ইউজার লগইন
ইতিহাস
গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও শহীদ নূর হোসেন
যে অধিকারের জন্য ৩০ লাক্ষ মানুষ শহীদ হতে হল, তার এক দশক পরেই জন্ম নিল বাংলার মাটিতে এক বিশ্ব বেহায়া স্বৈরাচার, মানুষের নুন্যতম গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে যখন বঞ্চিত হল, তখন এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তুললো,.....১০ই নভেম্বর ১৯৮৭..সকাল থেকেই গুলিস্তান, জিরু পয়েন্ট, পল্টন এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এসে জড়ো হতে লাগলো,..তরুন, কিশোর, বৃদ্ধ সকল বয়সী প্রতিবাদী মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠলো পুরো এলাকা...সে এক অভাবনীয় দৃশ্য। সবাই স্বৈরাচারী এরশাদের হাত থেকে মুক্তি চায়, চায় গনতন্ত্র...যেখানে মানুষের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।
রক্তাক্ত কারাগার, ৩ নভেম্বর'৭৫
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সংঘটিত হয়ে গেলো ২/৩ নভেম্বর রাতে রক্তাক্ত এক কুখ্যাত জেলহত্যাকান্ড। মুজিব খুনি মেজর ফারুকের বিশ্বস্ত রিসালাদার মোসলেমউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দলকে তারা(ফারুক,রশিদ,মোশতাক) পাঠান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। দলবল নিয়ে গভীর রাতে জেলে পৌছে আওয়ামীলীগ নেতাদের হত্যা করতে চাইলে জেলের আইজি, ডিআইজি এবং জেলার হতবম্ব হয়ে পড়েন। জেলে এই সময় ফোন আসে বঙ্গভবন থেকে। আরেক খুনি মেজর রশিদ এর আগেই আইজি প্রিজন নুরুজ্জামানকে জানিয়েছিলেন মোসলেমউদ্দিনের জেলে আসবার কথা।
ফোন করে মেজর রশিদ জিজ্ঞাসা করেনঃ- মোসলেমউদ্দিন কি পৌঁছেছে?
নুরুজ্জামান বলেন, জী পৌঁছেছেন কিন্তু আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
রশিদঃ আপনি প্রেসিডেন্টের(মোশতাক) সাথে কথা বলেন ।
মোশতাক ফোন ধরলে নুরুজ্জামান বলেন স্যার মোসলেমউদ্দিন সাহেব তো বন্দিদের গুলি করার কথা বলছেন।
মোশতাকঃ সে যা বলছে তাই হবে। ....এই বলে মোশতাক ফোন রেখে দেন।
সংগ্রামের ঐতিহ্যয়ের ১৭ই সেপ্টেম্বর, মহান শিক্ষা দিবস।
১৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬২ সাল, পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লরাই করতে গিয়ে শহীদ হন মোস্তফা, ওয়াজিউল্লা, বাবুলসহ নাম না জানা অনেকেই। তাই আমরা তাদের স্মরণে পালন করি "শিক্ষা দিবস"
যে ইতিহাস বলতে চাই না
ব্লগ জগতে অবস্থানে দিক থেকে একমাত্র শক্তিশালী অবস্থানে আছে আওয়ামী লীগ ও বাম দলের ব্লগাররা। প্রায়-ই দেখতে পাই এই ব্লগাররা একে অপরের দলের দোষ-ত্রুটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিশেষ করে ইস্যুটি হয়; স্বাধীনতা পরিবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলোর বিশেষ করে চৈনিক বামদের ভূমিকা নিয়ে। কে কতো দোষ বা অপরাধ করেছে তাই হয় তার মূল বিষয়। আওয়ামী লীগের কথা শুনলে মনে হয়; স্বাধীনতার পরে তারা শুধু একটি মাত্র ভুল করেছে আর বামের কথা শুনলে মনে হয় এরা কোন ভুল-ই করে নাই। আমরা আমজনতা ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে এদের দোষ গুলোর দেখার চেষ্টা করি।
দালাল আইন এবং দালালবান্ধব সামরিক শাসক
৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ছোট দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিতে সাগর পরিমান রক্ত দিতে হয়েছে। আর সেই স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী একটি শ্রেণী সেসময় দেশব্যাপী চালিয়েছে গণহত্যা, গণ ধর্ষন, রাহাজানি, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে আগুন দেয়া, লুট এবং মানবতা বিরোধী আরো অনেক কাজ। তারা ভেবেছিলো এসব করে দেশকে স্বাধীন হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে, আর আমরা আজীবন অধিকারবঞ্চিত পরাধীন জাতি হয়েই থাকবো।
এই যে একটি শ্রেণী ধর্মের দোহায় দিয়ে পাকিস্তানীদের দালালীতে লিপ্ত ছিলো গোটা নয়টি মাস, তাদের শাস্তির জন্যই ১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই উদ্যেগ নিয়েছিলেন বলেই মাত্র ১৪দিনের মাথায় ২৪শে জানুয়ারী "দ্যা বাংলাদেশ কোলাবোরেটরস অর্ডার ১৯৭২" বা "দালাল আইন আদেশ" শিরোনামে আইন প্রনোয়ন করা হয়। নতুন দেশ, নতুন সবকিছু, তাই এই আইনটি চুড়ান্ত হতে আরো তিন দফা সংশোধন করা হয় যথাক্রমে ঐ বছরেরই ৬ই ফেব্রুয়ারী, ১লা জুন এবং ২৯শে আগষ্ট।
জানা যাক, এই দালাল আইনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীঃ
১৭ই মার্চ, ১৯৭২ঃ শহীদ পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে ঢাকায় মিছিল বের করে।
শাহবাগ এর কথিত 'নাস্তিকতা' এবং ‘সত্যব্যবসায়ীদের’ যুথবদ্ধতা
সত্যের বিপরীতে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ধর্মাশ্রিত মিথ্যাচার এবং ধর্মের মতলবী ব্যবহার নতুন নয়; পৃথিবীর ইতিহাসে এ পদ্ধতি পুনপৌনিকভাবে ব্যবহার করেছে অপশক্তিসমূহ। মৌলবাদীশক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক শক্তি। সামরিক শক্তি। এমনকি গণতন্ত্রের লেবাসে অগণতান্ত্রিক শক্তি। বুদ্ধিজীবিতার ছলে বুদ্ধির বিকিকিনিতে অভ্যস্ত পেশাদার বুদ্ধিজীবীমহলও। সুতরাং মতাদর্শিক লড়াইয়ে টিকতে না পারার ভয় ও শংকায় আকন্ঠ নিমিজ্জিত হয়ে কাউকে বা কোন একটি গোষ্ঠীকে ‘নাস্তিক’ বিধর্মী’ হিসেবে আখ্যায়িক করা একটি পুরনো প্রতিক্রিয়াশীল কৌশল। খ্রীস্টেরও জন্মের প্রায় চারশ’ বছর আগে, খ্রীস্টপূর্ব ৩৯৯ সালে এ কৌশলটি ব্যবহার করেছিল সে সময়ের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি। সক্রেটিস এর বিরুদ্ধে। সে সময় একই অভিযোগে সক্রেটিসকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সক্রেটিস নাস্তিক। সক্রেটিস ধর্মে বিশ্বাস করেন না। সক্রেটিসের চিন্তা, যৌক্তিকতা আর

সময়ের লাশ শেষ পর্ব
সন্ধ্যার পর বাবা তার ছাত্র মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহকে নিয়ে বাসায় আসলেন। মাহফুজ ভাই প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। তিনি কবিতা, গল্প লিখেন পত্র-পত্রিকায়। আমি সেই বিকাল থেকে কান্নার্ত চোখে শুয়েছিলাম। বিছানা থেকে উঠে দরজায় আসতেই মাহফুজ ভাইয়ের মুখ থেকে ছাত্র হত্যার ঘটনা শুনতে পেলাম। উনি বলতে লাগলেন, “আগের দিন থেকেই একটা আশঙ্কা ছিল--আগামীকাল মারাত্মক কিছু ঘটে যেতে পারে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে কোন মিছিল হলে সরকার কঠিন ব্যবস্থা নিতে পারে। অবশ্য মিছিলের উপর গুলি বর্ষিত হতে পারে এমন আশঙ্কা আমার মনে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাই ঘটলো। সংবাদ অফিসে থাকতেই শুনলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের অবস্থা খুবই খারাপ। ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল শুরু হয়েছে, যে কোনো সময় মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। আমি শংকিত চিত্তে আবার আজিমপুরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম, সারা পথেই স্থানে স্থানে মানুষের জটলা। সবাই শংকিত, কি ঘটে না ঘটে। আজিমপুরে পৌঁছেই শুনলাম, মেডিকেল কলেজের মোড়ে পুলিশ ছাত্র জনতার উপর গুলি করেছে, বহু মানুষ তাতে মারা গেছে। এই খবর শুনে আমিও অন্যান্য মানুষের সঙ্গে দৌঁড়ে পলাশী ব্যারাকের মোড়ে গেলাম। তখন
সময়ের লাশ ৪ র্থ পর্ব
মনে পড়ে, আর একদিনের কথা। সেদিন পুকুরে এক ঘটি জল আনতে গিয়েছিলাম লক্ষ্মী পূজাটা সম্পন্ন করার জন্য। অনেকটা ইচ্ছে করেই গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি ও স্নান করছে। পায়ের কাপড়টুকু উঠিয়ে যেই ঘটিটা পানিতে ডুবিয়েছি অমনি সে বলতে আরম্ভ করল, আমি যাকে ভালোবাসি তার পা আমি কোনদিন দেখিনি। তার বুকে হেঁটেছি, শুয়েছি। একদিন হয়তো তার কোলে ঘুমিয়ে যেতে হবে। আমি বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। কোন কথা না বলেই সেদিনও চলে এলাম। ঘাটের সিঁড়ির চারটি ধাপ পার হতেই ও আমাকে পানি ছিটিয়ে দিল। বলল, ‘তুমি সুন্দর, আমার সেই প্রেমিকার মত--ঠিক প্রেমিকার মত!’ কে ওর প্রেমিকা? সেদিন বুঝতে পারিনি। অনেক পরে বুঝতে পেরেছি। আরেকদিন কোন এক কথা প্রসঙ্গে বাবাকে বলেছিল, ‘জানেন স্যার, এই বাংলার সবাইকে আমার বড় আপন মনে হয়। আমার তো মা-বাবা কেউ নেই। তাই এ দেশ, এই মাটিই আমার মা-বাবা।’ ওর সাথে কখনও কথা বলিনি। কেন? লজ্জা হয়? না, অন্য কিছু--আমি জানি না। আমাদের ব্যাপারটা মা-বাবা-রাম সবাই জেনে গেছে। তাই আমাকে প্রায়ই মায়ের বকা শুনতে হয়। সুমাদকেও একবার বকা শুনতে হয়েছে। একদিন দূর থেকে ওকে দেখেছিলাম। ও কাঁদছে। কেন কাঁদছে? কেন?
কি হয়েছিলো সে রাতের পরে
শশাংক সাহেবের বই থেকে জানা যায়, সেদিনের সেই গোপন মিটিং এর পরে সর্বাধিক গোপনীয়তায় আরো দুইবার, বঙ্গবন্ধু, মানিক মিয়া এবং তিনি গোপনে দেখা করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের ভারতের কাছ থেকে চাওয়া সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা নেয়া।
সময়ের লাশ 3য় পর্ব
দু’জনেই চলে গেল। বাবা অবশ্য আদর করে বলেছিল, ‘এগুলো কিছু না, মা। কালই আমি সুমাদকে নিয়ে আসব।’ স্বপ্নের কথা বললেও চিঠির কথা গোপন রেখেছিলাম। আবার ঘুমিয়ে ভাবতে লাগলাম আর মনে মনে বলতে লাগলাম--আমি কে?--না, আমি দিলীপ দাসের মেয়ে কল্যাণী। আমার বয়স চৌদ্দ। বাবা-মা আমার জন্য বর দেখছে। আমি শিক্ষিতা, সুন্দরী (সবাই বলে)--আমার হবু স্বামী নিশ্চয়ই খুব সচ্ছল হবে। তবে সুমাদ একি বলছে, আমি একটা মানচিত্র! রাত তিনটা বাজে। আমি আবার চিঠি পড়তে শুরু করলাম। ‘তোমার সারা দেহের লোমে লোমে ছড়িয়ে আছে আ- ই- ক- ম...। ওরা তোমাকে দলিত মথিত করে তোমার লোমগুলি একটি একটি করে তুলে নকল উর্দু অক্ষরযুক্ত লোম লাগিয়ে দেবে। তুমি অপসংস্কৃতি আর পরাধীনতার শৃংখলে আটকে যাবে। তোমার ভাষা হবে দেহের সাথে সম্পর্কহীন। তোমার কথা এত মধুর শুনাবে না। বুঝতে পারনি?
বড়দিন ১৯৬২ - যে রাতের কথা অজানা অনেকেরই
যেভাবে বিকৃত হয়েছে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগষ্টের পরে আমাদের ইতিহাস, তাতে ২৫শে মার্চ মধ্যরাত্রিতে বঙ্গবন্ধুর বেতারে ভেসে আসা সেই বাণীগুলোর আগ পর্যন্ত কিংবা ৭ই মার্চের আগ পর্যন্ত অনেকেই মনে করি স্বয়ং বঙ্গবন্ধুও নাকি চেয়েছিলেন স্বায়ত্ত শাসন। দোষ আমাদের নয়, ঠিক এভাবেই প্রচার করা হয়েছে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে। আজ জানবো জাতির এই মহান নেতা কত আগেই মনস্থির করে ফেলেছিলেন স্বাধীন রাষ্ট্রের, কত আগেই তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন বাংলার তার অন্যতম এক ঘটনা।
রাঁঙিয়ে দাও লাল সবুজে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কম বেশী সকলেরই জানা, আমরা জানি ১৯৭১ সালে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো আর সেই যুদ্ধে বাঙ্গালী জাতি পরাজিত করেছিলো ততকালীন পশ্চিম পাকিস্তানকে, আর ছিনিয়ে এনেছিলো লাল সবুজের পতাকা।
আজ আর সেই কথা বলবো না, আজ বলবো অন্য এক বিজয়ের কথা।
’৫২ সালের সময়ের উপর ভিত্তি করে ধারাবাহিক গল্পঃ সময়ের লাশ
স্বপ্নের হাত ধরে কৃষ্ণপক্ষের রাত্রির অন্ধকারে অনন্তের পথে ছুটে চলা স্মৃতিগুলো প্রত্যেক মানুষের জীবনে জোনাকীর মত জ্বলে আর নিভে। ‘সময়ের লাশ’--গল্পে বৃদ্ধ বয়সে উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে নায়িকা নায়কের সাথে তার প্রেমের কাহিনী এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভুমির কিয়দংশ বর্ণনা করেছেন। এখানে নায়ক ’৫২ সালের সময়ের ধারক, নায়িকা মাতৃভূমির ধারক অর্থাৎ গল্পটি যেন, ’৫২ এর সময়ের সাথে লাজুক মাতৃভূমির ভালোবাসার লুকোচুরি-মিছিল-আন্দোলন-যুদ্ধ-মৃত্যুর খেলা।
সময়ের লাশ
--শাশ্বত স্বপন

মাস্টারদা আমাদেরই
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের বাঙ্গালীদের অনেক বড় ভূমিকা থাকলেও স্বীকৃতি যেটুকু আছে তার কৃতিত্ব পুরোটায় দাবী করে বর্তমান ভারত, তবুও ইতিহাস বলে বাঙ্গালীদের দাবিয়ে রাখা যায়নি কোন কালেই, কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি এই জাতি, কোন লোভ কিংবা ভয় দেখিয়ে বাঙ্গালী জাতির কোন আন্দোলনকে রুখে দিতে পারেনি কেউ কোন কালেই। শুরুটা করে দিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেন। চট্টগ্রামের সেই সূর্যসন্তান। ১২ই জানুয়ারী ১৯৩৪ এর দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটেই মাস্টারদা কে এবং তার সঙ্গী তারেকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসী দিয়েছিলো ততকালীন বৃটিশ সরকার।
হিন্দু ধর্মের রীতি অনুযায়ী তাদের লাশের সংস্কার করা হয়নি। ফাঁসীর পর লাশদুটো জেলখানা থেকে ট্রাকে করে ৪ নম্বর স্টীমার ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর মৃতদেহ দুটোকে ব্রিটিশ ক্রুজার "The Renown" এ তুলে নিয়ে বুকে লোহার টুকরা বেঁধে বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরের সংলগ্ন একটা জায়গায় ফেলে দেয়া হয়।
জীবন বৃত্তান্ত - এম এ বেগ
আলোকচিত্রাচার্য মঞ্জুর আলম বেগ , যিনি এম.এ.বেগ. অথবা বেগ স্যার নামে বেশি পরিচিত, ২০০৭ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত, বাংলাদেশের ফটোগ্রাফীর প্রবাদ পুরুষ, ওনার সংক্ষিপ্ত জীবনী সংকলন করলাম।
M.A. BEG
একুশে পদক ২০০৭
Dip-in-Photography & MIRT (UK), FBPS (BD), ASIIP (INDIA),
Hon. FBPS (BD), Hon.FPAD (INDIA), ESFIAP (Int’l)
পারিবারিক
মনজুর আলম বেগ (এম, এ, বেগ) নানার বাড়ীতে, রাজশাহীর নবাবগঞ্জ জেলায়, শ্যামপুর গ্রামে ১৯৩১ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা প্রফেসর হোসামউদ্দিন বেগ (ছোট হুজুর) বরিশাল বি.এম. কলেজের আরবী ও ফারসীর অধ্যাপনা শুরু করেন মুর্শিদাবাদ থেকে বরিশালে এসে ১৯২৫ সালে। মাতার নাম যাহেদা চৌধুরী।
শিক্ষা বিষয়ক
১৯৪৭ সালে ম্যাট্রিক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৭২ সালে এইচ.এস.সি. পাশ করেন ঢাকা বোর্ড থেকে।
১৯৪৯ সালে পাকিস্থান এয়ার ফোর্স টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে ফোটগ্রাফী বিষয়ে করাচীতে প্রশিক্ষন লাভ করেন।