ইউজার লগইন
আলোচনা
বন্ধুত্ব বা বন্ধুতা...
আ
আমার এক বন্ধু মুজিব। একদিন আফসুস করে বললো-
মেসবাহ বলতো, আমার চেহারায় কি লোচ্চা ভাব আছে ?
আমি বললাম, কেনোরে ? তোর এমন মনে হলো কেনো ?
ও বললো, তোর বউ আর মিলনের বউ আমারে কেনো ভাই ডাকে ?
বললাম, ভাই ডাকাতো ভালো... এর সাথে লোচ্চার সম্পর্ক কী ?
ভাই ডাকা মানে তোদের দুই বউ নিরাপদ বোধ করে...তারমানে তোরা যাই বলিস না কেনো- - আমার চেহারায় লোচ্চা একটা ভাব আছে- আক্ষেপ করে মুজিব বললো
আমি কিছু না বলে ওর কথার সত্যতা নিয়ে ভাবতে থাকি...।
বন্ধুপত্মীরা মুজিবকে ভাই ডেকে যে আস্থা বা ভরসা পায়, তেমনি ভরসা পায় আমার বন্ধুরা আমার প্রতি। তারা তাদের অনেক কিছু আমার সাথে শেয়ার করে। আমি তাদের সুখের কথা, দুখের কথা, ক্ষোভের কথা, অভিমান আর অনুযোগের কথা শুনি। প্রয়োজনে আমার পরামর্শ চায়। ওরা যদি জানতো, আমি এসব ক্ষেত্রে একটা গন্ড মূর্খ। পরামর্শ দেবার মত বুদ্ধি বা মেধা আমার অন্তত নেই।
অন্ধকারের উৎস থেকে
১.
জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন জীবনে কবে প্রথম পড়েছিলাম মনে নেই। ক্যাডেট কলেজে একবার আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বনলতা সেনকে ঠিক করা হয়েছিল। ক্যাডেট কলেজের নিয়ম হচ্ছে একটা কবিতাই নির্ধারণ করে দেয়া হতো। প্রতি হাউজ থেকে দুজন করে মোট ৬ জন একই কবিতা আবৃত্তি করতো। মনে আছে সেবার আমরা প্রায় সবাই বনলতা সেন মুখস্ত করেছিলাম। একটা অসাধারণ প্রেমের কবিতা হয়েই রয়েছে বনলতা সেন। স্বীকার করছি কবিতার প্রতিটি লাইন বোঝার চেষ্টা আমি কখনো করিনি।
ড. আকবর আলী খান মূলত আমলা। ইতিহাসের ছাত্র। পরবর্তীতে অর্থনীতিতেও উচ্চতর লেখাপড়া করেছেন। তাঁর একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। অনেক বিষয়ের মধ্যে বনলতা সেনও ছিল। তিনি বনলতা সেনের একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। সেটাই জানালেন। বলেছিলাম বিস্তারিত নিয়ে একটা বই লিখবেন।
বনলতা সেন
হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
মনটা ভালো হয়ে যায়
প্রায়ই মনটা খুব খারাপ থাকত...কিন্তু বন্ধু ব্লগে আসার পর থেকে মনটা খারাপ থাকলেও বন্ধুদের অসাধারন সব লেখা পড়ে মনের অজান্তেই মনটা খুব ভালো হয়ে যায় ... আমি বন্ধু ব্লগে এসে আসলেই ধন্য.।তাই বন্ধুদের জন্য কিছু লেখার চেষ্টা করছি...
বন্ধু মোদের চির সাথী বন্ধু মনের টান
কাছে দূরে যেখানেই থাকি ,বন্ধু অনির্বাণ
বন্ধু মোদের খুশির সাথী,আনুন্দের বান
জীবন ভর থাকবে এই বন্ধুত্তের টান......
ক্যু ও পাল্টা ক্যু
তাও অনেকদিন হয়ে গেল, নুরুজ্জামান মানিক ভাই এসএমএস করেছিলেন কিছু বইয়ের নাম চেয়ে। বাংলাদেশে ক্যু নিয়ে বইয়ের তালিকা। নানা ধরণের ব্যস্ততার কারণে কাজটি আর করা হয়নি। আর সব বইয়ের নাম আমার জানা আছে তাও না।
বইয়ের একটা তালিকা করবো করবো করেও করা হচ্ছিল না। এরই মধ্যে পড়ে ফেললাম নতুন একটা বই, কর্ণেল হুদা ও আমার যুদ্ধ। নীলুফার হুদার লেখা। নীলুফার হুদা কর্ণেল খন্দকার নাজমুল হুদার বীর বিক্রমের স্ত্রী। বইটি পড়তে গিয়ে মনে হল এবার মানিক ভাইকে বইগুলোর নাম দিতেই হয়। বিশেষ করে বইয়ের শেষ অংশটা পড়ে বেশি করে মনে হল। এই অংশে কর্ণেল হুদা কিভাবে মারা গেলেন তার একটি বর্ণনা আছে।
আমরা জানি যে, ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ, কর্ণেল হুদা ও কর্ণেল হায়দার একসঙ্গে মারা যান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর, তথকাকথিত সিপাহী বিপ্লবের সময়।
কর্ণেল হামিদের ভাষ্যটা পড়া থাকলে পুরোটা বুঝতে সুবিধা হবে। কর্ণেল হামিদ লিখেছেন,
কুসংস্কার লইয়া ভাবনা চিন্তা-১
আম্রা সবাই মোটামুটি বড় হইয়া উঠছি নানা রকম কুসংস্কাররে আশ-পাশে সঙ্গী কৈরা। ফলো করছি কিনা সেইটা মূল কথা না, মূল কথাটা হইলো আমাদের বাইড়া উঠনের একখান অইন্যতম অনুষঙ্গ আছিলো কুসংস্কার। ছোটকালে সেগুলারে লইয়া ভাবনা চিন্তা করতাম না, ময়-মুরুব্বিতে কইছে বইলা মাইনা নিতাম। এই বয়সে আইসা হাতে পায়ে কাজকাম কম থাক্লে এগ্লা নিয়া চিন্তা ভাবনা করনের চেষ্টা চালাই। সেইখান থিকাই আসলে এই লেখাটা আইছে। লেখার উদ্দেশ্য কুসংস্কার গুলারে সুসংস্কারে রূপান্তর বা অইরাম কিছু না, জাস্ট নিজের মনের ভিত্রের ভাবনা গুলারে শেয়ার করন।
কুসংস্কারঃ- ঘরের ভিতরে স্যান্ডেল বা জুতা উলটাইয়া থাক্লে ঝগড়া হয়।
ধর্ম বিক্রি বন্ধ করতে হবে
আমি ঢাকায় বেড়ে উঠেছি। ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছি সংস্কৃতিমনা পরিবারে। যেখানে গান-বাজনা-নাচ-বিতর্ক কোন কিছুতে বাধা নেই। নির্বিকারভাবে তিন ভাইবোনের যা করতে ইচ্ছে হতো তাই করতে পেরেছি। কারও খাবার প্লেটে ভাত বেশি আর কারও প্লেটে কম এই বিষয়টির সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ‘মিনা কার্টূনের’ মধ্য দিয়ে। সেই কার্টূনে দেখেছি মিনাকে মাছের ছোট টুকরা দেয়া হয় আর মিনার ভাইকে দেয়া হয় বড় টুকরো। সমাজ সচেতনার নানান উদ্যোগ মাঝে মাঝে শিশুদের মনে আটকে যেতে পারে। আমার মনেও আটকে গিয়েছিল। একজন মার কাছে সন্তানের বিভেদকরণ অত্যন্ত ভয়াবহ ইঙ্গিত বহন করে। ভাবতেই পারি না আমার মা অথবা বাবা তার সন্তানকে ছেলে- মেয়ে ভাগে ভাগ করে নিবেন।
যতো দোষ রিকশা ঘোষ!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন জানিয়েছেন, ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা থেকে পর্যায়ক্রমে রিকশা উঠিয়ে দেওয়া হবে। রিকশা উঠিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি মূলত যানজটের কথা উল্লেখ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ উক্তির মাত্র দুদিন আগে ঢাকার রাস্তায় রিকশাচালকরা ধুন্ধুমার কাণ্ড করেছে। রামপুরা-মগবাজার-মৌচাক ব্যস্ত সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে। পরদিন ভাঙা গাড়ির আরোহী, কান্নারত ও ভয়ার্ত এক শিশুর মানবিক আবেদন-সমৃদ্ধ ছবি ছাপা হয়েছে প্রায় সবকটি শীর্ষ দৈনিকে। এ ছবি দেখে নাগরিক সমাজ স্বভাবতই বিহ্বল হয়েছেন; বোধকরি কান্নারত শিশুর জায়গায় নিজের কিংবা পরিচিত কোনো শিশুর মুখাবয়ব কল্পনা করে শিউরেও উঠেছেন।
রিপোষ্ট "সামন্ততান্ত্রিকতা "
আমাদের সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা বদলাচ্ছে ধীরে ধীরে কিন্তু এখনও কারো কারো দাসমালিকসু্লভ আচরণে আশ্চর্য হই। আমরা হয়তো সভ্যতা কিংবা সুশীলতার গরিমায় অস্বীকার করতে পারি কিংবা স্বয়ং মার্ক্সও ভ্রান্ত হতে পারেন, বাস্তবতা হলো আমাদের ভুখন্ডেই দাস ব্যবসা প্রচলিত ছিলো। অচ্ছুতেরা বাজার থেকে বৌ কিনে নিজের যৌনযন্ত্রনা নিরসন করতেন একদা।
আমাদের সামন্ততান্ত্রিকতার প্রকোপ স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে কমেছে, সমাজ থেকে একেবারে উচ্ছেদ হয়ে গেছে এমনটা বলা যাবে না। পুরোনো দিনের বাংলা ছবিতে যেমন দেখা যায় বাস্তবতা ছিলো অনেকটা সে রকমই, সেই সময়ে অষ্টাদশ শতাব্দীর বাংলা দেশের একটা ছবি এঁকেছিলেন সুনীল, সেখানেও একই রকম দৃশ্যের চিত্রায়ন দেখে বলা যায় এই সামন্ততান্ত্রিক প্রথাটা তখনও ছিলো।
স্বাধীনতার ৪০ বছর: শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি কতোটুকু?
একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ৪০ বছর সময় খুব বেশি না হলেও একেবারে কমও নয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪০ বছর পার করছে। স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে এসে অনেকে হিসেব-নিকেশ করতে চাইবেন- এই লম্বা সময়ে বাংলাদেশ কতোটুকু এগিয়েছে। বিশেষত স্বাধীনতার পর গণমানুষ একটি স্বাধীন দেশের কাছ থেকে যে মাত্রার উন্নতি ও অগ্রগতি আশা করেছিল, সেই প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যকার ফারাক কতোটুকু সেটি দেখার সময় হয়েছে এখন।
শিক্ষক শিক্ষানীতি এবং অন্যান্য প্যাচাল ০১
বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি নেই বলে নীতিনির্ধারণী মহলে আক্ষেপের কমতি নেই, সবারই বক্তব্য শেষ পর্যন্ত একটি বাক্যে গিয়েই সমাপ্ত হয়ে যায়, একটি শিক্ষানীতি থাকলে সেটার সাথে সকল শিক্ষালয়ের শিক্ষাপাঠক্রমের সমঞ্জস্য করা যেতো, কিন্তু গোড়ার কাজটি করা হয় নি। শিক্ষাবিদদের আন্তরিক এবং আন্তরিকতাবিহীন প্রচেষ্টায় অবশেষে শিক্ষানীতি প্রণীত হয়েছে এবং সেই শিক্ষানীতিতে সেক্যুলার বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নির্মাণের আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়েছে। আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে এই শিক্ষানীতি থাকবে এবং সেটার ভিত্তিতে আমরা আমাদের শিক্ষাঙ্গনগুলোর পাঠ্যক্রম সরকারী নীতিমালার সাথে খাপ খাইয়ে নিবো।
ক্ষমা করো হে নারী
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস । এদিনে তোমাদের নিয়ে টিভিমিডিয়া টক শো করবে,পত্রিকায় বিশেষ পাতা বেরুবে , ব্লগাস্ফিয়ারে প্রচুর পোস্ট আসবে (নারীর সম্মানে পোস্ট স্টিকি হবে কোথাও ), ফেসবুকে ষ্ট্যাটাসের বন্যা বইবে কিন্তু তুমি নারীই থেকে যাবে বেলা শেষে । বস্তুত:দুনিয়ার সমস্ত আবিস্কারে
ইতিহাস বিনির্মানে
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা মুক্তির লড়াইয়ে
সাহিত্যে ধর্ম দর্শনে বিজ্ঞানে সংস্কৃতিতে
যুগে যুগে তোমরা রেখেছে অবদান
কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক ইতিহাস তোমাদের কথা চেপে গেছে
সমাজ তোমাদের কথা ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে
আর শিশ্নকেন্দ্রীক সাহিত্য সমালোচনা তোমাদের অস্বীকার করেছে ।
আজ আমাদের এ দীনতা ও অপরাধ ক্ষমা করো হে নারী ।
কন্টাক্ট লেন্স
কেমন আছেন সবাই? এটা ব্লগে আমার ১ম পোস্ট ।ভাল লাগছে লিখতে পেরে
পোস্টটা দেয়ার সময় ১টা প্রশ্ন ঘুরছিল মাথার মধ্যে । সেটা দিয়েই শুরু করলাম
পাওয়ার কন্টাক্ট লেন্স কোন কম্পানীরটা ভাল হবে?
ল্যাসিক কি নিরাপদ?কোন সাইড এফেকট নেইত?
... ................................
................. .................................
........................... ..........................
............................................... ............................
কাবজাব - ৫
আমার মাঝে মাঝেই খুব অর্থহীন লাগে জীবন। জীবন জীবনের মানে সবই অর্থহীন লাগে। শূন্যতা ঘিরে ধরে নিজেকে। দার্শনিক একটা ধাচ চলে আসে নিজের মাঝে। অর্থহীনতার মাঝেই হাতড়ে বেড়াই, অর্থ খুজি। প্রিয় কোন মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে, কথা বলে যখন নিজেকে অপরাধী লাগে বা নিজের কোন কৃতকর্মের কথা চিন্তা করে থই খুজে পাই না। কেমন যেন সব খালি হয়ে যায়। মনে হয় হয়ত বুদ্ধই ঠিক করেছিলেন, সংসার ধর্ম ছেড়ে মানব ধর্ম আকড়ে ধরেছিলেন। শূন্যতার মাঝেই খুজে পাওয়ার চেষ্টাই হয়ত তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গেছে। হয়ত লালনই ঠিক, এ জীবনের মানে শুধুই তিন পাগলের মেলা। বাউল সন্নাসীরা কেন ঘর ছাড়ে হয়ত একটু একটু বুঝতে পারছি আজকাল।