ইউজার লগইন
বিবিধ
ঘরের ভেতরে নিরাপদে আছে তো আমার কন্যা শিশুটি
অনেকদিন পর একটা ছবি দেখলাম।হিন্দি ছবি। ‘হাইওয়ে’।পুরো ছবিটা দেখে কিছুক্ষণ আমি বুদ হয়ে ছিলাম।আর ছবির বিষয়টা আমার মাথায় কুট কুট করে যন্ত্রণা দিচ্ছিল বেশ কয়েকদিন। ছবির নায়িকা আলিয়া ভাট অভিনয়ও করেছে দুর্দান্ত।নিজের ঘরের ভেতর বাবার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হাতে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল মেয়েটা। একদিন নিজের মাকে বিষয়টা জানানোর পর মা বলেছিল, চুপ, চুপ কাউকে কিছু বলো না।মেয়েটার বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়।কষ্ট হয়। কিডন্যাপাররা যখন মেয়েটাকে কিডন্যাপ করে কিছুদিন পর ছেড়ে দিতে চায় , মেয়েটা যেতে চায় না। কিডন্যাপারকে বলে, যে জীবনটা সে ফেলে এসেছে সে জীবনে সে আর কখনো ফিরে যেতে চায় না। মহাবীর নামক সেই কিডন্যাপারকে তার অনেক বেশি বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য মনে হয়েছে যে, যখন তার প্রভাবশালী বাবা তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করে সে ফিরে যেতে চায় না নিজের বাবা- মায়ের কাছে। কারণ তাদের কাছে তাদের সোশ্যাল স্ট্যাটাস তাদের ক
তসলিমা নাসরিনের মেয়েলীপনা
আমাদের দেশের সংস্কারপন্থী মানুষেরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অন্য মেয়েদের বিশেষ করে তাদের তুলনায় আপাত আধুনিক বা অগ্রসর মেয়েদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। কেমন করে কাপড় পরে, ওড়না কেন গলায় দেয় বুকে না, চুল কেন রঙ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিংবা কারো ডিভোর্স হয়ে গেলে কেন মেয়েটি তারপরও হাসিখুশী থাকে, সাজগোঁজ করে অফিসে যায় সবই তাদের আলোচনার কিংবা সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাদের জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, কোন মেয়ে যখন একটা আনওয়ান্টেড রিলেশানশীপ থেকে মুক্তি পায় তখন তার কী আনন্দ হওয়া অস্বাভাবিক?
"সংবাদ উপস্থাপনা কৌশল"
বর্তমানে 'সংবাদ উপস্থাপনা' বিষয়টির পরিসর বেড়েছে বহুগুনে, সেই সাথে এর আকর্ষনীয়তাও। একসময় বলা হতো, খবর পাঠক তোতাপাখির ন্যায় কেবল সুনির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট পড়ে যান। এখন আর একথা বলার জো নেই। খবর পড়ে যাওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই আজকের সংবাদ পাঠকের দায়িত্ব। খবর তৈরীর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে হয় তাদের, যাতে করে স্বতস্ফুর্তভাবে খবরের তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। তাই বর্তমানে কেবল সংবাদ পাঠক নন, তারা একেকজন সংবাদ উপস্থাপক বলা যায়।
কোমল অনুভূতিসম্পন্ন মানুষদের সমীপে দুটি কথা
বাংলাদেশের মানুষ কোমল অনুভূতিসম্পন্ন। ধর্ম নিয়ে একটি কথাও তারা সইতে পারে না। তাদের অনুভূতি বিপন্ন হয়ে পরে। যারা তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানবে তাদের যেকোন ধরনের শাস্তি যথার্থ। রাস্তায় কুপিয়ে কুপিয়ে তারা বিশ্বজিৎ হত্যা দেখতে পারে, মোবাইলে ভিডিও করতে পারে, চোর সন্দেহে বিপুল বিক্রমে পিটিয়ে পিটিয়ে যেকোন মানুষকে রাস্তায় সাপ মারার মতো করে মেরে তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করতে পারে, তাতেও কোথাও কারো কোন অনুভূতি বিপন্ন হয় না। শুধু প্লীজ ধর্মে হাত দিও না, নট টু টাচ ......... একজন মানুষও কী দ্বিধাহীন কন্ঠে বলতে পারে না, “আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেকোন মানুষের এ ধরনের মৃত্যু কোন সভ্য দেশের ভূখন্ডে কাম্য নয়। আমরা এই অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাই।“ তারা কী তাহলে সৃষ্টিকর্তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, পরকালের শাস্তি নিয়ে কী নিজেরাই দ্বিধায় আছে?
ভাবনা আমার.. [হাবিজাবি!]
# # #
আজকাল মাঝে মাঝেই একটা জিনিস দেখে বেশ অবাক লাগে। ফ্যাশন হবে হয়তো কোন, অনেকেই দেখি এফবি তে 'ধর্ম' দিয়ে রাখে 'হিউম্যানিটি' অথবা 'মানবতা'।
আমি বুঝি না অনেক কিছুই। তবুও এটুকু অন্তত জানি, দুনিয়াতে কোন ধর্মই কাউকে অন্য কারো কোন প্রকার ক্ষতি করার অধিকার দেয় না, বরং বিপদে যে কারো পাশে দাড়াতেই উত্সাহ দেয়।
যারা যারা এফবি-তে 'মানবতা' ধর্মের অনুসারী তাদের কাছে কেবল জানতে ইচ্ছে করে, তারা কি একবারও দ্বিধাহীন চিত্বে বলতে পারবে যে তাদের ধর্ম মানবতা পরিপন্থী? তাদের একবারও কি মনে হয় না, এই কাজটা হয়তো তার নিজের ধর্মকেই ছোট করে দেখাচ্ছে?
হয়তো, ক্রমাধুনিক জীবনধারায় নিজের ধর্মকে ছোট করে দেখানোটাই যুগের দাবি। নিজ ধর্ম কে সম্মান করে যে যার মতন নিজেদের নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি 'মানবতা'র ডাকে সাড়া দিয়ে সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে পথ চলাটা হয়তো 'চলে না'।
রোবট নাকি মানুষ... কি আমি?
আমি হয়তো মানুষ নই মানুষগুলো অন্যরকম!!!!
মানুষগুলোর আবেগ থাকে। তারা কষ্টপেলে কাঁদে, আনন্দে হাসে। শেষ কবে প্রাণ খুলে হেসেছি মনে নেই। চিৎকার করে কেঁদেছি সেটাও মনে নেই। আবেগ আমাকে খুব বেশি স্পর্শ করেনা, অনেকটা রোবোটিক।
আর যদি করে তবে লুকিয়ে চলি আমার আব্বার মতো... আমার আব্বা ছিলেন আবেগ লুকানোতে এক্সপার্ট... অথবা আমি ছিলাম বুদ্ধিহীন যে বুঝতেই পারতো না...
আমার এখনো মনে আছে, এইতো সেদিন যখন আব্বা অসুস্থ। তখন আমি চাকরী করি। প্রতিমাসে বাসায় কিছু টাকা পাঠাতাম। আর যখন ফোন করে বলতাম টাকা পাঠানোর কথা তখন তিনি খুবই চিন্তিত হয়ে পরতেন। বলতেন কতো আর কামাই করো? বাসায় কি টাকার দরকার? তোমার কষ্ট হবেনা তো?
অমলিন.. [ খুচরো পঙক্তিমালা! ]
# # #
আলো আধারির সুরে গানে,
কান্না হাসির পথচলা -
হঠাৎ হাওয়ার গায়;
কফির ধোঁয়ার ডাক
ছুঁয়ে যাক আর নাই থাক -
আনমনা একটুকু চাহনিতে,
বিষাদলোকের দিন;
অমলিন..
# # #
বাতাসে -
পাতার
আওয়াজে
দিন,
মেঘছোয়া
নীরবতায়;
অমলিন..
# # #
গানবন্দী,
স্বপনছোঁয়া;
বিষাদলোকের দিন -
প্রখর
রৌদ্র কিরনেও
অমলিন..
# # #
আউলা বাতাসে,
এলোমেলো;
যথাযত যথা তথা
কত কথা কথকতা -
নিয়ন ছোঁয়া
অন্ধকারেও,
এদিক সেদিক;
খামখেয়ালি
আলোর পরশ
উদাস করা -
অযথাই,
রাত্রিদিন;
অমলিন..
# # #
আজ মন খারাপ,
খুব মন খারাপের দিন।
রোদ্দুর হোক,
বৃষ্টি ঝরুক -
বিষাদলোকের ছায়া?
অমলিন..
# # #
রোদ্দুরেও,
মেঘলা মন;
বৃষ্টিভেঁজে
সমুদ্দুর -
ভালোবাসা; বহূদুর..
আঁধারেও,
চোখের তারায়;
সুপ্রিয় স্মৃতিছোঁয়া
সূর্যের দিন -
অমলিন..
শীত আসে বাবার গন্ধ নিয়ে
শীতকাল মানেই দেশে অন্যরকম একটা উৎসব উৎসব ভাব।
দেরি করে সকাল হয়, সূর্যের তাপ তখন আর খরখরে দজ্জাল রমণী নয় বরং মিষ্টি লাজুক কিশোরী। গায়ে এলিয়ে পড়লে কী ভালোটাই না লাগে! বিকেলে আকাশটা লাল হতে না-হতেই টুপ করে সন্ধ্যায় মিলিয়ে যাবে। সকালে ভাপ-ওঠা ভাপাপিঠে কিংবা চিতই, পুলি নইলে ছিটারুটি, মানে ঘুরেফিরে এমন কিছু যা সচরাচর হয় না। খেজুরের রস আর গুড়তো আছেই।
দিন শেষে আমি ইকারাস
ইকারাসের গল্পটা খুব সাধারণ।
সে আর তার বাবা ডেডেলাস একটা গোলোকধাঁধাঁ
থেকে পালাতে চেয়েছিলো। ডেডেলাসই তৈরি
করেছিলেন সেই মেইজ। পালাবার একমাত্র উপায়
বিশাল আকাশ। মোম গলিয়ে তাতে পালক জোড়া
দিয়ে দুই জোড়া পাখা বানিয়েছিলেন। এক জোড়া
তাঁর নিজের জন্য। আরেকটা ইকারাসের।
ওড়ার আগে ডেডেলাস বারবার ইকারাসকে
সাবধান করে দিয়েছিলেন " বাবা উড়বি, কিন্তু
সুর্যের কাছে যাবি না। মোম গলে যাবে।"
প্রথমে তাতে সায় দিলেও,নভশ্চারী ইকারাসের
শিঘ্রই তা বিস্মৃত হয়। এবং আনন্দে আত্মহারা সে
"আরো উঁচুতে যাবো। আমি স্বর্গ ছোঁব" এমন
কল্পনায় নতুন উদ্দ্যমে উড়তে থাকে। নিচে তার
বাবা চিৎকার করে বলেন " বাবা, আর উপরে যাস
নে, আর উঁচুতে উঠিস নে, মারা যাবি!"
কে শোনে কার কথা। যৌবনমদে মাতাল ইকারাস
আরো আরো আরো আকাশে যায়।
সুয্যিমামা তার বেজায় ইগো আর প্রানশক্তি
দেখে হিংসাই করে বসে বোধ হয়। সুর্য কী আর
পুনশ্চ অথবা শেষের পর..
প্রিয়তমেষু,
অনেক দিন পর আজ আবার তোমায় লিখতে বসলাম। জানি, কিছুই কিছু নয় এখন আর। তবুও, মাঝে মাঝেই খুব ইচ্ছে করে জানতে। ভালো আছো তো? অথবা, এমনিই জিগেস করার, কি করো?
উত্তরটা অবশ্য না বলে দিলেও টের পাওয়া যেত কোন কোন দিন, ভাবছো আমায়।
এখানে বেশ ঠান্ডা পড়েছে এবার, তোমার ওখানে কেমন জানা হয় না এখন আর। অজানায়, শীত জমা থেকে যায় বুকের ভেতর - বছর জুড়ে ঝরা পাতার সুরে।
তুমি কতটা জানো আমি ঠিক জানি না, আমি নিজেও হয়তো এতটা করে জানতাম না যে, নীল আমার এতটাই প্রিয় - সবকিছুতেই। তোমায় না হারিয়ে পেলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না নীলে বাঁচা, অসময়ে ঠিকই হারিয়ে যেতাম লাল থেকে কালোয়।
ভুল আমারই ছিল, না বলা কথাতেই ভালোবাসা খুঁজে নিয়েছিলাম। কল্পলোকের আকাশ জুড়ে ছিল এই ছোট্ট একটা জীবন একসাথে বুড়ো হবার স্বপ্ন।
অভিশপ্ত
আমায় কবর দিয়ে দিতে পারো চাইলে। চিতায় ওঠালেও
রাগ করবো না। অথবা ঢাকা মেডিকেলে পাঠয়ে দাও।
শিক্ষানুবিসরা দেখুক, কাটুক
এক পরাজিতা মৃতদেহ।
আমার শ্বাস চলছে এটা দেখে যেন
না ভাবে আমি বেঁচে।
আহা! ওটা বিভ্রম।
ইশ্বর এমন মায়াজাল খুব ভালোবাসেন। আজ তাই খুব কুয়াশা।
ওখানে যদি হারানো যেতো কিছু সময়ের জন্য!
তাহলে,হয়তো বাঁচতে পারতাম
আসলে
ভেঙে না পরতে পারাটা একটা অভিশাপ।
আর
অভিশপ্ত আমি
ধুমপানের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হয়? আর?
এটি মৃত্যুর কারণ?
বাহ! বেশ তো প্যারাডক্সখানা!
রাবণের চিতাবেশে তোমাদের প্রমাদপ্রমাণ
সন্দেহেও যে শ্বাসপ্রশ্বাসের ভবলীলা সাঙ্গ হওয়ার
উপক্রম! কী মুশকিল! সতর্কীকরণ প্রয়োজন
ছিলো যে!
বারংবার আমাকে অভিযুক্ত যে করো তারপর মৃত্যদন্ড দাও
সেখানা কে দেখলো! তার জন্য সাবধানতাজনিত
বানী কই গো?
নিজেকে বরাবরি সক্রেটিস মনে করি।
scattered thoughts of another chaotic mind slash heart!
#
happiness is the biggest grin that emerges instantly -
just getting one glance of a best friend!
#
happiness is being found by someone
you have been searching for a thousand years!!
#
you'll never know what you might've missed,
when and if you give up trying..
#
as we grow up,
often we learn to use various kinds of masks
along the way - maybe,
that's called 'maturity' nowadays..
#
feel the rain, and wind in your face -
it's no use looking for light, in darkness tonight..
listen; smell, inhale -
it's been enough, give up; give in -
i'm your rain man.
#
happiness needs no reason..
#
funny - how one can get old; to almost anyone, with time..
that too -
given even such lovely time, almost; all the time..
maybe,
সৌরভের জন্য ভালবাসা
এই অবেলায় ফোটা কাশফুল নিয়তির
মতো
যেন আহত কোন যোদ্ধার
বুকে বেঁচে থাকা এক মেঘফুল.........।'
রোদ্দুর,
একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই
বহূদুর
বুকের ভেতর ডানা ঝাপটায় পাখি,
বেপরোয়া ভাংচুর।'
- কি রে জংগল। কত দিন ধইরা শেভ করিস না?এই কি হাল!চুল কাটিস না কেন?
- মহাপুরুষ এমনি হয়!আমি আবার মহাপুরুষ হব! "ঈশ্বর না থাকলে তাকে বানানো হত,কিন্তু প্রকৃতি বলেছে ঈশ্বর আছে"। বলতো এটা কার উক্তি??
- ধুর!পারলাম না!বাদ দে তো এইসব উচ্চলেভেলের কথা!!তোর হাতে কিসের বই রে??
-একটা "দা গডস দেমসেলভ" আর একটা " উইনিংস অফ ফায়ার"।
-ঢাকা আসলি কবে?এডমিট হবি কোথায়?সব এক্সম তো শেষ।
-পৃথিবীর পাঠশালায়!যেখানে আমি শিক্ষক আবার আমিই ছাত্র!একটা সিগারেট খাওয়াবি?টাকা পয়সার সংকট। দুই দিন ধরে হলিউড খাইতেছি।গোল্ডলিফ খাওয়ার টাকা নাই।
বিয়ে, ত্বরা ও একটি অসুখ
বর পক্ষ ও কনে পক্ষের পূর্ণ সমর্থনে, হিন্দু ধর্মানুযায়ী পাটি-পত্রের মাধ্যমে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিলো জানুয়ারী মাসের ১১ তারিখ এবং ধার্যের তারিখ ছিলো ৬ নভেম্বর। প্রস্তুতি সেভাবেই চলছিলো। ধীর-স্থির ভাবে। হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে এখনো। এভাবেই চলছিলো। তারপর হঠাতই একদিন বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করে জানুয়ারীর পরিবর্তে করা হয় ডিসেম্বরে। ত্বরা লেগে যায় চারিদিকে। বিয়ে হঠাতই অতি সন্নিকটে। বিয়ের প্রয়োজনীয় সবকিছু যোগারে এখন সবাই ভীষণ ব্যস্ত।
এই ফাকে পাঠকদের জানানো প্রয়োজন বোধ করছি যে ডিসেম্বরের ১ তারিখে কনের পিতা হঠাত অসুস্থ হোয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক জানান যে তার lungs cancer, আরো জানান যে তার সর্বোচ্চ আয়ু ১ মাস। এতক্ষণে পাঠকরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন হঠাতই এত তাড়া কেনো! বলে রাখা প্রয়োজন যে আমি যখন এই অনুগল্পটি লিখছি তখন বর্ষপঞ্জিতে ৩ ডিসেম্বর ২০১৪।
'সহজ কথা যায় না লেখা সহজে..' [আবোল তাবোল - ১৭]
কেমন আছো?
- এইতো, মোটামুটি। অথবা, ভালো নেই।
ভালো আছি, সে মিথ্যে হলেও মানুষ সহজেই মেনে নেয়।
অথচ, ভালো নেই বললেই অন্যদের ভালো থাকাতেও সমস্যা দেখা দেয়।
ভালো লাগে না।
লেখো না কেন?
- মন ভালো নাই, মন ভালো থাকে না।
মাঝে মাঝে ভুলে ভালো হয়ে গেলেও,
নিজের মাঝেই ভুল বোঝাবুঝিতে তা ভুলে যেতে সময় লাগে না।
অথবা, ভালো থাকার মত তেমন কিছু হয় না আর।
হলেও, তা শুরু হতে হতেই শেষ।
দিনকাল বড্ড বেশি স্লো হয়ে গেছে আজকাল। বলতে গেলে থেমেই আছে সে-ই কবে থেকে, মনে নেই। রিস্টার্ট দেওয়ার চেষ্টায় আছি অনেকদিন ধরেই, হচ্ছে না কিছুতেই।
ছুটি দরকার একটা, নিজের কাছ থেকেই – অথবা, এই বৃত্তবন্দি সময় থেকে। তাও হচ্ছে না। যার কাজ নেই, তার হাতের কাজ কখনই শেষ হয় না।
নিজের মত করে থাকতে পারাটাও ভালো থাকা। তাও হয় না সবসময়।
অসময়ে কথা শোনানোর সুযোগ হাতছাড়া করার ভুল করে না বলতে গেলে কেউই।