ইউজার লগইন
কবিতা
নাম দেই নি
কোথায় কখন দেখেছিলেম
মনে নেই
হয়তো হেমন্তের শিশিরের চিক চিক করা
সূর্যালোকে ক্ষনিকের তরে ঘাষের নরম ডগায়
বুঁনোহাঁসের পালকের নরম উষ্ণতায় কিংবা
ফেলে যাওয়া চড়ুইয়ের খড় কুটোর মত
স্বপ্ন বোনার মত নীড়ে
মেঘনায় ঢেউয়ে ডুবে যাওয়া সূর্যের মত লাল টিপ
আঁকা তোমার কপালের ভাজে
রক্তিম আকাশের প্রতিচ্ছবি বুকে নিয়ে
লাল হওয়া স্রোতের মত তোমার কপোলে
বয়ে চলা ভাবনার ঢেউ
আত্মমগ্ন কথামালা- (একমুঠো শহুরে জোনাকের স্মৃতি)
ওরা হাঁটছে করিডোর ধরে... আর এক এক করে জোনাকের লাশ গুনে চলছি আমরা।
.
শহুরে মানুষগুলো কখনো জোনাক দেখেনি
তাই তারা জানে না জোনাক হতে গেলে কাঁধে পাখা থাকতে হয়
নয়তো নিজের আগুনেই নিজের পুড়ে যাওয়ার নিয়ম লেখা গ্রন্থিত ইতিহাসে।
.
.
.
সেদ্ধ অর্ধসেদ্ধ জোনাকের দেহ জমে উঠছিল করিডোর জুড়ে।
.
.
.
ওরা হেঁটে আসছে করিডোর ধরে
.
ওদের হাতের মহামূল্যবান আংটি থেকে ঠিকরে পড়ছে মৃত্যুর রং
.
শিশ্নবাদী সন্ধ্যায়
একদা সন্ধ্যায় চুল ছেড়ে হেটেছিলে;
আর সেই সুখে প্রবীণ আনন্দে
অন্ধকারে হেসে উঠেছিলেন প্রসন্ন শিশ্নবাদী;
ক্ষয়ের রোগ নিয়ে মহার্ঘ চুলে
এলোমেলো মিশে যাচ্ছেন তিনি ...
বিপন্ন শাড়ির কাছা ধরে তরতর করে উঠে যাচ্ছেন
সত্যসাক্ষী লেজ ভাঙ্গা টিকটিকি; -- ভোগ;
আর দ্বিধা-নমিত মুখে ক্রোধ ঢেলে দিলে বৈধ
শয্যাসঙ্গী নিমেশই মুছে যেও অদৃশ্য অঙ্গীকারে
অথবা কেশগুচ্ছে জ্বেলে দিও ‘না’ এর প্রবল শিখা
অবশিষ্ট হাড় - ০২ (০২ জুন ২০১০)
বাতাসের সচেতন চলাচল, দুপুর দুর্বল
চেতনার প্রপেলারে শম্বুক গতি
নিরাবেগ শরীরময় স্থিতি
সভ্যতার দীর্ঘশ্বাস তবু শ্রাব্য;
আযানে, আহবানে তাল দেয় বিমান সংগীত
বারান্দায়, হাওয়ায়, দরজায় কাঁপা কাঁপা আর্তনাদ
রিকশা টুং টাং, মটরচাকায় ঘষটানো অভিমান
খুটে খাওয়া ছেলে, দুটো টাকা পেলে
পাউরুটি, ছোলামুড়ি, পোকা খাওয়া আপেল;
সমান্তরালে বিদ্যমান বিপুল, প্রাচীন দোকান
মহাজনী ফর্দের আনুষঙ্গিক ফাঁকিতে
আকুলতা
সময়ের গোপনে
অদৃশ্য আগুনে,
পুড়ে যাচ্ছে তোমার দৃশ্যগুলি।
বাড়ি ফিরে যাচ্ছে নদী
সন্ধ্যা নেমে এলো বুক অবধি,
ঘোড়ার পিঠে বসে চলে গেলো গোধূলি।
আকাশের ঐ নীড়ে
তারাদের ভীড়ে,
ইচ্ছে হলো দু'জনে কথা বলি।
তোমায় দেখি না, তুমি কিসে ঢাকা?
মহাকাশে বিরহের অবয়ব আঁকা,
তুমি নাই-তুমি নাই, নির্জন অলি-গলি!
পড়ে আছে রাত্রির খালি পাতা
সন্ধ্যাভাষায় লিখে রাখি বিগত স্মৃতিকথা।
পুড়ছে দৃশ্য, আমিও জ্বলি!
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়!
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়
মনে হয় যেন ঘুম থেকে উঠে
যেতে হবে স্কুলে
কিশোরের বিষন্ন স্বপ্নের মতো
এ যৌবন পুড়ে যায়
নিজের উত্তাপে।
পুড়ে যায় আশা-ভালবাসা
মমতার প্রিয় বন্ধন
চেনা চেনা মুখ
অচেনা হয়ে যায় চলে
চলে যায় বহু দূরে
ধোঁয়াশায় ঢাকা মন
পারে না জানাতে
জমে আছে কত ক্রন্দন।
পুড়ে যায় চেনা বনভূমি
স্বদেশের প্রিয় অঙ্গন
সময়ের মেঘ
কালো হয়ে জমে থাকে
জমে থাকে কালো হয়ে
জীবনের ছেঁড়া ছাতা
কি করে তার কাছে যাই?
বুকের গহীনে ঝরণা তলায়
কে যেন গায় কাঁচ ভাঙ্গা গান
তার কাঁখের কলসের ঠম ঠম ঠুমরিতে
উড়ে উড়ে যায় অন্ধকারের চাঁদে ভেজা
ঘুম ঘুম মেঘ।
আমি ইট তোলা দেওয়ালের ভাঙ্গাচোড়া
নকশায় সে গানের সুর খুলে খুলে
দুঃখ ফুলে পথ সাজাই-
সে যদি আসে।
উদাসী শাড়ির ভাঁজে ভাঁজে
গাঢ় উষ্ণতা জমিয়ে রাখি
সে যদি জল নিয়ে ফেরে,
আমি তার গাঢ় অপেক্ষায় থাকি।
আমি ফিনিক্স পাখির মত বেঁচে থাকি
নিয়তি কি বদলানো যায়?
শূন্যে তড়িৎ পাখা মৃদু কান্নায় বেদনা ছড়ায়।
আমি অন্ধকারের ফোঁকড় গলে টেনে নেই ম্লান জোৎস্নার অলস ঘ্রাণ
মাঝ রাতে আমার চোখের ভেতর
ডানা ঝাপটায় থোকা থোকা শূন্যতা ।
সে কি ভুলে গেছে?
আমার দিন যায় রাত্রি যায়
আমি অরুন্ধুতি তারার বুকের ওমে
অপেক্ষা করি
এই পথে সে গিয়েছে কি?
তার অস্তিত্ব থেকে
খুঁজে নেই বেঁচে থাকার একবিন্দু নাকছাবি।
গান তার বড় প্রিয়।
হাতে আমার বিরহী বাঁশি
সে বাঁশির নৈশব্দকে
হরণ করে
আরও একটি প্রেমের কবিতা
তাই নিঃশ্বাসের সাথে নিকোটিন মিশিয়ে
সে যখন প্রকৃতিতে দুষন ডেকে আনলো
তখনও নিশ্চুপ ছিলাম।
আমি নিরবতায় অভ্যস্ত।
এই যে এক খন্ড কাপড় দেখছো লাল সবুজের
সেখানে আমার হৃদয় মিশিয়ে রাখিনি।
এই যে স্মৃতির মিনারে সহস্র ফুলের বর্ষা দেখছো
সেখানে আমি বৃষ্টি ঝরাইনি।
মন আমার প্রেয়সির আঁচলে বাঁধা
আর তাই সাড়ে সাত হাজার বর্গমাইল
বুটের আঘাতে বিক্ষত হলে
আমি বিদ্রোহী হয়ে উঠিনি।
গুলনাহার সাহাবউদ্দিন নামা
১।
একটা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে
কুটকে বসে আছি এক কোনার সোফায়।
পত্রিকা পড়ছিলাম, আশে পাশে খেয়াল নেই
হঠাৎ ছুঁড়ির শব্দে পত্রিকা থেকে দুইচোখ সামনাসামনি-
একটা গাত্তা মেয়ে বসে আছে
ভীষন রিস্টপুস্ট দেহ, গোলগাল মুখ, চোখে মায়াবি হাসি,
ছুঁড়ি গুনছিলেন, দুই হাতে মেহেদির উল্কি,
সাজগোজ আহামারি নয়, আমার দিকে নজর নেই।
আমার শরীর স্থির, মন অস্থির হলো
নেড়ে চেড়ে বসি আমি- সেই আমাদের প্রথম চোখাচুখি।
আমি বিবাহিত, বিবাহের আঠার বছর কদিন আগে হয়েছে-
কিন্ত এ প্রথম মনে হল আমার অনেক কিছু বাকি!
জন্মদিনের কেক কাটা হল
সারাঘর ভর্ত্তি লোকজন, এখানে ওখানে জটলা
সবাই ব্যস্ত একে ওকে নিয়ে, আমার দুই চোখে শুধুই সে
আমি তাকেই খেয়াল রাখছি, সেও আমাকে!!
কেমন যেন তার ভাব, সে কি আমার প্রসঙ্গে জানে আগে!
নাকি ধরে নিচ্ছে - একটা নুতন প্রেম পাগলা!
তার চোখের ভাষায় আমি খই হারাছি - বসে ভাবছি,
প্যারানয়েড
শরীর গন্ধ দুপুরের পাহারাটা
অলস ধীরে আবরন সরিয়ে নিলে
একজন লোক কিংবা লোকটা, ময়াল থেকে