ইউজার লগইন
কবিতা
পরীক্ষার নাই শেষ( শনিবার থেকে জুনাঈদের পরীক্ষা। ও আপনাদের সকলের দোয়া চেয়েছে)
পরীক্ষার হল
নেই কোলাহল
কাগজের খসখস
কলমের ঠকঠক
মনের আছে বল
পরীক্ষার হল।
কারো হাত খাতায়
কারো হাত মাথায়
কারো লেখা ভালো
কারো লেখা মন্দ
কারও লেখা ধীরে
কারো লেখা জোরে
তবু লিখতেই হবে
লেখা নেই বন্দ।
টিচারের তেজ
খাতার পেজ
পরীক্ষার হলে নাই
কোনো কিছুর শেষ
ঘণ্টা যখন পড়ে যায়
সবার লেখা থেমে যায়
খাতায় তো থাকবেই ভুলের লেশ
জীবনে তো নাই পরীক্ষার শেষ
১৩/০৬/২০১৩ খ্রীঃ
আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ
আমরা বন্ধু ,তোমার জন্য
আজ আমি ধন্য আজ আমি গর্বিত
তব সদস্য পদ লাভে আমি নই বিজিত।
আজ আমি জয়ী, আমি ত্রিকাল দর্শী
মম কন্ঠ আজ ছায়ানট আমি উর্বশী।
আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ
করি না কারো কিছুতে আঘাত, নই তো অমানুষ
আমি নেচে যাই গেয়ে যাই ছুঁটে চলি দূর্বার
দীপ্ত কন্ঠে সিনা টান করে বলি, আমি ব্লগার।
আমি সব্যসাচী আমি ভার্সেটাইল আমি অমিত বিশ্বাস
আমি টোকাই আমি শান্ত আমি অকিঞ্চনের বৃথা আস।
আমি তানবীরা, আমি রাসেল জেলের শেকল ভাঙ্গার গান।
আমি চিন্তক,কুহেলিকা,ও হাজরাও নিভৃত স্বপ্নচারীর প্রাণ।
আমি আজান দিয়ে নামাজ পরি, মন্দিরে বাজাই ঘণ্টা
গীর্জা প্যাগোডা যথারিতি যাই বৌদ্ধ হলে বলনা কোনটা।
আমি মানি না কোন কিছু দেশের বিপক্ষে যদি যায়।
আমি দূর্বার আমি করি চুরমার আমি ডরি না কোন কিছুতে যদিও মৃত্যু এসে যায়।
তাই আমি আনন্দে আজ গেয়ে যাই,
মোর ঘূম ঘোরে এলে মনোহর
নমঃ নমঃ নমঃ নমঃ
শ্রাবন ও মেঘে নাচে নটবর
রম ঝম ছম ছম রম ঝম,
আ, আ...... (নজরুল)
২৯ জ্যৈষ্ঠ,১৪২০
১২/০৬/২০১৩ খ্রীঃ
বিবর্তনবাদ
এখন আমি উলঙ্গ নই ৷
প্রজাপতি কিংবা ঘাসফড়িং আমার ইচ্ছের
আকাশও নই ৷ ঘুড়ি আর নাটায়ের জীবন
প্রিয়তমা নদীটির আত্মার স্রোতধারায়
এখন আমি প্রকৃতির স্তন থেকে পাঠ
করি কবিতার রক্তমথ
সমুদ্রের
ভেতরে জেগে উঠা প্রতিটি দুঃস্বপ্নকে খুন
করে ফিরে আসি আমার ভূগোলে
আমার আমিকে মেলে ধরি ডালপালার মতো ৷
এখন আমি সুলেখা রে খুঁজে ফিরি ওয়ারীর
ছায়া বৃক্ষের মৌনতায় ৷৷
যদি লিখতে চাও
যদি লিখতে চাও লিখো,
উদয়াস্ত রবির বিচ্ছুরিত তৃনসম রবির কথা,
তাকে ছুঁতে গেলে জ্বলে যাব
তাই বেশী চাওয়ার আশা বৃথা।
নয়ত লেখো ঝাকড়া চুলের বাবরি দোলানো
বিদ্রোহী কবির বিদ্রোহের কথা,
নয়ত তার ললাটে জ্বলা রুদ্র ভগবানের কথা।
তুমি লিখো অনিদার, কেঊ কথা না রাখার ব্যথার কথা
আবার পাওয়ার আনন্দে পাপ না করার অঙ্গীকারের কথা।
তুমি লিখো দ্বিজেন্দ্রলালের
ওমা তোমার চরণ দু’টি বক্ষে আমার ধরি।
এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।
তুমি লিখো হুমায়ুন ত্রয়ের হুরমত উপাখ্যান
লালনের লালিত হৃদয় বিদীর্ণ সকল গান
অথবা আব্দুল করিমের অসংখ্য গানের সাথে
স্মৃতিকাতরতার সুন্দর দিনগুলোর কথা।
তুমি লিখ, তোমার লাডলা লাডলির চলন ক্ষনে
পিছ থেকে দেখা তোমার মনের অনুভুতির কথা।
তুমি লিখো পদ্মা মেঘনা যমুনার কথা
তুমি লিখো হিমালয় হতে বঙ্গোপসাগর তক
সকল প্রকৃতির কথা।
লিখো রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের বিরক্তকারি
হাজারও বিকলাঙ্গ ভিক্ষুকের কথা।
তুমি লিখ নিশাচর সেই রমণীর কথা
যাকে আমারা ঘৃনা করি
কিন্তু রবির অন্তর্ধানে তাকেই খুঁজে ফিরি।
তুমি লিখো রানা প্লাজা, স্পেকট্রাম, বেনিন ও পিলখানায়
শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
বিঃ দ্রঃ (এই কবিতাটি আমার নয়। আমার ছেলে জোনাঈদের লেখা দ্বিতীয় কবিতা )
দিন আসে দিন যায়
আমার চিন্তা বাড়ে ভাই,
স্যারের প্রশ্নের শেষ নাই
আমাদের পড়া বাড়ে ভাই।
রাতের আকাশে তারা অশেষ,
ছাত্রদের নাই সিলেবাসের শেষ।
বাবাক শুধাই তোমরাও এত পড়তে
বাবা বলল,সে কি আর বলতে
আকাশের যেমন অন্ত নাই
পড়ার তেমন শেষ নাই।
পড়াশুনাই হল আসল বল
আজকের শিশুরাই দেশ গড়ার কল।
০৭/০৬/২০১৩ইং
প্রকৃতিশোভা
নগরের কাঁচ দালানের বুকে উদীয়মান সূর্য
চেয়ে থাকে যুবতীর আপেল পীণের মত।
সে সুন্দর অথচ ধরা যায় না
হীরের মত তার শোভা ধাঁধায়।
টিয়ের মত এক টুনটুনি ছোটাছুটি করে
লাল লাল ঠোঁটে কারুকলা নিয়ে
তার বিজাতীয় পেখমের চারুকলায় স্ববর্ণীয় তুলি
সে জলে মিশে রঙের মত, দুধে আলতা গায়।
প্রকৃতি তুই বরফগলা নদী হলি, শীতের হু হু বাতাস হলি
ঠোঁটের কাছে মরুর শ্বাস হলি
অমন সুঢৌল অঙ্গ নিয়ে মন মাতালি
কে দিয়েছে এমন আবেশী নূপুর তোর পায়?
সাগরপারের কাঁচপাথরের সবুজ হলি, বকের দুটি ডানা নিলি
শাপলাফুলের পরাগ খেলি কালোজলের দিঘী হলি।
কঁচি লাউয়ের পায়ে পায়ে স্বরলীপির খেলায়
পাগল হওয়ার মৌসুম হল স্বপন আশার মায়ায়।
গাঢ় সবুজ পাহাড়ের তন্বী ভাঁজে ভাঁজে
লুকিয়ে থাকা রহস্য গোকুল গন্ধ আনে;
তার স্রোতের মত মেরুদন্ড দিয়ে উষ্ণপ্রস্রবণের জোয়ার
মনে হয় দু'দন্ড শীতলতায় ঘুমিয়ে পড়ি গাছের আবছায়।
তার নাভিমূলে এঁকে যায় বিশ্বকর্মা নিখুঁত পেয়ালা
উপত্যকার 'পরে যেন এক মাদকের গুমট জলা।
অবশেষ
অনেক অনেক হলো চাওয়া,
পাওয়াও কি হয় নি কিছুই?
আর কত!
সমস্ত কৃতার্থ-ব্যর্থ কামনার যুঁই
ছড়িয়ে দিয়েছি প্রিয় পরানের শবে –
মুষল বর্ষণ নামো, এসো খ্যাপা হাওয়া
অবশেষে ভাসাও এ অবশেষ তবে
তার ক্ষত
দাহস্মর, যাপিত কালের ক্লিশে দাগ
মুছে যাক অন্তিম উৎসবে।
অনেক অনেক রাত জেগে আছি নিভৃত একাকী
অর্থহীন, উদাসীন, বৃথা –
সময়ের বৃক্ষ ছেড়ে জীবনের পাখি
অন্ধকারে ঢেউ তুলে শূন্যে কবে উড়ে চলে গেছে
দেখেছি তা।
ভুল? না তো, কেউ কি কোথাও আছ বেঁচে?
কেউ কি আমাকে খোঁজো ঘুমঘোরে
হ্রস্ব-দীর্ঘ নিঃশ্বাসের শব্দের ভেতরে?
নাই, কেউ নাই।
ঘুমের সময় হলো, যাই।
jidajidir jidtai
একদেশে দুই নামিনী,
ঝগড়ে কাটায় যামিনী ।
বাগে পেলে এ উহারে
জবর কষে ঠোকর মারে ।
এক নামিনীর দন্ত-নখর
তীক্ন বেশি অষ্ট প্রহর,
অন্যটার বাসি গু
ঘেটে ছড়ায় অখুশবু ।
দোহাররা তার কোরাস ধরে
হোক্কা হুয়া হুয়া করে ,
ষোল কোটি ভয়ে ডরে
কুত্তার লাহান লেজ নাড়ে ।
অন্যটা একটু কম বাক,
রাখেও কিছু রাখ ঢাক ।
'ডঃ' এর শিং নাইযে
সমান তালে গুতাবে ।
দুইজনেরই উনারা নাই,
খোকা-খুকুরাও বিদেশ থায় ।
দুই নাইয়ার আছে শুধু
জিদাজিদির জিদটাই !
মাগো ভাত খাবো
( এটা আমার লেখা প্রিয় কবিতার একটি তাই পুরান হলেও এ ব্লগে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার এ ইচ্ছাকৃত অপরাধ কি ক্ষমা করা যায় না!)
লোভাতুর রক্তপিপাসু মাছিগুলো
বারবার কাটাফাটা রক্তাক্ত শরীরে
হানা দেয়।
অবচেতন শরীর ও মন,
নরম ঘুমের বারবার ব্যঘাত ঘটায়।
প্রায় অবশ হাতে মাছিগুলোকে
তাড়াবার ব্যর্থ চেষ্টা?
আর রুক্ষ্ম মরুর দু-স্বপ্নের মাঝে
সু-স্বপ্ন দেখা।
দেশ স্বাধীন হয়েছে, রুদ্ধশ্বাসে সবাই
ছুটে চলেছে গগন বিদারি জয় বাংলা
জয় বাংলা স্লোগানে।
আচমকা নরশ্বাপদের ঊচ্চ চীৎকার,
আর দুপায়ের স্বজোর লাথি,
উঠ শালে, শালে জয় বাংলা ঊঠ।
হরমড়িয়ে তাকিয়ে দেখে-----
কোন কিছু বুজে উঠার আগেই
নাকে মুখে কিল ঘুসি ও থাপর
বাতা শালে বাতা, কৌন কৌন হ্যায়
তোমহারা সাথ..................।
কিন্তু মা যে বলে দিয়েছে
যত নির্যাতনই করুক না কেন বাবা
কারো নাম বলবি না।
তাইতো নিশ্চুপ সব অত্যাচার সহ্য করা।
ধীরে ধীরে ভাঙ্গা জানালা ও ভেন্টিলেটরের
ফাঁক গলিয়ে আসা আলোর রেখাগুলো
ক্ষীন হতে ক্ষীণতর হতে লাগল।
বারবার চোখের পাতা ঘসেও
আলোর রেখাগুলোকে স্বাভাবিক করা গেল না।
জয়া তোমাকে বলছি
তুমি কি সেই জয়া
নাকি পার্বতী যার তপস্যার গুনে
ব্রহ্মার বরে
সোনার রঙ্গে রঞ্জিত হল অঙ্গ
নাম হল পার্বতী থেকে গৌরী।
নাকি তুমি
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের
নীলোৎপল তুল্য
নীলাভ জ্যোতিময় দৃষ্টিতে সৃষ্ট
ব্রহ্মার ত্রিকালেশ্ররী জগদ্ধাত্রী
বিষ্ণুপ্রিয়ার- জগদ্ধাত্রী লক্ষী
শিব শঙ্করের কৃষ্ণবর্ণী পার্বতী বা গৌরী,
তাই জয়া ও সৌন্দর্য অবিচ্ছেদ্য
যেমন
মেঘ ও বৃষ্টি
জল ও শীতলতা
আগুন ও আগুনের তাপ
চন্দ্র ও তার আলো
সূর্য ও তার দৃপ্তি
পৃথিবী ও তার সব কিছুর রূপ রস গন্ধ
জয়া বা পার্বতী হল সাগর
সোন্দর্য হল নদী
নদীর কি সাধ্য!
সাগর পানে ধেয়ে না যায়।
তাই সৌন্দর্যের কি সাধ্য
জয়া থেকে দুরে থাকে।
তবে কোরআন বলে
লাকাদ খালাকনাল ইনশানা
ফি আহসানী তাকবিম(সুরা- ত্বীন, আয়াত-০৪)
আমি অবশ্যই মানুষকে
সৃষ্টি করেছি
সুন্দর অবয়বে।
তাই
আবশ্যকতা আছে কি?
ফেবুতে ষ্টেটাস
দিয়ে জানতে?
তুমি কত সুন্দর!
কারন
তুমি, আমি সকলেই
সুন্দর!!!!
মেঘ কাব্য - ২
শ্বেত শঙ্খের মত নীল চোখের মেঘ এল
পয়োধর অঙ্গে সোনারাঙ্গা সকালের স্বর্গছাপ
মেঘ ছিড়ে মেঘ ভেসে যায় অজানায়
ঘাসের শরীর বেয়ে শিশিরের টুপটাপ।
এলো চুল দুলে দুলে, বকের পাখনা উর্দ্ধে তুলে
বেঁধে ফেলে সোনালী আঁশের মেঘকেশদাম-
সহসা উত্থিত হল বক্ষের সূর্য মধ্যগগনে
সে কী তেজ- কোন শিল্পীর তুলি দিতে পারে নাই তার দাম।
মেঘ আছে ধিয়ানে দাঁড়িয়ে যেন রূপকথার
গ্রীসের ক্যারিয়াটিড সকল দায় নিয়ে নির্ভার।
কী আছে মেঘের মনে, যাবে সে কোন পথে
কি দিয়ে তাকে রাখা যাবে- পায়রার শীতল বাতাসে।
বেশ তো ছিল মেঘ সকালের সোনা রোদে সোনালি ঝিলিক
কেন তারে ছুঁয়ে দিলি রূপালী ইলিশ
ঝর ঝর কালো মেঘে নীল সাদা বৃষ্টি
নাগর কালিয়ার ভালবাসায় মেঘ করবে শুভদৃষ্টি।
আমি কেন তাদের দলে নাই?
মাথার উপর চাঁদ, পায়ের নিচে অকূল।
নিজেকে দেখি আয়নায়, করোটিতে ভীড় করে দৃশ্যমান ভুল।
ভাবি, আমি কেন তাদের দলে নাই?
যারা লুটিয়ে দিতে পারে সবই,
প্রিয়ার কালো চুলে, কিম্বা মানবতায়!
আর আমি ?
আমি শুধু ভেবে অবাক হতেই জানি।
বিধাতার সাথে মেঘের আলাপ আমার কানে পৌঁছে..
বোধগম্য বানী একটাই, বিধাতা বলেন...
-যাকে আমি পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে পাঠাই, তার একটা না একটা গুণ থাকবেই-
যারা সেই গুণ টাকেই আপন করে নিয়ে, নিজেকে সফল করতে পাড়ি দেয় অতল গহীনে।
আমি কেন তাদের দলে নাই?
নিজের কাছে জমে থাকা ইতিহাসে মুখ লুকাই,
ডুবুরির মত খুজে ফিরি সাফল্যের নিদর্শন,
দীর্ঘশ্বাস শেষে-
আমি অবাক চোখে দেখি,
চরম দারিদ্রতা আর হতাশায় মানুষ কত খুশি..
আমি কেন তাদের দলে নাই?
নির্জনতায় বসবাস
১৬X১৪ ফুটের একটি কামরা
দুদিকের দেয়ালে
পিলার টু পিলার জানালা
পর্দা সহ খুলে দিলে
বাগানের পুরোটাই নজরে আসে।
অবাধ্য বাতাস
বিনে বাধায় এপাশ খেলা করে
এই রুমটি বাদে পুরো বাড়ীটাই
ভাড়া দেয়া। আজ ভাড়াটিয়ারাও নেই।
আমার পছন্দের এ ঘরটিতে
আমি একা, আমার একাকীত্বের
আমার নির্জনতা উপভোগের
এর চেয়ে উত্তম জায়গা আর নেই।
অমাবষ্যার নিকষ অন্ধকার,
পূর্ণিমায় চাঁদের আলো,
রাত জাগানিয়া পাখির মত
জেগে জেগে নির্জনতা
ঊপভোগ করি।
আজ ভর দুপুর...
বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,
মৃদু মন্দ হিমেল হাওয়া।
খোলা জানালায়
এপাশ ওপাশ খেলা করতে
আপন মনে আমাকে ছুয়ে যাচ্ছে।
বাগানের গাছগুলো কৈশোর পেরিয়ে
যৌবনে পদার্পন করেছে।
পরিবেশের সাথে তারাও
প্রকৃতির আপন খেলায় মত্ত
কে কার উপর পড়ছে।
কে কাকে আদর করছে
বলা মুশকিল!
তবে অনেক কিছুই ঘটছে।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, হিমেল হাওয়া,
বৃক্ষ রাজির প্রাকৃতিক খেলা,
একটি পরগাছা
কি যে মমতায় আশ্রিতকে জড়িয়ে।।
আমার মন প্রাণ নির্জন সত্তা
শিশ্ন সহসাই—
তারই কি দোষ দেব বল
বাগান বাড়ীর পিছনের অর্ধ উচু
প্রাচীরের উপর দিয়ে
সদ্য প্রস্ফুটিত কলার থোর,
হলুদ বসন্ত
আজ কোন সুদূরে ভাসাও খেয়া আলোর পারে,
কোন অচিন দেশের অচিনপুরের পথের ধারে?
সবুজ বনের আঁকাবাকা আলটি ধরে
দুচোখ ছাওয়া সর্ষে হলুদ থরে থরে
যাচ্ছো হেটে সঙ্গী তোমার ছোট্ট প্রিয়া
হাতটি ধরে নির্ভরতায় তোমার ছায়া।
ঝলমলে ঐ রোদ ছড়ানো প্রান্ত ছুঁয়ে
নীল নীল দিগন্তরেখা পড়ছে নুয়ে
প্রিয়ার চোখে ঝরছে অথই সুপ্ত মায়া।
উড়ছে হাওয়ায় হাওয়াইমিঠা তোমার প্রিয়া!
শিশিরকনাও ছুলো বুঝি পায়ের আঙুল
জলমোতিরা গড়লো বুঝি জলের নুপুর।
শিরশির ঐ বিন্দু ভেজা শাড়ীর পাড়ে
লাজুক মুখে তেসরা দিঠি চাউনি আড়ে
চুলগুলো তার উতল হাওয়ায় উড়ু উড়ু!
কাপছে পাতা বেতসলতা দুরুদুরু।
যাচ্ছো হেটে সঙ্গী তোমার একটা ছায়া
সেই তুমি আর একটি বিকেল তোমার প্রিয়া।
জানতে ভীষন ইচ্ছে করে
বসন্তে কি আজও ফোটে সর্ষেকলি?
হলদে সবুজ দিক থইথই ঝিলিমিলি?
ফাগুন হাওয়ায় ঘ্রান কি ছড়ায় আমের মুকুল?
মৌ মৌ তার মাতাল পরাগ গন্ধবিধুর?
আসে ভেসে অতীত কোনো স্বর্ণালী সূর?
ঠিক যেন এক পশলা বিকেল নামছে দূরে
বাজছে বাঁশী কোমল মধুর মগ্ন সূরে।
কবিতার ঋণ
প্রিয়তমা
তোমায় নিয়ে অনেকদিন
হয় নাকো
কবিতার গান শোনা
তবে আজ
থমথমে বৃষ্টির কথামত
কাব্যদেবীর পেটমোটা ব্যাংক থেকে
রাত জাগানিয়া চড়া সুদে
ধার করে এনেছি
রবিবাবুর শব্দভান্ডার
জীবনকবির মায়াবী ভাষা
আর আবুল হাসানের
বালিকাকে
প্রথমজন বাজাবে গিটার
দ্বিতীয়জন থাকবে কী-বোর্ডে
আর পরেরজন ড্রামসে
আর এতেও যদি কাজ না হয়
তবে
ভালোবাসার অমিত্রাক্ষর ছন্দে
শুধবো কবিতার ঋণ।
চলবে?
***
অনেকদিন পর ব্লগে কিছু লিখলাম। কেমন আছেন সবাই? আবার কবে গেট-টুগেদার? আমার হিসেবে তো ৫০ শব্দ হয়ে গেছে, তবু হয় নাই বলে কেন?