ইউজার লগইন
দিনলিপি
ওয়েব লগ
আমি কিছুকাল মনেহয় পাগল ছিলাম। বহুদিন পর নিজের পুরানা লেখা পড়তে গিয়ে মনে হলো। কোন কারণে কোন লেখাটা লিখছিলাম তার বেশিরভাগ মনে করতে পারলাম না। পঞ্চাশ বছর বয়সে ডিমেনশিয়া হইতেই পারে ভেবে নিজেরে সান্তনা দিতে চেষ্টা করি। খানিকক্ষণ পর বোধোদয় হয় আসলে জীবনের যেই অধ্যায়গুলো মনে করতে পারতেছিনা, সেইসব ইন্টেনশনালি ভুলে গেছি। ভুলে গেছি লিখে মনে হইলো, ভুলে আছি লিখতে পারলে ভালো হইতো। বয়স আর মগজের দোষ দিয়া যেনো ইচ্ছাশক্তিরে অবহেলা করতে চাইতেছি। ভুলে গেছি লিখলে নিজেরে বেশ পাওয়ারফুল মনে হয়। অন্যদিকে ভুলে আছি লিখলে কেমন পরাজিত পরাজিত লাগে।
দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ২
কাটছে সময় কি তার আপন গতিতে? কে জানে তা। আমার তো কখনো মনে হয় সময় যেন কাটছেই না, আবার কখনো মনে হয় এত দ্রুত সবকিছু ঘটছে যেন দেখা ছাড়া আমার দ্বারা আর কিছুই করা হচ্ছে না। তবে এটাও কিন্তু হতে পারে যে, সময় তার নিজের মতো করে সকলের জীবনে ভারসাম্যতা ঠিক করে দেয়। যে কারণে কখনো সেটিকে দ্রুতগতির মনে হয় আবার কখনো মনে হয় মন্থর। আসলে নিজের গতিতে সে আবহসঙ্গীতের মতো চলতেই থাকে পুরোটা সময়।
আজকাল একসঙ্গে নতুন বাসা খোঁজা এবং পুরোনো বাসা হাতবদলের কর্ম সম্পাদনে ব্যস্ত সময় কাটছে। তবে সে ব্যস্ততাটা যে আসলে কি, তা বলা বড় কঠিন। এই যেমন; পুরোনো বাসা কোন মেরামত ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবেই নতুন ভাড়াটিয়াকে বুঝিয়ে দেয়া যাবে কিনা, তা দেখতে আসবেন যিনি, তিনি যেন মুগ্ধ হন- সে চেষ্টা চললো তিনটি দিন। সেটা ছিল একটা ব্যস্ততা। কিন্তু আসলেই কি?
দিনলিপিতে দু'হাজার বাইশ - ১
ইয়েন্স গুটোভস্কি নামের এক ব্যাক্তিকে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখলাম "ভাঙ্গনজনিত কারণে নতুন বাসার প্রয়োজন পড়েছে" লিখে। কারও সন্ধানে ভাড়া পাওয়ার মতো বাসা থাকলে তাকে যেন জানানো হয়।
যে শহরে থাকি সে শহরের বাসিন্দাদের একটা "ফেসবুক পেইজ" রয়েছে। সেখানে বাসিন্দারা নিজেদের মজার ছবি, অভিজ্ঞতা, অভিযোগ ইত্যাদি যেমন প্রকাশ করেন, তেমন ঘরের পুরোনো আসবাবপত্র বিক্রি, ঘর ভাড়া দেয়া ইত্যাদির বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেন। আবার ইয়েন্সের মতো কেউ কেউ ঘর ভাড়া বা আসবাবপত্র ইত্যাদির খোঁজে থাকলে, তারাও সুবিধাটা ব্যাবহার করেন।
যাপিত দহনের গল্প
অসম্ভব কথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করা একটি জীবন কাটানো কতটা সহজ? সেই কবে কোন ছেলেবেলায় বইয়ে পড়েছিলাম ফরাসী বীর নেপোলিয়নের কথা। বলে কিনা অসম্ভব নাকি শুধু বোকাদের শব্দকোষেই পাওয়া যায়। আচ্ছা, যদি বুকের ভেতর কষ্ট হয় তবে কি সেটা বোধ না করে থাকা সম্ভব? কিংবা যদি মনের সায় না মেলে তো সে কাজ আনন্দ নিয়ে করা?
দিনলিপি -
অনেকদিন পরে আসলাম ... ......... নিজেকে প্রায়ই ভূলতে বসেছিলাম ।
সকালে উঠে নিজ দেহের মোটর গাড়িটা স্টার্ট দেই ... তারপর খানা-খন্দ , অলি-গলি পেরিয়ে .... অফিসের পথ ...... মাপা আবেগ --- দেড় ইঞ্চি মাপের হাসি প্রসারিত করে দেড় ফুটের হাসি হেসে ..... বসের মোটর গাড়িতে তেল প্রবাহিত করতে হয় .... ...... এরপর আবার ষ্টার্ট
.........
লোকেশন ---- বরাবরের জন্য রাসবিহারীর নৈবদ্য লাভের মতো .....
ধন্যবাদ ........ আমরাবন্ধু ............. আমাকে এখনো ভূলে যাওনি...............
তোমরা আসলেই আমার === তোমার ======= সকলের বন্ধু.....
এগিয়ে যাও .... শুভেচ্ছা রইল ।।
-----
তোমার মৃত পাণ্ডুর মুখ তাড়া করে ফিরবে তাই তাকাইনি ও চোখে
তুমি হীনতা তোমাকে আরো জিবন্ত করে করেছে
এই তুমি পায়ে পায়ে হেঁটে চলেছ, সাথে হাটাছে হতাশা, শুন্যতা আর নিঃসঙ্গত
হেঁটে চলে বেড়ানো, তুমি রান্না ঘর থেকে বেড রুম
বারান্দা বা ছাদ, ড্রয়িং রুম এ রিমোট হাতে
রাস্তায়, রিকশায়, মাছ বাজার থেকে কাচা বাজার (যাতে তোমার অবিশ্বাস্য অনিহা)
ঘুরে বেড়াও আমার সাথে। মাঝে মাঝে টিপ্পনী ও কাটো
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১০ (আগস্ট)
আঠারোই আগস্ট জানালেন প্রিমিয়ে মার্ক রুতে, দু সপ্তাহ আগের সাংবাদিক সম্মেলনের পর নেদারল্যান্ডসে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সংক্রমনের হার আর হাসপাতালে ভর্তির হার দুটোই বেড়ে গেছে। এখনই যদি সর্তক না হই আবার সংকটে পরতে দেরী হবে না। আমরা কিছুতেই অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয়বার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না। আজকে রাতেই আমাস্টার্ডামের মেয়র জনবহুল এলাকার জন্যে তাদের আলাদা নিয়ম নীতির ঘোষনা নিয়ে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে কোথাও কোথাও এলাকা ভিত্তিক নীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশ জুড়ে যে নিয়মগুলো বলবৎ থাকবে তা হলোঃ
তাই বুঝতে হবে তোকে শুধু সত্যি-মিথ্যে ঝোঁকে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করলো তখন প্রায় সব খেলাতেই অবধারিত ভাবে হারতো। আমি প্রায় কখনোই খেলা দেখতাম না, হারবে জানিই আর অনেক সময় খেলা শুরু না হতেই শেষ, সব আউট। দৈবাৎ কখনো জিতে যাচ্ছে ব্যাপার থাকলেই খেলা দেখতে বসতাম। ভাই, কাজিন, চাচা-মামা অন্যদের সাথে আমি-আমরাও গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতাম, ছক্কা, চার ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদেরও ফুলতো, লাফালাফি করতাম, বাংলাদেশ তো আমাদেরও, এটাই ভাবতাম। কিন্তু কখনো বিজয় মিছিল, রঙ খেলায় আমাদের-আমার অংশ গ্রহণ ছিলো না, আমাদের পরিধি ছিলো, খেলা শেষ হলে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে সেটা বাসার বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে দেখা, অন্যদিন বাসার বাইরে পা দেয়ার কোন পারমিশান থাকলেও সেসময় বিশেষ করে সব বন্ধ। পরদিন পেপারে দেখা যেতো বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাস গুলোতে মিছিল হয়েছে, টিএসসিতে রঙ খেলা হয়েছে এবং এই খবরের পাশে আলাদা বক্সে প্রায়শঃই দু’
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট)
নেদারল্যান্ডসের করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়াতে ছয়ই আগস্ট মার্ক রুতে টিভিতে এলেন নতুন করে আবার নিয়ম- নীতি নিয়ে কথা বলতে
বেসিক যে নিয়মগুলো দেয়া আছে সেগুলো পালনের কোন বিকল্প নেই। অনেক জায়গাতেই সেগুলো পালিত হচ্ছে না বলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিউজিয়াম, ট্যুরিস্টি প্লেস, রেস্টুরেন্ট আবারও বন্ধ হোক তা কেউই চায় না তাই সর্তক থাকার কোন বিকল্প নেই বলে আবারো সবাইকে জানালো হলো। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আপাতত এর কোন সমাধান কারো হাতে নেই।
দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষই টেস্ট করাচ্ছে না, সর্দি-কাশিতে বাড়ি থাকছে না, দেড় মিটারের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে না তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়ে চলছে।
বিপ্রতীপ
স্রোতের বিপরীতে স্রোত থাকে
নদীর বুকে ও নদী
গভীর যে সাগর তার ও থাকে
অদেখা সাগর বা স্রোতস্বিনী
থাকে দেনা পাওনা হিসাব
আর ভুল শুদ্ধ বিচার,
রাজনীতিতে ও থাকে সম্পর্ক
সকল পাপ, সকল ঘৃণা
জব্জল্যমান
অপ্রকাশিত থেকে যায়
মায়া, অনুভব, বিষণ্ণতা, বিপন্নতা
অপ্রকাশিত থেকে যায়
ভালবাসা, ভাললাগায় ভরা চাহনি
শব্দাভাবে
অপ্রকাশিত থেকে যায়
কিসের এতো মায়া,
এতো প্রেম,
এতো বিপন্নতা।
শিরোনামহীন দিনলিপি ১
প্রায় আট বছর পর আবার শিরোনামহীন দিনলিপি লিখতে বসলাম। কেমন আছেন সবাই? এই আট বছরে কত কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, মানসিকতা, লেখার অভ্যাস কত কিছু। ব্যস্ত সময়ে করনা এসে অলস বানাই দিল। একটা সময় বাংলা লেখা কত সহজে লিখতে পারতাম আর আজকে এতটুকু লিখতেই খেই হারায় ফেললাম। ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার না করে বাংলা লিখাটা অনেক কষ্টের হয়ে যাচ্ছে।
হয়ত এইটাই আবার শুরু .........
চলে এসো
বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া, চমকে উঠে অন্তরাত্মা, চমকে উঠা মেঘে। চারদিক ভেসে যায়, যত ধুলা। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা অহংকারী গাছেরা ভালবেসে অবনত হয়। ছুঁয়ে দিতে চায় মাটি। নিরাপদ বদ্ধ ঘরে জানালার কাচ ভেদ করে বৃষ্টির ঝাঁপটা চোখে লাগে না। তাও চোখ ভেসে যায়। বদ্ধ ঘরে তুমি ভিজে যাচ্ছ, একাকী । তোমার কি ভিজতে ভাল লাগছে? নাকি খুব অনিচ্ছায় নিজেকে ভাসিয়ে দিচ্ছ জলে। জলে ভিজে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে হচ্ছে না তোমার? দরজায় দাঁড়িয়ে গামছা হাতে আমরা। নাকি ছাতা পাথিয়ে দেব, ঐ যে বড় সাত রঙা ফ্যামিলি ছাতা কিনেছিলাম আমরা ওটা দিব পাঠিয়ে? অনেক দিন হয়ে গেল যোগাযোগ হীন। কেমন আছ? কি করছ? আমাদের মনে পড়ে? আসতে ইচ্ছে করে না? আনন্দি প্রতি রাতে তোমার কথা শুনতে চায়, তোমার গল্প শুনতে শুনতে ঘুমায়। এমন ঝড়ো রাতে বাইরে আছো একা, তাও আসছনা।
অন্য সব অসুখী শিরোনামদের মতো এটাকেও একটা যাচ্ছেতাই বানালাম
সকাল বেলায় ক্লাসটা করেই হাঁটা দিলাম সেন্ট জোসেফ হাসপাতালের পথে। গিয়ে দেখি সেখানেও স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ। মেইনগেইট বন্ধ করে দিয়ে লিখে রেখেছে, কলিংবেল চাপুন। কলিং বেলের লাউডস্পিকার থেকে কথা ভেসে এলো, আমি বললাম, আমার পায়ে সমস্যা, ডাক্তারের কাছে যেতে চাই। আমি কেন জানি হাসপাতালে গেলেই ওরা বলে হাউস ডাক্তারের কাছে যেতে। আমি বল্লাম, আমার হাউস ডাক্তার নাই, দয়া করে কোনো একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলতে দিন। মহিলা বললেন, বিকাল চারটায় ইমারজেন্সি গেটে আসবেন।
আমি বাসায় ফিরে কফি আর মিউজিক সহকারে আরও একটু লেখাপড়া, দুপুর বেলায় লাঞ্চ এবং আরও একটি অনলাইন লেকচার অ্যাটেন্ড করে বৈকাল বেলায় আবার সেই পথে। আমার মুখে মাস্ক নেই দেখে ইমারজেন্সি গেটের মহিলা শুরুতেই আমাকে একটা মাস্ক বাড়িয়ে দিয়ে আমার কানের ভিতর তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রটার সুচালো আগাটা ঢুকিয়ে দিলো।
নিজেদের
আমাদের অনাদায়ি কোন কথা নেই
আমাদের বলার মতো কথা ছিল না
কোন কথা দেয়া নেয়া হয়নি কখনও
কোন পথ ধরে হেঁটে যাবার স্বপ্ন তৈরি হয়নি
কারো কোন নির্দিষ্ট পথ ও ছিল না
তবু ও কিভাবে যেন এতোটা সময় এক ই পথে হেটেছি
পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি
একই সাথে হেঁটেছি, একই পথ ধরে
এই পথ আমাদের কারো ই ছিল না
কোথাও হোঁচট এর চিহ্ন নেই, নেই সঙ্কোচ
কোন বন্ধন নেই, দেখার এক ই রকম চোখ নেই
চরম অবিশ্বাস ও বিশ্বাস এর শক্ত ভিত গড়তে পারে
অভিমানী মন আমাদের, ভালবাসি বলে নি
নির্ভরতা আড়ালে তুচ্ছ সব
আমাদের গল্প গুলো
এমন সময়ে তোমার লিখা তো থাকত ই, প্রায় প্রতি দিন ই কিছু না কিছু লিখতে। আমরা আলোচনা করতাম। সরকার ভুল করছে টেস্ট না করে বা সঠিক পরিসংখ্যান না দিয়ে। এতে সরকার বিপদে পড়বে না পড়বে সাধারন মানুষ। তাঁরা অনির্দিষ্ট কাল ঘরে বসে থাকবে না, সরকারী নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলে ই মানুষ বের হয়ে যাবে। ঘরে রাখা যাবে না। যত নিয়ম কানুন ই শিখিয়ে দেন না কেন ২০-৩০% মানুষ এই নিয়ম মেনে চলবে না। যেহেতু তথ্য ই ভুল, মানুষ কনফিডেন্টলি বিপদে পড়বে। তুমি কিছু মেনে নিতে কিছু নতুন যোগ করতে। অনেক পরিসংখ্যান দিতে, যা আমি মনে রাখতে পারি না। আমরা শুধু ই কথা বলতাম। কিন্তু তুমি লিখতে। প্রতিটা লাইন কে আরও অনেক তথ্য সমৃধ্য করে কয়েক পাতা লিখে ফেলতে। এখন সাধারন অসুখ এ ও চিকিৎসা নেয়া যাবে না। এই কথা গুলো বলার মানুষ টা ও নাই। কথা গুলো মাথায় বন্দী হয়ে একটা চাল তৈরি করছে। গলার কাছে এসে আটকে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে গলায় কিছু লেগে আছে। বেশি আটকানো ভাব হ