ইউজার লগইন
বিবিধ
'গুরু' তোমাকে সালাম
সন ১৯৭৪ - যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ - বিধ্বস্ত অর্থনীতি - অত্যাসন্ন দুর্ভিক্ষের আহাজারি চারদিকে - রাজধানী ঢাকাও এর ব্যতিক্রম নয় - এরকম সময়ে - বিষন্ন এক সন্ধ্যা - কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তির পাশ দিয়ে হাঁটছেন দীর্ঘদেহী একজন মানুষ - লম্বা পাঞ্জাবি - কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল - কিছুটা যেন অন্যমনস্ক - তারপর কেন যেন থমকে গেলেন তিনি - তীব্র কান্নার শব্দ ভেসে আসছে বস্তির কোনও ঘর থেকে - একটু এগিয়ে যেতেই দেখলেন - এক মা তার শিশুর মাথা কোলে নিয়ে কাঁদছেন - সেটা ছিল ক্ষুধা আর দারিদ্রের বিরুদ্ধে এক মায়ের ব্যর্থ করুণ আহাজারি - সাদা পাঞ্জাবির আড়ালে লুকানো একটি হৃদয় সেদিনকার সেই আহাজারি ভুলতে পারেনি - সেই সন্ধ্যায় জন্ম হয়েছিল একটি বিখ্যাত গানের (রেললাইনের ওই বস্তিতে - জন্মেছিল একটি ছেলে) - জন্ম হয়েছিল একজন শিল্পীর - আমি আসলে খুব কম বললাম - ওই সন্ধ্যা ছিল বাংলা গানের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের জন
বাবা, শুনতে পাচ্ছ কি তুমি আমার কথা ?
দাদীর কবরের পাশে দাড়িয়ে ছিলাম - বাবা শিখিয়ে দিচ্ছিলেন কিভাবে জিয়ারত করতে হয় - আমার ভুলগুলো শুধরে দিচ্ছিলেন - আমি শিখলাম - তারপর বেশিদিনের কথা নয় - একদিন দেখলাম - আমি একা দাড়িয়ে আছি - আর আমার সামনে একটার পরিবর্তে দুটো কবর - দাদীর পাশে তুমিও ঠাই নিয়েছ -আমার এখনো ভুল হয়ে যায় - বাবা - তোমার মত করে পারি না - তুমি আমাকে নিয়ে গোরস্থানে যেতে - সবার কবর চিনিয়ে দিতে আর আমাকে অভয় দিয়ে বলতে - 'আদনান- ভয় পাস না - এখানে সবাইকে আসতে হবে - ওই দেখ তোর টুকু চাচার কবর - চাচার জন্য দোয়া করিস - ওই তোর মিঠু ভাইয়ের কবর - আর এখানে শুয়ে আছেন ওই যে তোর দাড়িওয়ালা চাচা-তোর মনে নাই-তোকে খুব আদর করতেন- সবার জন্য দোয়া করিস '- আমি সবার জন্যই দোয়া করি বাবা - সবার জন্য করি - খালি তোমার জন্য যখন হাত তুলি - সব এলোমেলো হয়ে যায় বাবা - আমি গুছিয়ে কিছুই বলতে পারি না - চোখ খালি ঝাপসা হয়ে যায় - আমি হৃদয়হীন মানুষ - কিন্তু তোমার চলে
নিরক্ষর বন্ধু আমার
মৃত্যু-কত রাত তোমাকে নেমন্তন্ন করলাম
খোলা দরজায় স্বাগত সাইনবোর্ড টানালাম
কত ভোরে - সাদা মাদুর পেতে তোমায় ডাকলাম
কত সূর্যালোকে-ঝুঁকিবহুল কত রাজপথে
কখনো হেঁটে - কখনো বা দ্রুতগামী বাহনের 'পরে
নিয়ত তোমাকে ভাবলাম
কিন্তু কই -তুমি তো এলে না বন্ধু
এত যে ভালবাসি-বোঝো না তুমি
৫ বাই ৩ জায়নামাজের সিজদায়
মোনাজাতে রত হাতের রেখায়
সদাই যে লিখলাম চিঠি
কিছুই কি পেলে না তুমি?
নাকি বন্ধু-নিরক্ষর তুমি
আমার প্রণয় কাব্য পড়তে অপারগ
নাকি কুঞ্চিত ভুরু-বিব্রত বিধাতার
তুমি সলজ্জ বাহক?
কুন্ঠা কেন বন্ধু এত
দেখো-এই বাড়ালাম হাত
বিশ্বাস কর-তোমার চোখে যত বিভীষিকা
তার চেয়ে কালো আমার এই রাত.
যে গল্পের শেষ নেই
বাল্যকালের ভাবনা ছিল সৈনিক হব-সে ভাবনা স্থায়ী হয়নি-জীবনানন্দের কবিতা যেদিন প্রথম হাতে পেয়েছিলাম-মনে হলো কবিদের চেয়ে বড় কে আছে-তারপর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় নামের এক গল্পকার জানিয়ে দিলেন আমায়-লেখকরাই শ্রেষ্ঠ-তারপর আবারও স্বপ্ন বদল-মঞ্চে এলেন হেমন্ত নামের গানের পাখি-আমার মনোজগত হলো এলোমেলো-ঈশ্বর কে দুষলাম-আমাকে কর্কশ কন্ঠ কেন দিলেন তিনি-মাঝে একবার রাজনীতিবিদ হবার দুরভিসন্ধি ও হয়েছিল-সে গল্প অন্য একদিন-তারপর ঘটল দুর্ঘটনা-প্রেমে পড়ে গেলাম আর বুঝলাম প্রেমিকের মাঝে বিরাজে ঈশ্বর-অত:পর থার্ড ডিগ্রী অগ্নি দহন-স্বপ্ন উধাও-প্রেমিকা গেলেন সুখ বাসরে-প্রেমিক রইলো চিতার 'পরে-তারপরে ও কিন্তু গল্প শেষ হয় না-সেসব কথা অন্য একদিন হবে -আজকের পাগলামির কোটা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে আমার ধারণা.
কথা
আমার মৃত্যু চাই আমি
কোন নির্জন বনভূমিতে,
অসীম নীরবতার মাঝে
কিছু না বুঝে চমকে ওঠা
সবুজ ঘাসের মেঝেতে ।
কেউ জানবেনা, কাউকে সইতে হবে না
এ ঝঞ্ঝাট!!
আমি একাই বইবো আমার মৃত্যুভার ।
আমার অবমুক্ত আত্মা
হয়তো মুখে কিছু কাল্পনিক কষ্টের ভার চাপিয়ে
বহন করবে আমার শারীরিক খোলস ।
আমি চাইনা, কেউ আমার গল্প করুক অন্য কারো ভ্রু কুঞ্চিত মুখের সামনে ।
কেউ ফেলুক দীর্ঘশ্বাস
কেঁপে কেঁপে ওঠা অক্সিজেনবাহী বাতাসে ।
আমি সবার অলক্ষে চলে যেতে চাই
অনেক অনেক দূরে ।
যেখানে আমাকে খুঁজতে যেতেও কাউকে আলসেমিতে পেয়ে বসবে ।
তখন সবাই বলবে, ধুর চাই!!
খুজে পাওয়ার থেকে ভুলে যাওয়া সহজ ।
আমি এভাবেই হারিয়ে যেতে চাই ।
কত ভীষনভাবে যে চাই!!
আবোল তাবোল - ১০
#
অনেকদিন হাবিজাবি কিছু লিখি না, এবি তে এসে অভ্রাস খারাপ হইয়া গেছে।
মাঝে মাঝে কোন প্ল্যান ছাড়াই হাবিজাবি কিছু না লিখলে ভাল্লাগে না!
অন্যান্য দিন তাও মাথায় কিছু না কিছু থাকে, যে এই এই জিনিস নিয়া লিখুম।
আজকে তাও নাই, মাথা পুরা খালি। টাইপ করতে করতে যা আসে তাই স-ই!
তাই, আগে ভাগেই কইয়া রাখতেছি। এই হাবিজাবি পইড়া ভাল না লাগলে আমার কিস্যু করার নাই!
#
দিনকাল ভাল যাচ্ছে না, বিভিন্ন কারনে মন মেজাজও তাই।
কয়েক দিনের জন্য নিজের ভেতর ডুব দিতে পারলে বেশ হত, তাও পারছি না আরও কিছু কারনে।
বাসায় অসুখ বিসুখ লেগেই আছে, কিছুতেই যাচ্ছে না।
আমরা নিজেরা অসুস্থ হলে খুব একটা অস্বাভাবিক লাগে না। বাসার দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ও হয়ত খুব বেশি পরিবর্তন টের পাওয়া যায় না। জ্বর হলে সারাদিন শুয়ে শুয়ে গান শুনবো, খুব খারাপ লাগলে আম্মু এসে মাথায় পানি ঢেলে দিলে খুব ভাল লাগবে। খারাপ কি?!
হারিয়ে পাওয়া সাধের ফোন!
হারানো কিছু ফিরে পাওনের আনন্দ যে কি, যার এই অভিজ্ঞতা না হইছে বুঝানো যাবে না। জিনিসটা হারানোর পর হাল না ছেড়ে দিয়া লাগ্লো হতাশ না হইয়া একটা চেষ্টা করে দেখি। ভাব্লাম কারো উপরে ভরসা না করে নিজেই একটু চেষ্টা করে দেখিনা, কতটুকু আগাইতে পারি! কিভাবে কি হইলো অনেকেই জানতে চাইতেসে! জনে জনে তো এক কথা বার বার বলা সম্ভব না তাই এই পোস্টের সহযোগীতা নিলাম!
আচ্ছা এই পোস্টা টা দিতেসি সব বুড়াপান আর পোলাপানের ধাক্কাধাক্কি তে! আমার একটা হ্যান্ডসাম স্মার্ট ফোন আছে, যারে দেখেই অনেকের হিংসায় গা জ্বলে যায়, নাম HTC Desire HD
অনুকাব্যে নববর্ষ
# ১ #
আজি নববর্ষে;
মাতো সবে হর্ষে,
কর সুখ গান..
ধুয়ে মুছে যাক যত,
রাগ - দুঃখ - মান!
# ২ #
রঙ ঢং আদিখ্যেতা,
একদিন-ই বাঙালি..
কর ক্যানে কাউ কাউ?!
গরু নাকি?
যাও দূরে,
মাঠে গিয়া ঘাস খাও..
# ৩ #
বৈশাখেরই রঙ্গে;
ভিজুক হৃদয় স্বর্গসুখে,
কালবোশেখির সঙ্গে..
# ৪ #
পাঞ্জাবী আর সাদার মাঝে লালচে শাড়ি,
পান্তা গরম আর ইলিশে;
লোক দেখানোর বাড়াবাড়ি..
# ৫ #
কালবোশেখির হাওয়ায়..
যাক ভেসে যাক;
দুঃখ সকল,
দিনের আসা যাওয়ায়..
# ৬ #
আর কোন দিন নাই তো খবর,
একটা দিন-ই বাঙ্গালি..
রঙ ঢঙ্গে-তে পান্তা ইলিশ,
বাঙ্গালি নাম ভাঙ্গালি..
# ৭ #
তপ্ত হৃদয়
পথ চেয়ে রয়
ইশান কোণের পানে,
আসবে ধেয়ে কালবোশেখি
বর্ষবরণ গানে..
স্বস্তি মিলুক বৃষ্টিধারায় স্নিগ্ধ শীতল স্নানে,
বছর জুড়েই যাক রয়ে রেশ শান্তি থাকুক প্রাণে..
# শুভ নববর্ষ #
একটি গান আর একটি মুভি, দুটি কথা..
#
আমার একটা অনেক পুরান অভ্যাস হল,
হঠাৎ করেই কোন একটা গানের লুপের ভেতর আটকা পড়ে যাই।
একই গান শুনে যাই দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন। ক্রমাগত, বলা চলে বিরামহীন!
ইদানিং, একটা গানেই আটক ছিলাম অনেক দিন। এখনও আছি, কিছু টা।
যাই হোক, অতঃপর মিফতাহ জামানের অতঃপরের খপ্পর থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলেছে।
কাহিনী আর কিছুই না, এ নিঊ ক্রাশ ইন মাই ওয়ার্ল্ড অফ মিউজিক।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের 'স্কুল অফ লাইফ' এর ভক্ত নয়,
এমন মানুষ বোধহয় কমই আছে।
তা, সেই মিউজিক ভিডিওটার মিউজিক কম্পোজিশন করেছিল অদিত।
সেই, অদিতের নতুন ডাবল সিডির এ্যালবাম ' অদিত ফিচারিং ফ্যাটম্যানজ ইঙ্ক' বাজারে আসতেই কিনে আনতে দেরি হয়নি। কেনা হলেও একবার শুনেই এতদিন ডুবে ছিলাম সেই অতঃপর-এ।
কাল থেকে, এই এলব্যাম এর একটা গান এক কথায় পাগল করে দিচ্ছে। মাথা অলরেডি পুরাই আওলাইয়া দিয়েছে।
ভালবাসার বিশ্বাস
ইউনিভার্সিটির ৪র্থ তলায় এসে আমি দেখি তুমুল ঝগড়া করছে সাঈদ আর শিমু।সাঈদ
আর শিমু এক সাথে পড়ে। দু জন-ই আমার ভাল বন্ধু।
কতক্ষন হল ওরা ঝগড়া করছে জানিনা ।আমি এসেই দেখি ওরা ঝগড়া বাধিয়ে দিয়েছে।একটু আগে সাঈদ আমাকে ফোন দিয়ে এখানে আসতে বলে ,আর এসেই দেখি এই কান্ড ।শিমু মেয়েটা সুন্দরী,সাদাকালো একটা ড্রেস পরে এসেছে। মুখেও তেমন একটা মেকাপ নেই,তবে ঠোটে আমার অজানা একটা রঙের লিপিস্টিক আর চোখে সামান্য একটু কাজল ,এই যা।
সাঈদ কালো ,গোমড়া মুখো ,আর একটু বলদ টাইপের তবে কুটীলতায় ভরা ।আমি বুঝতে পারিনা ,এত সুন্দরী একটা মেয়ে কিভাবে সাঈদ এর মত কালো একটা ছেলে কে পছন্দ করল ।যাই হোক,কথায় আছে না "ভালবাসার প্রেত্নীও সুন্দর" ।।
"তুই-ই বল হাসান" আমার দিকে তাকিয়ে বলল শিমু;"ওর মত মিথ্যুক ছেলে তুই তোর জীবনে দেখেছিস?" ।আমি বললাম
"তোদের ঝগড়ার মধ্যে আমাকে টানছিস কেন"।সাঈদ বলল
"কী বলিস,তাহলে তোকে এখানে আসতে বললাম কেন?"
বিদায় স্বার্থপর পৃথিবীর কাছ থেকে॥
যদি চলে যাই বিদায় নিয়ে, এই পৃথিবীর কাছ থেকে। সমুদ্র কখনো কান্না করবে না আমার জন্য। তার জল ধারার একটুও ধার দেবেনা আমাকে। এই জল শুধু তার। আমার অশ্রুহীন হৃদয়ের কান্নায় তার মন গলে নোনতা পানি হয়ে পড়বে না। স্বার্থপর এ পৃথিবী। হয়ত বিদায় নিব এ পৃথিবী হতে। আমি জীবনানন্দ হতে চাই না। আমি চাই না তার মত এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে ফিরে আসতে। মানুষের উপর ই যে বর্বরতা গাংচিল শালিক তো কোন ছাড়। হারিয়ে যাব দূর কোন বাস্তবতায়, লীন হয়ে যাব মহাশূণ্যে।
আমি হয়তো মানুষ নই
আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষগুলো অন্যরকম।
মানুষগুলো ভালবেসে কাছে টানতে জানে,
ভালবাসার অভিনয় করে
ভালবাসাতে জানে
ভালবাসা শিখিয়ে দূরে ছুড়ে ফেলতে জানে।।
আমি হয়তো মানুষ নই,
মানুষ হলেতো আমার একটা বৃত্ত থাকতো,
সেই বৃত্তের একটা কেন্দ্র থাকতো
বৃত্তের পরিধি ঘিরে
ছোট বড় আরও কিছু
বৃত্ত থাকতো।
প্রয়োজনমতো বৃত্তগুলো ভাঙত
আর নতুন নতুন বৃত্ত গড়ে উঠতো।।
মানুষগুলো অন্যরকম
তারা নিজেদের বৃত্তে হাটতে জানে,
প্রয়োজনে অক্ষ বদলাতে জানে
এক বৃত্ত ছেড়ে অন্য বৃত্তে
হাটতে জানে।
আমি হয়তো মানুষ নই
মানুষ হলেতো আমারও
নতুন নতুন বৃত্ত হতো,
নতুন অক্ষ থাকতো ।
সেই একই পুরনো বৃত্তে
আমি হাটছি আর হাটছি,
আমি হয়তো মানুষ নই .।
আবোল তাবোল - ৯
#
প্রায় সপ্তাহখানেক ঢাকার বাইরে থেকে আজ রাতে বাসায় ফিরলাম। ঘরোয়া একটা কাজে সিলেট গিয়েছিলাম। ছিলাম সিলেট সদর থেকে প্রায় ৩০/৪০ কিমি দুরে। গ্যাস ফিল্ডের কোয়ার্টারে, ওখানে ২৪ ঘন্টাই নিজস্ব জেনারেটর স্বারম্বরে কাজ করে যাচ্ছে তাই ওখানে কারেন্ট বলতে গেলে যায় ই না!
তা সেই গ্যাসফিল্ডের সীমানা প্রাচীরের চারিদিকে চা বাগান আর দুরে বিশুদ্ধ গাওগেরাম। দিনে দুপুরেই ঝিঝির ডাকে মাথা ধরে. আর মাঝে মাঝেই আশেপাশের পাহাড় থেকে বানরেরা নেমে আসে। দুয়েকটা পুরাই বাঘা বাঙালি; ঘরে ঢুকে পায়চারী করে, এটা ওটা খেয়ে যায়।
ওদিকে আবার ইলেকট্রিসিটি যায়নি এখনো, আশেপাশে কোথাও লোকজনের বসতি নাই। তাই সন্ধ্যা পেরুতেই ওখানে নিঝুম অন্ধকার। এ কারনেই হয়তো, ওদিকে সবাই ১১ টার মাঝেই দেখা যায় ঘুমিয়ে কাদা হয়ে গেছে!
একটি পরীক্ষা ও দুটো কথা
বন্ধুরা সবাই কেমন আছো ?
বহুদিন পর এসে হুট করে খবর জিজ্ঞেস করতে কেমন যেন লাগে ! তবু আমি দুঃখের সাথে স্বীকার করছি আমার এবিতে আসার অপারগতাকে । জানিনা এতোদিন কিভাবে এবিতে না এসে থাকতে পারলাম , তবে যাই হোক এটা পরিস্থিতির শিকার বা নিজের লেখার অপারগতা যাই বলি , তা কিছুমাত্র কম নয় । কিন্তু আজ হঠাত এসেই সবার কাছে দোয়া চাইলে কেমন লাগে !! তবু চাইছি সবার মন থেকে দোয়া ও শুভকামনা (ভোটের ক্যানভাস করছিনা তা নিশ্চিত থাক)। কিন্তু কিসের দোয়া ?
আশা গুলো আজ আলো হয়ে জ্বলে উঠে
কেমিস্ট্রি ক্লাস করছিলাম। হটাত বাংলাদেশের খেলার কথা মনে পড়লো।ক্লাসের কম্পিউটার দিয়ে গুগলে সার্চ করলাম। প্রথমেই লেখা 'Bangladesh lost by 2 runs'। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, কান্না আসছিল। অনেক চেষ্টা করে চোখের পানি আটকে রাখলাম।
বাসায় এসে আম্মুকে দেখলাম কাদছেন। আম্মু সাধারণত খেলা দেখেন না। আজকে দেখেছিলেন। আব্বু সারারাত জেগে খেলা দেখেছেন। প্রতিটা মানুষের বুকে তোমাদের জন্য এত ভালবাসা তারপরেও সাকিব তোমরা কাঁদছো কেনো? কাপ জিতিনি তো কি হয়েছে? খেলা তো আমরাই জিতেছি। তোমাদের পাশে আছি সবসময়। বাংলাদেশের হয়ে খেলা তোমাদের প্রতিটি ম্যাচের জন্য তোমাদেরকে স্যালুট। আমরা তোমাদের পাশে আছি.... শুধু জয়ের আনন্দে নয় , পরাজয়ের বেদনাতেও...............
'শত আশা শত আশা ......
কিছু পাবার আশায় স্বপ্নগুলো আজ সত্যির পথে
কিছু দেখাব বলে স্বপ্নগুলো আজ মুক্তির পথে