ইউজার লগইন
অনুবাদ
আজ রাতে আমি লিখতে পারি - পাবলো নেরুদা
আজ রাতে আমি লিখতে পারি তীব্র শোকের পংক্তিমালা
যেমন লিখবো, "নীল তারা ছাওয়া আকাশ আছে কাছে
আরও আছে কাঁপন - সুদূরে।"
আছে আকাশের ঘূর্ণিপাকে গান গাওয়া নিশি হাওয়া
আজ রাতে আমি লিখতে পারি সবচেয়ে দুঃখী পংক্তিমালা
ভালোবেসেছি আমি তাকে, হয়তোবা কখনো সে'ও আমাকে।
বুকের মুঠোয় পুরে এমনই রাত পার
নিঃসীম নক্ষত্রের নিচে গাঢ় চুম্বন বারংবার
সে ভালোবেসেছিলো, কখনো আমিও তাকে।
অমন স্থিত চোখ পারা যায় ভালো না বেসে?
আজ রাতে আমি লিখতে পারি শোকার্ত পংক্তিমালা
এই ভেবে, সে আমার নয়। এও জেনে, তাকে হারিয়েছি আমি।
গাঢ় ,তার বিহনে গাঢ়তর আঁধারের শব্দ, শোনায় উৎসুক আমি
টুপটাপ শিশিরের মতো শব্দমালা ঝরে ভেতরে আমার
অপারগ প্রেম আমার, কী আসে যায় তাতে?
আকাশে তারারা এখনও ঝিলমিল - কেবল সে নেই, নেই সাথে।
এই ই সব। দূরে গাইছে কেউ। সুদূরে।
হৃদয় পরিতৃপ্ত নয়, হারিয়েছি তাকে।
দৃষ্টি খুঁজে ফেরে যাকে নিকটের আশে
মন তাকে চায় - নেই, নেই সে পাশে।
সেই রাত, গাছগুলো তেমনি সাদাটে
আমরাই শুধু নই আগের দু'জন।
নিশ্চিত,আর ভালোবাসিনা, কিন্তু হায় কী ভীষণ ভালোবেসেছিলাম!
অবকাশ যাপন কর
তিনিই সে আল্লাহ্
যিনি চিরঞ্জিব ও চিরস্থায়ী
যার ঘুমতো দুরে থাক তন্দ্রা ও
কখনো স্পর্শ করে না।
আকাশ ও জমিনে নেই কেহ
তাঁর সমকক্ষ
নেই কেহ সুপারীশ কারি তার
অনুমতি ব্যতিত।
জানা আছে তাঁর দৃষ্টির সামনে ও পিছনে।
কেহ পারে না বিন্দু মাত্র জ্ঞান অর্জন করতে
তাঁর অনুমতি ব্যতিত।
তাঁর সিংহাসন আকাশ ও জমিন বেষ্টন করে আছে
তাই সমস্ত কিছুর রক্ষনাবেক্ষন করা তাঁর পক্ষে
মোটেই কঠিন কিছু নয়।
তাইতো তিনি বলেন...
আমি যাকে খুশি রাজ্য দান করি
যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা হরণ করি।
যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান করি
যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি করি
আমার হাতেই রয়েছে সকল ক্ষমতা
আমি সমস্ত কিছুর উপার ক্ষমতাবান।
আমি দিনকে রাতের ভিতর আর
রাতকে দিনের ভিতর প্রবেশ করাই।
আমি মৃত হতে জীবিতকে বের করে আনি
আর জীবিতকে করি মৃত।
আমি দুই নদী ও সমুদ্রকে পাশাপাশি
প্রবাহিত করি
কিন্তু কেউ কারও সীমা করে না অতিক্রম
তাই তো তোমরা পাও নদীর সুপেয় পানি
যখন সাগরের পানিকে পাও লবণাক্ত।
আমি সপ্ত আকাশকে স্তরে স্তরে স্থাপন করেছি
সর্বনিম্ন আকাশকে করেছি প্রদীপমালা দ্বারা
সুসজ্জিত।
আমি চন্দ্র সূর্য গ্রহ নক্ষত্রকে
মনের কথা-১
জীবন কখনো বন্ধুহীন,বোধকরি এই সময়টা একজনের জীবনে সব চেয়ে কষ্টের।
রোকসানা আফরিন , কবি, লিখেছিলেন ,
-অবশেষে জানলাম,
জীবন বন্ধুহীন ,
পথের সাথীকে পথেই ফেলে আসতে হয়!
আজ তাকে ভুলে থাকা যায়!-
বন্ধুহীন জীবনের অলি-গলিতে শুধুই হতাশা,ঋণগ্রস্থ জীবনের আর্তনাদ।
সত্যি বলতে কি ,জীবনে কারো কাছেই ঋণী থাকতে নেই।
প্রিয় বন্ধুর এক মুহুর্তের বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনা, বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক নতুন ঋণের বোঝা।
কারন, প্রিয় বন্ধু তখন হয়ে যায় অচেনা কেউ,যার নিঃস্বার্থ উপকার তখন ঋণ বলেই মনে হয়।
জীবনে খুব কম মানুষই এক জন আরেক জনের কাছে বিশ্বাসী হয়ে উঠেন।
একটা ব্যাপার লক্ষ্যনীয় যে আমাদের বিশ্বাস এর ধরন ও প্রকৃতি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্নতর হয়।
তাই ব্যক্তি জীবনে একাধিক বিশ্বাসী মানুষ এর দরকার পড়ে।
তাছাড়া, এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যাকে সব কিছুই বিশ্বাস করে বলে যাবে।
সর্বোপরি, বিশ্বাসী ব্যক্তির কাছেই আমাদের বেশি ঋণ থাকে।
কাজেই যেদিন কেও বিশ্বাস ভাঙ্গার কষ্ট সইতে শুরু করেন,
তার সাথে অতিরিক্ত যন্ত্রণা শুরু হয়
ঋনের বোঝা, নিরাপত্তাহীনতা,কিম্বা ভুল বন্ধু নির্বাচন এর জন্য অনুশোচনা।
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
এখানে সময়
এখানে সময়
থেমে থাকে না
বয়েও চলে না
এখানে ঘাসগুলো
ধ্বংসাবশেষ থেকে দূরে
বিশ্রাম পায়
আমি আসি
বা যাই
কিছুই
পাল্টায় না
মরুভূমির
অদৃশ্য দেবতার
মহাকাল
বদলে না
আমি
অচরিতার্থ
আকাঙ্ক্ষা
আমি তোমার নামের
ধ্বনিগুলো
উচ্চারণ করেছি
আমি তোমার
চোখের আলো
অনুভব করেছি
আমি তোমার মুখের
গ্রহণ
চিনেছি
স্বস্তিহীন
আমি বানাই
ফাঁসির মঞ্চ
যার দেয়ালগুলো
আমাদের পায়ের নিচে
ভেঙ্গে পড়ে
আমি ভাষাকে
ফেলে এসেছি
আর হেঁটে এসেছি
যুগোত্তরে
এমনকি আমার
পদশব্দের ছন্দও
আমি রেখে এসেছি
এমনকি আমার নৈঃশব্দের
শব্দও
উচ্ছন্নে গেছে
এমনকি নিজের কাছে
ফিরে এলেও
দূরেই থাকি
-সিলভিয়া সুপারভিল
আমাদের গল্প নাটকের "আইটেম" গানের বাংলা অনুবাদ
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের টেলিভিশনের বেশ না করা নাটক " আমাদের গল্প" এর আইটেম গানটা পুরাটাই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় করা। কোথায় আছে বাংলা ভাষা নাকি চট্টগ্রামে গিয়ে নিহত হয়েছে। তাই হয়তো অনেক দর্শক এই গান ভালো লাগার কারনে নিহত হওয়ার ভয় তোয়াক্কা না করে চেষ্টা করেছেন ভালো করে বোঝার জন্য। কিন্তু হয়তো পারেন নি , পারলেও পুরাটা সম্ভব হয় নি তাদের জন্য আমার এই অনুবাদ।
গানের লিঙ্কঃ http://www.youtube.com/watch?v=Hhc8F5LHp6c
(এখানে হ এর জায়গায় ক ব্যবহার করলে সমস্যা নাই)
হাজুর গাছত উডিবাল্লাই, -- খেজুর গাছে উঠার জন্য
রসর ঠিল্লা ফারিবারলাই. – রসের হাড়ি পাড়ার জন্য
লঙ্গীর গোচা বান্ধিলু ইকবাইল্লাহ... – লুঙ্গির গোছা বাঁধল ইকবাল
পইর পারত জেডা চিক্কারায়, -- পুকুর পাড়ে জেঠা চেঁচায়
উডানত বই নানি চিক্কারায় --- ঊঠানে বসে নানি চেঁচায়
সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড
উন্মাত্তাল '৭১ কলকাতার বনগাঁয়ে পূর্ববঙ্গের হাজার হাজার শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে । স্বদেশ-স্বজনহীন মানবেতর জীবন-যাপন । শরণার্থী ক্যাম্পে তখন ক্ষুধা আর মৃত্যুর সাথে মানুষের সে কী কাণ্ড ! স্বদেশ জ্বলছে , পালিয়ে এসেও এই ক্যাম্পে লড়তে হচ্ছে ক্ষুধার সাথে , মরণের থেকে । একতিল পরিমাণ জায়গাও ফাঁকা নাই ক্যাম্পগুলোতে । কোথাও ত্রান-খাবারের সংবাদ পেলেই সবাই যে যার মতো দৌড়ে খাবার সংগ্রহের লড়াই করে ছিনিয়ে নিচ্ছে । মরা লাশ , কলেরা-ডায়রিয়ায় মরণযন্ত্রণা ভোগা লোকদের সামনে তখন শুধু বাঁচার আকুতি । যে মরণ-ভয় সীমান্তের এপারে টেনে আনল সেই মরণ-ই কীনা অদূরে অবেলায় খলখলিয়ে হাসছে । চারিদিকে বন্যার পানি । মেঘ-বৃষ্টি অবিরাম হচ্ছে । এ যেন মহাপ্রলয়ের তাণ্ডবনৃত্য ।
সম্পর্কের টানাপোড়েন
সেদিন রাতে ঘরে ফেরার পর আমার স্ত্রী যখন রাতের খাবারের জন্যে ডাকলো, আমি তার হাত ধরে বললাম, “কিছু বলার ছিলো তোমায়”। ও কিছু না বলে চুপ করে খাবার খাওয়া শেষ করলো। আমি আবারো ওর চোখের কষ্টের ছোয়াঁ লক্ষ্য করলাম। কি ভাবে কি বলবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কিন্তু আমাকে যে বলতেই হবে যা আমার মনে চলছে।
“আমি তালাক চাইছি” - মনস্থির করে কথাটা তুললাম। অবাক হলাম যখন দেখলাম রেগে উঠার পরিবর্তে ও মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করলো, “কেন?” প্রশ্নটা না শোনার ভান করে এড়িয়ে যেতে চাইতেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে হাতের চামচ ছুড়েঁ চিৎকার করে বলে উঠলো “তুমি মানুষ নও!”
আমি সেই অসম্ভবকেই চাই
হ্যাঁ, আমি সেই অসম্ভবকে চাইঃ আমাকেই ভালোবাসো চিরদিন
ভালবাসো যখন সকল কামনা ফুরিয়ে যায়
ভালবাসো সেই তপস্বীর একাগ্রতায়।
যখন পৃথিবী, তার সবকিছু, তোমার সকল পবিত্রতা
একসাথে নিষেধ করতে থাকে তোমায়ঃ বেশীই ভালবাসো, তারপরও।
যখন এক বেনামী রাগ অন্ধ করে দেয় তোমাকেঃ আমাকেই ভালবাসো।
যখন ঘর থেকে কাজের দিকে প্রতিটি পা ক্লান্ত করে তোমাকেঃ আমাকে ভালবাসো ।
আর যখন কাজের শেষে ঘরে ফেরোঃ আমাকে ভালবাস, আমাকেই।
আমাকে ভালবাসো যখন তুমি নিস্পৃহ।
যখন আগের নারীর চেয়ে বেশী আকর্ষনীয় প্রতিটি রমনীর রূপ,
অথবা বেশী দুঃখী, আমাকেই ভালবাস যেমনটি বেসেছ আগেঃ
না, চাটুকার বা বিচারকের মত নয়
বরং সেই স্নেহে যা রেখেছ একান্ত নিজের জন্য।
ভালবাসো নিজস্ব একাকীত্বের মত, মৃত্যুচিন্তার মত।
অসাধারণ একটি শিক্ষামূলক গল্প
একদা এক বিরাটাকার জাহাজে যান্ত্রিক গোলযোগ পরিলক্ষিত হয়। জাহাজ মেরামতের অভিপ্রায়ে মালিকের চেষ্টায় কোন ত্রুটি দৃষ্টিগোচর হয়নি। আজ এক জনকে, কাল অন্য জনকে, পরশু আরেকজনকে দিয়ে চেষ্টা চালিয়েই যাইতেছিল। কিন্তু কাহারো পক্ষেই এই জাহাজটিকে মেরামত করা সম্ভব হইতেছিল না। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা আপ্রাণ চেষ্টা করিয়াও যখন কোন কুল কিনারা করিতে পারিতেছিল না তখন এক বৃদ্ধ লোকের ডাক পরিল। কারণ বৃদ্ধার যৌবনকালে এমন একটি সমস্যার সমাধান করিয়াছিল বলিয়া জনশ্রুত আছে।
বয়োবৃদ্ধ ভদ্রলোক বিশাল এক যন্ত্রপাতির বাক্স লইয়া হাজির হইয়া দ্রুতই কাজে নামিয়া পরিল। সে ইঞ্জিনের শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত খুবই সতর্কতার সহিত পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরখ করিয়া দেখিল। জাহাজের মালিক বৃদ্ধার সহিত সর্বক্ষণ লাগিয়া থাকিল এবং বোঝার চেষ্টা করিল বৃদ্ধা কিভাবে জাহাজ মেরামত করিবে।
একটা ছোট্ট অনুবাদ
অনেক দিন ব্লগে আসা হয়নি। কিছু লেখার ও পাচ্ছিলাম না। মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে যাই প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছে জানতে। একটা চেইন মেইল পড়লাম। অনুবাদ করে আপনাদের উদ্দেশ্যে পোস্ট আকারে দিলাম। ভালো মন্দ সবই আপনাদের বিবেচনা।
চন্দ্রালোকের ছায়া-৩
ক
নদীর উপরে চওড়া সাদা ব্রীজটা আমাদের শহরটাকে যেন মেপে মেপে দুভাগে ভাগ করেছে। নদীর কাছে পৌঁছতে আমার মিনিট বিশেক লাগে। আমি জায়গাটা প্রচন্ড ভালোবাসতাম। কারণ হিতোশি থাকতো নদীর ঐ পারে, আর আমাদের এখানেই দেখা হত।হিতোশি মারা যাবার পরও তাই, জায়গাটাকে আমি এখনও অনেক ভালোবাসি।