ইউজার লগইন
কবিতা
কাক ও দুঃখ
কাক
পৃথিবীর অন্য পাখিদের চেয়ে অন্যরকম।
আমরা কালো, কুৎসিত কতো কথাই না বলি।
কাক
কি সেটা জানে?
আমাদের বাসায় একবার কুকি নামে একটা কাক এসেছিল।
ওকে দেখে মনে হয় নি সেটা জানে।
দুঃখ
পৃথিবীর অন্য অনুভূতিগুলোর চেয়ে অন্যরকম।
আমরা কষ্ট, বেদনা কতো নামেই না ডাকি।
দুঃখ
কি জানে সেটা? আমার কাছে হারানোর নামে একবার দুঃখ এসেছিল।
দুঃখ কেমন বা কতটা সর্বনাশী আগে বুঝি নি।
---
শুধু আপনার, আর কারো না?
মহাদেব এখন আর আগের মতো ঘন ঘন দেখা দেন না
শূন্য বাসার এক কোনাটায় তিনি আসন গেড়েঁছেন
মাঝে মাঝে দেখি সেদিকটায় তাকিয়ে অনেকক্ষণ
মহাদেব ছিলেন। যখন জীবনটা সহজ সরলরেখার মতো
একটা প্রাথমিক শ্রেণীর সরলাংকই ছিল,
তখন মহাদেব ছিলেন।
কাদামাটি কিংবা খালি স্লেটের মতো একটা মস্তিস্ককে
তার সব নিউরণসহ নিজের কব্জাতে পেয়েছিলেন,
মহাদেব আজকাল আর আসেন না।
আমি মাঝে মাঝে মহাদেবকে খুঁজেছি
তিনি ধরা দিতে চান না অথচ
একটা সময় ছিল যখন
না চাইতেই চৌপরদিন
ঘরময় কুরুক্ষেত্র
করতেন।
আহা মহাদেব
কেন করতেন সেসব?
দীঘির জলের মতো শান্ত সবুজ
শৈলাধার হিসেবে আমার
দীর্ঘদিনের সুনাম ছিল
মহাদেব।
আপনার ছোট্ট খেয়ালে জন্মানো ঝড়ে
সেই দীঘির জলে পাখা লেগে
সাগরে মিশেছে গিয়ে
জানেন?
মহাদেব
আপনি জানেন না একবার
শুধু যদি আপনি আসেন
আমার প্রতিদিনের সূর্য উঠে যায়
আকাশে, আমার মনটা ভাল হয়ে যায়
অনায়াসে, আমি পাখির মতো উড়ে বেড়াই
জানালা থেকে এক ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
আমার জানালা থেকে এক
ভিনদেশি পাখির বাসা দেখা যেত
শীতের শেষে সেবার যখন খুব বরফ পড়েছিল
সে পাখিটির বাসাটাও বরফে ঢেকে যায়।
পাখিটা আমাদের ঘুলঘুলিতে এসে ঠাঁই নিয়েছিল।
ছোট্ট সে পাখিটা ধীরে ধীরে বন্ধু
তারপরে বন্ধু থেকে আপনজনে পরিণত হয়।
যদিও আমাদের ভেতর কথা হতো না কোনই
কিংবা ছোট্ট দু'টো চোখের ভেতর ওর
কোন আকুলতাও দেখি নি আমি কখনো।
শুধু একবার সেই ছোট্ট পাখিটা
আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিল।
বেচারী! কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে
আমার হাতেই নেতিয়ে পড়ে।
আমি তাকে সারিয়ে তোলার
চেষ্টা করতে গিয়ে দেখি
বুকের ঠিক মাঝখানটায়
নরম পালক দিয়ে উষ্ণ
মাংস ঢেকে রাখার জায়গাটায়
খুব যত্ন করে লুকিয়ে রেখেছিল
গোলাপের কাঁটা একটা।
পাখিটা একটা গোলাপকে ভালবেসেছিল
আহা রূপকথার বোকা পাখিদের দল
আর কতকাল বোকার মতো ভালবেসে যাবি তোরা?
ভাবতে ভাবতে হু হু করে কেঁদে দিয়েছিলাম আমিই।
নি:সঙ্গ জীবনটায় ওই পাখিটাই
একই প্রশ্নে বিদ্ধ অগণিত নক্ষত্রকণা
একটা তারার আলো
অনেক দুর থেকে ডাকাডাকি করে একদিন
বাড়ি এসে বার্তা দিয়ে গেল।
ভোরসকালে তখন একটু মুক্ত হাওয়ায় মেলে ধরেছিলাম
সারারাতের বাসি মুখ।
চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিলাম বাতাসের মিষ্টি গন্ধ।
আর তখনই সেই তারাটা সমন নিয়ে হাজির হলো।
আমার নাকি ডাক পড়েছে!
তারাটা এসেছে আমায় নিতে!
আজব কথা!
কি করে কখন কে আমাকে ডেকে পাঠালো?
এ মকবুল, দেখলি ব্যাপারটা? কেমন করে ডাক দিয়েছে?
এখন কি সব ছেড়েছুড়ে আমায় উঠতে হবে?
এটাও একটা কথা!
পৃথিবীর প্রায় পুরোটাই না দেখা রয়ে গেল তারপর।
তারার উদ্দেশ্যে ছুটতে গিয়ে আর সবার মতো মহাশূন্যে পথও হারিয়ে ফেললাম একদিন। তারপর থেকে তো ভেসেই বেড়াচ্ছি, এ অন্তহীন যাত্রাপথে।
সাড়ে চার বিলিয়ন বছর চলে গেল! ডাইনোসরের পর মানুষ এলো।
আগুনের পর এলো চাকা। ধর্মের পর সমাজ। তারপর টাকা। তারপর মালিকানা।
তারপর যুদ্ধ, যুদ্ধ আর যুদ্ধ
রেনেসাঁ, ষোড়শ, সপ্তদশ, অষ্টাদশ
তোমার চোখ
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
ডুব দিয়ে এক বালক সাঁতরায়।
ওকে ডেকে আমার
কান মলে দিতে ইচ্ছে করে।
অমন করে কি কারো চোখেতে ডুবতে আছে?
সর্বনাশা কালবোশেখী- এক পলকে গঙ্গা থেকে
সাগর মাঝে ভাসিয়ে নিলে?
হায়রে বালক, জানিস নি কি কখনো আগে
বালিকাচোখে কালবোশেখী-
হাসতে হাসতে নামতে পারে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটায়
এমন কত গল্প জমে,
চোখ ঝাপটে গল্পগুলো
মুছতে হয় কষ্ট করে।
তোমার চোখের ঘোলা মনিটা
অনেক দূরে অনেক দূরে।
---
নষ্ট ভালোবাসা
নষ্ট ভালবাসা
এ কি বাস্তবতা
নাকি
দুঃস্বপ্নের পাশাখেলা।
কতদিন তোমাকে দেখি না
কতদিন দেখতে পাব না
জানিনা।
আজ ভিন্ন ছাদের নিচে তুমি
পেতেছ তোমার কল্পিত স্বপ্নের
বাস্তব চাদর,
আমিও তথৈবচ।
এমনটি কি হবার কথা ছিল।
মনে পড়ে
সেদিন গুলোর কথা।
অশোক পাপড়ি ভেবে ,
তব
লিপিষ্টক বিহীন রক্তাব অধরের
সুগন্ধে।
ভ্রমরকে হার মানিয়ে তোমাকে
নিষ্পেষণ করার কথা।
ফুলের গন্ধের বিলীনতা
বা সৌন্দর্যের সমাপ্তি
আমি দেখেছি
কিন্তু তোমার ভেজা ঠোটের
রূপ রস গন্ধের কমতি
কি যে বলব,
বেড়েছে বই
কল্পনাতেও ফুরোয় নি।
তাই তো আমার পাগলামো বল
বা তোমার রগে রগে
মম বিচরণের স্মৃতিকাতরতা বল
আজও বেড়েছে বই
কমেনি,
কখনো বাইসাইকেল,
কখনো মটর সাইকেল,
কখনও মার্সিডিসের গতিতে
আবার কখনও হাওয়াই জাহাজ
বা কখনও মহাশুন্য যানের গতিকেও
হাড় মানিয়ে
পাহাড়, নদী, জল
এমনকি কত শত
কি সব দিনরাত্রি
আজকাল কোন স্বপ্ন নিয়ে ঘুম থেকে উঠি না
মিনিমাম ২ ঘন্টা ফোন চালাই বিছানায় শুয়ে শুয়ে
তারপর ক্লান্ত চোখে তাকাই বন্ধ জানালাটার দিকে,
বিচ্ছিরি বিরক্তিরা চারটা পাশ ঘিরে ভিড় করে আসে।
কোথাও একটা ইঞ্চিও ওরা ফাঁকা রাখে না
যেন ফাঁকা কোন বর্গইঞ্চি পেলেই আমি পালিয়ে যাবো
ওইখানে। লুকিয়ে পড়বো সন্তপর্ণে। তারপর বিরক্তিরা আর
আমায় খুঁজে পাবে না।
আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে যাই কলের পাড়ে
পানির ট্যাপ- ওটাকে কলপাড় বলা যায় না,
আবার যায়ও হয়তো কে জানে
ওই কলখানা দিয়েই তো ঠান্ডা,
গরম সবরকমের পানি আসে।
তারপরও কি রান্নাঘরের পানির ট্যাপকে কলপাড়
বলা যায়? না উচিত সেটা বলা?
আমার জীবনটাকেও খানিকটা সাযুজ্যময় মনে হয়।
শুধুমাত্র অলস একটা মস্তিষ্করূপী শয়তানের কারখানা ছাড়া
যার আর কোন কিছু নেই,
মানুষ হতাশ হলে বড় বিচ্ছিরি হয়ে যায়।
একসময় যেটাকে কলপাড় মনে হতো
আজকাল পানির ট্যাপও মনে হয় না
তোমাকে পড়ে না মনে
কবিতা/ তোমাকে পড়ে না মনে
আহসান হাবিব
১৫/২/২০২২
এখন তোমাকে পড়ে না আর মনে
তোমাকে না দেখতে দেখতে
কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে
তোমার মুখখানা।
অথচ এই মুখখানাই ছিল
এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুখ।
এই মুখখানার যিনি মালিক
তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব তা
কল্পনাতেও সম্ভব ছিল না।
তুমি যে দিন
বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলে
তার ক'দিন আগে এসেছিলে
কত কথা হলো, হাসি আনন্দ,
বিশ্বাস কর তোমার দেশে ফেরার আনন্দ
আমাকেও কি ভাবে প্রভাবিত করেছিল।
আমি তোমাকে বলতে পারিনি।
দেশে পৌছার আগ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত
একে অপরের আপডেট যেন লাইভ হচ্ছিল।
হঠাৎ দুূূদিন তুমি কন্টক্ট এর বাইরে।
দুশ্চিন্তায় অবর্ননীয় অবস্থা আমার।
তৃতীয় দিন তোমার ছোট্ট মেসেজ
আংগুল কেটে ফেলেছি
সাথে কাটা আংগুল এবং কান্না কান্না
কটা ছবি।
সেদিন তোমায় অনেক বকেছিলাম
তোমার অসাবধানতার জন্য।
মুখ বুঝে সব বকুনি সহ্য করেছিলে।
কবিতা: তোমাকে করার একটা প্রশ্ন আছে মনে
তোমাকে করার একটা প্রশ্ন আছে মনে
আবার চিন্তা হয় নুন আনতে যাহার
পান্তা ফুরায়, তার কি সাজে এই ভুবনে
কাউকে নিয়ে চন্দ্রযানে
সওয়ার হওয়ার
স্বপ্ন দেখার।
চন্দ্রভ্রমণ দূরেই থাকুক
হাতের কাছে সিকিম চলো।
কি হয় তাতে? ছোট্ট সেটা স্বপ্ন আমার
তোমার সাথে রাতের আধাঁর, কাটলে কাটুক
পথেই নাহয়, হাতটি ধরে গল্প করে, চায়ের টংয়ে
পা নাচিয়ে, মেঠো পথে শিশির ছুঁয়ে, হাসতে হাসতে
ভরবো রাত। তোমার সনে একটি সাধ।
আর নাহয় তো বেনিংটনে, ছোট্ট কোন ফ্ল্যাটবাড়িতে
তোমার আমার যৌথখামার, সুখের প্রদেশ শান্তির দ্বার
সকাল যখন সাতটা বাজে, ঘড়ির ডাকে ছুটবো কাজে
রাতের বেলা ছুটছি দুজন, মজার শহর বেনিংটন
মধ্যরাতে খাচ্ছি পিজা, নিচ্ছি ট্রেন ইচ্ছামতো
ফিরছি ভোরে উইকেন্ডে, পাথর মনটা চাচ্ছে যতো।
তাও হবে না? সমস্যা নেই কো
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো
যাবে নাকি আমার সাথে
ওখানে একটা হোটেল হবে
সেই হোটেলে করবো আমি
যে ভাবেই পথ চলি
আহসান হাবিব / যে ভাবেই পথ চলি
৭/৩/২০২২
এই পৃথিবীতে যেভাবেই পথ চলি
আজ না হয় কাল থামতেই হবে।
ধীরে চলি বা দ্রুত চলি একদিন
তো থামতেই হবে।।
সুখে থাকি দুখে থাকি,
দরিদ্র বা ধনী থাকি
পথ তো চলতেই হবে
একদিন তো থামতেই হবে।
কেউ বা জগৎ বিখ্যাত হয়ে
কেউ আঁধারের অধস্তনে গিয়ে
কেউ খেতে না পেরে ছুড়ে ফেলে
কেউ ডাস্টবিনের খাবার গো গ্রাসে গেলে
কিই বা যায় আসে তাতে
একদিন তো যেতেই হবে।
তাই তো পথ চলতেই হবে
একদিন তো থামতেই হবে।
পৌ পৌ পৌ
আহসান হাবিব/পৌ পৌ পৌ
২৫/০২/২০২২
আজ দুপুরেের পর থেকে
অনবরত একটি পাখি
পৌ পৌ পৌ ডেকে যাচ্ছে।
কি যে করুন সুর
আর মেলডী।
যখন ছোট ছিলাম
গ্রামের বাড়ীতে
প্রায়ই এই ডাক শুনতে
পেতাম।
এই ডাক শুনলে মা সহ্য
করতে পারতেন না।
মায়ের ধারনা ছিল
এই পাখিটি তার
পুত্রকে হারিয়েছে
তাই পুত্রের কথা মনে হলেই
সে পৌ পৌ করে কেঁদে
শোক করতে থাকে।
কাছাকাছি হলে মা পাখিটিকে
তাড়িয়ে দিতেন।
কারণ আমার পিঠাপিঠি বড়
ভাই
কোন এক রুগে কদিন জ্বরে
ভুগেই মারা যান।
তাই মা এই পাখির ডাক শুনলে
সহ্য করতে পারতেন না।
আজ আমারো এই ডাকটি
সহ্য হচ্ছে না।
২০১০ সালে আপন ঠিকানায়
চলে যাওয়া মার কথা
খুব মনে পড়ছে।
আর মনে পড়ছে
সেই রেললাইনে ধারে
মেঠো পথটার পারে দাড়িয়ে
এক মধ্য বয়সী নারি
এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে
খোকা ফিরবে
ঘরে ফিরবে
নাকি ফিরবে না।
এই গানটি।
আমাদের গীতিকার জগতের
তারকা গীতিকার
প্রভাত ফেরী
প্রভাত ফেরী
আজ আকাশে অনেক তারার মেলা
কিছু নক্ষত্রও চোখে পড়ছে
কিন্তু নক্ষত্রের যে গুন ঝাপসা ঝাপসা দেখতে
তাই পরিষ্কার কিছু বুঝতে পারছি না।
যাই হউক কিছু একটা ঘটছে আকাশে
আনন্দ বেদনার মাখামাখি,
ভাল করে লক্ষ্য কর তো?
কি কিসের গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে?
ও প্রভাত ফেরী,
প্রভাত ফেরী, প্রভাত ফেরী, সংগে মোরে নাও।
সুরে সুরে নগ্ন পায়ে, কোথায় তুমি যাও?
কিসের টানে, কিসের আশায়, ছূটছ তুমি ধেয়ে
লালা গোলাপের সংগে নিলে, কৃষ্ণ চুড়ার মেয়ে।
প্রভাত ফেরী প্রভাত ফেরী কোথায় তোমার জন্ম?
পিছ ঢালা পথ, রক্তে শপথ রক্ত মেখে ধন্য।
কামার কুমার তাতী জেলে সবার মুখে ভাই
মাতৃ ভাষার চেয়ে মধুর আর যে কিছু নাই।
প্রভাত ফেরী প্রভাত ফেরী তোমায় শপথ অগ্নি।
ফাগুনেরই শোকের বসন পড়েছে মা ভগ্নি।
শহীদ হল সালাম বরকত জব্বার ও নাম না জানা ভাই
আগে পরে সব শহীদকে ছালামও জানাই।
রক্ত কভু যায় না বৃথা তাই দেখি নয়ন জুড়ে,
তোমাকে পড়ে না মনে
কবিতা/ তোমাকে পড়ে না মনে
আহসান হাবিব
১৫/২/২০২২
এখন তোমাকে পড়ে না আর মনে
তোমাকে না দেখতে দেখতে
কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে
তোমার মুখখানা।
অথচ এই মুখখানাই ছিল
এক সময় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুখ।
এই মুখখানার যিনি মালিক
তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব তা
কল্পনাতেও সম্ভব ছিল না।
তুমি যে দিন
বাংলাদেশ ছেড়ে চলে গেলে
তার ক'দিন আগে এসেছিলে
কত কথা হলো, হাসি আনন্দ,
বিশ্বাস কর তোমার দেশে ফেরার আনন্দ
আমাকেও কি ভাবে প্রভাবিত করেছিল।
আমি তোমাকে বলতে পারিনি।
দেশে পৌছার আগ পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত
একে অপরের আপডেট যেন লাইভ হচ্ছিল।
হঠাৎ দুূূদিন তুমি কন্টক্ট এর বাইরে।
দুশ্চিন্তায় অবর্ননীয় অবস্থা আমার।
তৃতীয় দিন তোমার ছোট্ট মেসেজ
আংগুল কেটে ফেলেছি
সাথে কাটা আংগুল এবং কান্না কান্না
কটা ছবি।
সেদিন তোমায় অনেক বকেছিলাম
তোমার অসাবধানতার জন্য।
মুখ বুঝে সব বকুনি সহ্য করেছিলে।
ঝগড়া
কবিতা/ ঝগড়া
আহসান হাবিব
১৩/১/২০২২
ভেবেছিলাম বালিয়াড়িতেই বাধব
একখানা ঘর
থাকবো তোকে নিয়ে।
কতবার আরম্ভ করেছি
হয়নি তোর পছন্দ
এখানে এটা না, এখানে এটা দাও
ওখানে এটা চলবে না।
সরলরেখা বক্ররেখা তখনো কারো
জানা ছিল না।
বালিতেই এঁকে এঁকে একে অপরকে
বুঝাতাম।
হঠাৎ বালিয়াড়ি ঝড়ে আরম্ভ করা
ঘর, দালান নিশ্চিহ্ন।
হলোনা ঘর, বাধা হলো না আর।
সাড়াদিন শুধু ঝগড়াই করতাম
এটা নিয়ে ওটা নিয়ে
যেন ঝগড়া করার জন্যই
মোদের জন্ম।
আবার দুদম্ড না দেখলে কারো
সহ্য হতো না।
থাকা যেত না।
এই নিয়ে আবার ঝগড়া।।
ঝগড়ার বাধন, সে যে কি
শক্ত, কি যে কষ্টের।।
তুই যেদিন লাল শাড়ি পরে
চলে যাচ্ছিলি
সেদিনও বালিয়াড়ির ঘর বাধার
মতো খেলাই মনে করেছিলাম।
পরদিনই বুঝতে পারি
না এটা বালিয়াড়ির ঘরের মতো
চাইলে সরলরেখা বক্ররেখায় বদলানো
যায় না।
আস্তে আস্তে বুকের ভিতর
চিন চিন টন টন
যতরকম ব্যথা আছে
করতে লাগলো।
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
গীতিকবিতা/ তুমি এ কেমন হাল
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
০৩/০৯/২০২১
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।
এই কুয়োর মাঝে বসত করে
লোভ নামের এক সাপ
যতই যেতে চাই গো দুরে
ততই গিলে খায় করে অভিসম্পাত।
হিংসা অহংকার দিলটারে।
হিংসা অহংকার দিলটারে মোর খাচ্ছে কুড়ে কুড়ে
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে।
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।
আর করবো না পাপ ভালো হব
নিত্য শপথ করি
ক্ষনিকে আবার মন ঘুরে যায়
আবার পাপেই মরি
মরা বাঁচার দোলে চালে
মরা বাঁচার দোলে চালে
নৌকা আমার কখন যে এলো তীরে।
তুমি এ কেমন হাল করেছ আমারে
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি
নড়ি চড়ি ঘুরিফিরি কুয়ারো ভিতরে।