ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
এমনও দিনে তারে বলা যায়...
শেষ বিকেলে বসেছিলাম বারান্দায়। শিল্পী অজয় চক্রবর্তীর গানের কিছু কথা মনে গুনগুন করে বাজছিলো, সেইসাথে ভাবছিলাম আজ কোথাও বেড়াতে যাব। এই চমৎকার মেঘ-আদুরে বিকেলে আমার একমাত্র কন্যাটিকে নিয়ে ঘুরে আসবো তার কোন অচীনলোক থেকে। কিন্তু তুমি তা হতে দিলে না। একেবারে বিনা নোটিশে তুমি এসে সবকিছু ভণ্ডুল করে দিলে। এটা কি ঠিক হল?
চারিদিক থেকে যখন অন্ধকার ঘনিয়ে আসলো, তখুনি ঝড়ের বেগে তুমি এলে। ঘন কাল কেশরগুচ্ছ ছড়িয়ে, প্রবল ঘুর্ণিতে আমায় ভাসিয়ে নিলে। আমার এই ছোট্ট করিডোরটুকু, যেখানে বসে আমি বর্ণিল মেঘেদের আনাগোনা দেখছিলাম, সবকিছু এলোমেলো করে দিয়ে বলেছিলে,
-চল আমার সাথে।
আমি তোমায় শুধালাম- হে দুরন্ত যৌবনা আমাকে তুমি কোথায় নিয়ে যাবে?
-কোথায় আবার! এমন দিনে কি ঘরে থাকা যায়! চল আমার সাথে- দূরে, অন্য ভূবনে; তোমার অতি চেনা জগতে।
আমাদের দ্বিধা
যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখি, জনপরিসরে বিজ্ঞানের উপস্থিতি কতটুকু? রাষ্ট্রের সক্রিয় তত্ত্বাবধানে কিংবা বেসরকারী উদ্যোগে বিজ্ঞানচর্চা কতটুকু উৎসাহিত হচ্ছে? প্রযুক্তি প্রায়োগিক ক্ষেত্র, প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা কোনোভাবেই বিজ্ঞানমনস্কতার নিদর্শন নয়- এই তথ্যটা প্রথমে মনে রাখতে হবে। শত সহস্র যন্ত্র কিংবা যন্ত্রাংশের মাধ্যমে প্রযুক্তি যেভাবে প্রতিনিয়ত জনপরিসরে উপস্থিত থাকে, সমাজের কোথাও কি বিজ্ঞানের এমন সদম্ভ উপস্থিতি আছে?
ডটকম সাংবাদিকতা
মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং মত সম্প্রচারের স্বাধীনতা কতটা পীড়াদায়ক হতে পারে ক্যামেরাম্যান সাথে নিয়ে মাইক্রোফোন হাতে সংবাদ ধাওয়া করা স্যাটেলাইট টিভির বাংলাদেশী সাংবাদিকদের দেখে উপলব্ধি করতে পারি। মুন্নী সাহার আপনার অনুভুতি!!! প্রশ্নটাও বাকী সবার অমানবিক, অশোভন আচরণের তুলনায় অনেক বেশী সহনীয়, অনেক বেশী শোভন। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের কল্যানে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল কাঁপিয়ে সংবাদ উদ্ধারে যাওয়া সাংবাদিকদের বোধ-বুদ্ধি-বিবেচনাহীনতার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডটকমসংবাদপত্র বিস্ফোরণ। পকেটে সাড়ে তিন হাজার টাকা থাকলেই একটা গণমাধ্যম খুলে ফেলা যায়, ১৬ ফুট ১২ ফুট ব্যানার আর নীলক্ষেত থেকে ৫০০ রঙ্গীন ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নেওয়ার পর যেকেউ মহাসাংবাদিক হয়ে যেকোনো ব্যাক্তিকে হয়রানি করতে পারে। আমাদের বর্তমান সাংবাদিকতা মোটা দাগে জনহয়রানি।
শুভ জন্মদিন বাবা :)
১.
লিফটে ওঠার সময় যদি সাথে ঋহান থাকে তাহলে লিফটের বাঁটন প্রেস করার সুযোগ আর কেউ পায় না। ঋহান কখনো অফিসে আসলে... লিফটে অন্য কেউ থাকলে সে যদি কাঙ্খিত বাঁটন প্রেস করে ফেলে... ঋহানের চেহারা দেখলে মনে হয় সারাদিন লিফটেই ঘুরি । একটা সময় সে শুধু GF প্রেস করতে পারত... এখন সে 5 প্রেস করতে পারে। বিষয়টা আসলে কিছু না... ঋহান ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে...
২.
পার্থিব এই জগতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্ধারিত জন্ম মৃত্যু চিরন্তন সত্য। সময়ের পরিক্রমায় আমরা ছোট হতে হতে নিঃশেষ হতে থাকবো... শিশুরা বড় হতে থাকবে... প্রকৃতির অমোঘ নিয়মতো এটাই। আকাশের সাথে প্রতিযোগিতায় ঋহান... আমরা ফিরবো মাটির কাছে... মানতে না চাইলেও এটাই সত্যি।
৩.
তসলিমা নাসরিনের মেয়েলীপনা
আমাদের দেশের সংস্কারপন্থী মানুষেরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অন্য মেয়েদের বিশেষ করে তাদের তুলনায় আপাত আধুনিক বা অগ্রসর মেয়েদের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে। কেমন করে কাপড় পরে, ওড়না কেন গলায় দেয় বুকে না, চুল কেন রঙ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিংবা কারো ডিভোর্স হয়ে গেলে কেন মেয়েটি তারপরও হাসিখুশী থাকে, সাজগোঁজ করে অফিসে যায় সবই তাদের আলোচনার কিংবা সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাদের জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে, কোন মেয়ে যখন একটা আনওয়ান্টেড রিলেশানশীপ থেকে মুক্তি পায় তখন তার কী আনন্দ হওয়া অস্বাভাবিক?
হ্যাপি বার্থ ডে, মাই ডিয়ার তাতাপু!
অনেকদিন ব্লগ লেখি না। অনেকদিন মানে দু মাস। দুমাসে আমি পোষ্ট সংখ্যা ৩৩০ থেকে হয়তো ৩৫০-৩৬০ লিখে ফেলতে পারতাম। কিন্তু লিখতে ভালো লাগে না আর, লেখার সময় থাকলেও অন্য কাজ করে ভুলে যাই লেখার কথা। আজও যে খুব লিখতে ইচ্ছে করছে বলে লিখছি এমন নয়। লিখছি, পোষ্ট দিবো কারন আজ তানবীরা আপুর জন্মদিন। এই খবর খুব বেশী মানুষ জানার কথা না, আমিও জানতাম না- যদি দু বছর আগে বাসায় হুট করে গিয়ে দেখি কেক কাটা চলছে, তার চাক্ষুষ সাক্ষী না হতাম। এরপর এই দিনটার কথা মনেই রাখা যায়। আমার স্মৃতি শক্তি ভালোই, কোনো কিছু মনে রাখতে চাইলেই তা পারি। আগে আরো পারতাম এখন তা বয়সের কারনে কমেছে। আমি বই মার্ক করে পড়তাম না কখনো, কারন যা মনে রাখতে চাই তা সব না পারলেও বেশীর ভাগই মনে রাখতে পারি। তাই তানবীরা আপার জন্মদিন ২ বছর আগের সেই উপস্থিতির উসিলায় স্মৃতি থেকে মুছে যাই নি। তাই লেখার উপরে চরম অনীহা থাকার পরেও লিখছি কারন জন্মদিনটা তানবীরা আপুর
একটা সাধারণ, কোনো কিছুতে মন না বসা দিনের গল্প
তাতানো গরম পড়েছে ইউরোপে এবার। তাপমাত্রার কাঁটা সেই যে একবার ৩০ এর উপরে উঠে গেল, তারপর থেকে আর নামার কোনো আগ্রহই যেন ওটার নেই। সিটি সেন্টারে একটা বিশাল থার্মোমিটার আছে। রাস্তার পাশে ভাস্কর্যের বদলে এ শহরে দেখা যায় আতিকায় থার্মোমিটার! সেদিন ব্যাংকে যাওয়ার পথে খানিকক্ষণ আলাপ-চারিতা চালানোর চেষ্টা করেছিলাম ওটার সাথে।
-হেই মিস্টার পারদভর্তি শিশি, খবর কি তোমার? ৩০-এর ঘর থেকে নিচে নামবা কবে?
-সেটার আমি কি জানি? মানুষ-জন গাছপালা সব কেটে সাফ করে ফেলছে, আমি চাইলেই কি আর ৩০-এর ঘর থেকে নেমে আসতে পারি?
-হুম, সেটাও ঠিক। আমার অবশ্য ৩০-এর ঘরের তাপমাত্রায় সমস্যা ছিল না কিন্তু এই শীতের দেশে কোথাও কোনো সিলিং ফ্যান বা এয়ারকুলার নাই, সেইটাই যতো সমস্যা।
-ছোট দেখে একটা টেবিল ফ্যান কিনে নাও।
ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু
ঘুমাতে আমি বেশ পছন্দ করি। যখন-তখন যেখানে- সেখানে চাইলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারি। সে ঘুমের স্থায়িত্ব ৫ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ ঘন্টাও হতে পারে। এ নিয়ে ঘর থেকে বাইরে আমি হলাম গিয়ে সবার ঈর্ষার পাত্র। তবে যতউ ঘুমাই না কেনো, আমার ঘুম অনেক পাতলা। একবার আস্তে করে ডাকলেই ঘুম থেকে উঠে যেতে পারি। কেবলমাত্র ঘুমের কারণে কোনোদিন আমি বাস-ট্রেন বা প্লেন মিস করিনি। সেটা যতই সকাল বা মধ্যরাতে হোক না কেনো।
সমস্যাটা শুরু হলো মাস দুয়েক ধরে। সকাল ১০/১১ টায় বাসা থেকে বের হই। জীবিকার প্রয়োজনে। কখনো দুপুরে ফিরি। কখনো ফিরি না। রাতে বাসায় ফিরতে ফিরতে ৯/১০ টা বেজে যায়। ১১ টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে আড্ডা দেয়া বা টিভি দেখা চলে। শেষ হয় ১ টা দেড় টায়। তারপর শুয়ে পড়ি। ঘুম আর কাছে ঘেঁষে না। এপাশ ওপাশ করি। একসময় ক্লান্ত হয়েই বোধ করি ঘুমিয়ে পড়ি।
চোখ বুঁজিলেই দুনিয়া আঁধার
পথিক, তুমি কি পথ হারাইছো ?
না, আমি হারাইছি দিশা।
তাবৎ সমস্যার মাঝে বসতি আমার।
কোনোভাবেই টিউনিং হচ্ছে না। চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
যে, যার মতো করে চলছে। যা খুশি করছে। কেউ কোনো সিস্টেমের মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না। শুধু বিদ্যুৎ বা গ্যাস খাতে নয়। জীবনের পরতে পরতে সিস্টেম লস।
এই জীবনের যা কিছু অর্জণ, সবই কি তাহলে ভুল ?
চাওয়া আর সাধ্যের মাঝে কেনো এত্ত ফারাক।
কেনো এই মিছে ভুল বোঝাবুঝি।
চোখ মুদলেইতো জাগতিক সব কিছুর পরিসমাপ্তি।
আর একদিনতো চোখ মুদতেই হবে। সবাইকে।
এ থেকে কারো নিস্তার নেই।
বাংলাদেশের দর্শককুল...
একটা সময় ছিল যখন ঢাকা স্টেডিয়ামে মোহামেডান আবাহনীর জাম্পেস খেলা হইতো... গ্যালারী টিকেট পাওয়া যেত না। খেলার দিন মাঠের কাউন্টারে বিশাল লাইনে টিকেট কেনা... সদলবলে খেলা দেখা... প্রতিটা মহল্লায় দুই দলের সমর্থকদের পতাকা টাঙ্গানোর প্রতিযোগীতা... আসলে সে এক উত্তাল সময় ছিল।
মোহামেডানের বিশাল একটা সমর্থকগোষ্টি ছিল ঠাটারী বাজার টু নয়াবাজারের কসাই সম্প্রদায়। শোনা যেত সেই সময় মোহামেডান বিজয়ীর দিন মাংসের দাম কমাইয়া দেয়া হইতো।
ঢাকা স্টেডিয়ামের শেষের দিনগুলোতে মাঠের দর্শকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালির সাথে তখন থেকেই পরিচিত। মাঝে মাঝে মনে হইতো কানে তুলা দিয়া খেলা দেখতে যাই। খেলা চলাকালীন সময়ে ঢাকা স্টেডিয়ামের নিচ দিয়ে হেটে যাওয়া পথচারীদের বৃষ্টিছাড়াই ভিজে যাওয়ার কথা নাই বা বলি
আমের গপ্পো
চাঁপাই থেকে কিছু আম আনালাম। ল্যাংড়া আর গোপালভোগ। বাসায় লোকবল ৪ জন। বড় পুত্র ক্ষাণিকটা আম পছন্দ করে। সমুদ্দুর একদমই না। মোবাইলে গেম খেলতে দেবো বললে এক পিস খায়। মুখের ভাব দেখে মনে হয়-তিতা ওষুধ খাচ্ছে।
কিন্তু আমের প্যাকেট খুলেতো মেজাজ খারাপ আমার। আমের জাত ঠিকাছে। মাগার সব আম ছোটো। যে পাঠালো তাকে জানালাম। সে স্যরি টরি বলে একাকার। পারলে পা ধরে ক্ষমা চায়। লাভ কী ?
গতকাল এসএ পরিবহন থেকে ফোন করলো। আমার নামে এক খাঁচি আম এসেছে। কোত্থেকে, জানতে চাইলাম। বললো, চাঁপাই থেকে। ওই বেটা আবার আম পাঠাইছে। গেলাম। আমের খাঁচি নিলাম।
বাসায় গিয়ে খুলে দেখলাম, এবারের আম মোটামুটি বড়। ওই লোককে ফোন করলাম। আবার কেনো আম পাঠাইছে, জানার জন্য। বেটা বলে কী, স্যার, আগের আম ছোট পড়ছে। আমি লজ্জিত। তাই আপনের জন্য আবার আম পাঠাইলাম। কত কেজি ? দাম কত ?
মরতে মরতে এবারও বেঁচে গেলাম
৩ জুন কোলকাতা যাবার প্ল্যান আমাদের তিন জনের। এটা পুরোনো গল্প। গত মাসের শেষের দিকে টিকেট করে রেখেছে এক বন্ধু। জিপি ব্যবহারের বদৌলতে ১০% ছাড়ের অফার ছিলো সৌদিয়া বাসে। বন্ধুকে বললাম। সে পাত্তা দিলো না। টিকেট কাটলো গ্রিণলাইন বাসের। পান্থপথ থেকে বাসে উঠলাম রাত ১১.৩০ এ। ছাড়ার সময় ছিলো ১১.১৫। গোড়ায় গলদ। ভয়াবহ গরম। বাসে উঠে টের পেলাম- এসিটা ঠিকমত কাজ করছে না। কী আর করা। আল্লার নাম নিয়ে রওয়ানা দিলাম।
এসএসসি নিয়ে কিছু ভাবনা... এবং বাস্তবতা
দু দিন আগেই এসএসসির পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকায় পড়লাম পরীক্ষায় পাশ করা এক ছাত্রীর মা বলছে "সাফল্যের পেছনে কৃতিত্ব স্কুলের নয়, আমাদের"। বিষয়টা অনেকেই কিন্তু গুরুত্ব দিয়ে দেখে নাই। হাজার হাজার এপ্লাসের ভীড়ে এই সংবাদটা অনেকেরই চোখে পরে নাই।
আমার বাচ্চাটা (ঋহান) মাত্র স্কুলে যাওয়া শুরু করছে। এই শুরুতেই কিছু বিষয় আমি দেখেছি। সামনে হয়তো আরো অনেক কিছু দেখতে হবে। সে মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই ঋহানকে নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। স্কুল শুরুর এই সময়টাতেই আমরা যা দেখেছি...
১. ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য দুই বছরের কোচিং করতে হবে (ওই স্কুলের নির্ধারিত কোচিং সেন্টারে);
২. ভর্তি পরীক্ষায় না টিকলে পরের বছর বয়স কমিয়ে আবার পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে;
৩. পরীক্ষায় যদি চান্সও পায় ভর্তির সময় ডোনেশন নামের এককালীন টাকা দিতে হবে;
নাড়ির টান
ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রামের বাড়ি যায় নি।বাড়ি থেকে ফোন আসছে "বাবু কবে আসবি"?তারাতারি চলে আয়। আম সব পেঁকে গেছে,লিচু গুলো বাদুড়ে খাচ্ছে,জাম গুলো রং হওয়ার আগেই বদমাইশ ছেলেপিলে পেড়ে নিয়ে যাচ্ছে, ৪ টা কাঁঠাল চুরি হয়ে গেছে!আরো কতশত অভিযোগ!
কাউকে কিছু না বলে হুট করে ভোর সাড়ে ছটায় চোখ দুটো দুহাতে কচলাতে কচলাতে কমলাপুর হাজির!
হ্যাঁ, বাড়ি যাচ্ছি নাড়ির টানে।তোমাদের এই ইট কাঠ, ধুলোবালির আর মিথ্যে কথার শহর ছেড়ে যাচ্ছি বুনোফুল আর কর্দমাক্ত মাটির ঘ্রাণ নেব বলে।খোলামাঠ আর মেঘ রৌদ্দুর আকাশটা দেখিয়ে বলব "এই দেখ আকাশটা আমার"
তোমাদের এই সুড়কি আর চুনাপাথরের শহরে সব কিছুই কেমন জানি মেকি মেকি লাগে এবং আকাশটাও।বাড়ি যাচ্ছি ট্রেনে চেপে! বাড়ি যাওয়া উপলক্ষে মনে
হয় মেঘ গুলো খুশি হয়েছে!ট্রেনের গতির সাথে
পাল্লা দিয়ে ছুটে চলেছে পিছু পিছু!
স্বপ্নহীন জীবনে যখন
আমি ঢাকার যে এলাকায় বড় হয়েছি সেখানে আমরা চার পুরুষ ধরে আছি হয়তো এখন পাঁচ পুরুষে পৌঁছে গেছি, কে জানে। আমাদের এলাকাতে আরো অনেকেই আছেন যারা কয়েক জেনারেশান ধরে এখানে আছেন। বাবাদের কাছে গল্প শুনেছি ছোট বেলায় বাতিওয়ালা এসে রাস্তায় বাতি জ্বেলে দিয়ে যেতো। গ্রাম থেকে লঞ্চে সদরঘাট এসে অনেকেই মাথায় বোঝা নিয়ে ধানমন্ডি, গ্রীনরোড পর্যন্ত হেঁটে আসতো। অনেক এলাকাতেই দিনের বেলায় শেয়াল ডাকতো, ঘন জঙ্গল ছিলো। আমি নিজেও ছোট বেলায় অনেক ফাঁকা ঢাকা দেখেছি। এখন ঢাকা অনেক ব্যস্ত, আমরা যে এলাকার বাসিন্দা সেতো মহাব্যস্ত।