ইউজার লগইন
আলোচনা
একজন ফরহাদ মজহার এবং অনৈসলামিক রাজনীতি - দুই
স্বয়ং বুদ্ধিবৃত্তিক রাজাকার ফরহাদ মজহার
এবং ‘হেমলক সোসাইটি’ : আত্মহত্যা বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে কিছু কথকতা
মাঝে মাঝে হঠাৎ করেই এমন কিছু বিষয় জানার বা উপলদ্ধির সীমানায় এসে ধরা দেয় যে, নিমিষেই মনে মনে বেশ আউলে যেতে হয়। জানার চাইতে না জানার পরিধিটা অনেক ব্যাপক হওয়া সত্ত্বেও নিজের অনুভূতি গুলি কারও না কারও সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়, অনেকটা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আড্ডার ফাঁকেই হঠাৎ বলে ফেলা কিছু ওজনদার বিষয়ের মতন। এমনই একটা অবস্থায় আজ এই লেখা।
লেখাটাকে মুভিরিভিউ বলা উচিত হবে কি না বুঝতে পারছি না। মুভির চাইতে মুভিটার উপজীব্য বিষয়টুকু নিয়েই যেখানে কিছু একটা বলতে বা লিখে বোঝাতে চাইছি! যা লিখব বলে ভাবছি এ নিয়ে অনেকের লেখাই হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু এবিতে মাসুম ভাই বা অন্য কারও বয়ানে এমন কিছু চোখে পড়েনি বলেই এই দুঃসাহস।
প্রায় বছরদেড়েকের পুরানো একটা ভারতীয় বাংলা মুভি দেখলাম আজ। 'অটোগ্রাফ' আর 'বাইশে শ্রাবণ' এর পর শ্রীজিত মুখার্জী'র তৃতীয় মুভি 'হেমলক সোসাইটি' , মুভিটা এখন পর্যন্ত না দেখে থাকলেও এর গানগুলির জন্যই হয়তো চেনা লাগবে অনেকের কাছেই।
টেলিভিশনের ঈদ কিংবা ঈদে টেলিভিশন!
এই পোষ্টটা সবার জন্য না। প্রধানত তাদের জন্যই যারা কাচা হাতের সমালোচনা সহ্য করার মানসিক ক্ষমতা রাখেন, যারা তাদের পছন্দের তারকাকে বকা সহ্য করতে পারবেন, যাদের দেখতে পারেন না তাঁদের যদি আমার পছন্দ থাকে তবে তাঁদের নিয়ে ভালো কথাবার্তা শুনেও মন ঠিক রাখতে পারবেন আর শেষমেষ যারা টিভি দেখাকে পছন্দ করেন কিংবা এখন না দেখলেও খোজ খবর জানতে ভালোবাসেন তাদের জন্যই এই বিলম্বিত প্রয়াস। জর্নাল আকারে লিখলে তিন চার পর্ব করে লেখা যেত,সেরকমই ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু এখন প্ল্যান চেঞ্জ। এক পোষ্টেই সব কিছু তুলে দেয়ার চেষ্টাতে আছি। তাই যা দেখছি তার অনেক কিছু নিয়েই লেখা হবে না। লেখার এক বিন্ধু ইচ্ছা নাই তাও মনে হলো আজ যদি না লিখি তাহলে আর লেখাই হবে না। বাড়ীতে দুই ব্যাটারীর রিমোটে কত হাজার বার টিপলাম সমানে তার ফিরিস্থি জানানোই গেল না। আমাদের বাড়ীতে সব চ্যানেল আসে না। বাংলা চ্যানেল গুলার ভেতরে এশিয়ান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট, এস এ টিভি, এটিএন নিউজ এই সব আসে না। হিন্দী চ্যানেল তো রাশি রাশি আসে না, একটা হিন্দী গানের চ্যানেল পর্যন্ত নাই। তাও এই সীমিত সামর্থ্য দিয়েই দেখতে দেখতে হয়রান। তবে রাত সাড়ে দশটা এগারোটার পরে আর টিভি দেখি নি। কার
ধুমপান বিষপান
নাটক সিনেমায় অহরহ দেখি নায়ক খুব কায়দা করে সিগারেট ঠোটে লাগায়, আয়েস করে টানে। চিন্তামগ্ন হলে, বিরহ দেখা দিলে, জটিল কাজে নিমগ্ন হলেও সিগারেট টানতে দেখা যায়। বলা যায় বিনে পয়সায় নাটক সিনেমায় সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আর সেই বিজ্ঞাপনে যখন কারো প্রিয় নায়ক সিগারেট টানে তখন অনেক উঠতি বয়সের কিশোর বালক ও সিগারেট টানার প্রতি আগ্রহ বোধ করে। এভাবেই মনে হয় অনেক মানুষের ধুমপানের হাতে খড়ি হয়।মনে আছে টাইম ম্যাগাজিনের পিছনের পাতায় মার্লবোরো সিগারেটের বিজ্ঞাপনে ঘোড়ার পাশে কাউবয় ড্রেস পরা মডেলের সিগারেট টানার ছবি। তখন মনে হত ,ইশ ওই কাউবয় এর মত সিগারেট না টানতে পারলে জীবনটাই বৃথা।
আগে শুনেছি সিগারেট না টানলে ছেলেদের নাকি ম্যানলি লাগে না। মেয়ে মেয়ে লাগে। এমন কথা শুনলে যে কেউ বোকার মত নিজের পুরুষত্ব জাহির করার জন্য হলেও সিগারেট ধরে ফেলবে হয়ত।হাস্যকর লাগে এখন এসব শুনলে। আজ আমি হয়ত সেই অবস্থানে নাই কোন কিশোরের মত আর তাই আমার কাছে এসব কথা হাস্যকর লাগে।কিন্তু উঠতি বয়সে ভাল মন্দ যুক্তি কে শোনে।
ফরমালিন
“ফরমালিন” কথাটা মাথার ভিতর ঘুর ঘুর করছিল কয়দিন ধরে।
অনলাইনে ঘাটা ঘাটি করলাম এটা নিয়ে। এটা কি , কেন ব্যবহার হয় এসব। এটুকু জানা ছিল যে মরা লাশে পচন ধরা বন্ধ করার জন্য মর্গে কিংবা ল্যাব এ ফরমালিন নামক রাসায়নিক তরল গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
স্কুল জীবনের অনেক প্রিয় বন্ধু খোকন ময়মনসিং মেডিকেল কলেজে পড়তো। সেই সুবাদে আমি প্রায় ঢাকা থেকে ট্রেনে চেপে চলে যেতাম ময়মন্সিং মেডিকেলের বাঘমারা হোস্টেলে। আড্ডা মারাই মুলত ব্যাপার ছিল। খোকন ক্লাস থেকে ফিরে হাতের আঙ্গুল দেখিয়ে বলতো, দেখ লাশ কাটা কাটি করে হাতের আঙ্গুল কেমন শক্ত হয়ে আছে। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করতাম , তা কেন হবে? তখন ও বলত লাশ ফরমালিন দিয়ে রাখা হয় যেন না পচে, আর বডি ডিসেকশন করতে গিয়ে এখানে সেখানে ধরতেই হয়, আর তাতেই হাতে ফরমালিন লেগে যায়। আমি জিজ্ঞেস করতাম ফরমালিন কি? তখন ওর কথায় জানতে পারলাম এটা অনেক বিষাক্ত তরল গ্যাস। মৃত লাশ ছাড়াও অনেক কিট পতংগ , প্রানী ফরমালিন মিশিয়ে বড় কাঁচের জারে সংরক্ষন করা হয়। এরপর আমি আর এই ফরমালিন শব্দটা শুনি নাই মানে শোনার দরকার হয় নাই দেশে থাকাকালীন।
অবলিভিয়ন [একটি দর্শক চক্ষে দেখা চলচিত্রালোচনা!]
"How can man die better:
than facing fearful odds,
for the ashes of his fathers,
and the temples of his God".
একটা মুভি নিয়ে একটা কিছু লিখতে ইচ্ছে করতেছে,
(উপরের লাইনগুলা মুভিটাতেই চোখে পড়ল।)
কিন্তু কি বলবো এবং কিভাবে বলবো তা মাথায় আসতেছে না কিছুতেই।
মুভিটা ভালো লেগেছে খুব,
কিন্তু এত্ত বড় একটা মুভিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ভালোলাগাটুকু
কিভাবে অল্প কিছু কথায় সবার সাথে শেয়ার করা যায় তা বুঝতে পারতেছি না!
মুভিটা সম্পর্কে দেখার মত আগ্রহ জাগাতে চাচ্ছি আবার
একটা কিছু টাইপ করার আগেই মনে হচ্ছে বেশি না বলে ফেলি!
ধারেকাছে এখন মাসুম ভাই কে পেলে ভালো ছিল,
জেনে নিতে পারতাম এ সমস্যায় কিভাবে কি করা যায়।
আচ্ছা, এখন মুভিতে ঢুকি।
নাম 'অবলিভিয়ন',
মাস চারেক আগে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান সাই ফাই একশন এডভেঞ্চার মুভি। গত রাতেই দেখলাম।
আরেকদিন দেখতে বসেও দেখা হয়নি সাবটাইটেলের অভাবে।
যদিও ইংরেজি মুভি সাবটাইটেল ছাড়া দেখতে কেন জানি রিলাক্স লাগে না!
বিপ্লবের ভেতর-বাহির: সিরাজ সিকদারের ধরা পড়ার চমকপ্রদ নতুন কিছু তথ্য
সিরাজ সিকদার গ্রেপ্তার হন ১৯৭৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে। এই তথ্য আমরা সবাই জানি। ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি সরকারি প্রেসনোট থেকে সবাই জানেন যে, সিরাজ সিকদার নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও নিহত হওয়ার মাঝখানের ঘটনার কোনো বিবরণী এখন পর্যন্ত কেউ দেননি। সিরাজ সিকদার হত্যা মামলার বিবরণীতে অনেক কিছু লেখা আছে, কিন্তু এর সত্যতা নিশ্চিত নয়। বিবরণীর মধ্যে যে অতিরঞ্জন আছে তা বুঝতে কষ্ট হয় না।
সিরাজ সিকদার ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। কিন্তু তাকে রাখা হয়েছিল শেরে বাংলা নগরের রক্ষী বাহিনীর কার্যালয়ে। এরপর কি হয়েছিল? কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর কোনো বিবরণী এতোদিনে পাওয়া যায়নি। তবে আজ পাওয়া গেল। আনোয়ার উল আলম ছিলেন রক্ষী বাহিনীর একজন উপ পরিচালক। তিনি একটি বই লিখেছেন। রক্ষীবাহিনীর সত্য-মিথ্যা নামের বইটি প্রকাশ পেয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই)। বইটিতে অনেক অজানা কাহিনী আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন তথ্যও আছে। সেটি হচ্ছে সিরাজ সিকদার কিভাবে ধরা পড়েছিলেন, কে ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
লিমন দিয়ে শুরু করেছেন, এখনও বাকিগুলোও পারলে করেন..........
অবশেষে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকার ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হারার পর বুঝতে পারছে মানুষের অসন্তুষ্টির এটিও একটি কারণ। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কাদেরের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা তুলে নিয়েছিল ব্যাপক সমালোচনার মুখে। কিন্তু লিমনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করেনি র্যাব। এমনই দম্ভ ও ক্ষমতা তাদের। ১৬ বছরের একটি গরীব ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দেখানো হল। নির্বাচনে ভরাডুবি না হলে, সামনে জাতীয় নির্বাচন না থাকলে আমি নিশ্চিত যে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা চলতো।
অনেক দেরী হলেও সরকারের এই সিন্ধান্তে ধন্যবাদ জানাই। তবে লিমন দিয়ে বৈতরণী পার পাওয়া যাবে না। আরও কিছু কাজ করতে হবে। তার একটা তালিকা করা যায়।
১.
অনৈসলামিক স্ট্যাটাস - ২
জাকারবার্গ, এদেরকে মুরতাদ ঘোষণা করুন!
কোন কিছুকে থিওরাইজ করতে পারাটা চমৎকার একটা ব্যাপার। তাতে আপনার লেখার কদর বাড়বে নিঃসন্দেহে। আপনার লেখার দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে। পন্ডিতেরা, সাধারণতঃ একাডেমিক পন্ডিতেরা তা করে থাকেন খুব বেশী। তবে তারা কিন্তু পান্ডিত্য প্রমাণের জন্য তাদের পান্ডিত্যভরা লেখাগুলোকে সেরকম উঁচু দরের জার্ণাল-ম্যাগাজিনে পাঠান। এতে করে লেখকের থিওরীটাও আগা-পাছ-তলা বিচারে তুমুলভাবে তুলোধুনো হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। যা টিকে থাকার বা যার ভেতরে মাল-মশলা আছে, তা ঠিকই টিকে যায়। ফলশ্রুতিতে ওজনদার (higher impact factor) জার্ণাল-ম্যাগাজিনে লেখাটি প্রকাশিত হয়। এইভাবে কোন নতুন তত্ত্বকথার মূল্যায়ন হয়। কিন্তু যে লেখার ভেতরে জোড়াতালি আছে, বা ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছু নেই, সেটা টিকে থাকে না, জুরির বিচারে।
বিদেশে পলাতক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার প্রসঙ্গে ICSF এর ভিডিও সেমিনার
২২ জুন ২০১৩
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
========
২২ জুন ২০১৩ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ) এর আয়োজনে একটি ভিডিও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। “এক্সট্রাটেরিটোরিয়াল জুরিসডিকশন অফ দ্য আইসিটি: ব্রিঙ্গিং অ্যালেজড ওয়ার ক্রিমিনালস ব্যাক হোম” শিরোনামের এই সেমিনারে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ওয়ার ক্রাইমস ফাইলস প্রামাণ্যচিত্রের প্রযোজক এবং সেন্টার ফর সেক্যুলার স্পেস এর গীতা সেহগাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বাউল, এবং এডভোকেট সাইফুল ইসলাম তারেক, সন্ত্রাস এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক জনাব জামাল হাসান। আইসিএসএফ এর পক্ষ থেকে সদস্য ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এক্সট্রাডিশন (extradition) বিষয়ে তার গবেষণা পেশ করেন ।
আমি
প্যাল্ টকে চ্যাট করতাম অনেকদিন ধরে, কিন্তু মজা নষ্ট হয়ে গেসে। ফেসবুকে গেলাম, কিছুদিন ভাল লাগ্লো, সবাই ছবি আপ্ লোড করে আর স্ট্যাটাস দেয়, আর গাছের আগায় আল্লাহু লেখা দেখা গেসে, তাই ওখানে খালি লাইক দিতে বলে, বিরক্তিকর। তাই আর ফে বু ভাল লাগেনা। লেখা লিখি জীবনেও করি নাই, এক আদটু পড়ার অভ্যাস ছিল। হটাত খুঁজে পেলাম এই ব্লগ।
এসেই কিছু না বুঝেই কারো অন্যমতি না নিয়ে, কারো সাথে পরিচয় না হয়ে ধুম ধাম করে কিছু লিখে ফেললাম ভুল ভাল অর্থহীন কথা বার্তা। ওমা আমাকে প্যাল টক বা ফেসবুকের মত কেউ বাঁকা চোখে (যেটা আমাদের দেশের জাতিয় চরিত্র) না দেখে দুই চার জন সহৃদয় ব্যাক্তি উতসাহ দিয়ে কমেন্টস দিলো, দেখে তো আমি বেশ ফুলে ফেঁ[পে গেলাম। মনে হল বাহ, এখাঙ্কার মানুষগুলি অদ্ভুত ভালো তো। সাহস আরো বেড়ে গেলো।
কিন্তু অবাক হচ্ছিলাম, এত কম লেখা আসছে কেনো, আর মানুষ জন কই? পরে আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম, মানুষজন এখানে অনেকেই আছে, হয়তো কোন কারনে কম লিখছে অনেকে।
পরাধিনতা থেকে মুক্তি চাই
এই ব্লগের সুন্দর মনের মানুষগুলির লেখাগুলি পড়লে মনে হয় সবাই কম বেশি বিরক্ত দেশের অবস্থায়। খুব ভাল লাগে এই সচেতন মনোভাবে। এমন মনোভাব যদি দেশের বাকি মানুষগুলির হত তাহলে মনে হয় এত অন্যায় অবিচার দেশে হতে পারতো না।
কে যেন এই ব্লগে লিখেছিল " দেশের শ্রেষ্ঠ বাঙালি আর স্রষ্টা দেশ স্বাধীন করে যখন নিজেই একনায়ক হয়ে গেলেন তখন মানুষ সেটা পছন্দ করে নাই, আর তাই দেশের মানুষের হাতেই দেশ স্বাধীনের অল্পদিন পরেই উনি মারা যান। তেমনি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান পরবর্তিতে রাজাকারের পক্ষ নিলে তার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানও ম্লান হয়ে গেল, আর ওনাকেও প্রান দিতে হল অল্পদিনেই।"
এরশাদ ক্ষমতায় আসার আগে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল, কিন্তু ক্ষমতায় এসে সব ভুলে গেলো। ২০০৮ এর সেনা শাসিত তত্তাবধায়ক সরকার যখন ক্ষমতা নিয়েছিল দেশের মানুষ হাঁফ ছেড়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছিল। ওরা সুযোগ পেয়েছিল ভাল কাজ করে দেশের মানুষের মনে স্থান করে নিতে, যদিও নির্বাচিত ছিল না। শুরুটা ভালই ছিল, কিন্তু অল্পদিন পরেই ওদের মনেও সেই চিরাচরিত লোভ বাসা বাঁধলো আর সেজন্য ওদেরও ধিক্কার নিয়ে বিদায় হতে হল।
শ্রেষ্ঠত্তের দাবীদার ধর্মে নয় , কর্মে !
সামার শুরু হলেই নিউইয়র্কে শুরু হয় বিভিন্ন দেশের প্যারেড। আর এই প্যারেডগুলি বেশিরভাগ হয় ম্যানহাটানের ফিফথ এভিনিউতে। ফিফথ এভিনিউ হল ম্যানহাটানের সবচেয়ে দামী জায়গা। সবাই পারমিশন পায়না এখানে প্যারেড করার, শুধু প্রভাবশালী দেশগুলির প্যারেড দেখি এই এভিনিউতে।
আগে থেকে জানতাম না, জানলে আর গাড়ি চালিয়ে আজ ম্যানহাটানে না এসে বাসে ট্রেইনে আসতাম। ব্রীজ পার হয়ে শহরে ঢুকতেই অনেক বেশি বিশেষ পুলিশের উপস্থিতি দেখে ভাবলাম আবার কোথাও কোন সন্ত্রাসী হামলা হোলো কিনা !অমন কিছু হলেই পুরো শহর জুড়ে পুলিশি ততপরতা অনেক বেশি দেখা যায়। আমি যেই রুট ধরে সব সময় যাই, সেই সাইড রোডগুলি সব ব্লক করে রাখা, গাড়ি ঘুরিয়ে দিচ্ছে। মহা ঝামেলায় পড়লাম ! ভয়ে ভয়ে গাড়ির কাঁচ নামিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলাম কেন রাস্তা বন্ধ, আবার কিছু হইসে নাকি? পুলিশটা হেসে উত্তর দিল, না কিছু হয় নাই , কিন্তু আজ "ইস্রায়েল ডে প্যারেড" হবে ফিফথ এভিনিউতে , আর তাই পুরো শহর জুড়ে ওদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
এলোমেলো কথা
ছোটবেলায় নামায পড়া, আরবী পড়া এসব বাধ্যতামুলক ছিল আমাদের বাড়িতে।
ছোটদের জন্য রোযা রাখা বাধ্যতামুলক না হলেও আমি রাখতাম কারণ বাড়িতে যারা রোযা রাখতো তাদের জন্য অনেক মজা'র খাবার তৈরি হত, আর যারা রোযা রাখতো না তাদের খেতে হত আগের দিনের বাসি খাবার, তাই ভাল খাবারের লোভেই সব সময় রোযা রাখতাম।
যুদ্ধের সময় আমরা ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেলাম সবাই। তখন নতুন নতুন এক অভিজ্ঞতা হল। মসজিদে ইফতার করলে অনেক রকমের ইফতার, সরবত, মিষ্টী, বিরিয়ানি এসব খাওয়া যেতো।
তাই আমি কখনোই মাগরেবের নামাযের সময় মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও থাকতাম না,যদি ইফতার মিস হয়ে যায় এই চিন্তায়।
সেই থেকে রোযা রাখার অভ্যাস আর নষ্ট করি নাই, যদিও নামায পড়ার বেলায় আমি অনেক অলস। আমার দুই ছেলে আমার স্ত্রী'র বদৌলতে ভিন দেশে জন্ম নিয়েও নামায রোযা আর হালাল খাবারের প্রতি যত্নবান। তবে আমি খুব খেয়াল করি আর সব সময় ছেলেদের বলি যেন ওরা স্কুলে কিংবা অন্য কোথাও কোন ধর্মিয় আলোচনায় অংশ না নেয়। কারণ অনেক কিছু হতে পারে।
৫মে গুম হওয়া লাশ
৫মে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্মরনীয় দিন। এদিন যেমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, তেমনি এ দিনকে কেন্দ্র করে আরও অনেক কিছু ঘটে যেতে পাতো। তাই এ দিনটিকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমি নতুন করে আর তেমন কিছুই লিখতে চাই না, আবার একটু লিখতেও ইচ্ছে করে। তাই এ লেখা।