ইউজার লগইন
ছোটগল্প
জীবিকা অথবা জীবন- ৯ (জুলিয়ান সিদ্দিকী)
সকালে হাটতে বের হয়েছেন রহমান সাহেব। আজকাল দুবেলা করে হাটেন, এতে যদি কিছু দিন বেশী বাচা যায় মন্দ কি! দুনিয়া থেকে চলে গেলে তো সব শেষ। তার চেয়ে কিছু দিন বেশী বাচার চেষ্টা করা সবার উচিত। এই পৃথিবীর রঙ্গশালায় যত দিন অভিনয় করে মজা পাওয়া যায় ততই লাভ!
পথিমধ্য বাল্যবন্ধু ডাক্তার শৈলেশ বর্মনকে পেয়ে গেলেন। কি রে কেমন আছিস? আজকাল তো আর দেখা পাচ্ছি না। সে কবে স্যালাইন দিয়ে ঘুমপাড়িয়ে রেখে এসেছিস আর তো এলি না। তোরা ডাক্তারাও পারিস বটে! দিনে এত রোগী দেখিস কেন। যত গুলো রোগী দেখিস তাদের বর্তমান কি হালচাল, কে আছে, কে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে তা জানতে ইচ্ছা হয় না।
ডাক্তার শৈলেশ বাবু রহমান সাহেবের কথা শুনছিলেন। আসলে বলার কি আছে? রহমানের কথা তো সত্যি। দিনে যদি একজন ডাক্তার পাঞ্চাশ/ষাট জন রোগী দেখে তবে ডাক্তার মশাই কাকে কাকে মনে রাখবে। আজ দিনে তার দেখা কেন রোগী মারা গেছে তা জানবে কি করে।
বেঁচে থাকা, না থাকা ( ছোট গল্প )
কত বছর কেটেছে জানিনা । বছর গোনা আমাদের হয়ে ওঠেনা । এমনকি সপ্তাহের দিনগুলিরও আমরা হিসেব রাখিনা । মা চাল শেষ হয়ে এলে দু একদিন কাইকুই করে তারপর বাবাকে বলে , বাবা চোখ বড় বড় করে চেয়ে থাকে মায়ের দিকে , তারপর কিছুটা অনিশ্চিত ভাবে বলে " গেলো শুক্রবার না এনেছি "। বাবার মনেই থাকেনা চাল সে এনেছে মাস পেড়িয়ে গিয়েছে । মা'ও মনে করায় না । কিছুটা দয়াপরবশ হয়ে বা কিছুটা বিরক্তিতে । এভাবেই চলছে আমাদের সংসার ।
ভালোবাসা, ডিমান্ড এবং অতঃপর
মাথার চুল একটা একটা করে ছিঁড়তে মন চায় সোহাগের।
-তুমি এত ডিমান্ডিং......
-হ্যাঁ, আমার প্রচুর ডিমান্ড। এর একটাও না হলে আমার চলবে না।
রুমের দেয়ালে ঝোলানো সাদা বোর্ডটার দিকে তাকায় সোহাগ।
আজও রাতে চলছে। পুরো দমে। প্রতিদিনের মতই আগের দিনের চেয়ে একটু বেশি তেজে।
বোর্ড ভর্তি এক গাদা কাজের তালিকা। এই করবে, সেই করবে, এত তারিখে এইখানে, ঐখানে।
মনের ভেতর থেকে কেউ একজন বলে ওঠে , "আমি কই?"
এই কণ্ঠস্বরটাকে ভয় পায় সোহাগ।
প্রচণ্ড ভয়।
ইদানীং প্রতিনিয়ত এমন হচ্ছে তার। কোন কিছু করতে গেলেই সেই কণ্ঠস্বর বাধা দেয়।
আমি কি আমাকে হারিয়েছি বাঁকে
প্রতিটি দিন প্রতিটি মূহুর্ত কি লম্বা যায়। চব্বিশ ঘন্টা এতো লম্বা হয় কেনো তিতলি ভেবে পায় না। সপ্তাহের ছয়টা দিনকে তিতলির মাঝে মাঝে বছরের চেয়েও লম্বা মনে হতে থাকে। মনে হয় এ নিদারুন সপ্তাহ আর শেষ হবে না সায়ানের সাথে আর তিতলির দেখা হবে না। শুধু সায়ান যখন পাশে থাকে ঘড়িটা তখন উড়ে চলতে থাকে। এতো আনফেয়ার কেনো এই পৃথিবীটা। অপেক্ষার সময়টা এতো লম্বা আর .........। সায়ান পাশে থাকলে সেই ঘন্টাগুলো যেনো মিনিট থেকে সেকেন্ড - মাইক্রো সেকেন্ড হয়ে উড়ে যায়। কতো কি ভেবে রাখে, দেখা হলে সে সায়ানকে এটা বলবে ওটা জিজ্ঞেস করবে কিন্তু ও সামনে এসে দাঁড়ালে এমন ঝড়ের কাঁপন শুরু হয়, সময় কোথা দিয়ে ওড়ে, ভেবে রাখা কিছুই আর মনেও থাকে না, বলাও হয় না। আর তিতলির মাথাটাকে সায়ানতো কাজও করতে দেয় না। হলে ফিরে ব্যাগ গুছাতে গুছাতে তিতলির আবার রাগ হতে লাগলো। একটু দ্বিধায়ও পরে গেলো। রক্ষনশীল পরিবারের মেয়ে সে। বাবা মা তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন
এলোমেলো প্রেমের গল্প
তখন থেকে টেবিলের ওপর মোবাইলটা নেচে যাচ্ছে। হ্যা বেজে যাচ্ছে না নেচে যাচ্ছে। তিতলি বই খুলে বসে আছে বটে টেবিলে কিন্তু সেকি পড়ছে নাকি মোবাইলকে দেখছে বোঝা যাচ্ছে না। আনমনা প্রচন্ড শুধু সেইটুকুই বোঝা যাচ্ছে। তিতলি ভীষন রেগে আছে সায়ানের ওপর। সায়ান বিকেল থেকে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে ফোন করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে, কিন্তু তিতলি কিছুতেই ফোন ধরছে না। বাসায় যেনো কারো কানে না যায়, মোবাইলটাকে ভ্রাইব্রেশনে দিয়ে রেখেছে তিতলি। বিকেল থেকে কতো এসএমএস, কতো কাঁকুতি মিনতি সায়ানের, ফোনটা একবার তোল জান। না তিতলি তুলবেই না, গতো দুই দিন ধরে কি কম কষ্ট পেয়েছে সে যে এখুনি সায়ানের ফোন ধরতে হবে? সায়ানের সব সময় কাজের দোহাই, সে খুব ব্যস্ত। আর তিতলি? তিতলির কি সায়ানের ফোনের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন কাজ নেই। গতো দুদিন সারাক্ষণ মোবাইল চেক করেছে, নাই কোন ম্যাসেজ, নাই কোন মিসড কল। কাজ থাকলে কি তিতলিকে ভুলে যেতে হবে?
মা জয়িতা, হারিকেনটা নিয়ে আয় তো।
সালাম সাহেবের বয়স অনেক হল। এখন পুরাপুরি বৃদ্ব কালে আছেন। স্ত্রী তামান্নাও বুড়ি হয়ে গেছেন। একমাত্র ছেলেটাকে অনেক পড়া শুনা শিখিয়েছেন, বিরাট বড় চাকুরী করে আমেরিকায়। মাইক্রোহিট নামের একটা ওয়ার্ল্ড রিকগনাইসড কোম্পানীর অপারেশন ডাইরেক্টর। সারা বছর নানা দেশে ঘুরে বেড়ায়। ছেলেটা নিজের ইচ্ছায় ম্যচাচুসেটস এর এক বনেদী পরিবারে বিবাহ করেছে। বিদেশী ছেলের বউটা অনেক ভাল। বিবাহের পর অনেকবার এসে গেছে।
বন্ধু আমার-৩
কন্নিচুয়া,
সাতি সান দেসু কা?
আমরা কি ভেতরে আসতে পারি?
স্বাতীর বিস্তর যুদ্ধ করতে হয়, নিজেকে সামাল দেবার জন্য। কাঁপা হাতে স্বল্প ভেঁজানো দরোজাটা মেলে ধরে। সাদা পোশাকে নয়, রিতীমত কেজো পোশাকের দুজন কপ দাঁড়িয়ে।
সরু চেহারার নারীটাকে, কিছুতেই পুলিশ বলে মানতে ইচ্ছা করেনা। ওকে দেখে ক্লাস টেনের গার্ল'স গাইডদের কথা মনে পড়ে যায়।
-হাই দোজো, স্বাতী দরোজা থেকে সরে দাঁড়িয়ে ঘরে ঢুকবার জায়গা করে দেয়।
দুজন হাসি হাসি মুখে, খুবই আদবের সঙ্গে ঘরে ঢোকে। চেহারা দেখলে মনে হয়, স্বাতীকে অসময়ে বিরক্ত করার জন্য মরমে মরে যাচ্ছে।
স্বাতী ৫ সেকেন্ড অটোসাজেশন দেয় নিজেকে।
"স্বাতী কিছুতেই প্যানিকড হয়ো না। নিজেকে সামলাও কোন ভুল করোনা। তোমার যাবতীয় ট্রেনিং কাজে লাগাও। আজ তোমার পরীক্ষা। দেখা যাক তোমার নার্ভের জোর।"
ভীষন কষ্টে, এক চিলতে হাসি ঠোঁটে ফুটিয়ে স্বাতী জিজ্ঞাসা করে, আমি তোমাদের কি সাহায্যে আসতে পারি?
বন্ধু আমার-২
কারিনার রুম থেকে বেরিয়ে স্বাতী একছুটে করিডোর টা পেরিয়ে - ড্রাইভ ওয়েতে নেমে এলো। একই কম্পাউন্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটা এপার্টমেনট। হাতের বাম দিকের এপার্টমেন্টটায় ওদের এ্যানোনিমাস কাউন্সেলিং রুম, কিন্তু সংশ্লষ্ট ব্যাক্তিরা ছাড়া কেউ জানে না। এমন কি এপার্টমেন্টের বাসিন্দারাও না। খুব কঠিনভাবে এর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
এম্নিতে এপার্টমেন্টের বাযার আছে। কল বাটনে ২০৩ তিন চাপলেই, যে কোন কর্মী এসে খুলে দেয়। কিন্তু আজকের ব্যাপারটা ভিন্ন। আজকের সকালের শিফট টা ওরই। অন্য কেউ এ সময় থাকার কথা না।
কেউ না থাকলে, এপার্টমেন্টে ঢুকতে হয় অন্য ভাবে।
বন্ধু আমার---১
হঠাৎ সহনীয় অথচ একঘেঁয়ে একটা শব্দে ঘুম ভাঙ্গে স্বাতীর। ঘুমের মধ্যে প্রথমে ঠিক ঠাহর করতে পারে না, কিসের শব্দ এটা?
হাতড়ে মুঠো ফোনটা যখন হাতের নাগালে চলে আসে, তখনই স্বাতী সম্বিত ফিরে পায়, না এটা এলার্ম ক্লক নয়। ঘরের কোনায় ল্যান্ড ফোনটা বেজেই চলেছে। ঝটপট উঠে পড়ে সে। আলসেমি করলেই--আর উঠতে পারবে না জানে।
হ্যালো, মে আই নো হু ইজ দিস? ঘুমে জড়ানো অস্পষ্ট কণ্ঠ স্বাতীর।
-মর্নিং স্যাটি, দিস ইজ কারিনা।
কুড ইউ কাম টু দ্যা অফিস এ্যাজ সুন এ্যাজ পসিবল।
-হোয়াট? ঘুমের মধ্যে স্বাতী কিছু ঠাহর করতে পারে না।
-"রাইট নাউ।" কারিনা লাইনটা কেটে দেয়।
ছোটগল্প : উকুন বাছা রাত কিম্বা সর্ষেফুল দিনের গল্প
১.
আমরা এখন বৈদ্যুতিক আলোয় উকুন বাছি । বিদ্যুৎ আমাদের ফাঁকি দেয়, যেমন আমাদের ভাগ্য প্রায়শই আমাদের ফাঁকি দিতে থাকে । বিদ্যুতের ফাঁকিবাজিকে ফাঁকিবাজ ভাগ্যের মতনই আমরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাই । কারণ, ভাগ্য বদলের কথা যদি বলি, যদি বলি ভাগ্যকে ধরবার জন্যই আমরা গ্রাম ছেড়ে নগরে এসেছি, তবে এ কথা বলা সঙ্গত হবে যে, রামপুর বস্তির দুর্গন্ধময় গলি-ঘুপচিতে আমাদের অনুপ্রবেশ নিশ্চিত করবার আগ মুহূর্তগুলোতে রায়পুর গ্রামের সবুজের পরতে পরতে আমরা আমাদের সারল্যকে লুকিয়ে রেখে এসেছি । আমরা যথেষ্ট নির্লিপ্ত, খানিকটা নিষ্ঠুর আর আত্মপরায়ণ হতে শিখেছি ।
২.
গল্প পুরাণ : দুইটি বা একটি গল্প।
গল্প ১:
ঘুট ঘুইট্যা আন্ধারের মাঝে খালি দুই জোড়া সাদা সাদা গোল গোল চোখ চরকির মত ঘুরতাছে।
শালার মায়রে বাপ!
শীতকালের শুকনা নাড়ায় পা পৈড়া জ্বালা কৈরা উঠতে খ্যাচ কৈরা উঠে রহমান।
মতির সাদা চোখ দুইটা কেবল একটু পিছনে ফিরা রহমানরে দেখে, আর কিছু কয়না। চোররে আস্তে কথা কওনের কথা শিখানের দরকার হয়না, সেডা জানে।
বিড়ি একটা ধরাই, কি কও? আবারো ফিসফিসায় রহমান।
মতি কিছু কয়না। রহমান অবশ্য কিছু মনে করেনা। জানে হ কৈতে হৈলে মতি একটা ঘোঁৎ করতো, না হৈলে চুপ।
যদিও আজকে প্রথমবারের মত তারা আজকে একসাথে চুরি করতাছে। তবে কিনা আজকের টা রাজচুরি।!!
রাজচুরি বলে রাজচুরি!!
মনে হৈতেই রহমানর ঘাম শুরু হয় আবার।
অত্র এলাকায়, চুরির ইতিহাসে, এমন ঘটনা ঘটেনাই!! কোনো এলাকাতেই কি ঘটছে?
বুদ্ধিটা মতির।
রহমানের মাথায় এত বুদ্ধি আসবার নয়।
গল্প পুরাণ : দুইটি বা একটি গল্প।
গল্প ১:
ঘুট ঘুইট্যা আন্ধারের মাঝে খালি দুই জোড়া সাদা সাদা গোল গোল চোখ চরকির মত ঘুরতাছে।
শালার মায়রে বাপ!
শীতকালের শুকনা নাড়ায় পা পৈড়া জ্বালা কৈরা উঠতে খ্যাচ কৈরা উঠে রহমান।
মতির সাদা চোখ দুইটা কেবল একটু পিছনে ফিরা রহমানরে দেখে, আর কিছু কয়না। চোররে আস্তে কথা কওনের কথা শিখানের দরকার হয়না, সেডা জানে।
বিড়ি একটা ধরাই, কি কস? আবারো ফিসফিসায় রহমান।
মতি কিছু কয়না। রহমান অবশ্য কিছু মনে করেনা। জানে হ কৈতে হৈলে মতি একটা ঘোঁৎ করতো, না হৈলে চুপ।
যদিও আজকে প্রথমবারের মত তারা আজকে একসাথে চুরী করতাছে। তবে কিনা আজকের টা রাজচুরি।!!
রাজচুরী বলে রাজচুরী!!
মনে হৈতেই রহমানর ঘাম শুরু হয় আবার।
অত্র এলাকায়, চুরীর ইতিহাসে, এমন ঘটনা ঘটেনাই!! কোনো এলাকাতেই কি ঘটছে?
বুদ্ধিটা মতির।
রহমানের মাথায় এত বুদ্ধি আসবার নয়।
বৃত্তের বাইরে
ও কেন্দ্রবিশিষ্ট এ-বি-সি বৃত্তের ঠিক উপরেই মন পালাতে চাওয়া জানলাটা, হালকা বাতাসে তার কাঠের পাল্লাটা ক্যাঁচকোঁচ করে উঠে। সেই জানলা বেয়ে অয়নের চোখ গিয়ে পড়ে উল্টো পাশের কাজী ভিলার চারতলার হলদে আলো ঝরা জানলাটায়। সূয্যি ডোবার পর থেকেই গুনগুন করে পীথাগোরাস কিংবা ইউক্লিডের পিত্তি চটকাচ্ছিল অয়ন, তার মাঝেই দূরের সে হলদে আলোয় একটু আনমনা হয়ে ওঠে। ঘাড়ের ঠিক পেছনে হঠাৎ রদ্দি খাবার ভয় তো আছেই... তারপরেও সারা সন্ধ্যা জুড়ে একতালে গুনগুনের এইটুকু এলো হওয়া হয়তো মায়ের কর্ণগোচর হবেই না! চারতলার জানলার ওপাশে অল্প একটু ছায়ার নড়ন-চড়ন দেখা যায় কালেভাদ্রে, আর কিছু না। আজও সেরকমই একটা নিস্তরঙ্গ রাত যাবে হয়তো...আরেকটু ভাল করে দেখার আশায় তাই চশমাটাকে নাকের ডগায় আগুপিছু করে নিল, কিন্তু তাতে কি আর চশমা দূরবীনে বনে যায়? ঠিক যেই মুহূর্তে হতাশ হতে যাবে, তখুনি দপ করে নিভে গেল বাতিটা। মন ফিরে এল এ-বি-সি বৃত্তের ভেতরের বৃত্তস্থ কোণে।
বিড়ম্বনা
আমার এক বন্ধু, নাম মাসুম। না পিআলোর মাসুম মামা না। তার একটা জয়েন্ট ভেনচার সফ্টওয়ার কোম্পানি আছে। অসম্ভব প্রতিভাবান, উদ্দোগী, কাজ পাগল। তার চেয়ে কথা হলো নীতিবান। নীতিবান মানে নীতিবান। জীবনে বেআইনি কাজ করে নাই। বাংলাদেশে এমন লোক মনে হয় হাতে গোনা যাবে। এরকম লোকদের জন্য এই ভ্রস্ট সমাজে বাস করা কঠিন। নানা সমস্যায় পড়তে হয়। বিভিন্ন সরকারী যায়গায় এ নিয়া অনেক দিগদারি হয়। সে কাহিনী আরেক সময় বলব। আজকে অন্য ধরণের একটা কাহিনী বলি। তার মুখেই শুনুন।
.
.
ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিলাম
বাস-টা পথে একটা হোটেলে কিছুক্ষনের জন্য থামলে
আমি হোটেলের টয়লেটে ঢুকলাম হাল্কা হতে...
কি মুস্কিল পাশের টয়লেট থেকে বয়স্ক কন্ঠে জিজ্ঞাসাকরে
"কেমন আছো?"
মেজাজ পিলা হয়াগেল... তবুও ভদ্রতা করে কইলাম "জ্বি ভালো"
এ-মা... ফাজিল বুইড়া আবার জিগায়... "কি করছো?"
এইবার মনে হইলো অসুস্হ কোন মানসিক রোগীর পাল্লায় পরছি নিশ্চিত