ইউজার লগইন
কবিতা
~~ দখিনা বাতাস!!! তোমাকে লিখা কবিতা~~
------------------------------------------------------------------------------------------------
------------------------------------------------------------------------------------------------------
মাঝে মাঝে দখিনা বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায় আমার সব ,
উড়ে যায় সাজানো ফুলের বাগান।
নিভৃতে কাঁদে শুন্যতা,
আমি তো চেয়েছিলাম একমুঠো রোদ্দুর,
আমি চিৎকার করে বলেছিলাম – “ আমাকে নিরবে কাঁদতে দাও”
নাহ , আমাকে বিধাতা কাঁদতে দিলেন না ।
সেই দখিনা বাতাসেই আমার কাছে উড়ে এলো হারানো ফুলের বাগান...
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না , আমি জেগে রই ...।।
ফুলের গন্ধে একা থাকতে যখন মানিয়ে নিচ্ছিলাম নিজেকে
দেখলাম ফুল গুলো চলে গেছে নষ্ট জীবানুর দখলে...।।
আমি আবার ফুলদানিতে নতুন ফুল রাখি ,
লাল, নীল, বেগুনী ...
পানি দেই , দেই সকালের সুরজের আলো,
গন্ধে আমি বিভোর,
এখানে ওখানে মৌমাছির মিছিল,
হুল ফুটিয়ে তবেই শান্তি,
মেনে নেই ,
মেনে নিতেই হয় ,
তবুও ফুল গুলো রাত ভোরে মরে যায় ...।
এভাবেই কেটে গেল অনেক দিন ।
আমি আমার মত আর হতে পারলাম কই?
তোমার মত চলতে গিয়ে , তোমাকে পেতে গিয়ে,
তোমার মত হতে গিয়ে ,
মৃত্যু আমার অনেক প্রিয়
মৃত্যু আমার অনেক প্রিয়
আমি কখনও তাকে দেখিনি
শুধু দেখেছি যারা মুত্যুকে দেখতে পায়
তারা মুত্যুর সাথে চলে যায়।
তাদের এই চলে যাওয়া দেখতে দেখতেই
মৃত্যু আমার প্রিয় হয়ে ওঠে।
নিশ্চয়ই মৃত্যুর মধ্যে এমন কিছু আছে
যা দেখে সবাই, সকল মায়া-মমতা, সাজানো পৃথিবী
পেছনে রেখে চলে যায় মুত্যুর সাথে সাথে।
মৃত্যুর সাথে বন্ধুত্ব করতে আমার কোন রকমের দ্বিধা নেই
মৃত্যুকে ছুঁয়ে দেখার কৌতূহল আমার দীর্ঘ দিনের;
একবার মৃত্যুর সাথে দেখা হয়ে গেলে
আমি সবাইকে রেখে, একা চলে যাবো তার সাথে,
আমি কাউকে নেবো না আমার সাথে
আমি যে স্বার্থপর এই কথাটা তো পুরাতন!
বসরাই খাটি
যদি ধমক নাই দিবে
তবে বস গিরি কি হয়।
যতই তুমি কাজ করনা
ধমক সদাই রয়।
বস ইজ অলওয়েজ রাইট
সেই কবে থেকে শুনি
তাদের মাঝেও অনেক বস আছে
যাদের গুরুর মত মানি।
বসদের শিক্ষা বসদের ধমকেই
আজ মোরা এত পরিপাটি
পাহাড় সমান হার্ডল পার হই
বসরা তাই খাটি।
তরুণ রক্ত তাই বসের ধমক কাটার মত গায়ে বিঁধে। দিনে সাতবার চাকড়ি ছাড়ে। কাজে অনেক পাকা তাই অভিমানটাও বেশী। সন্তান তুল্য কলিককে সান্তনা দিতেই এই লেখা।
ডুবে যেতে থাকা স্বপ্নেরা
লেখালেখির সাথে প্রায় আড়িই হয়ে গেছে ইদানীং, কেন জানিনা। তারপরেও হঠাত হঠাত মাথার পোকাগুলো নড়েচড়ে ওঠে। একটা দু'টো শব্দ একটা দু'টো লাইন মাথার ভিতর খেলা করে।
এরকমই কিছু লাইন সাজিয়ে ফেললাম অনেক অনেক দিন পর। সেটাকে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শালিকের চোখের কাজল মরে এলে;
পাখিগুলো সব ফুল হয়ে যায়।
কোমল শরীর নিয়ে ফুটে ওঠে অদ্ভুত সন্ধ্যায়,
বৃষ্টির ঘ্রাণ আর ভেজা ঠোঁটের ঘ্রাণ একাকার হয়ে যায়।
হাতের তালুতে আঁকা ভাগ্যরেখায় কাটাকুটি খেলার সাথী হয় অব্যক্ত যন্ত্রণা,
ডাইলিউটেড চোখের মণিতে ডুবে যেতে যেতে স্বপ্নেরা দপ করে জ্বলে ওঠে,
খুঁজে ফেরে খড়কুটো আর একটি নিশ্চিন্ত কাঁধ,
যেখানে অশ্রুরা নদী হয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে নামা ঝর্ণার ছায়া মেখে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
গরম-গরমির কাব্য
১
দুর্দান্ত কিছু সৌন্দর্য নিয়ে ঘেরা থাকে দুপুরের রোদ
তখনও ঘামাতে থাকে অফিস পাড়ার অট্টালিকাগুলো
গাল-মন্দ শোনা যায় দূর রাস্তার পাশের হকারগুলোর
তারা নগর কর্তৃপক্ষের শাপ-শাপান্ত করছে
কেউ কেউ আবার ভাজা চিঁড়া গিলে খাচ্ছে
এমন সময় রাস্তায় গাড়িগুলোয় সপাটে আঘাত শোনা যাচ্ছে
ঝনাৎ ঝনঝন ভাঙ্গে কাঁচ
কে যেন ছুটে এসে ছুঁড়ে তরল
আর দেয় আগুন তাতে
রাস্তা ঝিমিয়ে পড়ে
ঝিমিয়ে পড়ে অট্টালিকাগুলো
গভীর রাত হলে বমিতে বমিতে সয়লাব ফাঁকা রাজধানীর রাস্তা।।
২
ভ্যাপসা গরম, ঘুমানো কি যায়?
বাতাস কিনবো বলে বাসা থেকে বেরিয়েছি
কোথাও মিললো না একটু বাতাস।
শুনছি চাষাবাদ হবে এবার।
বাসা বাড়ির আশে-পাশে।
মাটি থেকে বাতাস জন্মাবে
বাতাসের রুপ কতই দেখিতে চাহিয়াছি আমি...
শুধুই গন্ধ আসে
বাতাস বাতাসা নয়।
আমি বাঙ্গালী তাই বিদ্রোহী
সূর্যের বুকে তারার আঘাতে
মহাভারতের গঙ্গার পুবেতে
জন্ম নেয়া
আমি বঙ্গবীর
আমি শতাব্দীর
আমি সহস্রাব্দের
লক্ষ বছরের অধীর।
আমি দ্রাবিড়ের সাথে করেছি যুদ্ধ
আমি বাঙ্গালী
আমি বঙ্গের।
আর্যরা এসে আমার ভয়েতে
শরনাপন্ন ব্রহ্মার পায়েতে
সভা ডাকে ইন্দ্রের।
আসে ব্রহ্মার বর,
আসে অবতারের পর অবতার।
আমি লোকায়ত রাজা মহারাজা পরমেশ্বর।
আমি চার্বাক, আমি নিজেরেই নিজে ভাবি ঈশ্বর।
একের পর এক আসে আর্যের আঘাত
যুদ্ধের সাথে আসে বেদ ব্রাহ্মন মহাকাব্য
তারা নিজেরাই নিজেদের ভাবে
তারাই শুধু সভ্য।
তারা বলেছে, তুই শুদ্র হ
নয় থাক চার্বাক নাস্তিক দ্রোহী।
কিন্তু পারে নি আমাকে দমাতে
পারে নি আমাকে থামাতে
আমি বাঙ্গালী তাই বিদ্রোহী।
আমি বার বার বলেছি,
ছাড় মিথ্যে ক্ষমতার লোভ, ব্রাহ্মণত্বের নেশা।
বেদ ব্রাহ্মনের পাতায় পাতায় ক্ষমতার আশা।
আমি ক্যাশ্যপ
আমি প্রক্রুদ্ধ
আমি আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গেছি ব্রহ্মার ভব দ্বাড়
আমি অজিত
আমি সঞ্জয়
আমি বাঙ্গালী, রক্তের দামে করি আমি আহার।
আমি লোকায়ত বেশে ঘুরেছি পথে পথে
ওরা একে একে ভেঙ্গে দিতে চায় সব
হুমায়ূন আহমেদ এর প্রতি
তোমারে দেখার স্বাদ জীবন সমুদ্রে আমারচাতক
পাখির মতো কুরে কুরে খেয়েছে ভীষণ
হে মহান কারিগন,নখত্রের শ্যামল ছায়ায়
তোমারউজ্জ্বলমুখ,দিগন্তে জাগায় ফল্গু ধারা;
অলস আঁধার কেটে জেগে উঠে ফুলের বিস্ময়
পৃথিবীর সব মৃত ব্রিখ প্রানে জাগিয়ে দিলেন
নতুন আলোর ধারা,তোমার বিনভ্র সরলতা,
শস্য হীন মাঠে জাগে চিরজীবী সোনালী স্পন্দন
চান্নি পসর রাতে জেগে উঠে নুহাশ পল্লীর
গল্মলতা
হে নিখুঁত স্বপ্ন দ্রষ্টা,তোমার নির্মম
উনুউপস্থিত বিপুল বেদনা লয়ে কাঁদায়
আমারে নিশিদিন।
ভুতের বাড়ি
ভুতের বাড়ি
(জুনাঈদ মাসুদ হোসাইন)
আমার বাড়ি সিসিমপুরে
ভূতের বাড়ির কাছে
রাতের বেলায় আমায় দেখে
ভূতরা সব, খিলখিলিয়ে হাসে
রাতে যখন টয়লেটে যাই
ভূতের হাসি শুনতে পাই
আমি যখন খাবার খাই
ভূতের কাশি শুনতে পাই।
আমি যখন ঘুমাতে যাই
ভূতের কথা শুনতে পাই
ভূতরা বলে, আহারে
আরামে ঘুমাচ্ছিস ভাই
আয় তুই আমাদের কাছে
ঘাড় মটকে খাই ।
আমার ঘাড় মটকাতে চাস শুনে পেল হাসি।
আমি মানুষ সৃষ্টির সেরা একটু দাঁড়া আসি।
মহান রবের নামটি নিয়ে গেলাম যখন তেড়ে
ভুতেরা সব পালিয়ে গেল সকল কিছু ছেড়ে।
এমন কি ছিল কথা?
সচরাচর যেমন হয়,
শুধু তাঁর কাছে ভয়,
শুধু সত্যের কাছে ভয়,
শুধু মিথ্যার অভিনয়।
শুধু মিথ্যার জয়।
সচরাচর যেমন হয়,
শুধু অস্তিত্তের আশায়
মিথ্যে ভালবাসায়
মিথ্যে সম্পর্কের সমন্বয়,
শুধু বিচ্ছেদের জয়।
সচরাচর যেমন হয়,
শুধু সম্পদের আশায়
আঘাতের প্রস্রয়।
সুখ শান্তির ভাষায়
দস্যুতার অন্বয়।
সচরাচর যেমন হয়,
যাতে নারীর ভয়
পুরুষের জয়।
যেখানে মিথ্যে দম্ভে
মনুষত্ত্বের পরাজয়।
সচরাচর যেমন হয়,
যেখানে নারীত্বের বেঁচাকেনা
সমাজের অহংকার।
যৌতুকের দেনায়
নারীত্বের সৎকার।
সচরাচর যেমন হয়,
যেখানে ঘুষের আগুনে পোড়া
মনুষত্তের গৌরব।
মানুষেরা অসহায়
নেই ফুলেল সৌরভ।
সচরাচর যেমন হয়,
যখন যুদ্ধের জয়,
শান্তির ক্ষয়
মিথ্যে সেবার ভাষায়,
মুল্যবোধের অবক্ষয়।
সচরাচর যেমন হয়,
ধর্মের ছায়ায়
সন্ত্রাসের জয়।
মানুষের স্বপ্নে, আশায়
বোমা গর্জায়।
সচরাচর যেমন হয়,
ঘরে কোণায়
নারীর আস্রয়।
তাদের কান্নায়
ধর্মীয় স্লোগান বাজায়।
আর কতকাল এমনি কাটবে দিন
আর কতকাল ঘটবে মনুষত্বের বিলীন।
আর কতকাল প্রস্রয় পাবে ঈস্রাফিলের বীণ।
হবে কোন কালে অত্যাচারীর বিষাক্ত হাত অস্রহীন।
চুপি চুপি ঘাড় আজা
তুমিও মিথ্যে বলতে পার বুঝিনি কখনও
এমন মিথ্যে বলায় দুঃখ নেই আরও বল আরও
বিষন্ন বাউন্ডুলে তুমি আবোল তাবোল-১৬ লিখে
সকাল সকাল মনটাই দিলে ভরে।
তোমার লেখার রূপ রস গন্ধে
আমরা বন্ধু আছি সতেজতায় ভরে।
তুমি এত লেখ, এত ভাল লেখ
তবু বল কিছু লেখ নাই
একি ব্লগের প্রতি ভালবাসা
নাকি মনুষ্য স্বভাব চাই-চাই-আরও চাই।
চুপি-চুপি ঘাড় আজা-ঘাড় আজা
এ দো গানা নেহী শুনা কাভি
কুছ বাত নেহী, পড়কে দিল ভর গিয়া আভি।
দুঃখের সারথি বন্ধুদের চেনালে তুমি
নতুন অবয়বে।
হায়েনার দল যতই বড় হউক,
মানুষ মনুষ্যত্ব সর্বদাই রবে।
আমি গ্রীন, আমি নতুন তাই ভেবেছিনু
কেউ কাউকে নাহি চেনে।
আমরা বন্ধুর বন্ধুত্বের গভীরতা অনেক
যদিও টোকাই ননসেন্স হাবীব এল এক্ষনে।
তুমি জানালে কত আপু ভাইয়্যার কথা
কে আছে কোথায় বা কি করে।
সাঈদ ভাইয়ের বিলাসী শেষ, তানবীরা (আপু) সিসিমপুরে।
০১/০৭/২০১৩
তোমার জন্ম দিনে(সুফিয়া কামাল)
তোমার জন্ম দিনে কি দিব তোমে
উপহার
আজ তুমি সকল কিছুর উর্ধে
কোন কিছুর নেই দরকার।
তুমি তো নেবার মত কেউ নয়
দিয়ে গেছ জীবন ভর
ঘোর অন্ধকারে প্রদীপটি জ্বেলে
চলে গেলে আপন ঘর।
সে ঘরে আলো আছে কি না
জানি নাতো দয়াময়
সন্তানের দোয়া বৃথা নাহি যায়
দোয়া মাঙ্গি, মায়ের ঘরখানি কর আলোকময়।
বিষন্ন সৈনিকগুলো সারি সারি
সারি সারি বিষাদের আলনা
স্থির-নিশ্চুপ সময়গুলো
কাঁচের চৌকোণো আধারে বিরুপ উষ্ণতায় মিইয়ে মৌণ
চোখ জুড়িয়ে দেয়া ঘ্রাণ নেই
নাকি-কান্নায় মোচড় দেয়
অতৃপ্ত আত্মা চিরকালের শুভানুধ্যায়ী
মুক্তির মন্ত্রের উচ্চারণ থেমে নেই
আমি তার প্রাণের সুরে সুর মেলাতে গিয়ে
স্তব্ধতায় দ্বিগুণ বিস্ফারিত হয়েছি
আতংকিত সেনারা রাস্তার দু'ধারে দাঁড়িয়ে
তারা প্রমাদ গুণছে বিষন্ন গোধূলি আলোয়।
গোলাপী চাদর
একটি গোলাপী চাদর গায়ে জড়িয়ে
যেই নেমেছি অতল সাগর তলে
কিছুই ভেজেনি
ভিজেছে শুধু হৃদপিন্ড, সেখানে জল।
আরো গভীরে ভেসে যেতে চেয়েছি আমি
নভোমন্ডলে, অরণ্য গহীন আঁধারে
সেখানে চোখ মেললেই দেখি
হরিণী শাবক, রুপোলী ঘোড়-দৌড়।।
নিবে কি তোমাদের সাথে
আরাফাত প্রতি বছর বক্ষে ধারন করে
লাখ লাখ একত্ব বাদীকে লাব্বায়িক লাব্বায়িক ধ্বনিসহ
কি পেয়েছে না পেয়েছে যার হিসেব সে করবে
ফিরে আসে অন্তরে বিশ্বাস ধারন করে।
কেউ মানি বা না মানি এতো সত্য
যেমন আমি আস্তিক আমি নাস্তিক আমি মানুষ সত্য।
মোদের শান্ত শিষ্ট আরাফাত, সাগর সম বক্ষ নিয়ে
সকলের দুঃখে দুঃখি সকলের সুখে সুখি।
প্রতিদিন সবাইকে সচল রাখে
রোজ নামচা বা লিখে দিনলিপি।
অকিঞ্চন তব আস্ফালন কেন হবে বৃথা?
তব আস্ফালন অকিঞ্চন নয়, পাহারসম
তাই সজল নয়ন নিভৃত স্বপ্নচারীর
পিতৃবিরহে মম অন্তর ফালি ফালি হয় হেথা।
টুটুলের চোখ ধাঁধানো হিরন্ময় অবয়ব
শওকত মাসুমের নিচ্ছিদ্র, চিন্তক লেখা সব,
তানবীরা আপু , জেবিন, রন্টি , বিষন্ন বাউন্ডুলে
আজ পেলাম ফিরে আসা পুরাতন অমিত মানুষ
আমরা একটি পরিবার একটি বাগান ভরা ফলে ফুলে
আমরা হেথা উপভোগ করি সর্বদা ফাগুন পৌষ।
টোকাই, মন খারাপ ভেবেছ তুমি গিয়েছ টুটে
নারে বন্ধু না, তবে শান্তর সাথে ঢাকার অলি গলি কে বেড়াবে ছুটে।
আরও কতজন আছে মুই না জান সবার নাম ঠিকানা
নিজ গুনে তাই করিবেন এই অধমক ক্ষমা।
আমরা সবাই সাধারন, সবাই বাংগালী, বাঁচি মাছে ভাতে।
বাংলার কলঙ্ক
ওরা কারা ?
ওরা বাংলাকে চায়না,
ওদের ঘৃন্য পদঘাত ,
পরম পবিত্র বাংলাকে কলঙ্কিত করে,
ওরা বাংলা মানেনা,
আথচ বাংলায় রাজত্ব করতে চায়,
হিংস্র থাবা বসায় বাংলার বুকে,
ওরা অস্বীকার করে বাংলার সৃষ্টি,
বিকৃত করে বাংলার ইতিহাস,
ওরা জানেনা বাংলার মাটি,
এখনও লাখো শহীদের রক্তে ভেজা,
বাংলার আকাশে বাতাসে এখনও
শোনা যায় বুক ফাটা চিত্কার,
ছেলেহারা বৃদ্ধা মা,অসহায় বাবা
ভাই হারা বোন,বিধবা রমনীর
শূন্যতা আর হাহাকার,
এই বাংলায়
এই বাংলাকে কলঙ্কিত করে
সেই নরপিশাচ রাজাকার ।।
দিনকাল
কেউ বাম, কেউ ডান, কেউবা আবার চিনাবাদাম
তবু কেন ঠোঁটের আগায় প্রাণটার আজ বিধিবাম
মাছে মাংসে ফরমালিন রোগীর ফলে বিষ
গণের কথা না ভাবলেও তাদের নীতিই ফিট।
কেউ বলে শহীদ জিয়া কেউ দেয় মুজিবীয় সালাম
ভাবখানা ধরে বলে দেশের তারা কেনা গোলাম।
একাত্তরের খুনি বাঁচাতে দেশ করে দেয় কেউ অচল
আমজনতা যুদ্ধ করে, আয়ের চাকা রাখতে সচল
ধর্ম নিয়ে ধর্ষ করে পার পেয়ে যায় সকল
ধর্ম পোষাক গায়ে দিলেই অপরাধী সফল।
কী যে হল দেশটার ভাই ঘুমাতে পারে না হরিদাশ পাল
ডাবের পানিতে ঘুমের ওষুধ, তরমুজেতে রঙ লাল।
ভেজাল মোরা খেয়েই যাচ্ছি বেড়ে যাচ্ছে ডাক্তারের বিল
একটু খানি বিষ্টি হলেই নগর মোদের চলনবিল।
নিত্য নতুন যানজটের দ্বিগুন সময় দিচ্ছি দাম
হাইওয়েতে মার্সিডিজ ঠেলাগাড়ির নতুন নাম।
ট্রেনে বগি ফাঁকা নেই তবুও তো লোকশান
হপ্তাখানেক আগে এলে তবেই পাবে টিকেটখান।
কত মানুষ মিডেল ইস্টে যায় আসে দিনে রাতে
বলাকাটার গলা কাটা ছাড়ে বিমান বড্ড লেটে।
একটুসখানি ফ্লাইওভার উড়ার আগে ধ্বসে পড়ে
বেকারী মালিক রাস্তা বানায় বড়সর ঘুষের জোরে।
বাড়িওয়ালা নয় তো ভাই নব্য নতুন ইয়াহিয়া