ইউজার লগইন
কবিতা
আমার বাংলা ভাষা
বাংলা আমার মায়ের ভাষা
শান্তি-সুখের সকল আশা
জেলে তাঁতী মজুর চাষা
সব মানুষের ভালোবাসা।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা
সব ভাষারই চেয়ে খাসা
বাংলাতেই মোর কাঁদা হাসা
বাংলাতেই হয় লাঙল চষা।
বাংলাতেই কৃষক ফলায় সোনা
বাংলাতেই কৃষানির স্বপ্ন বোনা
বাংলাতেই রাখাল বাজায় বাঁশি
বাংলাতেই জেলের স্বপ্ন রাশি।
বাংলাতেই মোরা লিখন লিখি
বাংলাতেই আগামীর স্বপ্ন আঁকি
দোয়েল কোয়েলের গানের সুরে
বসন্তের আগমন ঘুরে ফিরে।
-গেন্ডারিয়া/ঢাকা
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
ভয় দেখালে কামড়ে দেবো
গুরুর একটা জনপ্রিয় গান দিয়ে শুরু হয়েছিল আগের লেখাটা। এবারও মনে পড়ছে একটা গানের কথা।
লিখতে পারি না কোনো গান আজ তুমি ছাড়া...
এই গানটা কি প্রথম ইত্যাদি অনুষ্ঠান থেকে একই সাথে দেখেছিলাম আর শুনেছিলাম আমি? খুব সম্ভবত। তখন আমি বগুড়ার সুত্রাপুরের দোতলা বাসাটায় থাকি। সময়কাল বয়স যখন ১৩ থেকে ১৭। বয়ঃসন্ধির মধ্যকালটা। সেই সময় কোনোকিছু মাথায় কিংবা মনের ভেতর একটা কিছু ঢুকলে সেটাকে আর বের করা সম্ভব হতো না। গানটা একবার শুনেই মাথায় ঢুকে গেল। এবারে একদম অরিজিনাল ভার্সন। অন্য কারো গলায় গাওয়া না। গানটা যতোবার শুনতাম ততোবার একইরকম গভীর একটা হাহাকার বুকে অনুভব করতাম। অনুভূতি ক্ষমতার প্র্যাকটিস্ যেন!
বাস্তবের দিনলিপি: সিনেমা, গান আর স্বপ্নের কথা
১.
এই লেখাটা শুরু হবে সিনেমা বিষয়ক আলোচনা দিয়ে। তারপর গানের ব্যপারে নিজস্ব ধারণাগুলোকে একটু ঝালাই করে নেয়া হবে। শেষ দিকে কি থাকবে- তা আগেই ঠিক করে দিচ্ছি না। লেখার গতিপথকে সেই স্বাধীনতা দেয়া থাকলো।
সিনেমা বিষয়ক আলোচনার মূল কারণ অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। যেটি ২০১৬ থেকে বছরের একটি অন্যতম এক্সাইটিং ইভেন্ট হিসেবে জীবনে সংযুক্ত হয়েছে। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডে আমার অনুমান কতটুকু মিললো আর কতটুকু মিললো না তার হিসেবের মধ্যেই উত্তেজনার বীজগুলো বুনে রাখা হয়েছে। মার্চের ৪ তারিখে সেগুলো ফলবতী হবে। অনুমান এখনই ঘোষণা করছি না অবশ্য। এই পোস্টে শুধু প্রারম্ভিক আলোচনাই হবে। মার্চের কাছাকাছি সময়ে অনুমান তালিকা আকারে ঘোষণা করা হবে। পুরস্কার বিতরণের আগে অবশ্যই।
এপিটাফ অফ লাভার'স ফ্রেইগ্র্যান্স
তোমার ঘ্রাণের জন্য আমার স্মৃতিরা বিষাক্ত নীল হয়ে এলে
আমি ক্যাফেটেরিয়ার ভাঙা সিঁড়ি ধরে একদম উপরে উঠে যাই।
দেখি প্রিয় মানুষেরা ডুবে যাচ্ছে ট্রাফিকে,
দেখি সিগন্যালের মতো পালটে যাচ্ছে প্রেমিকার মন।
দেখি এই দালানের ইটেরা কতো চুমু দেখছে অনিচ্ছাতে
তবু সয়ে গেছে,
এই খসে যাওয়া পলেস্তরা-রেলিংও টিকে আছে অনেক দিন;
এইখানে।
শুধু আমরা টিকিনি।
এই জঞ্জাল
এই কবি বেশ্যা খেলা
এই শব্দ বুনন
তোমার শহরের ধুলো চোখে লেগে গেলে,
আমি ছুটে আসি এই ক্যাফেটেরিয়ার ছাদে।
আমি আবার দেখেছি ওরা ছুটছে গোলাপ নিয়ে
গুনেছি প্রতিটা হুইসেল
দেখেছি ব্যস্ত মানুষ আর বেকার,
এসব বিকেলের আগে আগে দেখেছি
তোমার শহরের রোদেরা 'রোববার' ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে
শুধু আমরা ফিরিনা আর, আমাদের কাছে।
সুখ অসুখের মনোলগ
আমার শহরে বৃষ্টি এলে সীমাহীন শূন্যতা আমারও হয়।
আমারও মনে হয় 'এসবের কোন দরকার ছিলো না'।
ক্যাম্পাসের ক্যাকোফোনিতে আমার বিষাক্ত লাগে,
বিষাদ মনে হয়,
অথবা আমি ঈর্ষান্বিত হই ওরা সব্বাই সুখী বলে।
আমি বুঝি, নিজের ভেতর এতো শূন্যতা অনুভব করিনি আগে।
এসব স্থিরতা, জ্যামে আটকে থাকা মানুষ আমাকে মোটেও ভাবায় না।
আমি তখনও ভেবেছি 'ওসব না করলেও পারতে'।
এরপর একা ঘরে, রাত নেমে এলে
দারোয়ানের হুইসেল ক্লান্ত হয়ে গেলে
মানুষেরা ওপাশে ফিরে শুচ্ছে যখন
তখনও আমি ভাবি 'মানুষ চেনা দায়'।
কাপুরুষ
দেখো, একদিন আমি লিখে ফেলবোই সেই অমর কবিতা!
কি করে তোমার বেড়াজ্বালে বন্ধি হয়ে আমি আমার জীবনের সব উচ্ছ্বাস হারিয়েছি!
কি করে আমি লেখক কিংবা সাধারন জীবনের ইতি টেনেছি!
কি করে আমি জীবনের সরল পথ হারিয়ে অন্ধকারে প্রবেশ করেছি!
দেখো, একদিন আমি বলেই ফেলবো!
তোমাকে ভাল রাখতে গিয়ে, কি করে আমি আমাকে গুটিয়ে নিয়েছি!
কি করে আমি নিজকে আমার সমাজের বাইরে টেনে ফেলেছি!
কি করে আমি ভুলে গিয়েছি আমার অতীত কিংবা শিশুকাল!
দেখো, আমি একদিন চিৎকার করে বলবোই!
কেন আমি আর মধ্য রাতের চাঁদের আলোয় আলোকিত হতে পারি না!
কেন শেষ রাতের শিয়াল গুলো জ্বলজ্বল চোখে আমাকে অবজ্ঞা করে যায়!
কেন আমার প্রিয় নীল আকাশ দূরে আরো!
দেখো, আমি একদিন জেগে উঠবোই!
বলবো কেন অর্থের প্রয়োজনে আমি এতটা বিভোর হয়েছি!
যদিও তোমাকে দেখলে আত্মহত্যার স্বাদ জেগে উঠে!
কিংবা কি করে আমি আমার যৌবন হারিয়েছি!
পাহাড়ে উঠার সাধ
কবে কেন যে পাহাড়ে উঠার সাধ হয়েছিল
মনে করতে পারছি না।
পাহাড় সে তো বইয়ে পড়েছি
বাস্তবে কখনো দেখিনি।
আমাদের যেখানে বাস, তাতে
আমার সাধ্যের পরিসীমায় কোথাও
পাহাড় নেই।
তাই
চাইলেই তো আর পাহাড়ে উঠা যায় না।
মনের আকুলতা, ব্যকুলতা
নদী বা সাগরের ঢেউ হয়ে
মনের তীরে আছড়ে পড়ে,
সেজন্যই কিনা জানিনা
প্রায়ই স্বপ্নে পাহাড়ে উঠতে থাকি।
কিন্তু খাড়া পাহাড়ে উঠা সেকি
আমার সাধ্যি।
প্রায়শই প্রারম্ভেই ইতি টানতে হয়।
কিন্তু মনে যাকে সাধন করার
বাসনা জেগেছে
সহসাই হাল ছাড়া কি ঠিক।
আমিও হাল ছাড়িনি।।
পুরষ্কার হিসেবে একদিন
পাহাড় চুড়ায় উঠেই গেলাম।
মনের আবেগ মাপার যন্ত্র
সে কি কেউ আবিস্কার করেছে,
জানিনা,
তবে কারও না কারও আবিস্কার করা উচিত ছিল।
আমার মনের এখন যে অবস্থা
তা প্রায় নিয়ন্ত্রনের বাইরে।
ক্ষনিকে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ
বা অন্য কিছু ঘটে যেতে পারে,
যা আমি জানিনা।
সব ফুরোবে
সব ফুরোবে।
সকাল সকাল অনিচ্ছাতে ঘুমকাতুড়ে ঘুম তাড়ানো,
ইচ্ছেবিহীন, শরীর টেনে নিত্যদিনের পথ মাড়ানো,
অপেক্ষাতে পথের পাশে চোখ ফেলা আর চুপ দাঁড়ানো,
কানের কাছে গান জড়িয়ে হঠাত করে মন হারানো।
সব ফুরোবে।
ব্যস্ততা। আর বিরক্তিভর রুটিনমাফিক ট্রাফিক ঠেলা,
সুড়কিবোঝাই পথের তোড়ে রিকশা এবং ঝাঁকনি খেলা,
স্কুল ছুটিতে, রাস্তাজুড়ে, তিড়িং বিড়িং হাঁটার মেলা,
ভরকুয়াশায় রোদ পোহানোর তৃপ্তিটানা সকালবেলা!
সব ফুরোবে।
চেষ্টা নামের মুলোর দিকে নিরুদ্দিশে ছোটার তাড়া,
ভুল হল কী খোঁজার নামে আঙ্গুল তাক আর বলার ধারা,
ভুল করে তা চাপার তাকিদ, আর অকারন সঙ্গছাড়া,
বিশ্বাসে ভর করার আগেই অবিশ্বাসে দৃষ্টিহারা।
সব ফুরোবে।
স্বার্থ বুঝে দায় এড়ানো, পাশ কাটানোর চেষ্টা,
দোষ গেয়ে খুব শুকনো গলা, তাই মেটাতে তেষ্টা
শুরুর শুরু বোঝার আগেই গপ্পে টানা শেষটা,
এক চুমুকের চায়ের সাথের দুরন্ত সন্দেশটা!
সব ফুরোবে।
যাবার বেলায়
আমার দুয়ারে শব্দেরা কড়া নাড়ে,
হিমেল বাতাসে কাঁপে সন্ধ্যার ছায়া
অস্ফুটে ডাকে ইশারায় চুপিসারে,
‘আয়, চলে যাই, ফেলে রেখে সব মায়া!
কোথায়, কখন, উড়ে যেতে হবে হুট—
ঝরা পাতাদের তা কি কভু জানা থাকে?
এই পড়ে থাকা, এই দেয়া কোন ছুট,
অচেনা পথের শীতার্ত বাঁকে বাঁকে!
কনীনিকা থেকে কিছু আলো মুছে গেলে
হাতড়ে হাতড়ে গোধূলির পথ চলা,
তবু অবিনাশী কিছু প্রেম-অবহেলা
সযতনে রাখে রূপশালী আলো জ্বেলে!
সাঁঝ-বেলা শেষে ক্রমশ অন্ধকারে
মিশেছে কাদের ধুসর-বরণ পথ?
ক্লান্ত-চিত্তে, অবসাদে, বারে বারে
টেনে নেয়া সেথা জীবনের ভাঙা রথ!
আমার দুয়ারে কালো ছায়া কড়া নেড়ে
যতই বলুক, যাবার সময় হলো—
প্রিয় পৃথিবীকে আরেকটু ভালোবেসে
বলব, ‘দেখি তো! ষোড়শী নেকাব তোলো!’
কষ্টের প্রাসাদ
কষ্টের প্রাসাদ
রাকিবুল ইসলাম
সেদিন না বলেছিলে, কখনো
কষ্ট দেখনি তুমি!
হ্যা, তবে চলো, আসো আমার সাথে
তোমাকে আজ কষ্টের প্রাসাদে নিয়ে যাব।
সেখানে ধূলোয় ছেয়ে যাওয়া
দালানের আল্পনার প্রতিটি
তুলির ছোঁয়ায় কষ্ট লুকিয়ে আছে ;
সেখানে কার্পেটের প্রতিটি সুতোয়
বাধা পড়ে আছে আমার কষ্টগুলো।
কষ্ট দেখনি বলেছিলে না তুমি!
সেই প্রাসাদের দরজা, জানালা, সিঁড়ি
আল্পনা আকা করিডোর, জীর্ণ হয়ে
যাওয়া পুরোনো কাঠের চেয়ার
সবকিছুতেই কষ্ট লেগে আছে।
কত রকমের কষ্ট তা না দেখলে
বুঝবে না তুমি।
প্রতিটি কষ্ট মাকড়শার জালে
আটকে যাওয়া উইপোকারর মত
ছটফট করে সবটা সময় জুড়ে ;
প্রতিটি কষ্ট সেখানে ক্ষুধার্ত কাকের
মত ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে
নিঃসাড় হয়ে পড়ে।
কষ্টের সেই প্রাসাদে আমার
কষ্টরা সব বাধা পড়ে আছে।
কষ্টগুলো সব, সারাদিন ব্যস্ত থাকে
নিজেদের সূচালো করতে, আর রাত্রির আধারে
ভুলের ভাণ্ডার
এক.
‘ভুল’ বানানটি সঠিক বটে
লিখবেন না কেউ ভূল
তুল লিখেন টুল লিখেন
লিখবেন না বানান মুল।
‘মূল’; কিন্তু মুল নয়
রাখবেন মনে সবে
মুল যদি লিখে কেউ
ভুল জানবেন তবে।
‘কুল’ যদি বরই হয়
‘কূল’ নদীর পাড়
ভুল বানানে অভ্যস্ত
লজ্জা পাবে সবার।
‘তুলা’ লিখেন ‘কুলা’ লিখেন
লিখবেন না কেউ মূলা
‘মুলা’ বানান সঠিক তবে
লিখবেন না ফরমূলা।
ফরমূলা নয়, ‘ফরমুলা’
জেনো নিশ্চয়
ইংরেজি উচ্চারণে
(ূ) ঊ-কার নাহি হয়।
কারণ বারণ মরণ লিখেন
ধরণ লিখবেন না
ধরণ যেন ‘ধরন’ হয়
লিখতে ভুলবেন না।
‘গুণ’ লিখেন ঘুণ লিখেন
গুন লিখবেন না
গুণিতকের মর্মকথা
এতে পাবেন না।
‘কাঁটা’-‘বোঁটা’ সবই লিখেন
ফাঁটা লিখবেন না
ফ-এর ওপর চাঁদ বসালে
‘ফাটা’ হবে না।
‘হাসি’ লিখেন ‘কাশি’ লিখেন
হাস লিখবেন না
চাঁদ ছাড়া ‘হাঁসফাঁস’
কিছুই হবে না।
বাড়ি-গাড়ি সবই লিখেন
হাড়ি লিখবেন না
‘হাঁড়ি’র ওপর চাঁদের টিপ
দিতে ভুলবেন না।
পরবাসী বাবা
আমার বাবার ছবি নেই
আছে স্মৃতি অল্প
ছড়ায় ছড়ায় লিখছি তাই
আমার বাবার গল্প।
সংসারের ছোট ছেলে
আদর পেতাম মস্ত
বাবা শুধু বাবাই নয়
ছিলেন জানি দোস্ত।
কর্মজীবী বাবা ছিলেন
সাদামাটা স্বভাবের
রাগতে তাকে দেখিনি তো
ছিল না ভাব নবাবের।
গ্যাস ব্যামোতে মাঝেসাঝে
কষ্ট পেতেন দিনরাত
অন্যের ভালোয় ভালো তিনি
বুঝতো না কখনো পাঁচসাত।
রোগে ভোগে বাবা একদিন
গেলেন পরপারে
ফিরলো না সে আর কোনোদিন
খুঁজবো কোথায় তারে।
জুন ২০, ২০১৬
কথা ছিল, আঙ্গুলের ফাঁকে থাকবে; তুমি..
# # # #
কিছু কথা নয় অজানাই থাক।
কি ই বা যায় আসে?
ভুলে পথ,
যদি;
শঙ্খনীল শব্দগুলো -
বৃষ্টি হয়ে ঝরে
বুকের ভেতর?
হিম হিম হিম কুয়াশায়,
যদি;
মিলে যায় এক সমুদ্র আমার?
সব্বার বুকে জমাট ঘুমের মতন,
অগোছালো স্মৃতির স্বপন ছুঁয়ে;
হারানো ডায়েরির মত নির্বাক?
# # # #
বুঝি, দেখেছিলেম তোমায় কিছু দিন; নীলে।
এলো চুলে ফিরে চাওয়া,
মৃদু হাসি ;
অবাক মায়ায় ভরা সাগর ছোঁয়ায় -
হৃদি মাঝে, নীলাকাশ; গেল মিলে।।
# # # #
মাঝে মাঝে; শুধু ইচ্ছে জাগে মনে।
কেবলই ইচ্ছে জাগে,
মাঝে মাঝে।
কথার কথায় না হাসিয়ে,
কথায় কথায়; কথকতায় -
তোমার বাদলা দিনের মেঘলা চোখে,
চকিত খুশি; লুকিয়ে ফেলার -
কারন হতে, ইচ্ছে জাগে; মনে।।
# # # #
তোমার না থাকার মাঝেই আছি আমি,
আমার পাশে থেকেও
তোমার তুমিতেই হারিয়ে খুঁজেছো যতটা;
এই আমাকেই - অনাদিকাল..
..অযথাই।।
# # # #
খোদার রহম,
কবিতা: কেন?
কেন তুমি মারিয়া বা ফ্রান্সির মতো
ক্লাবে বা ক্যাফেটেরিয়ায় বা রাস্তায় বা সিটি সেন্টারে
মুখোমুখি হয়ে যাও না?
কেন তুমি জাস্ট কোনো কারণ ছাড়া
আরও একবার মেয়েদের কমন রুমের সামনে দাঁড়িয়ে
আমার জন্য অপেক্ষা করো না?
সময়টা আমরা পার হয়ে এসেছি তাই না?
অনেকদূর চলে এসেছি তারপর, একা একা
আমাদের একসাথে চলাটা এবং একসাথে ভালবেসে বেসে
কাছে থাকাটা, বোধহয় এখন খুব দুঃখিত মুখে
বসে আছে কোথাও, একা একা।
কোথায় বলোতো, হয়েছিল আমাদের প্রথম দেখা?
প্রথম ক্লাসে? যখন তুমি বলেছিলে- সত্য কথাটা কেবল তুমিই বললে।
হাহাহা, সেটা আসলে ঠিক না,
যেদিন তুমি প্রথম আমাদের ডিপার্টমেন্টে আসলে, যেদিন একটা ছেলে প্রথম
তোমায় দূর থেকে দেখেছিল,
যাক সেসব কথা, শুধু বলি তুমি সেদিন একমাত্র যে ছেলেটার সাথে কথা বলেছিলে
সে ছেলেটা তোমার কথা নেয়ার মতো ছিল না, এবং
যে ছেলেটা সেদিন দূর থেকে শুধুই তোমায় দেখছিল,
তুমি আমার কাছে থাকো.. [বাউন্ডুলের গান!]
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া
পিচের পথ
ঘেষা মায়া,
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া
মেঘের দল
পাখির ছায়া।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া
সড়ক বাতি
নেভা জ্বলা,
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া
রেলের পথ
থামা চলা।।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া,
বাঁধা ছক
সুখ খোঁজা
মুখোশ আর
মেকি হাসা।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া,
ছায়াপথ
মায়া চোখ
অনাবিল
ভালোবাসা।।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর জোড়া;
রেলিং ছোঁয়া
চায়ের কাপ
অক্লেশে উড়া ধোঁয়া।
তুমি
আমার কাছে থাকো
যেমন
থাকে শহর ছাড়া;
বুড়ো বুকে অভিমান
চোখে হাসি তবু স্থির
এলো চুলে কথকতা।।