ইউজার লগইন
বিবিধ
একদিন মুখোমুখি হব অতল অন্ধকারের
বেশ ছোট ছিলাম - বোঝার গন্ডি ছিল নিতান্তই সীমিত (এখনো যে খুব স্ফীত হয়েছে তা নয়) - এমনিতে চুপচাপই ছিলাম - কিন্তু মাথায় পোকা ঢুকলেই আশেপাশের মানুষকে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতাম - কেউ বিব্রত হতেন - কেউ বিস্মিত - কেউ বিরক্ত আর কারো কারো চোখে যেন শঙ্কার ছায়াও দেখতাম - একজন বালক যে অন্যদের জন্য কত বিরক্তিকর হতে পারে আমি বোধহয় ছিলাম তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ - আমার অধিকাংশ প্রশ্ন ছিল ধর্মকেন্দ্রিক - ওই বয়সে ধর্ম নিয়ে গভীর কোনো উপলব্ধি বা কৌতুহল থাকার কথা না - আমারও ছিল না - কিন্তু ধর্ম নিয়ে আমার কিছু জিজ্ঞাস্য ঐসময়ে ছিল - এখনো আছে - আর আমৃত্যু থাকবে.
অনিমেষ রহমানের নাগরিক গল্পঃ ১৩-থমকে যাওয়া শহর
ঝির ঝিরে বৃষ্টির মাঝে বেরিয়ে পড়ে অরুপ। ছাতা হাতে নিয়ে বের হওয়ার মতো বিরক্তিকর কাজ আর দুনিয়াতে দ্বিতীয়টা নেই। মানুষের হাত থাকবে খালি। সে হাত উড়বে বাতাসের সাথে। হাত স্বাধীন তো দুনিয়া স্বাধীন! আর আজকে পরাধীন হাত নিয়ে বের হলো অরুপ। মোড়ের টং দোকানে হালকা বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে দিনের প্রথম চা। না ছাতা মেলতেই হলো। বৃষ্টি আরো ঘন হয়ে নামছে। কিন্তু আজব ব্যাপার হলো সুর্যের আলো আছে। ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো অরুপের। এমন রোদ বৃষ্টির খেলা শুরু হলেই চিতকারঃ রোদ হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে খেঁকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে। খেঁকশিয়ালের বিয়ের মাঝেই অরুপ নেমে পড়লো রাস্তায়।আজকে অফিস নেই কিন্তু অনেক কাজ। সেলফোন নড়ে চড়ে উঠলোঃ
-মামা আমি মতিঝিলে; তুমি থেকো কলেজের কাছেই।
-কিসে আসতেছিস? বাস না সি এন জি?
-না মামা বাস! অনেক আওয়াজে হারিয়ে যায় অন্তুর শব্দ।
এই ক্লান্ত কাঁধে একবার রাখুক বাবা ভরসার ওই হাত
প্রিয় রাজশাহী থেকে অনেক দুরে আছি - দুরে আছি কলমুখর রাজধানী থেকেও - এ এক অন্য ভুবন - পূণ্যভূমি সিলেট - এখানেই পড়ে আছি - অনেকটা যেন নির্বাসনে - আধুনিক স্থাপত্যের একটা ডুপ্লেক্স বাড়ি - আপাতত এটাই আমার আশ্রয়স্থল - এ বাসার সবকিছুই সুন্দর - খুব বেশী সুন্দর আর নিঁখুত - তবু মন বসে না - দামী ফার্নিচারের ভীড়ে মাঝে মাঝে নিজেকেও প্রাণহীন কাঠামো মনে হয় - আমি একতলা দোতলা করি - অস্থির পদচারণ - এই পুরো দালানে একমাত্র জীবিত প্রাণী আমি - বিদ্যুত এখানে নিরবিচ্ছিন্ন - কক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত - আমার মত ছাপোষা মধ্যবিত্তের জন্য এই বিলাসিতা বাড়াবাড়ি রকমের - এত আরাম আমার সয় না - এই বাসার ছাদটাকে কিন্তু বড় আপন মনে হয় - বৃক্ষলতা ছাওয়া ছাদ - এখান থেকে বহুদূর চোখ যায় - এই বাসায় এটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় স্থান - অশরীরী আঁধারের কোলে এই আমার নির্জনবাস - যদিও আমি একা - তবু যেন কেউ আছে - রাতের কাঙ্ক্ষিত অতিথিরা - যে রাতগুলোয় অনিদ্রার রাজত্ব - আমি ছুটে যাই ওই ছাদে - রাত আমাকে কত কিছুই না দেখায় - কত অদ্ভুত সব দৃশ্য - যে না দেখেছে সে বুঝবে না - একপর্যায়ে চাঁদ স্ফীত হয় - তারপর আবার শুরু হয় সংকোচনের খেলা - অবিন্যস্ত মেঘেরা
৫ ব্যাগ A+ রক্ত প্রয়োজন (অন্তত একদিন বাঁচিয়ে রাখি তাকে)
আমার বন্ধু, কাছের দূরের, পরিচিত, অপরিচিত সবাইকে বলছি, রাজশাহী কলেজের ২১ বছর বয়েসী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমত আরা সরকার (ডাকনাম রিংকী)-এর ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ায় তাকে রোজ ৫ ব্যাগ A+রক্ত দিতে হচ্ছে। ঢাকার গ্রীণ ভিউ ক্লিনিকে ৩০৭ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। (হাসপাতালের ঠিকানাঃ ২৫/৩ গ্রীণরোড, ঢাকা)।
আজকের (১৫ই জুন,২০১২) ৫ ব্যাগ রক্ত যোগাড় করা গেছে। আগামীকাল কি হবে জানি না। আপনাদের পরিচিত কারো বা আপনার রক্তের গ্রুপ A+ হলে রক্ত দিয়ে আসুন উপরে লেখা ঠিকানায়। অর্থ দিয়ে এগিয়ে আসতে চাইলে, উপরে লেখা ঠিকানায় সরাসরি গিয়ে মেয়ের ভাই বা মায়ের হাতে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। (সংগত কারণে বাবার হাতে টাকা দিতে নিষেধ করা হচ্ছে) অথবা ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা পাঠাতে পারেন। Account name: Md. Helauzzaman Sarkar , Account number 135.101.15313
অথবা ০১৮৩৯৪৯১৪৫৩ নম্বরে অন্তত ১০ টাকা ফেক্সিলোড করে দিতে পারেন।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী কাজ হচ্ছে রক্ত দেওয়ার মানুষ খুজে বের করা।
প্রকাশিত হলো বর্ষার ই-বুক বৃষ্টির দিনে
প্রকাশিত হলো প্রতীতি প্রকাশনীর তৃতীয় ই-বুক ‘বৃষ্টির দিনে।
প্রতীতি প্রথম দু’টি ই-বুক ছিল চলচ্চিত্র বিষয়ক। এবারে ই-বুকটি করা হলো বর্ষা নিয়ে। খুব বেশি কিছু বলে পাঠকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাবো না। সংক্ষেপে যা বলার তাই বলে সম্পাদকীয়টা সংক্ষেপেই শেষ করবো।
ই-বুকের পাতার অঙ্গসজ্জায় গতানুগতিক ডিজাইনের বাইরে এসে কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছি আমরা। সাধারণ নিয়ম-কাঠামোর বাইরে এ ধরণের এক্সিপেরেন্ট করার ইচ্ছেটা অনেকদিন ধরেই মনের মধ্য ছিল। কিন্তু চেনা পথের বাইরে পা বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে কিছুটা সঙ্কোচবোধ কাজ করছিল। বর্ষার সাথে ভাসিয়ে দেওয়ার কেমন জানি একটা সম্বন্ধ আছে। বর্ষার ই-বুক করতে গিয়ে মনে হলো সঙ্কোচবোধটাকে ভাসিয়ে দেওয়ার মতো এরকম উপযুক্ত উপলক্ষ আর হয় না।
আমার প্রয়াত বন্ধু - লেলিন.
মানুষটা রোনালদো বা মেসি নয় - কিন্তু তাদের চেয়ে কোনো অংশে সে কম ও নয়- প্রথমোক্ত দুজন খ্যাতির সুযোগ আর প্রেক্ষাপট হিসেবে পুরো পৃথিবীটাকে পেয়েছে - আর তৃতীয়জন পেয়েছে ক্ষুদ্র একটি দেশের স্থানীয় কিছু মাঠ - তবু আমাদের সাদা চোখে - হৃদয়ের বন্ধুর প্রজেকশন স্ক্রিনে ওই তৃতীয় মানুষটি ও বিশেষ কেউ - আমাদের প্রিয় মুখ লেলিন - আমাদের ম্যারাডোনা .
লেলিনের পায়ের জাদু - ফুটবল মাঠে বহুবার দেখেছি - মুগ্ধ হয়েছি - কিন্তু সত্যিকার অর্থেই জানি - এটা তার মূল পরিচয় নয়.
আজ একটি শবযাত্রা চলেছে - কফিনে আবদ্ধ এক যুবার প্রাণহীন দেহ মাটির অতলে আশ্রয় নিতে ব্যাকুল - এই যাত্রায় আমি নেই - থাকতে চাই ও না - এই যুবাকে আমি চিনি না - এই যুবা আমার বন্ধু লেলিন নয়.
লেলিন তো অন্য কেউ - সেতো 'দুষ্টুর শিরোমনি' - এক মুহূর্ত যে থিতু নয় - এই প্রাণহীন অলস দেহখানি বন্ধু লেলিনের নয়. তার ছিল সিংহের হৃদয় - ছিল জীবনকে চেটেপুটে উপভোগ করার সীমাহীন বাসনা - ছিল প্রশস্ত বুক - শত আঘাতেও ছিল অবিচল - এই দুর্বল দেহখানি তার নয়. আমাদের লেলিন তো ছিল বন্ধু অন্তপ্রাণ - কিন্তু আজ শত আহবানেও সে যে দেয় না সাড়া - কি করে বিশ্বাস করি এই আমাদের লেলিন ?
বিশ্বাস কোথায় - কারো দিকেই কী পিঠ দেয়া যাবে না ?
বিশ্বাসের জায়গাটা বড় স্পর্শকাতর - ঐখানে ধাক্কা (আদতে ছোঁয়া ) লাগলে সব কিছুই যেন কেমন হয়ে যায় - নয় মাসের যাত্রা - মমতার একটা আশ্রয়স্থল ভ্রুণ কে জানিয়ে দেয় - তুমি নিরাপদ - ভ্রুণ তা বিশ্বাস করে - গল্পের শুরু ওখানেই - বিশ্বাসের একমাত্র সফল অক্ষুন্ন অবস্থান ও বোধকরি ওখানেই - তারপর থেকেই শুধু অতিশায়ন - প্রিয় স্কুল টিচারের ব্যক্তিত্ব আর আদর্শ আপনাকে তুলে দেবে বিশ্বাসের অতুল উচ্চতায় - তারপর যেদিন বাত্যয় দ...েখবেন - চোখে জল বাঁধ মানবে না - প্রিয়তম বন্ধুর প্রতিশ্রুতি - তোর জন্য জীবন দেব দোস্ত - তারপর একদিন - এ কী - বন্ধুর হাতে সুচাগ্র ছুরি তোমার রক্তপানে ব্যাকুল - কাকে যেন ভালোবাসলেন - ভাবলেন - জীবন অমৃত - তারপর দেখবেন- সবই বাণিজ্য - প্রতিশ্রুত সঙ্গিনী দক্ষতায় পেশাদার আততায়ীর চেয়ে কম নয়- রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় - তবু দলিলের কালো হরফ সেই রক্তের উপর জয়ী - মালিক - বিশ্বাস কোথায় - কারো দিকেই কী পিঠ দেয়া যাবে না ?
আমাদের হতাশ করবেন না
বেশ কিছুদিন যাবত একটা ব্যাপার খুব মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিছুতেই বের করতে পারছিনা আর তা হলো, এই যে গত নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম এভাবে রায় দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসালো একটি যুগপোযোগী নির্বাচনী ইশতিহারের পুরষ্কার স্বরূপ, সেই আওয়ামীলীগ সরকার এই নতুন প্রজন্মকে শেষ পর্যন্ত হতাশ করবে না তো?
১
গত নির্বাচনে আমি দেশেই ছিলাম। নির্বাচনের পরপরই দেশ ছেড়েছি। ১/১১ এর পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টুকুতে বেশ শান্তিতে ছিল সাধারণ জনগন। এখানে সাধারণ জনগন বলতে বুঝিয়েছি আমাদের মত মধ্যবিত্তশ্রেণীর কথা। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বেশীরভাগ সময় শান্তিতেই থাকেন। কোন সরকারী অফিসে ঘুষ লাগতো না, থানায় যেয়ে কোন ব্যাপারে অভিযোগ করলে চমৎকার ব্যবহার পাওয়া যেত। তবে সেক্ষেত্রেও একটা ব্যাপার ছিল, যাদের কোন নিকট আত্মীয় অথবা পরিবারের কেউ সেনাবাহিনীতে ছিল তাদের জন্য ছিল সেটা স্বর্ণযুগ। যাই হোক আজ সেই কথা বলবো না।
প্রত্যাবর্তন ও বিবিধ কথা
এলেম শেষে অনেক দিনের পরে । বন্ধুরা সব বন্ধু আছে ,
আমরা ও তো আমরা আছি । আমরা বন্ধু তেমনই আছি ,
যেমন ছিলেম আগে ।
(এক বা দুজন অনলাইনে ,
ডজনখানেক ভুলকি মারে
তারপরে কে ল্যাজ গুটিয়ে
ভোঁ দৌড় দিয়ে ভাগে ।
হায়রে কপাল আমরা আছি
যেমন ছিলেম আগে । ।)
আবোল তাবোল - ১১
মন ভাল নেই, মন ভাল হয় না।
আমি নিজেই কবে কোথায় যেন বলেছিলাম, এই মুহূর্তে ঠিক এমনটাই মনে হচ্ছে।
রাতের শেষে দিন আসে এটাই স্বাভাবিক,
কিন্তু খুব ভাল কোন দিনের শেষে যখন রাতটা একটু বেশি অন্ধকার হয়ে নেমে আসে তখন খুব খারাপ লাগে।
মনে হয়, এ আঁধার কিছুতেই ফিকে হয়ে আসার নয়। খুব অসহায় লাগে।
আমি খুব দুষ্টু প্রকৃতির একটা ছেলে। ছোটবেলা থেকেই অভ্রাস, আশেপাশের মানুষজন কে না জ্বালালে আমার সময়ই কাটেনা!
স্কুল আর কলেজ বেলায় সমস্যা হয়নি কোন,
নানাবাসায় জ্বালানোর জন্য মানুষের অভাব ছিল না কখনো।
প্রাণের শহর ব্রাক্ষণবাড়িয়া ছেড়ে ঢাকা আসলাম আট এর শুরুতে।এতদিন কোনই সমস্যা হয়নি।
আব্বু আম্মু আর ভাইয়া তো আছেই, সাথে আরো থাকেন ছোটমামা আর নানু।
আর যেখানে আছি সেই একই বিল্ডিং এর আমাদের নিচের তালায় থাকে মেঝ খালারা। বড় দুই ভাই চাকরী করে। তার ছোট জন দুষ্টামিতে আমার নমস্য, সারাদিন ওর সাথেই চলি বলা চলে। আর একটা ছোট বোন, তা সেও আমার যন্ত্রনার হাত থেকে রেহাই পায় না কখনো। ছোটবোন তো কি হইছে, আমাদের কাজিনদের মাঝে তো সবার বড় বোণ; সবার আপুমনি।
[৪] শিরোনামহীন
একটুকরো অন্ধকারের অপেক্ষায় কেটে যায় হাজার দুপুর
দু'হাতের রেখায় জমা হতে থাকে শৈত্যপ্রবাহের ছাপ
মুখের বলিরেখায় অবিরাম কথা বলে ওঠে লু'হাওয়ারা।
সময় পার হয়ে গেলে,
ওড়ার অপেক্ষায় থাকা জোড়া শালিক;
চলে যায় নিজ নিজ পথে।
বিদায়?
বুঝে নেই পড়ে থাকা পালকের গানে,
ভেসে যাওয়া মেঘেদের রঙে।
আমার স্ত্রীর মৃত্যুর কোল থেকে ফিরে আসা”-প্রথম মা/বাবা হবার অনুভূতি
সকাল থেকে আকাশটা কেমন জানি মেঘলা, মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে, শরীরটাও খুব একটা ভাল লাগছে না, কেমন জানি মেজমেজ করছে, একটা আলসেমো ভাব। 19 ফেব্রুয়ারী, 2008ইং আমার স্ত্রী সকাল থেকে পেইন অনুভূব করছিলেন। বিষয়টি অবশ্য সে আমাকে জানিয়েছিল, কিন্তু খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি, ভেবেছিলাম হয়তবা গ্যাসটিকের পেইন-টেইন হবে। এই ভেবে চলে আসি অফিসে, অফিস শেষ করে বাসায় ফেরার পর সে আমাকে বিষয়টি আবারও অবগত করে, তখন কথাটি আর ফেলে দেওয়ার মত উপক্রম ছিল না। অনেক সিদ্ধান্তের পর তাকে প্রথমে নিয়ে যাই আজিমপুর মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিকে, ওখানে সবোর্চ্চ 30 মিনিট চেকআপের পর ডিউটিরত ডাক্তার জানালেন ও কিছু না, ঠিক হয়ে যাবে।অতঃপর সেখান থেকে বের হয়ে আসি বাসার উদ্দেশ্যে, ফেরার পথে ব্যাক সাইডে আবারও জোড়ালো পেইন শুরু হল। তখন কোন উপায়ন্তর না দেখে সিএনজি ড্রাইভারকে নিয়ে মগবাজার আদদীন হাসপাতালে চলে আসি। আদদীন হাসপাতালের ডাক্তা
আমি নাহয় রাবণই হব
তোমরা নাহয় রাম হও
কিংবা অচিন রাজপুত্র
অর্ধ রাজ্য - পূর্ণ কন্যা - বলিহারি রাজত্ব
আমি নাহয় রাবণই হব
দশ মাথার অসুর সম
সীতা তোমার ঘরেই থাকুক
পারলে নিও (বি) ভীষণ টাকেও
ও দেবতা ভালই আছ
তুন ভরে তীর সাজছ আরো
তীরের মাথায় আমায় রেখো
এবার মাথা ছেড়ে দিও
বুকের বাঁয়ে - অচিন তলে
এবার সেথায় আঘাত কর.
এবার ঘুমাতে দাও
এবার ঘুমাতে দাও
অনেক প্রহর জাগা ক্লান্ত দুটো চোখ
এবার বুজিয়ে দাও
আঁধার ঘরেই রেখো আমায় - ক্ষতি কি ?
শুধু ভেজা মাটির প্রলেপ দিও
সবুজ ঘাসের আচ্ছাদনে আমার বেদনা দিও ঢেকে
খুব যদি কষ্ট না হয়
মাথার কাছে রোপে দিও অবুঝ বাতাবি চারা
আর কি চাইব
একটা এপিটাফ - জীবন বাবুর অবাক কাব্য লিখা
তোমরাই বলো
খুব কি বেশি চাওয়া আমার
খুব কি বেশি চাওয়া ?
অন্তর্দহন বা অশ্রুবর্ষণ
জেগে ওঠে পুরানো মোচড়
হৃতপিন্ডে অনাগত ।
বিদগ্ধ দিন শেষে বেড়ে ওঠে
হৃদয়ের আদিম ক্ষত ।
অন্তর্দহনে ছাই গহীনের
বিমূর্ত নন্দনকানন ।
অলখে আঠারো বর্ষার পদচারণ ,
অতঃপর অশ্রুবর্ষণ ।
(c) by Ekanto Ovajon