ইউজার লগইন
ভ্রমনকাহিনী
ঝলমলিয়ায় সনাতন মেলায় - ২
সনাতন বিশ্বাস ঢাকার চারুকলা থেকে পাশ করা অকাল প্রয়াত প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। অবাক লাগে এই অজ পাড়া গাঁর সাধারণ বাড়ি থেকে একজন রাজধানীর চিত্রশিল্পের অঙ্গনে নাম লিখিয়েছিলেন। তার থেকেও অবাক লাগে মৃত্যুর পরও বন্ধুরা বছরের বছর কী চমক্প্রদ আয়োজন করে যাচ্ছে বন্ধু স্মরণে। সনাতন মেলা মূলতঃ সানতনের চিত্রশিল্পী বন্ধুদের উদ্যোগে প্রতি বছর হয়ে থেকে ঝলমলিয়ায় সনাতনের বাড়িতে। সনাতন স্মরণে র্যালি, গ্রামের ছোট ছোট শিশুদের রং তুলিতে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, সনাতনের চিত্র প্রদর্শনী, মাতম, গানের আসর এসব নিয়েই সনাতন মেলা। আর এই সব আয়োজন তার বন্ধুরা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কী অসাধারণ বন্ধুত্ব!
ঝলমলিয়ায় সনাতন মেলায় - ১
জানা ছিলনা অথবা জেনে থাকলেও ভুলে গেছিলাম সনাতন মেলা জিনিসটা কী। বাগেরহাটের রামপালের ঝলমলিয়া গ্রামে অনুষ্ঠান এইটুকুন মাথায় রেখেই আমি আর বিমা এক দলের সাথে জুড়ে গেছি। আসলে একদিন হে-লালদাকে বলি সারাদিন আপনার স্যুটিংয়ে থাকতে চাই আপনার একশনের ছবি তোলার জন্য। হেলালদা বলে তাইলে ঝলমলিয়া চলেননা সেইখানে সনাতন মেলা নিয়া একটা ডকুমেন্টারি বানাইতেছি। আমি সাথে সাথে রাজি এবং বিমাও। কাউয়া বাপকে পাহারা দেয়ার জন্য যেতে পারেনা ইচ্ছা থাকা সত্বেও।
ধারণা করছিলাম লালদার সাথে চার পাঁচ জন যাবে। বাসে দেখি ৪৫ জনের দল। ঢোল, টোল ইত্যদি নানা বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বাস চলার শুরু থেকে গান। গান গাওয়া প্রায় বিরামহীন ভাবে গন্তব্যে পৌছানো পর্য্যন্ত চলল। সবথেকে জমেছিল রাতে ফেরিতে পদ্মা পার হওয়ার সময় মাঝনদীতে উদাত্ত গলায় সবার নাচ গান। অন্য যাত্রিরা ভেবেছে বিয়ে বাড়ির দল।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম।
চামড়াগুলো তেমনভাবে কুঁচকে যায় নি; নখ কিংবা চুলগুলো আরেকটু বেড়েছিল কিনা খেয়াল করি নি তখন
আমার ঘুমিয়ে পড়া দেহটিকে কেউ
উষ্ণতার পরশ দিতে চেয়েছিল কিনা-
জানতে জানতে আসল সময় পেরিয়ে গিয়েছিল;
শুধু আস্তে আস্তে টের পাচ্ছিলাম- গলিত ঠাণ্ডা লাভা জমতে শুরু করেছে ঠিক চামড়ার নিচে-
যেখানে জমা হয় রং ফর্সাকরী ময়েশ্চার ক্রিম।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম-
তখন যদিও হাতের নাগালে তিনটি কবিতা, একটি উপন্যাস এবং কয়েকটি প্রবন্ধের বই ছিল
ওগুলো ছুঁতেও ইচ্ছে করে নি,
মোটা কাপড়ের শাড়িটাকে শুধু গায়ের ওপরে তুলে দিয়েছিলাম।
কবিতার বইয়ের বদলে শাড়ি দিয়ে শীত নিবারণ বিপ্লবীদের শোভা পায় না-
ফলে দুপুরবেলাতেই মরে যেতে হয়েছিল।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে যেতে যেতে
সমাজ-রাজনীতি সব বাদ দিয়ে কেবল নিজের সুখটুকুর কথাই মনে হচ্ছিল।
ইওরোপের কোন এক খানে... (৪)
আবেগ-সর্বস্ব এক দেশের মানুষ আবেগ-হীন এক দেশে হাজির।
তয় ফ্রান্স পর্ব শেষ করণের আগে দুই ফরাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাইতে চাই। একজন ফরাসী সেনাপতি সিনফ্রেঁ, যিনি তাঁর সৈন্যবাহিনী নিয়া পলাশীর যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বাংলার স্বাধীনতা রক্ষায় সিরাজউদ্দৌলার হইয়া যুদ্ধ কইরা গেছেন। আর দ্বিতীয় জন ফরাসী যুবক জাঁ ক্যুয়ে কে, যিনি ’৭১ এ প্যারিসে পিআইএর একটা ফ্লাইট হাইজ্যাক করছিলেন বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চাইয়া।
ইওরোপের কোন এক খানে... (৩)
প্রত্যেকের জীবনই একেকটা আস্ত ভ্রমণ-কাহিনী। কিন্তু সেইটা আমরা হয়তো খেয়াল করি না।
ইওরোপের কোন এক খানে... (২)
ফ্রান্স নিয়া কিছু প্যাঁচাল পারি। ব্রিটেনের পরে দুনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য ছিল ফ্রান্সের, ১৯৬০ পর্যন্ত প্রায় পৃথিবীর ৮% এর বেশী ভূমি তাগো নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখনো ফ্রান্স এর মোট এলাকার প্রায় ২০% ইউরোপের বাইরে অবস্থিত - নানা অঞ্চলে সেগুলি ছড়াইয়া আছে।
ফরাসিরা পরিবার ও বন্ধুদের গালে চুমু দিয়া অভিবাদন জানায়, এমনকি পুরুষদের মধ্যেও, তয় এলাকা ভেদে চুমুর সংখ্যা বাড়ে-কমে। ডুরেক্সের সার্ভেতে বছর গড়ে ফরাসিরা সব চেয়ে বেশি মিলিত হয়। আবার ফরাসিরাই দুনিয়াতে মানসিক রোগের ঔষধের বৃহত্তম ভোক্তা, সেইটা তাগো মোট জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। ফ্রান্সে রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে মরা মানুষের সাথে বিবাহ করাও সম্ভব!
স্টোরিয়া পোলস্কা (শেষ পর্ব)
পরদিন সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ব ভাবলেও গড়িমসি করে বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে বেড়োতে বেড়োতে বারোটা বেজে গেলো। নাস্তার টাইম চলে গেলো তাই ব্রাঞ্চ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। ব্রাঞ্চ করার জন্যে ট্রাম ধরে সিটি সেন্টারে গেলাম। বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের ছবি দেখে কোন রেষ্টুরেন্টে ঢুকবো তাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। খাবার দাবার তুলনামূলকভাবে নেদারল্যান্ডসের থেকে বেশ সস্তা। একটি টার্কিস রেষ্টুরেন্টে শেষমেষ ঢোকা হলো। খেয়ে দেয়ে বের হয়ে আগে থেকেই ঠিক ছিল পুরনো ওয়ার্শাও দেখতে যাবো, কিন্তু ট্রাম খুঁজতে যেয়ে দেখলাম, ফাটাফাটি সামার সেল চলছে সেখানে। আর কি, ঢোকো দোকানে।
ধন্য ধন্য।। বলি তারে......
ভ্রমণ কাহিনী
গত রোববার,ভোর বেলা চেপে বসলাম বাসে। গন্তব্য ইযু পেনিনসুলা।। । এটি জাপানের সিযুওকা আইল্যাণ্ডে অবস্থিত।।।। বাসে মজা করতে করতে ঘন্টা চারেক পর পৌঁছে গেলাম।, ইযুর দোগাসীমাতে।।। আকাশ ঝকঝকে থাকলেও, বিধি বাম। অতিরিক্ত বাতাসের কারণে,একটুর জন্য সমুদ্র ভ্রমণটা মিস হয়ে গেল। চললাম, কাওয়াজুতে। সেখানে আছে, সাতটা পাহাড়ি ঝর্ণা। ঝর্ণাকে এরা দারু বলে, আর সাত সংখ্যা জাপানিজে হল- নানা।। । নানাদারুর কাছে গিয়ে আমার বাকরুদ্ধ হয়ে গেল।াম। সাত ঝর্ণার সাতটা রূপ। একটা সাপের মত, তাই হেবি দারু।। একটা চিংড়ি মাছের মত, তাই নাম এবিদারু। একটা কেটলীর মত, তাই কামাদারু। একটা প্রথমেই চোখে পড়ে, তাি নাম প্রথম দর্শন মানে হাক্কেইদারু, একটার নাম দেআইদারুএটার মানে হল দেখা হওয়া বা সাক্ষাত। কাঁকড়ার মত যেটা সেটার নাম কানিদারু।
ভিয়েনায় ঘোরাঘুরি
ভিয়েনা জায়গাটা সুন্দর। সাজানো-গুছানো। প্রকাশ্যে আইনের কড়াকড়ি নেই, কিন্তু সব চলছে নিয়ম মেনে। মেহমান আসার আগে বাড়ির ড্রয়িংরুম যেরকম গুছানো থাকে, ভিয়েনা যেন সেরকম।
ভিয়েনা আসলে গানের শহর। প্রথম ভিয়েনা দেখার শখ জেগেছিল সাউন্ড অব মিউজিক দেখে। কিন্তু সখটা তীব্র হয় বিফোর সানরাইজ দেখে। আহা! সেই যে ইথান হক আর জুলি ডিপলি ইউরো ট্রেন থেকে নেমে গেলো ভিয়েনায়।
বাংলাদেশের সবুজ পাশপোর্ট নিয়ে যে কোনো ইমিগ্রেশন কাউন্টারে একটু বিরক্ত লাগে। এমন ভাবে পাশপোর্ট দেখে আর তাকায় যে, মনে হয় ফিরে যাই। তবে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে সময় নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সেরা। এতোটা দেরি আর কেউ করে না।
চাঁদপুরে একদিন
১৯৭৬ সালের কথা। মেজো ভাইয়ের বিয়ের সুবাদে অন্যদের সাথে চাঁদপুর যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। তখন চাঁদপুর যাওয়ার সহজ বাহন ছিল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চ বা স্টিমার। ছোটবেলায় নৌকা-লঞ্চে ওঠার অভিজ্ঞতা অনেক, কিন্তু স্টিমারে প্রথম উঠেছিলাম চাঁদপুর যাওয়ার সময়। তখন এ রুটে ‘পাক ওয়াটার’ ও ‘বেঙ্গল ওয়াটার’ নামে দুটি স্টিমার সার্ভিস চালু ছিল। গিয়েছিলাম পাক ওয়াটারে এবং এসেছিলাম বেঙ্গল ওয়াটারে। পৃথক দুটি স্টিমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও ছিল ভিন্ন ধরনের। এ স্টিমার দুটি এখনো চালু আছে কি না জানা নেই। স্টিমারে ভ্রমণ লঞ্চের চেয়েও নিরাপদ মনে হয়েছিল। খুব মজা পেয়েছিলাম।
ভ্রমন: বান্দরবন-থানচী-েমাদক
গত বছরের জুলাই মাস বর্ষাকাল,মাথার িভতর বিিভন্ন আইডিয়া িকলবিল করছে। আর তাতেই শুরু হয়ে গেল ইমেইল-ফেসবুক এ কথা চালাচালি। অবশেষে িঠক হলো বান্দরবন এর থানচী হয়ে েমাদক যাওয়া হবে । পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবন, বান্দরবন হতে চাদের গাড়ী েযাগে থানচি। রাতে থানিচ েরস্ট হাউজে থাকা অত:পর সকালে ইঞ্জিন বোটে েমাদকের পথে যাত্রা শুরু, অবশ্য বিডিআর যেতে দিতে চাচ্ছিল না এবং আরোও বললো যে ৪/৫ দিন আগে নৌকা ডুবে ।২ জন মারা গেছে। পথে তিন্দুর বড় পাথর দেখলাম অবশ্য ভালো মতো দেখা গেল না কারন পানি অনেক বেশী িছল, এছাড়া সবাইকে মাঝে মাঝে নৌকা থেকে নেমে হেটে যেতে হচ্ছিল ও কয়েক জায়গায় রশি বেধেঁ নৌকাকে টেনে নিয়ে যেতে হয়েছে। যাহোক েস্রাতের বিপরীতে চলতে চলতে সন্ধ্যার পরপর আমরা রেমাক্রী পৌছালাম। অত:পর রেমাক্রি বাজারে রাতের খাওয়া এবং রেস্ট হাউজে রাত্রী যাপন। পরদিন সকালে নৌকায় ছোট মোদক হয়ে দুপুর নাগাদ বড় মোদক পৌঁ
ভ্রমন: িসলেট-ভোলাগঞ্জ-মাধবকুন্ড
শহরের ইট-কাঠ-পাথর আর ভােলা লাগছিল না ।ফলে আমােদর "এক্সপ্লোরার ক্লাব অব বাংলাদেশ" এর শােহদ কামাল ভাই যখন প্রস্তাব িদলেন েয িসলেটের হজরত শাহ্জালাল (র:) এর মাজার িজয়ারত এর পাশাপািশ েভালাগঞ্জ এবং মাধব কুন্ড দেখতে যােবন, তখন িনজকে আর আটকে রাখতে পারলামনা। েবাচকা- বুচকী বেধে গতমােসর েকান একদিন রওনা দিেয় িদলাম। আমাদের ক্লাবের েডভীড সিলেটে চাকুরী করে ফলে সে আমাদের সাথে েযাগ দিতে এক মূহুত্ত দেরী করলোনা । আমাদের দেশটা যে কত সুন্দর বলে শেষ করা যাবে না বা আমার পক্ষে সেভাবে বর্ননা করা সম্ভবও নয়। তাই নিচে অানাড়ী হাতে েতালা কিছু ছবির মাধ্যমে প্রকাশের চেষ্টা মাত্র।
১। হজরত শাহ্জালাল (র:) এর মাজার, সকাল বেলা লোকজন আসতে শুরু করছে--
২।মাজার এর পাশে বড় বড় পাতিল, িক রান্না হয় ?
ক্যালিফোর্নিয়া
ক্যালিফোর্নিয়া হলো আমেরিকানদের স্বপ্নের রাজ্য।
ট্রাভেলগ ১
কলেজ শেষে গেলাম সিলেটে,গেলাম বলতে এক্কেবারে পাঁচ-ছয় বছরের ধাক্কা।নতুন জায়গা,নতুন সব ঘ্রাণ।এখনো আমার কাছে সিলেটের কথা মনে পড়লে মনে হয় -কেমন যেন এক সজীবতা আর সবুজের সমারোহ।সিলেট যাবার পর ই ভালমত ঘুরার ইচ্ছা মনে বাসা বাঁধল,আর আজ মনে হয়,আমি ই মনে হয় আমার বন্ধুদের মাঝে সবচেয়ে ঘরকুনো, আমার বেশীরভাগ ঘুরাঘুরি ই বই পড়ে, কোন জায়গার উপর ভ্রমন এর ভাল কোন বই পড়লে নিজে নিজে ই মনের কুঠুরি তে সে জায়গা র ছবি তৈরি করি।