ইউজার লগইন
বিবিধ
কাশফুলের ফটোওয়াকে একদিন
আমাদের এবিবাসীদের হুজুগের অভাব নাই। যাকে বলে উঠল বাইতো কটক যাই। কয়দিন পিকনিকতো কয়দিন টাঙ্গুয়া, এরপর ব্লুমুন ট্যুর। বার মাসে চব্বিশ পার্বন। বর্ষা যেতেই শরৎ এর আগমন। আর শরৎ মানেই স্নিগ্ধ মেঘমুক্ত আকাশ, দুর্গাপূজার কাঁসা আর ঢাকের বাজনার সাথে বোনাস হলো শ্বেত শুভ্র কাশফুল। এবি ভর্তি ফটুরে সেটা আজ আর কে না জানে। দিনরাত তারা স্কেল কম্পাস দিয়ে ফোকাস মেপে মেপে ফিজিক্স পড়ে যাচ্ছে। বর্ষার ছবির উৎসব শেষ এখন শরতের পালা। তাই আঠাশে সেপ্টেম্বর, রোজ শুক্রবার বেলা তিনটায় এই ফটোওয়াকের আয়োজন, স্থান আফতাবনগর। যা হয়, ফটোগ্রাফার প্রচুর কিন্তু মডেলের অভাব। আর যে সে মডেল হলে হবে না, বেঁকা হয়ে, কাঁত হয়ে পোজ দিতে পারে এমনসব মডেল হতে হবে। কয়েকজন একাব্যাকা স্পেশালিষ্টকে অনেক তেল মেখে রাজী করানো হলো মডেলিং এর জন্যে। এর মাঝে আবার রিদওয়ান ঘোষনা দিয়ে দিল, ওর আন্ডার টুয়েন্টি মডেল লাগবে। টুয়েন্টি প্লাস মডেল আর কাশফুল নাকি ব্যাড কম্বিনেশন। মোটেই কেউ রাজি হয় না তার আবার টুয়েন্টি, হুহ।
ভাদ্র বেলার গানঃ এ ভরা বাদর, মাহ ভাদর...
গত বছরের শেষ বাদর বেলা আর ভরা ভাদর এর নৈসর্গিক রূপ দেখে, অনৃভব করে সমকাল পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলাম আত্ননুভুতি। শরতের সরোদও এ বছর সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তবে বিভাগীয় সম্পাদকের আকস্মিক অনুরোধের কারণে এবং সময়ের অভাবে গত বছরের লেখা থেকে কিছুটা চুরি(?) করে এ বছরের শরতের সরোদ সাজাতে হয়েছিল। পাঠক ও ব্লগারা, নিজের লেখা থেকে চুরিকে চুরি বলবেন কিনা জানি না। গত বছরের শারদীয় অনুভূতি আবার এখানে প্রকাশ করলাম--
আসসালামু আলাইকুম । আমি এখানে নতুন
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই?
আশাকরি ভাল আছেন । সবাই ভাল থাকেন এই কামনাই করি ।
মৃন্ময় মিজান ভাই আজ সকালে একটা লিংক দিছিলেন তার লেখার । এটা পড়তে গিয়ে সাইটটি ভাল লাগল । তাই সাইন ইন করে ফেললাম ।
আশাকরি আপনাদের সাথে সুখ দু:খ হাসি গান কবিতা সব শেয়ার করতে পারব ।
ও নামটাই তো বলা হয়নি । আমি কাজী ফাতেমা ছবি । বাংলাদেশ ব্যাংকে জব করি ।
অফিসে অবসর সময় নেটে ঘুরাঘুরি করি । এইতো............
আশাকরি আমাকেও সঙে রাখবেন আপনার ।
ভাল থাকবেন । আল্লাহ হাফেজ.....
আমরা বন্ধু ইফতার অনুষ্ঠান ২০১২
প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা,
ইফতার অনুষ্ঠানের গরম-গরম ঘোষনা দিতে চলে আসলাম আমি! ব্লগে এতো মহান মহান ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও এই গুরু দায়িত্বটা আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে আমার ওপরই দেয়া হয়েছে যাই হউক, গতকালই ঘোষনাটা দেয়ার কথা ছিল তবে আমার ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারনে ঘোষনা টা দিতে একটু দেরী করে ফেললাম(এই জন্য আমাকে জিয়াউর রহমান থেকে কম কিছু ভাববেন না দয়া করে
)
ঘোষনাঃ
আমি আশরাফুল ইনসান রনি, ইফতার আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে ঘোষনা করছি যে, আগামী ১২ তারিখ, রবিবার ২০১২ইং আমরা বন্ধু ব্লগের জন্য ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে! অনুষ্ঠানটি চাঁদার বিনিময়ে ইফতার কর্মসূচী ভিত্তিতে আয়োজন করা হয়েছে! অনুষ্ঠানে এবি ব্লগের স্বনামধন্য ব্লগাররা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যাচ্ছে!
এক নজরে ইফতার অনুষ্ঠানঃ
ইফতার অনুষ্ঠান স্থলঃ ক্যাপ্টেনস ওয়ার্ল্ড (মহাখালী)
তারিখঃ ১২।০৮।১২ - রবিবার
সময়ঃ শুরু বিকেল ৫টা
চাঁদাঃ জন প্রতি ২৫০টাকা
আরেকটি কার্যনির্বাহী কমিটি
'আমরা একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি' - বক্তা সুদর্শন এক যুবা - এই মুহুর্তে আমার সামনে উপবিষ্ট - বয়স বিশের কাছাকাছি - হাল ফ্যাশনের দামী পোশাকে তাকে বেশ মানিয়েছে - যুবক একা নয় - সাথে সমবয়সী আরেক যুবা আর তিন সুদর্শনা - পরিধেয় পোশাক সাক্ষ্য দেয় প্রত্যেকেই অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান - জিজ্ঞাসু চোখে ছেলেটির দিকে তাকালাম পরবর্তী ভাষ্য শোনার জন্য - 'আমাদের একটা সংগঠন আছে - নাম '.......' - আমরা সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিতে আপনাকে চাচ্ছি .'
মোটামুটি থতমত খেয়ে গেলাম - ক্ষীণ সন্দেহ হলো - এরা বোধহয় ঠিকানা ভুল করে আমার কাছে চলে এসেছে - আমি পেশায় সুদের কারবারী - ছাপোষা চাকরিজীবি - সাপ্তাহিক এই ছুটির দিনটিতে দেরী করে ঘুম থেকে উঠেছি - পেটে এখনো কিছু পড়েনি - মাথার চুল উসকো খুসকো - পরনের ট্রাউজার মলিন - কুচকানো - টি শার্টের অবস্থাও তথৈবচ - বালতিতে সারা সপ্তাহের ময়লা কাপড় ভিজিয়ে রেখেছি - এখনো ধোয়া হয়নি - দুপুরের আহার সংস্থান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন - এই সময় বিনা মেঘে বজ্রপাত - দলটির আগমন - আর তাদের এই অদ্ভুত প্রস্তাব.
অসংলগ্ন
একটা নদীর মৃত্যু হয়েছে সেদিন...
আলফেসানী দাঁড়িয়েছিলো একটা রিকশা কখন এসে টুনটুন নুপুর বাজাবে সেই অপেক্ষায়। সেই রিকশাই এলো, সাথে করে নুপুরের ছন্দের বদলে নিয়ে এলো নদীর মৃত্যু সংবাদ। নদীটার সাথে আলফেসানীর পরিচয় ছিলোনা। শুধু ঢেউয়ের ছন্দটা সে দেখেছিলো কোনো এক আর্ট গ্যালারীর আলো আঁধারীতে।
ঝাঁক বেঁধে দানবেরা ছুটে এসেছিলো মৃত নদীর দৃশ্যমান সম্পদ ছিঁড়ে খুঁড়ে নেওয়ার জন্য। যেটা আলফেসানীর একেবারেই পছন্দ হয়নি। তাই সে জবথবু হয়ে বসে পড়লো গ্যালারীর অন্ধকার সিঁড়ির নীচে। যেখানে তৈলচিত্রদের বৃদ্ধাশ্রম। হঠাতই অন্ধকার ভরে উঠলো ফিসফিস স্বরে। শুনবেনা শুনবেনা করেও আলফেসানী শুনে ফেললো বৃদ্ধ তৈলচিত্রদের একান্ত গোপন কথাগুলো। এর ভেতর কোনো একটা তৈলচিত্র আবার সানাই বাজিয়ে চলেছিলো অবিরাম।
ভাই - কেমুন আছেন ?
ইন্টারকম বেজে ওঠে - রিসেপশন থেকে জানানো হচ্ছে - পার্শ্বেল এসেছে - নিচে নেমে দেখি - বিশাল এক ঝুড়িভর্তি আম - সূদুর রাজশাহী থেকে এসেছে - প্রেরকের নাম 'হাসান' - লিফট বেয়ে উপরে উঠছি - সহ-আরোহীদের নানাবিধ প্রশ্ন - রাজশাহীর আম ? কত কেজি ? ফজলি ? প্রাইস কত ? - প্রথম তিনটির উত্তর দিতে পারলাম - চতুর্থ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই - কখনো জানা থাকে না - গত কযেক বছর ধরে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে - আম আসে -লিচু আসে - প্রেরক দাম জানায় না - আমরাও মুল্য পরিশোধের সুযোগ পাইনা - বড় বিব্রত লাগে - নিজেকে ক্ষুদ্র মনে হয় - আবার কিছুটা প্রশান্তিও যেন পাই - ভালবাসা আসলেও যুক্তি মানে না.
হাসান'কে ফোন দিলাম - 'আবার আম পাঠিয়েছ - এবার অন্তত দামটা নাও' - ওপাশ থেকে অভিমানী প্রত্যুত্তর- 'কি বুলছেন ভাই - আপনাদের সাথে কি আমার টেকার সম্পর্ক - চাচা বাইচ্যে নাই বুলে কি আমাক পর কইরে দিলেন ? ' - এই প্রশ্নের উত্তর হয় না - রাজধানীর কংক্রিটের দালানে বসে এক মফস্স্বলী যুবকের সারল্যমাখা অভিমানের মূল্যায়ন আমার মত নাগরিক কীট কিভাবে করবে বলুন?
এবার নাহয় তাকে আমরা বিদায় বলি
সীমাহীন খ্যাতি - নিরেট শ্রদ্ধা - অপরিমেয় ভালবাসা আর গগনস্পর্শী জনপ্রিয়তা - সবকিছু পেছনে ফেলে মানুষটা এখন হিমঘরে - প্রাণহীন দেহ নিশ্চয় এখন অনেকটা আরষ্ট - স্বপ্নভুক চোখদুটো বন্ধ হয়ে গেছে - ঠোঁট দুটো ভাষাহীন - হৃদস্পন্দন থেমে গেছে অনেক আগে - প্রখর মস্তিস্ক এখন শুধুই শূন্যতার ধারক - পচননিরোধক কে আশ্রয় করে যে মানুষটি এভাবে শুয়ে আছেন - তাকে নাহয় এবার আমরা বিদায় বলি.
নিশ্চয় তিনি অসাধারণ ছিলেন - ছিলেন নিপুণ এক লেখক - সাহিত্যের এক অপরাজেয় সম্রাট - কিন্তু এখন তিনি মারা গেছেন - আর সব নশ্বর মানুষের মতই - এটাই সত্য - পৃথিবীকে যতটুকু দেবার ছিল - বোধ করি - তিনি দিয়েছেন তারচেয়ে বেশি - দু' হাত ভরে কুড়িয়েছেন ও অনেক - কিন্তু এখন তার কলম থেমে গেছে - হয়ত তিনি অজস্র সফল স্ক্রিপ্টের জনক - কিন্তু সর্বদ্রষ্টার স্ক্রিপ্টে তিনিও নগণ্য একটি চরিত্র মাত্র.- মেনে নিতে কষ্ট হয় - তবু নিয়তি এটাই.
বিটক্যাল। ইটক্যাল। পাটক্যাল।
বিটক্যাল টাইম যাইতেছে আমার। এদিক দেহি বল্গো বিটক্যাল টাইম্পাস কর্তেছে। লুগজনে লেখা ফালায়দিয়া দুমকৈরা উধ্যাও হয়্যা যাইতেছ। কেউ কমেন্টাইতে আগ্রোহি হয় না। আরে বাপ, ওইন্যের পুস্টে না গ্যালে আমার্পুস্টে লুগজনে আইবো কিল্লিগা? আমি লুক্ষারাপ। ধপাস কৈরা মুখের উর্ফে কথা কইয়া ফালাই। এদিক বুইড়া চাচাব্বা চাছিয়াম্মা টাইপের বল্গারেরাও চিহারা দেখান্না। উনেরা সব বড় ভচ হইয়া গেসেন। উনেগো দাবাত দিয়া বল্গে আনতে হৈবো। সব চাচাব্বা আর চাছিয়াম্মা বল্গারেরা এরাম, তা না। কিন্তু অনেকেই এরাম হইয়া গেসে।
যাউজ্ঞা, ঐন্যেরে কি কমু? আমি হালায় নিজেও তো এরাম ভচ ভাব ধৈরা ঘুইরা বেড়াইতেসি। নিজেরেই দিক্কার।
বিটক্যাল লাইফ নিয়া ল্যাখতে বইসা ইটক্যাল মাইরা বস্লাম মাইনষের দিকে দেখি এইফেরা কেডা কেডা পাটক্যাল মারে।
পবিত্র কুরআনের অত্যান্ত গুরত্বপূর্ন ৩৪৬ টি আয়াত !
বিশ্ব সভ্যতায় ইসলাম এবং আল কুরআনের অবদান কতটুকো চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রই বিষয়টি উপলদ্ধি করে থাকবেন। ধরনীতে এমন কোন জনপদ নেই যেখানে এই মহান গ্রন্থের কোন না কোন কল্যানময় প্রভাব নেই। যুগে যুগে অমুসলিম দার্শনিকগন পর্যন্ত একে এক মহাবিষ্ময়কর গ্রন্থরূপে অভিহিত করেছেন ! সুতরাং এর দ্ধারাই প্রমানিত হয় এই গ্রন্থে এক অদৃশ্য মহাশক্তি লুকায়িত। হাদিস শরিফে মহানবী এরশাদ করেন যে মুসলিম পবিত্র কুরআনের মাত্র একটি অক্ষর পড়ে তার আমলনামায় দশটি নেকি লিখা হয়ে যায় ! অনত্র এরশাদ করেন যে ব্যক্তি রাতে কিছুক্ষন (কুরআন অনুসরন করে) এলমে দ্বীন শিক্ষা করে তার আমলনামায় সাড়া রাত নফল এবাদত করার সওয়াব লিখা হয় ! এই হাদিস দ্ধারা প্রমানিত হয় যে ব্যক্তি শুধু কুরআন পড়ে তারচেয়ে যে ব্যক্তি কুরআনের জ্ঞান অর্জন করে তার মুল্যে মহান রবের নিকট অনেক বেশি! অতপর যে ব্যক্তি কুরআন গবেষনার পর সেই মোতাবেক জীবন পরিচালনা করে তার মযর্াদা যে ব্যক্তি শুধু গবেষনা করে তার চেয়ে অনেক বেশি !
এই নদী বড় মায়াবতী
পদ্মাপাড়ের ছেলে আমি - গায়ে এখনো লাল মাটির গন্ধ লেগে আছে - তামাটে গাত্রবর্ণ এখনো সেই ভীষণ খরতপ্ত বরেন্দ্র সূর্যের গল্প বলে - আমের মুকুলকে এখনো প্রিয় ফুল মানি - কৃষ্ণচূড়াকে এখনো সৌন্দর্যের রাণী বলি - জীবিকার তাগিদে কিভাবে যেন চলে এসেছি সুরমার কোলে - কিন্তু মন পড়ে রয় ওই পদ্মার তটে - লোকমুখে শুনি - পদ্মা শুকিয়ে গেছে - নদী নাকি আগের মত জাগে না - প্রমত্তা রমণী বুঝি বৈধব্য আশ্রয় করেছে - হবে বা - কলির যুগ - কালের ধর্ম - নদীও হয়ত হারাতেই চলেছে - কিন্তু ওই নদীর ধার ঘেঁষে যারা বড় হলাম - তাদের কাছে কি পদ্মার মৃত্যু আছে - এই যে দেখো - যেই না চোখ বন্ধ করেছি - বুকের মাঝে উথাল পাতাল - নদী আমায় ভাসিয়ে নিচ্ছে - এই তো যেন দাড়িয়ে আছি টি বাঁধের 'পরে - জুতো জোড়া খুলেছি মাত্র - পা দুটো যাচ্ছে ভিজে - এ যেন ঠিক আমার মায়ের মত - ছেলের গায়ের গন্ধ চেনে - হাত বারাবার লহমা আগেই ভালবাসায় কাছে টানে - এই নদী বড় মায়াবতী - যত দুরে যাই - যতই নিজেকে যুক্তির চাদরে মোড়াই - তবু নদীর মায়া কাটে না - বাস ট্রেনের ধোঁয়ায় কতবার পুড়েছে দেহ - বাস্তব অবাস্তব দু :স্বপ্নের যাতাকলে কতবার হারিয়েছে মন - তবু নদী শুধু ডাকে আয় আয় - পোড়া এই দে
এক স্রষ্টা-এক বিশ্ব-এক জাত '' মানুষ''
বাউল কথাটির উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে । ''বাউল'' শব্দের অভিধানিক অর্থ ধর্মীয় সংকীর্নতা ও সংস্কার হইতে মুক্ত সাধক সম্প্রদায়বিশেষ।কারও মতে সংস্কৃত 'বাতুল'শব্দ হতে বাউল শব্দের উৎপত্তি কারন তারা বাতাশের হিসাব করে[[বাতাশের হিসাব মানে কি তা ৪নং ষ্টেপে বলা আছে]]।
কারও মতে বাউল আউল শব্দ হতে আসছে, মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত বাউলরা আউলিয়া স্বরুপ।মুসলিম বাউলরা বে-শরাহ ফকির/সাধক। বে-শরাহ মানে শরীয়ত বা সামাজিকতা বহির্ভুত যেমন নামাজ রোজা হ্জ্জ যাকাত ইত্যাদি বিধি নিষেধ পালন করে না তারা নিজেকে জানার মাধ্যমে আল্লাহকে জানতে চায়।বাউল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যেও দেখা যায় অনুরুপ ভাবে তারা হিন্দু ধর্মের আনুষ্টানিকতা মানে না তারাও নিজেকে জানার মাধ্যমে ঈশ্বরের খোঁজ করে।
বাউলরা বিশ্বাস করে মানুষের জাত এক 'মানুষ'। একমাত্র সৃষ্টির বা বংশ বিস্তারের তরে নারী ,পুরুষ এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।বাউলরা বিশ্বাস করে,মানব দ্হেতেই সাধন ভোজন ধর্ম কর্ম । দেহের উর্ধে কিছু নাই । আল্লাহ বা ইশ্বর দেহতেই বিরাজমান। বাউলরা বিশ্বাস করে,যা আছে বিশ্বভান্ডে তা আছে দেহ ভান্ডে ।বাউলরা আরএক অর্থে দেহ তত্ববিদ।
একটি দীর্ঘশ্বাস- শুধুই একটি দীর্ঘশ্বাস এনেছি আমার সমস্ত পার্থিব জীবনের বিনিময়ে
বয়স বাড়ছে - মনটা বোধহয় আগের মত আর সজীব নেই - পথ চলতি তরুণদের দিকে তাকালে কিছুটা ঈর্ষাই যেন বোধ করি ইদানিং - চিরশত্রু মেদ শরীরে অনুপ্রবেশ করেছে - তিন দশকের গল্প শেষ - স্বাভাবিক নিয়মে চললে আর বাকি দু'দশক - আশা করি নিয়মের ব্যতিক্রম হবে - সময়টা এত দীর্ঘ হবে না - মাঝেই মাঝেই পিছু ফিরে দেখি - মনে আশা - ফেলে আসা পথে ভালো কিছু কাজ কি দেখা যায় - ক্ষুদ্র বিন্দুসম হোক তবু এমন কোনো কিছু যার প্রতিদান স্রষ্টার কাছে প্রত্যাশা করতে পারি - বৃথা অন্বেষণ - কিঞ্চিতকর একটি আকরও আমি সংগ্রহ করে আসিনি - শুধু বয়সে বড় হলাম - মনের দিক থেকে - কর্মের দিক থেকে রয়ে গেছি শূন্য পাত্র - আমি বহু হাত ছুঁয়েছি - সম্পর্কের বহু মাত্রিক সমীকরণে নিত্যনতুন সহগের ভূমিকায় নেমেছি - প্রাপ্তি হয়ত নগণ্য - তবু এই ছিল জীবনের ধারা - এই ধারাতেই হাঁটছি এখনো - 'আজরাইল' নামের সেই প্রিয় মুখ ধারে কাছেই আছেন জানি - কিন্তু তিনি কতটা সময় নেবেন তা শুধু নিয়তিই জানেন - তারপরে অন্তিম যাত্রা - অলক্ষ্যের পথে - শবাধারে শুয়ে পড়ব - বুজে যাবে দুই চোখ - পার্থিব কাহিনীটা শেষ হবে - ওই মুহূর্ত টা নিয়ে আমি মাঝে মাঝেই ভাবি - অন্ধকার ঘরটা কেমন হবে - খুব কষ্টকর ?
প্রশিক্ষণ কর্মশালা: নিউ মিডিয়া ও সাংবাদিকতা
নিউ মিডিয়ার ক্ষমতা/শক্তির বৃদ্ধির লক্ষ্যে, আনত্মর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মোবাইল ভিত্তিক সিটিজেন জার্নালিজম পোর্টাল write3.com , ঢাকায় আয়োজন করতে যাচ্ছে 'নিউ মিডিয়া ও সিটিজেন জার্নালিজম'-এর উপর একটি কর্মশালা ৷ এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জুলাই(শনিবার) ২০১২, আইডিবি ভবনের অডিটোরিয়ামে, সকাল ১০.৩০ থেকে দুপুর ১.৩০ ৷
দেশের প্রখ্যাত ও দক্ষ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্যবর্গ বিভিন্ন সেশনের মাধ্যমে, সাংবাদিকতার প্রধান কলাকৌশল ও পদ্ধতি, নীতি ও মূল্যবোধের উপর সকল অংশগ্রহনকারীদের দিকনির্দেশনা দিবেন৷ এছাড়া 'মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাথে নাগরিকের সম্পৃক্ততা' নামক একটি সেগমেন্ট আছে, যেখানে বর্ণনা করা হবে সিটিজেন জার্নালিস্টরা কিভাবে write3.com প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাথে যুক্ত হতে পারে৷
ডিজিটাল পাসপোর্ট: না জানলে Amazing Race; জানলে easy case
আজকে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, পুরো পদ্ধতিটা আসলে মাত্র সর্বসাকূল্যে ৪৫ মিনিটের। কিন্তু এটা আমরা জেনেছি আজকে ঠেকে ঠেকে। আপনাদের জন্য পদ্ধতিটি তুলে ধরছি যেন আমাদের মতো ঠেকে শিখতে না হয়। ধন্যবাদ আমার বরকে। কারণ আমি লেখার আগেই সে এটাকে চমৎকারভাবে গুছিয়ে ফেলেছে সবার জন্য। আমি সরাসরি ওর গুছানো তথ্যটিকে এখানে তুলে দিলাম।
সৌজন্য- হা হা চৌ