ইউজার লগইন
ছোটগল্প
তুর্কের ঈদ!
হাত যতই চালাই সেই কাজ শেষ হতে হতে রাত ১১-১২টাই বেজে যায়। চাইলেও আগে ফিরতে পারিনা বাসায়।
ল্যাবের দুটা মাত্র পিসিআর মেশিন, ১২ জন মিলে তাই একের পর এক বুকিং দিয়ে কাজ চালায়। তার উপর আমি এই কোরিয়ান ল্যাবে নতুন। যদিও ছয়মাস হয়ে গেছে এসেছি এখানে, কিন্তু নতুনের তকমা এখনও সেঁটে আছে মাথায়।
ছোটগল্প: সোনার গাঁ
১
দু পাশে সারি সারি ইটের ভাটা । আরব্য উপন্যাসের গরুড় পাখীর মতো চিমনির গলা বেয়ে কুন্ডলী পাকিয়ে ধুয়া উড়ছে। প্রতিদিনকার মতো কাচের বাক্সে বন্দী হয়ে সামনে এগিয়ে যাই এই পথে । ভোরের সুর্যটা ক্রমেই পানি পানি বিস্বাদ লাগে।
যে জলে আগুন জ্বলে
আমার পা জোড়া যেন শীতল হয়ে গেল। কি দারূন অনুভূতি।পায়ের কাছে তীব্র কলকল শব্দ করে জমে যাচ্ছে পাহাড়ি ঠাণ্ডা জল। জলের শরীরে আয়না। আমার দৃষ্টি জলের গভীরে। ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে পাথরের দোল খাওয়া দেখি। বড় বড় চোখের বুড়ো পাথর গুলোর গায়ে রোদ জলের ছায়া আর ছোট ছোট নুড়িগুলোর অবুঝ ভাসাভাসি।
মহানন্দার ওপারে আকাশ মাটি ছুঁয়ে সোনা রোদে হাসছে।
আমি ভেসে যাবার ভয়ে উঠে আসি।
রোদে তেতে থাকা, গরম মাটিতে পা পুড়ে যায়, আমি বাস্তবে ফিরে আসি। চোখ বুজলেই মহানন্দার জলে আমার চোখ ভরে যায়। সেদিন তোমার কি ভয়, পারে বসে চিৎকার
- "আর যেওনা। আর যেওনা। ভেসে যাবে যে..."
তুমি সাঁতার জানতে না। পানিকে তোমার তাই ভীষন ভয়। তাই নামোনি আমার সঙ্গে।
আমার ভীষন মন খারাপ হচ্ছিল, তোমার সাথে জলে নামতে পারিনি বলে কিন্তু মহানন্দা দেখে সব ভেসে গেল। নদী আমাকে ভীষন টানে। কি ভীষন আকূল করে টেনে নিয়ে যায়--অদ্ভূত তাইনা!
একটি কাল্পনিক প্রেমের গল্প
১.
কানে তালা লেগে যাচ্ছে।বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হচ্ছে একেকটা বোমা।কানে হাত দিয়ে বসে আছে আট-দশটা প্রাণী।এরা সবাই কথা বলতে জানে।চলতে জানে।এরা মানুষ।তারপরও ঘটনার আকস্মিকতায় তারা এখন নির্বোধ।এখানে বসে থাকলে প্রাণে বাঁচবে! নাকী বের হলে রক্ষা পাবে জানেনা।শুধু জানে এটুকু সময় চলে গেলে হয়তো বাকী জীবনটা এমন ঘাপটি মেরে থাকতে হবেনা।বাঁচার আকুলতায় মানুষগুলোর চোখ ছলছল করছে।
২,
এই তো কিছুদিন আগে।
স্বীকারোক্তি
মান্যবর,
অপরাধ নেবেন না,আমি এখন পুরোদস্তুর শহুরে মানুষ। গাঁওগেরাম আর পূর্ব পুরুষের ভিটেমাটির রং বহুকাল আগেই ভুলে গেছি। কোন এককালে আমার দাদাজান নিজ হাতেই কষতেন লাঙ্গল,আমার বাবাও করতেন,এটা আমার জন্য ঘেন্না বিশেষ!!বাজানের কোদাল হাতুড়ির ঠোকাঠুকি এ বোধকরি অপমানকর কথাই;
কেননা আমি এখন শহুরে আদলে গড়া অন্য মানুষ।
চোখের ভাষা
সখী ভাবনা কাহারে বলে
সখী যাতনা কাহারে বলে
তোমরা যে বলো দিবস রজনী, ভালোবাসা ভালোবাসা--
সখী ভালোবাসা কারে কয়?
সেকি কেবলই ছলনাময়?
ভড়কে গেলেন নাকি ভাই? না, রবি ঠাকুরের গানের আর কোনো অপ্রকাশিত ভার্শন ছিলোনা, ঐটা আমার মনের কথা কিনা, তাই ঐটুকু কাঁচি চালিয়ে দিলাম।
বাজি
আজিমুদ্দির আজকে কামেকাজে একদমই মন বসতেছে না। আজকে সন্ধ্যায় মোহামেডান-আবাহনী খেলা। ফেডারেশন কাপের ফাইনাল। ফুটবল তার হারানো অতীত ফিরে পাইছে, আগের মত আর ম্যান্দামারা টুর্নামেন্ট না, সারা দেশজুড়ে মারমার কাটকাট এইটা নিয়ে। পাড়া-মহল্লায় কথাকাটাকাটি, মাইরপিট, ধাওয়ানি, দাবড়ানি। বাড়ির ছাদে ছাদে আকাশি-হলুদ কিংবা সাদাকালো পতাকা। আজকে স্কুলগুলাও একটু আগে ছুটি দেয়া হবে যাতে পোলাপান বাসায় গিয়ে খেলা দেখতে প