ইউজার লগইন
কবিতা
আবেগ
আহসান হাবিব
সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট
বৈশাখ,০৩,১৪২১
কবিতাঃ আবেগ
এত আবেগ ঢেল না
আমি ডুবে যাব,
আর তুমি-
সেই সে ভয়ে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়া
আমার আবেগের সীমানা থেকে।
কিন্তু পেরেছে কি?
ভেবে দেখ।
অন্য আর একজন
চায় শুধু চায়...আবেগ।
ঢালো আবেগ
আরো ঢাল
আবেগে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও
ডুবিয়ে দাও
দিগন্ত প্রসারিত দু বাহু ভরে
তত টুকু আবেগ দাও
যা সমুদ্রের থেকেও গভীর
যে সমুদ্রে আমি সন্তরণ করব
কখনও ডুবে যাব।
আকাশের থেকে উঁচু
যেখানে আমি মনো হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়াব।
দিগংগনা হতে দিগংগনায়।
ঝরনার চেয়েও স্বচ্ছ সরোবর
যেথায় হংস হংসী হয়ে জলকেলি করব
নিঃশ্বাসের চেয়েও হবো প্রিয়।
সেই সে তপ্ত নিশ্বাসে
আপন মনে তাপিত হব
যাপিত হব
হিমালয়ের চেয়েও শক্ত হবো।
যাতে দুজনা দুজনাকে
এমননি ভাবে বেঁধে নিব
জনম জনমতক হব নাকো...।
-সমাপ্ত-
আবেগ
আহসান হাবিব
সিরাজগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট
বৈশাখ,০৩,১৪২১
কবিতাঃ আবেগ
এত আবেগ ঢেল না
আমি ডুবে যাব,
আর তুমি-
সেই সে ভয়ে
নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়া
আমার আবেগের সীমানা থেকে।
কিন্তু পেরেছে কি?
ভেবে দেখ।
অন্য আর একজন
চায় শুধু চায়...আবেগ।
ঢালো আবেগ
আরো ঢাল
আবেগে
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাও
ডুবিয়ে দাও
দিগন্ত প্রসারিত দু বাহু ভরে
তত টুকু আবেগ দাও
যা সমুদ্রের থেকেও গভীর
যে সমুদ্রে আমি সন্তরণ করব
কখনও ডুবে যাব।
আকাশের থেকে উঁচু
যেখানে আমি মনো হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়াব।
দিগংগনা হতে দিগংগনায়।
ঝরনার চেয়েও স্বচ্ছ সরোবর
যেথায় হংস হংসী হয়ে জলকেলি করব
নিঃশ্বাসের চেয়েও হবো প্রিয়।
সেই সে তপ্ত নিশ্বাসে
আপন মনে তাপিত হব
যাপিত হব
হিমালয়ের চেয়েও শক্ত হবো।
যাতে দুজনা দুজনাকে
এমননি ভাবে বেঁধে নিব
জনম জনমতক হব নাকো...।
-সমাপ্ত-
প্রার্থনা
আহসান হাবিব
হাসনাবাদ আর্মি ক্যাম্প
২০২১.০৪.১৫
প্রার্থনাঃ
সেহরী খেয়েছিস, না খেলে খেয়ে নে
আর ক মিনিট বাকি।
মুয়াজ্জিন উচ্চস্বরে উঠিবে ডাকি
তাই ত্বরা কর, ওজু করে তৈরী হয়ে নে।
শুধু কি মজজিদে মন্দিরেও যে বাজিবে ঘন্টা
গীর্জা প্যাগোডা, পশু পক্ষীর ঘরে বাদ যাবে কোনটা
এই যে দিনের আগমনে, কিংবা সন্ধা ঘনিয়ে এলে
প্রকৃতির সকল প্রাণী, সকল জীব আপনা আপনা বোলে
গাহিছে প্রভুর গুনগান কৃতজ্ঞতার স্বরে
হে প্রভু ক্ষমা মাগি তব কাছে আপনা আপনা গুনাহের তরে।।
ক্ষম ক্ষম মোরে, পরীক্ষা করোনা মোদেরে
করেনা বা করোনা সম বালা মসিবত দিয়ে জগতেরে।
সত্য বলা না বলা
সত্য বলা না বলাঃ সাহাদাত উদরাজী
মাঝে মাঝে মনে মনে ভাবি,
কিছু সত্য কথা চিৎকার করে বলে ফেলি,
পরিনাম যা হবার তাই হউক,
জেল জরিমানা গৃহত্যাগ বঞ্চনা লাঞ্ছনা
কিংবা আরো কঠিন কিছু!
কিন্তু পরমূহুর্ত্তেই মনে পড়ে,
এই প্রাণের সাথে আরো কয়েকটা প্রাণ জড়িয়ে আছে,
তাদের মমতা মাখা মুখ গুলো,
আমার সত্য ভাষণে কি কষ্টেই না পড়ে যাবে!
ফলে চুপচাপ দেখে যাই,
চুপচাপ শুনে যাই,
চুপচাপ হজম করি,
চুপচাপ সহ্য করে নেই!
তবে অন্তরে অন্তরে বলি শুধু,
বিধাতা তোমার যা খুশি করো,
নিয়তি দেখার জন্য কিছু কাল শুধু বাঁচিয়ে রেখ,
বিবেকহীনের যদি কখনো শুভবুদ্ধির উদয় হয়!
(মালিবাগ রেলগেইট এলাকা ২২/০২/২০২১ইং)
ভিন্নতার আজব সমাহার
ভিন্নতার আজব সমাহার
হাসনাবাদ
০৩/০১/২০২১
ভিন্নতার আজব সমাহার//
বছর আসে বছর যায়, পালিত হয় একই কায়দায়
কেউবা নাখেয়ে থাকে কেউবা আধ পেটা কেউবা বিরিয়ানি খায়।
কোথাও জ্বলে কপি বাতি, কোথায় লন্ঠন কোথাও আলোর ফোয়ারায়।
চোখ ধাঁধানো আলোর ছটায় নাচের তালে তাল হারায়, তাল হারায়ে যায়।
নতুন বছর আসবে যাবে, যতদিন এই ধরনী রবে
আলো বা অন্ধকারের হারে বিভাবরীর সাজন হবে
এটাই যে প্রকৃতির নিয়ম, তবে কেন কত সজন
উল্টাপাল্টা খায়।
হুশ হারায়ে জ্ঞান হারায়ে শেষ রাতে বাসায় ফেরে মাতাল অবস্থায়।
আধপেটা খাওয়া ছেলে গুলো, জ্বালিয়ে আবছা
মৃদু আলো
মাদ্রাসার ওই খুপড়ে ঘরে ছোট্ট স্বরে কোরান পড়ে
লাগে কি যে ভালো।
আহ্ কি যে ভাল লাগে।
বিশ্বাস না হয় দেখ একদিন, ভালো নিশ্চয় লাগবে সেদিন
কিসের নেশায় কিসের টানে,ছুটছে অহর্নিশ মৌন ধ্যানে।
এই ধরা হরেক রকম সাজিয়েছেন মাওলা যখন
আমি তুমি কি করব আর, ভিন্নতার আজব সমাহার
বিজয় দিবস তুমি //
১৬ই ডিসেম্বর, ২০১২ ইং
উত্তরা ঢাকা
বিজয় দিবস তুমি//
আমার কৌশোরে বড়শী ফেলে
দীর্ঘ শ্যান দৃস্টিতে তাকিয়ে থাকা
প্রতীক্ষার পর পাওয়া
ছট ফটানো মাছের আনন্দ।
কৌশোরে আম কাঠালের গাছে চড়ে
পাকা পাকা আম, কাঠাল পারা,
প্রমান সাইজের কাঠাল বা দু একটি আম
গাছে বসেই সাবার করার আনন্দ।
খেলতে গিয়ে ঘাম জড়ানো বিজয়ের পর,
মিছিল করতে করতে গ্রামে ফেরার আনন্দ।
বিজয় দিবস তুমি
এস,এস, সি রেজাল্টের পর বৃষ্টিতে ভিজে
রেজাল্ট সংগ্রহ করার পর আত্নীয় ও পড়শীদের
বাড়িতে মিষ্টি বিতরণের আনন্দ।
তুমি আমার বোনা ধান ক্ষেতে
ফলানো সোনালী ধান কাটার আনন্দ।
বিজয় দিবস তুমি, ন মাস প্রতিক্ষার পর
প্রথম বাবা হবার আনন্দ।
কিন্তু তোমাকে পেতে
হে বিজয় দিবস,
মনে পড়ে, গজেন স্যারের কথা,
কত আদর করতো আমাকে,
বড় ভাইয়ের বন্ধু, টগবগে তরুণ
যুদ্ধে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।
তার বিধবা মা আমৃত্যু
শুতে, বসতে, কাজ করতে করতে
আল্ কোরান
হাসনাবাদ
১৫/১২/২০২০
আল্ কোরান//
হে অনন্ত কালের দূরন্ত পথিক,
একটু শুনো
কোথা তুমি যাও, কোথা হতেই বা এসেছ তুমি
খানিক ফিরে চাও
জীবন নদীর অবিদিত পারাবারে, এপারে বা ওপারে
কে তব সহযাত্রী, ভেবেছ কি, জেনেছ কি, জানিতে কি চাও।
একটু শুনো,খানিক ফিরে চাও।
হে মহাকালের দুরন্ত পান্থ হে,
তব উদাহরণ, তব মিশাল তুমি এ ভবে
দেখেছ কি, দেখিতে কি চাও।
তব চলার নেই তো অন্ত, শীত গ্রীষ্ম কিংবা বসন্ত
তুমি চল, তুমি ছুটে চল, ফিরে নাহি চাও।
সে যেমন বলে,
চন্দ্র সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র, তারা বা নিহারিকার দলে
আপন কক্ষপথে চলে।
কেহ কারো স্থান না করি দখল, চলার গতিও হয় না বিকল।
সে চলে, সে বলে
কে সে? কে বলে? কে সে, কে চলে??
অনন্ত কালের অনন্ত গতিতে চলে।
সে যে জীবন্ত, নয় জড় গ্রন্থ, চাও কি উদাহরন
চাও কি প্রমাণ।
সে যে আল্লাহর বাণী, পারাবারের সহযাত্রী
আল্ কোরান। আল্ কোরান।
সূর্যের শ্বশুর বাড়ি যাত্রা
হাসনাবাদ
১৩/১২/২০২০
সূর্যেরখ শ্বশুর বাড়ি যাত্রা//
বাসে চড়ি শ্বশুর বাড়ি
যাচ্ছে সুর্য নতুন বউটা সাথে করি
ভালমন্দ খাইছে ঠাসি, জবাই দিয়া পালা খাসি
আহা কি যে চর্বি ছিল গায়ে,পালছে কালাই/ভুষি ফল খাওয়ায়ে।
খাসির সাথে মাছ তো ছিলই, ধরছিল মাছ ভইরা খালই।
শাক সবজি আর ভর্তা ভাজি, কি যে মজা হইছিল আজি।
চাটনি পাঠাইছে খালা শ্বাশুড়ি, মামা শ্বশুরের মিষ্টির হাড়ি।
গৌড়গোপালের দধির টেষ্ট, যে যাই বলুক আমি বলি বেষ্ট।
একে একে সকল খাবার তপন দাদা করলো সাবাড়।
এখন খাবে না খাবে কখন, নতুন বিয়ে শাদি করল যখন।
শক্ত সামর্থ্যবান তাগড়া ছেলে শক্তি কি হয় নাহি খেলে।
নাইট কোচটা এবার ছাড়ল বাহে , কি মজা হাওয়া ধীর বহে।
নতুন বাসটার সিটগুলা মজার কিরে, বাসটা এবার ছাড়লো জোরে।
খাবার গুলা সব পেটের ভিতর, হুমড়ি খেয়ে পড়ে একে অন্যের উপর।
বাসটা যখন চলে জোরে নাগরদোলা আরো বাড়ে
সংগীত সুরে সবাই অস্থির, হিশি মামা হলো হাজির
আমি যাচ্ছি বটেই!
আমি যাচ্ছি, তবে কোথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছি না।
চলমান কোন এক যন্ত্রের উপর আছি, টের পাচ্ছি, আমি যাচ্ছি!
শুধু এতটুকু মনে করতে পারছি, আমি যাচ্ছি, আমি যাচ্ছি!
আমার চার পাশে অনেকেই আছে, এদের আমার কাছের মানুষ বলেই দুনিয়া জানে,
দলিলে লেখা অথচ সত্য আমি জানি, এরা মুলত আমার কেহ নয়,
তাঁরা আমার প্রসঙ্গেও অব্যহিত নয়, আমি তাদের আগ্রহের কোন কিছু নই!
জ্বী, আমি যাচ্ছি, অজানা পথে আমি একাই যাচ্ছি!
এই তো সেদিন, ভোরের হিম শীতল আবহাওয়া আমাকে ডেকে বলে,
আয় কাছে আয়, গায়ে মেখে নে,
আমি দুনিয়ার এই সুন্দরতম দৃশ্য উপভোগ করতে পারি নাই।
কারন আমাকে যেতে হচ্ছে, আমি যে চলমান এক যন্ত্রের উপর আছি!
তেঁতুলের ডালে বসে আমাদের গ্রামের কোকিল কত না কুহু কুহু করছে,
আয়, আয়, আয় না। গাছের ছায়ার বসে একটু বিশ্রাম নে।
আমি বুঝতে পারছি, কিন্তু আমার যে থামার কোন উপায় নেই,
পাখিদের দুঃখ সুখ
আচ্ছা, পাখিদের কি কোন সুখ দুঃখ আছে?
পাখিদের কি করে জীবন কাটে?
কোথায় পাখিরা রাত কাটায়,
পাখিদের সঙ্গী কি হারিয়ে যায়?
সামান্য মলিমালন্যে পাখিদের সঙ্গী কি কর্কশ হয়ে উঠে!
আমি সারাদিন আমাদের খোলা বারান্দায় বসে,
পাখিদের ঊড়ে যাওয়া দেখি, বিশেষ করে সকাল বিকাল সন্ধ্যায়,
সকালে পাখি গুলো উড়ে দক্ষিন থেকে উত্তরে যায়,
আবার গৌধুলীর আগে উত্তর থেকে দক্ষিনে,
পাখি গুলো কেন প্রতিদিন এমন করছে!
পাখিদের শৃঙ্খলিত জীবন আমাকে অবাক করে।
দুরের আকাশে কি করে এত নিয়ম মেনে একসাথে ঊড়ে
আজ পর্যন্ত পাখিতে পাখিতে আকাশে কোন সংঘর্ষের খবর পেয়েছেন!
না, আমি আমার পাখি দেখা বহু বছরেও এমন দেখি নাই
গতকাল বিকেলেও যে পাখি গুলো উত্তর থেকে দক্ষিনে যাচ্ছিলো
সেখানেও আমার চোখ পড়েছে!
প্রকারভেদে পাখি অনেক প্রকারের হলেও,
নিজ বর্ণে পাখিদের মাঝে তেমন কোন ফারাক নেই!
এরা একে অপরকে চিনে কি করে,
সুলতানা
জানো সুলতানা,
আমি এখন আমার নিজের সব কাজ করতে পারি,
কাপড় চোপড় পরিষ্কার, হাড়িপাতিল ধোঁয়া,বিছানা চাদর, শোফা, মেজে,
রান্না তো তোমার কাছ থেকেই শেখা ছিলো!
জানো সুলতানা,
তোমার সেই তাছিল্য কথা গুলো এখনো আমার মনে পড়্,
তুমি কত তাচ্ছিল্যের সাথে বলতে, তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না!
জানে, সেই আমি এখন নিজের সব কাজ নিজেই করি!
জানো সুলতানা,
তোমার অতি আদরের পুত্র গত কয়েকদিন আগে,
বলে দিয়েছে, সে আর এই দেশে ফিরবে না,
এই দেশের নাকি সব কিছুই ভেজাল্, সুশাসনের বালাই নেই,
বেঁচে থাকার উপযুক্ত নয়!
তোমার মেধাবী মেয়েটাও আর তেমন খোঁজ নেয় না,
আমেরিকায় গবেষনার কাজে ওর হাতে সময় নেই,
আমি রাজী ছিলাম না, তবু তুমি তাকে পদার্থ বিজ্ঞানে পড়িয়েছিলে!
ছেলেমেয়েদের নিয়ে তোমার অনেক গর্ব ছিলো,
অথচ আমি বার বার বলতাম, ওদের মানুষ করো,
হ্যাঁ, ওরা অনেক বড় মানুষ হয়েছে দেশ ও দশের চোখে,
কিন্তু আমার কাছে 'অমানুষ'ই!
নোনাজলের ইতিহাস
এখনও বিষাদমাখা রাত্তিরের ঘোর অন্ধকার কাটেনি এতটুকু,
অগণন নক্ষত্রবীথির মৌনমেলা ভেঙে
পৃথিবীর আলো ফোটেনি কোথাও;
এখনও অনেকটা পথ বাকি।
অনন্ত মহাকাল ছুঁয়ে পরিযায়ী ইচ্ছেগুলোর
অপমৃত্যু ঘটছে অহর্নিশি,
খুব গোপনে বুকের ভেতরে বসতি গেড়েছে পাহাড়ি শঙ্খচূড়-
অথচ কি নিশ্চিন্ত বসবাস তার!
প্রোথিত গ্রন্থিতে নীলাভ ব্যথা লুকিয়ে দায় মেটাতে চায়-
পরিত্যক্ত জীবনের।
বসন্ত দিনগুলোর নির্বাসন হয়েছে সেই কবে! তবু তারেই খোঁজে-
পোড়ামাটির গন্ধমাখা অস্ফুট বৃষ্টির ঘ্রাণে, শরতের শেষ বিকেলে।
অকস্মাৎ চমকটা কাটতেই চোখে পড়ে-
কেউ কাছে নেই;
তখন নিঃসঙ্গ গাঙচিল একাকী ফিরে চলে- নীড়ে।
বহমান নদীর গর্ভে বিবর্ণ পাথরে
প্রাচীন শিলালিপি খুঁজতে গিয়ে শুনতে পায়-
নিবিড় নৈশব্দের বুক চিরে হাওয়ায় ভেসে আসা কান্নার গান,
কে যেন পেছন থেকে বলে- পথের শেষে দাঁড়িয়ে কী খোঁজ তুমি?
মাইকোফিন
জানেন, একদিন এই সারা পৃথিবী শহর হয়ে উঠবে,
উচু উচু দালানে ভরে উঠবে প্রতি ইঞ্চি মাটি
তবে কেন যেন মনে হয়, একেক বড় বড় দালানে
বাস করবে হয়ত ছোট এক পরিবার, গোটা চার!
জানেন, একদিন এই সারা পৃথিবী প্রযুক্তিময় হয়ে উঠবে,
পৃথিবীর কেন এক ইঞ্চি মাটিও ক্যামেরার বাইরে যাবে না
মানুষের প্রতিক্ষনের হিসাব সন্ধ্যায় সার্ভারে যাবে,
রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত, ভাল হলে বাসায় নতুবা রাতেই কারাগার!
জানেন, বিচার ব্যবস্থা হয়ত আর মানুষের কাছে থাকবে না
নানাবিধ যন্ত্রপাতি, রোবট আর কম্পিউটার, এরাই সমাজ দেখবাহাল করবে
আপনি হয় ভাববেন, আনন্দের জন্যই এই পৃথিবী,
আনন্দ করেই যেতে হবে!
জানেন, সলিম রাস্তায় দাঁড়িয়ে হিসু করায় জরিমানা গুনলো পাঁচশত ডলার
মারিযুয়ানার ধোঁয়া বাইরে দেখা দেয়ায় আমানের জরিমানা একহাজার
মহল্লায় নুতন আসা সুফিয়ার দিকে নজর দেয়াতে, দুই হাজার দিলো কালাম
খুনি!
একটু সময় হবে, খানিক এদিকে আসবেন,
আমার অনেক কথা জমে আছে, শুনবেন!
আপনাকে দেখার পর, আমি যে আর পারছি না,
আপনাকে নিয়ে কত কি ভাবছি, জানবেন!
সেদিন লিফটে আপনি আড় চোখে চাইছিলেন
আপনার ভঙ্গিতে ছিল জঙ্গী দৃষ্টি!
আর আমি ভাবছিলাম,
বিধাতার কি অপূর্ব সৃষ্টি!
জানেন, আমার স্ত্রী গত হয়েছেন ক্যান্সারে,
সেই প্রায় দশ বছর গেল!
সন্তানেরা রাশিয়ায় বসবাস গড়েছে,
এদেশে আর ফিরবে না এই তো বলে দিল!
কি নির্মম সময় কাটাচ্ছি, জানেন!
সব থেকেও মনে হয় কি নেই, জানেন!
একটু সময় হবে, খানিক এদিকে আসবেন,
আমার অনেক কথা জমে আছে, শুনবেন!
আচ্ছা, আপনিও কি আমার মত একা
স্বামী হারা, সন্তান হারা!
এই নির্জন ফ্লাটে, কি করে সময় কাটে
আপনিও কি আমার মত বাঁধন হারা!
আসুন না, একদিন, গল্প করি
চা পান করি, চানাচুর খাবেন!
জানেন, আমি খুব ভাল চা বানাতে পারি
নিশ্চিত চা পান শেষে প্রসংশা করবেন!
প্রেম
প্রেম,
খুব দৃষ্টিকটু ঠেকছে আজকাল।
কেমন বেমানান ছোট শব্দ,
সমাজে আর সঠিক খাবি খাচ্ছে না!
প্রেম,
আর নিতে পারছি না,
আমার সময় ফুরালো বলেই নয়
অপাত্রে সুধা যেন!
প্রেম,
দূর্বিসহ, অসহ্য স্মৃতি,
দেখিনি কোন মতিগতি
তবে অসময়ে ছিল বাড়াবাড়ি!
প্রেম,
কোন বড় সুফল বয়ে আনে,
তা তো নয়
আবার সুখের মূলে তা নিশ্চয়!
তবুও প্রেম!
যদি আর একবার জেগে উঠত!
আমি দেখে নিতাম,
হে আদি অন্ত!
*১৪/০২/২০১৯ইং