ইউজার লগইন
ছোটগল্প
ভোরের শিশির কণা
রঞ্জুর বাসা থেকে বাস স্ট্যান্ডের দূরত্ব খুব বেশী নয়, এটুকু পথ পায়ে হেঁটেই যাওয়া যায়। ঘড়ির কাঁটা ধরে রোজ সকালে একই পথ ধরে ওর যাওয়া আসা। বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তাটি বেশ কয়েকটি বাঁক নিয়ে বড় রাস্তায় পড়েছে, তারপর পাঁচ মিনিট হাটলেই বাসস্ট্যান্ড!
আজ একটু দেরী হয়ে যাওয়ায় খুব তাড়া ছিল রঞ্জুর। বাসা থেকে বেড়িয়ে গলির দ্বিতীয় বাঁকটির শেষ মাথায় নুরুল ডাক্তারের বাড়ি পার হয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে, হঠাৎ লম্বা বেণী দুলিয়ে উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণা এক উচ্ছলা ষোড়শী ডাক্তার বাড়ির ডান দিকের গলি থেকে দমকা হাওয়ার মত এসে রঞ্জুর সামনে উদয় হল। মেয়েটি ভাঁজ করা একটি কাগজ রঞ্জুর হাতের মুঠোয় ধরিয়ে দিয়ে ঝড়ের বেগে দৌড়ে পালাল যেদিক দিয়ে এসেছিল ঠিক সেভাবে উল্টা দিকে। ঘটনার আকস্বিকতায় রঞ্জু তো অবাক! কি করবে ঠিক বুঝে উঠতে না পেরে বেশ কিছুক্ষণ হতবিহ্ববল হয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকার পর চারিদিকে তাকিয়ে আশেপাশে কেউ নেই দেখে স্বস্তি বোধ করলো। পরে পড়বে ভেবে কাগজটি প্যান্টের পকেটে ভরে হাঁটতে লাগলো বাসস্ট্যান্ডের দিকে।
গল্প: নোঙরের সঙ্গে উঠে গিয়েছিলো একটি পাঁজরের হাড়
ক্রিং ক্রিং...
-হ্যালো।
একবার ফোন হতেই মিভ ফোন ধরবে আমি ভাবি নি। তাই একটু হকচকিয়ে গেলাম। আসলে ও যে ফোন ধরবে, সেটাই আমি আশা করি নি। কিন্তু তাও যে কেন সেদিন রাত ৪টা ৫০মিনিটে ওর নাম্বার আনমনে টিপে টিপে লিখলাম সেলফোনের টাচপ্যাডে! জানি না।
লিখে আবার সেটাকে ডায়ালেও পাঠিয়ে দিলাম। আর সঙ্গে সঙ্গেই কলটা চলে গেলো ওর কাছে। অথচ তার আগে কতদিন যে একইভাবে ওর নাম্বার লিখেও বার বার কেটে দিয়েছি, তার হিসেব নেই। কি মনে করে সেদিন ভোরবেলা ওর নাম্বার টিপেছিলাম, আজ আর মনে নেই। চমকে উঠে অনেকক্ষণ ফোনটা কানে ঠেসে ধরে রেখেছিলাম- এটুকু শুধু মনে আছে।
জীবনের মুখ!
তবুও খুব করে ঝরে গেলো এক চোট আজ সকাল বেলায়, আসলে অনেক ভেবে ভেবে আর কড়া যুক্তি খাড়া করে কাটিয়েই দিচ্ছিলাম বেশ দুপুর গুলো আর রাত্রিরা যদিও এখনও গোঁড়া কিছুটা তথাপি চাঁদের সাথে রোজ ঝগড়া করে তোমার উপর থেকে মনটাকে খানিকটা বিষিয়ে তুলতে পারি কখনও; কিন্তু এতো দিন পর আজ হঠাৎ কি হয়ে গেল...
গোপন ভালবাসা
গোপন ভালবাসা
সুমনা, একটি সিডির দোকানে কাজ করে। Sales-girl হিসেবে। একদিন মুনিম নামের একটি ছেলে সেই দোকানে সিডি কিনতে আসে। প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায় মেয়েটিকে তার। শুধুমাত্র মেয়েটিকে দেখার জন্যই সে সেই দোকানে সিডি কিনতে আসতো। বাসায় গিয়ে সিডি এর প্যাকেট খুলেও দেখত না।
........এভাবে কেটে গেল বহুদিন।
মুনিমের বাড়ি সিডি তে ভরে যাওয়া শর্তেও সে নিয়মিত দোকানে যেত এবং সুমনার কাছ থেকে নতুন সিডি নিয়ে আসতো...
একদিন দোকানে গিয়ে দেখল মেয়েটি নেই। দোকানের অন্য কর্মচারীর সাথে কথা বলে সে জানতে পারল মেয়েটি সড়ক র্দূঘটনায় মারা গিয়েছে। নিজেকে সামলাতে পারলোনা মুনিম। সে বাড়িতে গিয়ে একমাত্র স্মৃতি ,সিডির প্যাকেট গুলো বের করল। বের করে দেখল ,
মেয়েটি প্রতিদিন প্যাকেট এর ভিতর একটি করে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু মুনিম খুলেও দেখেনি ।
"তারা এদেশের সবুজ ধানের শীষে"
১
- কলেজে আমাকে নিয়ে একচোট হাসাহাসি হয়ে গেল । গাঁয়ের ছেলে আমি, লুঙি পড়েই স্কুলে যেতাম । গাঁয়ে পেন্টের চল হয়নি তখনো--আমার ছিলও না । সবার উৎসাহে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়েছি । ওখানে লুঙ্গি চলবেনা । সমস্যা হয়ে গেল ! তো অগতির গতি বড়বু’কে খবর দে’য়া হলো । দূলা ভাই জাহাজী । বাড়ী আসার সময় অনেক জামা-কাপড় নিয়ে আসতেন । ফিরে যাবার সময় ওগুলো আর নিয়ে যেতেন না, সিন্দুকে তোলা থাকতো । বুবু ওখান থেকে দু’জোড়া শার্ট-পেন্ট ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “ নে -- লম্বায়তো মা’শাল্লা তাল গাছ হয়ে গেছিস, কোমরে ঢিলে হতে পারে –বেল্ট কষে নিস’ । ‘কই পামুনে বেল্ট’! আমি নাকি স্বরে বললাম । বুবু একটু ভাবলেন, তারপর বললেন, ‘ ঈদের পা’জামা তোলা আছেনা তোর ? ওটার নেড় [ফিতা] বের করে নে । তার পর পরে দেখা, কেমুন লাগে দেখি’ ! অগত্যা কি আর করা!
ভুলে থাকা কালো বেড়ালের লোম কিংবা না পেয়েই হারাবার গল্প
"তার" একটা ভুলে থাকা কালো বেড়াল আছে। যার বসবাস তার মনের অনেক ভেতরের একটা রোদক্লান্ত ব্যালকনিতে। বেড়ালটা বারবার ভুলে যায়, "সে" যে তাকে ভুলে থাকতে চায়। তাই আড়মোড়া ভেঙে সে উঠে আসতে চায় রোদক্লান্ত ব্যালকনি থেকে। তার অস্থির ছটফটানিতে রোদের দেয়ালে কোনো ছায়া পড়ে না। শুধু বাঁকা হয়ে পড়ে থাকা দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে কিছু বেড়ালের লোম ভেসে যায় এদিক সেদিক।
আলফেসানীর হাত ফস্কে পড়ে গিয়েছে অনেকখানি রঙ মাখা সময়। এই হারিয়ে ফেলা সময় গুলোকে সে রাখতে চেয়েছিলো নিজস্ব বাগানের ঘাসপাখিলতাপশুফুলে। বোঝেনি, নিজস্ব যে বাগানের ছবি সে এঁকেছিল, সেই ছবিটাতে বাস্তবতার তুলির আঁচড় দেবার কথা যে শিল্পীর সে আর তুলি হাতে নিতে অনিচ্ছুক। অনেক আগে শিল্পীর তুলির রঙ কেড়ে নিয়েছিলো যে তরুণ, তার কাছেই বাঁধা আছে শিল্পীর রঙীন রেখা গুলোও।
এক সকালে..
-মুকু, এই মুকু..শুনে যা তো একটু..
বাসা থেকে বের হতে গিয়ে-ও দাড়িয়ে গেল মুকু, ভাইয়া ডাকছে ভেতরের ঘর থেকে।
ওর ভার্সিটি পড়ুয়া একমাত্র ভাই স্নিগ্ধ'র ঘরে ঢুকতে ঢুকতে ভ্রু কুঁচকে গেল মুকুর। ঘর অগোছালো রাখা মুকুর একদম সহ্য হয়না।
সকাল দশটা বাজে, এখনও বিছানাই ছাড়া হয়নি!
- কীরে, এক কাপ চা করে দে না..
- কলেজ যাচ্ছি তো ভাইয়া, এখন তো একদম সময় নেই।
তাড়াহুড়া করে বের হয়ে এলো মুকু।
ফার্স্ট পিরিয়ডে আজ ওর প্রিয় রাবেয়া মিস্ এর বাংলা ক্লাস।
এত্ত সুন্দর করে কবিতা গুলা পড়েন মিস্, প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করে!
বাসার গেইট টা খুলতেই - একটা লেজ ফোলা লাল সাদা বেড়াল হেটে যাচ্ছে, সাথে দু'টা পুচকি ছানা।
ইস্, কি সুন্দর দেখতে! সকাল সকাল এত্ত সুন্দর কিছু দেখলে কার না মন ভাল হয়ে যায়?!
কি ভেবে আবার বাসায় ঢুকল মুকু।
ধীরে সুস্থে এক কাপ চা বানিয়ে ঢুকল ভাইয়া'র ঘরে।
চক্র
#১#কোন এক দিন..
শুক্রবারের সকাল। সাইফ আর সায়েম দুই ভাই, আর কেউ নেই বাসায়। গরমের ছুটি চলছে। বাবা মা দুজনেই বেড়াতে গেছেন গ্রামের বাড়িতে, জমিজমার কি যেন একটা কাজে।
সাইফ ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে আছে এইবার, ছোট ভাই সায়েম ক্লাস সেভেনে।
সাইফের প্ল্যান ছিল আজ বারোটা পর্যন্ত ঘুমাবে, একে ছুটির দিন তার উপর বাসায় মা বাবার ডাকাডাকিও নাই। যাকে বলে, একেবারে সোনায় সোহাগা।
কিসের কি, ঘুম ভেঙে গেছে সেই ভোর ছয়টায়।
নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ছাঁদে হাটলো সাইফ, ভোর হতে দেখার মত সুন্দর দৃশ্য মনে হয় কম-ই আছে।
ছাঁদের ফুলগাছ গুলাতে পানি দিয়ে সায়েমকে ডেকে তুললো সাইফ। সায়েম প্রথমে স্কুলে দেরি হয়ে যাচ্ছে ভেবে ধড়ফড় করে উঠতে নিচ্ছিল,
দিনটা শুক্রবার মনে পড়ায় আরো ঘন্টাখানেক আড়মোড়া ভেঙে তারপর গিয়ে উঠেছে।
প্রবৃত্তি
.......রুমে ঢুকতেই ওদের দুজনের ঘনিষ্ঠতম অবস্থান দেখা গেল। ত আর ম। দুজনেই আমার চোখের সামনে। কিন্তু নিজেদের দিকে এত বেশী মনযোগী যে আমি একটা মানুষ পাত্তাই দিচ্ছে না। আমিও ব্যক্তিত্ব প্রচারে বিশ্বাসী না বলে চুপ করে থাকলাম। গলা খাকারি দিতেও ইচ্ছে করছে না পাছে রণে ভঙ্গ দেয়। আদতে সামান্য গলা খাকারিতে ভঙ্গ দিত কিনা সন্দেহ। নিজেদের নিয়ে এতটা মগ্ন।
আসলে সবাই নিজেদের প্রয়োজনেই মগ্ন থাকে। নিজেদের স্বার্থেই ডুবে থাকে। জগতের সকল প্রাণীর জন্য এই নিয়ম। এই নিয়মের ব্যতিক্রম কেউ হলে তাদের আমরা বিশেষায়িত করি। এই দুজন সেই কাতারে পড়ে না। এদের কান্ডকীর্তি মহান হবার প্রশ্নই ওঠে না।
দৃশ্যটাকে আমার কি ঘেন্না করা উচিত? মানবিক দৃষ্টিতে ঘেন্নাই সুলভ। কিন্তু পাশবিক দৃষ্টিতে ঠিক একই দৃশ্যটাকে বলা হয় প্রবৃত্তি।
একটি সুইসাইড নোট এবং কিছু অভিযোগ
প্রিয় শাদল,
কেমন আছো তুমি? কি করছো এখন? খুব ব্যস্ত হয়ে অফিসের কাজ করছো নাকি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছো? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। কয়েকদিন তোমাকে না দেখলেই আমার মধ্যে যে কী ভীষণ এক অস্থিরতা তৈরী হয় তা তো তুমি জানোনা। তোমার কাছে আমার দরকার ফুরিয়ে যেতে পারে, আমি একটা ঝামেলায় পরিণত হতে পারি কিন্তু আমার কাছে তুমি সবসময়ই দামী, অমূল্য। সারাদিন, রাত তোমার কথা ভেবে আমার আর কিছুই করা হয়ে উঠেনা। অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে শাদল, কি করি বলতো?
কথোপকথন
- তুমি আমার পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে আছো আমার চলার পথে। নদীর বুকে জেগে উঠা বালুচর কে বলে নদী ডেকে।
বালুচর নীরব থাকে ।
- আমাকে যেতে দাও মোহনায় । পদে পদে আটকে দিওনা আমায়। দেখো , সমুদ্র আমার অপেক্ষায় কেমন আছড়ে পড়ছে মোহনায় । আকুতি করে নদীর জল ।
দীর্ঘসময় নীরব থেকে বালুচর বলে উঠে -
- চেয়ে দেখ তোমার কষ্টের পলিমাটি ধারন করে করে আজ আমি বালুচর হয়েছি । আর আমাকেই আজ ভুলে যেতে চাইছো তুমি !!! তোমাকে তো আমি আটকে রাখিনি । আমাকে মুক্তি দাও , তুমি যাও তোমার ঠিকানায়। দেখ , আজ আমার বুকে জমেছে কষ্টের ঘাস, শরীরের বাসা বেঁধেছে অনিশ্চিয়তার সোনালী ডানার চিল । তবু নীরবে সব সয়ে যাই আমি ভালোবেসে ।
অভিমানী নদী একদিন তার চলার পথ বদলে ফেলে। বালুচরখানি কে পাশ কাটিয়ে ছুটে চলে আবার মোহনায় মিলবে বলে ।
ভয়ংকর ভূত পিচ্চি হান্নু (বাচ্চাদের পড়া নিষেধ)
যে মেয়েটার সাথে আমার প্রেম ছিলো তার সাথে সকাল-দুপুর-বিকাল-সন্ধ্যা-রাত-গভীর রাত ফোনে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করেছি আট বছর। পরিমিত ব্যয়ে গভীর রাতে যখন আমরা দু'জন অপ্রয়োজনীয় আলাপ করতাম তখন প্রায়ই মেয়েটা কথার মাঝে বলতো - ভয় করছে। নিঝুম রাতে বাসার সবাই ঘুমিয়ে, একা অন্ধকার রুমে মেয়েটার ভয় পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করতাম সে যেন আরো ভয় পায়, শেষে তার ভয় বাড়াবার জন্য তাকে ভূতের গল্প শোনাতাম। এমনই কপাল, আমার ভয়ংকর ভয়ংকর সব ভূতের শুনে সে মজা পেত। এমনকি মাঝে মাঝে ভয় না পেলেও দুষ্টুমি মাখা আদুরে গলায় বলতো - অনেক ভয় লাগছে, ভুতের গল্প শোনাও।
সে ছিলো আট বছর আগের কথা, এখন সে আমার সাথে একই রুমে থাকে তবুও প্রায়ই ভুতের গল্প শোনার বায়না করে, আমি ঠিক করেছি গল্পগুলো লিখে রাখবো এবং সে রাতদুপুরে ভুতের গল্প শোনার আব্দার করলে ব্লগ খুলে তাকে বসিয়ে দিবো।
এলোমেলো রক্তছোপ
ইদানিং এসফল্টের রাস্তায় ছোপছোপ রক্ত দেখতে পাই। কুয়াশা মাখা সোডিয়াম সোনালী আলোয় হাঁটতে হাঁটতে যতবারই এগিয়ে যাই, রক্তের ছোপ গুলো দূরে সরতে থাকে। আর সেখান থেকে জন্ম নেয় ঘিনঘিনে পোকারা।
কি খবর হে? দিনকাল কেমন যায়।
দরজায় কি কেউ কড়া নাড়ছে ?
কেউ একটা এসেছে নিশ্চয়, দরজায় কড়া নাড়ছে মৃদু শব্দে । জানলার জীর্ণ পর্দাটা হঠাত্ কেঁপে উঠে আবার থেমে গেল কি ভেবে , তা বুঝে ওঠার আগেই আবার শব্দ । মৃদু নয় , এবার তা সজোরে শোনালো । মৃন্ময় দ্বার খুলে দিতে যাবে ভাবছে , এমন সময় মনে পড়ল দরজাটা তো খোলাই পড়ে আছে । এখানেও কি চোর আছে নাকি ! তবে কে হতে পারে ? এই রাতদুপুরে ঘোর অন্ধকারপুরীতে কোন অমানুষের কাজ থাকতে পারে ? কিংবা কোন কামাতুর মোহিনীর ? যে রাতযাপন শেষ না হতেই ফিরে যাবে অন্য দরজায় ? কিন্তু শব্দ তো স্পষ্টই শোনা গেল । তবে কি কেউ এলো এই স্বেচ্ছা নির্বাসনে শরিক হতে ?