ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
ডিসেম্বরের শহরে..
'আরকেন' এর নতুন সিজন আসছে কয়েক দিন আগে, আগের পর্ব গুলি আবার দেখে নিলাম। এনিমে সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা বদলে দেওয়া 'আরকেন', প্রথম সিজনের মত মন্ত্রমুগ্ধ করে দিবে সেই আশাও করি নাই। এখন মনে হইতাছে এই বছরে এর চাইতে দারুন কিছুই দেখা হয় নাই! নিজেকে ভুল প্রমানিত হইতে দেখলেও মাঝে মাঝে বেশ আনন্দ লাগে। এই সিজনেই একটা গান শুনলাম, আশিনিকোর 'পেইন্ট দ্য টাউন ব্লু' ।
শুনতে শুনতে মনে হলো, নীল থেকে নীলে যেতে যেতে মানুষের আসলে কি হয়? অন্ধকার কালোয় হারিয়ে যায় নাকি আবছা হতে হতে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়?
অলীক ভাবনার জগতে হারিয়ে যাওয়া - ১
নতুন কোন কিছু অনেকদিন লেখা হয় না। ২০২২ সালের শেষদিকে একটা ডায়েরি শুরু করেছিলাম। সেটা শেষ হয়ে গেছে সেই কবে। তবে তারপর আর নতুন করে কিছুই লিখি নি। মাঝে একটা গল্প লিখেছিলাম। একটা মেয়ের মনের গল্প। সবকিছুর পরও না পাওয়াগুলো যাকে মাঝে মাঝে বিদ্ধ করে। তখন সে একটা অলীক জগতের স্বপ্ন দেখে। যেখানে একটা ঠান্ডা ও নিরিবিলি কাল্পনিক শহরে হারিয়ে যায় সে।
অলীক ভাবনার জগতে এই যে হারিয়ে যাওয়া, এটা বোধহয় আমাদের সবার সঙ্গেই ঘটে। নিজের আশপাশের জীবনটাকে সরিয়ে রেখে একটু হারিয়ে যাওয়া। কিন্তু যথাসময়ে এসব ভাবনার লাগাম পরানোটাও যে জরুরি, সেটাই বোধহয় শেষ গল্পটার প্রতিপাদ্য ছিল। এভাবে প্রতিদিন কত কত স্বপ্নেরা তাদের প্রয়োজনে জেগে ওঠে আবার প্রয়োজনে ডুবে যায় আমাদের মনের মানসপটে!
আমি গান আপলোড করতে পারিনি।
আমি কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম আমার লেখা/গাওয়া গান আপলোড করতে কিন্তু পারিনি।
PM SARGAM studio আমার লেখা গানগুলো কম্পোজ করছে।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0xmk9KHi6n4XGy5LLgt61wCWgDQsE4FwgwYpr31aSvBekFbmf8iDeM2xYut3ky4isl&id=100001784364749
আর তো কিছুই নাই যে লেখার কেমনে ৫০ পুরন করি
এই গ্রুপটাকে অনেক ভালো বাসি তাই সদা স্বরণ করি।
এই গ্রুপের সবাই বড় মানুষ সবার বড় বড় অবদান।
তবু কেন জানি গ্রুপটা দিনে দিনে হয়ে যাচ্ছে ম্রিয়মাণ।
আশায় বুক বাধি, আছি শেষ অবধি থাকবো চিরদিন।
আসবে ফের জোয়ার, অন্ধকার হবো পার, ফিরবে সুদিন।
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ১০ (আগস্ট)
আঠারোই আগস্ট জানালেন প্রিমিয়ে মার্ক রুতে, দু সপ্তাহ আগের সাংবাদিক সম্মেলনের পর নেদারল্যান্ডসে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সংক্রমনের হার আর হাসপাতালে ভর্তির হার দুটোই বেড়ে গেছে। এখনই যদি সর্তক না হই আবার সংকটে পরতে দেরী হবে না। আমরা কিছুতেই অর্থনৈতিকভাবে দ্বিতীয়বার এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না। আজকে রাতেই আমাস্টার্ডামের মেয়র জনবহুল এলাকার জন্যে তাদের আলাদা নিয়ম নীতির ঘোষনা নিয়ে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে কোথাও কোথাও এলাকা ভিত্তিক নীতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশ জুড়ে যে নিয়মগুলো বলবৎ থাকবে তা হলোঃ
তাই বুঝতে হবে তোকে শুধু সত্যি-মিথ্যে ঝোঁকে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করলো তখন প্রায় সব খেলাতেই অবধারিত ভাবে হারতো। আমি প্রায় কখনোই খেলা দেখতাম না, হারবে জানিই আর অনেক সময় খেলা শুরু না হতেই শেষ, সব আউট। দৈবাৎ কখনো জিতে যাচ্ছে ব্যাপার থাকলেই খেলা দেখতে বসতাম। ভাই, কাজিন, চাচা-মামা অন্যদের সাথে আমি-আমরাও গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতাম, ছক্কা, চার ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদেরও ফুলতো, লাফালাফি করতাম, বাংলাদেশ তো আমাদেরও, এটাই ভাবতাম। কিন্তু কখনো বিজয় মিছিল, রঙ খেলায় আমাদের-আমার অংশ গ্রহণ ছিলো না, আমাদের পরিধি ছিলো, খেলা শেষ হলে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে সেটা বাসার বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে দেখা, অন্যদিন বাসার বাইরে পা দেয়ার কোন পারমিশান থাকলেও সেসময় বিশেষ করে সব বন্ধ। পরদিন পেপারে দেখা যেতো বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাস গুলোতে মিছিল হয়েছে, টিএসসিতে রঙ খেলা হয়েছে এবং এই খবরের পাশে আলাদা বক্সে প্রায়শঃই দু’
দ্যা করোনা ডায়রী অফ তাতা ফ্র্যাঙ্ক – ৯ (আগস্ট)
নেদারল্যান্ডসের করোনা পরিস্থিতি আবার খারাপ হওয়াতে ছয়ই আগস্ট মার্ক রুতে টিভিতে এলেন নতুন করে আবার নিয়ম- নীতি নিয়ে কথা বলতে
বেসিক যে নিয়মগুলো দেয়া আছে সেগুলো পালনের কোন বিকল্প নেই। অনেক জায়গাতেই সেগুলো পালিত হচ্ছে না বলে পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে যাচ্ছে। মিউজিয়াম, ট্যুরিস্টি প্লেস, রেস্টুরেন্ট আবারও বন্ধ হোক তা কেউই চায় না তাই সর্তক থাকার কোন বিকল্প নেই বলে আবারো সবাইকে জানালো হলো। ভাল লাগুক আর নাই লাগুক আপাতত এর কোন সমাধান কারো হাতে নেই।
দেখা যাচ্ছে, অনেক মানুষই টেস্ট করাচ্ছে না, সর্দি-কাশিতে বাড়ি থাকছে না, দেড় মিটারের সোশ্যাল ডিসটেন্স মানছে না তাতে আক্রান্তের সংখ্যা আবার বেড়ে চলছে।
ভুল সব ই ভুল
ভুল ছিল, এতো টা কাছে আসতে দেয়া ভুল ছিল
ভুল ছিল, চাওয়ার শব্দ গুলো অনুচ্চারিত রাখা ভুল ছিল
ভুল ছিল, অজলা পেতে অপেক্ষা করতে থাকা টা ভুল ছিল
ভুল ছিল, অপেক্ষার দিন গুলো দীর্ঘ করা ভুল ছিল
তোমাকে বুঝায় এবং বুঝতে না চাওয়ায় ভুল ছিল
পালিয়ে যাওয়া তোমায় খুঁজে পেয়ে ও
নিজের কাছে না রাখা ভুল ছিল
তুমি এখন এক মেগা বাইট দূরে নও
বুঝতে না পারা, ভুল ছিল
নিজেকে বুঝতে পাড়ায় ভুল ছিল
Aim in life .......
এক রিম নিউজ পেপার দাও, এক রিম সাদা কাগজ, একটা ইউয়ত কালি। রহমান ভাই আসছিল এই কয় দিনে?
না স্যার আসে নাই। আসলে কিছু বলতে হবে? স্যার কিছু নতুন বই আসছে দেখবেন? কালাম স্যার এর নতুন বই টা ও আসছে।
চলতে চলতে ......
ট্রেন চলছে, সমতল ভূমি ছেড়ে দিগন্ত রেখায় উঁচু পাহাড়ের সারি। সাদা কালো মেঘে ঢেকে আকাশ। একবার মেঘ ধরে ফেললে ই ঐ পাহাড়ে চলে যাওয়া যাবে। দূরে বলে ই পাহাড় এর উচ্চতা আনুমান করা যাচ্ছে না। যখন ই পাহাড়ের কাছ ঘেঁষে যাচ্ছি, তখন ও বুঝা যাচ্ছে না। চলতে চলতে কখন যে ঘুমায়ে পড়েছিলাম। কত সময় ঘুমিয়েছি বুঝতে পারছি না। এখন কোথাও আছি তাও ঠাহর করতে পারছি না। চোখ খুলে দেখি, পাশের কাঁধে বেশ আয়েশ করে ই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, তার চেহারায় বিরক্তি, স্নেহ, প্রেম বা আদর কোন টা ই প্রকাশ্য না।
ইদানীং ছোট হয়ে এসেছে জীবনের গণ্ডিটা
আজকাল খুব সীমিত পরিসরে জীবন যাপন করছি। সবসময় চেষ্টা করছি যতো কম শ্রম ও সময়ে একটা কাজ সম্পন্ন করা যায়। জীবনের এমন একটা পরিসর যখন শুধুই বেঁচে থাকাটা দরকারি হয়ে দাঁড়ায়, আর কিছু না। চুপচাপ মটকা মেরে পড়ে থাকা, যাতে করে নিজের এবং আর সবার বাঁচার পথে সাহায্য করা। এমনকি ঘুমের পরিমাণও এখন বেড়ে গেছে আগের চেয়ে অন্তত ৪৯ ভাগ। আর গান শোনা হচ্ছে প্রচুর।
কোনো অভিযোগ করছি না মোটেও। খুব ভাল আছি বলতে গেলে। অনেকটা ভাল কপাল থাকলে এই প্রখর সময়ে আঁকড়ে ধরার মতো একটা জায়গা মেলে। সেটাকে মনে-প্রাণে আকড়ে ধরে বসে আছি। শুধু এই সময়টার পার হয়ে যাওয়ার আশায়। তারপরও হয়তো সবকিছু আগের মতোই রয়ে যাবে। শুধু এই সময়টা পার করতে পারার অভিজ্ঞতা মনের ভেতর একটা চিরস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে। সেই ছাপ নির্ধারণ করবে অনেককিছুর পথপরিক্রমা। কোনো একটা কাজ আমরা ছয় মাস আগে যেভাবে করতাম, সেভাবে আর কখনও করবো না।
চলতে চলতে
কোথাও কোন শব্দ হবে না, চারপাশের হৈ চৈ ছাপিয়ে যাবে, ট্রেনের কু ঝিক ঝিক শব্দ। কেবিন পাইনি তো কি হয়েছে, একটা সিট জানালার পাশে হলে ই হয়, তার পাশে ই আরেকটা সিট।
জানালা কিন্তু তোমার জন্য না, আমার পাশে ই তুমি থাকবে, বই এ নিমগ্ন। চলতে চলতে পড়তে যে আমার বারণ। কত কি হারিয়ে যায় চোখের পলকে। সব অদেখা থেকে যায়। নিজের চোখে দেখার সুযোগ কি আর হেলায় ছেড়ে দেয়া যায়?
চির আগোছাল চুল নাকে মুখে ঝাপটা দিয়ে বিরক্ত করবে
অনিচ্ছাকৃত
মাঝে দুই কাপ চা, আর ট্রেনের সেই কাটলেট এর অর্ডার শুনে
এই প্রথম মুখ তুলে একটুকরো হাসি। খট খটে এই কাটলেট এ যে কি পাও, সব ই এই গল্প উপন্যাসের দোষ। তারা তো আর কাটলেট এর বর্ণনা দেয় না। উপন্যাসের নায়ক ট্রেন এ কাটলেট খেত
আমরা
চাওয়া পাওয়ার বালাই নেই, রঙিন ঘরের স্বপ্ন নেই, স্বপ্ন বাস্তবায়নের তাড়া নেই, ব্যাক্তিগত আলাদা কোন সময় নেই। যুথবদ্ধতায় একাকী সময় কাটানো, যার যার বইয়ের পাতায় বা সিনেমার পর্দায় নিমগ্ন। তুমি ফেসবুক এ, আমি আমার মতো খোমা খাতায়। মাঝে মাঝে মতের আদান প্রদান সমসাময়িক বিষয়ে। অবাক বিষয়, তোমার আমার পড়ার রুচি, দেখার ভঙ্গি, প্রকাশ সব ই ভিন্ন। তুমি ইতিহাস হলে আমি ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস। তুমি মানুষ দেখ নির্লিপ্ত ভাবে, আমি মানুষ এর মনসতত্ত্ব খুঁজি। তুমি চার দেয়ালে আকাশ সৃষ্টি কর, আমি আকাশে মিশে গিয়ে আকাশ ধন্য করি। কখন ও হাতে হাত রেখে হেঁটেছি মনে পড়ে না। পাশা পাশি রিক্সা চড়া তাও কোন মিছিল, মিটিং, আড্ডা বা বইয়ের দোকান এ যাওয়া, খুব বেশি জোড়া জোরিতে বাজারে যাওয়া। তুমি রক হলে আমি রবীন্দ্র বা লালন।মিল যে ছিল না এমন ও না, চা বা কফি, কোন দ্বিমত নেই। আদর্শের জায়গায় অমত নেই। আমাদের কোন টানা টানি নেই নিজেদের পৃথিবীতে বদ্
শিখিয়ে কথন - পর্ব ১
[প্রাক-কথনঃ
বন্ধু Reajul Alam Chowdhury'র সাথে কথা হচ্ছিল 'অভিজ্ঞতা' নিয়ে। তার মতামত হল, শুধু 'অভিজ্ঞতা' অর্জন করলেই হয় না, কখনো কখনো একটু দূর থেকে চড়ে-আসা-সময়ে নজর দেয়াটাও জরুরি, তাতে অভিজ্ঞতার ভাঁড়ার আরো ঋদ্ধ হয়।
সময় মিলেছে এখন, কাজেই করছি সে কাজ। নিজের এবং আরো অনেকের কর্মযজ্ঞ মনে করছি, কী-হলে-কী-হতে-পারত'র হিসাব নিকাশ করার চেষ্টা করছি- ক্রিকেটের "হক-আই" পদ্ধতিতে! যা হয় তা তো হয়ই, সে 'হয়ে যাওয়া'টুকু থেকে 'শেখা'র কিছু আছে কি না সেটা দেখতে পাওয়াটাও 'অভিজ্ঞতা' বৈকি!
পেশাজীবনে প্রায় চার হাজার দিন কেটে গেছে, 'শেখা' কিছু কম হয়নি। ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়, চেষ্টায়, শেষটায় কিছু না কিছু শেখা তো হয়েইছে কারো না কারো হাত ধরে; কখনো আলাদা করে বলা হয়নি, করা হয়নি সে গল্প। জানানো হয়নি কৃতজ্ঞতা। কেউ হয়ত জানেনও না যে তিনি শ্রদ্ধাভাজন হয়ে আছেন, কিছু একটা শিখিয়ে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্মেলন ১৯৭৪
১৯৭৪ সালে দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ উন্ননয় পরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনার জন্যে আলাদা একটা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, অর্থনীতিবিদ আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন অর্থনীতি গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অর্থনীতিবিদ স্বদেশ বসু এবং উন্নয়ন গবেষণার সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদানের প্রয়োজনীয়তা, সাম্ভাব্য ঋণ কিংবা অনুদান প্রদানের খাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা যে যার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কৃষিখাতে বিনিয়োগ, শিল্প অবকাঠামোতে বিনিয়োগ, শিল্পখাতে রাষ্ট্রের মালিকানা এবং সাম্ভাব্য ব্যক্তি মালিকানার প্রশ্নগুলো আলোচনা করেছেন।