ইউজার লগইন
বিবিধ
শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে
শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাঝে ঝুলে আছে পৃথিবী। সব চাইতে বেশি এই শব্দটির ব্যবহার নারীদের পেছনেই হয়। নারীরাই সব অশ্লীলতার প্রতীক। যৌন আবেদন এর জন্য নারী, ভোগ্য পন্যের বিজ্ঞাপনে নারী, বোনের প্রতি ভালোবাসায় নারী, মমতাময়ী মা এর ভূমিকায় নারী। হয়তো অবাক হচ্ছেন অনেকেই, মা এর কথাটা এত পরে আনলাম কেন ? কারন মা আজ বিক্রি হচ্ছে পদে পদে। মা তার সংসার চালায়, মেয়ে তার বাবার সংসার চালায়। বউ তার নিজের সংসার চালায়। এই এত চালানোর মাঝে জীবন এগিয়ে গেছে। সমাজ এগিয়ে গেছে। বোরকা পরা নারীদের পাশে আজ চলছে বিশ্বব্যাপী নতুন ফ্যাশন । প্রতিদিন নতুন নতুন ড্রেস আসছে বিশ্ব বাজারে। যেগুলোর ফ্যাশন শো হয় আবার সেগুলো আমরা গনমাধ্যমে প্রকাশ করি। এর মাঝে প্রশ্ন আসে শ্লীলতার.. কোনটাকে শ্লীলতা বলে, কাপড়ের ধরন কে ? নাকি চোখের বা কামনার সংযম কে ? কথাগুলো খুব খারাপ ভাবে লেখা হচ্ছে । সেই জন্য অনেকেই আমাকে ভাবতে পারেন আমি তসলিমা নাসরিন এর উত্তরসূরী হতে যাচ্ছি কিনা ? না। আমি ফ্যাক্ট বলছি। একটা নারী কি পরবে ? বোরকা ?
বৃষ্টি বিকেল
বৃষ্টি তুমি অঝোর ধারায় ঝরো
সকাল বিকাল অলস দুপুর
নিজের হাতে গড়ো।
বৃষ্টি তুমি ফোঁটায় ফোঁটায় পড়
বিষণ্ণ এই সন্ধ্যাটিকে
রঙিন করে তোলো!
জুঁই চামেলী হাস্না-হেনা
ভেজা কদম ফুল,
ঝড়ো হাওয়ায় উড়িয়ে দাও
শ্যামলা মেয়ের চুল!
মেঘ বালিকার স্বপ্ন উড়ে
সাদা মেঘের ভেলায়
উদাস প্রহর পার হয়ে যায়
শেষ বিকেলের মায়ায়!
আকাশটা আজ কাঁদছে দেখে
মন খারাপের ঢেউ
তোমার বুকেও কান্না জমে
জানলো না কেউ।
কোথায়
প্রিয় মীর,
কোথায় আপনে ? হন্য হয়ে প্রতিদিন খুঁজি । প্লিজ মীর ! এ বি'র দোহাই লাগে ! এ বি লিভ করবেননা ! হৃদয় দিয়ে আপনার অনুপস্থিতি অনুধাবন করছি !
আমি জানি আমার কোন মন্তব্য আপনার বিরক্তির উদ্রেক করেছে । আমি এও বিশ্বাস করি ভিন্ন মতের প্রতি সহমত না হলেও মীর যথেষ্ট সহণশীল । কিন্তু আমি বুঝতে পাইনা মীর কেন দীর্ঘদিন প্রিয় ব্লগ ছেড়ে !
ব্লগার ভাইদের আটকে আমরা সবাই আহত । এ ক্ষেত্রে জাগরণ মন্চের ভুমিকাও আশাপ্রদ নয় । সাভারের ভবন ধ্বসে মানুষ হত্যা, জামাত-শিবির-হেফাজতের তান্ডব, পুলিশি অ্যাকশন, মানুষের প্রাণহানি, সবতাতে রাজনীতিকদের নাক গলানো এবং রাজনীতির রং ছড়িয়ে সুবিদা হাতানোর মরিয়া চেষ্টা ইত্যাকার নানা কারণে মানুষ দারুণ হতাশ । আর ঠিক এসময়ে মীরের মতো উদ্দীপ্ত তারুণ্য যদি পিছিয়ে পড়তে চায় সেটা হবে সবার ব্যর্থতা । আমি আশা করি আমরা সেটা হতে দেবোনা । মীর, এজ আই হোপ, অবশ্যই ফিরে আসবেন, লিখবেন...লিখবেন... এবং লিখবেন !
সাধারন একজন মায়ের একজন অতি সাধারন সন্তান
আমার মা, বড্ড সেকেলে !!!!
সে ফেসবুক বোঝে না ! মা দিবস সম্পর্কেও জানেনা !! কিন্তু সে আমার মা।
গতরাতে মায়ের সাথে কথা হচ্ছিলো,
- মা , কাল তো মা দিবস। এইদিন সবাই সবার মা'কে অনেক উপহার দেয়।
-- মা, দিবস আবার কি জিনিস ? মায়ের আবার কোন দিবস লাগে নাকি?
- তোমার কি লাগবে বলো?
-- আমার কিছুই লাগবে না। তুমি ভালো আছো?
- হুম, অনেক ভালো; কিন্তু কি লাগবে বলো ?
-- আচ্ছা যা মোবাইলে কিছু টাকা পাঠিয়ে দিও। এত্তো বড় হয়ে গেছে এখনো জ্বালায়।
- হা হা হা, আমি তো ভালো ছেলে !!! পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ছেলে। আমি আবার কিভাবে জ্বালাই?
-- হ তুমি তো সবার চেয়ে ভালো। ভালোই থেকো। কোন ভেজালে জড়িও না।
- আচ্ছা। মনে থাকবে।
-- রাতে ভাত খেয়েছো ?
- নাহ, একটু পরে খাবো।
-- কি রান্না করেছে আজ ?
- গরুর গোস
-- তোমাকে না বলেছি গরু খাওয়া কমাতে, এত্তো গরু খেলে তো প্রেসার বেড়ে যাবে।
- মা তুমি কোন টেনশন নিও না, আজই লাস্ট। এই সপ্তাহে আর গরু খাবো না।
-- মনে থাকে যেনো?
- আচ্ছা, মনে থাকবে। মা তোমার শরীর ভালো তো?
-- হ্যাঁ। এখন সুস্থ। তোমার অফিস ঠিক মতো চলছে তো ?
- হ্যাঁ, পারফেক্ট।
একটুখানি রবির গানে..
একটা সময় ছিল,
কোথাও রবিবুড়োর গান হবে শুনলেই দৌড়ে চলে যেতাম শুনতে।
বাসার কাছে হলে তো ভালোই, একটু দূরে হলেও সমস্যা নেই।
আজকাল আর তেমনটা হয় না, সময় করে আর যাওয়া হয় না।
সময়টাই খুব অস্থিরতার,
তাই আজকাল বলা চলে এইসব প্রোগ্রামের খবর চোখেই পড়ে না খুব একটা।
যাই হোক, প্রতিবছর রবি বুড়োর জন্মদিনে ৩/৪ দিনের রবীন্দ্র উৎসব আয়োজন করে থাকে বাংলাদেশ জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা বা পরিষদ। এবারও করেছিল।
৮ থেকে শুরু করে ১১ মে। আগে প্রায় প্রতিদিনই, এমনকি দিনে দুইবেলাও যাওয়া হত গান শুনতে। শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে।
এবার শুধু একদিনই যাওয়া হয়েছে, পরশু। কাল যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ছায়ানটের প্রোগ্রামে। সাভারেরর ভবনধ্বসে ১৭ দিন টিকে থেকে ৩৯১ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়ে আসা মিরাকল রেশমার আনন্দের রেশে আর যাওয়া হয় নি ওখানে।
পাবলিক লাইব্রেরি অথবা ছায়ানট, এইসব জায়গায় গেলে সবচেয়ে ভালো লাগে যে ব্যাপারটা তা হল একসাথে এত্ত মানুষ চুপচাপ মুগ্ধ হয়ে রবি বুড়োর গান শোনা। আর এইসব প্রোগ্রামে গেলে চেনাজানা গানের পাশাপাশি অনেক অচেনা আনকমন গানও শোনা হয়ে যায়, এই ব্যাপারটাও খুব ভালো লাগে আমার।
রানী যায় রাজা আসে
আজকে ৩০শে এপ্রিল ২০১৩তে সরকারীভাবে নেদারল্যান্ডসের রানীর রাজত্ব শেষ হয়ে আবার রাজার রাজত্ব শুরু হলো। ৩০শে এপ্রিল “কুইন্সডে” হলেও এটা রানী বিয়াট্রিক্সের জন্মদিন ছিল না। তাঁর জন্মদিন ছিল ৩১শে জানুয়ারী। ৩০শে এপ্রিল ছিল তার মা রানী জুলিয়ানার জন্মদিন। কিন্তু ৩১শে জানুয়ারী যেহেতু আবহাওয়া খারাপ থাকে, জনগন আনন্দ উৎসব করতে পারে না আর ৩০শে এপ্রিল সাধারণত একটু আবহাওয়া ভাল থাকে, চারদিকে ফুল আর পাখির গান তাই সর্বসম্মতিক্রমে বিয়াট্রিক্সের মায়ের জন্মদিনই এতোদিন কুইন্সডে হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে নতুন রাজা উইলাম আলেকজান্ডার এর জন্মদিন ২৭শে এপ্রিল, তাই আশাকরি কিংসডে পালন করতে বেশি অসুবিধা হবে না। রানী বিয়াট্রিক্স অনেক জনপ্রিয় ছিলেন কারণ তিনি বেশি রয়ালিটি মানতেন না। তাকে প্রায় এদিকে ওদিকে জীন্স পরা অবস্থায় সাইকেল চালাতে দেখতে পাওয়া যেতো। খুব বেশি বডিগার্ড সিকিওরিটি এগুলোর ধার ধারতেন না।
কষ্ট কিম্বা হতাশা
কিছু করার নাই । মনটা খারাপ ।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম ধারনা করার একটা শখ আমার মজ্জাগত। কাজেই আমি জানতাম আমি একটা বিপদে পরতে পারি। তাই, সত্যিই যখন বিপদ হতে চলল তখন আমি কিছুটা শুন্যতা টের পাই ।
নিরবে সময় কাটানো, আত্বকেন্দ্রিকতা ...কিছুই করার নেই । শুধু ভেবে যাওয়া এর পর কি করব।
(কিছুটা ভাবনা শেয়ার করার জন্যেই)
মানুষ অন্যের জন্য তখন এ এগিয়ে আশে যখন তার মন থাকে চিন্তামুক্ত । অর্থনৈতিক, পরপকার ব্যাপার টা পুরোটাই মানসিকতার ব্যাপার।
সিলেট কিম ব্রিজ এর নিচে যে লোক রিকশা ঠেলে তাকেও মাঝে মাঝে আমার একজন ডাক্তার থেকে বেশি সুখি মনে হয় (এইটা ব্যক্তিগত মত)। তাদের মন মানসিকতা অনেক সময়ই দেখি আমাদের থেকে অনেক এ মানবিক। ক্রমশ উন্নত জীবন যাপনের চেষ্টা আমাদের অনেকই যান্ত্রিক করে দেয়। আমরা তখন দেখতে পাই না চার দিকে কি হচ্ছে । হইত আমি ও তাদের কাতার এর ই একজন। তবে এক্ষেত্রে কিছু মানুষ এখন ও টিকে আছেন যারা নিজের অপারগতা স্বীকার করেন , অন্যের উপকার করা কে শ্রদ্ধা করেন , বিনা কারনে তেনা পেচান না , অন্যের খুত ধরে নিজের সংকীর্ণতা ঢাকতে চান না ।
একজন ডাক্তার এর হতাশা দিয়েই শেষ করি ...
একজন সুইপারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা।
২০০২ সালের দিকে আমি কাজ করতাম কালুরঘাটস্হ রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলে।সেখানে ৩০/৩৫ বছরের বোকা-সোকা ধরনের একজন লোক কাজ করতো।তার নাম রাজু।রাজ বিহারী জলদাস(রাজু)।তত
তার সাথে আমার দারুণ ভাব ছিল।আমাদের ভাবের মূল কারণ আমরা দুজনেই একটু বেকুব(বোকা)টাইপের মানুষ।আমি কাজ করতাম যন্ত্রিক বিভাগে আর সে ছিল সুইপার মানে টয়লেট পরিস্কার
করতো।সেজন্য অনেকে আমাদের ভাবটাকে একটু বাঁকা চোখে দেখতো।সময়ে অসময়ে রাজু আমার কানের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান করতো তাকে যেন আমি উপর থেকে নিচে নামিয়ে আনি অথাৎ
অফিসের টয়লেটগুলো ছিল দোতালায়।তার এই কাজ করতে ভাল লাগেনা।নাকে সব সময় গন্ধ লেগে থাকে।ঠিকমত খেতে পারেনা।তাছাড়া তার পূর্বপুরুষরা কেউ এই পেশায় ছিলনা।রাজুরা
বংশ পরিক্রমায় সবাই মৎস্যজীবি।আমি তাকে উল্টো প্রশ্ন করতাম তহলে এই লাইনে এলি কেন ? তার সোজা সাপ্টা জবাব পেটের দায়ে।আমি চুপ করে থাকতাম। রাজুকে আমি বোঝাতে
পারতামনা ছাপোষা একজন জুনিয়র অফিসারের পক্ষে একজন সুইপারকে প্রমোশন দিয়ে জেনারেল লেবার করার ক্ষমতা আমার নেই।
দ্বিতীয় ট্র্যাজেডি কি হব তাহলে আমরা রানা প্লাজার অনুরুপ ???
সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আমি অনেক দিন ধরে অধ্যয়নরত । এই ভার্সিটি সিলেটের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভারসিটি হিসেবে পরিচিত । নিজেদের যোগ্যতা তা দ্বারা আমাদের এই ভার্সিটি এখন সিলেটের অন্যতম নামকরা একটি প্রাইভেট বিশ্ব বিদ্যালয় । প্রতি বছরই এখানে প্রায় হাজার খানেক স্টুডেন্ট ভর্তি হয় । বিশেষত বিবিএ ডিপার্টমেন্টে । কিন্তু অনেক দুঃখের সাথে লিখতে হচ্ছে যে । সাভারের রানা প্লাজার মত আমাদের এই ভার্সিটির বিল্ডিঙের মধ্যেয় রয়েছে অনেক ফাটল । এখানে উল্লেক্ষ আমাদের এই ভার্সিটি মধুবন নামে একটি মার্কেটের উপর অবস্থিত । সেই মার্কেটের বিভিন্ন অংশেই রয়েছে ফাটল । সম্প্রতি সিলেটে ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পে এই ফাটল বেড়েছে । এখানে বলে চলে প্রতিনিয়ত এই মার্কেটের ভিতরে প্রায় ২৫০০ থেকে ৩৫০০ মানুষ চলাচল করে ।
পায়ের ধুলো নেই-১২
ওটা কি বল? নাতো ওটা দেখি শক্ত। বা রে, গায়ে আবার প্যাঁচানো আছে ট্যাপ। লাল রঙের। এই ট্যাপ দিয়েই টেনিস বলকে ট্যাপ-টেনিস বানানো যাবে। দারুণ আনন্দ হয় ছেলেটির। সে আনন্দ বিজয়ের। টেনিস বল একটা থাকলেও তাকে ট্যাপ -টেনিস বানানোর শখ পূরণ করা যাচ্ছিল না কোনভাবেই। হাসিতে উজ্জল হয় দিন।
অবশ্য দিনটা একটু অন্যরকম। গাড়ির প্যা পো খুব একটা নেই। মাঠেও জমছে না খেলা। অনেক মানুষ নেই বলে মাঠটিকে লাগছে বেশ বড়। এটা ছেলেটির কাছে এক বিস্ময়। মানুষ কম থাকলে মাঠ কেন বড় হয়ে যায়! আবার কেউতো মাঠের কোন অংশ বাড়ি নিয়ে যায় না।তাহলে বেশি মানুষ হলে মাঠ কেন ছোট লাগে! যাহোক, শক্ত কৌটাটা আপাতত বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাক।
লাল রঙ দেখে ছোট বোনটা ঘুর ঘুর করে ভাইয়ের পাশে।সে পড়ে টু-তে।তোমার হাতে ওইটা কী ভাই?
কী জানি। এইটা থেকে ট্যাপ এনে টেনিস বলে লাগাবো। ট্যাপ টেনিস হবে।
আমারে খেলতে দিবা।
দিমুনে। বাবা কাজে গেলে আসিস।
বাবা কাজে যায়।মা রান্নায় ব্যস্ত হয়। ঘরের দরজা বন্ধ করে ভাইয়ের কাছে আসে মেয়েটি।সে টু-তে পড়ে। জানালা দিয়ে আসা রোদ ঘরকে যথেষ্ট আলোকিত রাখে।
কই ভাই, ট্যাপ-টেনিস বল বানানো শেষ?
পায়ের ধুলো নেই-১১
স্যার ফুল নিবেন? তাজা গোলাপ ফুল। মাত্র বিশ টাকা।
দুই তোড়া ফুলসহ নিজের মাথা গাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে জানতে চায় মেয়েটি। বয়স কত হবে ? বিশ বা বাইশ। কোলে শিশু। শিশুটি মাথায় ছোট ছোট চুল তেল দিয়ে ল্যাপ্টানো। মেয়েটির চুল বেণী করা। সেই বেণী ঝুলিয়ে দেয়া আছে মাথার দুদিকে। একদিকের বেণী আঁকড়ে আছে শিশুটি।
গাড়ি মানে বাংলাভিশনের গাড়ি। আট ঘণ্টা ডিউটির ক্লান্তি দূর করতে মিশে আছি সিটের সঙ্গে। মেয়েটির বয়স বেশি বলে কৌতুহল একটু কম। আট দশ বছরের কেউ বা কোন কিশোর বা কিশোরী ফুল বেচতে এলে তার কৌতুহলের কমতি থাকে না। প্রথমে তারা জানতে চায় ফুল কিনবো কি না? তারপর উঁকিঝুঁকি দেয় নায়ক-নায়িকা দেখার আগ্রহ থেকে। তাদের কাউকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়। তারপর দুয়েকটা মন্তব্য করে কেটে পড়ে। তাদের খাতায় বাকী দেয়া বলে কিছু থাকে না। পনের টাকা দাম চাইলে দশ টাকায় কেনা যায়। সে অভিজ্ঞতা এখন আর মিলছে না। মেয়েটার কৌতূহল কম কিংবা সন্ধ্যার অন্ধকারে বুঝতে পারে না এটা টিভির গাড়ি।
নিবেন? তাজা আছে।
পায়ের ধুলো নেই-১০
হৃমায়ূন আহমেদ: যে ছিল এক মুগ্ধকর। এটি স্থপতি শাকুর মজিদের বই। হুমায়ূন আহমেদকে যেভাবে দেখছেন তার বর্ণনা। আমার ভালো লেগেছে। বইটি পড়া শেষ হতে না হতে হাতে নেই হুমাযূন আহমেদ স্মারকগ্রন্থ।পড়ি আর আমার একটা ধারণা গলে গলে মন থেকে বেরিয়ে যায়। আমার মনের গভীরে একটা হাহাকার তৈরি হয়। একটা ভাবনাকে আঁকড়ে থেকে আমি দুর্দান্ত কিছু স্মৃতি তৈরি থেকে বঞ্চিত থেকেছি। বঞ্চনার কথা বলার আগে ধারণার কথা বলি। আমি মনে করতাম লেখকের সঙ্গে পাঠকের সম্পর্ক ব্যক্তিগত নয়। ব্যক্তি মানুষটার কাছাকাছি যাওয়ার কোন মানে নেই। লেখক অনেক দিন বেঁচে থাকুন এই কামনা করি তাঁর অনেক লেখা পড়ার আ্গ্রহ থেকে। কিন্তু বই দুটি পড়ে মনে হলো হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি হলে জ্ঞানের রাজ্যে আরো সাবলীল হতে পারতাম।
ম্যাঙ্গো পিপল এবং আমের "আঁটিখেলা "
বাড়িতে শেষ দিনটা কাটালাম আজ। আক্ষরিক অর্থেই শেষ দিন কাটালাম, ভাবতেও অবাক লাগে সারা দিন বাড়িতে কাটানোর পর এখন রাত বারটায় শুয়ে আছি বাড়ি থেকে আশি কিলোমিটার দূরে!
বিষাদলোকের জোছনায় ভেসে যেতে, ভালোবেসে – কিছু কথকতা..
বেশ অনেকদিন ধরেই মনে হচ্ছিল আজকাল লুপে ফেলার মত নতুন গান বলতে গেলে আসছেই না। মাঝে মাঝে কালে কদাচিৎ কিছু হয়তো মিলে। কিন্তু তার জন্যও আজকাল হাত বাড়াতে হয় ওপার বাংলায়। কিছু কিছু সময়ে একসাথে যখন অনেকগুলি এলবাম রিলিজ পায় তখন দেখা যায় কয়েকটা গান পাওয়া যায় যা হয়তো কয়েকবার শোনা যায়। কিন্তু টানা শুনে নেয়া যাবে, আবার শোনা যাবে এমন কোন গানের এ্যালবামের কথা ভাবলে কিছুই মাথায় আসে না আমার।
খারাপই লাগে ভাবতে। সেই কবে পেয়েছিলাম কৃষ্ণকলি'র 'সূর্যে বাঁধি বাসা', অর্ণবের 'হোক কলরব' অথবা হাবিবের 'শোনো'। প্রায় সবগুলা গানই ছিল শোনার মত, দুয়েকটা ছাড়া কোন গানই স্কিপ করতে হত না। একবার ছেড়ে দিলেই হত, দিব্যি হারিয়ে যাওয়া যেত। তেমন এ্যালবাম আর পাওয়াই যায় না, এই আফসোস আমার মাঝে মাঝেই ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে।
বাংলাদেশের শিক্ষা সমসাময়িক ভাবনাঃ একটি জরুরী ভাবনার বই!
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসা শিক্ষা নাকি জাতির মেরুদন্ড। তখনো আমি মেরুদন্ড মানে কি জিনিস তা জানতাম না। ভাইয়া প্রথমে চিনিয়ে ছিলো মেরুদন্ড মানে পিঠে যে হাড়ের উপর দিয়ে সোজা রাখে। আমার কাছে তখনও শিক্ষা কেনোইবা এতো গুরুত্বপুর্ন?