ইউজার লগইন
চলচ্চিত্র
বিবর্ণ ক্রান্তিকালের চিত্রভাষ্য 'কাঁটাতার ' ও 'দ্যা প্যাশন অফ দ্যা খ্রাইস্ট'
নব্বই পরবরতী কিংবা তারও পরে সিনেমায় কেমন জানি একটা স্থিরতা স্থিরতা ভাব এসে সিনেমাকে আচ্ছন্ন করে দিলো । বিশেষ করে বাংলা সিনেমায় কেমন জানি একটা নতুন পাকে মোড় নিলো । দেশীয় ঘটনাপ্রবাহ ছেড়ে বাংলা সিনেমা আন্তর্জাতিকতার গলিগুজি দিয়ে প্রবেশেধীকার চাইলো আন্তর্জাতিকতার । এমনি এক সিনেমা ' কাঁটাতার ' পরিচালক বাপ্পাদিত্য বন্দ্যেপাধ্যায় । ' এপারের হাওয়া এপারেও যায় , এপারের মেঘ অপারেও ভেসে বেড়ায় , এপারের আকাশ অপারেও এক , এপারের টাকা অপারে চলে তেমনি অপারেরটাও শুধু এই কাঁটাতারটাই বারবার মনে করিয়ে দেয় এই ভূখণ্ড আলাদা !
মুভিস টু সি বিফোর ইউ ডাই
১০০ সিনেমা, যা মরে যাওয়ার আগে দেখা উচিৎ। এই নামে নানা ধরণের প্রকাশনা আছে। অনেক লেখকই এ ধরণের বই বের করেন। ইন্টারনেট ঘাটলে সবগুলোই পাওয়া যাবে। তবে তালিকায়র বেশিরভাগ ছবিই হলিউডের।
চ্যাপলিনের “দ্যা গোল্ড রাশ” (১৯২৫)
কয়েক দিন আগে নামালাম সিনেমাটা । চ্যাপলিন অনেকবার বলেছিলেন “দ্যা গোল্ড রাশ”এর জন্য তাকে স্মরণ করলে তিনি সবচেয়ে খুশী হবেন । কমেডি, ড্রামা, ট্রাজেডি আর রোমান্সের এক অসাধারণ নান্দনিক মিশ্রণের ফলাফল এই ছবি, যাতে চ্যাপলিন একাধারে অভিনয়, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনা ও প্রযোজনা করেছিলেন ।
রাজনীতি নিয়ে সিনেমা-২: দুনিয়া কাঁপানো সত্য ঘটনা পর্ব
এবারের পর্বটিও সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সিনেমা নিয়ে। তালিকার ৯টি ছবির ঘটনা পুরোপুরিই সত্য। একটিতে ভিন্ন একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে যেহেতু কেনেডি হত্যা রহস্য উদ্ধার হয়নি, তাই তালিকায় স্থান পেলো সিনেমাটি। যেসব ঘটনা বিশ্ব রাজনীতিতে বড় ধরণের ধাক্কা দিয়েছিল, সে সব ঘটনার ছবি নিয়েই এই আয়োজন।
১.জেড: রাজনীতি নিয়ে ছবি করার ক্ষেত্রে গ্রীক পরিচালক কস্তা গরভাস সম্ভবত পরিচালকদের মধ্যে প্রথম সারিতেই থাকবেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি জেড। মূলত একটি হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে ছবিটি।
রাজনীতি নিয়ে সিনেমা- ১: গণহত্যা পর্ব
কখনো সক্রিয় রাজনীতি করিনি। কিন্তু নিজেকে আমি রাজনীতিবিমুখ মনে করি না। রাজনীতি আমার প্রিয় বিষয়, পঠনেও। এমনকি সিনেমা দেখার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সিনেমা আমার সবচেয়ে পছন্দের। আর সেটি যদি সত্য কোনো ঘটনা নিয়ে হয় তাহলে আরও বেশি পছন্দের। এখনও আমি খুঁজে খুঁজে রাজনীতি নিয়ে তৈরি সিনেমা কিনি এবং দেখি।
একবার সামুতে রাজনীতি, সংঘাত ও কর্পোরেট ক্রাইম নিয়ে সিনেমার একটি তালিকা করেছিলাম। সেই তালিকা পূর্ণাঙ্গ ছিল না। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা করবো। সেই চেষ্টা থেকেই এই লেখা।
এবার কর্পোরেট ক্রাইম বাদ দিলাম। এই ধরণের ছবি নিয়ে আলাদা করে লেখার ইচ্ছা আছে। এবার কেবলই রাজনীতি। আর রাজনীতি থাকলে সংঘাতও থাকবে। তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে ফিকশন বাদ দিয়েছি। আমার তালিকায় আছে সেই সব সিনেমা যার মধ্যে সত্যতা আছে। একটি লেখার মধ্যে সব সিনেমা আনা সম্ভব না। তাই পর্ব থাকছে। এটি প্রথম পর্ব।
'মেঘে ঢাকা তারা' : নীতা,নারী ও দেশভাগ ।
মধ্যবিত্তের মান কোন চরায় গিয়ে ঠেকে ! পূর্ববঙ্গের বাস্তুহারা এক স্কুলমাস্টারের খেদোক্তি এটা । ততোদিনে সব শ্যাষ । দেশ ভাগ হয়েছে । পূর্ববঙ্গের স্কুলমাস্টারের বিশাল পরিবারের ঠাই হয়েছে কলকাতার এক গিঞ্জি বস্তিতে । চক্রবর্তী মশায় অনেক কষ্টেসৃষ্টে একটা স্কুলে চাকুরীও জুটিয়ে নিয়েছেন । কিন্তু সংসারের চাকা যে সেই চরকার তেলে চলেনা , টিউশনি দিয়েও ছ'জনের সংসারের রাশ টানা যাচ্ছেনা । সোমত্ত দুই মেয়ে,ধাড়ি দুই দুইটা ছেলে আর কর্তা গিন্নি এই নিয়েই বাঁশের বেড়া আর হোগলা পাতার ছাউনি দিয়ে আটকানো ছোটো ছোটো তিনখানা ঘর নিয়ে চক্রবর্তী মশায়ের সংসার । বড় ছেলে কোনোরকমে টেনেঠুনে পাশটাশ করে বেকার । তবে তার অসম্ভব ভাল গানের গলা ; প্রতিদিন নিয়ম করে রেওয়াজও করে ।
একরত্তি ছেলেটার জন্য মন খারাপ
২৩ বছরের আলেক্জান্ডার সুপারট্রাম্পের জন্য মনটা খারাপ লাগছে। অসাধারণ একটা ছেলে ছিলো। গ্রাজুয়েশন শেষ করে বেরিয়ে পড়েছিলো পৃথিবীর পথে। নিজের উপার্জিত প্রায় ২৪ হাজার ইউএস ডলার দান করে দিয়েছিলো অক্সফামে।
সেই ছেলেটাকে পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো। মুভিটা (ইনটু দ্য ওয়াইল্ড) অনেকে হয়তো বান্ধবীকে নিয়ে কম্বলের নিচে শুয়ে শুয়ে দেখতে খুব একটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটা সেইরকম পরিবেশে এই মুভিটা শেষ করে বেশ কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে বসে থাকা যায়। এ প্রসঙ্গে নাম নাই'কে কি একটা ধন্যবাদ দেবো? কেননা দুই ঘন্টা ২৮ মিনিটের মুভিটা একবার অর্ধেক দেখে, কেন যেন রেখে দিয়েছিলাম। অন্যান্য মুভি দেখছিলাম, কিন্তু ওটা শেষ করছিলাম না। সে একদিন তাগাদা দিলো!
কালবেলার সেই মাধবীলতা
মাধবীলতার কথা মনে আছে? সেই যে অনিমেষের মাধবীলতা।
একটা সময় গভীর প্রেমে পড়েছিলাম মাধবীলতার। মাধবীলতা যদিও আমার প্রথম প্রেম ছিল না। প্রথম প্রেম ছিল মেমসাহেব। জীবনে একজন মেমসাহেব থাকবে, তার প্রেরণায় আমি বিরাট কিছু হয়ে যাবো তাও যে ভাবিনি তা নয়। কিন্তু মেমসাহেবের মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হতো। এদিক থেকে নিমাই ভট্টাচার্য বেশ নিষ্ঠুর। এরপরে প্রেমে পড়েছিলাম সুনন্দার। চলতি পথে কোনো এক সুনন্দার সাথে হঠাৎ দেখা হওয়ার কথা খুব ভাবতাম। কিন্তু চারুদত্ত আধারকারের বঞ্চনার জন্য সুনন্দা কতটা দায়ী সে বিতর্ক এখনো আমার মনে রয়ে গেছে। এর পর প্রেমে পড়ি মাধবীলতার। আহা! মাধবীলতা।
এলোমেলো মুভি পোস্ট
রাসেল আমারে ওয়ালে চিকা মারছে। মুভি নিয়ে পোস্ট দাবি করছে। আগের মতো মুভি দেখা তেমন হয় না। মেয়ের স্কুল, অফিসের কাজ সব, ব্যস্ততা এবং বই পড়ার নেশা ও নেট-মুভির সময় কমিয়ে দিয়েছে। আর সব মুভি দেখেই তো আর চীৎকার দিয়ে জানানোর ইচ্ছা হয় না। তাই ভাবছিলাম কি পোস্ট লিখবো। আগের দেখা মুভিগুলোর কথাই ভাবছিলাম। পুরোনো দেখা মুভির কথা ভাবতেই মাথার মধ্যে জানান দিল কিছু মুভি দেখার স্মৃতি। ভাবলাম লেখা শুরু করি, যেসব ছবির নাম মনে আসবে সেগুলোই লিখে দেবো। ধরে নিলাম এই মুভিগুলো কোনো না কোনো কারণে মাথার মধ্যে গেঁথে আছে।
এটা আসলে এলোমেলো মুভি পোস্ট
১. মুলহল্যান্ড ড্রাইভ-ছবিটা দেখে প্রথমে বুঝাই যায় না শেষ পর্যন্ত কি হলো। কোনটা আসল আর কোনটা কল্পনা। দর্শকদের দারুণভাবে বিভ্রান্ত করতে পেরেছে এই ছবি।
তাপিত হৃদয় যেখানে শীতল হয়, সেখানে বস্তু রবে জেনো নিশ্চয়
খ্রিস্টাব্দ ২০০৮ ছিলো এ্যনিমেশন ভক্তদের জন্য দারুণ একটি বছর। বেশ কিছু চমৎকার এ্যনিমেশন দেখার সুযোগ, ভাগ্য হয়েছিলো সেবার। ওয়াল-ই আর মাদাগাস্কার: ইস্কেপ টু আফ্রিকা'র কথাতো আগেই বলেছি। সালের আরো একটা চমৎকার মুভি ছিলো কুং ফু পান্ডা। ড্রীমওয়ার্ক্সের পরিবেশনা ছিলো দারুণ; ডাস্টিন হফম্যান, অ্যাঞ্জেলিনা জলি, জ্যাকি চ্যাং, জ্যাক ব্ল্যাকদের ডাবিং ছিলো দারুণ আর এ্যনিমেশন হলেও কাহিনীচিত্র, দৃশ্যায়ন ছিলো দারুণস্য দারুন! মুভিটা দেখে অমৃতসম তৃপ্তি পেয়েছিলাম।
মেহেরজানঃ একাধিক বিয়েপাগলের সমাহার ও একটি প্রেমের ফোক ফ্যান্টাসি (মুক্তিযুদ্ধের গোলমরিচের গুড়া ফ্রি)
পরিচালকের দাবী এইটা একটা ফোক ফ্যান্টাসী।
.
তইলে আমরা সিনেমার ভিত্রে ঢুকনের আগে টিপিকাল ফোক ফ্যান্টাসীগুলানের মোটামুটি টেমপ্লেটটা দেইখা লই-
১. নায়কের বাপ অত্যাচারী সামন্ত প্রভু।
২. নায়কে আদর্শবাদী, প্রজাগো উপ্রে বাপের অত্যাচারে ত্যাক্ত; চান্স পাইলেই বাপের বিরোধীতা করে।
৩. নায়কে নাইকারে বাপের পুষা গুন্ডাগো আক্রমণের থিকা বাঁচায়। ফলশ্রুতিতে নাইকার লগে পেরেম।
৪. নাইকার বাপ/চাচা এলাকার প্রজাগো লিডার টাইপের, যার নায়কের বাপের লগে বনেনা। আবার সেয় অই অত্যাচারের এগেইন্সটেও অ্যাকশনে যাইবার চায় না তার ফলোয়ারগো কথা ভাইবা।
৫. দুই মুরুব্বীরে ফাকি দিয়া বিদ্রোহী নায়কের লগে নাইকার আগানে বাগানে পেরেম চলে। তাতে হেল্প করে এক/দুইজন ভাঁড় টাইপের লোক। যেইটা আবার নাইকার “জেনুইন” প্রেমিকের চউখে ধরা পইরা যায়।
অটোগ্রাফ দেখেছেন? গানগুলো শুনছেন?
নানা ব্যস্ততার কারণে সিনেমে দেখা কমে গেছে। অসংখ্য ছবি আছে, দেখা হয় না। সময় আমার সব সময় কেড়ে নিচ্ছে। দেখবো বলে গত শুক্রবার অনেকগুলো সিনেমা কিনলাম। আবার দেখা শুরু করবো ভাবছি। ব্যস্ততা তো থাকবেই, কিন্তু জীবন থেকে আরও অনেক কিছুর মতো সিনেমা দেখার সময়, বই পড়ার সময়, গান শোনার সময় আমি হারিয়ে ফেলতে চাই না।
এখন ছবি দেখা হয় কম। ভাল হয়েছে শুনলেই দেখার আগ্রহ বেশি হয়। আবহমান ছবি নিয়ে লেখার সময় বাতিঘর বলেছিল ছবিটার কথা। সেটা কিনলাম এবং দেখলাম। ছবিটার নাম অটোগ্রাফ।
এই মন তোমাকে দিলাম : একটি পারিবারিক মিউজিক্যাল ড্রামা
বন্ধু বেঈমান ছবির ব্যাপক সাফল্যের পর দাদাভাই কথাচিত্রের পরিবেশনা এই মন তোমাকে দিলাম। আধুনিক সময়ের একজোড়া তরুন তরুনীর ভালোবাসা ও উচ্ছাস এই ছবির বিষয়বস্তু। নায়ক নায়িকার প্রানবন্ত নাচ গানের সাথে এই ছবির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যপটিয়সী অভিনেত্রী তাতিয়ানার জমজমাট নৃত্য।
শিশু শিল্পী মাস্টার ঋহানের অসাধারণ অভিনয় নিশ্চিত ভাবেই দর্শকদের মনিকোঠায় ঠাঁই করে নিবে। এছাড়াও শক্তিমান অভিনেতা শ. হো. মাসুম ও ইয়াজিদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাদের দক্ষতার প্রমান রেখেছেন।
ভিডিও পাইরেসি রোধ করুন। ভাল ছবি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার ছবি এই মন তোমাকে দিলাম প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে উপভোগ করুন।
দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান
দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান (১৯৮০)
এই পর্বে প্রথমেই বলতে হবে দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান'র কথা । এক হাতিমানবের কাহিনী। সার্কাসের এক হাতি একবার চড়াও হয় এক মহিলার ওপর। দু'জনের মিলনের ফলে জন্ম হয় মানবাকৃতি এক হাতির। নিরীহ এ হাতিমানবটিকে কেউ পছন্দ করে না। সার্কাসে খেলা দেখানো আর বাকী সময় বন্দী হয়ে থাকাই তার জীবন। এরকম চলতে চলতে একদিন তার দেখা পায় এক শল্যচিকিৎসক। চিকিৎসক তাকে নিয়ে আসে নিজের পরীক্ষাগারে। তাকে ভালো কাপড় পরায়, মানুষের মতো চলতে শেখায়। অক্ষরজ্ঞান দেয়। শুরু হয় সেই সার্জনের এক্সপেরিমেন্ট।
আবহমান
পত্রিকায় পড়লাম পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ বলেছেন, তিনি না পুরুষ, না নারী। তিনি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। এ কথা বলার পর ঋতুপর্ণ ঘোষ নিয়ে ফিসফাস অনেক কমে গেছে। আমি ঋতুপর্ণ ঘোষের এই অবস্থানটাকে সমর্থন করি।
বলতে দ্বিধা নেই, এই লোকটি সম্বন্ধে আমার ব্যাপক আগ্রহ। ব্যক্তি ঋতুপর্ণ ঘোষ নয়, তাঁর সিনেমা নিয়েই আমার ব্যাপক আগ্রহ। পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের বড় ধরণের ভক্ত আমি। সব চরিত্র কাল্পনিক ছবিটা দেখে আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না, এই ছবিটা নিয়ে কিভাবে লেখা যায়। খেলা, দোসর বা তিতলী খানিকটা সহজ সিনেমা। সব চরিত্র কাল্পনিক ছবিটাকে সিনেমাকাব্য বলা যায়। কালপুরুষ ছবিটা দেখে যেরকম বিভ্রান্ত লাগে, সেরকম মনে হয়েছিল সব চরিত্র কাল্পনিক দেখে।
আজকের এই লেখার বিষয় অবশ্য তার নতুন ছবিটা, আবহমান। আবারও বলি আমি মুগ্ধ।