ইউজার লগইন
ছোটগল্প
বউয়ের প্রয়োজন কখন বেশী, যৌবনে না বৃদ্ধ বয়সে
সাত/আট বছর আগের কথা। বাংলা নব বর্ষের প্রথম সন্ধা। বারান্দায় বসে আছি। অনেক ছেলেরা সামনের রাস্তা ও মাঠে পটকা ফুটাচ্ছে। হরেক রকম পটকা। এক একটা পটকা ফুটে আর সবাই সমস্বরে চিৎকার করে উঠে। চিৎকার তো নয় যেন কার গলার আওয়াজ কত বড় তার প্রতিযোগিতা চলছে। কখনো কখনো আবার একসাথে অনেক গুলো পটকা ফুটা এবং সম্মিলিত চিৎকারে যে উচ্চ শব্দ হচ্ছে এই শব্দ শক্তি যদি মেকানিক্যাল শক্তিতে রুপান্তরিত হত তবে আশপাশের আধাপাকা বাড়িঘর গুলোর চেহেরা অবিকৃত থাকত কিনা বলা যাচ্ছে না।
আমার ছেলে এবং যাদের চিনি তাদের কয়েকবার বল্লাম,অনেক হয়েছে এবার বন্ধ কর।
যাদের বললাম তারা ভয়ে হউক বা সন্মান করেই হউক,স্থান পরিবর্তন করল বটে তবে খেলায় ক্ষান্ত দিল না।
একটি অসমাপ্ত কামের গল্প
চোখ আটকে গেলো সহজেই! আজকাল সুন্দরী মেয়েরা কবিতা লিখতে আসে না বললেই চলে। হেঁজিপেজিদের দেখতে দেখতে অরুচি ধরে গেছে। একটি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে মেয়েটির একগুচ্ছ কবিতা। সাথে তার কবিতাভাবনা ও আলোকচিত্র। ছবিটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন তিনি। সুন্দরীই বটে, আগুনসুন্দরী! সাহিত্য সম্পাদককে কল দিয়ে রুহিনা তাবাসসুমের সেলফোন নম্বর চাইলেন কবি সৈয়দ আবু বকর। ছোকরা সম্পাদক প্রথমে ঘাইগুই করলো; পরে নিমরাজি হয়ে নম্বর দিলো।
এই সমস্যা। এরা মনে করে কবিতা ছাপার বিনিময়ে মানুষটির দখল বুঝে নিয়েছে। এখন ঘরের বউয়ের মতো অধিকার খাটানো যাবে।
দেরি না করে কল দিলেন তিনি- 'রুহিনা তাবাসসুম বলছেন?'
ওপাশ থেকে ভেসে এলো সুরেলা আওয়াজ - 'বলছি'।
'আমি কবি সৈয়দ আবু বকর।'
'সৈয়দ আবু বকর! মানে বাংলাদেশের প্রধান কবি?'
'তা বলতে পারেন! আপনার কবিতা পড়লাম, দৈনিক বগিজগি পত্রিকায়...!'
'তাই! কেমন লেগেছে?'
দ্বৈধ
তখন মাঘ মাসের শুরুর দিক। তারিখটা ঠিক মনে নেই। আমাদের গ্রামের বাড়িতে প্রচণ্ড শীত পড়েছে। চারদিক কুয়াশায় ঢেকে আছে। দুদিন হলো সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছেনা। দাদাজান সেদিন ফজরের ওয়াক্তে ঘুম থেকে উঠে ভোর হয়নি ভেবে আবার শুয়ে পড়লেন। দাদাজানের আবার ঘড়ি ব্যবহার করার অভ্যাস নেই, ঘরের ভেতর ঘড়ি থাকলে নাকি তার মনে হয় ঘড়ির কাঁটার সাথে আজরাইল তাঁর চারপাশে ঘুরছে। এই সমস্যা তাঁর শুরু হয়েছে দুই বছর আগে। তখন তিনি জণ্ডিসে ভুগছেন। সারাদিন কিছু খেতে পারেননা, সন্ধ্যা হলেই তাঁর মেজবানী খাবারের প্রয়োজন হয়। আর তিনি দশ বারোজনের খাবার একাই খেয়ে ফেলেন। ডাক্তাররা মানা করার পরও দাদাজানের এই খাওয়া দাওয়া বন্ধ করা গেলনা। এর কারণটাও কেউ উদ্ধার করতে পারলনা অবশেষে বাড়িতে ওঝা ডেকে আনা হল। ওঝা সারা বাড়ি ঝাড় ফুঁক করে বললেন, মাগরিবের ওয়াক্ত শুরুর আগে বাড়িতে খারাপ জ্বিনের আনাগোনা শুরু হয়। তারা বাড়ির অসুস্থ মানুষের ওপর ভর করে। তারপর পেট
গল্প: কেপলার ৪৫২'র বাসিন্দারা
সকাল থেকে আকাশ কালো করে বৃষ্টি ঝরছে। থেমে থেমে দমকা হাওয়া এসে আছড়ে পড়ছে কাচেঁর জানালায়। আজ যেন একটু বেশিই ঠান্ডা। ঘুম ভেঙ্গে যাবার পরও অনেকক্ষণ চোখ খুলতে ইচ্ছে করে না। কম্বলটা আরও একটু ভাল করে জড়িয়ে নিয়ে বিছানার আরামে ডুবে থাকতেই বেশি ভাল লাগে। ছোট-বড়, দরকারী-অদরকারী কত রকমের ভাবনারা যে সে সময় এসে মাথায় ভিড় জমায়, তার হিসাব কে রাখে।
গল্প: যে কারণে আরও একটু কাছে যাওয়া হয় না
১.
সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত, যেসব দিনে আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই ঘড়ির কাঁটা আটের ঘর পার হয়ে যায়, সেসব দিনে আমাকে দেখলে আপনাদের অবশ্যই "দি ইনক্রিডিবলস্"-এর পিচ্চি ছেলেটা কিংবা "অ্যাভেঞ্জার্স: এইজ অব অলট্রন"-এর জমজদের মধ্যকার ছেলেটার কথা মনে পড়ে যাবে।
বুলেটের গতিতে আমি কফি বানাই, সিগারেট রোল করি, টয়লেটে যাই, অর্ধেক পথ যেতে যেতে মনে পড়ে টয়লেট পেপার আনা হয় নি। আবার ঘরে ফিরি, পেপার-তোয়ালে-শ্যাম্পু-শাওয়ারজেল-মি. ব্রাশো-পেস্ট-রেজার-ফোম, সবকিছু কোঁচড়ে নিয়ে দৌড় লাগাই।
জানালা ও কিছু বিকেলের গল্প
একটা মিস্টি কন্ঠের গুঞ্জনে শেষ
বিকেলের দিকে ঘুম ভাংলো রুদ্রর,
ঘড়িতে ৪:১৭ বাজে।
জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো
পাশের ছাদে একটা মেয়ে
রেলিংয়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে
রবীন্দ্র সংগীত গাইছে,
মেয়েটার কন্ঠে যেন বিধাতা মধু
ঢেলে দিয়েছে।
অপূর্ব সেই সুরের সুধা রুদ্র মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে
গিলতে লাগলো,
শেষ বিকেলের সোনালী আলো এসে
পড়েছে মেয়েটার চোখে মুখে।
রুদ্রদের জানালা থেকে মেয়েটার
মুখটা দেখা যাচ্ছিলনা।
ছাদের এক কোনে কয়েকটা ফুলের টব,
তার একপাশে একটা পাখির খাচা
ঝুলানো,
তাতে একজোরা পাখি,
এমন সময় রুদ্রর ফোন বেঝে উঠলো,,
রুদ্র ফোনে কথা বলে আবার জানালার
সামনে এসে দাড়ালো,
মেয়েটা নেই, চলে গেছে
রুদ্র এদিক ওদিক তাকিয়ে রুমের ভেতর
চলে গেল।
এই মেয়েটাকে রুদ্র এই ছাদে আর কখনো
দেখেনি,
সম্ভবত ওই বিল্ডিং য়ে নতুন এসেছে।
পরদিন বিকেলবেলা রুদ্র আগ্রহ নিয়ে
জানালার পাশে গিয়ে দাড়ালো,,
আমি আকাশ যাব
আমি আকাশ যাব
প্রথম পর্ব
ছোটবেলায় যখন দুর আকাশকে দেখতাম বাকা ও গোল হয়ে মাটির নিচে ঢুকে যাচ্ছে,ভাবতাম অই তো এক্টু দুরে গেলেই আকাশটাকে ছুতে পারব। আমার পিঠাপিঠি ছোট বোনটি যেদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেল শুন্য আকাশে না ফেরার দেশে,আমার বুকের ভিতর যে দুটা কলিজা আছে, তা যে কত শত, হাজা্র, কোটি টুকরা হয়েছিল, কচি বুক তার হিসেব রাখতে পারেনি, তবে ওই বয়সেই আকাশের মালিককে প্রশ্ন করেছিলাম,কেন তুমি আমার খেলার সাথি ঝগড়ার পাখিকে আমার কাছ থেকে আকাশে নিয়ে গেলে। তোমার ওই আকাশে আমি আসব, আমাকে এক্টু তার সাথে দেখা করতে দিও।
ফাগুন আসার আগে
শাম্মী আমার ছোট বোন ।মাত্র দু’দিন আগেও যে ছিল রঙ্গিন স্বপ্নে বিভোর। প্রায় সাত বছর পর অনেক কষ্টে আসিফের কথাটা বাবাকে জানিয়েছে এবং সম্মতি আদায় করে নিয়েছিল।গত বছর নভেম্বর মাসে ওদের পান-চিনি হয়েছিল।আর আসছে ফাল্গুনে ওদের বিয়ের দিন ঠিক করেছিল।ওরা দু’জনেই প্রতিদিন অফিস শেষে বিয়ের কেনা কাটা করতে বের হতো।যতক্ষণেই বাসায় ফিরত না কেন শাম্মী রোজ আমার বাসায় এসে কেনাকাটার গল্প করত। শুধু এখন না,আসিফের সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর যেদিন আমাকে প্রথম বলল, সেদিন সব গল্পের সাথে আরো বলল,আপা তোকে বলার পর মনে হচ্ছে বুক থেকে একটা পাষাণ ভাব নেমে গেল।কারণ বাবাকে ম্যানেজ করা এখন তোর কাজ।
রেশমি চুড়ি
পতিতালয়ে বেড়ে ওঠা ইয়াসমিন কাল ১৩বছরে পা দেবে।সে এখনো বুঝতে পারে নি খুব শীগ্রই তাকে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাজের সাথে জড়িয়ে পরতে হবে।হয়তো সে বোঝে,না বোঝার ভান করে যতদিন পর্যন্ত পারা যায়।
বিদায় !!!
উৎসর্গ : শ্রদ্ধেয় নানা।
তখন ক্লাস থ্রী তে পড়ি , বড় আপু ফোরে আর ছোট খালামনি ক্লাস ফাইভে।
নানা বাড়িতে থাকতাম আমরা। বাবা ঢাকায় চাকুরী করত একাটা প্রাইভেট কোম্পানিতে।
গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম আমরা তিনজন।
নানা ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক।
নানা বাড়ি থেকে স্কুলের পথ মাইল দেড়েক হবে।
আপু আর খালামনি ওদের বান্ধবী দের সাথে স্কুলে হেটে যেত। আর আমি নানার প্রিয় সেই দিচক্রযানের পিছনে বসে যেতাম। আসার সময় ও তাই হত।
এভাবে করে চলছে স্কুলের জীবনের দিনগুলো।
দেখতে দেখতে বার্ষিক পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এল।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে নোটিশ হল অমুক দিন বিদায় অনুষ্ঠান হবে।
বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভালই আয়োজন শুরু হয়ে গেছে।
যথারীতি বিদায় অনুষ্ঠানের দিন সবাই একত্রিত হলাম। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার থেকে শুরু করে গ্রামের গন্য মান্য ব্যক্তি বরগ উপস্থিত।
ময়লা
অফিস যাওয়ার জন্য বাস ধরতে আমি যেখানে অপেক্ষা করি তার পাশেই একটা বড় ড্রেন । ছেলেটা একটা লম্বা বাঁশের আগায় টিনের হাতল বেঁধে সেই ড্রেন থেকে নোংরা পরিস্কার করে জমা করে । একটু পরেই ঠেলা গাড়ি করে আর একজন সেগুলো তুলে নিয়ে যায় । তাতে কত সব দেখি । কি নেই ?
রাস্তাঘাটে ঘরে বাইরে যা দেখি সবই থাকে এর মধ্যে । পচা গন্ধ ছাড়ে কুকুর টানাটানি করে । ছেলেটি তাদেরকে তাড়ায় ।
আমি প্রায়ই দেখি । বাস আসতে দেরি । নাকে হাত চাপা দিয়ে কিছু বাক্যালাপ করি - আজকে যে আরো বেশি গন্ধ ছাড়ছে !
ছেলেটি দাঁড়িয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল - কাল রবিবার গেছে । রাস্তার ধারের মাংস দোকানের সমস্ত পড়েছে ।
- কেন ? ওরা কি এ সব ?
হা হা করে হেসে ফেলল - এখানে ফেলার লাইসেন্স আছে যে । সবাই ফেলবে বলেই না আমরা কাজ পাই ।
আমি ভাবি তাই তো একজনের বেহিসেবী রাস্তা আর অন্যজনের হয়তো সাংসারিক হিসেব ।
সুন্দর পৃথিবী অসুন্দর মানুষ...
আমার একমাত্র মেয়েটা ধর্ষিত হয়েছে আজ ৪দিন।হাসপাতালের বেডে শুয়ে সে তার আঠারো বছরের জীবনের সব সুন্দর মুহূর্তগুলো স্মৃতিচারণ করছে,আমার খেয়াল সেদিকে ছিলো না।মেয়ের বিছানার সাদা চাদরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,দেখছিলাম কিভাবে সাদা চাদর রক্তে লাল হয় আপন মনেই ভাবছিলাম হাসপাতালের বিছানার চাদরগুলোর রঙ সাদা হওয়ার কি খুব প্রয়োজন ছিলো??
মেয়ের মা বেঁচে থাকলে এইরকম বিব্রতকর অবস্থায় আমাকে পরতে হত না।আমি সামনে থাকায় ডাক্তারের কোনো প্রশ্নের উত্তরই মেয়ে দিতে পারছে না।
৫ম দিন রাতে আমার মেয়ে হঠাৎ করে আমাকে জিজ্ঞেস করলো "আচ্ছা বাবা পৃথিবীটা এতো কুৎছিত কেনো'??
সে উত্তরের অপেক্ষা না করেই কুৎছিত পৃথিবীকে বিদায় জানালো।
নিরানন্দ নিউ ইয়ার
মন খারাপ করে নিজের রুমে চুপচাপ বসে আছে ফারদিন । গতকাল নিউ ইয়ার গিয়েছে । সেই হিসেবে মন ভাল থাকার কথা । এনজয় সে ঠিকই করেছে তার বন্ধুদের সাথে । কিন্তু ওর মনটি খারাপ অন্য কারনে । কাল সকালে উঠেই সাদিয়াকে নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা দিয়েছিল মেসেজে । কিন্তু সাদিয়া এখনও মেসেজের কোন উত্তর দেয়নি । ফারদিন ওকে কয়েকবার কলও দিয়েছিল ওর ফোন নাম্বারে । কলব্যাক করা তো দূরে থাক একটা কল এখন পর্যন্ত রিসিভডও করেনি সাদিয়া । সে কারনেই মন আরও বেশি খারাপ । নিউ ইয়ার টাই গেল নিরানন্দ ।
মেয়েটি ওরই ক্লাসের । ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ভিতরে একজন । মেয়েটিকে সে অসম্ভব ভালবাসে । কিন্তু মেয়েটি ওকে ভালবাসে কিনা আজও সে তা বুঝতে পারেনি ।
বৃষ্টিভেজা কিছু মুহূর্ত আর বিস্মিত আমি
বৃষ্টিটা বেশ জোরেই হচ্ছিল। মনে হচ্ছে আকাশ যেন আজ কেঁদে ভাসাবে।
আমি নিশ্চিত যে আমায় ভিজতেই হবে। জোড়াতালির এই কপালে রিক্সা আমার জুটবে না। কিন্তু বিস্ফোরিত চোখে একটা রিক্সা আসতে দেখে যার পর নাই অবাক হলাম। আমার ভাগ্যের বিরোধী দলীয় নেতা মিঃ বিধাতা যে আজ প্রসন্ন চিত্তে এত সহজে আমায় রিক্সা পাইয়ে দেবে তা আমার চিন্তার ও অতীত।
যা হোক বেশ উত্ফুল্ল মনেই রিক্সায় চড়লাম। আর সাথে সাথে মেঘ বাবাজি সজোরে চিল্লানি দিল আর তার সাথে বিদ্যুত মহাশয়ের অটো ফ্লাস।
কিছুদূর যেতেই দেখলাম অনতিদূরে এক অতিমাত্রায় সুন্দরী তরুণী ছাতা হাতে বৃষ্টির বিরুদ্ধে বৃথা লড়াই করে চলেছে। প্রায় পুরোটাই ভিজে গেছে। বাতাসে চুলগুলো উড়ছে আর মেয়েটা এক হাতে ছাতা সামলাচ্ছে আর অন্য হাতে কামিজ। পুরোই বেসামাল অবস্থা। যদিও আমার বেশ খারাপ লাগছিল মেয়েটির জন্য কিন্তু আশেপাশ উত্সুক লোকের লুল দৃষ্টিভঙ্গী আসলেই বিব্রতকর।
শিরোনাম হীন
"তোমাকে সবাই
বুঝবে না ...হাসিমুখে তোমাকে দেখে
সবাই
ধরে নেবে, তুমি সুখে আছো ...
মেসেজে ছোট্ট করে যখন
তুমি লিখোঃ "ভালো আছি" , সবাই
ভেবে নিবে তুমি সত্যি বলছো ...
তোমার অভিনয় সবাই ধরতে পারবে না !!
চোখের দিকে সবাই দুই সেকেন্ড
বেশি সময় নিয়ে মনোযোগ
দিয়ে তাকিয়ে থাকবে না ... চোখের
নিচের কালি দেখে সবাই প্রশ্ন
করবে না, "রাতে কেন ঘুম হয় নি ??" ...
এলোমেলো চুল দেখে সবাই
ধরে নেবে না, তুমি ভালো নেই ...
অতকিছু খেয়াল করার সময় সবার নেই ... অত
কিছু সবাই খেয়াল করে না !!
সবাই ব্যস্ত ... সবাই স্বার্থপর ... তোমার
সাথে কাজের কথা বলে চলে যাবে ...
হয়তো জিজ্ঞেস করবে "কেমন আছো ??" ... ঐ
"কেমন আছো" টায় "ভদ্রতা" মিশে থাকে,
"আবেগ" এর ছিটেফোঁটাও থাকে না !!
পৃথিবী তার নিজের মত ঘুরছে ...
মানুষগুলোও ঘুরছে নিজের মত ... নিজের মত
ঘুরতে থাকা সব মানুষের
মাঝে হয়তো কেউ
তোমাকে বুঝতে চাইছে ... হয়তো কেউ