ইউজার লগইন
আলোচনা
তাই বুঝতে হবে তোকে শুধু সত্যি-মিথ্যে ঝোঁকে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করলো তখন প্রায় সব খেলাতেই অবধারিত ভাবে হারতো। আমি প্রায় কখনোই খেলা দেখতাম না, হারবে জানিই আর অনেক সময় খেলা শুরু না হতেই শেষ, সব আউট। দৈবাৎ কখনো জিতে যাচ্ছে ব্যাপার থাকলেই খেলা দেখতে বসতাম। ভাই, কাজিন, চাচা-মামা অন্যদের সাথে আমি-আমরাও গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতাম, ছক্কা, চার ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদেরও ফুলতো, লাফালাফি করতাম, বাংলাদেশ তো আমাদেরও, এটাই ভাবতাম। কিন্তু কখনো বিজয় মিছিল, রঙ খেলায় আমাদের-আমার অংশ গ্রহণ ছিলো না, আমাদের পরিধি ছিলো, খেলা শেষ হলে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে সেটা বাসার বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে দেখা, অন্যদিন বাসার বাইরে পা দেয়ার কোন পারমিশান থাকলেও সেসময় বিশেষ করে সব বন্ধ। পরদিন পেপারে দেখা যেতো বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাস গুলোতে মিছিল হয়েছে, টিএসসিতে রঙ খেলা হয়েছে এবং এই খবরের পাশে আলাদা বক্সে প্রায়শঃই দু’
বই আলোচনাঃ জাদুকরী ভ্রম
উপন্যাসঃ জাদুকরী ভ্রম
লেখকঃ হামিম কামাল
প্রকাশকঃ চন্দ্রবিন্দু
আমি ব্যক্তিগতভাবে হামিম কামালের লেখার ভক্ত। হামিম কামাল যখন লিখেন তখন সেটাকে কোনোভাবেই সাধারণ লেখার কাতারে আমি ফেলতে পারি না। তার লেখায় সবচেয়ে সুন্দর যে বিষয়টি সেটা হলো, একটা বাক্যজুড়ে থাকে একটা ক্যানভাস। সেই ক্যানভাস শেষ হলে আবার একটা ক্যানভাস। এরকম করে ক্যানভাস জুড়ে বিচরণের সময়টা মাথায় থেকে যায়।
এই জাদুমন্ত্র হামিম কামাল কীভাবে শিখেছেন আমার জানা নেই। তবে এই জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলাম ২০১৮ সালে প্রকাশিত "কারখানার বাঁশি" উপন্যাস পড়ে। এবং দুই বছর পরে বর্তমান বইমেলায় প্রকাশিত "জাদুকরী ভ্রম" নামের নতুন উপন্যাসটিতে হামিম কামাল আবারও সেই লেখার জাদু দেখালেন। যেন নিজের লেখার স্বার্থক একটা নাম, স্বার্থক একটা উপন্যাস "জাদুকরী ভ্রম!"
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চা
এককেন্দ্রীক স্বৈরতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্মিত একটি সংসদে কণ্ঠভোটে আইন নির্মাণ করে একাডেমিক ফ্রিডম হরণের সুযোগ তৈরী করে রাখা-
হাইকোর্টের রায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, পরবর্তীতে এই একাডেমিক ফ্রিডম ক্ষুন্ন করা আইনকে হাইকোর্টের কতৃত্ব হ্রাসের ঢালা বানিয়ে ফেলা-
এই শাঁখের কারাতে বেঁচে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গবেষণা।
নিরপেক্ষ গবেষকদের সংখ্যাস্বল্পতায় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস চর্চা টিকে আছে বক্তিগত স্মৃতিচর্চার বয়ানে। ব্যক্তিগত স্মৃতিচর্চা অনেক সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত কৌশলী মিথ্যার চর্চা, অনেক সময় ব্যক্তিগত অক্ষমতা আড়ালের চেষ্টা হিসেবে ক্রমাগত মিথ্যা উৎপাদন করে যাওয়া।
কিছু কথা কিছু অনুভূতি
অনেকদিন পর এবি তে ফিরে আসলাম। এসে দেখি পাঁচ বছর হয়ে গেছে। কেমন করে পাঁচটি বছর জীবন থেকে হারিয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। অথচ এই 5 বছরে কত কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে, পাঁচ বছর আগে আমার এখানে ফোরজি ছিল না এমনকি থ্রিজি ছিল না টু'জি তে এবি চালাইতাম খুব কষ্ট করে। বেঁচে আছি তাই আবার ফিরে আসলাম জানিনা কত বন্ধু এই 5 বছরে মারা গিয়েছে। আমিও হয়তো একদিন তাদের মতো চলে যাব পৃথিবী ছেড়ে 5 বছর না 10 বছর না 100 বছরেও আর ফিরে আসবো না এ বি তে। সত্যি খুব অবাক লাগে। আজ বড় একা লাগে, আছে সব কিছু তবুও একা লাগে সেই কফি হাউজের আড্ডাটা আজ আর নেই তাই একা মনে হয়। জানিনা আমার মত আর কারো এমন হয় কিনা। জানাবেন বন্ধুরা।
ইভান, উমা আর সৃজিতের জন্য ভালোবাসা..
সেই গ্রীষ্মের সকাল গুলো তেই
পর্দা ঠেলে সরিয়ে
হাওয়া দিলো ভাসিয়ে
হাওয়া দিলো ভাসিয়েতখন আমার এ বিছানা ঘুম
ছাড়েনি চোখের কোন
আর হাওয়াতে লাগালো দোল
হাওয়াতে লাগালো দোলতখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
তখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
যেন তুলো
সে যে আকাশ পথে দিতে হবে পাড়ি
তুমি আঁচল পেতে রাখো না
আমি আসছি চলে
তুমি চোখ বুজো না, বুজো না
আমি এলাম বলে
এখনো সময় অনেক বাকি.আমার মনের এ গোপন পথে
আজো সে বাউন্ডুলে
চোখ রেখে কাটা ঘুড়িতে
হঠাৎ যায় হারিয়ে
আমার মনের গভীরতা কে
অনুভূতির আঙ্গুলে
স্পর্শ করে দেখনি
স্পর্শ করে দেখনিতখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
তখন আবার এ মন জাগে
কোন অচেনা সংরাগে
যেন তুলো
সে যে আকাশ পথে দিতে হবে পাড়ি
তুমি আচল পেতে রাখো না
আমি আসছি চলে
তুমি চোখ বুজো না, বুজো না
আমি এলাম বলে
এখনো সময় অনেক বাকি.
খাল ড্রোগো হাইপোথিসিস
১.
গবেষণার সাথে কি মানুষের সাইকোলজিক্যাল যোগাযোগ থাকতে পারে? যেমন, একটা মানুষ হয়তো জানেই না যে সে মূলত গবেষক হয়ে জন্মেছে, কিন্তু কাজেকর্মে নানাসময় গবেষকদের মতো আচরণের প্রমাণ রেখে গেছে। গবেষণা বিষয়টা আসলে কি? কোথায় গবেষণার ধারণা প্রথমবার জন্ম নেয়? এইসব প্রশ্ন মাথায় আজকাল ঘুরপাক খায়। আর প্রথম বরফপাতের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে জীবনের না পাওয়াগুলো ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে থাকা সিচুয়েশনটার কথা মনে পড়ে।
আসলে বরফপাতের মধ্যেই সমস্যা আছে। বরফের মধ্যে হাঁটতে থাকলে মনের কোন সেন্সরটা যে কোন কারণে অন আর অফ হয়, সেটা বোঝা সহজসাধ্য নয়। যে কারণে মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাটাও জটিল হয়ে দাঁড়ায়। পিংক ফ্লয়েড শোনার সময়ের মতো উল্টাপাল্টা জিনিস মনে পড়ে। অন্ধকার ঘরে। আর একটা হয়তো মারিয়ুয়ানার সাথে।
২.
তারেক মাসুদের গানে শ্রেণি, রাজনীতি ও জেন্ডার চেতনা: একটি সূচনামূলক আলাপ
এক.
আদুরে বাবুর রিডিং অ্যাপস, শিশুদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষাউপকরণ ও তার সম্ভাব্য অভিঘাত বিষয়ে একটি সতর্ক প্রতিক্রিয়া
প্রবৃদ্ধির দেশে উলম্বরৈখিক যৌনসন্ত্রাস
ছবি শুধু ছবি নয়: এক ছবি হাজার কথার শামিল। কবে পড়েছিলাম, কোথায় পড়েছিলাম, আজ আর মনে নেই। শুধু মনে আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখারও অনেক আগে, কথাগুলি কোথায় যেন পড়েছিলাম। শুধু পড়িনি, পড়াটা সেদিনের কিশোর মনে খুব দাগও কেটেছিল। আর দাগ কেটেছিল বলেই কোনোকোনো ছবির আবেদনে অভিভূত হলে অথবা ছবির অর্থের তাৎপর্য দেখে আজও মনে পড়ে যায়, মনের অজান্তেই উচ্চারণ করি- এক ছবি হাজার কথার শামিল। সব ছবি হয়তো সে রকম নয়; কিন্তু কোনোকোনো ছবি সত্যি- হাজার কথার শামিল হয়ে ওঠে।
র্যানসমওয়্যার ও সচেতনতা শর্টকাটে
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার হল দুনিয়ার সবচেয়ে বোকা জিনিষ। আপনি যেইভাবে বলবেন ঠিক সেইভাবে কাজ করবে।
হাল আমলের নতুন সাড়া জাগানো কম্পিউটার থ্রেট হল র্যানসমওয়্যার। ভাইরাস, ওয়ার্ম, এ্যাডওয়্যার, ম্যালওয়্যার, রূটকিট ফেলে এখন আমরা র্যানসমওয়্যারের যুগে। আগে মানুষ বিনোদনের জন্য ভাইরাস লিখে ছেড়ে দিত এরপর মজা দেখত। কিছু হ্যাকার টাকা পয়সার ছোট বড় চুরি চামারী করে। আর কিছু হ্যাকার ডিফেন্স ইনফরমেশন সংগ্রহ করে। এটা হয় বিভিন্ন দেশের সরকারী যোগসাজসে। মানুষ বাড়ার সাথে সাথে এখন মানুষের চাহিদা বেড়ে গেছে অনেক গুন সেই সাথে বেড়েছে টেকনোলজির পরিধি। ব্যাঙ্ক একাউন্ট হ্যাক করা এখন বেশ কষ্ট সাধ্য আর ধরা পড়ার সুযোগ অনেক বেশী। তাই আবিষ্কার হয়েছে র্যানসমওয়্যারের।
এখন প্রশ্ন হল এটা কি জিনিষ আর কাজ করে কিভাবে?
উদ্ভট বাংলাদেশ
পত্রিকা পড়া বাদ দিয়েছি বহুদিন, যদিও বা কখনো পড়ি তাহলে তার পরিধি খেলার পাতাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। পত্রিকা খুললেই আমরা যে একখন্ড নরকে বাস করছি তার চিত্রগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। হত্যা, র্ধষণ, মিথ্যা, অনাচার-অত্যাচার, নিপীড়ন, বিবেকহীনতা, ভন্ডামীর যেন এক মুক্ত রাজ্য এই দেশ। সারা পত্রিকা খুঁজে ভালো সংবাদ পাওয়া যায় হতে গোনা। দিনকে দিন আমরা একটা লক্ষ্যহীন, ভন্ড আর মানসিক ভারসাম্যহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ জুড়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহগুলোই এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোন কাজই যে ঠিকঠাক হচ্ছে কিংবা হবে এবং তার উপরে কেউ ভরসা করে কিংবা করবে এমন একজনও হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় কর্তাব্যক্তিদের কর্ম পরিকল্পনার অসংগতি, অসারতা, সীমাহীন র্দুনীতি, অসাদুপনার পরিমাণ সহ্য সীমাও পার হয়ে গেছে বহু আগে। এখন সবার সামনেই সবকিছু ঘটছে, সবাই সবকিছু দেখছে কিন্তু সবাই কেবল নির্বাক। কেউ মু
একটি মেডিক্যাল ডায়াগনোসিস এবং ছোটখাটো মানুষের ভাগ্যলিপি(!)
ঘটনার শুরু কি আসলে হিস্টেকটোমি বা জরায়ু অপসারণ দিয়ে? তাই বা বলি কি করে! সেই ৯১ সালের পর থেকে তো বাড়ন্ত রক্তচাপ আর হার্ট এনলার্জ ছাড়া আর সব ঠিকই ছিল। মানব শরীরের সব ই তো হরমোনের খেলা, সেই হরমোনের খেলায় ফাউলটা হয়ে গেছে জরায়ু অপসারণ দিয়েই হয়তো। ছোট সাধারণ মাথায় কত কি ভাবি রাত বিরাতে! আহা যদি পেতাম কোন উপায় বা টাইম মেশিন, এ আয়ুর কিছুটা দিয়েও যদি তাকে আমি ধরে রাখতে পারতাম!
ডায়াবেটিস নেই, পঁয়ষট্টি বছরের প্রায় পাঁচ ফুট ছোটখাটো মানুষটা টুকটুক করে রিটায়ারমেন্টের পর থেকে কাজ করে যায় বাসায়। মামুলি কিছু অসুখ বিসুখ ছাড়া তেমন কোন শারীরিক অভিযোগ নেই।
কোরবানী ইদ ও আমাদের সচেতনতা
‘কোরবানী’ কিংবা ‘বলি প্রথা’ পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কৃতি হিসেবে এখনো টিকে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন উৎসবে এখনো বলি প্রথার প্রচলন রয়েছে। তবে অনেক রাষ্ট্র কিংবা সমাজ ধর্মের নামে এই প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলছে, অনেক জায়গায় এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়েছে। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায়;- নেপালে প্রতি পাঁচ বছর পর পর একটি পুরাতন মন্দিরে কয়েক হাজার পশুকে বলি দেওয়া হতো। এই বছর সেই নিয়মটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া ভারতের অনেক মন্দিরে কালী পূজায় অতীত ঐতিহ্য হিসেবে বলি প্রথার প্রচলন থাকলেও বিভিন্ন মন্দিরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বলি প্রথা সম্পূর্ণ যে বিলুপ করতে পেরেছে তা কিন্তু নয়। ভারতের অনেক প্রদেশে দূর্গা পূজায় মহিষ বলি দেওয়ার নিয়ম এখনো আছে। সনাতনীরা গীতাকে ঈশ্বরের বাণী হিসেবে ধরে নেয়। সেই গীতাতে ভগবান বলছেন- "পত্র পুষ্প ফল মূল ভক্তিসহকারে নিবেদন করলে তিনি তা গ্রহণ করেন।' সেই সূত্র ধরে অনেকেই বলে থাকেন
পুষ্টি কি জিনিস
পুষ্টি হল পরিবেশ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু আহরন করে খাদ্যবস্তুকে পরিপাক ও শোষণ করা এবং আত্তীকরন দ্বারা দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ , রোগ প্রতিরোধ , বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ করা ৷ অর্থ্যাৎ দেহ সুস্থ ও সবল রাখার প্রক্রিয়াকে পুষ্টি বলে৷ পুষ্টির ইংরেজি শব্দ (Nutrition)। অপরদিকে খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির যোগান দেয় , তাদের একসঙ্গে পরিপেষক বা নিউট্রিয়েন্টস (Nutrients) বলে ৷ যেমন :— গ্লুকোজ , খনিজ লবণ , ভিটামিন ইত্যাদি ৷
সূত্র : উইকিপিডিয়া
আমাদের দেশ, আমাদের গল্প, আমাদের স্বপ্ন
নেদারল্যান্ডসে প্রাইমারী স্কুলের শেষের দুই ক্লাশে বাচ্চাদেরকে স্কুলে প্রেজেনটেশান (spreek beurt) করতে হয়। ল্যাপটপ, স্লাইড, প্রজেক্টর সব দেয়া হয়। বলা হয় তাদের পছন্দমত একটি বিষয়কে বেছে নিতে আর তার ওপর তথ্যমূলক প্রেজেনটেশান বানাতে। বাচ্চারা প্রায় পাঁচ-ছয় মাস সময় পায় কারণ স্কুল শুরু হলেই বছরের শুরুতে তাদেরকে সারা বছরের কারিকুলাম দিয়ে দেয়া হয় এবং সাধারণত তার কোন রদবদল হয় না।