ইউজার লগইন
গান
একলা রাতের গান
ছবিটা দেখেছিলাম না হলেও বছর দশেক আগে, সনি টিভিতে। জুয়েল থিফ না রিটার্ন অফ জুয়েল থিফ এ ধরনের একটা সংশয় ছিল মনে। গানটা ইউটিউব থেকে নামাতে গিয়ে নিশ্চিত হলাম জুয়েল থিফ। ঐ সময়ের প্রচলিত গানগুলোর চেয়ে একেবারে ভিন্নরকমের সুর আর গায়কী। যদিও ক্রেডিট লাইনে সুরকার হিসাবে শচীন দেব বর্মণ এর নাম আছে তবুও ধারণা করা হয় এ গানটার সুর আসলে তাঁর সুযোগ্য সন্তান রাহুল দেব বর্মণ এর, যিনি পঞ্চমদা নামেই সমধিক পরিচিত। গীতিকার ছিলেন মজরুহ সুলতানপুরী আর গেয়েছেন আশা ভোসলে। যখন প্রথম শুনি, প্রথমেই মনে হয়েছিলো কী গান!!! আজ আবার শুনলাম, আবার মনে হল- কী গান!!! গানের মাধ্যমে সেনসুয়ালাইজেশন (বাংলাটা কি হবে?!) তৈরি করা, সহজ নয় নিশ্চয়! কোথায় যেন পড়লাম এ গানটা তার সময়ের চেয়ে বিশ বছর এগিয়ে ছিল - সুরে, অর্কেস্ট্রেশনে।
ফাইন ফাইন!
ফুটপাতে চাকাওয়ালা চায়ের দোকান
পাউরুটি বিস্কুট আর খিলিপান
ফাউ মেলে রসালো খিস্তিখেউড়
হাই তোলে ছালতোলা ল্যাংড়া কুকুর।
এক কোণে তারে বাঁধা ক্যাসেট প্লেয়ার
বেজে চলে একমনে করে না কেয়ার
কখনো বাজছে আশা কখনো আলীম
মমতাজ পরদেশী নকুল সেলিম।
এভাবেই কেটে যায় রাত আর দিন
জীবনের সবটাই ফাইন ফাইন।
একদিন শনিবার ঠিক বারোটায়
লাঠির বাড়ি পড়ে গাড়ির চাকায়
থতমত দোকানীর পাছায় লাথি
চোখের সামনে দেখে নিভছে বাতি।
হতবাক হয়ে ভাবে দোষ কি আমার
পাওনা দিয়েছি মেপে যতটুকু যার:
এলাকার বড় ভাই বিশটাকা রোজ
আরও বিশ সরকারী রুলের খরচ।
এছাড়া রয়েছে কিছু খুচরো কামাল
মাঝে মাঝে দিতে হয় তাদেরো সামাল।
ফাউ যায় আরো বিশ রোজ গড়প্রতি
এরচেয়ে বেশি গেলে হয়ে যায় ক্ষতি।
সালাম আর সালামীতে নেই কোনো খুঁত
তবু এই ব্যবহার ভারী অদ্ভুত!
উপরে সূর্য জ্বলে মাটিতে আইন
জীবনের সবটাই ফাইন ফাইন।
এরপর দুইদিন ফুটপাত ফাঁকা
শেষ বিকেলের মেয়ে!
সূর্য ডুবু ডুবু
সিঁদুর রাঙা মেঘ জমেছে দিগন্তের গায়
নৌকা ভেড়ে ঘাটে
নামছে ছায়া মাঠে
দূরের পাখি আসছে ফিরে মাটির সীমানায়:
এমন ক্ষণে অস্তরেখায় কে গো তুমি হাস;
এমনি করে কেন ভালোবাস
দেখছি আমি অবাক চোখে চেয়ে
তুমি কি সেই গল্পে পড়া শেষ বিকেলের মেয়ে!
এই গোধূলী বেলায় তুমি নিলে আমার মন
নীরব পায়ে এগিয়ে আসে বিদায়ের লগন
একটু পরে হারিয়ে যাব অন্ধকারে একা
সেখান থেকে হবে না আর তোমার সাথে দেখা।
সূর্য ডুবে যাবে
মিলিয়ে যাবে রঙিন আভা নীলাকাশের নীল
ছেঁড়া মেঘের ফাঁকে
সন্ধ্যাতারা একা
উঠবে ডেকে ঝাপটে পাখা বিষণ্ণ গাংচিল।
তোমাকে নিয়ে
তোমাকে নিয়ে লিখি নাই কোনো গান
বরং নিজে গান হতে চাইলাম;
তোমার দুখে চাই নি হতে
সমবেদনার সিন্ধু
হতে চেয়েছি চেনা করতলে
একটি অশ্রুবিন্দু।
তুমি কখনো জান নাই আমি আছি
লুকিয়ে থেকেছি তোমার না বলা
বেদনার কাছাকাছি
তোমার পথে- রুক্ষ পাথরে
হয়েছি সবুজ ঘাস
হয়েছি তোমার নীরব প্রাণের
গোপন দীর্ঘশ্বাস।
হতে পারি নি তোমার মুখের হাসি
পাশাপাশি বসে পারি নি বাজাতে
প্রেমের মোহন বাঁশি
তোমার হাতে রাখতে পারি নি হাত
ছিন্ন ভিন্ন হয়ে কাটিয়েছি
নির্ঘুম কত রাত।
তবু জানাতে এই ভালোবাসা
আমি তো গাই না গান
তোমার সুরে ভিজে ভিজে শুধু
গান হতে চাইলাম।
গানগল্প- ২ [এতদিনে ফুল কুড়ালাম, ভরল মনের ডালা]
"ধূচ্ছাই, ভাল্লাগে এসব? প্রতিদিন এই একই কাজ? একখানে বসে থাকা? বসে থাকতে থাকতে তো আমি মাটির সাথেই লেপ্টে যাব! কোনদিন দেখবো, আমি নিজেই মাটিতে শিকড় গেঁড়ে ঢুকে গেছি! ধূর! আর করবো না। আজই শেষ।” আনমনে গজগজ করতে থাকে লাবণ্য। তারপর পাশের রান্নাঘরে বসে থাকা মা'কে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে থাকে, "কেন বাবা, আর কেউ নেই? আমিই কেন রোজ রোজ এই কাজ করবো? আর কেউ নেই? একটু ঘুমাতেও দেবে না, সাত সকালেই ঘুম ভাঙিয়ে দেবে!
সকাল আসে না, আয়না হাসে না........
মাঝে মাঝে আপনাদের এমন হয় না - একটা গান শুনলেন কোথাও, আর সে গানের রেশটা রয়ে গেল মনে.......অনেকক্ষণ।
ইউটিউবে একটা গান খুঁজছিলাম। যা খুঁজছিলাম তা পেলাম না। বদলে পেলাম অন্তহীনের এ গানটা। গানের কথা এবং সুর দুটোই কেন যেন মনটাকে উদাস করলো। যদিও এর সঙ্গে অন্য কিছুর যোগসূত্র না খোঁজাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
-------------------------
সকাল আসে না....আয়না হাসে না
জানলা খোলা মেঘ....সে ভালোবাসে না
না কিছু ভাবি না....রোদ এলো কি না
স্নানের জলে গা......আমি না, তুমি না
দিনের পাখিরা ছুঁয়েছে ডানা
রাতের পরী আর ভুল ঠিকানা
সকাল আসে না....আয়না হাসে না
একলা খোলা বই....সে ভালোবাসে না
--------------------------
গুরুর জন্য শুভকামনা
পপগুরু আজম খান গুরুতর অসুস্থ। জিহ্বার নিচে মাংস বেড়ে যাওয়ায় গত ১৫ দিন ধরেই নাকি তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না, গান গাওয়া তো দূরের কথা। আজ নাকি তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। শুনলাম তাঁর নাকি ক্যান্সার হয়েছে। কিন্তু ক্যান্সারের খবরটির সত্যতা জানতে পারলাম না এখনও।
পারভেইচ্যারে, বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়। উৎসর্গ: আর্জেন্টিনার দুস্থ সাপোর্টারদের উদ্দেশ্যে ;)
আর্জেন্টাইনদের জন্য নিবেদিত,
ব্রাজিল সমর্থক গোষ্ঠী প্রযোজিত
নজরুল ইসলাম পরিচালিত
ইউটিউব পরিবেশিত
মাসুম ভাই এবং লীনা আপাকে উৎসর্গীকৃত
মহান ফুটবল সঙ্গীত
"বল খেলাডা তওবা কইরা ছাড়" ছাড় ছাড় ছাড় ছাড় [ইকো ইফেক্ট হবে]
অডিও ভিডিও ডাউনলোড লিঙ্ক: http://www.youtube.com/watch?v=KaQOF2uqcHU
জনগনের বিশেষ সুবিধার্থে গানের কথা নিচে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হইলো:
পারভেইচ্যারে
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়!
দিনগুলো, অতীতের মতো মনে হয়
মনে হয় যেন ঘুম থেকে উঠে
যেতে হবে স্কুলে
কিশোরের বিষন্ন স্বপ্নের মতো
এ যৌবন পুড়ে যায়
নিজের উত্তাপে।
পুড়ে যায় আশা-ভালবাসা
মমতার প্রিয় বন্ধন
চেনা চেনা মুখ
অচেনা হয়ে যায় চলে
চলে যায় বহু দূরে
ধোঁয়াশায় ঢাকা মন
পারে না জানাতে
জমে আছে কত ক্রন্দন।
পুড়ে যায় চেনা বনভূমি
স্বদেশের প্রিয় অঙ্গন
সময়ের মেঘ
কালো হয়ে জমে থাকে
জমে থাকে কালো হয়ে
জীবনের ছেঁড়া ছাতা
গুপী দাদা তোমারে সেলাম
মোরা সেই ভাষাতেই করি গান
রাজা শোনো ভরে মন প্রাণ
এ যে সুরেরই ভাষা
ছন্দেরই ভাষা
তালেরই ভাষা
আনন্দেরই ভাষা
ভাষা এমন কথা বলে
বোঝে রে সকলে
উঁচা নীচা বড় সমান
মোরা এই ভাষাতেই করি গান
মহারাজা তোমারে সেলাম
অবিকল
ক্লাসে মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারটা এরই মধ্যে ইতিহাস হয়ে গেছে। এটেন্ড্যান্সে ৩০-৪০টা মার্কস পাওয়া যায়। টেনেটুনে পাশ করনেওয়ালাদের জন্য বড়ই গুরুত্বপূর্ণ! তারপরেও অনেকে এই এটেনড্যান্সের কয়েকটা মার্কসের মায়া ছাড়াতে পারছে। আমাদের মতো কয়েকটা ভীতুর ডিম এখনো পারে নাই... তাদেরই কেউ কেউ তাই ক্লাসে বসে ঝিমায়। কেউ ছবি আঁকে।