ইউজার লগইন
কবিতা
জল্লাদের চোখে একজন তাহের
আপনার জীবনের স্মরণীয়
ঘটনা কি?
কর্ণেল তাহেরের ফাঁসি
কেন?
মৃত্যুর কালো মুখোশ
ছুড়ে ফেলে নিঃশঙ্ক চিত্তে এগিয়ে গিয়ে
কেউ নিজে
ফাঁসির দড়ি গলায় পড়তে পারে
আমি কখনও দেখিনি , শুনিও নি
আমার জল্লাদি জীবনে,
তাহের
কর্ণেল তাহের,
দেশ প্রেমিক তাহের
বীর যোদ্ধা তাহের,
বীর মুক্তি যোদ্ধা তাহের
একজন ভাই তাহের,
যে বোনের ডাকে
১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে ছুঁটে যায়
বোনাইকে বাঁচাতে
সে বোনাই-ই ফাঁসি দেবার জন্য
আমার কাছে পাঠিয়ে ছিল।
আমি যে দেশ সেরা জল্লাদ।
তাঁকে ফাঁসি দেব
সে সাধ্য আমার কোথায়!
আমি পারিনি,আমি পারিনি
আমি কেন সাড়া পৃথিবীর
কার সাধ্য তাঁকে ফাঁসি দেয়।
সে যে যোদ্ধা, যোদ্ধার প্রতীক
১৯৬৫ র যুদ্ধ বিজয়ী বীর
মেরুন প্যারাসুট উইং খেতাব অর্জন কারী।
১৭৭১ এ ১১ নম্বর সেক্টরে পা হারিয়েও
মৃত্যুকে জয় করে হন বীর উত্তম।
১৯৭৬ সালের ২১জুলাই নিজেই
নিঃশঙ্ক চিত্তে মৃত্যুকে জয় করে হন
মৃতুঞ্জয়।
সাড়া দেশ,সাড়া পৃথিবী
তোমাকে জানে মৃত্যুহীন
ভয়হীন
একটি প্রাণের নাম
তাহের
কর্ণেল তাহের।।
তোমাকে নিয়ে লিখি
সে সাধ্য কি আমার
তাই তোমার বানী দিয়েই
আজ জোনায়েদের জন্মদিন
ফজরের আজান হয়ে গেল
মুসুল্লিগন মসজিদে যাচ্ছেন
দিন শুরুর প্রথম নামাজ
আদায় করতে।
সাত বছরের মেয়ে মৌ
জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে।
কাজের বুয়া ও কয়েকজন আত্নীয়
অপারেশন থিয়েটারের সামনে ।
আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিয়ে গেছে
ওটিতে।
এটা তার দ্বিতীয় সিজারিয়ান।
বগুড়ার মৌ ক্লিনিকের ডাঃ গোলশান আরা
আমার স্ত্রীর শিক্ষক, সব ডাক্তার বিশেষ
পরিচিত ও যত্নবান।
তবু কিছু মুহুর্তে মানুষের মনটা
হয়ে যায় অতি দুর্বল।
আমারও তাই, দোয়া ইউনুস থেকে
যত দোয়া জানি, পড়ে যাচ্ছি।
মিনিট ৪০-৪৫ পর নার্স এসে
তোয়ালে জড়িয়ে আমার কোলে দিল,
পৃথিবীর সকল সুখ,সকল সম্পদসম
আমার ছেলে
জোনায়েদ মাসুদ হোসাইন(শিফাত)কে।
অবশ্য এটা আমার দ্বিতীয় পাওয়া
আমার মেয়ে একি ক্লিনিকে
একই সময়ে আমার কোলে এসেছিল
সাতটি বছর আগে।
একই বা তারচেয়েও বেশী অনুভূতিতে।
ঠিকমত পরিষ্কার হয়নি, রক্ত ও শ্লেষা
লেগে আছে ওর গায়ে,
তাতে কি চুমুর পর চুমু খয়ে যাচ্ছি।
ওর নানি বলল, পাগল হয়ে গেলে নাকি।
আজান দাও,
আমি লজ্জা পেলেও
আল্লাহু আকবার, আলাহু আকবার
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান
ধ্বনিতে মৌ ক্লিনিকের চারদিকের
মিষ্টি মিষ্টি কষ্ট কষ্ট
১
মেঘলা আকাশ
বৃষ্টি নামবে আজ
ঢেউ তুলো তুমি ঘূর্ণিত ছন্দে।
২
ঘনীভূত অন্ধকার ফিকে হয়ে এলে প্রভাত আলোর
রুপের সাথে তোমার মিলটি খুঁজি
হে দীর্ঘকায়া
কত হবে সঙ্গিন
এই মায়া রঙিন
বসন্ত বিনম্র ছায়া।
৩
ট্রেন এসেই প্লাটফর্ম থেকে কুড়িয়ে নিলো তাকে
ফিরে তাকালো না পেছনে একবার
দৃষ্টি অসহায় মৌণ-বাক
হৃদয় বীণায় তার ছিঁড়ে যাক।
৪
হৃদ-কাব্যে তুমি জড়িয়ে গেলে
পীনোন্নত বক্ষে ভরে উঠে কবিতা
আম-আঁটির ভেপু বাজে রসালো
মিলে মিশে ভাসে সব একাকার।।
স্বপ্নটা ভেংগে গেল
(জোনায়েদ মাসুদ হোসাইন)
বিঃ দ্রঃ (কবিতাটা আমার নয়। আমার ৭ম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলে জোনায়েদের লেখা)
বিকালে খেলা শেষে
বাসায় ফেরার সময়
গ্রামীন ফোন বলল, চল বহুদূর।
বহুদূর গিয়ে দেখলাম
অন্ধকার হয়ে এসেছে
তারপর পাশ থেকে “রবি” বলল
জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে।
আমি ভাবলাম, এটি আবার কোন দেশে এলাম
“বাংলালিংক” বলল
এটি হচ্ছে বাংলালিংক দেশ।
আমি পিছন ফিরে বাসায় যেতে লাগলাম,
তখন টেলিটক বলল,
এমন কচ্ছপ গতির ইন্টারনেটের মত হাঁটলে
চলবে না।
আমি দৌড়াতে লাগলাম
ফেরার পথে সামনে
একটি বাধ পড়ল,
পাশ থেকে টেলিটক বলল
বাঁধ ভেংগে দাও।
আমি বাঁধ পেরিয়ে ভয়ে
দৌড়াতে লাগলাম,
বাসায় পৌছলে বাবা বলল
এটি কোন সময় হল বাসায় ফেরার
সময় কি বাংলালিংক দামে বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ একটি জোড়ালো আওয়াজে
আমার স্বপ্নটা ভেংগে গেল।
১৮/০৫/২০১৩ ইং
জলের সিঞ্চন শোনা যায়
কিছুই ঘটছে না, ঘটে না
আন্দোলন কোথাও কোন
মেঘ উঠে না, রৌদ্র পড়ে না
শুধু জলের সিঞ্চন শোনা যায়
দ্বিপ্রহরে দোলে দোলনায় দোলাচলে
শান্তির নিমিত্ত দাপাদাপি
খেয়ে ফেলে যদিও লেলিহান অনল
গালে প্রজাপতির ছাপ মেলে
ঠোঁটে ধরে মৃদু হাসি
দৃষ্টি গভীর তলে শুয়ে ঘুমন্ত
সে অপার সৃষ্টি।
টোকা দেবো বলে যেই
পরিয়েছি নূপুর পায়
মুক্ত চরাঞ্চলে পূর্ণিমায়
তখন নীরব নদীও ঘুমায়
সে জেগে উঠুক সুনিপুণ সুদৃঢ়তায়।।
মাতৃ বন্দনা
মা মাই, মা আর কেউ না
কখনো তুমি দূর্গা, কখনো কালি মা
কখনো জগদম্বা, জগৎধাত্রী মহামায়া
এক অঙ্গে এত রূপ, পড়ে না কালিমা।
মা তুমি মাই আর কেউ না
অবাক দেবতারা ভাবে তুমি দেবী নাকি ঈশ্বর
দিয়ে দেয় সকল শস্ত্র বান তূন শর;
দুই হাত দশ করে বহাও স্নেহের নহর।
মা তোমার হবে না তুলনা
নানা সৃষ্টি সৃজনেও ঈশ্বরের পূর্ণ হলনা লীলা
আপনি সাঁজলেন মাতা রূপে, বর্ষেন কৃপা
কবি-ঋষি করলেন কীর্তন ঈশ্বরের মহিমা।
মা একজনই, নয় বহু
জল হাওয়ার মিশ্রণে মাটির গুণে মা
কোমলে কঠিনে ভালবাসা স্নেহে অনন্য
ভাব দর্শণে সর্বজীবে এক অভিন্ন।
মায়ের তুলনা মা
সব দিকে থেকে যদি কালো হয়ে উঠা বিষাক্ত ফেনা
ফনা তুলে ঘূর্ণীবাত্যার মাতম জাগায়
যদি সারা পৃথিবী বঞ্চনার গ্লানী হতাশার চাঁদ ডুবায়,
একটি মন্দিরের দরোজা খোলা কান্না জানাবার।
মায়ের মহিমা শেষ হবে না
মা না হলে নির্দয় পৃথিবী ধ্বংস হত থাকত না স্রষ্টার মহিমা
মা হয়ে সৃষ্টি করলে, মা হয়ে সৃষ্টি রক্ষা করলে
ফিরে এসো
সে ঢেউয়ের মত ভেসে গেছে
চাঁদের আলোর দেশে গেছে।
কবি গুরু তুমি কাকে
কি উদ্দেশ্যে লিখেছিলে জানিনে,
কিন্তু তুমিও যে ভেসে গেলে
চাঁদের আলোর দেশে গেলে
আর যে ফিরে এলে না।
আমি আমার অস্তিত্ব
আমার অনুভুতি
আমার কল্পনা
আমার সঙ্গীত
আমার নৃত্য
আমার উপন্যাস
আমার চিত্রাঙ্কন
আমার সকল শিক্ষা
আমার সকল দর্শন
নিয়ে তোমাকে খোঁজে ফিরি।
কোথা পাব তোমায়
শুধু বাতাসে
প্রতিধবনি শুনি
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি
কিন্তু কোথায় তুমি!
তাই
ফেরিওয়ালার মত,
এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম।
খুজে ফিরি,
যখনি নিজের দিকে তাকাই
কত নিঃস্ব
নিজের বলে কিছু নেই
সবই মেকি
সবই তোমার ।
খাটাশ মার্কা গলায়
“দিবস ও রজনী আমি যেন কার
আশায় আশায় থাকি।“
প্রেয়সীর মন ভুলাতে
এ গানটি যখন গাই
খাটাশ কন্ঠের কর্কশ স্বরটিই
নাকি তার কাছে অমৃত সম লেগেছিল
তাকে আপন করে পেয়েছিলুম
তাই,
তুমিই বল
কবি
তুমি ছাড়া কি আমার চলে
আমাদের চলে
চলে না
তাই তুমি আস
যেই বাতাসে চলে গিয়েছেল
সেই বাতাসেই ফিরে আস।
যেই চাঁদের আলোর
দেশে গিয়েছিলে
সেই চাদের আলোয় ভেলায় ভেসে
ফিরে এসো।।।
হে মেঘ কন্যা
মেঘ কন্যার মন বুঝি আজ খুব খারাপ
খুব খারাপ, খুব খারাপ
তাই চোখের জল আর বাধ মানে না।
আমিও তোমার মতো, আজ মন খারাপের দেশে
মন আমার অনেক দিন ধরেই ভালো নেই
মনের মধ্যে বড় শঙ্কা, বড় ভয়
কোথায় জানি হারিয়ে যাচ্ছি
আমার দেশ মা, বড় অস্থির হয়ে পড়েছে।
কি হবে জানিনা, বড় ভয়
আশার আলো নিভু নিভু করছে।
বুকের ভেতর বড় এক আশা বেঁধে ছিলাম
কচি কচি মুখগুলোকে নিয়ে ভালোই দিন কাটছিল
সেই প্রান্তিক মানুষগুলোর শিশুরা যখন অ আ পড়ে
তখন আমি এক অনাবিল আনন্দ খুঁজে পাই।
কিন্তু দেশের মানুষগুলো কি যেন পাবার আশায় ছুটছে।
এতো সহিংস, এতো ধ্বংস যজ্ঞ, প্রাণ শিহরে ওঠে!
দুচোখ ছল ছল করে উঠে
কি করবো ভেবে পাইনা
বড় ভয়, বড় শঙ্কা, বড় হতাশা।
হে মেঘ কন্যা, তুমি কেঁদে ফেললে ধরণীর উপর
আমি কি করি বলতো?
আমি আর স্বপ্নধরা এবং দেশমাতা
কাঁদবো তাওতো পারিনা।
জানি না কি হবে! কবে এই ধ্বংস যজ্ঞ শেষ হবে!
হে মেঘকণ্যা
আজও দাঁড়িয়ে থাকি
বৈশাখের ক্লান্ত দূপুর যখন
তোমার নরম অধর ছুঁয়ে যায়,
এক বিরক্তিকর ভাব নিয়ে যখন তুমি বল-
ভাল্লাগেনা কিচ্ছু ভাল্লাগেনা
তখন আচমকা এক পশলা বৃষ্টি
তোমার ঠোঁটের হাঁসি হয়ে এল
যেন ভাল লাগার আয়োজনে স্বয়ং বিধাতা।
জানালার ধারে অপলক নয়নে যখন
আমার পানে থাক চেয়ে,
এক না পাওয়ার আবেদন ঐ দৃষ্টিতে দাও ছুঁড়ে,
তখন কী করে ভাল থাকার অভিনয় করি
কী করে থাকি বসে প্রিয় ঘরে।
বৈশাখের তপ্ত রোদকে তুচ্ছ করে
অবিশ্রান্ত ঝড়কে উপেক্ষা করে
এসে দাড়িঁয়ে যাই ঐ জানালায়,
যেন বৃষ্টি তোমার নূপুর পড়ে ঘুরছে
আমার চারিপাশে ,হ্রদয় আঙ্গিনায়।
বৃষ্টিভেজা সেই দূপুর
লোনা ঘামের সেই সময়
কী কর ভুলি প্রিয়,
আজও তোমার জানালা ধারে
দাঁড়িয়ে থাকি
জেনে নিও।
ছায়া
ফ্রেমটির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি
ওখানে তো কোন ছবি নেই!
হয়তো আছে, অদৃশ্য বলয়ে বন্দী আমি
দেখতে পাইনি, কিংবা দেখতে চাইনি
ফ্রেমটা কতকাল ঝুলে আছে দেয়ালে!
পুরনো ফ্রেম, রঙ চটে গেছে, ধুলো জমেছে অনেক
কি আছে ওখানে? কিংবা ছিল, কোন একদিন
কে যেন জবাব দেয়- ওটা তোমার ছায়া।
ও জমা রেখেছে তোমার ইতিহাস
আমার ইতিহাস! সে আর এমন কি!
কে ওটা?
কে যেন আবার বলে- ওটা তুমিই
আমি বুঝতে পারি না, ওটা কি আমি?
এত কুৎসিত! না না, এ তো আমি না!
নিজেকে চেনোনি?
ভাল করে দেখো আর একবার,
ভিন্ন চোখে, একেবারে ভেতরটা!
কি, আঁতকে উঠলে!
চিনতে পারনি?
ওটা তোমার কৃতকর্মের ছবি
নিজেকে অচেনা লাগে,
চিনতে চেষ্টা করি, ঐ ফ্রেমের মাঝে
এ তো আমি নই, হতে পারে না, এ মিথ্যে
তুমি ভুল বলছ, মিথ্যে বলছ
তোমরা সবাই ভুল দেখছ!
নিজের আসল চেহারাটা দেখে কষ্ট পেলে?
নিজেকে কি সবসময় লুকোনো যায়!
দেয়ালে ঝুলানো ফ্রেম, কত কথা জমা রাখে
চিন্তক
বিষাদে ভরে গেল মন
কেন বন্ধু ছেড়ে যাবে বন্ধুকে
তাও সুর্য যখন মধ্য গগনে।
এখনও যে অর্ধ দিবস গত হতে বাকি।
তবে কি লেবু চিপা হয়েছে বেশি
রাজনীতি আমার তোমার কারও
নয় পেশা তবু এরই তরে
ক্ষুদ্র, নয়তো বিনে শ্বার্থে
কুকুর সম মুগুর,
পাই উপহার।
জানিনা যে দিয়েছে সে কতটুকু জিতলও
আর যে খেয়েছে সে কতটুকু হারলো।
সব ---কি আর সব মুগুর
সইতে পারে।
তাই বিনে বাক্যে প্রস্থানই শ্রেয়।
প্রস্থানেই কি পাবে শান্তি
বন্ধু
যে শান্তি তুমি চাও।
দেশ মাতার কাছে চাও না,
চাইতে হবে না আর কিছু
কিন্তু পারবে কি তবু সইতে
চিল শকুনের থাবা
যখন ঊড়বে দেশ মাতার বুকে।
এক্ষনে
কে হবে মেম্বার
কে বা গ্রাম সরকার
আমরা কি তার খবর লইতাম
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।
আব্দুল করিমের গানটি খুব মনে পড়ছে।
তোমার অন্তরের খবর যে কিছুটা
আঁচ করতে পেরেছি।
দেশ, দেশ মাতা ও তার সন্তানরা
তোমার কাছে কত প্রিয়
তা যে আমি যে জেনেছি।
তাই তো বিস্বাদে ভরে গেছে মন।
০৩/০৫/২০১৩ইং
বিষন্ন বাঊন্ডুলে,
এ ধরার বুকে
কেঊ নয়
শুধু লাকি বা আনলাকি
দুঃখ যদি না থাকত
সুখ কি হত এত মধুময়
সুখ দুঃখ সবই যে আপেক্ষিক
সবই যে সময়ের সাথে সম্পর্কিত।
তুমি কি দেখনি
সাভারের ধ্বংস স্তূপ হতে উদ্ধার পাওয়া
সেই তরণটির ঊল্লাস
যেন সে বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডার
বা তার চেয়েও বেশি কিছু
তার ঊল্লাসে ঊল্লসিত সাড়া জাতি
সাড়া পৃথিবী।
পরের দৃশ্যে সাহিনা
চাইনা তার পুনারাভিত্তি।
পকেটে লক্ষ টাকা সম দিনার
কোম্পানির দেয়া দামি গাড়ি
সাই সাই ঘুড়ে বেড়াই দল বেঁধে
কত দামি হোটেল,খাই,মজা করি।
একা হলেই চেপে ধরে নষ্টালজিয়া
সন্তানের কচি মুখ
প্রেয়সীর আদর, সুখ
ক্ষনিকে ক্ষত বিক্ষত হৃদয়
যেন ভিখিরি সম।
ছুটির দিনে পড়ন্ত বিকেলে
সমুদ্র তীরবর্তী অত্যাধুনিক পার্ক
একাকী বিষন্ন বাঊন্ডূলের
মত কত ঘুরে বেড়িয়েছি
আর সান বাঁধানো সমুদ্রতীরে বসে
পলকহীন দৃষ্টিতে,
তাকিয়েছে দৃষ্টির বাইরে।
আমার দৃষ্টি আমার কাছেই
ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে এসেছে ফিরে।
কপর্দক হীন হয়ে।।
আমি যখন কপর্দহীন
তখন নিভৃত স্বপ্নচারী।
যখন আমি বৃত্তশালী
দামী বাড়ি দামী গাড়ি,
প্রভাবশালী অনেকে বলে
তখন আমি ,
বিষণ্ণ বাঊন্ডুলে।
জাবর
চিন্তার তিন তার ছিঁড়ে যায়;
প্রেমিকের আজ মনে নেই চুমুর স্বাদ!
সেই শেষ কবে খেয়েছিলো-
টপাটপ কয়েকবার, এক বর্ষার সন্ধ্যায়!
জন্ডিস- পাওয়া ল্যাম্প পোস্ট এক -
গভীর রাতে তার ছায়াকে একাকী করে;
দীর্ঘতর আজ কোনো গ্রীষ্মের রাতের মেঘ -
সেই নি:শ্বাসের ঘ্রাণ মনে করিয়ে দেয় শীতল হাওয়ার!
ধুম্রশলাকার ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে দিন তার্।
কতো জনই পেতেছিলো চুমুর ফাঁদ
তবু একাকী ছায়া আজও সেই স্মৃতি নিয়ে
চুম্বন করে, ধোঁয়ার অধরে , জাবর কেটে চিন্তার!
জাবর
সন্ধি মুহিদ
৪ বৈশাখ ১৪২০
আরশোলা জন্ম
অবিন্যস্ত শরীর খুঁজে নেয় কবর অন্ধকারে ঠাঁই
নড়ে চড়ে কেঁপে উঠে
তৃষ্ণায় দগ্ধিত দেহ প্রাণ
মৃত আত্মার গোঙানী ধীরলয়ে মায়।
ওখানে প্রাণের স্পন্দন কি ছিল কখনো?
চোখে পড়ার মত কি কিঞ্চিত লাবণ্য?
ওখানে জন্মেছিল ক্ষুৎ-কর্মী বিদঘুটে বড় বিপন্ন আরশোলা কতক
কাছে এলেই মৃত্যু উড়ে আসে তারা - বিরতীহীন কর্ম-বিভা
অন্ধ অবচেতনে খায় খাবার ক্ষুদে ক্ষুদে খুটে খুটে নীরব
বড় বিচ্ছিরি তাদের দেখাতো বিচ্ছিরি তাদের ভাষ্য ও ব্যাকরণ
তারা না মেরে মরে -
আগুণ লেলিহানে
প্রকান্ড প্রস্তর খন্ডে।।
শাহীনা
মরণ শব্দটা জীবনের সাথে জুড়ে দিলো কে
শাহীনা তুমি যে নও
এ সত্য উচ্চারণে দ্বিধাগ্রস্থ কি
কান্না যদি জীবনের সুর তুলে
তবে মৃত্যুতে ব্যথিত কেন বলো
নিদারুণ সব কান্নাকে স্পর্শ করেছো শাহীনা
তুমি জেগে গেছো জেগে গেছো জেগে গেছো।।
পা বাড়িয়েছি
আমি পুরণো সেই নিশাচর নগ্ন পথে
পা বাড়িয়েছি,বন্ধু তুমি কী পারবে ফেরাতে-
পূর্বের ন্যায় আমাকে ফেরাতে
মিথ্যে ভালবেসে?
আমি আবার পা বাড়িয়েছি ভুলে,
দেবী তুমি কী পারবে ফেরাতে
অতীতের ন্যায় ছলে
মধুর কথা বলে?
পা বাড়িয়েছি নির্জণে ,মধ্যরাতে,
পাবে কী আমায় খুঁজে
পেছন থেকে রাখবে কী হাতে হাত
সেই সে প্রভাতে?
পা বাড়িয়েছি এবার,পরপারে যাবার
সঙ্গী হবে কী বন্ধু তুমি
সঙ্গী হবে কী আমার
যেমন ছিলাম তোমার?
আমি রিক্ত সিক্ত হয়ে বেড়িয়েছি ঘর হতে,
জানি পেয়ে যাব তোমায় আমি
নিশাচরের নগ্ন নির্জন পথে
ঠিক তোমারই সাথে।