ইউজার লগইন
বিবিধ
আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু
্বেশ দীর্ঘ সময় ধরে ব্লগে লেখা হয়ে উঠেনি । লেখার মতো কোনো বিষয় ছিলো না এমন নয়। তবুও লেখা হয়নি। আমি বরাবরই "ব্যাক ব্যাঞ্ছার" ছিলাম। ব্লগ লেখাতে ও তার ব্যতিক্রম নই। যখন ই কোনো লেখা লিখবো বলে স্থির করি তার আগেই তা নিয়ে ব্লগের পাতা ভর্তি হয়ে যায়।। ওই সব লেখা পড়ার পর আর নিজের লেখা হয়ে উঠেনা। আস্তিকতা, নাস্তিকতা কিংবা ছাগু এটাও খুব পুরোনো বিষয় , তবুও আজ লিখতে হচ্ছে এইটা নিয়ে। আশা করি লেখাটা আমি সবাইকে বুঝাতে পারবো । আমার বুঝিয়ে বলার ক্ষমতা কম । তাই যারা পড়বেন তাদের বলছি। পড়ার সময় একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়বেন।
বর্তমানের প্রচলিত তিনটা শব্দ আস্তিক, নাস্তিক এবং ছাগু। সমমনা ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে এই উপাধি গুলোর কোনোটা না পেয়ে থাকলে বুঝতে হবে আপনি কথা কম বলেন। আর যদি বলে থাকেন , তাহলে এতোদিনে যে কোনো একটা পেয়ে গেছেন । অবশ্য আস্তিক উপাধিতে কেউ গালি দেয়না। তবে আস্তিক শব্দটা নাস্তিক এর বিপরীত হিসেবে মুখে মুখে চলে এসেছে। তাই আস্তিক শব্দটা নিয়ে কিছু বলার নাই।
মাই ড্রিমজ ১
স্বপ্ন জিনিসটা ধ্রুবক না। সময়ের সাথে সাথে স্বপ্নও পাল্টায়। স্বপ্ন, এমন কি দুঃস্বপ্নও আমার কাছে উপভোগ্য। স্বপ্ন বাস্তব হলো কি না, এই হিসাব মেলানোর চেয়ে স্বপ্ন দেখাতেই, উপভোগ করাতেই আমার বেশি আনন্দ।
আমার একটা স্বপ্ন আছে, খুব ছোট্ট একটা সবুজ টিনের ঘরের স্বপ্ন। সেই ঘরের সামনে থাকবে একচিলতে উঠোন। উঠোনের সীমানা ঘিরে থাকবে ঘন দেবদারু গাছ। সীমানার মাঝখানটায় থাকবে মাঝারি একটা বাঁশের গেট। গেটের সামনে, বাড়ি ঢোকার লাল খোয়ার চিকন পথ ছেড়ে, টলমল করবে ছোট্ট একটা ডোবা। এই ডোবায় খুব আদরের সাথে কিছু লাল শাপলা রাখা হবে। এই ডোবার সামনেই থাকবে একটা শাদা রঙ করা কাঠের বেঞ্চ। এই বেঞ্চে হেলান দিয়ে কোন কেশবতী ইচ্ছা করলে মাটিতে চুল ছড়াতে পারবে।
ওপরে সবুজ টিন আর নীচে বাঁধানো মেঝের মাটির ঘরটায় তেমন কিছু থাকবে না। একটা তোষক। সবুজ মশারি। নীল বিছানার চাঁদর। ফিরোজা বালিশ। একটা বড়ো ফ্লাস্ক। দুটো খয়েরি মগ। মেঝেয় ছড়ানো ছিটানো থাকবে বই খাতা আর কলম।
চলবে...
সাদাসিধে কথা
আজ তেইশ দিন হল বাংলার দামাল ছেলেরা পথে নেমেছে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে আর তাতে সমর্থন জানিয়ে যোগ দিয়েছে লাখো জনতা। মন ভরে যায়। সচরাচর এই দেশের প্রেক্ষাপটে মন ভালো হবার মতো কিছু তো ঘটে না। তাই ব্যাক্তিগত অনেক সুখদুঃখ ভুলে এই শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ডুবে আছি দিনরাত।
এরই মাঝে খেয়াল হল আজ আমার গুড়ি মেয়েটার বয়স ছয়মাস হয়ে গেলো।আমার দুই মেয়ে –রাইসা রাইমা, ওদের নিয়ে আমার এই নন্দনকানন। বড়টির আট বছর।
আমি কে ?
(এই লেখাটি অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা কথার সংকলন, আমার মনের কথা। যা একটির সাথে সাথে আরেকটির মিল নাও হতে পারে। পাঠক ক্ষমা করে দেবেন।)
আজকের জামাতে ইসলামী শিবির ও সমমনা ১২ দলের নগ্ন হামলা কর্মকান্ড ও জাতীর বিবেকের কাছে কিছু প্রশ্ন ।
আজ সারাদেশে জামাতে ইসলামী , শিবির আর তাদের সমমনা ১২ ইসলামী দল যে ভেলকি দেখালো তাতে কি তারা তাদের অস্তিত্বের প্রমান দিল নাকি শক্তির জানান দিল ?
শহীদ মিনার ভাঙ্গা , জাতীয় পতাকা পোড়া , সাংবাদিক , পুলিশ , সাধারন মানুষের উপর হামলা , জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া সহ গনজাগরনের মন্চ গুলো ভাঙ্গা সহ কি করেনি তারা ? এর থেকে বড় দেশদ্রোহী কর্মকান্ড আর কি হতে পারে?
আজ ধিক্কার তাদের যারা জামাতে ইসলামী আর শিবিরের সাথে তাদের একাত্বতা প্রকাশ করেছে তাদের ।
তবে এতে অবাক হবার কি আছে ? এটা তো এদের কাজ । ধর্ম হল তাদের রুটি রুজি । আর আমাদের সাধারন জনগন হল এই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বলির পাঠা । কিন্তু এই মানুষ গুলো কি মূর্খ ? কোনটা ভাল কোনটা মন্দ তা কি তারা বোঝেনা ? ধর্মকে পুজি করে সাধারন মানুষ নিয়ে খেলছে এই ইসলামী দল গুলো । আর এই ধর্মান্ধ মানুষ গুলো তাদের পিছনে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত ছুটছে ।
চিলে কান নিছে বলছে হুজুরে,
আনতে পারলে কান,
যাইবো জান্নাতে ।
জামায়াত আর শিবির বড় নাস্তিক।
যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে সে আস্তিক আর যে না রাখে সে নাস্তিক , তাই না ? নাকি যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে আর তার কথা মেনে চলে সে আস্তিক ? জামায়াত আর শিবির কি করে ? ধর্ম কে ঢাল করে রাজনিতী , মানুষ খুন , জিহাদের নাম এ মানুষ হত্যা , ওরা কি জানে আল্লাহ তার বান্দাদের কি করতে বলেছেন আর কি করতে বলেনি ? বিদায় হজ্বের ভাষন কি ওরা ভুলে গেছে ?
সব ভুলে গেছে ওরা জামায়াত আর শিবিরের আল্লাহ হল গোলাম আজম আর নবী হল সাইদি,মুজাহিদ,কাদের মোল্লা । কারন জামায়াত আর শিবির আমাদের আল্লাহ,মহানবী(স:) আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ কোনোটাই মেনে চলেনা তাদের রাজনৈতিক গুরু যাদের তারা তাদের আল্লাহ মানে তাদের কথা তারা মেনে চলে । তাহলে ভেবে দেখুন জামায়াত আর শিবিরের থেকে বড় নাস্তিক কোথাও আছে কি ? যেসব জামায়াত আর শিবিরের নাস্তিক রা এ পোস্ট টা দেখবেন তাদের জন্য আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) এর বিদায় হজ্বের ভাষন টি নিচে তুলে ধরলাম। কোনো কমেন্টর করার আগে একবার পরবেন।
¤ বিদায় হজ্বে আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ঐতিহাসিক সেই ভাষনের কিছু অংশঃ
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাটাঃ-
আইচ্ছা, পিরে আসার্পর আবার্ফের চৈলাগেস্লাম। শাবাগে ডাক দিসিলো যেডি এরাইতে পারিনাই। হাজার্হৌক, দেশের্ডাক এরানি যায়না। পৈলা পৈলা পতিদিং গেসি, এক্সপ্তা পরেত্থে যাউয়া কোমাইয়া দিসি। প্যাটের্ধান্দায় থাক্তে হৈলে এট্টুহিসাব কর্তেই হৈ। যাউজ্ঞা এলা, যা কৈতেসিলাম- শাবাগের আন্দুলুন আমার্ভিত্রে জোশাইনা দিসিলো। কিন্তুক রিসেং কামকার্বারে হাল্কিশ ঝাস্পা হৈয়া যাইতেচি আর্কি। অবৈশ্য আমার্ঝাস্পা হোউয়ায় আস্লে কিছু যায়াসে না। ত্য হাচা কৈতেছি বেলুঙ্গের কতা হুনলেই কেরাম কন্ডম কন্ডম চিন্তা মাতায় হান্দায় যায়, কিকর্মু? মনৈ পাপ। আমি হ্লায় সুবিদাবাদির *ট, হেল্লিগা আমার্কতায় কান্দিয়েন্না। পোলাপাইনে কস্ট কর্তেছে অবৈশ্যৈ সফল হৈবো। যত দুয়া কালামজানি পর্তেছি সবার্সাফল্যের লাইগ্যা।
আইজারা আবার্ফের হাজির্হৈসি আরেআরেক্কান প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য হাতেরাঙ্গুলের ডঘায় লৈয়া। আপ্নেগোর খিদ্মতে প্যাশকর্তেচি এইবেলা
এনাএনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
আম্রার পুতলা আম্রারে কয় মেও
তুম্রার পুতলা কেম্মে চুম্মা দেও
তুমার চৌক্ষে যকন রাকি চৌক্ষ
পাংখা মেইল্ল্যা উইরা যায়গা দুক্ষ
খুঁজে পাওয়া প্রাণের স্পন্দন ও একটি প্রতিজ্ঞা
বইয়ের সাথে পরিচয় ও সখ্যতা সেই ছোটবেলা থেকে(পাঠ্য বই ভেবে ভুল করবেন না কিন্তু)। বইয়ের প্রতি ভালবাসাটা অনেকটা উত্তরাধিকার সূত্রেই পেয়েছি। বুঝতে শেখার পর থেকেই বইয়ের অরণ্য দেখে আসছি। আব্বা বাড়িতে যেখানেই ফাঁকফোকর পেতেন সেখানেই আলমারি বসিয়ে তাঁর বইয়ের সংগ্রহ বাড়াতেন। আমার এক দাদি আছে প্রায় ৭০ বছর বয়সী, কিন্তু এখনো উনি চশমা চোখে বই পড়েন। পরিবারের আবহাওয়াই যদি এমন বইময় হয় আমি কি এর বাইরে যেতে পারি?
আমি ত্রাণপ্রার্থী
ব্লগার মুরুব্বিগো কাছে আবদার, আমারে একটা রুটিন কইরা দেন। রুটিনে ৮ ঘন্টা থাকব ঘুম। ৬ ঘন্টা থাকব চরম বিতৃষ্নার কাম, সুশিল সমাজ যারে কয় "লেখাপড়া"(সাবজেক্ট হইতাছে পদার্থবিঞ্জান নামের মোটামুটি সুখাদ্য, রসায়ন কথিত রস-কষবিহীন আজরাইল, গনিত নামের কুখ্যাত মাস্তান এবং উদ্ভিদবিঞ্জান ও প্রাণিবিঞ্জান নামের খচ্চর দুই ভাই-বোন)। আর ৪ ঘনটা থাকব নেটে গুঁতাগুঁতির কাম। মুরুব্বিরা, বড়ই বিপদে পইড়া আপনাগ কাছে সাহাইয্যের আবদার লইয়া আইছি। কলম আর কাগজ লইয়া যুদ্ধ কইরা আইজকা আমি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, পরাজিত। কলমের কালি আর খাতার কাগজ নষ্ট কইরা জাতীয় সম্পদের ক্ষতি সাধন করাই সার হইছে, কিন্তু কুনো কাম হয় নাই। আমি জানি আপনেরা আমারে খালি হাতে ফিরাইবেন না(ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করলাম, হে…হে…হে…)। আমি আপনাগো ত্রাণের আশায় অপার হইয়া বইসা আছি…
লেখার কার্য-কারণ বিষয়ক ব্যক্তিগত কৈফিয়তনামা....
কেউ কেউ থাকে এমন যাদের কিছুতেই কিছু হয় না। তারা ঠিকমতো না শেখে লেখাপড়া, না শেখে কোনো কাজকর্ম। তারা না লাগে হালে, না লাগে জালে। না হয় ঘরকা, না ঘাটকা। তারা বাপে খেদানো, মায়ে তাড়ানো। সমাজে তাদের আলাদা একটা পরিচয় আছে।
শাস্ত্র বলে- ‘অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই’। বিজ্ঞজনেরা তাই অপচয় হবে বোধে বেশি শব্দ ব্যবহার করেননি, একটি মাত্র শব্দ বরাদ্ধ করেছেন তাদের জন্য- অপদার্থ। জ্ঞানীদের তো আর সাধে জ্ঞানী বলে না, একটি মাত্র শব্দ, কিন্তু তাতেই কেমন স্পষ্ট ফুটে উঠেছে পরিচয়, চারিত্র- ‘হেড টু টেইল’!
ওয়ানস আপন আ টাইম দেয়ার লিভড আ কিং কলড আপ্পু রাজা
ওয়ানস আপন আ টাইম দেয়ার লিভড আ কিং কলড আপ্পু রাজা
টুনির কাছে টোনার চিঠি
ওহে আমার টুনটনি বউ,
আমায় কথায় কথায় এত বকিও না। তোমার সুমধুর কন্ঠ হইতে রোজ যে ভৈরবী রাগ আমার প্রতি ঝরিয়া পড়ে তাহা আমার হার্টের জন্য বেশি সুখকর নহে। ডাক্তার টিয়া ভাই বলিয়াছেন আমায় শব্দ হইতে দূরে থাকিতে। টিয়া ভাইয়ের বউটা কি চুপচাপ! খুবই ভালো লাগলো। মেয়েরা এত চুপচাপ হয় ভাবাই যায় না।
বউ আমার, তোমার খোটা খাইতে খাইতে আমার স্নায়ুগুলি দূর্বল হইয়া গিয়াছে। বিশ্বাস না হইলে টিয়া ভাইয়ের বউকে জিজ্ঞাস করিয়া দেখ।
কথায় কথায় তুমি বলিয়া ওঠ আমায় বিয়া করিয়া নাকি তোমার কপাল পুড়িয়াছে। তাহলে টিয়া ভাইয়ের বউয়ের কথা শুনিয়া তুমি এত জ্বলিয়া উঠিয়াছো কেন? তোমার অকর্মণ্য বরকে কেউ কাড়িয়া লইলে তো তোমার বাঁচিয়া যাইবার কথা।
পরিশেষে বলিতে চাই, তোমায় ভালোবাসি। মিলমিশ করিয়া চল আগের খুনসুটি দিনগুলিতে ফিরিয়া যাই। ছানাগুলি কাহার দোষে পড়িয়া যাইতে যাইতে বাঁচিয়াছে এই লইয়া ঝগড়া না করিয়া চল দুইজনই সাবধান হইয়া তাহাদের উড়াইতে শিখাই। পাতার ছায়ায় বসিয়া গান গাওয়া, বালুতে রোদ পোহানোর মত কত সুন্দর স্মৃতিই না আমাদের রহিয়াছে।
বউ, তুমি কি আমার সাথে সেই দিন গুলিতে ফিরিয়া যাইবে?
ইতি
তোমার টোনা বর
দু:খিত শিশির - ভালবাসার বিনিময় মূল্য নিশ্চিত জেন পৃথিবীতে নয় - আশা যদি করতেই চাও - তবে প্রার্থনা কর প্রাপ্তি যেন পরকালে হয়.
দু:খিত শিশির - ভালবাসার বিনিময় মূল্য নিশ্চিত জেন পৃথিবীতে নয় - আশা যদি করতেই চাও - তবে প্রার্থনা কর প্রাপ্তি যেন পরকালে হয়.
প্রিয় ল্যাপটপটা বেকায়দা ভঙ্গিতে ফ্লোরে পড়ে আছে - ডালাটা প্রায় বিচ্ছিন্ন - বোঝা যায় - অক্ষম আক্রোশের প্রথম ঝড়টা তার উপর দিয়েই গেছে - দেয়াল জোড়া ডেকোরেশন গ্লাসে চির ধরেছে - ভারী কিছুর আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট - বুকশেলফের সমস্ত বই মেঝেতে লুটাচ্ছে - দামী গীটারটাকে ভেঙ্গে দু' টুকরো করা হয়েছে - দরজায় দাঁড়িয়ে ক্ষতির পরিমাণ মাপছি - ব্যাকুল চোখ খুঁজছে পছন্দের মানুষটিকে - ওই তো আছে - প্রমাণ সদৃশ খাটের এক কোনায় বাঁকাচোরা ভঙ্গিতে পড়ে আছে ছেলেটি - আমার একসময়কার ভীষণ স্নেহের পাত্র - শিশির - আমার প্রাক্তন ছাত্র
.
বিত্তবান মানুষদের প্রতি আমার এক ধরনের অকারণ ঘৃণা আছে - এই শ্রেণী থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকতেই আমার ভালো লাগে - শিশিরদের পরিবারটি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল - মফস্বল ছেড়ে তখন মাত্র রাজধানীতে পা রেখেছি - ন্যুনতম বেতনে একখানা চাকরি করি - আর্থিক টানা পোড়নে ভীষণ বিব্রত - কাজেই সহায়ক উপার্জনের পথ হিসেবে বেছে নিলাম গৃহশিক্ষকের দায়িত্ব.
প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার চিঠি
প্রিয়তম কুদ্দুস,
তোমার পরিবার হইতে আমাদের বাড়ি বিবাহের প্রস্তাব আসিয়াছিল। আমার আনন্দরাশি বিকাশিত হইবার পূর্বেই তাহারা জানিতে চাহিলো আমার সুখের জন্য খুশী হইয়া আমার পিতা তোমাদের কি দিবার চান। আমার পিতা জানাইলো “দু’আ”। তাহারা আমোদ পাইলো বলিয়া বোধ হয়। তাহারা আরো জানাইলো যে বাড়ীর বউয়ের বাহিরে চাকরী করা তাহাদের রীতিতে নাই। ভালো মেয়েরা চাকরী করে না। আমার গায়ের রঙ কালো বলিয়া তাহাদের চোখে বেদনার আভাস দেখিতে পাইলাম।
প্রিয় কুদ্দুস, তোমার পিতা মাতাকে এত বেদনা পাইতে মানা করিয়া দিও। বলিয়া দিও আমাকে তুমি বিবাহ করিতেছ না। ইহাতে তুমি ও তাহারা উভয়ই সুখী হইবে।
জয় মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার জয়
মহাপ্রভুর প্রিয় অবলম্বনদ্বয় তথা তর্জনি এবং মধ্যমার সহাবস্থান নিশ্চিত হওয়ায় , জ্বলন্ত মহাযোগী ধুম্রশলাকা মহাপ্রভুর নির্দেশিত পথানুরাগী একান্ত ভক্ত , অনুসারী , হন্টক কিংবা পলাতক বশ্যতা স্বীকারপূর্বক প্রভু কর্তৃক দীক্ষিত উপায়ে প্রভু ধুম্রশলাকার নশ্বর দেহের ক্রমাগত জ্বলন বলপূর্বক ত্বরান্বিত করিয়া তাঁহার অন্তেঃষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করিয়া চলিয়াছে নিরন্তর । তথাপি মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার অস্তিত্ব যেমন চির অক্ষয় , তেমনি তাঁর প্রতি অনুসারীদের পরম ভক্তিও চির অম্লান । সাকার এই মহাপ্রভুর দৃশ্যত জ্বলনে প্রাপ্ত ধুম্রজালের অদৃশ্য অন্তর্নিহিত বস্তুগত এবং ভাবগত অপার কৃপায় গুনগ্রাহীগণ অমৃতসুধা পাইলেও পাইতে পারেন , যদি তাহা তিনি হৃদয়গত বিশ্বাসে গ্রহণ করিয়া থাকেন ।
কৃতজ্ঞতায় - মহাপ্রভুর একনিষ্ঠ এক শিষ্য ।
জয় , মহাপ্রভু ধুম্রশলাকার জয় ।