ইউজার লগইন
বিবিধ
শিরোনাম নাই
খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। এমনিতেই আমি এক আঙ্গুলের টাইপিস্ট। লিখতে অনেক সময় লাগে। প্রচুর ভুল ভ্রান্তি হয়। বেশ কয়দিন মহা ব্যস্ত ছিলাম ঢাকা থেকে আসা বন্ধু'কে নিয়ে। তাই লিখতে বসা হয় নাই। আজ সময় নিয়ে বসে বেশ অনেকদুর লিখে ফেলার পর জানিনা কেমন করে কি হল আমার ড্রাফট লেখাটা সম্পুর্ন হারায়ে গেলো বুঝেন এবার কত বড় গাধা আমি।
আমি সরাসরি এ বি'র বিষয়বস্তঃ বক্সে লিখি। ওয়ার্ডে লিখে আবার যাচাই বাছাই করার ধৈর্য নাই।
আত্মজা
বিড়ালটা আসে। একে তুলতুলে বিড়াল বলা যায় যতটুকু, তার চেয়ে বেশি আদুরে। হাঁ, হৃদয়টাতে আঁচড় ফেলতে পারে সে। তার নখের আঁচড় কখনোই আমার উপলব্ধিতে ছিল না। সে কোলেও আসে না। গুটি গুটি ছুটে বেড়ায়। আমার দিকে যে তার মনোযোগ, সেটা বুঝে উঠি বলে, এক পরাবাস্তব বোধে আমি আচ্ছাদিত হই। সে আমাকে ছুঁয়েও ছোঁয় না। যেন মিটিমিটি হেসে উঠছে। আর দিনকে দিন এক প্রিয়তা এসে আমাকে মোহাচ্ছন্ন করছে। সে আমার হৃদয়ে দড়ি পেঁচিয়েছে।
একদিন বসেছিলাম বারান্দার আড়ালে। তখনো সাঁঝ সাঁঝ নামেনি। একটা চটুল জিজ্ঞাসায় তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। মনে মনে বললাম, কে গো তুমি। সে হাঁটু তুলে বসেছে যে! আমাকে খুনসুটি করতে দিতে নারাজ। কি হচ্ছে, তার নাকে-মুখে-চোখে? সে একটুও উত্তেজিত হতে দিতে চায় না কাউকে। মোহাচ্ছন্নতা কাটুক, আমিও কি তা চাই? বিস্ময় কেটে যায় আমার। আরে, এতো দেখি আমারই আত্মজা!
ডোম (পর্ব-১) সংগৃহীত
তিনি পেশায় একজন ডোম। মৃত মানুষের শরীর কেটে তার থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করাই তার কাজ। সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে মৃতের মৃত্যুর কারন নির্ণয় করা হয়। খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ও ভয়ের একটি কাজ। ভয়ের কাজ আমাদের কাছে হলেও যে এ কাজ করেন তার কাছে নাকি ভয় নয়, বরং আনন্দই লাগে।
তাকে একটি মফস্বল শহরে বদলী করা হল। তখনকার দিন মফস্বল শহর গুলো এত উন্নত ছিল না। শহরে বাসা ভাড়া পাওয়া বেশ কষ্ট সাধ্য ছিল। কারন মফস্বল শহরে তেমন দালান কোঠা গড়ে উঠেনি। ভাড়া নিতে হলে টিনশেড ঘর, তার উপর রান্না বান্না করা, থাকার জন্য খাট টাট হাবি জাবি কত কিই না লাগে। তাই এত ঝক্কি ঝামেলা ও খরচ বাচানোর জন্য তিনি শহর থেকে একটু দূরে একজন প্রভাবশালী কৃষকের বাড়িতে লজিং থাকার ব্যবস্থা করলেন। এ বাড়িটির খানিক দুরে ছিল একটি শ্বশানঘাট বা চিতাশাল। কিন্তু এদিকে তিনি তেমন কোন নজর দিলেন না।
ফাদারহুড
মাসুম, মধ্যবয়সী একজন মানুষ। বিয়ে করেছিলেন মাস ছয়েক। বিয়ের আগের অগোছালো একজন মানুষ। জীবনজাপনে কোনো জীবনবোধ ছিলো না। প্রতিটি রাতের শুরু হতো নেশা দিয়ে। মদ, গাজা আর সিগারেটে কেটে যেতো প্রতিটি একাকিত্বের রাত।
একটি কাঠের চেয়ার; ঠায় দাড়িয়ে আছে অপরিষ্কার বারান্দায়। ধুলো জমে যার রং ই পাল্টে গিয়েছে। মাসুম ইফতার শেষে বারান্দায় দাড়িয়ে বিড়ি ফুকছে। কিছুটা অন্যমনস্ক ভংগিতে তাকিয়ে আছে ধুলোপরা ওই চেয়ারের দিকে। হঠাৎ ক্রিংক্রিং শব্দে মোবাইল বেজে উঠলো। বউ কল দিয়েছে বোধহয়!!!
পারেও মেয়েটা। অসীম ধৈর্য নিয়ে সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিয়ের পরে এই মেয়েটা জীবনবোধই পাল্টিয়ে দিয়েছে।আজ বিকালে তো তার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা। এই কলটা কি সেই আপডেট জানাবার জন্য নাকি গতানুগতিক? এই ভাবতে ভাবতে কলটি রিসিভ করলো মাসুম।
অস্ফুট স্বরে বললোঃ হ্যালো।
ওপাশ থেকে হাসির রিনিরিন শব্দে বললোঃ আসবা কবে?
কেন?
নাহ, এমনি। তোমার সাথে কথা আছে।
বলো।
না, মানে ডাক্তার বলছে সুখবর আছে।
প্রচন্ড মুডি মানুষটি হো হো করে হেসে বললোঃ তাই তো বলি বউ এত্তো লজ্জা পায় কেন?
নূতন বউ গো মারিস না গো
ফারলু (বি.এ) করল বিয়ে
পঞ্চাশে।
বউটি পুঁটি বয়েস ঊনিশ
(কাঞ্চা সে)।
বাসর রাতে ধুসর দাঁতে
পান খেয়ে,
বউকে বশের চৌকা রসের
গান গেয়ে;
ফারলু ভাবে যাবেই যাবে
পার পেয়ে।
ফোকলা বরাত! কাটল সে রাত
মার খেয়ে।
থাবড়া খেয়ে ফারলু (বি.এ)
গাল খোটে;
‘নূতন বউ গো মারিস না গো’-
বোল ফোটে।
‘টুনটুনিরে অফ যা ওরে
আজ রাতে;
কাল সকালে যাস গে চলে
বজরাতে’।
মিষ্টি পুঁটি চালায় লাঠি
তার পিঠে;
মারের চোটে ফুটল পিঠে
কালসিটে।
কাঞ্চা পুঁটি বলল উঠি
(চালাক সে),
‘খামোশ বুড়া করব খোঁড়া
তালাক দে’।
হেঁচকি তুলে ফারলু বলে,
‘এক তালাক’।
‘কাবিন নামার ছ’ লাখ টাকার
চেকটা লেখ্’।
পুঁটির মুখে খাতির দেখে,
চেক লেখা!
চোখের ভুলে, নাকের জলে
মুচলেকা।
সাতকাহন- ১
.................................................................................................................................
১
একদিকে অনুভূতি ঘেরা উচুঁ দেয়াল,
অন্যদিকে বাস্তবতার আকাশ-পাতাল ফারাক।
আমি না পারি অনুভূতির পাঁছিল টপকাতে,
না পারি আকাশ-পাতালের দূরত্ব ঘোঁচাতে।
শুধু প্রত্যাশায় থাকি,
একদিন হয়তো বিশাল আকাশ হূড়মূড় করে।
নেমে আসবে এই মাটির বুকে।
অপেক্ষায় আছি, অনন্ত অপেক্ষায় ।।
২
পথ চলতে হয় বলেই হয়তো পথ চলা।
সুখে থাকার অভিনয় করতে হয় বলেই,
হাসিমুখে কথা বলা।
জানি, তোমার বলার মতো কেউ হয়তো নই।
তবুও জেনে নিও,
আমার ভিতর বাহির বলে কিছু নেই,
যদি কিছু থেকেও থাকে, তা সবই তোমার।
আমার আনন্দ তুমি,
তাই এতো ভালোবাসি তোমায়।।
৩
সময়টা অকারণে থমকে গেছে,
দম দেয়া ঘড়িটা যেনো হারিয়েছে তার দম।
বড্ড অস্থির এই সময়টা।
মনের দরজায় উকিঁ দিয়ে যাচ্ছে হাজারো স্মৃতি,
জন্ম দিচ্ছে হাজারো প্রশ্নের।
স্মৃতিগুলোকে ঘুম পাড়িয়ে,
সকল প্রশ্ন সচেতনে এড়িয়ে দেখি,
বোকা গল্প
টমেটোর পাশেই ঢেড়স ক্ষেত। আলসে ঢেড়স সকালে একটু দেরি করেই ঘুম থেকে উঠে। একদিন ঘুম থেকে উঠেই সে দেখে, এক লাল টুকটুকে টমেটো তার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ঢেড়স মেজাজ খারাপ করে রাগী সুরে বলে, "এই মেয়ে, হাসো কেন? সমস্যা কি?"
টমেটোর লাল টুকটুকে চেহারা আরও লাল হয়ে যায়।
"না মানে ইয়ে ভাইয়া, আপনি না অনেক হ্যান্ডসাম।"
ঢেড়স চোখ কপাল তুলে বলে, "এই মেয়ে তুমি কি বলো? বয়স কত তোমার?"
"ভাইয়া, ৪৫ দিন ৭ ঘন্টা।"
"আমার বয়স কত জানো? ৬৯ দিন ৯ ঘন্টা। তোমার চেয়ে কত বড় আমি? এসব কি বলো আমাকে?"
"সরি ভাইয়া, আর বলব না।"
"মনে থাকে যেন।"
"আচ্ছা ভাইয়া, মনে থাকবে!"
কিন্তু টমেটোর কিছুই মনে থাকে না। সে সারাক্ষণ ঢেড়সের দিকে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকে।
দিন কেটে যায়, মাস কেটে যায়। একদিন ক্ষেতের মালিক এসে ঢেড়সকে নিয়ে হাটে যায়। টমেটোর মন খারাপ হয় ভীষণ। টমেটোরও পালা আসে। তাকেও হাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
একদিন চিন্তক এসে দুই কেজি ঢেড়স আর আধাকেজি টমেটো কিনে আনে বাজার থেকে। টমেটো তখন সেই ঢেড়সকে দেখেই চিৎকার করে বলে, "ঢেড়স ভাই, ঢেড়স ভাই, আমি এখানে।"
ঢেড় চোখ পাকিয়ে বলে, "তুই এখানেও চলে এসেছিস?"
তোমার স্মৃতি
আমারও ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
নীল আকাশের নীচে দাড়িয়ে গলা ফাটিয়ে চিতকার করে বলতে ইচ্ছে করে "ভালোবাসি অনেক ভালোবাসি।"
হাজারো মানুষের মাঝে হাটুগেরে বসে ফুল দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি কি আমার হবে?"
তোমায় ঘিরে শত-সহস্র মোমবাতি জ্বেলে বলতে ইচ্ছে করে "এরচেয়েও বেশি আলো তুমি জ্বেলেছো মোর হৃদয়ে।"
চাদেঁর আলোয় তোমার মুখোমুখি বসে চাদঁকে কাচকলা দেখিয়ে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি মোর অপরুপা।"
হাজারো নারীর আহ্বান পেছনে ফেলে বলতে ইচ্ছে করে "তুমি আমার একটাই তুমি।"
সর্বোপরি তোমায় বলতে ইচ্ছে করে "তুমিই সে যার ঠোঁটে ঠোঁট ছুইয়ে আমি ঘুমোতে চাই , আবার ঘুমের পরে চোখ খুলেই যাকে দেখতে চাই।
হয়তো আমার এই আবেগ তোমার কাছে স্বস্তা ! কিন্তু তারপরও তুমিই আমার একটাই তুমি। তুমি নেই কিন্তু তোমার স্মৃতি তো আছে, বেঁচে থাকার জন্য ওটাই বা কম কি???
শাদ্দাদের ভূস্বর্গ এবং আরাফাত শান্তর রোদে পুড়া (পর্ব-১)
শান্ত ভাই সকালে ব্লগে ঢুকে আপনার লেখা “দেখো মা পুড়ছি আমি রোদ্দুরে” পড়ে মনটা এতই বিষন্ন হয়ে গেল যে আপনার লেখায় কোন মন্তব্য করব সেই ধৈর্য টুকুও ছিল না। কোন কারনে যদি বাবা ও পিঠাপিঠি বড় ভাইয়ের কথা মনে পড়ে তবে আমি আজও সকল শক্তি হাড়িয়ে ফেলি। বাবা ১৯৮২ সালে আর ভাইটি ২০০০ সালে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ভাইটি আমার পিঠাপঠি হওয়াতে তার সাথে আমার অসংখ্য স্মৃতি, আমার লেখাপড়া আরাম আয়েস সকল কিছুর ব্যবস্থা ও দেখাশুনা করত ও। তাই এ বয়সেও আমি যখন একা থাকি ওর জন্য কত রাত কাঁদি হিসেবে নেই। ভাইটি চলে যাবার আগে বাবার জন্য অহর্নিশি কেঁদেছি। আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার গল্পের সাথে আমার এ স্মৃতি কাতরতার কারন কি?
স্বর্ণালী অপ্সরী !!!
যখন ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম তখন তুমি তেমন জনপ্রিয় ছিলেনা। তারপর কেটে গিয়েছে অনেক সময়। কিন্তু তুমি সেই সোনালী পোশাকে মোরানো ফর্সা ধবধবেই রয়ে গেছো।
স্বর্ণালী অপ্সরী !!! হ্যাঁ এটাই বুঝি তোমার জন্য সবথেকে ভালো নাম।
হে সোনালী পোশাকে আবৃত শ্বেতশুভ্র অপ্সরী , তোমাকে সবচেয়ে অপরূপা কোথায় লাগে?
দুই আঙ্গুলের ফাকে নাকি দুই ঠোঁটের মাঝে ?
তোমায় চুমুতে ভরিয়ে দেই আমি সর্বদা। যুগে যুগে কত্তো মহামানবরা তোমায় একটি চুমু দেওয়া কে শত নারীর ঠোঁটের চেয়েও মূল্যবান বলেছে।
তুমি এখনো সুন্দর ওই সোনালী ঘরে। তোমার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যায় যখন তুমি জ্বলন্ত অবস্থায় থাকো দুই আঙ্গুলের ফাকে অথবা দু'ঠোঁটের ফাকে।
তুমি একাকিত্বের সঙ্গি। তুমি অবসরের সাথী। তুমি মানসিক প্রশান্তি জোগাও প্রচন্ড ব্যাস্ত সময়ে। করে তোলো উতফুল্ল অনেক চিন্তার মাঝেও। নতুনভাবে ভাবতে সাহায্য করো যখন ভাবনার সীমান্তে পৌঁছে যাই।
মাঝে মাঝে তোমারই কারনে প্রেমিকার সাথে হয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ !!!! মাঝেমধ্যে তোমার জন্য মা'র সামনে চকলেট খেতে খেতে যাই।
লং ডিস্টেন্স রিলেশনশীপ
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। স্নিগ্ধর মনটা আজ খুবই খারাপ। তার ভালোবাসার মানুষটি তার থেকে অনেক দূরে থাকে। তাদের সময়ের ব্যাবধান ১২ ঘন্টার ; স্নিগ্ধর দেশে যখন রাত নামে তখন মিনির দেশে করকরে রোদ।
মিনি অনেক ভালো একটা মেয়ে। পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতপরিবর্তনশীল দেশে থেকেও যে তৃতীয় বিশ্বের একটি ছেলের জন্য অপেক্ষা করে। তার সকল ভাবনা জুড়েই স্নিগ্ধর বিচরণ। এমনকি স্বপ্নও আসে স্নিগ্ধর স্নিগ্ধতা নিয়ে।
তাদের মাঝে যোগাযোগের একটাই মাধ্যম , সেটা হলো ভার্চুয়াল জিনিস। হয় ফোনে তাদের ভাবনার বিনিময় ঘটে নয়তো চ্যাটিং এর মাধ্যমে আবেগের আদানপ্রদান ঘটে। তবুও হাজার মাইল দূরের দুটি মানুষ কিসের যেনো একটা বাধনে বাধা।
স্নিগ্ধ জানালায় বসে আছে। দেশে এখন চার নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারনে সারাদেশে বৃষ্টি নামছে। স্নিগ্ধ স্বাভাবিক একটি ছেলে। আর তাই আজকের আবহাওয়া তার মাঝে রোমান্টিক একটা আবহের সৃষ্টি করেছে; মাঝে মাঝে এটি মিনির শূণ্যতাকে প্রকট করে তুলছে|
জীবন থেকে নেয়া (টুকরা টাকরা গল্প)
আজকাল সাংবাদিকরা সবাই একযোগে এক কাজ করেন। বিশেষ করে কোন একটা কিছু হিট হয়ে গেলেতো কথাই নাই। সবাই তার পিছনেই ছুটবেন। ফেব্রুয়ারীতে বাংলা একাডেমীর বইমেলায় যেয়ে বাচ্চা আর বাচ্চার মায়েদের প্রশ্ন করা কেনো এই বইমেলা, একুশে ফেব্রুয়ারী মানে কি জানেন কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বেশির ভাগ সময়ই যেসব মায়েরা বা তাদের বাচ্চারা সঠিক উত্তর দিতে পারে না, তাদের সাক্ষাতকার চ্যানেলে প্রচার করা, সব চ্যানেলেই মোটামুটি এই কাজটা গেলো দু/তিন বছর ধরে যত্নের সাথে করে যাচ্ছে। এই কাজটা করা তাদের নৈতিক সাংবাদিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে গেছে। মেয়ের বাবা বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাসের জ্ঞানের এই বহর দেখে, এই পরিনতি নিয়ে যারপর নাই হতাশ। বিদেশে বসে নৈতিক হতাশা জ্ঞাপন করেন আর দেশের কি হবে ভেবে নিয়মিত আফসোসায়িত হন। আমি একদিন বল্লাম, চ্যারিটি বিগিনস এট হোম, তোমার মেয়েকেতো এতো একুশের প্রোগ্রামে নিয়ে গেছো, একুশে নিয়ে জ্ঞান দিয়েছো, কাঠ বিড়ালী কাঠ বিড়ালী আবৃত্তি করিয়েছো সাড়ে তিন বছর বয়েসে, তখনো বাংলা অক্ষর জ্ঞান নেই, কিন্তু ছড়া মুখস্থ করিয়েছি, জিজ্ঞেস করোতো ডেকে একুশে ফেব্রুয়ারী কি ব্যাপার?
যাপিত জীবনের গল্প-৪
ছোট বেলাতেই সব কিছুতেই সহজে হার মেনে নেয়ার একটা প্রবণতা ছিলো। যে কোনো কারণেই হোক, যা কিছুই ঘটুক খুব সহজেই হার মেনে নিতাম। হয়তো কোনো ভেজালে যেতে চাইতাম না বলেই অথবা খুব ক্ষীণ শক্তির অধিকারী ছিলাম বলেই।
কিংবা কখনো কোন কারণে মনে হয়নি আমার জিততেই হবে। কোন কিছুতে জেতার চেষ্টাও করিনি কখনো।
খুব ভালো ছাত্র যে কখনোই ছিলাম না সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। কিংবা ভালো ছাত্র হবার চেষ্টা কখনো করিনি। কখনো ক্লাসে প্রথম হওয়া ও তাই কোনোদিন হয়ে উঠেনি। তবে বই পড়ার প্রতি আমার ছিলো প্রচন্ড ঝোঁক। সেটা নিজের পাঠ্য বইয়ের প্রতি নয়, বড় বোনদের বাংলা কিংবা ইংরেজী বইয়ের গল্পগুলোর প্রতি। ওই বইয়ের গল্প পড়েই বিকেলের সময়টুকু কাটিয়ে দিতাম ।
ভবিষ্যত বলা কঠিন , তবুও সব বাবা মা নিশ্চয় তার সন্তানকে নিয়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম স্বপ্নটাই দেখে ।
বিড়ম্বনা
এখন এটা করে কিনা জানিনা কিন্তু আমাদের ছোটবেলায় হাইস্কুলের টিচাররা এস,এস,সি পরিক্ষার ফর্ম ফিল আপ করার সময় আমাদের অভিবাবকদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের জন্ম তারিখ আসল থেকে কমি্যে দিতো, কারন হিসেবে দেখানো হত সরকারী চাকুরির ক্ষেত্রে এটা হেল্প করবে,ভাল কথা। দুঃখের বিষয় হল ওই টিচাররা সবাই এতই বেকুব আর মাথামোটা ছিল যে কোন চিন্তা ভাবনা না করেই সবার জন্মতারিখ করে দিতো জানুয়ারীর পহেলা দিন , যেমন ০১-০১-০০। এখনএ
এখন যদি একই পরিবারের দু ভাইবোন বা চাচাতো, খালাতো ভাইবোন একসাথে পরিক্ষা দেয় সেক্ষেত্রে তাদের সবার জন্মদিন একদিনে হয়ে যাচ্ছ সবার জন্মদিন যদি এক হয় তাহলে চাকুরির ক্ষেত্র ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহা ঝামেলার সৃষ্টি হয়। বিসেশ করে বিদেশে এটা অনেক অস্বস্তিকর অবস্থার ভিতর ফেলে দেয়।