ইউজার লগইন
আলোচনা
গ্রন্থালোচনাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি ঃ নীলিমা ইব্রাহিম
যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিকার হয় নারী ও শিশু। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। বহুদিন ধরে পড়তে চাওয়া নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা “আমি বীরাঙ্গনা বলছি” বইটি পড়ে শেষ করলাম। খুব সহজ ভাষায় সাতটি মেয়ের বীরত্বের কাহিনী এতে লেখা আছে। একশো ষাট পৃষ্ঠার এই বইটি পড়তে খুব বেশী সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু আমার অনেক সময় লেগেছে। আমি পাঁচ দিনে সাত জনের গল্প পড়লাম কারণ আমি হজম করতে পারতাম না। অনেকক্ষণ ধরে ভাবতে হয়, থমকে থাকতে হয়। কীসের মধ্যে দিয়ে গেছেন তাঁরা। কিছু লিখবো না লিখবো না ভেবেও শেষ পর্যন্ত লিখছি। তাদের নাম-পরিচয়, পুর্নবাসন, তাদের সংগ্রাম নিয়ে, তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক পূর্নাঙ্গ কোন বই আছে কীনা, তাও জানা নেই। আমি বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা দেখেছি কিন্তু শুধু তাদের ওপর করা অত্যাচার এবং যুদ্ধ পরবর্তী তাদের মানসিক কষ্টের ওপর কারো কোন কাজ দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। তাদের পুর্নবাসনের কার্যক
বাংলাদেশ- একটি প্রত্যাশার নাম
বাংলাদেশ নামটির সাথে অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। কিন্তু আজ নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলার বাঘেরা । বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। অবশ্য ধন্যবাদ দিতে চাই একটু বৃষ্টি এবং ব্রিটিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের চমৎকার টিম স্পিরিটকে। এবার আমাদের সামনে রয়েছে আমাদের পরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং চিরচেনা ভারত। সব বাংলাদেশীদের আজ একটাই চাওয়া ভারতকে হারিয়ে খেলবো সেমিফাইনাল। এই চাওয়ার অবশ্য কারণ আছে, ক্রিকেটের বড় মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে সবসময় দুর্দান্ত খেলে টিম বাংলাদেশ। এই ভারতের সাথেই জ্বলে উঠেন বাংলার প্রতিটি খেলোয়াড়। আর এবার বাংলাদেশ কোন আনাড়ি দল নয়। ইংলিশদের সাথে ব্যাক টু ব্যাক জয় এবং স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সাথে দুর্দান্ত লড়াই, এই সবকিছুই আজ আমাদের প্রত্যাশার পারদটাকে অনেকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে। সুতরাং ভারতকে হারিয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই । এর প্রমাণ দিয
ধর্ম এবং সামাজিক সংহতি
ধর্ম মানে বিশ্বাস। বর্তমানে নাস্তিক শব্দটি বহুল প্রচলিত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবীতে ধর্ম ব্যাতিত কোন মানবসমাজ আজও লক্ষ্য করা যায়নি। তবে হ্যাঁ,পৃথিবী ব্যাপী একাধিক ধর্ম পরিলক্ষিত হয়েছে । কোনটি একেশ্বর বা কোনটি বহুঈশ্বরবাদী ।
ধর্ম এবং সামাজিক সংহতি: এক্ষেত্রে দুই ধরনের মতামত রয়েছে । কেউ কেউ বলেছেন ধর্ম সামাজিক সংহতির অনুকূল, আবার কেউ কেউ বলেছেন ধর্ম অনুকূলে নয় বরং প্রতিকূল।
কোমল অনুভূতিসম্পন্ন মানুষদের সমীপে দুটি কথা
বাংলাদেশের মানুষ কোমল অনুভূতিসম্পন্ন। ধর্ম নিয়ে একটি কথাও তারা সইতে পারে না। তাদের অনুভূতি বিপন্ন হয়ে পরে। যারা তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে তাদের যেকোন ধরনের শাস্তি যথার্থ। রাস্তায় কুপিয়ে কুপিয়ে তারা বিশ্বজিৎ হত্যা দেখতে পারে, মোবাইলে ভিডিও করতে পারে, চোর সন্দেহে বিপুল বিক্রমে পিটিয়ে পিটিয়ে যেকোন মানুষকে রাস্তায় সাপ মারার মতো করে মেরে তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করতে পারে, তাতেও কোথাও কারো কোন অনুভূতি বিপন্ন হয় না। শুধু প্লীজ ধর্মে হাত দিও না, নট টু টাচ ......... একজন মানুষও কী দ্বিধাহীন কন্ঠে বলতে পারে না, “আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেকোন মানুষের এ ধরনের মৃত্যু কোন সভ্য দেশের ভূখন্ডে কাম্য নয়। আমরা এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাই।“ তারা কী তাহলে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, পরকালের শাস্তি নিয়ে কী নিজেরাই দ্বিধায় আছে?
গ্রন্থালোচনাঃ বোবাকাহিনী
ক্রীসমাসের ছুটিতে কিছুটা কাউচ পটেটো হয়ে বাইরের তুষারপাত দেখেছি আর হাতে ছিলো গরমা গরম সবুজ চায়ের সাথে পড়া না পড়া কয়েকটি বই আর কিছু দুর্দান্ত সিনেমা। ছোটবেলা থেকে পল্লীকবি জসীমউদ্দিনের কবিতা পড়েছি তবে সেগুলো বেশীরভাগই টেক্সট বইয়ে। সহজ সরল জীবন কথা, গ্রামীন রুপ এই তার লেখার প্রধান উপজীব্য বলে ধারনা ছিলো। নিজেদের শহুরে জীবনের সাথে অনেক সময় রিলেট করতে পারিনি বলে বেশীর ভাগ সময় আগের যুগে গ্রামে এমন হতো এই মনোভাব নিয়ে পড়ে গেছি।
আমার বাড়ি যাইও ভোমর, বসতে দেব পিঁড়ে,
জলপান যে করতে দেব শালি ধানের চিঁড়ে।
শালি ধানের চিঁড়ে দেব, বিন্নি ধানের খই,
বাড়ির গাছের কবরী কলা গামছা বাঁধা দই।
কিংবা
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
প্রজন্ম সংলাপ : পর্ব ১ | বিষয় – ‘ইতিহাস বিকৃতি’
প্রজন্ম সংলাপের এই পর্বে আলোকপাত করা হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় – বাংলাদেশের ইতিহাস – মূলত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃত উপস্থাপনা। যদিও সাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সহ প্রধান সেনাপতি এ কে খন্দকারের লিখিত সাম্প্রতিক বই ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ, হতাশা আর বিশ্ময় দেখা দিয়েছে, ইতিহাসের এই বিকৃতি, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত বা হেয় করবার এই প্রচেষ্টা নতুন কিছু নয়। এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে দুই প্রজন্মের দুই শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকারের সাথে।
প্রজন্ম সংলাপ: পর্ব ১: খন্ড-১
ফিলথি
জনাব এ কে খন্দকারের বইটির ব্যাপারে বলছি ! বইটিতে লেখা “জয় পাকিস্তান” বা “জিয়ে পাকিস্তান” নিয়ে পার্লামেন্টে সাংসদদের অনিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া, ক্ষিপ্ততা, অশোভন উক্তি, বিশ্রি গালাগাল মাননীয় সাংসদদের নীচ মানসিকতার কথাই শুধু জানান দেয় যা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় । ব্যাপারটাতো সামান্যই, এত সামান্য যে এটাকে ফিলথি বা ফালতু হিসেবে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেওয়াই হতো বুদ্ধিমানের কাজ । তাজকন্যা শারমিন আহমদের বইটির ব্যাপারে তাই করা হয়েছিল । ফলে বইটি নিয়ে তেমন হৈচৈ হয়নি । অথচ ওটাতেও আওয়ামীদের জন্য ব্যাপক আপত্তিকর মাল মসলা ছিল !
ব্যাঙ লাফ /পানিঝুপ্পি (Skimming Stones)
ব্যাঙ লাফ /পানিঝুপ্পি (Skimming Stones)
আমাদের দেশে খুব পরিচিত একটি খেলা যা আমরা ছোট কালে গ্রামের পুকুরে, বিলে বা নদীতে অনেকেই খেলেছি বা খেলে থাকতে পারি। বন্ধু বান্দব নিয়ে আড্ডা দিতে দিতে নিজেদের মাঝে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে আর নিজেদের দক্ষতা প্রমানের প্রচেষ্টা থাকে এই খেলায়। খেলাটাকে স্থান ভেদে অনেকে একে চিনে থাকে বা বলে থাকে ব্যাঙ লাফ /পানিঝুপ্পি । আর ইংরেজিতে এর গাল ভরা নাম skimming stones। এটি একটি জলক্রীড়া বা পানি ছাড়া এই খেলা সম্ভব হয় না।
এই খেলায় খেলোয়াড় সংখ্যার কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। এই খেলা যেমন একা একা খেলা যায় নিজের মনের আনন্দের জন্য তেমনি ৫/৭ জন হলে সব্বাই মিলে করা যায় আনন্দ ও প্রতিযোগিতা।
জাতীয় শোকদিবসে রাষ্ট্রের স্থপতি স্মরণে
পিতৃমাতৃ হত্যার দায় কাঁধে থাকা সন্তানের বিকাশ ও উন্নয়ন যেমন অবিরত প্রশ্নসাপেক্ষ, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের স্থপতি হত্যার দায় কাঁধে থাকা জাতিরও বিকাশ প্রশ্নাতীত নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের এত বছর পরেও এটি দিবালোকের মতো সত্য হয়ে আছে। সত্যটা প্রতিদিনের হলেও ১৫ আগস্ট-এলে বড়বেশি স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দায় শুধু রাষ্ট্রের স্থপতিহত্যাজনিত নয়; ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারকার্য বন্ধ করে রাখারও। বছরের পর বছর। নেতা, রাষ্ট্রনায়ক, শাসক অথবা ব্যক্তিমানুষ হিসেবে তিনি অতিপ্রাকৃত ছিলেন, সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে ছিলেন- এমন কথা কখনো বলি না, বিশ্বাসও করি না। তারপরও তাঁর তুলনা তিনি নিজেই; অন্যকারও সাথে নয়। ৭৫’ পরবর্তী কোন নেতার সাথে তুলনার প্রয়াস তো রীতিমতো অসুস্থ্যতা; অবশ্যই একটি রাজনৈতিক ভাঁড়ামি। ‘দুই বাঙালীর লাহোর যাত্রা’-নামে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটা বই আছে। এতে তিনি পঁচাত্তুর পরবর্তী নয়;
সম্ভাব্য মৃত্যুরকোল থেকে ফিরে এসে....
ঠিক মৃত্যুটা হয়তো নয়; তবে মৃত্যুর করূণ সম্ভাবনাই প্রত্যক্ষ করেছি। গতকাল। খুব কাছ থেকে। পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশীদের নিয়ে। আগুনের ধোয়া কুন্ডলী পাকিয়ে যখন অদম্যতাড়নায় সিড়িঁ বেয়ে বেয়ে উপরে উঠে আসছিল, আর আমরা কিছুতেই এগুতে পারছিলাম না, আমাদের সাথে থাকা একমাত্র সম্ভাবনা-প্রাণটাকে নিয়ে, তখন ধোঁয়ার একএকটি কুন্ডলীকে অসংখ্য মৃতুদ্যুতই মনে হচ্ছিল আমাদের কাছে। আমরা যতই দূরে সরে যেতে চাইছি, ধোয়ার কুন্ডলীগুলো ততই আমাদের তাড়া করছিল। শেষ পর্যন্ত ছাদে গিয়েই আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম, সম্ভাব্য মৃত্যুর অথবা উদ্ধার পাবার জন্য। যেকোন সময়। বলা যায় কোন এক সময় উদ্ধার পাবো-সে স্বপ্নেই বিভোর ছিলাম আমরা। কারণ শেষপর্যন্ত আমরা আস্থা হারায়নি আমাদের সামাজিক পুঁজির ওপর। যেকোন দুর্যোগে অতিসাধারণ সামাজিক মানুষরাই হয়ে ওঠে আমাদের সবচেয়ে আপনজন। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক পুঁজি। সচরাচর এ-সব মানুষগুলোর সাথে হয়তো আমাদের কথা হয়
‘বৈকুণ্ঠের উইল’-‘র শতবছর পূর্তির আগে একটি পাঠপ্রতিক্রিয়া
আর মাত্র দু’বছর পরেই ‘বৈকুন্ঠের উইল’ শতবর্ষী হবে। বলা বাহুল্য, এটা শরৎচন্দ্রের লেখা উপন্যাস। প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৬ সালে। একটি উপন্যাস, একটি লেখা, শতবছর ধরে টিকে আছে, একটি জাতির সাহিত্যের, ভাষার ইতিহাসে। বইটি এখনও প্রকাশকরা প্রকাশ করে, ক্রেতারা কিনে, পাঠকরা পড়ে, এবং ধারণা করা যায়, আরও অনেক অনেক দিন ধরে, নতুন নতুন পাঠকরা পড়তে থাকবে। উপন্যাসটি। উপন্যাসের চরিত্রগুলি নিয়ে ভাববে, যেমন এ মুহূর্তে আমি ভাবছি। উপন্যাসের চরিত্ররা বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। একজন লেখক এবং তাঁর উপন্যাসের স্বার্থকতা বিচার্যের আর কি অন্যকোন সূচকের দরকার পড়ে?
পাঠপ্রতিক্রিয়া: শাহাদুজ্জামান-‘র ‘কয়েকটি বিহ্বল গল্প’
বিহ্বলতা ব্যক্তির একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা। এবং অবশ্যই একটি সামাজিক অনুষঙ্গ। ব্যক্তি মাত্রই তার জীবনযাপনে কখনো না কখনো বিহ্বল হয়ে পড়ে। বিহ্বল তাকে হতে হয়। তবে বিহ্বলতা একটি মনোজাগতিক অবস্থা হলেও এর কার্যকরণ এবং অভিঘাত একরৈখিক নয়। রীতিমত বহুমাত্রিক। অবশ্যম্ভাবীভাবে জটিলও। বিহ্বলতার কার্যকারণ ও অভিঘাতে থাকে ভিন্নতা। এ ভিন্নতাগুলো নির্ধারিত হয় শ্রেণী, ক্ষমতা, পেশা, শিক্ষার রকমফের সহ নানা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক উপাদান দ্বারা। ঘরে-বাইরের লিঙ্গীয় ক্ষমতাকাঠামোও ব্যক্তির বিহ্বল হয়ে পড়া না পড়ার এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। পাঠক এ-রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হবেন ‘কয়েকটি বিহ্বল গল্প’ পড়ে। মোট চৌদ্দটি গল্
প্যাঁচকলে গণতন্ত্র
বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রথম জাতীয় পে-স্কেল দিয়েছিলেন । আমার শিক্ষক চৌধুরি সাহেব ওটার নাম দিয়েছিলেন জাতীয় প্যাঁচকল ! ওই প্যাঁচকলে পড়ে অনেকের অর্থনৈতিক ডিমোশন হয়েছিল । একজন কেরানী আর ড্রাইভারের বেতন ছিল সমান । উপ-সহকারী প্রকৌশলী আর তার ড্রাইভারের বেতনের ফারাক ছিল মাত্র একশ টাকা । তৎকালীন সরকারি চাকুরেরা এগুলো অনিচ্ছার সাথে হজম করতে বাধ্য ছিল । তো এর সাথে গণতন্ত্রের সম্পর্কটা কি ! চৌধুরি সাহেব বলতেন সবকিছুই গন্তন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত, যারা পে-স্কেল করেছেন তারা গণতান্ত্রিক হলে এমন গুরুতর ব্যবধান হওয়ার কথা ছিলনা ।
পঁচন ধরেছিল মাথায়
মার্দাসডে বনাম ওল্ডহোম
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার প্রায় সারা বিশ্বব্যাপী মাদার্স ডে উদযাপিত হয়। স্কুলে-পড়া বাচ্চাদের উৎসাহ আর উচ্ছ্বাস আর নানা গিফটশপের দোকানগুলোর সাজসজ্জা আর প্রতিযোগিতা হলো এই উৎসবের লক্ষ্যণীয় ব্যাপার। যাঁদের বাড়িতে স্কুলগোয়িং বাচ্চা আছে তাঁরা অনেকটা ঈদ-ক্রিসমাস-পূজার স্বাদ পেয়ে থাকেন এরমধ্যে। রাত জেগে কার্ড-বানানো, ছবি-আঁকা, ফুল-লুকানো, উপহার-লুকানো, সর্তক চলাফেরা, ফিসফাস। বলাই বাহুল্য, এ-উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পত্রিকায় নিবন্ধ আসে, ব্লগ লেখা হয় আর ফেসবুক টুইটারতো আছে। আমাদের লোকদের ফেসবুকের অনেক শুভেচ্ছা কিংবা ব্লগের মন্তব্যে প্রতি বছর একটি বিষয় প্রায় ঘুরেফিরে আসে যে, পশ্চিমারা বাবা-মাকে ওল্ডহোমে রেখে দিয়ে মাদার্স ডের ভড়ং করে বছরে একদিন, সারা বৎসর বাবা মায়ের খোঁজ নেয় না। তাহলেতো রোজই মাদার্সডে হতো আর এই পোশাকি ভালবাসার দরকার হতো না।
এ বি'র বন্ধুরা
মনে হয় কিছুই দেখিনা আমরা
কিছুই শুনিনা । চারপাশে যত কিছু ঘটুকনা কেন,
আমাদের চোখ-কান থাকে বন্ধ ! আমরা দেখিনা শুনিনা,
আমরা এ বি’র সব বন্ধুরা !
আমাদের নদীর সব পানি মানুষের খুনে লাল হয়ে যাক,
আমাদের পড়শী কেউ গুম হয়ে যাক,
কারো বোন, আত্মজা বা স্ত্রীর সম্ভ্রম লুটে যাক,
আমাদের কি আসে যায় ! আমাদের নিজেরতো কেউ না !
তাইতো আমাদের কিছুই লেখা হয়না এসব নিয়ে !
আমরা মজে থাকি নিজেদের নিয়ে ।
প্রেম, ভালবাসা, ইর্ষা,ঘৃণা, মান-অভিমান,
গান-সিনেমা জাগতিক সব কিছু থাকে আমাদের লেখায় !
থাকেনা শুধু মানুষ ! অবহেলিত মানুষরা !
গেলো বছর হটাৎ কিভাবে যেন জেগে উঠেছিলাম সবাই !
[আমার নিজের কিন্তু সংশয় ছিল, ঘরপোড়া গরু কিনা !]
সে জাগরণ ও একদিন লুট হয়ে গেল ।
যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়লাম সবাই আবার ।
একটা অনৈতিক নির্বাচণ হল, অবৈধ সরকার হলো
আমরা চুপ থাকলাম ।
ভারত আমাদের শুকিয়ে মারার তাবত ব্যবস্থা করল।