ইউজার লগইন
ছোটগল্প
অপেক্ষার বৃষ্টি
ঠিক পাঁচটায় ঘুম ভেঙ্গে গেল শান্তনার। প্রতিদিন এই সময়ই ঘুম ভাঙ্গে তার। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা ভারী বরষায়ও। কাকভোরে উঠে তড়িঘড়ি করে ছুটতে হয় কাজে। সংসারে তার আপন বলতে একমাত্র ছোট ভাই অপু। কিশোরী সান্তনা যখন মাত্র প্রাইমারীর গণ্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে প্রবেশ করল তখনই বাবা ওকে ফাঁকি দিয়ে চলে যায়। আর মা, কয়েক বছর ওদের দু ভাই বোনকে আগলে রেখে সেই যে বিছানায় পড়ল, আর উঠলো না। দুই বছর ভোগে, শুধু ভোগে না বলে বলা যায় সবাইকে ভোগায়। তারপর সব শেষ! সেই থেকেই সান্তনার মাথার উপর আর কেউ থাকে না। পাশে থাকে শুধু অপু। ওর জন্য অপু আর অপুর জন্য ও।
ওই দেখো, মানিকজোড় যায়
‘Long, long afterward, in an oak
I found the arrow, still unbroke;
And the song, from beginning to end,
I found again in the heart of a friend.’
―Henry Wadsworth Longfellow
১.
ভুলু বাঁশি বাজায় এবং টুলু পশুপাখি শিকার করে; শিকারী ও বংশীবাদক―দুই বন্ধু।
গাঁয়ের এক কোণায় দুই বন্ধুর দু’টো কুঁড়েঘর; মাটির দেয়াল, শনপাতায় ছাওয়া। দুর থেকে খুব সহজে চোখে পড়ে না―ঘন গাছপালার সবুজ আড়ালে ঘেরা। দু’জনের বয়স কাছাকাছি।
জরির স্বামী টুলু শিকারে যায় আর পরির স্বামী ভুলু বাঁশি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
জরি ও পরি―হরি হর আত্মা; এক অপরকে পছন্দ করে ও ভালোবাসে। তারাও সই পাতায়; বিপদে আপদে পরস্পর কাছে এসে দাঁড়ায়।
একাকীত্বের অবসরে
-এক্সকিউজ মি!
-আমাকে বলছেন?
-এখানে তো আর কেউ নেই!
চারিদিকে তাকিয়ে উত্তরদাতা বলে- হ্যাঁ, বলুন কি করতে পারি আপনার জন্য ?
-এটা কি অনিরুদ্ধ সাহেবের বাসা?
লোকটি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে অপরিচিত ভদ্রমহিলার দিকে, তারপর বলে- জি, এটাই অনিরুদ্ধ সাহেবের বাসা। আপনি কোত্থেকে এসেছেন?
-চিটাগাং থেকে, ওনাকে একটু ডেকে দিবেন?
-নিশ্চয়ই! বসুন, বাগানের পাশে রাখা চেয়ারটা দেখিয়ে বলল লোকটি, আপনার পরিচয়টা কি জানতে পারি?
-আমি শম্পা
-জি আপনি শম্পা, আমি আসলে অনি’র সাথে আপনার সম্পর্কটা জানতে চাচ্ছিলাম। ভদ্রলোক হেসে জবাব দেয়
-সম্পর্কটা কি জরুরী?
-না, মানে জানতে চাচ্ছিলাম অনিকে ঠিক কতদিন ধরে চেনেন? আপনাকে তো এর আগে কখনো দেখিনি!
-দেখেন, আসলে প্রয়োজনটা ওনার সাথে, কাইন্ডলি ওনাকে ডেকে দিলে ভাল হয়!
গল্প: প্রিয় বর্ষাকে নিয়ে দুই ছত্র
বর্ষা একটা দারুণ ঋতু। বিশেষ করে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে হুডখোলা রিকশায় ঘোরার মজাই আলাদা। এ সংক্রান্ত একটি ছোট্ট সত্যি গল্প মনে পড়ে গেলো লীনা আপুর প্রকৃতি কথা... ব্লগটা পড়ে। ভাবলাম, লিখে ফেলি। উনাকে অনেকদিন কোনো পোস্ট উৎসর্গও করা হয় না। সেটাও করা হলো এই সুবাদে।
---
সেবার নম পেন যেতে হয়েছিলো একটা আন্তর্জাতিক শিশু বিষয়ক সম্মেলনের ঢাকনা দিতে। কভার করার বাংলা হিসাবে এই কথাটা ব্যবহার করে আমি খুব মজা পাই। সম্মেলন শুরুর দিন সকালে আকাশে রোদ ঝিকমিক করছিলো। আর ছিলো ঠান্ডা বাতাস।
২০১৩: বইমেলা!!! বইমেলা!!! বইমেলা!!!!
বাঙালির প্রাণের মাস ফেব্রুয়ারি... ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী... সেই ভাষাকে সম্মানিত করতে এই মাসে গোড়াপত্তন ঘটে বই মেলার... কালের বিবর্তনে এই বইমেলা ঢাকাবাসীকে ছাড়িয়ে সারা বিশ্বের বাঙালির প্রাণে দোলা দেয়ার একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। প্রতি বছর এই বই মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি করে আমাদের মনে। ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পায় হয় হাজার হাজার বই এবং ব্লগারদের বই্ও। শুধু মাত্র এই এক মাসে যে পরিমাণ বই ছাপা হয় তার অর্ধেক বইও বাকি ১১ মাসে ছাপা হয় না।
যাক সেসব কথা। বই মেলাকে ঘিরে আমাদের ব্লগারদের কি কি বই প্রকাশ হয়েছে তার একটি ছোট্ট তালিকা তৈরি করতে চাই যাতে আমাদের ক্রয় তালিকায় থাকা প্রিয় মানুষদের বইয়ের কথা যেন ভুলে না যাই। সকল ব্লগারদেরও অনুরোধ জানাই যেন মন্তব্যের ঘরে প্রিয় ব্লগারদের বইয়ের বিস্তারিত জানিয়ে যান। সকল ব্লগারদের প্রকাশিত বইয়ের তালিকা আপনার হাতের মুঠোয় থাক।
পেছন পথের ধুলো
এটি একটি কাল্পনিক গল্প, জীবিত বা মৃত কারো সংগে গল্পের কোন চরিত্রের মিল নেই। মিলে গেলে কাকতাল মাত্র।
মাধবপুর স্কুল মাঠ আজ রঙীন সাজে সেজেছে। মাঠের এক পাশে বড় স্টেজ করা হয়েছে। সারা গ্রাম আজ আনন্দের বন্যায় ভাসছে। চারিদিকে একটা উৎসব উৎসব ভাব। ইমতিয়াজ সাহেব আসবেন, তাই এই বিশাল আয়োজন! গ্রামের সব গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ- চেয়ারম্যান, মেম্বার থেকে শুরু করে তরুন-যুবারা আজ মহা ব্যাস্ত।
ইমতিয়াজ সাহেব এই গ্রামের গর্ব। খুব জ্ঞানী মানুষ। তার অনেকগুলো পরিচয়- তিনি এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্যকার এবং লেখক। তার আরও একটা বড় পরিচয় আছে- তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনের একজন প্রার্থী। তাঁর নিজের গ্রাম থেকেই প্রচারণা শুরু করবেন; তাই আজ এই জনসভার আয়োজন।
মুক্তি [পরীক্ষামূলক পরমানু গল্প প্রয়াস!]
টানা ২২ দিন গিয়েও খালি মনেই ফেরত্ এসেছি,
আজ তেইশ দিন পর স্মিতার সাথে কথা হল।
কোমায় ছিল ও।
জ্ঞান ফিরেছে আজ ভোর রাতে।
সারাদিনে সময় করতে পারে নি,
একটু আগে ফোন করেছিল আর সবাই কে লুকিয়ে,
ওরা নাকি মামলা করতে চাইছে।
চায়ের দোকানে দাড়িয়ে ছিলাম রাতের শেষ কাপ চা খাব বলে,
তখনি ওর ফোন।
প্রায় সোয়া তিন মিনিট কথা হল। বলল, কাল পড়শু নাগাদ রেজিস্ট্রি ডাকে ডির্ভোস লেটার পাঠিয়ে দিবে - সাইন করে দিতে।
সাড়ে আট বছরের চেনা জানা,
তিন বছরের সংসার।
একটা এক্সিডেন্ট, কিছু নিরবতা -
ব্যাস্, তাতেই সব শেষ।
দোষ আমারই ছিল।
হঠাত্ করেই ঝোঁকের মাথায় ওকে নিয়ে লং ড্রাইভ। ফেরার পথে ভয়ংকর তীব্র কুয়াশা। হঠাত্ দৌড়ে গাড়ির সামনে এসে পড়া এক টোকাই মেয়ে কে বাঁচাতে গিয়েই গাড়ি উঠে গিয়েছিল রোড ডিভাইডারে,
আমার সবকিছুই আবার দুইভাগ করে দিয়ে গেল একটা মাত্র রাত।
তারপরই সেই ভয়ংকর অসহ্য ২৩ দিন।
নাহ, যা হয় ভালর জন্যই হয় হয়তো। অবশ্য এই রাতটার মাঝে ভাল কি থাকতে পারে তা আর এই জীবনে জানা হবে বলে মনে হচ্ছে না।
রাত অনেক হয়ে এসেছে,
বাতি নিভিয়ে দেওয়া দরকার।
ঘুম কিংবা মুক্তি,
একটা কিছু আসুক।।
অন্ধকার সকাল
হাঁটতে হাঁটতে পুরো ঢাকা শহর চষে ফেললাম তারপরেও ক্লান্তি এলো না। সেই দুপুর থেকে হাঁটছি এখন প্রায় মাঝরাত। এবার কোথাও থামতে হবে নাহলে পুলিশ আবার আদর করে থানায় ভরে দেবে, দেশের যা অবস্থা! আর একটা সিগারেট শেষ করে ঐ মসজিদে রাতটা কাটিয়ে দেই। মনে হচ্ছে মাথাটা পুরো ফাঁকা, বোধশূন্য অবস্থা। জুলাই মাসের দারুন গরম তায় আবার প্রচণ্ড মশার উৎপাত, অথচ আমাকে কিছুই কষ্ট দিচ্ছে না – সত্যই কি বোধ হারাইলাম! পকেটে মোবাইল রাখতেই চিঠিটা বেরিয়ে এলো, একবার পড়েছি মাত্র।রিমি লিখেছে...
‘‘ওগো বাঁশিওয়ালা
এই সম্বোধনে রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা আছে, তুমি জানো আমার খুব পছন্দের। ক্যামন আছো তুমি? বড্ড সাদামাটা প্রশ্ন । তা হোক, তোমার আমার সম্পর্কটাই তো সাধারন কোন ভান-ভনিতা নেই, লুকোচুরি নেই তাইনা? সেই কবে তোমাতে মুগ্ধ হয়েছি সে রেশ এখনো কাটল না । আজো যদি আমায় নাম ধরে ডাকো মনে হয় লক্ষ বকুল ফুটল...
এর মাঝে কেন যে এমন হল! তুমি আমি আমাদের দিন রাত সব কি রকম হয়ে গেল! মজা পুকুরের মত জীবন ছিল আমার।যেখানে কচুরিপানাও প্রান পেত না, সেখানে পদ্ম ফোটালে তুমি। সমস্ত আকাশ আলোকিত করে তুমি গেয়েছ –
পরস্পর
জীবনের এতগুলো পথ পেছনে ফেলে এলেও তাকে মানসিক সঙ্গ দেওয়ার মতো কাউকে পায়নি আজাহার। হতে পারে সে নিজেই ততটা জরুরি মনে করে সন্ধান করেনি বা সেই সময়গুলোতে এগিয়ে আসতে আগ্রহ বোধ করেনি কেউ। মোটকথা প্রেম বলতে যতটা বোঝায় তার ছিঁটেফোঁটাও তার জীবনে নেই বললেও চলে। যদিও একজন ভালো আর দায়ীত্ববান স্বামী হয়ে দুটো সন্তানের যাবতীয় নির্ভরতার স্থল হয়ে উঠতে পেরেছিলো। প্রেম যে একেবারেই নেই তা বলাটাও হয়তো মিথ্যারই নামান্তর হবে। প্রেম বলতে আছে দাম্পত্য প্রেম। আর সে প্রেমও যেই সেই নয়। কখনো কখনো নিদারুণ অশান্তির দ্রোহে জ্বলে ওঠে সেই প্রেমের লকলকে বহ্নি। যে কারণে এক সময় নিজের সঙ্গেই ক্রমশ যুঝতে যুঝতে এক সময় আপস করে নিয়েছিলো। যে আপসের ফল স্বরূপ নিজেকে ভাগ করে নিতে বাধ্য হয়েছিলো দুটো সত্ত্বায়। তখনই আরো ভালো করে সে অনুভব করতে পেরেছিলো যে, প্রতিদিনকার ঔজ্জ্বল্যের ভেতরও আছে আরেকটি আজাহার। যে বড্ড নিঃসঙ্গ। লাজুক। মিতভাষী। আশপাশের যাবতীয় দুখ-যন্ত্রণা যাকে মোটেও স্পর্শ করে না।
ছায়া ও টিকটিকির সঙ্গে সংলাপ
টেবিলের ওপর পড়ে থাকা বইটির দিকে তাকিয়ে থাকে আলো -‘ছায়াহীন কায়া’। দেখে আর ভাবে, ভাবতে থাকে। লাটিম ঘুরতে ঘুরতে যেমন ঝিম ধরে থাকে-এক পায়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে, তেমনি মেরুদণ্ডটা ঠিক সোজা করে আপন মনে বসে আছে সে। ফাঁকে একবার নিজের ছায়ার দিকেও থাকায় । সে বোঝে না ছায়াহীন কায়া কীভাবে হয় ? আনমনে সে আবার ছায়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। একটু আগে টিকটিকি তাকে ফোন করে। ভাগ্যিস বাবা তখন বাসার বাইরে। আজ টিউটরও নেই।
—কে বলছ? আলো ?
জ্বী, আলো।
আঙ্কেল কেমন আছ ?
হ্যাঁ, ভালো।
এখন স্কুলে আস না ? আর তো দেখা হল না।
না, এখন আমাদের ক্লাস অফ—জেএসসি পরীক্ষা ।
ক্লাস কখন শুরু হবে ? আবার কখন স্কুলে আসছ ?
হন্তারক
একটা গল্প শুনবে?
এটাই আপনার বিশেষ কথা? এর জন্য আমাকে এতদূর আনলেন? যুথি নির্বিকার ভঙ্গিতে কথাগুলো তারেককে বলে।
কেন নৌকায় ঘুরতে তোমার ভালো লাগে না?
তা লাগবে না কেন? খুবই ভালো লাগে। কিন্তু আপনি যে কারণে আমাকে এখানে ডেকেছেন, তা একটা পুরোন কৌশল।
তারেক একটু বিষ্মিত হয়ে যুথির দিকে তাকায়; তোমাকে নিয়ে নৌকায় ঘুরব এটার মধ্যে কৌশলের কি দেখলে তুমি?
যুথি বিজ্ঞের হাসি হাসে। “প্রেমে পড়লে ছেলেগুলো কেন যে এত বোকা হয়ে যায়, বুঝিনা। ‘ভালোবাসি’ এই কথাটা বলতে আমাকে আশুলিয়ায় আনতে হল, এটা কৌশল না?
তারেক তথমত খায়।
আপনি কিন্তু আমার ভালো প্রেমে পড়েছেন?
এভাবে বলছ কেন? তুমি পড়নি?
পড়েছি কিন্তু আপনাকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না।
তারেক যুথির দিকে আহত চোখে তাকায়। তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছ না!
এক বিদেশিনী মেয়ে এবং এক বাংলাদেশী ছেলের গল্প ।
প্রেমিক-প্রেমিকার ভালবাসার গল্প বিভিন্ন রকম হতে পারে । যদি মেয়েটি হয় বিদেশিনী এবং ছেলেটি হয় বাংলাদেশি ।
কাছে আসবে আসবে বলে আর আসতে পারলনা......
এভাবে আমি একটু কল্পনা করেছি আর কিছুই নয় ।
****************************************************************************
রিহানের সাথে মেয়েটির পরিচয় হয়েছিল একটি চ্যাট সাইটে । মেয়েটির নামছিল টিউলিপ পার্কার । অভাক হবার কারণ নেই । মেয়েটি বাংলাদেশি ছিলনা মেয়েটি ছিল বিদেশিনী ।
টিউলিপের দেশ ছিল ফ্রান্স ।
চ্যাটে ওরা দুজন অনেক কথা বলত । একদিন রিহান টিউলিপকে বলল, আমরাতো এখানে সবসময় চ্যাট করি এবার এসো ফেসবুকে চ্যাট করি এতে আমাদের দুজনেরই সুবিধা হবে।
টিউলিপ কোন আপত্তি না করে লক্ষি মেয়ের মত রাজি হয়ে গেল । এভাবে ফেসবুকেও ওরা অনেক কথা বলত । টিউলিপ রিহানকে একবার বলেবসে আমরা কেন ইয়াহু মেসেঞ্জারে চ্যাট করছিনা ? এটা দিয়ে আমরাতো ভয়েস চ্যাট করতে পারি ।
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
জলের জলসায় এক সানকি বিষণ্ন রোদ
তলিয়ে যাচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছি। পানিতে আলোড়ন তুলে ধীরে ডুবে যাচ্ছি আমি। নিপাট বিস্ময়ে বেদনামথিত আত্মা খুঁজে নিচ্ছে মুক্তির সোপান। দৃষ্টিসীমায় তখনও সূর্যের কড়কড়ে আলোর অবগাহন। অবশ শরীরে মৃদু হাওয়ার গুনগুন নামতা। নাকের ভাঁজে কারো মোহনীয় রূপের ঘ্রাণ।
চোখের কোণে কেঁপে ওঠে একটি চঞ্চল প্রজাপতি। লাল নাকি নীল ? ধুসর অথবা সাদা ? দূরে একটি নিঃসঙ্গ চিল এক মনে চক্কর দিচ্ছে। আমি ওর স্বাধীন একাকী আত্মার কাছে ফরিয়াদ জানাই!
আহ্ আকাশ কত নীলাভ। কী নিসীম নিঃসঙ্গ এই চরাচর। আকাশের ভাঁজে ভাঁজে সাদা মেঘের নিপুণ বিন্যাস। যদি মেঘ হতাম! যদি হতাম আকাশ! আকাশের কোণে গড়ে তুলতাম যদি আমার একাকী জীবনের এক চিলতে উঠোন! আলোর সমীকরণে জেগে ওঠে নতুন ধাঁধাঁ।
অনাথ শিশুটি পানিতে কোমড় ডুবিয়ে এখনো খেলছে। ওর কোন খেদ নেই? না পাওয়ার বেদনা ওকে আহত করেনা? চারদিকের চাকচিক্যের ভীড়ে কী নিদারুণ গ্লানিময় ওর জীবন! এখনো কেন বেঁচে আছে ও?
মা দিবস উপলক্ষ্যেঃ অভিমানী মা আমার
একটা চিঠি। সে অনেকদিন আগের কথা; আমার বয়স পাঁচ কি ছয় হবে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির ঐ সময়টা খুব একটা কারো মনে থাকার কথা নয়। পরবর্তীতে মা আবার সেই স্মৃতিটা গল্পের মত বলেছিল এবং কেঁদেছিল, যখন আমি পড়তে পারি। পদ্মা বিধৌত উর্বর মাটির সন্তান আমি এবং আমার পূর্ব পুরুষ। এ নদীকে কেন্দ্র করে এর কাছাকাছি শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও বিক্রমপুর-এ হাজার বছর ধরে আমাদের পিতৃগণ ও মাতৃগণের বসবাস। ’৪৭ ও ’৭১ এর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আমাদের মাতৃ ও পিতৃকূলের অধিকাংশ সদস্য ভবিষ্যতের কথা ভেবে ক্রমান্বয়ে ভারতে চলে যায়। আমার মা বাদে দাদু তার পুরো পরিবার নিয়ে নদীয়ায় চলে যায়। চিরতরে মা-বাবা হারানোর মত করে মা টানা পাঁচ-সাত দিন কেঁদেছিল।