ইউজার লগইন
আলোচনা
অগ্রন্থিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
দুনিয়াজুড়ে প্রেমিকদের দল দুইটি। একদল তাজমহল দেখেছে, অন্যদল তা দেখেনি। প্রেমিকদের মধ্যে প্রচলিত এমন কথা আপনারাও নিশ্চয়ই শুনেছেন, প্রিয় পাঠক। ভ্রমণপিপাসুরাও এমন কথা বলেন। আবার, যারা এলিয়েন, ভিনগ্রহ নিয়ে পড়াশুনা করেন,তাদেরও দল দুটি। একদল দানিক্যান পড়েছেন, অন্যদল , যারা পড়েনি। আমার হিসাবে পাঠক মদারুর মতো। দুটি কারণে পড়ে। বৃষ্টি উদযাপন করতে, আবার বৃষ্টি আসেনি এই দু:খে। কিন্তু এ কথা বলতেই হয়, অসাম্প্রদায়িক পাঠকদের দল দুটি। একদল লালসালু পড়েছে অপর দল পড়েনি। পরীক্ষা পাসের জন্য হলেও আমাদের সমবয়সীদের লালসালু পড়তে হয়েছে। ফলে,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র অগ্রন্থিত রচনা একটি লোভনীয় বই। কিন্তু প্রথমার বইটি যতটা ওয়ালীউল্লাহর অগ্রন্থিত রচনা হয়েছে, তারচেয়ে বেশী অগ্রন্থিত সাজ্জাদ শরিফ,অগ্রন্থিত শহীদুল জহির এবং অগ্রন্থিত শিবব্রত বর্মন হয়েছে। কেন? বলছি। তার আগে অনুবাদ বিষয়ে বলি।
আল্লাহ কেন সকল মানুষকে মুসলিম হতে বাধ্য করেন নি?
স্রষ্টা মানুষের মধ্যে জন্মগত ভাবে ভালো ও মন্দের পার্থক্য বোধ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। কুরআনে আল্লাহ বলেন- ‘আর আমি ভালো ও মন্দ উভয় পথ তার জন্য সুস্পষ্ট করে রেখে দিয়েছি’(সুরা আল বালাদ)। ‘আমি তাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছি, চাইলে তারা কৃতজ্ঞ হতে পারে আবার চাইলে হতে পারে অস্বীকারকারী’। (সুরা আদ্দাহর)।
মানুষের মধ্যে একটি নফসে লাওয়ামাহ(বিবেক)আছে। সে অসৎ কাজ করলে তাকে তিরস্কার করে। (সুরা আল কিয়ামাহ আয়াত-২)। আর প্রত্যেক ব্যক্তি সে যত ওজর পেশ করুক না কেন সে কি তা সে খুব ভালো করেই জানে।(সুরা আল কিয়ামাহ আয়াত১৪-১৫)।
বাংলা নববর্ষ বরণ
পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে নানা জনের নানা কথা পড়েছি। সবগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পড়ে, মনে হলো আমিও কিছু বলি। সে সব খুবই সাধারণ কিছু কথা এখানে বলতে চাই।
পোশাক প্রসঙ্গে শুরু করি। আমাদের গ্রামের মানুষদের প্রধান পোশাক লুঙ্গি। মেয়েদের শাড়ি। অবশ্য প্যান্ট, টি-শার্ট গ্রামের পথ চিনেনি, ভাবলে ভুল হবে। সালোয়ার কামিজ ও স্কার্ট সম্পর্কে গ্রামের মানুষ অবগত নয়, তা ভাবা ঠিক নয়। শিক্ষা, টেলিভিশনসহ নানা যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে, এখন আর প্রাচিন কালের গ্রামের মতো গ্রাম খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গ্রাম রূপান্তরিত হয়েছে মফস্বলে, মফস্বল শহরে। আচরণে, চিন্তায়।গ্রামের মানুষ সুযোগ সুবিধা পাক, তা আমি চাই। ভালো কথা,শহরের মানুষের অনেকরই ঘরের আরামদায়ক পোশাকের নাম, লুঙ্গি।
হাজী ও আলহাজ্ব
হাজী ও আলহাজ্ব
আমাদের বাংলাদেশে হজ্ব এখন যেন এক বড় ফ্যাশন। আর হজ্ব করে এসে পৃত্তি প্রদত্ত নামের আগে হাজী ও আলহাজ্ব শব্দ দুটি ব্যবহারে মানুষের এমনই উৎসাহ যে এটিও যেন ফ্যাশন ও প্রচারের( আত্ম অহংকারে) মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের নামের আগে পিছে এই হাজী ও আলহাজ্ব শব্দ ব্যবহার এমন এক মাত্রা নিয়েছে এ যেন এক পদবী সর্বস্ব( খান, চৌধুরী, তালুকদার, সৈয়দ---- এমন ) হয়ে পড়েছে। অথচ এই হজ্ব হবে শুধু আল্লাহর জন্য। শুধু নামের আগে পিছে হাজী/আলহাজ্ব টাইটেল/উপাধি পাবার জন্য হজ্ব নয়, কিন্তু বাংলাদেশের বিত্তবান মানুষদের হজ্বের উদ্দেশ্য যেন এই উপাধি পাবার জন্য হজ্বে যাওয়া।
সর্বনাশ, জহির রায়হান ইসলাম-বিদ্বেষী!!
মাদ্রাসা শিক্ষার সেকাল এবং একাল
"হেফাজতের মূল আস্তানা হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তির সময় সব ছাত্রকে উর্দুতে লেখা একটি হলফনামায় সই করতে হয়। মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা কতটা দাসত্বশৃঙ্খলে আবদ্ধ তা বুঝতে এ হলফনামাই যথেষ্ট। এতে ছাত্ররা শপথ নেয়,কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিবে না,কোনো ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হবে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত সংবাদপত্র,সাময়িকী ও বই পড়বে না,অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পরীক্ষা দেবে না, টেলিভিশন দেখবে না,খেলাধূলাসহ যে কোনো ধরনের পাঠ্যবহির্ভূত কাজে (এক্সট্রা কারিকুলার) অংশ নেবে না, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবে ইত্যাদি!” দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় একই ব্যবস্থা চালু আছে বলে জানিয়েছেন হ্যাম্পটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মুমতাজ আহমদ।"
(মাদ্রাসায় দাসত্বের অবসান হোক, মুজতবা হাকিম প্লেটো, মে ১১, ২০১৩)
অনৈসলামিক স্ট্যাটাস - ৩
বাংলায় কি পড়ানো হয় মাদ্রাসাগুলোতে? শুধু অ আ ক খ? বাংলা সাহিত্য পড়ানো হয়, যেমন স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে বাংলা সাহিত্য রয়েছে। ওটার কথা উঠলে তো নাউজুবিল্লাহ। রবীন্দ্রনাথ ওনাদের কছে বিধর্মী। এমনকি জাতীয় কবি নজরুলও যায়েজ নয়। আর সাহিত্যচর্চা মানেই বেশরিয়তি কাজ। সুতরাং যা বাংলা শিখতেছে, তা তাদের আরবী-উর্দুর প্রচারের কারণে।
যে শিক্ষায় নিজেকে চেনা যায় না, নিজের জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য-মুক্তিযুদ্ধকে জানা যায় না, সেটা কুশিক্ষা। মাদ্রাসাগুলোতে মানুষ তার নিজের জাতিকে চেনা তো দূরে থাক, নিজেকে চেনার সুযোগ নেই। কেননা ধর্মের নিম্নমানের এবং স্থান বিশেষে বিকৃত চর্চার মাধ্যমে এক ধরণের দাসত্বের বেড়াজালে নিজেদের এবং নিজেদের মানুষদের বন্দী করার রুচিহীন শিক্ষা চলে। এ বন্দীত্বটা মনোজগতের, চেতনার।
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া-৩
এগার.
বইমেলা লেখক-পাঠকের মেলা। বইয়ের পাতায় চোখ বুলাতে বুলাতেও লেখকের সাথে পাঠকের একটা সংযোগ স্থাপিত হয়। এ সংযোগটাও দুর্বল নয়; বরং খুবই শক্তিশালী। এতটা শক্তিশালী যে, কখনো কখনো একটি মাত্র লেখা বা বই-ই পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন করে দেয় লেখকের জন্য। এ ধরনের সংযোগ, চিরস্থায়ী আসন কোন কোন পাঠকের মনে নতুন আকাঙ্খাও তৈরি করে¬। সে আকাঙ্খা, ভাললাগা থেকে পাঠক তার প্রিয় লেখককে কাছ থেকে দেখতেও চায়, কথা বলতে চায়, এমনকি প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ সংগ্রহও কারো কারো জন্য প্রিয় হয়ে উঠে। বইয়ের লেখা ও রেখায় চোখের পাতা ফেলতে ফেলতে পাঠক-লেখকের যে অদৃশ্য সেতুবন্ধন তৈরি হয়, তাকে দৃশ্যমান করে তোলার একটি বড় মওকা হচ্ছে এ বইমেলা। কিন্তু আসলেই কি বইমেলা এখন লেখক-পাঠকের মধ্যে কথিত দৃশ্যমান কোন সম্পর্ক তৈরি করে বা করতে সক্ষম? পাঠক কি সত্যিসত্যি তার ভাললাগা-মন্দলাগা সম্পর্কিত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে? যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লেখকের জন্যও পরবর্তী লেখার নির্দেশনা না হোক, অন্তত কার্যকর রসদ হতে পারে, অনুপ্রেরণা হতে পারে? এ রকম কোন প্লাটফরম আয়োজক কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত দিতে সফল হয়েছে-এটা বোধহয় বলা যাবে না।
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া-২
নয়. বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীজীবন সমাপ্তির পর প্রতিদিনের বইমেলায় কারণে-আকারণে ঘুরঘুর করে ক্লান্ত হয়ে পড়ার ব্যক্তিগত রেওয়াজটা একেবারেই পাল্টেগেছে। সে অনেকদিন আগে। বইমেলায় এ অনিয়মিত উপস্থিতির অন্যতম কারণ কর্মকাবিননামার দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান কঠিন শাসন। তার সাথে অতিনগরায়নের ফল-ট্রাফিকজ্যামবন্দী এ নাগরিক শহর। এ নগরজীবনে বিকেল পাঁচটা নাগাদ চুক্তিভিত্তিক শ্রমঢেলে, গুলশান থেকে বাংলা একাডেমি চত্বর কিংবা এবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-এ পৌছানো, তাও আবার মেলার সরকারি বাতি বন্ধকরে দেয়ার শেষসীমা- রাত আটটা-সাড়ে আটটার আগেই, মোটাদাগে অসম্ভব। অতএব শুক্র-শনি- এ দু’দিনই ভরসা। কিন্তু মাঝেমাঝে সে সম্ভাবনাও বেহাত হয়ে যায় দুর্লঙ্ঘনীয় সংসারী-জীবনের দাপুটে কর্তব্যে। ব্যতিক্রম ছিল গতবছর। সংসারকাবিন আর কর্মকাবিন, কোনটাই আটকাতে পারে নি। বরং সংসার জীবনের নিত্যপ্রতিপক্ষ-কন্যা-স্ত্রী মিলে ঘুরঘুর করেছি। প্রায় প্রতিদিন। তবে বইমেলায় নয়; শাহবাগ-এ। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-সহপাঠি মিলে এক নতুন বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করেছি। আর সেকারণে গত বছর, মেলার খুব কাছে থেকেও মেলায় যাওয়া হয়নি বললেই চলে।
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া
এক.
পরিচয় যখন সাংবাদিক
১.
একজন সম্পাদকের কথা বলি। তার মূল ব্যবসা হচ্ছে পত্রিকা বের করার জন্য মালিক খোঁজা। তারপর এক সময়ে টাকা পয়সা নিয়ে ভেগে যাওয়া। তবে ডাকাতেরও বাপ থাকে। ধরা খেয়েছেন অবশ্য একবার। পত্রিকা হারিয়ে দখলে রেখেছেন একটা অনলাইন পোর্টাল, আগের পত্রিকার নামে। তার কাজ হচ্ছে অন্য মিডিয়া থেকে নিউজ চুরি করা। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে চুরি করার সময় আবার তারা নিজেদের ইচ্ছামত সংবাদটি টুইস্ট করা। হিট পাওয়ার জন্য নিজেদের মতো করে সংবাদটি তৈরি করা হয়।
নিজস্ব কোনো রিপোর্টার নেই, কয়েকজন আছে কেবল নিউজ চুরি করার দায়িত্বে। অথচ প্রতিটি রিপোর্টে একজন করে রিপোর্টারের নাম দেয়া আছে। সব নাম ভুয়া।
এই হচ্ছে ওই সম্পাদকের নৈতিকতা, মান ও সাংবাদিকতা। তার আবার সাংবাদিকতা শেখানোর একটা দোকানও আছে। নিজে যা জানেন না, মানেন না, তাই শেখান অন্যদের।
এবং আমরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছি
অকুপাই ওয়ালস্ট্রীট আন্দোলনটা খুব দ্রুতই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেলো, পূঁজিবাদী ব্যবস্থার আভ্যন্তরীণ দুর্বলতায় ভোক্তা-ব্যবসায়ী-রাষ্ট্র- আইন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের মাণ অক্ষুন্ন রাখার ন্যুনতম নিশ্চয়তা নেই, অর্থের পরিমাপে মানুষের মূল্য নির্ধারিত হলে, প্রয়োজনীয় সেবাগুলোর প্রাপ্যতা এবং মাণ অর্থে নির্ধারিত হলে শুধুমাত্র গুটিকয়েক মানুষ সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা কিনে ফেলতে পারে এবং গণমাধ্যম অশ্লীল ভাবে সেগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করে সবার ভেতরে তেমন জীবনযাপনের স্বপ্ন তৈরি করতে পারলেও সে পথে সবার সহজ গতায়ত নেই। অর্থনীতি এবং প্রোডাক্টিভিটির ইঁদুর দৌড়ে শুধুমাত্র কয়েকজন সফল হবে, বাকীরা সেই সাফল্যের আশায় পূঁজিবাদী অর্থনীতের যাতাকলে পিষ্ট হবে। তবে অকুপাই ওয়ালস্ট্রীট আন্দোলনটা এই সহজ প্রতিযোগিতামূলক বাস্তবতার বিরুদ্ধে ছিলো না বরং বিদ্যমান ব্যবস্থায় ন্যায্যতার অভাবে আন্দোলনটা শুরু হয়েছিলো।
কতদিন টিকে থাকবে দৈনিক পত্রিকা
কথাটা এরকম-প্রিন্ট মিডিয়া সূর্যের মতো, এটি সবসময়ই পূর্বে উঠে আর পশ্চিমে অস্ত যায়। বিশ্বাস করুণ কথাটা সত্য। পশ্চিমে প্রিন্ট মিডিয়া বা দৈনিক পত্রিকার বড়ই দুরাবস্থা। বিক্রি কমেছে, বিজ্ঞাপনও কমছে। মানুষ দৈনিক পত্রিকা কম পড়ছে। ফলে এখন বড় প্রশ্ন হচ্ছে দৈনিক পত্রিকা আর কতদিন টিকে থাকবে?
অনেক বছর পর লন্ডনে গিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার দুরাবস্থা খানিকটা নিজেই দেখলাম। সকালে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে যাওয়ার পথে বিনামূল্যে পাওয়া যায় মেট্রো, আর সন্ধ্যায় ইভিনিং স্টান্ডার্ড। কারণ এখন আর অনেকেই কিনে দৈনিক পত্রিকা পড়তে চান না। বিজ্ঞাপনই ভরসা। দৈকি পত্রিকার বড়ই দুর্দশা পশ্চিমে।
অথচ দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকদের রিপোর্টের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিক্সন সরকারের পতন ঘটেছিল। ওয়াশিংটন পোস্ট সেই রিপোর্ট করে প্রিন্ট মিডিয়াকে অন্য এক উ”চতায় নিয়ে গিয়েছিল। এর পরে এবং আগেও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার কারণে সারা বিশ্বে অনেক ওলট পালট হয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। প্রশ্ন উঠেছে, সব কিছুই কী বন্ধ হয়ে যাবে।
দেখিবার মতন যদিও কিছুই নাই, তাও দেখিতে হয় ঈদে টেলিভিশন!
আমার বয়সী লোকেরা আর টিভি দেখে না, আমি কেন দেখি? কারন ভালো লাগে তাই। যে কারনে লোকজন বাংলা সিনেমা দেখে হলে বসে, সেই কারনে আমি টিভি দেখি। ছোটবেলা থেকেই টিভির পোকা ছিলাম সেই পোকাটা বুড়ো হয়ে গেলেও এখনো মাথায় বিদ্যমান। তাই দেখতে হয় টিভি কারন ভালো পাই। যদিও গত ১ বছর ধরে বাসায় টিভিকার্ড আছে ডিসের লাইন নাই তাই দেখতে পারি না কিছুই। তবুও বাড়ীতে গেলে টিভি দেখতেই হয় চাই বা না চাই! কারন বাড়ীতে আমার তেমন কোন কাজ নাই যে অন্য কিছু করবো। তাও দেখা যায় ডিস থাকে না, কারেন্ট থাকে না কত ধরনের প্রতিকূল অবস্থা। আর এবার নানু বাড়ী ছিলাম আড়াই দিন তাতেও ঠিকঠাক টিভি দেখি নাই। যদিও নানু বাড়ীতে টিভি দেখার খুবই সুব্যাবস্থা। আমি ঘরে ঢূকলেই সবাই চলে যায়। রিমোটের নিয়ন্ত্রন আমার হাতেই থাকে। তাও ভালো লাগে না। নিজের ঘর, নিজের প্রাইভেসী, নিজের আরাম মতো মায়ের হাতের অসাধারণ রান্না খেতে খেতে টিভি দেখার মজাই আলাদা!
স্বাধীনতার খোঁজ
স্বাধীনতাতেই জীবনের স্পন্দন অনুভব করা যায়।স্বাধীনতাতেই উন্নতি।নির্মল শুদ্ধ বাতাসকে কোন জায়গায় আবদ্ধ করে রাখলে তা দূষিত হতে বাধ্য।স্বচ্ছ বয়ে চলা পানিকে আটকে ফেলুন পানি দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে যাবে।যারা যতো স্বাধীন তারা তত উন্নত।কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিত না।তাকে নিজের মতো বেড়ে উঠতে উৎসাহিত করুন।
যারা শৈশব বা বাল্যকালে ভালবাসা কম পায় তারা বড় হয়ে ভীতু ও পরাজিত মানসিকতার হয়।বাল্যকালে স্নেহ ভালবাসা পেলে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতে শেখে।যে সব পরিবারের পিতা মাতারা নিজেদের সন্তানকে নিজের পথ চিনে নিতে বলে ,নিজের খেয়ালখুশি মতো গড়ে ওঠতে প্রেরণা দেন,প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করেন সে সব ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে অনেক কিছু জয় করতে শেখে।এডিসনকে তার অভিভাবকরা জোর করে স্কুলে পাঠাতে চাইলেন কিন্তু এডিসন অন্য কাজে ব্যস্ত রইলেন।নিজের স্বাধীন ইচ্ছায় কাজ করতে থাকলেন।অভিভাবকের পীড়াপীড়িতে তিনি যদি স্কুলে যেতেন তাহলে হয়তোবা বড় একজন ডক্টরেট হতেন কিন্তু বড় বৈজ্ঞানিক হতে পারতেন না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: আন্তর্জাতিক দায় ও দায়িত্ব
সুন্দরবন যেমন ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ তেমনি এটি একটি রামসার সাইট। তাই বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ এই বনকে রক্ষা করা যেমন দেশের প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব তেমনি এর প্রতি দায় রয়েছে বিশ্বের সকল সচেতন মানুষের। তবু এই বন উজাড় ও পরিবেশ দূষণের হুমকি উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে সুন্দরবন এলাকায় প্রস্তাবিত কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অথচ ইআইএ () প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যদিও সরকার নির্ধারিত সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার পরিবেশগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ (ইসিএ) থেকে চার কিলোমিটার বাইরে বলে নিরাপদ হিসেবে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু জিআইএস সফটওয়্যার দিয়ে মেপে দেখা যায়, এই দূরত্ব সর্বনিম্ন ৯ কিলোমিটার হতে সর্বোচ্চ ১৩ কিলোমিটার।