ইউজার লগইন
ভ্রমনকাহিনী
স্মৃতিচারণ
একটা সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আলাদা কদর ছিলো, এইচএসসিতে পাশের হার ছিলো ৩৩ এর আশেপাশে, অসংখ্য ছাত্র একবারে এইসএসসি পাস করতে পারলেই আনন্দ আটখানা হয়ে যেতো, সে সময়ে গ্রামে-গঞ্জে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামটা শুনলেই লোকজন একটু আলাদা চোখে দেখতো- যদিও আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পেছনে এসব কোনো কারণই ছিলো না। পরিচিত বিভিন্ন ভালো ছাত্র-ছাত্রীরা যেহেতু মেডিক্যাল বুয়েটে ঢুকে গেছে সুতরাং তাদের সাথে আজীবন তুল্য হওয়ার যন্ত্রনা থেকে বাঁচতে চাওয়ার তাড়নাটা একটা বড় অনুপ্রেরণা ছিলো।
বিভিন্ন রকম হিসাব কষে অতীত উদাহরণ ঘেঁটে বুঝলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হতে হলে আমাকে ভর্তিপরীক্ষায় ৬০ এর কাছাকাছি নাম্বার পেতে হবে- সেটাই আমার বেঞ্চমার্ক- এর বেশী পেলে যেকোনো সাব্জেক্টে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবো, তবে কম পেলে টানাটানি পরে যাবে। সুতরাং কোচিং এর বাদলে কিভাবে ১০০তে ৬০ পাওয়া যাবে সেটা নির্ধারণ করাটা এক ধরণের কর্তব্যে পরিণত হলো।
একটি বাসের টিকেট , গন্তব্য অনিশ্চিত ... অতঃপর ....
বছর দশেক পর দেশে গেলে যা হয় আর কি ... সবচেয়ে প্রথম নিজের বাড়ী যাওয়ার রাস্তা এলোমেলো হয়ে যায় ... সর্বনাস , আগে তো ডান দিক দিয়ে বাসায় যেতাম এখন বাম দিক দিয়ে যাওয়া লাগছে ... মনের ভুলে নিজের বাড়ীর সামনে দিয়ে হেটে চলে গেলে পরে জানালা দিয়ে আম্মু ডেকে বলে -- নিজের বাড়ী ছেড়ে পাশের বাড়ী যাও ক্যান ? ঐ বাড়ী কোনো সুন্দর মেয়ে নাই তো ... এরপর ঘরের লোকজন দের দেখে টাশকী খাওয়া লাগে ... ওরে সর্বনাস যাদের দেখতাম হামাগুড়ি দিচ্ছে তাদের সবকটার দাড়ি গোফ গজিয়েছে , যারা ঐ সময় টি শার্টের কোনা ধরে ঝুলে থাকতো অন্তু ভাইয়া চকলেট না দিলে ছাড়বো না তাদের দেখি জামাই এর শার্টের কলার ধরে হুমকী দিচ্ছে বসুন্ধরায় তুমি ঐ মেয়ের দিকে এমন ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলে ক্যান ? বিয়ে করেছ বৌ আছে , সারা দিন আমার কথা শুনো তাও এখনো লজ্জা হয়নি ?আর কবে শুধরাবা ? ... এরপর শুরু হয় খাওয়ার পালা ...... সে কথা না হয় অন্য কোনো দিন বলবো ...
চক্বরের টুকিটাকি
চক্বরের টুকিটাকি
নিজের মনেই মাঝে মাঝে ভাবি আমি এমন ব্যাপক আকারে ঘোরাঘুরির প্রতি নিবিষ্ট হলাম কিসের মন্ত্রণায়! যেখানে বাংলাদেশের নারীরা এ পাড়া থেকে সে পাড়ায় যাওয়া ও পরিণত বয়সে একটি অপরাধের মধ্যে পড়ে। কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেল।
ফ্রেমবন্দী অনুভব: ২
ক. প্রফেসর ব্রায়ানের সাথে যাচ্ছি কিছু ইন্টারভিউ নিতে, সুনামগঞ্জের কোনো এক জেলেপাড়ায়। তিনি একজন নৃতাত্ত্বিক, সম্প্রতি বাংলাদেশের সাক্ষরতার উন্নতি এবং এর সাথে মোবাইল ফোনের বিস্তৃতি তাঁর মনোযোগ কেড়েছে। একজন নিরক্ষর মানুষ কীভাবে প্রচলিত অক্ষর কিংবা সংখ্যার সাথে পরিচিত না হয়েও সাবলীলভাবে মোবাইল ব্যবহার করে যাচ্ছে- এটি তার বিস্ময়ের অন্যতম উৎস! গাড়িতে তিনি একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছেন, আমি যথাসম্ভব উত্তর দিচ্ছি নিজের মতো করে এবং যেহেতু ছবি তোলার চেয়ে তাঁর প্রশ্ন করায় উৎসাহ বেশি এবং উল্টোদিকে আমার উত্তর দেয়ার চেয়ে ছবি তোলায় উৎসাহ বেশি- সুতরাং তাঁর ক্যামেরা এবারো আমার হাতে। তবে ব্রায়ানের ক্যামেরায় আমার ছবি তোলার এটাই শেষ পর্ব।
ব্যাংকক শহর দেখলাম দুইজনে ঘুইরা ঘুইরা..
যদি ভালো না লাগে তো দিও না মন..........
মন দিতে না চাইলেও যে মন দিতে বাধ্য হয়ে যায়। যেতোই ভাবি যে ভালোবাসাটা একটু কমাবো কিন্তু সামনে দেখলে যে আর আটকে রাখতে পারি না। এদিকে ওজন টা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এভাবে চালতে থাকলে তো কেউ বিয়ে করবে না
বিয়াতে কত্ত মজাগো, খালি খাওন আর খাওন!! এতো চিন্তা করে লাভ নাই আগে খাওয়া পরে অন্য চিন্তা। দুনিয়াতে যে কত্ত মজার মাজর খাবার আছে না খাইলে জানতামই না। আর কিছু আবিষ্কার করি আর না করি এতো দিন পরে নিজেরে ভোজনরসিক আবিষ্কার করতে পারছি , এইবা কম কি?। প্যাচাল বন্ধ কইরা এবার কাহিনীতে আসি।
প্রথম পাহাড় দেখা, প্রথম সাগরে স্নান...
"দিল চাহতা হ্যায়" সিনেমাতে প্রীতি জিনতার প্রথমে যে ছেলেটার সাথে বিয়ে হবার কথা থাকে সে বিভিন্ন দিনের সময় উল্লেখ করে প্রীতিকে উপহার দিতে থাকে এবঙ এ ধরনের ক্যালেন্ডার ধরা ব্যবহারে প্রীতি ছেলেটার উপর দারুণ অসন্তুষ্ট থাকে।
ঘোরাঘুরি
বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ঘোরা মানুষ আমি। স্কুল জীবন থেকেই আমার সারাদেশে ঘোরাঘুরি শুরু। কখনো এমনিতেই ঘুরতে যাওয়া। কখনো বাবার চাকরীর সুবাদে থাকা। আমার নিজের চাকরীর কারনেও অনেক জেলায় ঘুরেছি। আবার প্রথম আলোর সাথে দীর্ঘদিন জড়িত থাকার কারনেও দেশের অনেক জেলায় ঘুরতে পেরেছি। বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে যেয়ে বিভিন্ন রকমের মানুষের সাথে মেশার এক অন্য রকম সুযোগ পেয়েছি আমি। কোথাও যেয়ে মনটা ভালো হয়ে গেছে। এত সুন্দর নিরিবলি ছিমছাম শহর। আবার কোথাও যেয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই সব আজ কেবলই স্মৃতি। সুখের স্মৃতিই বেশি।
আবোল তাবোল - ৮
#
যে কোন লেখা, বিশেষত ব্লগরব্লগরের ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সমস্যা বোধহয় একটাই - তা শুরু করা!
মাথার ভেতর রাজ্যের যত চিন্তাভাবনার দৌড়াদৌড়ি কিন্তু লিখতে নিলেই সব উধাও। সবাই যেন বাইরে যাবে বলে এক্কেবারে ফুলবাবুটি সেজে রেডি কিন্তু সময় হলে কাউকেই পাওয়া যায় না। এ ঠেলে ওকে, ও ঠেলে তাকে। এই চলতে থাকে, আর লেখা হয় না। আজ তাই আর এত চিন্তা ভাবনার দিকে না যাই, আজ ডাইরেক্ট একশন। যা যা মাথায় আছে থাকুক, টাইপিং শুরু করলাম যা লেখা হবার হোক!
#
অনেক দিন হল আবোল তাবোল কিছু লিখিনা। ভাল লাগতেছে না ব্যাপার টা।
আসলে, কাহিনী হইল কিস্যু ভাল্লাগেনা! দিনে দিনে দিনকাল এমন হইছে যে একটা কিছু মনোমত হয়না। সবার সাথে খালি ঝামেলা হয়, তাই এখন সবার কাছ থেকেই একটু দুরে দুরে থাকার চেষ্টায় আছি। এইসব প্যানপ্যানানি কথাবার্তা লিখতেও ভাল্লাগেনা। এই মন নিয়া ভাল কিছু লেখার উপায় আছে!
বেশি কইরা হাইটাবেড়ান, ত্যাল্গ্যাসের উপ্রে চাপকমান
প্যাটের ধান্দায় বেরৈতেই হয়। সেইলাইগাই সকালসকাল বেরায়া পর্লাম। বেশ আয়েশ কইরা একখান বিড়ি ধরায়া হাইটা গলির ভিত্রে থিকা বেরইলাম। গলির্ভিত্রে রিস্কাগাড়ি কম দেইখা ভালৈ লাগতেছিলো। ভাব্লাম যাউক লুগজন কম্বেরৈছে, শান্তিতে যাওঞ্জাইবো। ওম্মাগো মা......
পরীদের শহর থেকে... (২)
( এই ছবিটা রমণীয় পা সন্ধানীদের জন্য )
থাইল্যান্ডের ডাকনাম "হাসির দেশ" আর ব্যাংককের সদা হাস্যময় মানুষ সেই নামের মর্যাদা ভাল ভাবেই রেখে চলে। এখানকার মানুষের ব্যবহারের কারণে পর্যটকরা বারবার এখানে আসে। অত্যধিক উন্নয়ন-জনিত নির্মাণ আর সামুদ্রিক উচ্চতা বৃদ্ধিতে ব্যাংকক শহর বছরে ২-৫ সে.মি. ডেবে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এটি ভেনিস শহরের মত ডুবন্ত শহর হয়ে যাওয়ার কিঞ্চিত সম্ভাবনা বিদ্যমান। তবে, ব্যাংকক শহরের মধ্যে দিয়ে অনেকগুলি খালে পানিপথে চলাচলের সুযোগ থাকায় একে “প্রাচ্যের ভেনিস” বলা হয়।
পরীদের শহর থেকে... (১)
শহরটার পুরো নাম এতটাই বড় যে গিনেস রেকর্ডে এটা যেকোনো জায়গার সবচেয়ে দীর্ঘতম নামের অধিকারী, মোট ২১টি শব্দ নিয়ে এর পুরো নাম। সংক্ষেপে শহরটার নাম “ক্রুং থেপ মাহা নাখন” যার মানে “পরীদের শহর”। আর আমরা শহরটাকে চিনি ব্যাংকক নামে। এখানে আসছি অফিসের কাজে।
ব্যাংককে বাংলাদেশীরা এত বেশী আসে যে এই শহর সম্বন্ধে নতুন কিছু জানানোর চেষ্টা রীতিমত ধৃষ্টতা। তাই শুধু কয়টা ছবি...
~
নিঃসঙ্গ নিঝুপদ্বীপ এবং একটি হুমায়ুনকাব্য
যাত্রী সংখ্যা ষোল। পাঁচ জোড়া দম্পতি। দুইজন বন্ধু। এক জোড়া কলিগ। একটি বোন। একজন সহকর্মী। ওহো, আর সতেরোতম ব্যক্তি একটা উদ্ভট পথপ্রদর্শক। এই হলো নিঝুম দ্বিপ বাহিনী। এদের নাম বলে নেয়া ভালো। তাহলে গল্পটা বলা যাবে আয়েশ করে।
পথে পথে যেতে যেতে
ঘুরে এলাম শেরপুর
প্রথম কথা
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।।
ছোটবেলায় দেখা স্বপ্ন বা ইচ্ছাগুলোর মাঝে যেই স্বপ্নটা এখন মরে যায়নি সেটা হলো বাংলাদেশের ৬৪ টা জেলায় ঘুরার ইচ্ছা। যদিও এই স্বপ্নটা মৃতপ্রায় ছিল।
কিছুদিন আগে হঠাৎ করে শুনলাম সাঈদ ভাই নিঝুম দ্বীপ ঘুরে এসেছেন। তখন সাঈদ ভাইকে বললাম পরেরবার কোথাও গেলে যেন আমাকে জানানো হয়।
প্রস্তুতিপর্বঃ
গত ২রা ফ্রেব্রুয়ারী মুখবই(Facebook) অনলাইন হইতেই সাঈদ ভাইয়ের বার্তা ।
“ওই মিয়া মোবাইল বন্ধ কেনো?”
সাঈদ ভাইয়ের এই বার্তা দেখে মনে হইলো ভুল দেখলাম ।
ঝলমলিয়ায় সনাতন মেলায় - ৩
মাতম করা মানে বিলাপ করা এইটা জানা ছিল। কিন্তু এর জন্য যে একটা দলই থাকে এবং ওরা অনুষ্ঠানে মাতমে অংশ নেয় জানা ছিলনা। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে প্রথমেই ছিল সনাতনের স্মরণে মাতম। সন্ধ্যা হতেই ঢাক ঢোল শিঙ্গা ইত্যাদি নিয়ে মাতম দল হাজির। সনাতনের পরিবার ও মাতম দল বাদ্য বাজনা বাজিয়ে সনাতনের সমাধির চারপাশ ঘুরে ঘুরে প্রদক্ষিণ করে। কয়েকবার করার পর পরিবারের মহিলারা পারিবারিক গুরুর ছবির সামনে না অর্ঘ্য দিয়ে পূজা করে। আর মাতম দল বাজাতে থাকে ঢাক বাদ্য। যার যেটা সাথে আছে। সে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ। আলো আধারি, মোমের আলো তার মধ্যে মাতম বাজনা লিখে প্রকাশ করার মত ভাষা আমার নাই। ছবিতেও আসলে ঠিক রূপটা প্রকাশ সম্ভব না । একমাত্র উপষ্থিত থাকলেই সেই সময়ের পরিবেশ বোঝা সম্ভব। মাতম পর্ব শেষ হয় সনাতনের মার মন্ত্র পড়ার মাধ্যমে।