ইউজার লগইন
কবিতা
আমি একজন খাঁটি বেকার।তাই বেকারদের নিয়ে একটা ছড়া পোস্ট দিলাম
উস্কোখুস্কো চুলের বাহার,
কপালের ঘাম মুখেতে,
ছিড়ছে জুতার শুকতলি,
আর পয়সা নাই যে পকেটে।
ঘরে ঢুকলে আব্বার কের্ত্তন,
আম্মার লাই দেয়া হাসি,
সমাজের আর সকলের কাছে,
আমি খোদার খাসি।
কি করছেন?কিছুই না।
উত্তর দিবো কতো,
বেকার টাইটেল নিয়ে আজ,
ঘুরছি অবিরত।
বেকার পোলার মত বালাই,
এই দুনিয়ায় নাই,
সাধ করে কি আমরা সব,
বেকার থাকতে চাই?
চাকরির আশায় পার করি দিন,
ঘুরে ঘুরে হতাশ,
চাকরি করা দোস্ত দেখলে,
অপমান লাগে চটাস।
সকালে যাই রাতে ফিরি,
শান্তি নাই কপালে,
ঘরের সকল কাজে থাকি,
হয়ে সাক্ষী গোপালে।
১১.১০.১৩- মন খারাপের একদিন
১.
ও কি আমার মতো লিখতে পারে কবিতা
ছুঁতে পারে তোমার মন!
জানে কি তোমার ভালো লাগা মন্দ লাগা
কিংবা ছন্দপতন!
তবু ও জিতে যায় সামাজিক নিয়মে,
এলে না তুমি, রাখতাম বুকের ভেতর
পদ্যের ওমে।।
২.
ঐ রোদ ঐ বরফ সব তোমাকে ছোঁয়
ঐ জল ঐ হাওয়া সব তোমাকে ছোঁয়
কার্নিশে বসা পাখিটাও তোমার কথা
ঠোটেঁ তুলে কয়;
তুমি শুধু আমাকেই করলে অচ্ছুৎ
বুঝেও বুঝলে না আমার মানুষী ভালোবাসার
অমানবিক ক্ষয়
৩.
তুমি সাগর জলে
তুমি মধুচন্দ্রিমায়
তুমি করছো স্নান
বিস্ময় ঝর্ণায়
আমি ডুবে যাই
অগাধ বেদনায়
৪.
মিথ্যা মদিরা মিথ্যা ধোঁয়ার চুম্বন
যতক্ষণ চোখে দেখা ততোক্ষণই
আনন্দের আলোড়ন
৫.
অনবদ্য ভ্রান্তি সাথে সান্দ্র দুচোখের পাতা
পুজিঁবাদ করে যায় নিনাদ
কাজ এবং কাজ, অলখে রয়ে যায়
ব্যক্তিজীবন রং ছাড়া সাদা।
ছয়দিন নেই সাতদিন নেই
ঘুরছে পুজিঁর চাকা
প্রথম বিশ্ব বাঁধা চল্লিশ ঘণ্টার শ্রমে
তৃতীয় বিশ্ব সেসব মানে না
চলে সপ্তাহে বাহাত্তর ঘণ্টা
আহা দেহ তো পঁয়ত্রিশেই জেরবার
অজান্তে অক্বা পায় মন টা।
কড়ির কাছে বিক্রি হয়ে গেছি সেই কবে
কবি মন বয়ে চলে দহন
সামনে নিয়ে অমানুষিক ভীড়ভাট্টা
ভাবে একটাই জীবন
নত শিরে
আমার ভালবাসার মাত্রা
আর কটটুকু হলে
তোমার ভালবাসাকে ছুতে পারব।
আর কত নদীর জল সমুদ্রে প্রবাহিত হলে
তোমায় ভালবাসায় সিক্ত করতে পারব।
আর কত ফুল বাগানে ফুটলে
তোমার ভালবাসার মালা গাথা হবে।
আর কতটি বিনিদ্র রজনী অপেক্ষার পর
ভোরের সূর্যের উদয় হবে।
সে ভোর শরত হেমন্ত, শীত, বসন্ত
বর্ষা, গ্রীষ্ম যাই হউক না কেন?
তাতে কি আসে যায়?
যদি শুনি তোমার ভালবাসা
আমার দ্বারপ্রান্তে,
তখন, তখন যে
সব কিছু ফিকে হয়ে
তা যে হবে ঐশ্বরীয়।
কি বললে! তোমার ভালবাসায়
কি এমন লাভ?
হা!হা! হা!......
কি পাগল হয়ে গেলে নাকি?
এমন কথা শুনলে কে না পাগল হয়?
ভালবাসা কি কেউ কখনো লাভ ক্ষতি
ভেবে করে।
আমি তোমাকে ভালবাসি
তোমাকে ভাল লাগে এটাই শুধু জানি।
বিশ্বাস কর এটাই শুধু জানি।
তাতে
আমার নিজের উপর আমার কোন
নিয়ন্ত্রন নেই। আমি কে? আমি কি?
আমার.........।
বিশ্বাস হয় না?
তোমার অনুমতিতে,
রক্ত হয়ে
যখন তোমার শিরা উপশিরায়
বয়ে বেড়াব, তুমি বুঝবে?
অক্সিজেন হয়ে
তোমার নিশ্বাসের সাথে মিশে
তনু তনু সঞ্চালিত হব, তুমি বুঝবে।
বাতাস হয়ে তোমার শরীর নামক
অবয়ব খানির শাখা প্রশাখা
চিঠি
(লেখাটি না কি ছোট তাই প্রকাশ করছে না। ৫০র অক্ষর না হলে না কি আমার এই ফালতু লেখা হোম পেইজে দিবে না। আর দিবে না বলেই এইসব লিখে যাওয়া। )
চিঠি এসে দরোজায় কড়া নাড়ে
মেঘগুলো নিচে নেমে আসে
যা যা ছিলো সবই আছে
ভুলে ভরা জীবনে।
চিঠি আসে, ভুলে;
স্মৃতি আসে-
মাঝ রাতে,
চাঁদের পাশে কার মুখ ভাসে?
সমুদ্র এসে পায়ে দোল খায়
অবহেলা সারাবেলা নিজের সনে
আমার একটা সমুদ্র আছে মনে মনে!
আমি গান গাই, হাহাকার, আর্তনাদ যতো
আমি বলি, আমি কেনো আমার মতো?
ইক্ষু চোর
সূর্যি মামা তার বোন
ভূ-বোনের বাড়ী থেকে
আধ ঘণ্টা আগে বিদায়
নিয়েছেন।
৭-৮ বছরের দুটি কিশোর
এবং তাদের চেয়ে এক দু
বছরের বড় দুটি কিশোরী
এক সাথে সরকারি ইক্ষু খামারে
আক্রমণ চালালো।
কড় কড় মড় মড় শব্দ।
তড়িত কাজ সমাধা করতে হবে।
তাই পাল্লা দিয়ে
একেক জনের
কড় কড় মড় মড় শব্দ,
গুলো যেন উচ্চ নিনাদে
প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
কে রে কে ?
কে কুশার ভাঙ্গে।
শব্দ গুলো কানে এসেছে
কি আসে নাই।
সাক্ষাত যম সম ওয়াচ ম্যানের
হাত আমার গর্দানে।
পাশ ফিরে দেখি
অভিজ্ঞ সঙ্গীরা সবাই পগার পার।
বাড়ী কোথায়?
বাবার নাম কি?
কে শুনে কার কথা।
কান্নার বাহানায় চিৎকার,
প্রশ্ন যত বাড়ে চিৎকারের জোর ও
তত বাড়ে।
হাটুরেরা হাট থেকে ফিরছে,
তাদের মধ্যে ভারত থেকে আগত
রিফিউজি আমাদের জমির বর্গা চাষি।
চিৎকার শুনে কাছে এসেই আমাকে
চিনতে পারে। বাবার নাম বলার সাথে সাথে
ওয়াচ ম্যান চিনতে পেরে ছেড়ে দিল।
না শুধু ছেড়েই দিল না
বাড়িতে পৌঁছে দিতে চাইল।
বড় ভাই শুনলে মারের চোটে
পিঠের চামড়া কোথায় যাবে,
নিজেও চিন্তা করতে পারছিলাম না।
তাই ওয়াচ ম্যানকে বললাম।
না বাড়ী যাব না।
দুধেল প্রহেলিকা
এখনি ঝড় তোলা রাতে জন্ম হয়ে গেলো দুধেল পুষ্করিণীর
টাকি মাছে মাখন রঙ বসলো চেপে
কই মাসের শ্বাস-প্রশ্বাস দুধেল উচ্ছ্বাস
চিংড়িগুলো একেক করে দেখে গেলো
শরীর জুড়ে ছোপ লাগলো দুধ আলতার
উঠোন মুড়ে রাঙা বৌয়ের বটি ঝরায় রক্তিম-রস জ্বালা
এমন সময় গোয়াল ঘরে গাভী ডাকলো জাবর কাটলো
ইচ্ছেগুলো দানা বেঁধে তুললো শূন্যে ঝড়।।
নিরব কুজ্ঝটিকা
অদৃশ্য হয়ে গেলে ছাপ এসে পড়ে মনের উপর
লঘু চালে সড়ক-বন্দর পার হতে হয়
কখন যে আমার ফিরতি পথের ট্রেনে যেতে হবে
কুয়াশা মোড়া রাত উদ্দেশ্য অজানার জন্ম দেয়
তখনই পাঁচিল ঘেরা ভূ-খন্ডে গুটি পায়ে
নেমে আসে চিরায়িত সে মানবী তার ক্ষীণ-কটি
তবে আঁধার লালিমায় শোনা যায় না কন্ঠ কূজন
সে নাকি জলের ঝর্ণাকে টেনে নিয়ে এসেছিল
অলিগলি পার হয়ে রাজপথের মধ্য মুকুটে।
একলা পাখি
একলা নীড়ে একলা পাখি
মন খারাপের এমন দিনে
বৃষ্টি ভেজা প্রহর কাটে
অপেক্ষাতেই!
চোখের কোণে স্বপ্ন আঁকি
দিনের শেষে রাত্রি নিঝুম
বাদলা দিনের একটানা ঘুম
অলস আঁখি!
স্বপন ঘোরে থমকে দাঁড়ায়
নিজেই নিজের দুঃখ তাড়ায়
কার তাতে কি আসে যায়
এই বরষায়!
মেঘলা দিনের উদাস ক্ষণে
বাউল মনের দিন কেটে যায়
ঝড়ের বাতাস দোল দিয়ে যায়
মনের কোণে!
শ্রাবণ মেঘের ভেলায় ভাসি
মনের সাথে মন মিতালি
রংধনুতে রাঙিয়ে আকাশ
সুপ্ত হাসি!
রঙিন আলো ছড়ায় মনে
লাল-হলুদের আগুন লাগে
জারুল কদম সোনাঝুরি
কৃষ্ণচূড়ার বনে!
সকাল সন্ধ্যা বৃষ্টি মুখর
ঝড় বাদলের গুমোট আকাশ
বিষণ্ণতায় ঘিরে থাকা
উদাস প্রহর!
ভাত, ভোট,স্বপ্ন আর গ'তন্ত্র
কল্পলোকের গল্প বলে নেতা দেখায় স্বপ্ন,
ঠা ঠা রোদে চর্ম পুড়ে গিলে নিরন্ন ।
নেতার গলায় মধুর হাঁড়ি,
কানে লাগে মিষ্টি ভারি,
গল্প গিলে অল্প হলেও ভরত যদি পেঠ,
কেইবা অমন খুন বহাতো পোড়া পেটের জন্য !
নেতা-নেতী ভাতের-ভোটের স্বপ্ন ফেরি করে,
(তবু) হা'ভাতেরা হাজার বছর পড়ে থাকে হা করে,
দুগ্ধ-মাখন,হালুয়া-রুটি,
নিজেরা খান লুঠিপুটি,
গলায় তৃপ্তির ঢেকুর তুলে দেন ঊপদেশ সংযমের,
এমন শালার নেড়ির বাচ্চার নেতৃত্ব আজ দেশ জুড়ে ।
চুপি চুপি 'কারচুপি' সব দলে চায় হোক ভোটে,
নিজেরা জিতলে শ'ভাগ সঠিক ! অন্যের বেলায় বটে,
গদি থাকলে হারাম যা যা,
গদি গেলে হালাল সব,
গোদের উপর বিষফোঁড়া 'হর ---' গণের মাথায় 'তাল' পড়ে,
পঁচা ডিমে তা দিয়েও 'গ'তন্ত্রের ছা' ফোটে !
বিদেশী সাংবাদিকের প্রতি
আপনি বিদেশ থেকে এসেছেন ?
সাক্ষাতকার নেবেন জনৈক বিখ্যাত মানুষের ?
এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে কথা বলবেন ?
ভুল হয়ে গেছে আপনার !
আমাদের যুদ্ধ যদি কারো জানা থাকে
তারা হলো-
এদেশের মাটি,
এদেশের নদী, খাল-বিল,
এদেশের সমগ্র নিসর্গ,
নদী মাঠ আর বন
এরাই দেখেছে সব নিজ চোখে
এরা আপনাকে দেবে সে বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার খোঁজ
কিংবা পিতৃহীন ছেলেমেয়ে ঘেরা বিধবা রমনী
কান্না যার নিত্যসহচর
তাদের ঠিকানা
যাদের সন্তান কিংবা স্বামী
অথবা যাদের বাবা
রক্তাক্ত শরীরে আছে শুয়ে
আজো সেদিনের মতো সশস্ত্র উদ্যত হাতে
মাটি বুকে নিয়ে
অনন্ত সময় জোড়া
বিষন্ন নিদ্রায় বুঁদ
এখনো সময় আছে
তাদের কাছেই যান
স্বাধীনতা ওইখানে বাসা বেঁধে আছে।
ঘোর
স্পর্শঘোর...
তোমাকে কখনো শাড়িতে দেখিনি আমি, শুধু ছবি ছাড়া। কতোবার ভেবেছি বলব একদিন শাড়ি পরতে, বুকের দুরুদুরু ছন্দ ছাপিয়ে ঠোঁট পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেনি শব্দ গুলো। একদিন আসইনা ... পেয়াজখসী আঁচল জড়ানো তোমাকে দেখি প্রাণ ভরে। হয়তো সেদিন ভুলকরে ছুঁয়ে দেবো তোমার হাত কিংবা শাড়ির আঁচল। স্পর্শঘোর জমা হবে স্মৃতির একান্ত সিন্দুকে...
শব্দঘোর...
তোমার আঁচলে আঁকা স্পর্শঘোর ছবি হয়ে গেলে, বসে থাকি নীরবে। ছবিটায় শব্দ ছোঁয়ালেই হয়ে উঠবে কবিতা, আর তুমি কবিতাটা একবার পড়লেই হয়ে যাবে গান। কিছু কিছু গান, কেন জানি বসে যায় বুকের ভেতর। রোদ গলে পড়া দুপুরে সেই গান শুনলেই বৃষ্টি নামে মনের নিকোনো উঠোনে। ঝিলিমিলি সেই উঠোনে তোমার উচ্চারিত শব্দগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে। শব্দঘোরে ডুবে যায় চরাচর...
সময়ঘোর...
নষ্ট জীবন
ধীরেধীরে রাত গভীর হয়,
সকলই ঘুমিয়ে যায়; শুধু জেগে রয়-
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ল্যাম্পপোস্ট
আর রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরগুলো,
তাদের সাথে জেগে থাকে
দুটি নির্ঘুম চোখ আর একরাশ কষ্ট।
কষ্টেরা দিনে ঘুমায় আর রাতে জেগে ওঠে,
হাতরে বেড়ায়, খোঁজে সুখের স্মৃতি;
ক্লান্ত হয়, অস্থির হয় তবুও খুঁজেফেরে
কোথায় কোন যায়গায় তার সৃষ্টি?
আর এভাবেই জীবন অতিবাহিত হয়,
কেটে যায় রাতের পর রাত,সপ্তাহ, মাস,বছর।
এভাবেই বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যায় স্মৃতি,
স্মৃতিহীন জীবন থেমে রয়, তার নাম নষ্ট।
জীবনানন্দীয় ক্লান্তি
সমস্ত দিনশেষে ভ্রু'র কোণে এসে জমে
জীবানন্দীয় ক্লান্তি
এসব অবগুণ্ঠনহীন যাপিত জীবন
বহুদিন ছুটিতে থাকা অশ্বের অনভ্যস্ত ক্ষুর ঠোকা
অজানার পারে ছুটবে বলে-
কেউ বোঝে না, দেখে না কেউ মন দেহ
উল্টে পাল্টে;
উন্মুক্ত রং রস, তারচেয়ে বেশি প্রকাশিত
হৃদয় দ্বার, সুবিধাটুকু করে উপভোগ
উগড়ে দেয়া আধুনিক ভাষার ধার!
কেউ জানে না কি লেখা প্রাচীন মিশরীয় স্লেটে-
ভুলে যাওয়ার সুত্র বা পারম্পর্যহীন কথার ভার!
আগামীকাল তুমি আসোনি মায়াসভ্যতা-
কালো বিড়াল বৃথা মরলো কেঁদে।
সমস্ত দিনশেষে ভ্রু'র কোণে জমে থাকে
মানবীয় ক্লান্তি,
জীবনানন্দ সেই কবে থেকে কবি মাত্রেরই
মৃত্যু-প্রাণের ঐকতান অথবা নিখাদ বিভ্রান্তি।
ঈদের চাঁদ
আয়রে ছুটে, দেখবি সবাই, চাঁদ উঠেছে চাঁদ
রমজানের ঐ রোজার শেষে, ঋদ্ধি ঈদের চাঁদ।
ঈদ মুবারক, ঈদ মুবারক, ঈদ মুবারক, ঈদ
শিশু কিশোর যুবা বৃদ্ধার টুটে গেছে নিদ।
নতুন জামা, নতুন কাপড়, পড়ব নতুন বেশ
সুগন্ধি লাগাব গায়ে টুপিতে ঢাকব কেশ।
নামাজ শেষ গরীব-ধনী করব কোলাকুলি।
ঈদগাহে আসব-যাব আল্লাহু আকবার ধ্বনি তুলি।
খরার কবলে পড়ে মাঠ ঘাট চৌচির
ফল ফসলে ভরে যায় ছোঁয়া পেলে বৃষ্টির।
তেমনি, পাপে তাপে নাজুক যখন দেহ, মন, প্রাণ
ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয়, মাহে রমজান।
রোজা, নামাজ, তাড়াবি পড়ে সবাই নিস্পাপ
আঁধার রাতে শেষে যেন নতুন মাহতাব।
এটা খোদা তোমার বানী তুমিই পথের দিশা।
নিস্পাপ হয়ে ফিরতে পারি এই তো মনের আশা।
সুখে দুঃখে সকল সময় তোমায় যেন স্বরি।
না চাইলেও তুমি দিও সাফল্য মঞ্জুরি।
০৯/০৮/২০১৩ খ্রীঃ
উত্তরা, ঢাকা
৫ টি কবিতা
নিদ্রা
নগ্ন তুমি
তুমি গভীর ঘুমে
নিদ্রা ঢাকছে তোমার নগ্নতা।
নিদ্রা-এক
তুমি ঘুমে। তোমার ঘুমের মধ্যে জেগে থাকি আমি...
মন খারাপগুলো
সব কথা তো আর লিখে দিতে পারবো না
সমম্ভব না সব চুমু এক সাথে
তবু বিষন্ন এই বেলায়
চলে যাবার 'খন
আমার কাধে একটু মাথা রাখো
আমার মন খারাপের ওপর তোমার
শরীরের ঘ্রাণটুকু ছড়িয়ে দাও
সুগন্ধী হোক মন খারাপগুলো।
অবাধ্য মন ঘুমের ভেতর
ফুল হয়ে ফুটে,
ফিসফিস করে সেইসব কথা বলে দিতে পারি,
লিখে রাখা অসম্ভব!
আজকের লেখা কদিন পরই
উড়াল শিখবে, জানি-
আমি জানি
তখন এ-বাড়ি ও-বাড়ি
সকল বাড়ি হবে জানাজানি।
তার থেকে ভালো
মন খারাপ হয়ে থাকাটাই ভালো।
আমার মন খারাপের ওপর
তোমার চুল খুলে দাও
মন খারাপটা লুকিয়ে যাক তার ভিতরে।
ক্ষত
অন্ধকারের মধ্যে যে ছায়া, সে ছায়ার ভেতরেও ক্ষত আছে..
ফেরা
তোমায় দেখতে আসি, আমার বহুকাল
তুমি কেমন আছো?
জয়গুলো তো তোমার, তোমারই আছে।
তুমি কেমন আছো?
পেছনে পড়ে আছে অনেকগুলো গতকাল
তার ভেতরে ঘুমিয়ে আছো তুমি
তোমার পাশে কে?
নির্বাক আমার স্বর ফোটে না....
26.07.13
আমার আস্তিনের নীচে লুকোনো নখ
বিড়ালের মুখে ইঁদুর
অপার জলে ওড়াওড়ি সীগাল
মাঝে মাঝে ডাক দেয়, সু-দূর
আমার মুখে হাসি
বিষণ্নতার কবর
রমণের ইতিহাস নিংড়ে
জন্মের ক্ষণ খোঁজা, মনের চোখ থাকে বোঁজা
আমার মুক্তির স্বেদবিন্দু
বন্ধুর পথে বন্ধু
অপেক্ষার দুর্বিনীত প্রহর
ডানে বামে এলায়িত
দিকচক্রবাল
ডাকছে সমুদ্দূর...
--------------
প্রজাপতি ওড়া পাঁজরে
নবাগত অনুভব
দিচ্ছে চাপা বিগত দিনের
দুঃখ-হতাশা-ক্ষোভ;
ইথার জানে, জানে দোর ছাওয়া
কৃষ্ণচূড়া, ইসাবেলা-
দিন শেষে ওল্ড ইজ গোল্ড।
হাজারের সাথে আরো একশ পঁচানব্বই দিন
পুড়ে গেল ঠোঁট, সাথে ফুসফুসের জমিন,
বলতে পারিনি ইসাবেলা-
“তোমাকে ভালোবাসি না”।
সারস ডানায় বন্দী স্বাধীন পদ্য
প্রথম চুম্বনস্বাদ এখনো স্মৃতিতে অনবদ্য!
কতজন কত স্মৃতিতে বাচেঁ
আমি এখনো পড়ে আছি তোমারই গড়া ছাঁচে;
ক্লান্ত মন জপে যায় একই সুর
কাছে আসো পাশে বসো
আমার আদরের ‘দূর-বহুদূর’
এককথায় –সুদূরিকা...
এবার তো দাও দেখা!
০৫০৮১৩
কত সহজ উচ্চারণে বলে ফেলো
“ভালোবাসি না”
প্রতিদিনের শেকল ভাঙা গান
কে গায় তোমাদের জন্যে