ইউজার লগইন
কবিতা
এলোমেলো
আমার এলোমেলো লেখার খাতা,
কখনো গান কখনোবা কবিতা।
মন মেঘের আড়ালে উঁকি দেয়া স্বপ্নগুলো,
আজ পেয়েছে প্রাণ নির্বাক শব্দগুলো।
হাজারো কাজের ভিড়ে, ইচ্ছেগুলোর সমাধিতে,
জ্বলছে আমার স্বপ্ন প্রদীপসম।
ঠিকানা আমার সাড়ে তিন হাত মাটি
চিহ্ন শুধু কাফনের কাপড়খানি,
তবুও এ পথ চলা
গানের খাতা ভর্তি করে লেখা।
ছড়ানো ছিটানো কাগজ যত্রতত্র,
পড়ে আছে কলমের মুখটা হতভম্ব।
অজস্র কাটাকুটি আর অনিয়মের ভিড়ে,
আমার নিরর্থ এ গান লেখা জীবনকে ঘিরে।
বিজয় দিবস ও পাকি কুত্তার ঘেউ ঘেউ
তুমি শরৎ প্রভাতে সবুজ ঘাসের
উপর জমে থাকা শিশির বিন্দু
নাকি শিশির বিন্দুর উপর সূর্যের কিরন
পড়ে চিক চিক করা মুক্তা সদৃশ, মুক্তা
তুমি তিমির বিদারী আলোয় ভাসানো
পূর্ণিমা শশী
যা প্রকৃতির সাথে মনের আঁধার ঘুচিয়ে দেয়।
নাকি অমাবর্ষার নিকষ
কালো অন্দকার
যা আমাকে জেগেও স্বপ্ন দেখায়,
তুমি অন্ধকারে দিশাহীন পথে
জোনাকির আলো
যার মিটি মিটি প্রিদিম পথ চলতে
সাহায্য করে।
নাকি তুমি দিগন্ত বিস্তৃত
সোনালী ধানের ক্ষেতে
হিন্দোল তুলে
বয়ে যায় মৃদু মন্দ শীতল হাওয়া,
কোথাও গমের ভুই
কোথাও নয়ন জুড়ানো
হলুদাভ সরিষার ক্ষেত।
আরও আরও কত কি!
তুমি কিশোর প্রেমের
অবাধ্য আবেগ
নাকি পড়ন্ত জীবনে
স্মৃতি কাতরতার সুখস্মৃতি।
তুমি আধো আধো বোল
শিশুর প্রতি মা বাবার অকৃত্রিম ভাল বাসা
নাকি শেষ বয়সে যোগ্য সন্তানের প্রতি
তাকিয়ে গর্ব বোধ করে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা।
তুমি সুউচ্চ পর্বত হতে বিচ্ছুরিত
অধোগামী শ্বেত শুভ্র জলরাশি
যাকে আমরা ঝর্ণা বলি
নাকি অথৈই সমুদ্রে ভাসমান
দুঃসাহসী মাঝি, মণি মোক্তা আহরনকারী।
তুমি মোর পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সকল
ভাল লাগা- মন্দ লাগা
তুমি সৃষ্টি কর্তার প্রদত্ত
পাহাড় আর নদীর গল্প
ছোট্ট একটি গল্প শোনাবো আজ, নদী আর সবুজ পাহাড়ের গল্প।
এই পাহাড়ের বুক চিঁড়ে , কতকাল ধরে ধেয়ে চলেছে
খরস্রোতা দুরন্ত এক নদী।
নদী আর পাহাড়ে কতো দিনের সখ্য
দুটিতে কত ভাব, কী গভীর বন্ধুত্ব।
তবুও জানো পাহাড়টা পারলো না, পারলো না নদীকে ধরে রাখতে।
আর পারবেই বা কিভাবে বলো?
নদীর যে ধর্মই ছুটে চলা।
গ্রাম থেকে শহরে, দেশ দেশান্তরে;
কালের স্রোতে সে গিয়ে পড়ল সাগরে।
শত তপস্যার বৃষ্টি যখন ঝরে, তপ্ত ধু ধু মরুপ্রান্তরে,
সে সুখ, সে তৃপ্তি শুধু মরুভুমিই জানে।
বাঁধ ভাঙ্গা নদীকে তাই আজ আর কে পায়!
সে কি আর বারণ মানে?
যারে পাবার আশায় এতকাল বয়ে চলেছে,
পাহাড়কেও ফেলে আসেছে দূর বহু দূরে।
পাহাড়ের আজ বড্ড মন খারাপ।
আজ নাকি নদীর বিয়ে, সাগরের সাথে।
পাহাড়ের চোখের জল যে নদী হয়েই বয়ে চলে, নদীতেই মিশে একাকার হয়।
তাই পাহাড়ের কান্না প্রকৃতি দেখতে পায় না।
মনের গভীরে, স্মৃতির কোন গহীন কুঠরিতে আজও যে নদী বেঁচে আছে,
বেঁচে আছে সেই আদিম ভালবাসা, তার হদিশ কে রাখে?
পাহাড়ের কী বা ক্ষমতা যে মহাকালের লেখা রীতি সে বদলাবে?
নদীকে যে সাগর পানেই ছুটে যেতে হবে,
নদী কখনো উল্টো দিকে বহমান নয়,
অমসৃণ আঁধার
ভয়ংকর রকম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শীতের আগুণখানা
ওখানে তপ্ত ঘি ঢেলে দিও না
পুড়ে যাবে শরীরের শান্ত টলোমলো ধাম
যেভাবে ছড়িয়েছে কার্বন বাতাসে
সহসা পাকিয়ে পাকিয়ে কুন্ডলী
- তেজোস্ক্রিয়তায় মৌণ নিথর হবে
পোড়া দেহের মাংস
কী যে এক বিন্দু বিন্দু জলীয় রসের নিঃসরণ
প্রলেপ মাখাতে চাইবে ফুটন্ত সময়
চেতনহীন রাজপথের অমসৃণ আঁধারে।
মাশরুম জন্ম
সব সৌন্দর্য নিয়ে ইতি-উতি উঁকি দেয় সে
রাতজাগা আকাশ
তার পায়ের কাছে বেজে চলে নীরব সমুদ্র ঝুমঝুম
যদিও ভস্মিভূত সে চিতার অনলে
দগ্ধ বুকের বাহাদুরি
কোথাও বাজিয়ে তুলে সতর্ক সাইরেন
তখন বৃষ্টি মেঘের স্পর্শ বাড়িয়ে এনে
গজিয়ে তোলে দু'চারটা ব্যাঙের ছাতা - মাশরুম।
দুঃখী বেহালা
দূরে বহুদূরে একাকী পথিক
ঘুমহীন খা খা রোদ্দুরে
আনমনে হেঁটে যাওয়া
ধূলি ধুসরিত শহরের পথে।
ব্যস্ত সড়কে অবিরাম ছুটেচলা
যান্ত্রিক শব্দের ভিড়ে
রঙিন কাঁচের আড়ালে
হতাশ জীবনের জলচ্ছবি।
জানালার কার্ণিশে তৃষ্ণার্ত কাক
অপেক্ষায় বৃষ্টিমুখর ক্ষণের,
ধূসর আকাশ; মেঘহীন, স্তব্ধ
দূরে কাঁদে জারুল, সোনাঝুরি।
সড়কদ্বীপে একা ল্যাম্পপোষ্ট
রোদেপোড়া ক্লান্ত পথচারী
দীর্ঘ পথচলায়, অপেক্ষার প্রহরে
বিরহী দুঃখী বেহালা।
পাশাপাশি জীবনের অদেখা ভূবনে
নীরব রাতের স্বপ্নবিহীন চাওয়া পাওয়া
মাঝরাতে তুমুল বৃষ্টি, তপ্ত নিঃশ্বাস
নিঃসঙ্গতার আড়ালে সুখের চাষবাস।
একেকদিন
একেকদিন খুচরো পয়সা, অজান্তে খরচ হয়ে যায়
একেকদিন খুব সুস্থ থেকেও মন অসুস্থতার গান গায়
এক এক দিন করে বছর চলে যায়
হাহাকারগুলো বিদ্রুপের ছায়াতলে
তোমার বিছানার সাইড টেবলে
অবহেলে পড়ে রয়
কেন যে এমন হয়!
তোমাকে কাছে পাবার তৃষ্ণা
জাগ্রত বিগ্রহ দেহ
সটান নগ্নতায়
একেকদিন একেকদিন বিরহ
সব কিছুর দখল পায়
তোমাকে ডাকা অনেক নাম
তোমাকে বলা না বলা অনেক কথা
নীরবতায় ছেয়ে যায়
একেকদিন নিজেকে লাগে
বড্ড অসহায়
কথা-দুই
সমুদ্র যতো বিশাল হোক অন্ধকারে তাকে দেখা যায় না
তুমি সমুদ্র নও, সমুদ্রের মতও নও, তবু তুমি
দৃশ্য হয়ে থাকো অন্ধকারেও!
তোমাকে বলেছিলাম সে কথা- তুমি ক্রিষ্টাল মূর্তির মতো
দাঁড়িয়েছিলে আর সমুদ্র পাড়ের বাতাস কথাগুলো
উড়িয়ে নিয়ে গেলো। তোমার শোনা হলো না!
সময়ে সময়ও যায় বদলে
বদলে গেছে চুলের রঙ, ঠোঁটের আকার
কথা শোনার ধরণটাও,
বদলে গেছে কোন কথার কোন মানে
বদলে গেছে তোমার ঠিকানাটাও!
পৃথিবীর সকল ডাকঘর ঘুরে কথাগুলো ফিরে এলো,
কোন কথা তাই পৌছাতে পারেনা তোমার কাছে,
নিঃসঙ্গতার মতো করে জড়িয়ে থাকা অন্ধকারে
কথাগুলো বুকের ভেতর পায়চারি করে!
তখন একটি দীর্ঘশ্বাস উড়ে গিয়ে শুকনো পাতার মতো
পড়ে থাকে গাছের নিচে!
তুমিই জানলে না, গাছ কি আর জানবে;
একটি দীর্ঘশ্বাসের মধ্যে অনেক না-বলা কথা থাকে!
গ্ল্যাডিয়েটর
আমাকে যদি ধরতে চাও
এসো যেথা সাফারির বন
আকাশ পাতাল ঘুড়ে বেড়াই
শুন্যে যে মোর আসন।
অশোক হয়ে ফুটি আমি
সাথে হাজার সাথি
বাঘ ভাল্লুক সিংহ মামা
আছে নানান জাতের পাখি।
ভ্যাম্পায়ার ও শকুনেরাও
বন্ধু আমায় মানে
মুগ্ধ আমি তৃপ্ত আমি
তাদের সুর ও তানে
ভুজঙ্গ আমায় আদর করে
সর্ব অংগ দিয়ে
যতই বলি ছাড় আমায়
ততই থাকে জড়িয়ে।
লতা পাতা গুল্ম যত
থাকে পাহাড়ায়
কেউ যদি ধরতে আসে
তাড়ায় হিংস্র ইশারায়।
হেথায় আমি চরম সুখী
নেই তো প্রাণের ভয়।
সভ্য নামের সমাজ টাতেই
আমার প্রাণ সংশয়।
অবনির হেথায় থাকি বন্ধু
প্রাণে বড় ডর।
এখানে আমায় ধরতে হলে
তোমাকে হতে হবে গ্ল্যাডিয়েটর।
তাই ধরতে হলে চলে এসো
এই সাফারি বনে
বল সাত সমুদ্দুর পারি দিয়ে
আসবে কত ক্ষনে।
সিরাজগঞ্জ
অক্টোবর,২৭,২০১৩খ্রীঃ
টাপুর টুপুর
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
টাপুর টুপুর সকাল দুপুর,
পায়ে যেনো খেলছে নূপুর,
কালো আকাশ গোমড়া মুখ
প্রেয়সীর মনের কিছু দুখ।
দুঃখ সব ঝরিয়ে দেবো,
পথে ঘাটে প্রান্তরে
, চোখের সব পানি দিয়ে,
ঠাঁই নেবো ঐ অন্তরে।
শীত শীত ঠান্ডা বাতাস,
একটুখানি ওম,
মনে মনে ঝড় ওঠেছে,
কাঁপছে বুধের সোম।
৫০ শব্দ চায়।আমি দিমু কই থাইকা।আর তো মাথায় আসে না। কি করি,আমি কি করি
:
পিরামিড প্রাচীনতা
২৫.১০.২০১৩
প্রগাঢ় স্বপ্নে তোমার অধরে এঁকে দিতে গিয়ে
একটি উষ্ণ চুস্বন,
আমি দ্বিধায় কুঁকড়ে উঠি যখন-
ভেসে উঠে একটি হাহাশ্বাস-হায় জীবন!
লঘু জোনাকী অথবা নির্ভীক নারী
নক্ষত্রের ছায়াতলে নিবিড় করে
না পাওয়ার বেদনায় জ্বলে,
ডেকে নিয়ে সমূহ পতন-
বলে যায় মূঢ়তার সময়
বেড়াল ফাঁদে, মন যদি কাঁদে জানি
ভালোবাসাহীনতাই জীবন।
স্বাধীনতা মানে অনিঃশেষ নিঃসঙ্গতা
মরাল গ্রীবায়,
সর্পিণী সহোদরার প্রেমহীনতায়
খোঁজা জীবনের মানে
শীতরাতে ডুবে যাওয়া
পিরামিড প্রাচীনতায়...
মান্না দে
গানের মানুষ মাটিতে তোমায় মানায় না
তবু যেতে হচ্ছে
সবাই যে পথ দিয়ে যায়
যাওয়াটাই সত্য, গানের মতো।
সুর দিয়ে পুড়িয়েছো বুকের জ্বালা
আগুন তোমাকে পুড়াবে কি করে।
কতো আগুন নিভিয়েছো তুমি
গানে আর সুরে।
যে আগুন পোড়াবে তোমায়
সে আগুনও প্রণাম করে নেবে আগে!
আগুন তোমায় পুড়াতে পারবে
আগুন পারবে না তোমার গান পুড়াতে!
আগুন ফুরিয়ে যাবে
তোমার গান ছড়িয়ে আছে হৃদয়ে হৃদয়ে
তোমার গান ফুরাবে না কখনও,
তোমার গান পোড়ানোর আগুন সৃষ্টি হয়নি
পৃথিবীতে এখনও!
একাই গেলো
আগুনরঙা গোধূলি শেষে সন্ধ্যার ভেতর যে এতো হাহাকার থাকে
সে তো বোঝাই হতো না, যদি তুমি পৃষ্ঠা পাল্টানোর মতো করে না পাল্টাতে!
চুলের ছায়ায় ছায়ায় সন্ধ্যা আসতো, এসে ভোরে পৌছে যেতো কখন,
টের পেতাম না! এখন সবই টের পাই, সময়ের মাঝে গভীর একটি শূন্যতা,
বাতাসে বাতাসে দোলে দীর্ঘশ্বাসে দীর্ঘ রাত্রি!
কি কারণে চলে যেতে হলো, কি ভেবে কোন দিকে চলে গেলে পথ,
কিছুই জানা হলো না বিস্তারিত। কি নাম রেখে গিয়েছিলো মনে পড়ছে না তাও!
শুধু শরীরে লেগে থাকা শরীরের ঘ্রাণ রয়ে গেছে, ঘ্রাণটুকু ধুবো কোন পুকুরে বলে গেলো না!
যাবেই যখন একা কেনো? তবু,
একলা গেলো, একাই গেলো, আমাকে নিলো না!
ঘুম অথবা ঘুমহীনতায়
কষ্টগুলো সোনালী র্যাপিংপেপারে মুড়ে রাখি সুস্বাদু চকোলেটের মতো।
রাত পুড়ছে জোনাকধরা হাতের মুঠোয় ।ঘরময় এই শীতলতা----- এক পশলা বৃষ্টির পরে।
দীর্ঘশ্বাসের দাগগুলো ধারাজলে মুছে গেলে চারপাশ ঘিরে থাকে নিঃসীম স্থবিরতা।স্থবিরতা?
নাকি মুমূর্ষার গন্ধ ভেসে আসে মাঝরাতের বেহালার মতো ক্লান্ত; বিধ্বস্ত !
নীলঅন্ধকারের বুক জুড়ে 'কুব', 'কুব' করে খুব ডেকে যায় নাম না জানা রাতজাগা পাখী।কে জানে কি যে ব্যাথার বৃষ্টি ঝরে তার পাখসাটে!স্রোতে ভেসে যায় তার কয়টা পালক
কি আশ্চর্য সমাসঙ্গ পাখী ও মানুষের!যেখানেসেখানে অগোচরে মায়ার পালক ছড়ানো
ধু-ধু তেপান্তরের মাঠে টগবগটগবগ সাদা ঘোড়া
পালিয়ে যাচ্ছে রূপকথার গল্প-কাহিনী।আর কোন ঠাকুরমার ঝুলি নেই।জিয়ন-কাঠি?নেই।
জীবন গুটিয়ে আছে কেন্নোর মতো; কুন্ঠিত।ম্রিয়মাণ।
কেন যে আধোঘুমের ভেতরে আচমকা ফালিজ্যোৎস্নার মতো এক চিলতে স্বপ্ন ঢুকে পড়ে
বন্ধু তোকে মনে পড়ে
১৬.১০.১৩
নিবিড় সন্ধ্যায় পাখিদের সংকীর্তণ
গুচ্ছ আঁধার জমে থাকা
বৃক্ষরাজির শির্ করে রাতের আবাহণ
মিথ্যে হয়ে যায় নাগরিক জীবন
কী-বোর্ডের ঠক্ঠক্ মুছতে পারে না
প্রাচীন জলের ঐকতান
দায়বদ্ধ চরণে বাঁধা শেকল
মন চায় উপড়ে ফেলতে শেকড়
যেখানে আছে পোঁতা যাবজ্জীবন কারাবন্দী যুগল।
-------
শ্লোক এবং শোক
একে অপরের
ভুল সেখানেই
বৈরাগীকে বানানো ঘরের!
-----
মৃত মাছের সাথে ভেসে ওঠে
প্রাণহীন বন্ধুর মুখ
ভুলতে পারি না
জলে ডুবে তোর চলে যাওয়া
তোকে হারানোর দুখ্!
-------
ঘেরাটোপ চারদেয়ালের
পেরেক ঠুকে বিসর্জন সব খেয়ালের
নবান্নে বিদ্রোহী হবার সাধ জাগে
লোভ নেই আর দ্রব হবার
কারো অনুরাগে।
একার রূপকথা
১৯.
সুন্দর মাত্রই আমার আরাধ্য
মননে ও মেধায়
হোক সে নারী অথবা পুরুষ,
অন্তরে থাকুক মোহাম্মদ কৃষ্ণ
বুদ্ধ বা যীশুর ক্রুশ।
১২.১০.১৩
সুরে সুরে মাতোয়ারা কত না দিন
সেইসব সময় আমাদের
দু বন্ধুতে কেটেছে কি যে উচ্ছ্বল বর্ণিল!
ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় কাটকাটি
হ্রস্ব তরল নেশা ভুলিয়েছে
ব্যক্তিগত-পেশাগত হতাশা।
ঐ সব আকাশ পৃথিবী ছোঁয়া আড্ডা
ফিরে আসে না আর
আমরা এখন করি শুধু সংসার!
পূর্ণিমা বর্ষা কেমন করে পার হয়ে যায়,
রিকশাগুলো একাকী ঘোরে
বামপাশ পড়ে থাকে ফাঁকায়।
যায় দিন যায়-মাস-বছর যায়
কত মোবাইল নেট চ্যাট
সাগর পেরোনো কথা উড়ায়,
আমার অপক্ষো তোমার আশায় আশায়
চোখ মুছিয়ে কেউ দেয় না
এন্টিসেপ্টিক হাগ্,
কেউ বলে না যত সমস্যা আসে আসুক
আমরা তুমুল বাঁচব বন্ধু
মরণকে বালাই ষাট্।
ইনবক্স খালি, মেসেজে নেই তোমার
ভালোবাসার বিলোড়ন,
আমার একাকী সময় ক্ষয়ে যাচ্ছে
শুভ মন-বোধন।
হিংসুক মনের ভাবনা!
অতিথি পাখির ডানায় মায়া বাঁধা থাকে
মুঠোফোনে ছুঁড়ে দেয়া শব্দে
প্রবাসী আপনজনের উদ্বিগ্নতা
কখনো কখনো ভালোই লাগে।