ইউজার লগইন
ভ্রমনকাহিনী
এ বাংলার, শাশ্বত শীত প্রকৃতির গল্প ঃ `ঝরা পাতার গান ' পর্ব-১
কুয়াশার অন্ধকারে হাজার বছর ধরে শীত কন্যা আসে ষড়ঋতুর লীলা বৈচিত্রের হেমন্তের ফসলে আঁকা মেঠো পথ ধরে। স্থান, কাল ভেদে এ শীত কন্যায় রূপ নানা অঞ্চলের দেব-দেবীর মত নানা সজ্জায় সজ্জিত হয়। হেমন্তের মাড়াই করা ধান বড় বড় কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে রাখতেই শীত রূপসী শীতের নানা উপকরণ কুয়াশার চাদরে ঢেকে এনে রাখে গৃহস্তের আঙ্গিনায়; কড়াওয়ালা মাটির হাড়িতে টোকা দিয়ে বলে, ‘এই গৃহস্ত আমি এসেছি ; চল, পিঠা-পুলি-পায়েস বানাই।’
এনাদ্দার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ভুমিকাঃ- শিলাজিতভাইয়ে কৈয়া গেসিলেং,
শুনো ঠিক শুরুরয়াগে ভুমিকাটা জমিয়ে বলি
যদিউ অনেক বলার্তবুও অনেক্কমিয়ে বলি............ ইত্যাদি ইত্যাদি লৈয়েই আমগোর আইজকার ইত্যাদি.........
তো যেইটা কইতেছিলাম, প্রাচীন যুগে এক্ষান ইয়ে লিক্সিলাম। ইয়ে মাইনে আসলে সেইযে, লুগজনে যেইটারে কবিতা কয় সেডিই লিক্সিলাম আর কি। মাইনশে এই কবিতা সেই কবিতা লেখে। আমি লিক্সিলাম উত্তরাদুনিকেরো পরের্ভার্সনের কাইব্য। নিজের পের্শংসা নিজেরে কর্তে না কৈরা গেসেন মুরুব্বারা। মাগার বাট লেকিন নিজের ঢুল আবার্ফের নিজেরেই বাজাইতে কইয়া গেসেন মুরুব্বারাই। তাই কি আর করা, আমার্সেই কাইব্য মাশাল্লা খুবেক্টা খ্রাপয়নাই। সেই দুর্দুর থিকা লুগজনে ফুন্দিয়া, চিডি দিয়া পের্সংসা কর্ছিলো। তাই যারে বলে ইন্সপিয়ার্ড হৈয়া আবারো কাইব্য জগতের্খাতাত নিজের নাম লিখাইতে চইলা আইলাম এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য লৈয়া। শুইনা কৈয়েঙ্গো, কেরাম হৈলো
এনাদার অতীন্দ্রীয় প্রতুত্তরাধুনিক কাইব্য
ওওই দেখা যায় যাত্রাবাড়ী ওওই যে ফেলাই ওভার
টেরাক ভৈরা গরু আইয়া বাড়াইয়া দিসে পেশার।
পেশার মামা পেশার মামা থাকো তুমি কৈ?
আবোল তাবোল - ১৩
#
অনেক দিন হইছে আবোল তাবোল কিছু লেখি না, লেখা হয়ে উঠে না।
চিন্তা করে দেখলাম আমার এই সিরিজটার একটা প্যাটার্ন দাড় হয়ে গেছে। কিছু হাবিজাবি কথাবার্তা, একটা দুইটা গান আর মুভির কথা। একসাথে দেই ঘুটা, ব্যাস!
এইবারও অবশ্য তার বাইরে যাব না। সাথে এক্সট্রা একটু ঘুরাঘুরি ফ্রি!
#
গত শুক্রবারে এবি'র ফটুওয়াক হইল, সবাই মিলে মজা করে ঘুরে ঘুরে কাশফুলের ছবি তুলে নিয়ে আসছে। জেবিন আপু বলছিল যাইতে, আগেই অন্য প্ল্যান করা ছিল বলে যেতে পারিনাই। পড়ে ফটোওয়াক নিয়ে তানবিরা আপুর ব্লগ পড়ে আফসোস কম হয়নাই। অবশ্য, মজাটাও একটু একটু ফিল করতে পারছি!
নেক্সট টাইম এমন কিছু হলে, মিস করব না। ইন শা আল্লাহ।
#
অনেক দিন ধরেই ভাবতেছিলাম এবি'র কিছু প্রিয় মানুষ কে এফবি তেও এড করে নিব, সাহস পাচ্ছিলাম। এই কয়েকদিন আগে হঠাৎ এড দিয়া দিছি বেশ কয়েকজন কে, একসেপ্ট ও করছে।
এখন মজা বুঝবো!
কয়েকদিন একটু ফাঁকিবাজি করলেই শুরু করুম ঘ্যান ঘ্যান, লেখা দেন লেখা দেন!!
হিঃ হিঃ
মাষ্ট বী ফেল্ট উইথ হার্ট
চলার পথে নিজের অজান্তেই জীবনে ছোট ছোট অনেক কিছু ভাল লেগে যায়। জিনিসগুলো হয়তো এতো সামান্য আর অপাক্তেয় যে অন্যে হয়তো ঠিক বুঝেই উঠবে না এরমধ্যে ভালো লাগার কি আছে? পুরনো ডায়রী হাতে পড়লে দেখি একটা গোলাপ ফুল শুকিয়ে আছে কোন একটা পাতায়। ডায়রীতে থাকতে থাকতে পাতায় দাগ লেগে গেছে । পৃথিবীর কারো কাছে এর কোন মূল্য নেই কিন্তু আমার অনেক ভালবাসা ওতে জমে আছে। আমার হাতে ফোঁটা প্রথম গোলাপ সে। ঠিক যেনো হুমায়ূন আজাদের কবিতার মতো,
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো
ছোট ঘাসফুলের জন্যে একটি টলোমলো শিশিরবিন্দুর জন্যে
আমি হয়তো মারা যাবো চৈত্রের বাতাসে উড়ে যাওয়া একটি পাঁপড়ির জন্যে একফোঁটা বৃষ্টির জন্যে
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্যে মারা যাবো দোয়েলের শিসের জন্যে শিশুর গালের একটি টোলের জন্যে
ও নদীরে (২)
কথা আমি রেখেছিলাম মেঘনার কাছে। আমাদের এক সনাতনধর্মী বান্ধবী হঠাৎ সপরিবারে ভারত চলে যাবার কথা শুনলাম। আমরা সেই ক্লাস ফাইভ থেকে একসাথে পড়েছি। এইচএসসির পর যখন শুনলাম আমার জুটি ভাঙ্গতে যাচ্ছে তখন মনে মনে ভাবলাম এতবছরের স্মৃতিকে মেঘনাতেই না হয় দাফন করব। কষ্ট কম হবে। নাগালের ভেতর থাকা সব বন্ধু বান্ধবীকে ল্যান্ডফোনে ফোন দিলাম। ২২ এপ্রিল ১৯৯৭, বাইরে একটা নিদারুণ রোদাক্রান্ত দিন। রোদে ভাজা ভাজা যাকে বলে। সাড়ে ৯টার ভেতর সব মীরপুর দশ নাম্বার গোল চক্করে জড়ো হয়ে গেলাম। গোণাগুণতি করে দেখা গেল জেরীন ছাড়া সবাই-লিমা, মাবরুকা,কাজলা, শর্মিলা,সোহাগ, জিমি, শামীম,রিপন, খালেদ,শর্মিলার কাজিন পলাশী এবং আমি লোচন;-ওরে বাবা এ তো বিরাট বহর। আমরা একটা বাসে উঠলাম- উদ্দেশ্য গুলিস্তান যাওয়া। পকেটের অবস্থা সবার যা ইচ্ছা তাই। ৫০- ১০০ এভাবে করে যা টাকা পাওয়া গেল সব একসাথে একজনের কাছে দিলাম। গুলিস্তান পৌঁছতে পৌঁছতে গরমে ঘেমে নেয়ে সবাই একাকার। খালেদের স্বাস্থ্য ভালো সে বেচারা একেবারে হাঁসফাঁস করছে গরমে। কিছু যে কিনে খাবো সে অবস্থাও নেই। টাকার সংকট।
কলি কথা ৪ - মিশন কাশ্মীর
ঝিলের শহর- নৌকার বহর
দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার ট্যাক্সিভ্রমণ শেষে এসে পৌঁছালাম ডাললেক...মনের মাঝে কিছু ছবি আছে আঁকা সেই কবে থেকে। গোলাপী রঙের বাড়ি... নৌকা-বাড়ির সারি...টলটলে জল... ফুল বোঝাই শিকারা আরো কত কি! ডাললেকে পৌঁছানোর সাথে সাথে ক্লান্তি ভাব চলে গেল নিমেষে। তখন উৎকণ্ঠা আর কৌতূহল ভর করেছে আমাদের দুজনের মনের উপর। ভাবছি, কি করে পৌছাবো আমাদের নির্ধারিত হাউজবোটে।এখানে এসে কিভাবে কি করবো- এই চিন্তা যেন দুশ্চিন্তায় পরিণত না হয় একারণে আমরা দিল্লী থেকেই হাউজবোট ঠিক করে এসেছি। কারণ মনে আছে তো, কাশ্মীরে নো ফোন- নো সহজ কমিউনিকেশন..!!
ও নদীরে...
ও নদীরে...
মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই, এখন আমার ওষ্ঠে লাগে না কোন প্রিয় স্বাদ...এমন অবস্থাতে বার বার ছুটে গিয়েছি নানা বয়সে, নতুন নতুন বন্ধুদের সাথে একই জায়গায়। আমার একটা নদী ছিল, সে নদীকে আমি কাছের বন্ধু সবার সাথে বছরের পর বছর ভাগাভাগি করে নিয়েছি, বন্ধুরাও সে নদীকে ভালোই বেসেছে তার পাড়ে অজস্র কারখানা না হওয়া পর্যন্ত - আমার সে নদীর নাম মেঘনা। গ্রামের বাড়ী কুমিল্লা হবার সুবাদে যাতায়াতের পথে মেঘনাকে ঝলক পলকে দেখেছি হয়তো কিন্তু মেঘনাতে দাপাদাপির শুরু ৯৫ সালের ৯ মার্চ থেকে। মীরপুর ১০নম্বরে ই.হক কোচিং সেন্টারের শাখায় কিছুদিন এইচএসসির শুরুতে পড়েছিলাম। সেখানে আমাদের টিচার ছিল সুজন ভাই। আমার জন্মদিনের পরের দিন আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবেন – আরেক টিচার ইলোরা এবং বন্ধু উজ্জ্বল। অনেকেই যাবে বললেও যাবার সময় আর কারো দেখা মিললো না। আমরা মাইক্রোতে না বাসে গিয়েছি মনে পড়ছে না।
আমাদের ভারত ভ্রমন- শেষ
ট্রেন স্টেশন থেকে সাতজন উজবুকের মত ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে এলাম। ছোটন একটু দুরত্ব রেখে হাঁটছে আমাদের কাছ থেকে। ওকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারলে মনের ঝাল কিছুটা কমতো। ওকে পাত্তা না দিয়ে অঞ্জনের সাথে পরামর্শ করলাম। আমি আর অঞ্জন রেল স্টেশনে রয়ে গেলাম। অন্যদের বললাম, হোটেলে চলে যেতে। স্টেশনের পাশেই হোটেল। হাঁটা পথ। বললাম, সেখানে যেয়ে ৩ টা রুম নিতে। আমরা গেলাম পরের দিনের টিকেট করতে। খুব বেশি ঝামেলা না করেই পরের দিনের রাজধানীর ৭ টা টিকেট পেয়ে গেলাম। টিকেট নিয়ে আমরা প্রথমে খেতে গেলাম। অবেলায় কি খাব ! ফাস্ট ফুড আর দু'গ্লাস টাটকা আমের জুস খেলাম। তারপর আস্তে আস্তে হোটেলের দিকে। হোটেলে ফিরে সবাইকে বলে দিলাম- কালকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত আমাদের কোনো কাজ নাই। যে যার মত ঘুরতে পারে। যখন খুশি খেয়ে নিবে। বাট কাল বিকাল ৪ টায় সবাই হোটেলে থাকবে।
আমাদের ভারত ভ্রমন- ৪
সকাল ৬ টার মধ্যে সবাই রেডি। বাইরে ঝিরঝির বৃষ্টি। সে বৃষ্টির নিকুচি করি। ঝড়-বাদল যাই হোক আমরা আজ তাজমহল দেখতে যাবই। তাজমহল দেখে আবার আজ বিকাল ৫ টার মধ্যে দিল্লী পৌঁছতে হবে। তারপর রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে যাব কোলকাতায়। নিচে নেমে এলাম সবাই। সাত জনের জায়গায় ৫ জন। দুই জন ঘুমাচ্ছে। শত ডাকাডাকিতেও উঠলো না। একজন কোলকাতার বন্ধু ছোটন। অন্যজন অঞ্জন। ঘুম ঘুম চোখে ওরা দুজন বললো, ওরা নাকী অনেকবার তাজমহল দেখেছে- আর দেখার ইচ্ছে নাই। আসলে বৃষ্টিভেজা এই সকালে ক্লান্ত ওরা ঘুম থেকে উঠতে চাচ্ছিলো না... । জীবনে প্রথমবার তাজমহল দেখার উত্তেজনা আর উন্মাদনা নিয়ে নিচে নেমে দেখলাম, আগের রাতের একজন অটো ড্রাইভার এসে বসে আছে। অন্য অটো ড্রাইভার মানে 'কিশোর বাবু' (যিনি ভালো বংলা জানেন) তখনও এসে পৌঁছায় নাই। তাকে ফোন করা হলো। বললো, আসছি... এই 'আসছি' চলতে থাকলো বেলা ৮ টা পর্যন্ত...
কলি-কথা ১ (কলকাতা টু সারপ্রাইজ অঞ্চল ভায়া দিল্লী ...)
ঢাকা থেকে বেনাপোল:
আগস্টের শুরুর দিকে। টান টান উত্তেজনা ঘরময়। পরিবারের প্রবীণ সদস্য হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমাদের ঠিক সেই সময়ই অন্তত দশ-বারোদিনের জন্য দেশ ছাড়ার ইচ্ছে। আর যাই হোক, কাউকে অসুস্থ রেখে তো যাওয়া যায় না। বর বেচারা মুখ হাড়ি করে ঘুরছে। কারণ একবার বাসের টিকেট হাতছাড়া হয়ে গেলে আর পাওয়া রীতিমতো অসম্ভব। তাও নয় আগস্টের তারিখের টিকেটটা হাতছাড়া হয়ে গেল। রইলো হাতে ৮ তারিখের টিকেটের অপশন। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসবে ৭ তারিখে। ঐ রিপোর্টের উপরই সব নির্ভর করছে তখনও। ওদিকে আমাদের এবার ইচ্ছে ছিল ঈদের আগের দিন বাড়ি ফিরে ঈদটা করবো। অর্থ্যাৎ শ্যামবাবুকে বশ করা সাথে কূলও রক্ষা আর কী! অবশেষে ৭ তারিখে অফিস থেকে বরকে ফোন দিলাম। আমি কিছু বলার আগেই সে বললো, "৮ তারিখে যাচ্ছি.. ব্যাগ গোছানো শুরু করো।" লাফনো মন নিয়ে বাড়ি ফিরে প্যাকিং শুরু করলাম।
আমাদের ভারত ভ্রমন- ৩
সকালে হোটেল কোহিনুর থেকে বেরিয়ে সবাই মিলে নাস্তা করে নিলাম পাশের এক দোকানে। যেখানে গত রাতে আমরা খাবার খেয়েছিলাম। পরোটা, লুচি, আলুরদম, জয়পুরের মিষ্টি আর চা। ভরপেট খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম সবাই। একজন গিয়ে একটা গাড়ি ঠিক করে আনলো। ৪ টা জায়গা ঘুরিয়ে আনবে আমাদের। ভাড়া ঠিক হলো ১২০০ রুপি। প্রথমে গেলাম যন্তর মন্তর দেখতে। যেখানকার টিকেট ভারতীয়দের জন্য ২০ রুপি আর আমাদের জন্য ৫০। কোলকাতার বন্ধুর কারনে ২০ রুপি করেই টিকেট কেটে আমরা ভেতরে গেলাম। জয়পুরের এত্ত এত্ত হেরিটেজ...। প্রতিটির গায়ে লেখা রয়েছে বিস্তারিত। আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখলাম সেগুলো। ছবি তুললাম শয়ে শয়ে। প্রচুর বিদেশি লোকজনের দেখা পেলাম। আমাদের মত না ওরা। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রতিটি জিনিস দেখছে। ঘন্টা খানেক ঘুরে বেরিয়ে পড়লাম। বাইরে এক সাপুড়ে বীণ বাজিয়ে সাপের নাচন দেখাচ্ছে। যে যত খুশি ছবি তুলছে। তবে নিরাপদ দুরত্ব থেকে। সাপুড়ে যতই বলে, ভয় নেই। আমরা সবাই ততই ভয়ে দুরে সরে যাই। এই বার আমাদের গন্তব্য হাওয়া মহল।
ফিফটি!
মন মেজাজ যে খুব একটা ভালো তা বলা যাবে না। তবুও চলছে ৬ তারিখে আরেকটা পরীক্ষা তার পরেই সেমিস্টারটা শেষ। এই সব নিয়ে সাধারন পোলাপানদের মতো আমার ওতো টেনশন নাই। পাশ করার জন্য এক্সামে যাই এবং সেভাবেই ফেরত আসি। সময় থাকতে পড়াশুনাটা করি নাই মন দিয়ে এখন এই সময়ে মন দিয়ে কি করবো। আর টেক্সট বুক পড়াশুনা আমার ভালো লাগে না। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ৪-৫ টা পত্রিকা পড়া সহজ ১ পেজ পড়ার চাইতে। যাই হোক কথা ছিলো টিভি নিয়ে লেখাটা কমপ্লিট করবো তা আর হলো না অল্লোর প্রতারনার কারনে। ভাবছিলাম টাকা লোড আর করবো না কিন্তু বন্ধু ফারজানা লতা টেকা দিলো এই বিপদের কথা শুনে সেই টাকা তেই ওল্লো রিচার্জ করলাম। বন্ধুরা কত সুইট আমার। তারপর থেকে নেটে বসায় একটু অনীহা জন্ম নিলো। লোকজন টেক্সট করে ফ্রীল্যান্স বুদ্ধিজীবি মরছে নাকি? এখন বসতাম না। ঘুম আসতেছে না আর কিছুই ভালো লাগতেছে না তাই বসে বসে এই লেখাটা লিখলাম।
আমাদের ভারত ভ্রমন-২
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ধুম আড্ডা আর মাস্তি। তিন রুমের সবাই আমাদের রুমে। যতই বলি, ভোরে ট্রেন, এবার সবাই ঘুমাতে যাও- কে শোনে কার কথা ! আরে বাপু, এক রুমেই যদি রাত কাটাবি, তাহলে তিনটে রুম ভাড়া নেবার কী দরকার ছিলো ? আমাদের সফরসঙ্গী ২/১ জন আবার অতিরিক্ত পরিমানে ভাল্লুক সেবনের কারনে উলোট পালোট কথা বলা শুরু করলো। যা হজম করতে পারেনা, তা কেনো যে মানুষ খায় ! তবে অতিরিক্ত ভাল্লুক সেবনের কারনে আমাদের মিনারেল ওয়াটার কেনার টাকা বেঁচে গেছে। মধ্যরাতে এক বন্ধুর শখ হলো- তাস খেলবে। এর মধ্যে আরো দুজন রাজী হলো। বাধ্য হয়ে আমাকেও বসতে হলো ওদের সাথে। অল্প কার্ডের খেলা। মানে তিন তাসের খেলা। যথারীতি খেলা শেষে আমার ৭০০ বিদেশি টাকা লস...। মনের দুঃখে ঘুমাতে গেলাম। ঘড়িতে ভোর তিনটা। হাতে সময় আছে দুই ঘন্টার সামান্য বেশি। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ স্টেশনে যেতে হবে। ৬ টায় আমাদের ট্রেন। শতাব্দী এক্সপ্রেস। গন্তব্য দিল্লী টু আজমীর।
আমাদের ভারত ভ্রমন -১
এই বার ঈদে লম্বা ছুটি। তাই স্বপন, অঞ্জন, মুসা আর কোলকাতার বন্ধু ছোটনের পীড়াপীড়িতে ভারতে যাবার একটা পরিকল্পনা করলাম। ৬/৭ দিনের জন্য। এর আগেও ভারত গেছি। তবে সেটা শুধু কোলকাতা, শিলিগুড়ি আর দার্জিলিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। এই বারের পরিকল্পনা দিল্লী, আগ্রা, আজমীর আর জয়পুর। সেই কারনেই ভিসার জন্য আবেদন করা। তিনবার যখন আমাকে ফিরিয়ে দিলো, তখন ভাবলাম- যাবোনা এই ট্যুরে। শুধুমাত্র অঞ্জনের জন্যই আরেকবার আবেদন করলাম। ও সোজা বলে দিলো, আমি না গেলে সে যাবেনা। বাকী বন্ধুরা সবাই রভিসা পেলো। অঞ্জনের ছিলো মাল্টিপল ভিসা। শুধু আমারটাই বাকী। অবশেষে চতুর্থবারের মত ভিসার জন্য আবেন করলাম গুলশান অফিসে। এইবার আবেদন পত্র নিলো ওরা। পাসপোর্ট দেবার তারিখ দিলো ১৯ আগস্ট। মানে ঈদের আগের দিন। আর যদি সেদিন ঈদ হয় তাহলে ২০ তারিখ। এদিকে আমাদের বাসের টিকেট করা ২০ তারিখ রাতে। আবার ২২ তারিখ করা আছে কোলকাতা টু দিল্লী বিমানের টিকেট।
অফ-সিজনে পর্যটন
বছরকয়েক আগে এক তুমুল বর্ষার দিনে কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে হাজির হয়েছিলাম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তুলনামূলকভাবে নতুন কলাতলী বিচে নামি যখন, সেখানে তখন আমরা ছাড়া আর মাত্র ৫-৬ জন পর্যটক উপস্থিত ছিলেন। অফ-সিজনে কক্সবাজারে বেড়ানোর ওই স্মৃতি এখনও আমাদের মনে পড়ে। বেড়াতে ও অন্যান্য কাজে বেশ কয়েকবার কক্সবাজার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই ভ্রমণে যে আনন্দ করেছিলাম আমরা, তার সঙ্গে অন্য ভ্রমণগুলোর তুলনা করা দায়। সেই স্মৃতির কথা মনে রেখে এবারও দিন কয়েক আগে ঘুরে এলাম কক্সবাজার থেকে। বলতে দ্বিধা নেই, অফ-সিজনে কক্সবাজারে বেড়ানোর আনন্দ একেবারেই অন্যরকম। অন-সিজনে পাওয়া সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে তুলনা করলে অফ-সিজনে বেড়ানো রীতিমতো ঈর্ষণীয়।