ইউজার লগইন
দেশচিন্তা
ফারাবী বিষয়ক জটিলতা এবং বাংলাদেশ
ফেসবুকে কাজী রায়হান রাহীর সাথে বিখ্যাত ফারাবী শফিউর রহমানের একখন্ড কথোপকথন থেকে মনে হলো, কাজী রায়হান রাহী যেসব প্রশ্ন করেছেন, সবই যুক্তিসংগত এবং এটাকেই বলে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা। তার উল্টো হলেই সেটা হবে অন্ধত্ব, গোঁড়ামী, অজ্ঞতাকে ঢেকে দেয়া। আর কতদিন এভাবে ধর্মকে প্রশ্ন না করে আন-চ্যালেজ্ঞ যেতে দেবেন? যুগ যত আগাবে সত্য-মিথ্যার প্রশ্নতে প্রতিটা ধর্মই কষ্টিপাথরে বাছাই করার প্রয়োজন হয়ে পড়বে। আসলে কোনটা সত্য ধর্ম, তা মানুষকেই বুঝে নিতে হবে সত্যানুসন্ধানীর মত। ইসলাম যদি সত্য ধর্ম হয়, তবে আপনাদের মানুষের সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। শুধু নবীজির স্ত্রীদের সম্পর্কে অশ্লীল কথা বলা হচ্ছে বলে আপনাদের এমন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে ও তার বহুল প্রচার করতে ব্যর্থ হবেন।
জাতীয় পতাকার অবমাননা
আমি যদি ভুল বলি তাই প্রথমে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।কারন এটা জাতীয় ইস্যু। গতকাল জাতিয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও টিভির সামনে দাঁড়িয়ে সমস্ত সহকর্মীদের নিয়ে গলা ছেড়ে গাইলাম প্রানের চেয়ে প্রিয় জাতীয় সঙ্গীত।
ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান: প্রতিরোধ এখনই
আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া-৩
এগার.
বইমেলা লেখক-পাঠকের মেলা। বইয়ের পাতায় চোখ বুলাতে বুলাতেও লেখকের সাথে পাঠকের একটা সংযোগ স্থাপিত হয়। এ সংযোগটাও দুর্বল নয়; বরং খুবই শক্তিশালী। এতটা শক্তিশালী যে, কখনো কখনো একটি মাত্র লেখা বা বই-ই পাঠকের মনে চিরস্থায়ী আসন করে দেয় লেখকের জন্য। এ ধরনের সংযোগ, চিরস্থায়ী আসন কোন কোন পাঠকের মনে নতুন আকাঙ্খাও তৈরি করে¬। সে আকাঙ্খা, ভাললাগা থেকে পাঠক তার প্রিয় লেখককে কাছ থেকে দেখতেও চায়, কথা বলতে চায়, এমনকি প্রিয় লেখকের অটোগ্রাফ সংগ্রহও কারো কারো জন্য প্রিয় হয়ে উঠে। বইয়ের লেখা ও রেখায় চোখের পাতা ফেলতে ফেলতে পাঠক-লেখকের যে অদৃশ্য সেতুবন্ধন তৈরি হয়, তাকে দৃশ্যমান করে তোলার একটি বড় মওকা হচ্ছে এ বইমেলা। কিন্তু আসলেই কি বইমেলা এখন লেখক-পাঠকের মধ্যে কথিত দৃশ্যমান কোন সম্পর্ক তৈরি করে বা করতে সক্ষম? পাঠক কি সত্যিসত্যি তার ভাললাগা-মন্দলাগা সম্পর্কিত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে? যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া লেখকের জন্যও পরবর্তী লেখার নির্দেশনা না হোক, অন্তত কার্যকর রসদ হতে পারে, অনুপ্রেরণা হতে পারে? এ রকম কোন প্লাটফরম আয়োজক কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত দিতে সফল হয়েছে-এটা বোধহয় বলা যাবে না।
আর কি চাই
কখনও ফুটপাতে, কখনও ওভার ব্রিজের সিড়ির মুখে ক্রেচের উপর ভর দিয়ে এক পায়ে দাড়িয়ে, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সাংবৎসর ভোরে সূর্য উঠার পর থেকে অর্ধ রাতের কিছু আগ অবধি চলে, হাত পেত্, পথ চলা মানুষের কাছ থেকে সৃষ্টি কর্তার দেয়া জীবনটাকে বয়ে বেড়ানোর জন্য জ্বালানী স্ংগ্রহের কাজ। শুধু সে কেন আরও কত রকমের বিকলাংগ প্রতিবন্ধী তার পেশার স্বজাতিকে দেখি, কিন্তু আমার কেন যে তার কথাই, এলোমেলো চুলের ভাংগা চোড়া খুপড়িটাতে বার বার উকি ঝুকি মেরে আঘাত করে। ফেব্রুয়ারী আসে ফেব্রুয়ারী যায় আমার তেমন অনুভূতি হ্য় না।বড় বড় অফিস গুলোয় সাড়া বছর চলে ইংরেজীর ভাষায় ব্যবসা বানিজ্যের লেনদেন, কি দেশীয় কি বৈদেশিক,ব্যক্তিগত মনের ভাব আদান প্রদানের কাজ। যারা যত বড় অফিসার, যে অফিস যত বড় সেখানে তার চর্চা প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনেও চলে,নইলে যেন মর্যদার একটু বরখেলাপ হয় আর কি!
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া-২
নয়. বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীজীবন সমাপ্তির পর প্রতিদিনের বইমেলায় কারণে-আকারণে ঘুরঘুর করে ক্লান্ত হয়ে পড়ার ব্যক্তিগত রেওয়াজটা একেবারেই পাল্টেগেছে। সে অনেকদিন আগে। বইমেলায় এ অনিয়মিত উপস্থিতির অন্যতম কারণ কর্মকাবিননামার দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান কঠিন শাসন। তার সাথে অতিনগরায়নের ফল-ট্রাফিকজ্যামবন্দী এ নাগরিক শহর। এ নগরজীবনে বিকেল পাঁচটা নাগাদ চুক্তিভিত্তিক শ্রমঢেলে, গুলশান থেকে বাংলা একাডেমি চত্বর কিংবা এবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান-এ পৌছানো, তাও আবার মেলার সরকারি বাতি বন্ধকরে দেয়ার শেষসীমা- রাত আটটা-সাড়ে আটটার আগেই, মোটাদাগে অসম্ভব। অতএব শুক্র-শনি- এ দু’দিনই ভরসা। কিন্তু মাঝেমাঝে সে সম্ভাবনাও বেহাত হয়ে যায় দুর্লঙ্ঘনীয় সংসারী-জীবনের দাপুটে কর্তব্যে। ব্যতিক্রম ছিল গতবছর। সংসারকাবিন আর কর্মকাবিন, কোনটাই আটকাতে পারে নি। বরং সংসার জীবনের নিত্যপ্রতিপক্ষ-কন্যা-স্ত্রী মিলে ঘুরঘুর করেছি। প্রায় প্রতিদিন। তবে বইমেলায় নয়; শাহবাগ-এ। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-সহপাঠি মিলে এক নতুন বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণ করেছি। আর সেকারণে গত বছর, মেলার খুব কাছে থেকেও মেলায় যাওয়া হয়নি বললেই চলে।
বইমেলা ২০১৪: টুকটাক অভিজ্ঞতার খসড়া
এক.
উত্তরসূরী
চাপাতলায় ফুলের গন্ধ নেই-
ওখানে আজ শুধুই বুকের আর্তনাদ।
আর্তনাদ! তোমাদের তাতে কি?
তোমরা অধিকারের কথা বলছ?
অধিকার তো হয় কেবল মানুষের।
ওরা কি মানুষ?
ওখানে তো সংখ্যালঘু নামের
কিছু আজব জীবের বাস !
কি দরকার ওদের কথা ভেবে?
ওদের জ্বলে যাওয়া ঘরের আগুনে
কারো উল্লাস হলে তোমাদের কি আসে যায়?
জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও-
জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাক সব,
হিংসার আগুনে, লোভের দাবানলে
রচিত হোক নতুন সম্প্রীতির ইতিহাস।
ত্রিশ লক্ষের উত্তরসূরীরা
আজ আবার নতুন করে জেনে যাক-
একাত্তর এমনই ছিল!
"নিওলিবারাল পুঁজিবাদ"-এর অলীক ভূত এবং বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা
একটা কথা ক'দিন ধরে মাথার মধ্যে ঘুরছে। '৭৫-এর ১৫ আগষ্ট এবং ৪ নভেম্বরের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একপক্ষের ফাঁকা মাঠে গোল দেবার চমৎকার অবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিলো। এবং এই সুযোগটা ক্ষমতালিপ্সু জেনারেল জিয়া ঠিকই একতরফা কব্জা করে নিয়েছেন। এই ধুরুন্ধর লোভী জেনারেল প্রো-পাকিস্তানী দাওয়াই অব্যর্থভাবে ব্যবহার করেছেন।
উনি জানতেন প্রো-পাকিস্তানী আবহ তৈরি করতে হলে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার শাহ আজিজুর রহমান, আব্দুল আলীম এদেরকে তার মন্ত্রীসভায় স্থান দিতে হবে। সে সাথে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে বৈধতা দিয়ে জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগকে রাজনীতি করার পুরো সুযোগ দিতে হবে। আর অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তাকে তখন বাংলাদেশে মার্কিন-পাকিস্তানী অক্ষ শক্তির বিজয় রথকে এগিয়ে নেয়ার মিশনে নামতে হয়েছিল। বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে দুর্বল করে ফেলার পরিকল্পনায় এগুচ্ছিলেন রীতিমত। যে কারণে চীনাপন্থী বাম-রা এসে পড়ে তার দলে, মন্ত্রীতে। এসব কাজই তিনি করছিলেন একতরফাভাবে, রাজনীতিশূন্যতায়, আওয়ামীলীগের বিপন্ন অস্তিত্বের সুযোগে।
অরাজনৈতিক স্ট্যাটাস - দুই
আওয়ামীলীগ সাংবিধানিক শূন্যতার অজুহাতে হোক, অথবা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখার অজুহাতেই হোক ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
আর বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগণতান্ত্রিক নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে এবং নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।
অতএব বাংলাদেশের বড় দুই জোটই গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে কি সিকিমের মত বাংলাদেশকে পুরোপরি ভারতের হাতে তুলে দেবো? ওটা তো বিশাল জনসংখ্যার কারণে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ।।
[বি: দ্র: আমার গত পোষ্টটা মুছে দেবার কোন কারণ ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাজ থেকে পাওয়া গেল না। পোষ্টটা সরানোর পর অন্ততঃ কারণ জানানোর প্রয়োজন মনে করছি। অথচ অন্য এক ব্লগে এই পোস্টটাতে ৯ জনের মন্তব্য পেয়েছি, যাতে পোস্টটাতে কোন সমস্যা আছে বলে কেউ বলেন নি। "আমরা বন্ধু"-র কর্তৃপক্ষের আচরণে মর্মাহত।]
৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর
আমার মনে হয়, ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনটা একটা দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। '৯০-এর পর এই পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে ('৯৬-এর তামাশার নির্বাচন ছাড়া) তাতে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিই তাদের পরাজয়ের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও যদি সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতো, তবে আওয়ামীলীগ হয়তো পরাজিত হতো। কিন্তু তার পরে ঘটনা কী হতো। ১৮ দলীয় জোট নির্বাচিত হলে, বিএনপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী জামায়াতের কারণে পাকিস্তান ইন্টিলিজেন্স আইএসআই-র নির্দেশে যুদ্ধাপরাধীদের 'শূয়রের খোয়াড়' থেকে মুক্ত করে দেবেন বেগম খালেদা জিয়া । (আইএসআই-এর তৎকালীন প্রধান সেদেশের সুপ্রীম কোর্টে বলেছেন, ১৯৯১-এর নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়ার বিএনপি-কে এক কোটি টাকার উপর দিয়েছে।)
নতুন বাংলাদেশ
পৃথিবী আজ জেনে যাও
আমরা প্রতিদিন রচনা করছি
সভ্যতার নতুন ইতিহাস
আমরা প্রতিদিন শিখছি
শান্তির নতুন মন্ত্র!
আগুনে ভস্মীভূত মুখগুলো
আজ আর আমাদের ব্যথিত করেনা,
সন্তানের জন্য মায়ের আকূল আর্তি
আজ আর আমদের মনে দাগ কাটে না,
স্বামীর জন্য স্ত্রীর প্রতীক্ষাও তাই,
এমনকি, ঝলসে যাওয়া মুখগুলো দেখে
কেমন নির্বিকার হয়ে যাই!
আমরা শিখে গিয়েছি
কেমন করে ব্যথা ভুলতে হয়,
আমরা শিখে গিয়েছি
কি করে নীরব থাকতে হয়,
আমরা শিখে গিয়েছি
কি করে প্রতিদিন মৃত্যুর
নতুন ইতিহাস গড়তে হয়!
আমরা জয় করেছি ভয়,
জেনে গিয়েছি কি করে
আতঙ্ক নিয়ে পথে নামতে হয়,
আমাদের মহান নেতারা
আমাদের শিখিয়েছেন
কি করে সভ্য হতে হয়।
আমরা প্রতিদিন গড়ছি
সভ্যতার নতুন ইতিহাস!
আমরা প্রতিদিন গড়ছি
শান্তির নতুন বাংলাদেশ।।
অরাজনৈতিক স্ট্যাটাস - এক
ফরহাদ মজহারের পক্ষের ছাগু, তথাকথিত বাম দলের ভেতরের ছাগু, বিএনপি-র ছুপা ছাগু, আর জামায়াত-শিবিরী ছাগু তো আছেই - এরা সবাই এখন তাদের রাজনৈতিক দর্শনে হাহাকার, হতাশায় ভুগছেন। #যুদ্ধাপরাধী কসাই মোল্লার ফাঁসিতে তাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভয়ানক এক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন ভয়াবহ রকম মানসিক বৈকল্য দেখা দেবে, তা আগে বোধ হয় ধারণা করা যায় নি। কেননা, তারা হলেন সর্বজানা এবং রাজনৈতিক সবকিছুতেই আগে থেকে নিশ্চিত ভবিষ্যত গণন করা গোষ্ঠী।
তবে তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, #যুদ্ধাপরাধীদের রায় সবে কার্যকর শুরু হয়েছে। আমি আশাবাদী আরো রায় কার্যকর হবে। এবং শেষমেশ যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতও প্রকৃত অর্থে, নিষিদ্ধ হবে। সেই সাথে আপনাদের রাজনৈতিক দর্শন চিন্তায় ধ্বস নামা শুরু হবে, প্রচন্ড হোঁচট খাবেন আপনারা। কারণ, বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে সরকার এবং বিরোধীদল উভয়কেই হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি বিশ্বস্ত, দেশ মাতার প্রতি অনুগত। এর অন্যথা হবার সম্ভাবনা একাত্তরের শহীদানরা রেখে যান নি।
নপূংসক দেশ
আমি ক্ষুব্ধ, ভীষণ ক্ষুব্ধ !
মনে হচ্ছে বাংলাদেশ নপুংশক হয়ে গেছে !
কাপুরুষ হয়ে গেছে সবাই !
স্বদেশ,স্বজাতির প্রতি কারো দায় নাই,
কর্তব্য নাই ।
বিশ্বাস ঘাতক হয়ে গেছে পুরো জাতি ?
একজন সৎ মানুষও অবশিষ্ট নাই আর ?
সবাই জাহান্নামে চলে গেছে?
দেশটাকেই নরক বানিয়ে রেখে ?
কোথায় রফিক আজাদ আজ?
'ভাত দে হারামজাদা' বলে
জনককেও চ্যালেন্জ ছুড়েছিলেন যিনি !
কিংবা নেয়ামত হোসেন ?
" রক্ত দিয়ে কিনলাম শালার এমন স্বাধীনতা "
লিখে আলোড়ণ তুলেছিল যার কলম !
দেশতো আজ সে দিনের অজাচার থেকেও
লক্ষ গুণ কদাচারের করাল গ্রাসে !
রাহু-কেতু গিলে খাচ্ছে সব ।
মানুষের রক্তে ভেসে যাচ্ছে দেশ,
ঘৃণার আগুনে পুড়েৃ যাচ্ছে জননী ।
কেউ জাগবেনা তবু ?
নপুংশক রয়ে যাবে ?
স্বেচ্ছায় নামবেনা কেউ ওরা
চূড়া থেকে । কেউ নামেনা ।
জনক নামেনি, ঘোষক স্বৈরাচার কেউনা ।
ওদের নামাতে হয় , প্রয়োজনে ঘাড় ধরে ।
আমি ক্ষুব্ধ, ভীষণ ক্ষুব্ধ !
ক্ষুব্ধ চিত্তে কামনা করছি..
কেউ একজন আসুক ....
দুই হন্তারককে হটিয়ে দিক !
সাপ্তাহিক হতাশা
শ্লার লাইফ! শ্লার চাকরী!!! ইটস সাক্স!!!
সারাটা সপ্তাহ অপেক্ষা করি এই একটা শুক্রবারের জন্য। সারাটা সপ্তাহ এই ফাত্রা রাজনীতির ফাপরে পইরা জীবন হাতে নিয়া অফিস করলাম। শুক্রবারে একজনের সাথে দেখা হবে এই আশায়।
ছয়টা দিন গোলাপি বেগমের পেইন সহ্য করলাম। আর যেই না তার পেইন শেষ হইলো অমনি শুরু হইলো তথাকথিত কর্পোরেট এর পেইন।
হঠাৎ করে তাদের শুক্রবারে খোলা রাখার সাধ জাগলো!!! যদি শুক্রবারে খোলাই রাখবি রে হাউয়ার পুত, তাইলে গত ছয়দিন এত্তো পেইন দিয়া অফিস করাইলি ক্যারে???
শালা ফাউলের গুষ্টি, গাছেরটাও খাইবো আবার তলারটাও কুড়াইবো। আর তাদের এই চিপায় পইরা আমাগো জীবন নষ্ট।
ভালোবাসার মানুষটাকে সারা সপ্তাহ জুড়ে আশায় রেখেছিলাম যে শুক্রবারে তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো। আজ এটা শোনার পরে সে বললো, থাক ব্যাপার না। সবসময় যে প্ল্যান সাক্সেসফুল হবে তা তো নয়!!!!
শুনে ভালো লাগলেও, ঠিকই বুঝতে পেরেছি যে সে কষ্ট পেয়েছে। এই কষ্ট অপ্রাপ্তির কষ্ট। আর তার অপ্রাপ্তি আমায় অসহায় করে দেয়।