ইউজার লগইন
আলোচনা
আমরা কি পরীক্ষানির্ভর শিক্ষার দিকে ঝুঁকছি?
নভেম্বর মাসের শুরুতে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঈদের পরপরই পরীক্ষাগুলো শেষ হবে। ঈদের পর শুরু হবে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য সমাপনী পরীক্ষা। এই দুটো পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বাকি শ্রেণীগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। সমাপনী কিংবা জেএসসি/জেডিসি পরীক্ষার আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনেকেই তাদের শিক্ষার্থীদের একাধিক মডেল টেস্টের আয়োজন করেছে যেন তারা মূল (!) পরীক্ষায় ভালো করতে পারে। এছাড়া বছরজুড়ে নানা ধরনের পরীক্ষা তো রয়েছেই যার মধ্যে প্রথম সাময়িক ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষাগুলো অন্যতম।
ইউরোপ কেন থাকবে না , মূল: জেরি বাওয়ার
সহস্রাব্দের ইতিহাসে ইউরোপ দুইটি জিনিসকে ভয়াবহভাবে টের পেয়েছে। একটি হচ্ছে - খ্রিস্টানবাদ আরেকটি হল স্বাধীনতা। এখন আমরা আমেরিকা বা এশিয়া নয় র্যালির কান্নার সুরে ভেসে উঠছে আমরা ভাল থাকতে চাই।
ইউরোপকে মোটাদাগে কয়েকটি বিষয় দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। যেমন সরকারি মদদপুষ্ট ধনিক শ্রেণী, ফরাসি সংস্কৃতির আধিপত্য, বৃহত জাতীয়তাবাদী ধণিকশ্রেণীর বিপরীতে ক্ষুধার্ত - নিরন্ন মানুষের আর্তনাদ।
মূলত প্রকৃত ইউরোপের চেহারা ভেসে উঠে রোমান ক্যাথলিক চার্চের দিকে তাকালে। তারা একটি উচ্চমার্গীয় সংস্কৃতি নির্মাণ করেছে, যেখানে শিল্প ও শিক্ষার সাথে গড়ে উঠেছে একটি শ্রদ্ধার সম্পর্ক। এই বিষয়টি নজরে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সহস্র বছর পরে এই ইউরোপের খ্রিষ্টানবাদের চেহারা পাল্টে গেছে অনেক। খ্রিস্টান বিভক্তি ঘটেছে। একটি অসম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটেছে।
প্রেম
আমি যার সাথে প্রেম করেছিলাম গতকার তার বিয়ে হয়ে গেছে, কিন্তু আমি তার দেড় বছর আগে বিয়ে করে ফেলেছি, অনেক কাহিনী আছে, পর বলবো! আমি যার সাথে প্রেম করেছিলাম গতকার তার বিয়ে হয়ে গেছে, কিন্তু আমি তার দেড় বছর আগে বিয়ে করে ফেলেছি, অনেক কাহিনী আছে, পর বলবো!
আমরা বন্ধু ও যুবকের ভাবনা
৩৩ বছরের যুবকের মনে অনেক স্বপ্ন। মোটামুটি ভাল একটা চাকরী করবে। এখন যা করছে সেটাকে ভাল বলা যাবেনা। গতানুগতিক। সুন্দর একটা দক্ষিণমুখী বারান্দাওয়ালা বাসা ভাড়া নেবে। তাতে যদি কিছু টাকা বেশি যায়, যাক না। বাড়ি থেকে ছোট বোনটা আর মা'কে নিয়ে আসবে নিজের কাছে। বোনটা সামনের বছর এসএসসি দেবে। ততদিন বাড়িতে থাকুক। বোনটার পরীক্ষা শেষ করা পর্যন্ত সে নতুন বাসাটা গুছিয়ে নেবে। বাসায় কিছু আসবাবপত্র কিনতে হবে। মেসবাড়িতে অন্যের সাথে রুম শেয়ার করে আর কত ! বুয়ার হাতের রান্না খেতে খেতে কখন জানি ৫/৬ বছর কেটে গেছে।
ব্লগারদের সিডিউল নির্ধারণ করা হোক
আমরা বন্ধুর মোটামুটি নিয়মিত পাঠক হিসেবে মাঝে মাঝে একটু হতাশ হয়ে পড়ি যখন দেখি যাদের লেখা খুব পছন্দ করি তাঁরা কোনো পোস্ট দেননি। বিশেষ করে ইদানিং যেন মন্দা চলছে এই ব্লগটিতে।
তাই, আমরা বন্ধু-তে গা ছাড়া ভাবটা দূর করতে আমার অনুরোধ/প্রস্তাব হচ্ছে, কে কী বারে লিখবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া হোক। যেমনটা, পত্রিকার কলামিস্টদের বেলায় আগে বেশ দেখা যেত। এর মাধ্যমে সেই বিশিষ্ট ব্লগার কিছুটা প্রস্তুতি নিয়ে চমৎকার চমৎকার পোস্ট দিবেন। আমরাও অপেক্ষায় থাকব, এবার মাসুম ভাই কী আমিষ/নিরামিষ পরিবেশন করলেন, সামছা আকিদা জাহান কী ফাটালেন, তুষার আবদুল্লাহর কবিতায় কতটুকু ভেসে গেলাম, মেসবাহ য়াযাদ কী দেখে আসলেন ইত্যাদি।
নাস্তিক্যবাদ : কমিউনিষ্ট ধারনা নাকি বূর্জোয়া বিপ্লবের আবশ্যিক কতব্য ?
শুধু মার্কসবাদীরাই ধর্মের বিরুদ্ধে লড়েনি। যদিও আমাদের দেশে ধর্মের বিরুদ্ভে আলোচনা-সমালোচনা করলেই বলা হয় “কমিউনিষ্ট”। যেন নাস্তিক মানেই কমিউনিষ্ট। ধর্মের সঙ্গে সংগ্রামটা হলো বূর্জোয়া বিপ্লবের অবশ্য কতৃব্য এবং পশ্চিমে বূর্জোয়া গণতন্ত্র তার বিপ্লবের যুগে অথবা সামন্ততন্ত্র ও মধ্যযূগীয়তার উপর আক্রমনের যুগে সে কর্তব্য অনেক পরিমান পালন করেছিলো বা পালন করতে নেমেছিলো। ফ্রান্স এবং জার্মানীর উভয় দেশেরই আছে ধর্মের বিরুদ্ধে বূর্জোয়া সংগ্রামের ঐতিহ্য।
কেন আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না (১ম পর্ব)
সমগ্র পৃথিবী শ্রেনীগতভাবে দু’ভাগে বিভক্ত। শোষক ও শোষিত শ্রেণীর দ্বন্দের প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন সমাজ।চেতনার দিক থেকে বস্তবাদ ও ভাববাদের জন্ম সেই আদিম সাম্যবাদী সমাজের গোড়া থেকে। ঐতিহাসিক কারনে শোষিত শ্রেনী বস্তবাদী ও প্রগতিশীল কিন্ত শোষক শ্রেণী ভাববাদী-প্রতিক্রিয়াশীল। আদিম সাম্যবাদী সমাজের ধ্বংসস্তপ থেকে গড়ে উঠা সমাজ কাঠামো গুলোর পূজিবাদী স্থর পর্যন্ত “রাষ্ট্র” নামক শোষন যন্ত্রটি শোষক শ্রেণীর পক্ষে কাজ করে। আর রাষ্ট্র কখনই শোষিত শ্রেণীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে চায় না। কারন শোষিত-নির্যাতিত-দরিদ্র জনগোষ্টীকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুললে স্বয়ং রাষ্ট্রের অস্থিত্ব চ্যালেন্জের সম্মূখীন হয়ে পড়ে। অপরদিকে আধুনিক শিক্ষা বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্টীর মন ও মগজ সাধারনত: পশ্চাদপদ ধর্মাশ্রয়ী ভাবনার এক উর্বর আস্তানা হিসেবে গড়ে উঠে। দারিদ্রতা যাহার ইহকালের সুখ কেড়ে নিয়েছে,পরকালের স্বাচ্ছন্দের
শ্রদ্ধেয় তাজউদ্দীন আহমদ: জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
ভূমিকার আগের অধ্যায়
২৩ জুলাই।
১৯২৫ সাল।
কেমন ছিলো সেদিনের রূপ? সেদিন কী বৃষ্টি ছিলো, কিংবা গরম, রোদের বাড়াবাড়ি সেদিনের মানুষের কাছ কী একটু বেশি মনে হয়েছিলো? অথবা সেদিনের সেই দিনটিতে শাপলার জলে খেলা করেছিলো শালুক, শ্রয়িমান সন্ধ্যায় দহলিজে বসে কেউ কী আপন মনে নিবিড় প্রার্থণায় মগ্ন ছিলো?
সেদিনের দৃশ্যে সবুজের সাথে গাঢ় লালের একটি আভা কী ছড়িয়ে ছিলো না চতুর্দিক- যিশু খ্রিষ্টের মতো মানবিক প্রার্থণায় নিমগ্ন মানুষের কাছে সেদিনটি একেবারেই অন্য রকম ছিলো না? শীতলক্ষ্যার তীর ছুঁয়ে যাওয়া ঢেউয়ের বহমান স্নিগ্ধতায় সত্যিই সেদিন ভালোলাগা বিরাজ করেছিলো। সেদিন ছিলো শীতলক্ষ্যার পূর্ণিমা যৌবন।
সাবধানতাঃ সন্তানের জন্যে
আকিদার "অঞ্জলি পেতেছি, জল দাও" লেখাটা রোজ প্রায় একবার খুলি। কিছুদূর পড়ি কিন্তু পুরোটা পড়তে পারি না, মনটা অন্যকোথাও ঘুরতে থাকে। অনেককিছু অনেকভাবে মনে পড়ে একসাথে। নিজের কথা, মায়ের কথা, বন্ধুর কথা। প্রায় প্রতিদিন ভেবে চলেছি কিছু একটা লিখি, কিন্তু আমি এতো আবেগপ্রবণ যে কি লিখবো সেটাই গোছাতে পারছি না। লিখতে চাই অনেক কিছুই কিন্তু কোথা থেকে যে শুরু করি। আবেগটাকে সরিয়ে কিছু বাস্তব সমস্যার ওপর আলোকপাত করার চেষ্টা করবো আজকে। নিজের সম্বন্ধে সর্তক থাকা কিংবা সচেতন হওয়া একটা খুব জরুরী বিষয় জীবনে। অনেক খেয়ে খেয়ে হার্ট নষ্ট করে কিংবা ডায়বেটিস বানিয়ে তারপর সর্তক হলে, নিয়ম মেনে চললে কি হবে?
এক ছিলো গূড় আর অনেক ছিলো পির্ফা
তো একজন কইলো
: মনে হইতাছে, ___ ভাই আবারো কাঠির আগায় গুড় লাগাইয়া গেছেন! সব পিপড়া এক লগে হাজির হইতাছে এইখানে!!
ভাব্লাম, জুকার্বার্গের এত্তবড় একটা সাইট্রে কাঠি কইতেছে বেপার্টা কি?
জিগাইলাম কে গুড় আর কেডাইবা পির্ফা?
আসলেইতো???
আসল কাঠি কুনটা, গুড় কুন্টা আর পির্ফাই বা কারা...
আসলে ভেজাল হইছে কি, ইদানিং লুকজন খালি ঝিমায়।ঝিমায় আর জুকার্বার্গের সাইটে গিয়া একটা ঘরের ভিত্রে ঢুইকা ঝিমাইতে ঝিমাইতে আড্ডা মারে। এদিকে মাঠ খাখা করে। কেউ কস্ট কৈরা মাঠে আসে না, সবতে মিল্যা ঠিকঠাক মতো খেলাধুলাও করে না। এইটা আসলে ঠিক না। মাঠে নাম লেখাইয়া সেই মাঠে না আইসা ঘরের ভিত্রে বৈয়া বৈয়া আড্ডা দেওনটা আসলে একটু কেরাম কেরাম জানি লাগে।
যাই হৌক, ঘটনা হৈলো একজনে কইলো যে মাঠে না আইসা ঘরে বৈসা আড্ডা দেওন উচিত না, লগে লগে ঘরে ভিত্রে হাজির হয়া গেলাম আম্রা সবতে। পুলাপান সব খ্রাপৈয়া গেছেগা। কলিকাল ঘোর কলিকাল...
আসেন কাইজ্জা করি..
ভাব- টাব বাদ। সোজা বাংলায় লেখি। মনে যা আসে, তাই লেখবো।
এই পোস্টটা একটা কাইজ্জা পোস্ট। যার মনে যা আছে, যা কাউরে কইতে চান, কিন্তু বলতে পারতেছেন না, এইখানে ঝাঁপায়ে পরেন। তবে, লুকায়ে না, নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে লগ- ইন করে নিজের নামে।
আমার বিরুদ্ধে যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে, যেমন "এক নিক থেকেই প্রথম পাতায় ৩টা পোস্ট," মডু আইসা থাবড়া দিতে চায়, তাও সই। প্রবাসী- দেশি নিয়া যদি কারো কিছু বলার থাকে, পিছে না বলে এইখানেই বলেন। আর, লুকানোর কিছু নাই, আমরা সবাই জানি, সবারই কিছু না কিছু অতীত আছে। সেটা হয়ত নতুনদের জানা নেই, এখানে এসে সবাই ঝামেলাগুলা পিছনে ফেলে একটা ঘরোয়া আমেজে গপ্পো করে, তাতেও যদি কেউ ঝামেলা করতে চান, সেটা এখানে না করার অনুরোধ।
যদি কেউ বলেন,
এইখানে লিখবো বলে দাসখত দিয়ে ফেলেছি নাকি?
যে দুর্ঘটনা অনেক দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়...
চট্টগ্রাম মীরেরসরাই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থেই থমকে গেছে। ঘটমান নানা খবরের প্রবাহে কিছুদিন পর হয়তো আমরা এর কথা ভুলে যাবো; শুধু যে পরিবারগুলোর সন্তান নিহত বা আহত হয়েছে তারা বছরের পর বছর এই শোকের ভার বইতে থাকবে। ঘটনার জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী চালককে খোঁজা হচ্ছে; হয়তো তার শাস্তিও হবে। কিন্তু এই দুর্ঘটনার কারণে ইতোমধ্যে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলোর কি কোনো সুরাহা হবে?
মানুষ কেনো নয়!
নিজেকে বড় ভাবার মতো বড় হয়েছি বলে মনে হয় না কখনো। তাই চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করি বড়দের ভীড়ে। আজ একটু নীরবতা ভাঙতে ইচ্ছা হলো। কারো অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
সারা জীবন গার্লস স্কুল, কলেজ- এ পড়ার সুবাদে বিভিন্ন মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে। এমনকী অনর্স-মাস্টার্সেও গালর্স কলেজে পড়ার জন্য একে বারে ছেলেবেলা থেকে বেড়ে ওঠার বিভিন্ন ধাপে দেখেছি মেয়েরা কিভাবে বড় হয়।
কিছু ঘটনা এখানে শেয়ার করবো সেই অভিজ্ঞতা থেকে।
ইত্তেফাকের জন্ম রহস্য
একটা সময় বলা হতো বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান আছে। আওয়ামী লীগ, সেনাবাহিনী ও ইত্তেফাক। বাংলাদেশের জন্মের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত ইত্তেফাক। কিন্তু ইত্তেফাকের ইতিহাস নিয়ে আছে ধোয়াশা। এর প্রকৃত মালিকানা নিয়েও অনেক গল্প চালু আছে। পত্রিকাটির ভূমিকা নিয়েও আছে নানা আলোচনা। ইত্তেফাকের জন্ম নিয়ে এই পোস্ট।
‘গাদ্দার’
কৃষণ চন্দরের কথা সম্ভবত নতুন করে কিছু বলার নেই। অসাধারণ, এবং অসম্ভব অসাধারণ এই মানুষটির লেখা আমি বরাবরই মুগ্ধ হয়ে পড়ি। তেমন মুগ্ধতায় নতুন করে পুনরায় যুক্ত হলো ‘গাদ্দার’। গাদ্দার বইটি আগেও পড়া ছিল। কিন্তু সময় বদলানোর সাথে সাথে মানুষ বদলে যায়; বদলায় মানুষের চিন্তাভাবনা কিংবা দেখার ক্ষমতা। যে কারণে একই বই নানা সময়ে বারবার পড়তে হয়, বুঝতে হয়। ধরতে হয় বইটিকে।