ইউজার লগইন
বিবিধ
~!!~নিরবে থাকা স্বপ্নসুখ আর নিশি জাগা একাকীত্ব~!!~
[ কিছু অনুভুতি শেয়ার করার জন্যই এই লেখা ]
নিরবতাই আমার ভাললাগা-
শীতের কুয়াশার চাদরে শিতল হয় অতৃপ্ত আত্মা।
ধীরে ধীরে শান্ত হয় নগরী-আমি জেগে থাকি শুধুই
নিরবতা উপভোগ করব বলে ।
একা থাকা কিম্বা নিরবতা –এর মাঝে সুখ বিস্তর ।
জানি তুমি কষ্ট পাবে হে প্রিয়তমা অথবা জননী, তবু বলে রাখি =
আমার নিজের সত্তার সাথে কিম্বা আকান্ত আমাতে একটু নিমগ্ন হতে গেলে –
তোমাদের কি খুব কষ্ট হবে ?
আমি নিজের মত আপন মনে সুখে থাকি তবুও কেন=
প্রশ্নবানে জর্জরিত কর আমাকে ? কষ্ট পাই ভীষণ- অপরাধী লাগে নিজেকে ।
তোমরা তো জান তোমরাই আমার সব । আমি তো অমানুষ নই।
আমার , আমিতে আত্মনিমগ্নতা –এ এক স্বর্গীয় সুখ।
তবু কেন তোমাদের এত শঙ্কা?
না । আমি কোন কষ্ট পাচ্ছিনা।
নেই কোন অভিযোগ।
আমি আমার ব্যস্ততম দিনের শেষান্তে ।
আমি ভালবাসি আমার আত্মীয় –পরিজন- প্রকৃতি- আর প্রিয়তমা ।
আমাকেও তো আমি ভালবাসি?
নিজের জন্য কি এতটুকু স্বাধীনতা থাকতে নেই ??
স্বপ্নলোকের স্বর্ণ সিরিতে আমার পদচারনা থমকে যায় –
ফোন এর ওপাশের কথা শুনে-
কম্পিউটার গেমস
আনইন্সটল করে দিলামEmpire Earth III। তিন সপ্তাহ ধরে এটা আমার মাথা খেয়ে আসছিল। এর আগে গিলেছিলাম Empire Earth II,সবচেয়ে বেশী আসক্ত ছিলাম Empire Earthএ। এই গেমসটি অফিসে বসেও খেলেছিলাম কয়েকদিন
ভার্সিটিলাইফে ফিফা ৯৮ থেকে ২০০৬ সবগুলো খেলেছি, এরপর খেলেছি FIFA 11।ভার্সিটিতে উঠেই খেলেছিলাম Need for Speed II, Underground, Hot Pursuit । Need For Speed III খেলার সময় শ্রীকান্তের রবীন্দ্রসংগীত ছেড়ে দিতাম আর রেসিং খেলতাম।
আবোল তাবোল - ১৪
#
আর মাত্র কয়েকটা দিন। আরেকটা বছর শেষ হয়ে এলো।
২০১২, কেমন গেল তা নিয়ে কিছু বলে লাভ নেই আসলে। বছর শেষ হতে নিলেই মানুষজনের হিসাবনিকাশের বহর দেখলে একটু অবাক-ই হতে হয়। একদিকে চলে চলে যাওয়া বছর নিয়ে পোস্টমর্টেম, আরেকদিকে চলে যত নিউ ইয়ার রেজ্যুল্যুশনের লিস্ট বানানোর কাজ। এসব আমার ভাল্লাগে না। কি লাভ!
প্রত্যেকটা দিন পার হয় নানা রকমের দুঃসংবাদ হজম করে। এতসবকিছুর পরেও যে খেয়েপড়ে বেঁচে মুভি দেখে গান শুনে দিব্যি প্রতিদিন চায়ের কাপে ঝড় তুলে চলছি, এই জমানায় এর চাইতে বড় আশীর্বাদ আর কি ই বা হতে পারে!
বছর শেষে বেঁচে যখন আছি; বলতে হবে ভাল-ই আছি।
আর আসছে বছর কি কি করব তা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করেও আসলে লাভের লাভ কিছুই হয় না। আমাদের একেকটা প্রিয় প্ল্যান ভণ্ডুল করে দেওয়ার চাইতে প্রিয় কাজ মনে হয় নেই অসময়ের হাতে। আগে করতাম, এখন তাই লাইফ নিয়ে বড়সড় কোন প্ল্যান করি না আর। আর কাউকে কোনরকম কষ্ট না দিয়ে নিজের মত থাকতে পারলেই অনেক, আর কিছু চাই না আমার।
উপরে তো একজন আছেনই, বাকিটা উনিই দেখবেন। তাইলে, যা হবার ভালই হবে!
#
এবং অপূর্ণতা
এ রাতের নির্জন আলো-আঁধারিতে পিচঢালা সুদীর্ঘ পথ
দুপাশের গাছের ভীড়ে মিলেছে অদূরে ।
অনিয়ত গাছের ফাঁক গলে অক্লান্ত দৃষ্টি ছুটে চলে
দিগন্তে , কুয়াশায় , আকাশে , মেঘে মেঘে , বিস্তীর্ন ধানশূণ্য ক্ষেতে ।
কখনো অপ্রস্তুত দৃষ্টি থেমে যায় দুপাশের সরু খালে , কালো জলে জেগে থাকা কলমিলতার ফাঁকে ফাঁকে কালচে মেঘের উড়ে চলা থরথর প্রতিচ্ছায়ায় , দৃষ্টিজুড়ে অবলীলার নিভৃত আলিঙ্গন ।
উত্তরের শিরশিরে হাওয়ায় নিবিষ্ট হন্টক জোরেসোরে চুমো খায় বেনসনের আড়ষ্ট ঠোঁটে , প্রতিটি চুমোয় ভরে ওঠা শিল্পীর হৃদয়ের সপ্নীল ক্যানভাস যতটা পূর্ণ হয় , ঠিক ততটাই থাকে অপূর্ণতা ।
একটি প্রার্থনা
শুনতে কি পাও তুমি - দাসানুদাস ডাকছে তোমায় - শুনতে কি পাও - মলিন জায়নামাজে দেখো - স্থিত এই দেহ - ভালবাসা বিনয় - আকাংখা আর ভয় - কাঁদছে হৃদয় - শুনতে কি পাও - উদ্ধত শির - আজ সিজদায় নত - শরীর কেঁপে ওঠে - অনির্বচনীয় আবেগ যত - কিছুই কি তোমার হয়না গোচর ?
কঠোর দৃষ্টি কখন যে কোমল হলো - আমারও হয়নি ঠার - কন্ঠে বাস্প -অশ্রু অজস্র - কোথায় অহংকার? সর্বদ্রষ্টা প্রভু আমার - কিছুই কি দেখো না তুমি - এই যে দেখো কাঁপছে হাত - হাতের রেখায় তাই পুরনো মোনাজাত - সব কাজ ঠেলছি দুরে - ভুলছি দেখো আজ সব অজুহাত.
দেখা দাও প্রভু - আজ দেখা দাও আগের মত - জানালায় নড়ে ওঠা পর্দার ভাঁজে - যেভাবে অলৌকিক চাঁদের আলো সাজে - সেভাবেই নাহয় দেখা দাও - অবুঝ বান্দা তোমার - করজোড়ে তোমায় দিচ্ছে দাওয়াত - দীনহীন গৃহ তার - মিম্বর নেই - আতর গোলাপ সুগন্ধির বালাই নেই - আছে এক জীর্ণ জায়নামাজ - যুক্তি বোঝে না বান্দা তোমার - আঁধার ঘরে তাই আজ অভিমানী মোনাজাত তার.
একখান ইমেইলের আত্মকাহিনী
এক পরিবার প্রবাসে থাকে। আর সকল প্রবাসীদের মতো তাদেরও দেশে টুকটাক খরচ লেগে থাকে বিধায় কিছু টাকা মাঝে সাঝে তারা দেশে পাঠান। কিছুদিন পর পর আবার খোঁজ নেন কতো টাকা আছে কিংবা আর কি লাগবে টাইপ ইত্যাদি প্রভৃতি। আজকালের মর্ডান ইস্মার্ট যুগানুযায়ী তারা ইমেইলের মাধ্যমে সকলের সাথে যোগাযোগ করেন। একদিন প্রবাসী কর্তা কোন কারণে তার শালা শালীকে ইমেইল দিলেন, কতো টাকা আছে, কিছু খরচ করতে হবে, দরকার জিজ্ঞেস করে।
শালী বললো, টাকাতো নাই, খরচ হয়ে গেছে
দুলাভাই বললো, কি খরচ?
শালী বললো, আপার জন্যে শাড়ি কিনেছি
দুলাভাই বললো, টাকাগুলো সব জলে গেলো।
শালী দুলাভাইকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে বললে, জলে কেনো যাবে দুলাভাই? আপা প্রথমে শাড়ি পড়বে পড়ুক, তারপর আপনি শাড়ি কেটে একটা লম্বা পাঞ্জাবী বানাবেন। পাঞ্জাবী পড়া হয়ে গেলে ফতুয়া বানাবেন। ফতুয়া হয়ে গেলে টিশার্ট। টিশার্ট এর পর টুপি তারপর রুমাল। রুমাল ক্ষয়ে গেলে সেটা পুড়িয়ে ছাই করে দাঁত মাজবেন।
দুলাভাই বললো, এইতো আইছো লাইনে, দাঁত মেজে কুলি করতে হবে না? তখনতো কুলি করলে পয়সা আমার জলেই গেলো, নাকি?
একজন গ্ল্যাডিয়েটর
একজন গ্ল্যাডিয়েটর
বিরক্তিকর অথচ অবশ্য প্রয়োজনীয় অ্যালার্মটা বাজতে শুরু করেছে - অনাকাঙ্খিত শব্দ তরঙ্গ চিরে দিচ্ছে ঘরের নিস্তব্ধ আবহ - মানুষটার সুপ্ত স্নায়ুতে সাড়া পড়তে থাকে - মস্তিস্ক শরীরকে জানান দেয় - এবার জাগতে হবে - ধীরে ধীরে মানুষটা চোখ মেলে - এ যেন প্রাণান্ত আয়াস - শরীরের প্রতিটি কণিকা যেন অতিরিক্ত পাঁচটি মিনিট সুখনিদ্রার জন্য আকুল হয়ে থাকে - কিন্তু না - সেটা সম্ভব নয় - যদিও ঘর এখনো অন্ধকার - জানালার শার্সিতে লালচে আভাস দিনের আগমনী বার্তা ঘোষণা করছে.
পাশে শুয়ে থাকা সঙ্গিনীর ঘুম এখনো ভাঙ্গেনি - ঘুমে অচেতন প্রাণপ্রিয় শিশুপুত্র ও - মানুষটা এক মুহূর্ত যেন থমকে যায় - কি এক নির্মোঘ মোহে তাকিয়ে রয় ভালবাসার মানুষগুলোর দিকে - বুক চিরে বেরোয় অকারণ দীর্ঘ নি:শ্বাস - অত:পর গা ঝাড়া দিয়ে আলস্য কাটায় - স্নায়ু এখন তার পূর্ণ সজাগ এবং প্রস্তুত - প্রস্তুত লড়াইমুখর একটি নতুন দিনের জন্য - রাতে বিছানায় ঘুমিয়েছিল একজন বাবা - একজন স্বামী - জেগে উঠেছে একজন লড়াকু যোদ্ধা - একজন গ্ল্যাডিয়েটর.
শুভমিতার চিঠি-৮
প্রিয় শুভমিতা,
ম্যান বিহাইন্ড দা গ্লাস বার
এই মিলে তিনবার গোনা হলো - না - কোনো ভুল নেই- দশ হাজার টাকা কম পড়ছে - এই শীতের সন্ধ্যায়ও মাসুমের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম - মাথাটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে - তার ভাগ্যটা এত খারাপ কেন - এত সতর্ক থাকে- তবু ... আজকে কাস্টমারের চাপটা বেশি ছিল - অনেকগুলো বড় পেমেন্ট হয়েছে - কোথাও একটা ভুল হয়ে গেছে - কিন্তু শোধরাবার সুযোগ কি আছে?
দু'বছর হলো এই চাকরিতে ঢুকেছে মাসুম - ব্যাঙ্কের চাকরি - ক্যাশ অফিসার - কাজের চাপটা বেশি - সেটা সমস্যা না - কিন্তু সার্বক্ষণিক ঝুঁকিটা বড় পীড়াদায়ক- সামান্য অসতর্কতার দণ্ডি দিতে হয় গুনে গুনে - উপরন্তু আছে ম্যানেজারের গালাগালি - না - মাসুম অসতর্ক নয় - কাজের সময় সাধ্যমত সাবধানতা অবলম্বন করে - কাজেও সে দক্ষ - তবু নিয়তির মার তো এড়ানো যায় না.
মাসুম পেমেন্টে বসে - তার দায়িত্বটাও বেশি - রিসিভের ছেলেটি একেবারেই নতুন - মাসুম তাকে চোখে চোখে রাখে - পাছে বেচারা বিপদে পড়ে - কিন্তু আজকের বেচারা যে সে নিজেই.
তৃষ্ণা
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ,
পানের পর পান অবিরত,
কাপের পর কাপ ,
উষ্ণ হাহাকার ,
গলবিল বেয়ে পাকস্থলি ,
সব ছারখার করে ,
শীতল হয় হৃতপিন্ড ।
তবু আবার ,
প্রাণের তৃষ্ণা জাগে ,
প্রাণের তৃষ্ণা প্রবল হয় ,
প্রবল থেকে প্রবলতর হয় ,
জেগে ওঠে রক্তের মোচড় ,
বাড়তে থাকে হৃদস্পন্দন ,
নীলাভ হতাশা নির্বিঘ্নে বেয়ে চলে ,
রক্তের সাথে মিলে মিশে চলে ,
ধমনী থেকে ধমনীতে ,
হৃদয় থেকে হৃদয়ে ,
হৃতপিন্ড উষ্ণ হয়ে ওঠে ,
উষ্ণতা বাড়তে থাকে ,
বাড়তে থাকে অদৃশ্য ক্ষত ,
হৃদয়ের ক্ষত ।
পানের বস্তু সুপেয় না হতে পারে ,
তবু তৃষ্ণা জাগে ,
পানের তৃষ্ণা ,
তৃষ্ণা আরো প্রবল হয়ে ওঠে ,
পানের পর পান চলতে থাকে ।
কিন্তু প্রাণের তৃষ্ণা
প্রবল থেকে প্রবলতম হয় ,
প্রাণের তৃষ্ণা মেটেনা কোনো কালে ।
ইলেকশন সুখের হয় রমনীর গুনে
ইলেকশন সুখের হয় রমনীর গুনে
এই কথা সত্যি হয়েছিল (ওবা) মায়ের জীবনে।
শেষ বেলায় স্যান্ডি মাথায় দিলো বাড়ি
নির্বাচনী ভাগ্য দিলো নাড়ি
যেটুকু সংশয় ছিল মনে
তাও উড়ে গেলো হায় গগনে
এই কথা সত্যি হয়েছিল (ওবা) মায়ের জীবনে।
পরাজয় দিয়ে তুমি জয় নিলে
হেসে হেসে টিভিতে ভাষন দিলে
মা আমার চেষ্টা করো
শান্তি যেনো থাকে এই ভুবনে
এই কথা সত্যি হয়েছিল (ওবা) মায়ের জীবনে
তানবীরা
০৭/১১/২০১২
হেমন্তের লোকায়ত মিথ
ষড়ঋতুর বাংলাদেশে হেমন্ত এক অদ্ভুত ঋতু। শরৎ শেষে প্রকৃতি কিছুটা মলিন হতে থাকে। আগাম পড়তে শুরু করে শীতের হিম কুয়াশা। ছাই রঙ কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে ফেলে সকাল-সন্ধ্যার সুনীল আকাশ। ফসলহীন মাঠ যেন, পরিত্যক্ত জনপদ; এর উল্টো পিঠও আছে। কৃষকের ঘর জুড়ে আনন্দের বন্যা। মাঠশূন্য করা ফসল যে তার গোলা ভরিয়েছে। মিটেছে অভাব। তাই তো দিকে দিকে শুরু হয়ে যায় নবান্ন উৎসব। শুধুই কি নবান্ন! হেমন্তে আরও কত কত উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে সেই সুদীর্ঘকাল থেকে।
‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা--যমের দূয়ারে পড়ল কাঁটা, যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা--আমি দিলাম আমার ভাইকে ফোঁটা।--ভাইয়ের কপালে বোন এই ছন্দ বা মন্ত্র পাঠ করে চন্দন, ঘি, মধু দিয়ে ফোঁটা দেয়; ভাই যেন বিপদ মুক্ত থাকে। ভাইও বোনকে সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু দিয়ে আশির্বাদ করে।’--কবে যে এই ভাই ফোঁটা উৎসব শুরু হয়েছে--তা কেউ বলতে পারে না। বলা হয়ে থাকে, এটা অনার্যদের আচার অনুষ্ঠান; কেউ বলে, অনার্য নারী-পুরুষ উভয়েই জঙ্গলে শিকারে যেত, চাষবাস করত আর আর্যদের মধ্যে সাধারনত পুরুষরা যুদ্ধ করত বা শিকারে যেত, তাই বোনরা ভাইদের বিপদ মুক্তির জন্য এই অনুষ্ঠান করত, তাই এটা অনার্যদের
অবিশ্লেষ্য জীবনধারা
হৃদয়ের একলা প্রান্তরে স্বপ্নের চিবুক ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছি মহাকালের পথে । হয়তো পৌছুতে পৌছুতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে । নি:স্তব্ধ আকাশের একমাত্র ধ্রুবতারাটি হয়তো আক্ষেপের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে করুনা করবে ।
কথাগুলো ভাবতে ভাবতে অন্যমনস্ক হয়ে পথ চলছিলো শ্রাবণ । হঠাত একটি দামি গাড়ি প্রচন্ড শব্দে থামলো, ঠিক শ্রাবণের পায়ের কাছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হুশ ফিরলো শ্রাবণের । তাকিয়ে দেখলো গাড়ীর জানালা দিয়ে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে দুটি চোখ। আর ঠিক তখনই চোখের ঠিক নীচ থেকে কর্কশ শব্দের আস্ফালন ওই মিয়া দেইখা চলতে পারেন না ? চোখের মাথা খাইছেন নাকি ?
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে শ্রাবণ রাস্তা পারহয়ে মেট্রোতে ঢুকলো , এক্সেলেটর বেয়ে সোজা চারতলায়। গন্তব্য একদম কোনার টেবিল , যেখানে অপেক্ষা করছে ওর প্রানের প্রিয়তমা ।
বলবো না
দেখো আজ এমন বাদল দিনে
তুমিহীন না ভিজলেও পারতাম ,
তাই বলে ভেবনা যে তোমাকে ইঙ্গিত দিয়ে বলছি ।
ইদানিং এমন আবেগ কোন তাড়িয়ে বেড়ায়না আমায়
যে দু একটা প্রশস্তি , পংক্তি লিখা প্রয়োজন ।
প্রয়োজন নেই কোন , না থাক , প্রয়োজন ছাড়াও তো কত কিছু আমাদের চাই ।
চাই যত কিছু , না পাই , তবু পেলাম না এই বলে ধরনা দিতে তো চাইনি ।
রাত তো ফুরালো কত , ঘুম নেই তা তো বলিনি , আমি একা একথা ও বলিনি ।
কেন মিছেমিছি এই ভাব ধরে থাকার প্রয়াস , এ অভিনয় মানায় না তোমায় , আমায় ।
ফিরে এসো একথা বলিনি , চলে যাও তাও বলিনি , বলিনি কিছুই আমি , বলবোনা আর কোন কিছু , কোন দিন ।
কেবল তোমার স্মৃতিটুকু ডালপালা ছড়িয়ে বুঝি , শেকড়ের গভীরে খুঁজি , পাইনি অগ্রমূল , অথচ বায়ুতে শ্বাসমূলে আছ জেগে , কেমন তীক্ষ্নতায় বিধে আছো হৃতপিন্ডে ।
এটুকু ব্যথার ভার সইবোনা তা তো বলিনি , বলবো না কোন কিছু আর কোনদিন , তবু তোমার ও হাসিটুকু বাঁচিয়ে রেখো চিরদিন ।
১৮ বছর বয়স
ছেলেটি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। আদরে আদরে মানুষ হচ্ছে। গরিব মা-বাবা এই একমাত্র সন্তানের কোনো আবদারই অপূর্ণ রাখছেন না। তবে ছেলেটি লেখাপড়ায় ভালো। কিন্তু বাস্তব-জ্ঞান মোটেই ভালো নয়।
গ্রামে থেকে এসএসসি পাস করেছে জিপিএ ফাইভ নিয়ে। মা-বাবা বহু স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে ভর্তি করালেন ঢাকার নামকরা কলেজে। এইচএসসিতেও সে জিপিএ ফাইভ পেল। বহু স্বপ্নের একটা স্বপ্ন ছিল--ছেলে বুয়েটে পড়বে। কিন্তু ইংরেজিতে এ প্লাস না থাকায় সে বুয়েটে আবেদনই করতে পারল না।
এসব কোনো ব্যাপার না। ব্যাপার অন্য। প্রাইভেট-কোচিং মিলিয়ে ২ বছরে ছেলের জন্য খরচ হয়ে গেল ৭-৮ লাখ টাকা। ছোট চাকরিজীবী বাবা-মায়ের বেতন পুরোটা তো খরচ হয়েছেই।অবধারিতভাবে ঋণও করতে হয়েছে অনেক। বেতনের পুরো টাকা ছেলের জন্য পাঠিয়ে তাঁরা কী খেয়ে-পরে কাটিয়েছেন সে এক রহস্য।
বুয়েটে আবেদন করতে পারেনি তো কী হয়েছে, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর তো ছিল। ছেলেটি সেগুলোতেও চান্স পেল না। এটাও ব্যাপর না। চুয়েট-কুয়েট-রুয়েট...তো আছে এখনো। মা-বাবা আশায় বুক বাঁধেন। ছেলেটিও।
কাহিনি এটা নয়।