ইউজার লগইন
ব্লগর ব্লগর
জাপান ডায়েরী ১
নতুন দেশে,নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হলে মানুষের "কালচারাল শক" হয়, আমার মনে হচ্ছে আমি "কালচারাল সাইক্লোন" কিংবা "কালচারাল টাইফুন" এর ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। ভাষা মানুষের অন্যতম সহায়, ভাষা মানুষের সাথে অন্য মানুষের সেতুবন্ধন, কিন্তু যখন সেই ভাষিক যোগাযোগের পথ আচমকা বন্ধ হয়ে যায় প্রতিনিয়ত ডাঙায় তোলা মাছের মতো হাঁসফাস করতে হয়।
গত এক দেড় বছর একটা ঝড়ের ভেতর দিয়ে গেলাম, ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখের আগেও আমার ধারনা ছিলো না সামনে এমন দিন আসতে পারে, নিজের জীবন আর ভবিষ্যত গুছিয়ে তোলার আগ্রহ ছিলো, ভাবছিলাম বিলম্বিত হলেও নতুন করে জীবন শুরু করে ফেলতে হবে, কাদের মোল্লার যাবজ্জীবনের ধাক্কা দেশের পরিস্থিতি অনেকটা বদলে দিলো আর আমিও সেই স্রতে ভেসে গেলাম।
বন্ধু 'প্রিয়'র জন্মদিনে!
মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। এত খারাপ কেন হচ্ছে কারন বুঝতে পারছি না। এমন তো না যে জানতাম না রায়টা কিংবা এমন হবে তাও খুব বেশী আশার বাইরে ছিল না। এমন তো হবারই কথা ছিল। তাও বিশ্বাস হচ্ছে না সাইয়িদীর রায়। কাল এক আওয়ামীলীগ নেতাই আমাকে বললো 'মামু আপনাগো আশা পূরণ হইবে না, ফাঁসী হবে না। গোলাম আজমের মতোই রায় আসবে'। আমি বলছি দেখা যাক কি হয়। বলা তো যায় না। তবে জামাতের অগ্রীম কোনো হরতাল নেই, আন্দোলন নেই- বলেই মনে হয়েছে জামাতের সাথে সরকারের কোনো মিঊচ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং চলছে। সেই সমঝোতাতেই এই রাষ্ট্রীয় স্পন্সরে স্পেশাল ডায়েটে মাওলানা সাবরে জেলে রাখার আয়োজন। জ্ঞানী শিবিরের নেতারা বলতো মাওলানা সাব নির্দোষ, তাই প্রমান হয়ে গেল। এই মন মেজাজের খারাপের দিনে এক আইনজীবি এসে আমাকে বলতেছে, ঠিকই আছে, সাইয়িদী সাহেবকে যে রায় দেয়া হলো তাও অন্যায় এরকম আলেম মানুষকে শাস্তি দেওয়া ঠিক হয় নাই। মনটা চাইছিলো, হালারে বাইন্ধা র
একে খন্দকারের বই
এ কে খন্দকারের ১৯৭১ ভেতর বাহিরের প্রথমাংশ পড়লাম। এ কে খন্দকারের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য দেখানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত লোকজনদের ভেতরে এক ধরণের তীব্র আলোড়ন তৈরী করেছে, অনানুষ্ঠানিক ভাবে হলেও সংসদে বইটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বর্তমানের মহান জাতীয় সংসদের অনির্বাচিত সদস্য, যাদের পড়ার আগ্রহ এবং রুচি নিয়ে আমার ব্যপক সন্দেহ, তারা পড়ে এবং অধিকাংশই না পড়ে বঙ্গবন্ধু অবমাননার অভিযোগে বইটি নিষিদ্ধ করার এবং এ কে খন্দকারকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় আটকের দাবী জানিয়েছেন। ব্যপক সমালোচনার মুখে প্রথম আলো এবং একে খন্দকার বইটির সংশোধিত দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছেন সেখানে উল্লেখযোগ্য সংশোধনী হলো শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষনে জয় বাংলা জয় পাকিস্তান/জিয়ে পাকিস্তান বলেছেন পূর্বের সংস্করণে ছিলো শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণটি জয় পাকিস্তান বলে শেষ করেছিলেন।
ছবি ব্লগ: হঠাৎ বান্দরবনে একদিন :)
ইটকাঠ ঘেরা এই পাথরের শহরেতে হৃদয়ের কারবার? লোকসান বারবার। বাট... আমরাতো হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল... তাহলে? উপায় একটাই... আমরা সবুজে বাঁচি... সবুজে থাকি... সবুজ করি আমাদের এই মন... চির সবুজ এই দেশের সবুজ গালিচায় গড়াগড়ি করে সবুজ হয়ে আবার কর্মোদ্দিপনার সংগ্রহ নিয়ে ফেরা।
হুটহাট আয়োজন ছাড়া আসলে কিছু হয় না... তারপরেও ঋহানের কথা মাথায় রেখে কিছুটা হিসাব নিকাশ... রবিবার জন্মাষ্টমীর ছুটি হওয়াতে প্রায় ৩ দিনের একটা লম্বা অবসর। অনেক দিন ঢাকার বাইরে বের হওয়া হয় না... কিছুটা হাঁসফাঁস ছিলোই ... এমন সুযোগ কি কখনো হাতছাড়া করা যায়? এবারের ট্রিপ বান্দরবন এবং তার আশপাশ...
মনখারাপের দিনলিপি
আমরা কেউ না কেউ খুন হয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিন। যেন বা খুন হয়ে যাবার জন্যই আমরা জন্ম নিয়েছি। খুন হতে পারাই আমাদের যোগ্যতা। আমাদের অনতিক্রম্য নিয়তি!
অন্যরূপ
জীবন মানেই দেয়া আর নেয়া । শুনলেই মনে হয় যেন লেন দেন ।
খুব ঠুনকো আর সস্তা মনে হয় এমন শুনলে । কিন্তু জীবন মানে আসোলেই তাই ।
দেয়া নেয়া না হলে সম্পর্ক গভীরতা হারায় । তারপর আস্তে আস্তে কোথায় যেন একেবারেই হারিয়ে যায়।
মানুষের বাইরের চেহারা রক্ত মাংশের হলেও আসোলে ওটা কিন্তু একটা মুখোশ ছাড়া
আর কিছু নয় । সব মানুষের দুইটা রুপ আছে । একটা সবাই দেখতে পায় ,আরেকটা খালি চোখে দেখা যায়না কিন্তু চেষ্টা করলেই উপলব্দি করা সম্ভব।
মানুষের দুই রকম চেহারা চিনতে না পারাই মঙ্গল। চিনতে পারলে কষ্ট বাড়ে।
বাবা মা, ভাই বোন, আত্মীয়স্বজন, ছেলে মেয়ে, স্বামী স্ত্রী, শালা শালী, দেবর ননদ, প্রতিবেশী, সহপাঠি, সহকর্মী, প্রেমিক প্রেমিকা , বন্ধু বান্ধবী, নেতা কর্মী, মনিব কর্মচারী -কত রকমের সম্পর্ক আছে। সব সম্পর্কই টিকে থাকে দেয়া নেয়ার কারনেই। দেয়া নেয়া কম হলে সম্পর্কে টানা পোড়ন শুরু হয়ে যায়।
অঞ্জন বলছে - 'টিভি দেখো না!"
অঞ্জন দত্তের অতি বিখ্যাত গান, কবীর সুমনের এক সাক্ষাৎকারে পড়েছিলাম তিনি বলছেন-- এই গানটা ছাড়া বাচ্চাদের জন্য কোনো সিমপ্লিস্টিক গান আর তিনি শুনেন নাই বাংলায়। বাচ্চারাও অঞ্জনের কথা শুনে নাই, আমিও শুনি নাই। শয়তানের বোকা বাক্সটা দেখেই চলছি। আর এবার টিভির পর্দাতেই ধরা দিলো অঞ্জন দত্ত। অনুষ্ঠানটা দেশ টিভির পর্দাতে দেখতে যে কি কষ্ট হলো তাই একটু ভাবি। বাড়ীর সবাই ঘুমাচ্ছে, শিয়ালের ডাক চারিপাশ থেকে, একদম গ্রামীন নিঝুম নিস্তব্ধতা। এর ভেতরে টিভি দেখা বিশাল ঝামেলার। কানে হেডফোন রাখতে রাখতে আমি অল্প সাউন্ড শুনি না আবার। তাই আমার সাউন্ডে হয়তো সবার ঘুমে সমস্যা হয়েছিল, তবে কেউ কিছু বলে নাই, খালি আব্বু এসে বকা দিয়ে ছিল- তাও টিভি অফ করি নাই। বিজ্ঞাপন বিরতির জ্বালায় যদিও খুবই অতিষ্ঠ ছিলাম তবুও পুরো অনুষ্ঠানটাই দেখলাম মুগ্ধ হয়ে। অঞ্জন দত্তের সব পুরোনো গানই তো প্রায় মুখস্থ তাই আমার কাছে নিজেই নিজের এক্সাম নিই।
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
ঠাকুরগাও এ ৩৬ ঘণ্টা (প্রথম পর্ব)
চোখের সামনে নতুন মটর সাইকেলটা দেখে মধ্য বয়সে যেন শরীরে যৌবন
জোয়ারের ছলছল গতীটা বিদ্যুৎ গতিতে রূপান্তরিত হল। ছোট ভাইকে বললাম দে তো চাবিটা। আমি যে সকল মটর সাইকেলটা চালাতাম তার মধ্যে ইয়ামাহা ১০০, ছিডি-৮০ হোণ্ডা-১১০, এই ব্র্যান্ডগুলো আজ আর মার্কেটে পাওয়া যায় না। তবে এই ব্রান্ডের মটর সাইকেল গুলোর মধ্যে আমার প্রিয় ছিল, সি ডি-৮০, যার তেল খরচ ছিল খুবই কম, আর আমার শরীরের সাথে মানান সই, সর্বোপরি আমার মতে সৌখিন একটি বাহন।
ছোট ভাই বলল পারবেন তো চালাতে, না পারার কিছু আছে কি? না অনেক দিন চালান নি তো? আমি গেয়ার গুলো সব সামনে কি না জিজ্ঞেস করলাম। কারন ইদানিং কিছু মটর সাইকেলের গেয়ার প্রথমটা সামনে তো দ্বিতীয়টা পিছনে। ও বলল সব গেয়ার সামনে।
ঈদ মোবারক!!! আসুন জানি-হাদিসের আলোকে ঈদ এবং ঈদের পালনীয় বিধান গুলি৷
ঈদের চাঁদ দেখা গেছে৷ আগামী কাল ঈদ! ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হবে এটি,দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার ফসল হলো-এ ঈদুল ফিতর!প্রতি বছরে মুসলিমদের জন্য দুটি ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়!তার মধ্যে একটি হলো-এই ঈদুল ফিতর৷ আসুন আমরা এখন হাদিসের আলোকে ঈদ এবং ঈদের পালনীয় বিধানাবলী গুলি জানি:
"আনাস বিন মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত,
রাসূল যখন মদীনায় আসলেন-দেখলেন,
মদিনাবাসীরা দুটি দিনে আনন্দ ফূর্তি করে!
তিনি জিজ্ঞেস করলেন-এ দিন দুটি কি?
তারা বলল-আমরা জাহিলিয়া যুগে এ দুদিন আনন্দ-ফূর্তি করতাম!
রাসূল বলেন- আল্লাহ এ দুদিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটো দিন তোমাদের দিয়েছেন৷
তা হলো- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর৷ (আবুদাউদ-৯৫৯)
বিধনাবলী:
(১) ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ৷ (বুখারী-১৮৫৫)
(২) ঈদ উপলক্ষে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করা৷(বায়হাকী-২/৩১৯)
(৩) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা৷(বুখারী-৯৩৩)
(৪) ইহা ছাড়া আরও কিছু:
দিনলিপি
বিশ্রী একটা সময় যাচ্ছে, সকল দরজার সামনে " অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন, আপনার কথাও আমরা শুনবো" সাইনবোর্ড ঝুলছে। খুব বেশী গভীর না হলেও আজকে দীর্ঘদিন পর তৃপ্তির ঘুম ভাঙলো যথারীতি ছেলে মেয়ের ঝগড়া শুনে। সেই ঝগড়া অগ্রাহ্য করে পাশ ফিরে শুয়ে থাকলাম। দুপুরে রোজার নিয়ম ভেঙে বাইরে বের হলাম। ঢাকা শহর মোটামুটি ফাঁকা। ব্যাংকের চাকুরীজীবী, গার্মেন্টস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ এবং যাদের গ্রামের ভিটার ঘুঘু চড়ছে তারা বাদ দিলে জীবিকা এবং শিক্ষাগত প্রয়োজন যারা ঢাকায় বসবাস করে তাদের অধিকাংশই দেশের বাড়ী চলে গিয়েছে।
সম্ভাব্য মৃত্যুরকোল থেকে ফিরে এসে....
ঠিক মৃত্যুটা হয়তো নয়; তবে মৃত্যুর করূণ সম্ভাবনাই প্রত্যক্ষ করেছি। গতকাল। খুব কাছ থেকে। পরিবার-পরিজন-প্রতিবেশীদের নিয়ে। আগুনের ধোয়া কুন্ডলী পাকিয়ে যখন অদম্যতাড়নায় সিড়িঁ বেয়ে বেয়ে উপরে উঠে আসছিল, আর আমরা কিছুতেই এগুতে পারছিলাম না, আমাদের সাথে থাকা একমাত্র সম্ভাবনা-প্রাণটাকে নিয়ে, তখন ধোঁয়ার একএকটি কুন্ডলীকে অসংখ্য মৃতুদ্যুতই মনে হচ্ছিল আমাদের কাছে। আমরা যতই দূরে সরে যেতে চাইছি, ধোয়ার কুন্ডলীগুলো ততই আমাদের তাড়া করছিল। শেষ পর্যন্ত ছাদে গিয়েই আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম, সম্ভাব্য মৃত্যুর অথবা উদ্ধার পাবার জন্য। যেকোন সময়। বলা যায় কোন এক সময় উদ্ধার পাবো-সে স্বপ্নেই বিভোর ছিলাম আমরা। কারণ শেষপর্যন্ত আমরা আস্থা হারায়নি আমাদের সামাজিক পুঁজির ওপর। যেকোন দুর্যোগে অতিসাধারণ সামাজিক মানুষরাই হয়ে ওঠে আমাদের সবচেয়ে আপনজন। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক পুঁজি। সচরাচর এ-সব মানুষগুলোর সাথে হয়তো আমাদের কথা হয়
বির্বণ দিনরাত্রি
মন মেজাজ প্রচন্ড মাত্রায় খারাপ। দুই দিন থেকে যেন জীবন যাত্রার গতিও থেমে গেছে। শুধু আফসোস করছি আর বলছি, পারল না মেসি এবারো পারল না। এত কাছে এসেও পারল। আগে যদি কখনো মন খারাপ হত তো রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা বইটা পড়তাম। এই বই অসম্ভব ক্ষমতায় আমার মন ভালো করে দিত। কিন্তু এই মেসি আর্জেন্টিনার ব্যাপারটায় গুরু রবীন্দ্রনাথও ফেল। বইটা নিয়ে বসার মত সাহসও নাই। আমার ত শুধু মন খারাপ কিন্তু শুনলাম অনেকে নাকি আত্নহত্যা করছে আবার দেশের অনেক জায়গায় নাকি দাঙ্গা হাঙ্গামাও হয়েছে। ব্যাপারটা অনেকটা হাস্যকর হলেও সত্য যে বিপরীত গোর্ধাধের এই দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি যত না ভালবাসা তার চেয়ে ঐ দেশের খেলোয়ারদের দুই পায়ের প্রতি আমাদের ভালবাসা অনেক বেশী। শুনেছিলাম নব্বইয়ের দশকে নাকি আমাদের দেশেও এই ফুটবল খেলা সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। দলের অবস্থাও অনেক ভাল ছিল। মোহামেডান আবহানীর খেলা হলে রীতিমত যুদ্ধ বেধে যেত। কিন্তু কা
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা, তানবীরা আপুর জন্য!
মন মেজাজ খুবই খারাপ। আর্জেন্টিনার হারে শরীর মন সব কেমন জানি কামড়াকামড়ির উপরে আছে। এতদিন পর ফাইনাল, কত আশা ভরসা, সব জাহান্নামে গেল। তার ভেতরে একটু আগে ফেসবুকে দেখলাম মিলন চৌধুরী নামের এক কলকাতার ছেলে আত্মহত্যা করেছে, ফেসবুকে ঘোষনা দিয়ে। বেচারার জন্য মনটা খারাপ। আমরা বাঙ্গালীদের আবেগ এত বেশী তাই এইসব হতেই পারে। এমনিতেই না চাইতে কত ভাবেই মরতে হয়, তারপর আবার খেলায় হারজিত লইয়া এত চিন্তা, যে মরিতে হবে নিজে নিজে। সবাই বলবে বেকুব মানুষ তাই মরেছে। আমি তেমন বলবো না। মানুষের মাঝে মাঝে এত আবেগ আসে নানান ঘটনায় তাতে এরকম ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। যখন শিশুকালে সালমান শাহ মারা গেল, জনকন্ঠ তখন পড়তাম, বাসায় রাখতো না, গন পেপার রুমে পড়তাম। পেপারে তখন দেখেছিলাম- বাংলাদেশের নানান স্থানের যুবক যুবতীরা আত্মহত্যা করছিলো এক উসিলায়। তখন ভাবছিলাম সামান্য মুভি স্টারের জন্য কেউ মরে নাকি!
বিক্ষিপ্ত ভাবনা
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কৌতুহল আর ভয়- আমাদের বর্তমান সভ্যতার প্রধানতম চালিকাশক্তি মানুষের এই দুটো অনুভুতি তবে এই দুটো অনুভুতির ভেতরে ভয়ের অনুভুতিটাই প্রবল। আমাদের ভাবনার জগতটা সম্পূর্ণ ভয় নিয়ন্ত্রন করে। কখনও কখনও ভয়টা ভীতির পর্যায় পার হয়ে আতংকে পরিণত হয়, কখনও ভয়টা আমাদের কৌতুহল নিবৃত করে।
আমাদের দৃশ্যমাণ, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পৃথিবীর বাইরের সবটুকুই আমাদের ভীতির জগত। অন্ধকার- অপরিচিত ভূখন্ড কিংবা অজানা গন্তব্য- সবই আমাদের ভেতরে এক ধরণের সংকেত- এক ধরণের সাবধানবার্তা তৈরী করে। যে নিরাপত্তাহীনতার বোধ থেকে মানুষ আগুণকে ভক্তি শ্রদ্ধা করতে শিখেছে, প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি এবং এত শত মারণাস্ত্র নির্মাণের পর সেই নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরও তীব্র হয়েছে। যন্ত্রের যান্ত্রিক দক্ষতা, যন্ত্রগণকের সমস্যা সমাধানের অভাবনীয় গতি সবই এখন মানুষের ভয়ের কারণ।
জার্সি
কেউ পরেছে ব্রাজিল টিমের হলুদ জার্সি, কারো বা আর্জেন্টিনার। আছে জার্মানির, স্পেনের , ডাচদেরও।
যদিও তাদের অনেকেই জানে না, এই রঙ্গিন জামাগুলো বিশ্বের মানুষের মনযোগে ছিল এতোদিন।
বেশ কয়েকজনের জার্সি গায়ের তূলনায় বড়, তাতে কী, নতুন পওয়া এই গেঞ্জি, তাদের ছোট জগতে অনেক বড় আনন্দের ঢেউ এনেছে।
কথা বলছিলাম কতগুলো পিচ্চিদের ড্রেস নিয়ে। ওরা পড়তে বসেছে পাণ্থকুঞ্জ নামে একটা পার্কে। পার্কটি পাঁচতারা হোটেল সোনারগাঁওয়ের কাছে। মানে উল্টোদিকে।
সেই স্কুলে বেঞ্চ নাই, স্কুল ড্রেসের বালাই নাই। মাটিতে মাদুর বিছিয়ে পড়ে তারা। অ-তে অজগরটি আসছে তেড়ে। আ -তে আমটি আমি খাব পেড়ে। ভালো কথা পেড়ে খাওয়া আমে ফর্মালিন থাকে না।
যাহোক,এটা আমার কল্পনা। বাস্তবে ওই ছেলে-মেয়েরা জর্সি গায়ে দেয়ার স্বপ্নও বোধ হয় দেখে না। ওরা ঘুমায় ফুটপাতে। ওদের ঘর পলিথিনে তৈরি। বিশ্বকাপ মানে কী. তা বুঝতেও তাদের অনেক সময় লাগবে।