ইউজার লগইন
খেলাধুলা
বাংলাদেশের ক্রিকেট: শুধুই হতাশা?
বাংলাদেশ প্র্যাকটিস ম্যাচ সহ পরপর পাঁচ ম্যাচ জিম্বাবুয়ের মাটিতে হেরে গেছে। সমানে ৫-০ তে হোয়াইট ওয়াশের আতংক। দেশের লাখ লাখ ক্রিকেট সমর্থক দলের এ দুরবস্থায় হতাশাগ্রস্ত। এই ব্লগেও দুইজন ব্লগার ইতিমধ্যে এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। আমি আগেই ভাবছিলাম এ নিয়ে লিখব। নানা কারণে লেখা হয়ে উঠেনি। এখন ওদের সাথে সাথে ক্রিকেট ভক্ত আমিও দুইটা কথা লিখে রাখি।

আবোল তাবোল - ২
[ডিসক্লেইমার :হাবিজাবি টাইপ পোষ্ট।অলস সময়ের এলোমেলো চিন্তাভাবনা।যুক্তি খুঁজে লাভ নাই,মন চলে আবেগের রেলগাড়িতে!করার মত কোন কাজ থাকলে ইহা না পড়াই উওম]
#বিষয় ¤
আশা - নিরাশা, হতাশা ও ভালবাসা :
বাংলাদেশের 'ট্যুর অফ জিম্বাবুয়ে '।
আমি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ নই।অনেক কিছুই ভাল ভাবে বুঝি না,নানান পরিসংখ্যান তো মনে থাকেই না।
বরং ক্রিকেট ভালবাসি বলা যায়।ছোট থাকতে ওয়াসিম আকরাম,সাঈদ আনোয়ারের পাকিস্তানের খেলা দেখেই ক্রিকেট ভালবাসা।মনে আছে,স্কুল লাইফের অনেকটা সময় কেটেছে বাসার ছাঁদে গনগনে রোদের মধ্যে ভাইয়ার সাথে ৫০ ওভারের ওয়ান ডে আর দিনে ৯০ ওভার করে ৫ দিনের টেষ্ট ম্যাচ খেলে!এখন সময় অনেক বদলে গেছে।আগের মত ক্রিকেট খেলা তো দুরের কথা,বাংলাদেশ ছাড়া আর কারো খেলা টিভিতেও দেখা হয়না খুব একটা।
তাই বরং বলা ভাল ক্রিকেট না,বাংলাদেশের ক্রিকেট কে ভালবাসি।
এক ছিলো গূড় আর অনেক ছিলো পির্ফা
তো একজন কইলো
: মনে হইতাছে, ___ ভাই আবারো কাঠির আগায় গুড় লাগাইয়া গেছেন! সব পিপড়া এক লগে হাজির হইতাছে এইখানে!!
ভাব্লাম, জুকার্বার্গের এত্তবড় একটা সাইট্রে কাঠি কইতেছে বেপার্টা কি?
জিগাইলাম কে গুড় আর কেডাইবা পির্ফা?
আসলেইতো???
আসল কাঠি কুনটা, গুড় কুন্টা আর পির্ফাই বা কারা...
আসলে ভেজাল হইছে কি, ইদানিং লুকজন খালি ঝিমায়।ঝিমায় আর জুকার্বার্গের সাইটে গিয়া একটা ঘরের ভিত্রে ঢুইকা ঝিমাইতে ঝিমাইতে আড্ডা মারে। এদিকে মাঠ খাখা করে। কেউ কস্ট কৈরা মাঠে আসে না, সবতে মিল্যা ঠিকঠাক মতো খেলাধুলাও করে না। এইটা আসলে ঠিক না। মাঠে নাম লেখাইয়া সেই মাঠে না আইসা ঘরের ভিত্রে বৈয়া বৈয়া আড্ডা দেওনটা আসলে একটু কেরাম কেরাম জানি লাগে।
যাই হৌক, ঘটনা হৈলো একজনে কইলো যে মাঠে না আইসা ঘরে বৈসা আড্ডা দেওন উচিত না, লগে লগে ঘরে ভিত্রে হাজির হয়া গেলাম আম্রা সবতে। পুলাপান সব খ্রাপৈয়া গেছেগা। কলিকাল ঘোর কলিকাল...
যাপিত জীবন: খেলা দেখা, সমর্থন, আবাহনী-মোহামেডান
একেবারেই ছেলেবেলায়, আমরা তখন মাত্র ঘরের বাইরে খেলাধুলা শুরু করেছি। মানিক,নজু ছিল আমাদের পান্ডা। মোট পাঁচ ভাই ছিল ওরা। মহল্লার খেলাধুলায় বাকি ছেলেদের উপর হম্বি-তম্বি করত। আমরা সব সময় চুপচাপ মেনে নিতাম। প্রতিবাদ করারও সাহস পেতামনা। যেমন ফুটবল খেলা চলছে, একজনকে বলল তুই বস, সাইড লাইন থেকে আরেকজন কে নামাত খেলতে তাদের ইচ্ছামত। আমরা বিনা প্রশ্নে মেনে নিতাম তাদের মাতুব্বরী। কারণ প্রতিবাদ করলে মাইর খাওয়ার ভয় ছিল। তাছাড়া বাইরের দুনিয়ার সাথে তাদের বিস্তর জানাশোনা ছিল। একদিন একটা ফুটবল নিয়ে এসেছে। বলল আন্টি দিছে। কোন আন্টি? নায়িকা শাবানা আন্টি। আমরা আম পোলাপাইন তাই বিশ্বাস করতাম।
আমাদের ভালবাসার সবটুকু বাংলাদেশ দলের জন্য

চলছে খেলা। প্রথম ইনিংস শেষ হলো একটু আগেই। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় ম্যাচ শুরু হয়। তার আগে অবশ্য বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মত টসে হারে। প্রথম ব্যাট করতে নামা নেদারল্যান্ডস'এর রান ৪৬ ওভার ২ বলে ১৬০।
নেদারল্যান্ডের ধ্বসের শুরুটা হয় আমাদের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানের বল দিয়েই। প্রথম শিকার ওয়েসলি বারেসিকে এলবিডব্লিউ হয়। মুদাসসর বুখারি আউট হন রাজ্জাকের বলে মুশফিকের ক্যাচ। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এরিক সোয়াজনিস্কি ও টম কুপার দলকে টেনে নিতে থাকেন। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট হন সোয়াজিনিস্কি সাকিবের বলে।

জয়ের আনন্দে বিষাদ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে রাস্তায় নেমে উল্লাসরত এক যুবক ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১০ জন।
শনিবার প্রথম প্রহরে রাজধানীর বনানীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এছাড়া শাহবাগে বাসের ধাক্কায় আহত হয়েছে তিন জন।
নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ২৮ বছর। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।
শুক্রবার শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় আয়ারল্যান্ডকে ২৭ রানে হারায় বাংলাদেশ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খেলা শেষ হওয়ার পরপরই বাঁধভাঙা উল্লাসে মাতে রাজধানী। অনেকেই মিছিল নিয়ে নামে রাস্তায়, যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
এরই এক পর্যায়ে বনানী ও শাহবাগের দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলার বাঘ
১৯ই ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের খেলা দেখে খুবেই ভাল লেগেছে। আগে আশা করতাম বাংলাদেশ ভাল খেলবে আর এখন ভরসা করছি বাংলাদেশের ক্রিকেটার দের উপর। ভারত ভাল টিম তাদের রয়েছে অনেক অভিগ্যতা এবং প্রথম সারির বলার ও ব্যাটসম্যান । তাদের জন্য ৩৭০ করা খুব ১টি বিরাট কিছুনা। কিন্তু আমাদের ২৮৩ রান ভারতের বিপরিতে অনেক কিছু প্রমান করে। এখন আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক চাপ নিয়েও ২৮৩ করতে পারে। তাই তাদের উপর আমার ভরসা আছে, আছে দোআ এবং আশা করি ১৬ কোটি বাঙালি বাংলার বাঘদের জন্য দোআ করবে যাতে তারা আরো ভাল করতে পারে।
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সৌরভের অবসর
কলকাতা নাইট রাইডার্সের জীবন শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওই বছরই সৌরভ গাঙ্গুলী বিদায় জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। এরপর থেকে নাইট রাইডার্সের পাশাপাশি খেলেছেন বাংলা দলের হয়ে। কিন্তু এবার আইপিএলের কোনো দলের হয়েই খেলার সুযোগ না পেয়ে ক্ষোভে আজ সোমবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কলকাতার এই ‘বরপুত্র’।
‘আমি আইপিএলে খেলার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। ফলে খেলা চালিয়ে যাওয়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ আইপিএলে নিজেকে ফিট রাখার জন্যই রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছি আমি।’ ভারতের একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তটি জানিয়ে বলেছেন সৌরভ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ অধরাই থাকল ধোনিদের
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয় অধরাই থাকল ধোনিদের। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে জিতলেও সিরিজ জয় করা হয়নি। তাই সেঞ্চুরিয়ানে আজ জিতলে সিরিজের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসও ধরা দিত ধোনিদের হাতে। কারণ এর আগে স্মিথ-ক্যালিসদের দেশে ভারত কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি। কিন্তু ধোনিরা পারলেন না। অপেক্ষা পরবর্তী কোনো সিরিজ পর্যন্ত।
সাকিব বিক্রি হলো ৪২৫ হাজার ডলারে....
আইপিল অকশনে সাকিব সোল্ড হবার ভিডিও চিত্র
সকাল থেকে দেখছি আর মজা পাচ্ছি। মজা না পাবার কিছু নেই। সেরা সেরা কেউ বিক্রি হচ্ছে , কেউ আনসোল্ড থেকে যাচ্ছে। বেশ মজা!।
সর্বশেষ মজা এবঙ দুঃখ পেলাম ৪টার দিকে আমাদের স্বর্ণ টুকরো সাকিব ও যখন আইপিএল এর ৪র্থ আসরেরর জন্য নিলামে উঠে বিক্রি হতে পারল। বিক্রি হয়েছে মানে আসলে আইপিএল এ চান্স পেযেছে এ জন্য আনন্দ হলো , কিন্তু সাথে যখন দেখলাম মাত্র ৪২৫ হাজার ডলারে সাকিব কে নিয়ে নিল খুব সহজেই কলকাতা নাইট্রাইডার্স তখন একটু খারাপ লাগলো। সে কথা টিভিতে বিশেষজ্ঞরা আলোচনাও করল দেখলাম। ভূয়সী প্রশংসা শুনলাম সাকিবের। গর্বে বুক গেলো ভরে।
‘আমরা বন্ধু’ যেসব ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ নয়...
ডিসক্লেইমার: ‘আমরা বন্ধু’ অনেকক্ষেত্রেই বন্ধুসুলভ। কিন্তু নিন্দামন্দ না করলে নাকি পেটের ভাত হজম হয় না! গত দুদিনে দুটো বিয়ের দাওয়াত খেয়ে এসেছি, পেট এখনো ভুটভুট করছে। গত কদিন কারো নিন্দামন্দ করি নি বলেই হয়তো রোস্ট, কাচ্চি বিরানী বা টিকিয়া কাবাবগুলো এখনো হজম হচ্ছে না। সামনের শুক্রবারে আবার এবির পিকনিক। ইচ্ছা আছে অন্তত দুটো খাসি আর চার-পাঁচেক মুরগি সাবাড় করা, সাথে এক লিটার কোক আর যা যা থাকে, সেগুলোর একটু একটু করে চেখে দেখা। নিন্দামন্দ না করলে যদি ওগুলো হজম না হয়, তাইলে পিকনিকটা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে পারবো না। তাই এই লেখা। পরিষ্কার কথা- এর মধ্যে কোনো ভংচং নেই। 
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ কইরা যখন ঢাকায় মেস এ উঠি, আবিস্কার করি মেস বাসিন্দা বিসিএস পরীক্ষার্থী বড় ভাইয়েরা মেসে দুই খান পত্রিকা রাখেন। পরবর্তীতে আমার বন্ধুরা যখন একের পর এক সেই মেস এ উঠতে থাকে পত্রিকার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় তিন খানে।
দুইখান বাংলা পত্রিকা নিয়াই মেসবাসিন্দারা টানাটানি বেশি করতো, ইংরাজি ডেইলি স্টার খান আমার মত কামছাড়া আঁতেলের বিছানাগত থাকতো। প্রত্যেকদিন বদলা খাইটা আইসা পড়তাম দৈনিক তারা নিয়া। এই পাতা-ঐ পাতা ঘুরাঘুরি কইরা শেষে স্থির হইতাম স্পোর্টস অংশে। ফুটবল/ক্রিকেট/টেনিস ছিলো প্রধান আকর্ষণ। নিয়মিত ইংরাজি পত্রিকা পাঠ করায় ভাষাজ্ঞানের কতখানি উন্নতি হইছে তা আল্লাহ মালুম। কিন্তু ফুটবল তথা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের প্রতি একটু একটু কইরা টান যে বাড়তেছিলো তা এখন মোটামুটি 'শিউর' কইরা কইয়া ফেলতে পারি। এই নিয়মিত ফুটবল সংবাদ পাঠের একটা বিরাট লাভ ছিলো। ফুটবল নিয়া যে যেখানেই
চ্যাম্পিয়নস লীগ ফ্যান্টাসি
ইদানীং আমার অবসর সময়ের অনেক খানি খেয়ে নিচ্ছে ESPN Soccernet। বিশ্বকাপ ফুটবলের কারনে ফুটবলের প্রতি হারানো আগ্রহ আবার ফিরে পেয়েছি। বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে, কিন্তু শুরু হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। আর দু'দিন পর শুরু হতে যাচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ এর গ্রুপ পর্ব। এবার চ্যাম্পিয়ন লীগ আমি একটু বিশেষভাবে অনুসরণ করবো। কারন একটাই, এবারই প্রথম আমি ইএসপিএন এর চ্যাম্পিয়নস লীগ ফ্যান্টাসিতে দল নামিয়েছি। 
বাজি
আজিমুদ্দির আজকে কামেকাজে একদমই মন বসতেছে না। আজকে সন্ধ্যায় মোহামেডান-আবাহনী খেলা। ফেডারেশন কাপের ফাইনাল। ফুটবল তার হারানো অতীত ফিরে পাইছে, আগের মত আর ম্যান্দামারা টুর্নামেন্ট না, সারা দেশজুড়ে মারমার কাটকাট এইটা নিয়ে। পাড়া-মহল্লায় কথাকাটাকাটি, মাইরপিট, ধাওয়ানি, দাবড়ানি। বাড়ির ছাদে ছাদে আকাশি-হলুদ কিংবা সাদাকালো পতাকা। আজকে স্কুলগুলাও একটু আগে ছুটি দেয়া হবে যাতে পোলাপান বাসায় গিয়ে খেলা দেখতে প