মতো কিছু নেই। এইসবে বিজ্ঞানের যা উন্নতি হয়েছে তাতে আমাদের চলার পথে মসৃণতা এসেছে। কিন্তু সত্যিকারের লাভ কি কিছু হয়েছে?
যাপিত দহনের গল্প
অসম্ভব কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করা একটি জীবন কাটানো কতটা সহজ? সেই কবে কোন ছেলেবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম ফরাসী বীর নেপোলিয়নের কথা। বলে কিনা অসম্ভব নাকি শুধু বোকাদের শব্দকোষেই পাওয়া যায়। আচ্ছা, যদি বুকের ভেতর কষ্ট হয় তবে কি সেটা বোধ না করে থাকা সম্ভব? কিংবা যদি মনের সায় না মেলে তো সে কাজ আনন্দ নিয়ে করা?