ইউজার লগইন
বিবিধ
সেন্ট মার্টিন (দুশো বছর পরে) {শেষ পর্ব}
খাওয়া দাওয়া শেষ করে একদল যাবেন ডিস্কোতে। সেখানে স্প্যানিশ, ল্যাটিন, হিন্দী, ইংরেজি গানের সাথে থাকবে কিছু লোকাল নাম্বার। সেন্ট মার্টিনকে ঘিরে বানানো। এল আর বি কিংবা দলছুটের বানানো ওওও উই আর গোয়িং টু সেন্টমার্টিন, কিছু থাকবে র্যাপ আর রিমিক্স। ওরে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা কিংবা রুপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া। আর যারা নাচতে ভালোবাসেন না তাদের জন্য আছে ঝলমল আলো সজ্জিত ক্যাসিনো। সুন্দরী মেয়েরা সেখানে বসে থাকবেন আর চলবে সারা রাত গ্যাম্বলিং। জ্যাকপটের আশায় অনেকেই মন উজাড় করে খেলবেন, কেউ পাবেন কেউ পাবেন না। যারা প্রকৃতির খুব কাছে থাকবেন, অন্যকোন কিছুই তাদের চাই না তারা ক্যাম্প ফায়ার করে তার পাশে গোল হয়ে আকাশের চাঁদকে প্রেয়সী করে কবিতা লিখবেন। সেই আলো আঁধারিতে রাত যখন ভোরের দিকে যাবে সবাই হোটেলের দিকে ফিরবেন। বিছানায় গড়িয়ে প্রস্তুত হবেন পরের দিনের জন্যে। এতো কিছু করার আছে এখানে।
হ্যালো ২০১১
সারা বছর দেশের জন্যে মন খারাপ থাকে। ঘোলা আকাশ, শীত, ঠান্ডা, মন খারাপ করা অন্ধকার বরফে দেশের জন্য আরো অস্থির লাগে। এই অন্ধকারকে কিছুটা মৃদ্যু করতেই বুঝিবা ক্রীসমাসে সব শপিং মল, বাড়ি, রেষ্টুরেন্টে, রাস্তায় প্রচুর টুনি বাল্ব ব্যবহার করা হয়। ক্রীসমাস এখানে পারিবারিক উৎসব। সবাই বাড়ি ফেরেন, মা – বাবা, নানী – দাদীদের সাথে দেখা করেন। খুব নিরিবিলি চুপচাপ। রাস্তায় ধরতে গেলে কোন লোক দেখা যায় না ক্রীসমাস ইভ থেকে সেকেন্ড ক্রীসমাস ডে পর্যন্ত। সবাই জেগে ওঠে আবার থার্টি ফাষ্ট ইভে। ক্রীসমাসের থেকে অনেক বেশি আনন্দ, উৎসব এবং খরচ হয় এইদিনে। বারবার একটি লাইন মাথায় ঘুরে, আজ থার্টি ফাষ্ট, আজ পশ্চিমের ঘরে ঘরে আনন্দ। সন্ধ্যে থেকে চারধারে ঠুস ঠাস, ফুশ শব্দ সাথে আলোর ঝলকানি। প্রতিটি দিন যেমনই লাগুক, এই একটি দিন নেদারল্যান্ডসে আমার খুবই আনন্দের দিন। মনে হয়, না খুব খারাপ নেই, বরং ভাবি ঠিকাছে। বারোটা এক মিনিটে কানে তাল
সেন্ট মার্টিন (দুশো বছর পরে)
মুখবন্ধঃ ২০০৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর সেন্ট মার্টিনে ছিলাম দুদিন। আরো থাকার খুবই ইচ্ছে ছিলো কিন্তু নিরন্তর ব্যস্ততা দিলো না আমায় অবসর। “ফার ফ্রম দি ম্যাডিং ক্রাউড” এ ধরতে গেলে প্রায় রিমোট অঞ্চলে যেয়ে আমার মন প্রশান্তিতে ভরে ছিলো। গাড়ি নাই, কারেন্ট আসে মাত্র দু এক ঘন্টার জন্যে, গরম পানি নাই, মোবাইলের নেট ওয়ার্ক নাই, ল্যাপটপ নাই, ফেসবুক নাই, ব্লগ নাই আহা কি শান্তি কতোদিন পর। এই মুগ্ধতার রেশ বহুদিন আমার মনে ছিলো আরো বহুদিন থাকবে আমি জানি। আমি স্বভাবগত ভাবেই ক্ষ্যাত টাইপের মানুষ, বহুদিন বিদেশে থেকেও ক্ষ্যাতত্ব ঘুচে নাই। কয়লা ধুলে যা হয় আর কি। আমার কেনো যেনো ওয়েল এ্যরেঞ্জড ভ্যাকেশেনের থেকে এসব খাওয়ার ঠিক নাই, শোওয়ার ঠিক নাই টাইপ ভ্যাকেশন খুব ভালো লাগে। নীল দিগন্ত নামে এক রিসোর্টে গেছি রিসোর্ট দেখতে, পাশে লেকমতো কেটেছে তারা তাতে দেখি সাপ দৌড়াদোড়ি করে খেলছে, পানির ওপর থেকে দেখে প্রশান্তিতে মনটা ভ
আমাদের গাজীপুর
গাজীপুর জেলা সাধারণ তথ্য :
ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংশ্লেষে কালোওীর্ণ মহিমায় আর বর্ণিল দীপ্তিতে ভাস্বর অপার সম্ভানায় ভরপুর গাজীপুর জেলা। ইতিহাস খ্যাত ভাওয়াল পরগণার গহীণ বনাঞ্চল আর গৈরিক মৃওিকাকোষের টেকটিলায় দৃষ্টিনন্দন ঐতিহাসিক এ জনপদ ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে।
প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্যমন্ডিত, অর্থনৈতিক অতিগুরুত্বপূর্ণ গাজীপুর জেলার আপনাকে
স্বাগতম ।
শিক্ষা:-
শিক্ষা প্রতিবেদন:
হানাহানি আর নৈতিক দৈন্যতার পৃথিবীতে প্রভুযিশুর জন্মদিন শুভ বড়দিন
শুভ বড়দিন!
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে যিনি ঈসা (আঃ) বিশ্বের তাবৎ খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনিই যিশু; মানবজাতির পথপদর্শক। মানবজাতির ত্রাতা বা উদ্ধারকর্তা হিসেবে পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়েছিল প্রভুযিশুর। হিংসা, বিদ্বেষ, পঙ্কিলতাপূর্ণ সেসময়কার পৃথিবীর মানুষকে সুপথে আনার জন্যই তার আবির্ভাব হয়েছিল।
একটা সুখবর : দাদাভাইয়ের, আমাদেরও
সব আড্ডায়ই একজন থাকে যাকে ছাড়া আড্ডা জমেনা। যিনি আড্ডার প্রধান আকর্ষণ। মানে প্রাণ ভোমরা। যিনি আড্ডাকে মাতিয়ে রাখেন, নিস্তেজ ম্যান্দামারা সময়কে আনন্দের ফুল্লধারা বানান। সেইরকম একজন আমাদের মেসবাহ য়াযাদ ওরফে দাদাভাই ওরফে বিনয় কাকু। উনার মত মাইডিয়ার লোক ইহ তল্লাটে খোঁজ দ্যা সার্চ দিলে খুবই কমই পাওয়া যাবে। দাদাভাইয়ের সাথে যারা পরিচিত হয়েছেন তারা এই বিষয়ে দ্বিমত করবেননা এইটা নিশ্চিত।
একুশে ব্লগ
শুরু হলো পথচলা…
আমরা বিজয় রাখিব ধরে, আমরা শির রাখিব উচ্চ,
আমরা হবো না কখনো নত, সকল বিঘ্ন করিব তুচ্ছ।
পোস্ট কেন মুছে গেল
পোস্ট কেন মুছে গেল
লিখেছেন: নাজমুল হুদা | নভেম্বর ২৫, ২০১০ - ৮:৩২ পূর্বাহ্ন
একটু আগে 'আমরা বন্ধু'র বন্ধুদের উদ্দেশ্যে শাপলার কবিতা পড়লাম । শেষ করে সুন্দর একটা মন্তব্য লিখলাম। ক্লিক করলাম 'প্রকাশ করূন' । মুছে গেল সব কিছু । কোথায় কবিতা আর কোথায় বা আমার মন্তব্য ! এই সাতসকালে মেজাজ বিগড়ে গেলে সারাদিন কাটবে কেমনে?
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
রহস্য কোথায় তা আমাকে জানাতে পারেন কেউ? আমি বড়ই পেরেশানীতে আছি ।
শেয়ার করুনঃ
| | |
পছন্দ করুন
নাজমুল হুদা এর ব্লগ | ৬ টি মন্তব্য | ৮৮ বার পঠিত | প্রিয়তে নিন | ট্যাগঃ বিবিধ
১
আশফাকুর র | নভেম্বর ২৫, ২০১০ - ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
এলো বুঝি পৌষ মাঘের পালা, হালা, এইবার পিকনিকের ঠ্যালা সামলা !!!
হেডিং দেখে কেউ মাইন্ডাইয়েন্না ,
পিকনিক নিয়া ২ ছত্র লেখার চেষ্টা করছিলাম আর কি !!!
দেখতে দেখতে আরেক টা শীতকাল চলে এল। গত শীতে এবি থেইকা পিকনিকে গিয়া যে মজমা , যে ফূর্তি করছে সেটা মনে উঠলেই এখন পিকনিক করতে মঞ্চায় শুধু।
সক্কাল সক্কাল বের হইলাম, বাসে চড়লাম, কিছুদূর গিয়া টায়ার ফাটলো ( টায়ারের উপর জয়িতা বইছিল বলেই নাকি টায়ার ফাটছিল, লোকমুখে শুনি)। মেসবাহ ভাই আমাদের নিয়া গেল সেইইই গাজীপুরের ভিতরে কোন এক বনে। এর থেইকা সুন্দরবন আরো কাছে মনে হয়!!! একদম সকাল ১২ টার সময় পৌছলাম সেখানে। পাশে ছিল পদ্মা নদীর লেক। সেখানে নৌকায় চড়লো বালকেরা, বালিকারা বৈঠা বাইলো। কেউ কেউ নদীর লেকের পাড়ে বাঁশী বাজাইলো কেউবা উদাস হয়ে দেখলো বউ পাশে নিয়ে। ব্যাচেলর ছেলেরা নারীদের হাসি দেখে গলে গলে পড়লো, ক্লিক ক্লিক করে ছবি তুলতে লাগলো।
আলোর মিছিল চাই- চাই আলোকিত মানুষ- বিসাকে কলেজ কর্মসূচি ২৫ বছরপূর্তি
নিজের নদী সবার থাকে। কেউ চায় সেই নদীতে ভেসে যেতে, কেউ চায় স্রোতের টানে ভেসে আসা খরকুটোকে সম্বল করে নতুন গতি বেছে নিতে। চিরায়ত গণ্ডির বাইরে গিয়ে নতুন ধারাকে অবলম্বন করাটা অনেকেরই কাছেই অসম্ভব। আর সেই না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই শুরু হয় নানা রকমের আফসোস। আর ভাবে আমার দেশ কেনো এমন নেই, কেনো ওমন হলোনা! অথচ জীবনকে নতুন গতি দেয়ার, নিজের মতো করে চালানোর যে আলোকিত পথ সবাই খোঁজে, তা কিন্তু ছিল চোখের সামনে।
ছিলেন, আছেন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। আর ইন্দিরা রোডের ছোট্ট একটি কামড়া থেকে আজ বাংলা মোটরের আকাশ ছোয়া বাড়িতে যে স্বপ্নের কারখানা, তার নাম বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু
আজকে আমরা বন্ধু গ্রুপ এর জন্মদিন। এই দিন এবির শুরু হয়েছিল। ব্যস্ততার কারনে সবাই আমরা ভুলে গেছি।
যাই হোক
শুভ জন্মদিন আমরা বন্ধু। সব বন্ধুদের শুভেচ্ছা।
আমারো মনে ছিল না। কলি আপার স্ট্যাটাস দেখে মনে পরলো।
আমরা বন্ধু আরো অনেক দূর এগিয়ে যাক এই শুভ কামনা রইল। বিশেষ করে রনির প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।
রাব্বী
সুখে থাকলে ভূতে কিলা্য়
সরকারি কলেজে সুখের সাথে মনের আনন্দে চাকরি করছিলাম । ভূতের পরামর্শে ১৯৮২ তে প্রশাসন ক্যাডারে ঢুকবার আবেদন করতে হয়েছিল । কিলাতেই থাকলো সে । পিএসসি'র মনোনয়ন পেলাম । ভূতের কিলে অতিষ্ট হয়ে শেষে ১৯৮৩র জুনে পেশা বদল করতেই হল । বাধ্য হয়ে বয়সের বাধা না আসা পর্যন্ত তা করতেও হল । আগের পেশায় থাকলে যতখানি এগুতাম এখানে তার ধারেকাছেও যেতে পারলাম না। এটি ঈশপের গল্প হলে শেষ হত যে বাক্য দিয়ে তা হল, " কদাপি মধ্য বয়সে পেশা বদল করিও না" ।
পুনশ্চঃ ও হ্যা, অন্য একটি কথা । এ গল্পের সাথে সম্পর্কিত নয় মোটেই । এটি ব্লগ সম্পর্কিত ।কেউ আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন 'ব্লগর ব্লগর' কি জিনিষ !
একজন ইন্তারনেত ইউজার ও অক্ষর জ্ঞান :)
আমার ৪ বছরের ভাগনীর জালাতনে অতিষ্ট প্রায়।ওয়ালেট,কলম,কাগজ,ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিস পত্র,পারফিউম...সব তার একটু না একটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা চাই
তেমন কিছু বলতেও পারি না, উল্টা আমাকে ঝাড়ির উপর রাখে
ভাত খেতে গেলে বলে "এই শোন, সব ভাত খেয়ে ফেলবে, না খেলে কিন্তু মার খাবে।আমার হাতে এটা কি দেখছ? খাও তাড়াতাড়ি :("
সেইদিন উনি আমাকে এসে বললেন, আমি ইন্তারনেত ইউজ করব
আমি বললাম "কি ইউজ করবি?"
"ইন্তারনেত"
আর কি বলব...আচ্ছা ঠিক আছে।
ভাবলাম এই সুযোগে, এবিসির একটা জ্ঞান দিয়ে দি।
কা্বজাব - ১
যখন আমার বয়েস ৮/৯ তখন কি যেনো একটা গুরু গম্ভীর বই পড়ছিলাম। নামটা আজ যদিও মনে নেই, তবে একটা লাইন মনে আছে। “মানুষের জীবন দুঃখ ও সুখের সমষ্টি, যেখানে সুখের মুহুর্ত খুব কম। আর আমাদের জীবন কাটে সেই সব মুহুর্ত রোমন্থন করে আর সেই সব মুহুর্তের আশায়।” ভয়াবহ ধরনের সত্য কথা। সত্য যে তার প্রমান প্রায়ই পাই যখন মানুষকে দেখি বিভিন্ন বার্ষিকী করতে। কেউ আবার মৃত্যুবার্ষিকীকে টেনে আনবেন না। উদাহারন হতে পারে বিবাহ বার্ষিকী অথবা প্রেমিক-প্রেমিকাদের বর্ষপূর্তি। একটা কাপলের কি আর কোন ভালো ঘটনাই ঘটে না? তবে কেন একটা তারিখের স্মৃতি রোমন্থন করে চলা সারা জীবন? অনেক চিন্তা করেছি উত্তর পাইনি। এমনকি আমার এক্স – গার্লফ্রেন্ডকেও মনে হয় প্রশ্ন করেছিলাম । উত্তর পাইনি।