ইউজার লগইন
ভ্রমনকাহিনী
হটল্যান্ড থেকে ফ্রিজল্যান্ড ১ : প্রস্তুতি
প্রায় অর্ধযুগ হয়ে গেল বিদেশ ঘুরে আসার। কতবার ভাবছি এইটা নিয়ে লিখব কিন্তু আজ না কাল করে করে লেখা হয়ে উঠে না। দেড় মাসের জন্য হল্যান্ডের খুব খুবই ছোট এক শহরে থাকার আনন্দের স্মৃতি এতদিন না লেখার অন্যতম কারণ সেই চমৎকার সময়ের ভিজুয়াল স্মৃতি উপকরণ হারিয়ে ফেলা। সেখানে আমি আমার আশেপাশের যত ছবি তুলিছেলিাম একটা সিডিতে কপি করা ছিল। সেই সিডিটা হারিয়ে ফেলার দুঃখে লেখা আর হয়ে উঠেনা। এইবার ঠিক করেছি লিখেই ফেলব, নাহলে আর হয়ত আমার জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমনের কথা লেখা হবে না।
আমি তখন একটা ডাচ-বাংলাদেশি কোম্পানিতে কাজ করতাম। কয়েকদিন ধরে কথা হচ্ছিল আমার ও আরেকজন সিনিওর কলিগের নেদারল্যান্ড যাওয়ার। তবে যাওয়া যে হবে নিশ্চিত ছিলনা। কিন্তু যখন নিশ্চিত হল তখন হাতে সময় নাই। এক সপ্তাহের মধ্যে যেতে হবে। এবং একা। এদিকে আমার কোনো প্রস্তুতি ছিলনা। এমনকি পাসপোর্টও ছিলনা।
বেহাল মুজিবনগরে এক চক্কর
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালিত হয়ে গেল। কয়েকদিন আগে আমরা কয়েকজন লালনমেলায় যাওয়ার সুযোগে মুজিবনগর দেখে এলাম। তো, দেখতে গিয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। আমার লেন্সটা শেষ সময়ে বিগড়ে যাওয়ায় ৫০ মিলি/১.৮ দিয়েই ক্যামেরা চালাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম বাউলদের প্রোফাইল তুলতে এই লেন্সই যথেষ্ঠ। কিন্তু অবস্থা দেখে সেই লেন্স দিয়েই কিছু ছবি তুলে আনলাম। আসল পরিকল্পনা ছিল এই ছবিগুলো দিয়ে রাজকূটে একটা ফটোফিচার করব ১৭ এপ্রিলের আগে আগে। কিন্তু পরিকল্পনার পরী উড়ে গেল আগেই, রাজকূট অকালে নিহত হয়ে গেল।
তো, ব্লগই ভরসা। আসুন, মুজিব নগর দেখে আসি।
১. জ্বি, এটাই সেই সৌধ। খুব নীরব নিঝুম দেখে ভাববেন না এখানে লোকজন নেই:
২. লোকজন আছে মানে আছে, সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে বসে গেছে গোটা একটা বাজার:
রিক্যাপচারিং পাস্ট -৭
কিছু ভাবার না পেয়ে বা ভাবতে গিয়ে আটকে গিয়ে বৃক্ষ গুনতে শুরু করলাম। নদীর বুক চিড়ে দৌড়ে যাবার তাড়া নেই ভাসমান যানের, কেউ একজন গিয়ে বলে এসেছে ক্যাপ্টেনকে ধীরে চলতে। বড় নদী ছেড়ে সুন্দরবনের ভেতর থেকে প্রবাহিত শাখা নদীতে। দিবস-সায়াহ্নে নির্জনতা প্রখর হয়ে ওঠে। অভূতপূর্ব গুঞ্জন আছড়ে পড়লো - দিবসের কোলাহল তাড়িয়ে। সূর্যালোকের কিরণ সশব্দ বিচ্ছুরিত হয়, আর আঁধারের থাকে কোমল শব্দমালা। হরিদ্রা বর্ণের কোঠরে সবুজাভ সংমিশ্রণ যেন দূর্দান্ত ক্যানভাস তৈরী করেছিলো। এক, দুই থেকে হাজার ছাড়িয়েও ক্লান্তিহীন গণনা চলছিলো আমার।
এ জার্নি বাই মাইক্রোবাস, সিডান, হিরু হুন্ডা ফ্রম ঢাকা টু জিন্দাপার্ক টু চিকেন বিরিয়ানী
দুই-তিনদিন আগেই প্লান হইছিলো বৃহষ্পতিবার ১৮ মার্চ এবির ফটু মন্ত্রনালয় টঙ্গী রেল স্টেশন এর আশপাশে গিয়া ফটু তুলতে চায়। সকাল নয়টার ফটুগ্রাফার তিনজন (হাসান রায়হান, রায়হান সাঈদ আর বৃত্ত শুভ) রওনা দিলো ফটু তুলতে। আর দুধভাত আমজনতা সাড়ে ছয়জন (আমি, শওকত মাসুম, লীনা দিলরুবা, জয়ীতা, টুটুল, লীনা ফেরদৌস এবং তার মেয়ে মাধূর্য) আমরা রওনা দিলাম একটু বেলা করে সকাল এগারটায়।
বাপ ছেলের বই মেলা ভ্রমন।
মাস ব্যাপী কার্নিভাল পড়ে পড়ে প্রায় একটা সিদান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম, এবার বইমেলায় যাব না! মোটামুটি চোখের সামনে রাসেল ভাই একটা ছবি তুলেই দিচ্ছেন। রেডিওতে নাটক শুনার মত অবস্থা! তারোপরি টাকা পয়সার একটা চরম টানাটানিতে আছি। শেয়ার মার্কেটে টাকা হারানো সহ নানা অর্থ কষ্টে আছি। (দ্রব্য মুল্যের লাগাম না ধরলে আমার মত লোক ঢাকা থাকতে পারবে কিনা সন্দেহ! করল্লার কেজি ১০০ টাকা।) আজকাল ভাবছি নূতন কোন শহরে চলে যাব! বিদেশ নয়, দেশেই অন্য কোন বিভাগীয় শহরে! যেখানে কেহ আমাকে চিনবে না! আর কয়েক মাস দেখি। (ওয়াইফকে রাজী করাতে হবে!)
খাও দাও ফুর্তি করো
আর একদিন বাদে পরশু কাক ডাকা ভোরে রাজশাহী ছাড়বো আবার কবে আসবো ঠিক নাই।যেয়ে শুরু হবে সেই একঘেয়েমি জীবন ল্যাব টু বাসা দিয়ে আবার ল্যাব মাঝে মাঝে সুপারম্যানের রামডলা কোনদিন আলহাদের শুরে চিকন ডলা।তা যাই হোক।যা হবে সেটা পরে দেখা যাবে।
আজ অনেক দিন পর রাজশাহী শহর চক্কর দিলাম।সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আমাদের কিছু প্রিয় জায়গার বিকালের খাবার খেলাম।গত পোস্টে ছবি দেই নাই দেখে অনেকেই বকাবকি করলো তাই আজ আর সেই ভুল করছি না।
আমরা আগে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার খাওয়া শুরু করতাম নবরূপের দই আর রসমালাই দিয়ে আজ ও তাই করলাম।খেয়ে দেয়ে বিল দিতে গিয়ে দেখলাম দাম আগের চাইতে অনেক বেড়েছে কিন্তু টেস্ট আগের মতোই আছে।
রসমালাই
সাহিত্য পত্রিকা ''ক্রন্দসী''র ভালোবাসা দিবস ও ২১ এর উদ্বোধনী সংখ্যা পড়ুন
মাসিক ক্রন্দসী সাহিত্য ম্যাগাজিন পড়ুন
প্রকাশিত হয়েছে শাহ আলম বাদশা সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ''মাসিক ক্রন্দসী''র ভালোবাসা দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস/২০১১ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী সংখ্যাটি। ভালোলাগার মতো একাধিক ছোটগল্প, রম্যগল্প, ভালোবাসা দিবসের ছড়া-কবিতা, প্রবন্ধ/ফিচার ইত্যাদি সমৃদ্ধ সংখ্যাটি আশা করি সবার ভালো লাগবে। http://monthlywebmag.blogspot.com/
জীবনের শেষ শুকনা খাওয়া
নিরান্নব্বই সালের শ্যাষ সপ্তায় দুই দোস্ত মিল্যা ঠিক করলাম নয়া সেঞ্চুরিতে আর শুকনা ধরামু না। আরেক দোস্ত আছিলো খুলনাত, তারে দিয়া শুকনা আনাইলাম তিরিশ টেকার। সেই টাইমে তিরিশ টেকায় বহুতগুলা শুকনা পাওন যাইতো। যাই হউক, শুকনা সাইজ করনের দায়িত্ব পড়লো আমার উপরে। অইটাইমে শুকনা ভালোই সাইজ করতে পারতাম। তো আটানা দামের সান-মুন সিগ্রেটের সুকা ফালায়া দিয়া পুরা শুকনা দিয়া তিনটা লোড দিলাম। সান-মুন সিগ্রেটের ফিল্টার দামী সিগ্রেটের ফিল্টারের থাইকা ছোট আছিলো, যার লাইগা বেশি ধুমা ফিল্টার হইতোনা :হুক্কা:।
ভারত ভ্রমণের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের পর্যটন
বেশ কিছুদিন আগে পর্যটন বিষয়ক একটি লেখা প্রকাশের পর পরিচিত একজন বাংলাদেশের বাইরে পর্যটনের অভিজ্ঞতা আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। ‘খুব সামান্য’ জবাব দেয়ায় তিনি উপদেশ দিয়েছিলেন- সম্ভব হলে অন্তত পাশের কয়েকটি দেশ যেমন ভারত, ভুটান এবং নেপাল ঘুরে এসে তারপর যেন বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে আশাবাদী হই। গুরুতর কিছু না হলে সাধারণত পাঠক প্রতিক্রিয়াকে সম্মান জানিয়ে একমত হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু তার বক্তব্যে এমন কিছু দৃঢ়তা ছিল যে কারণে পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হয়েছে। নানা দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যটন বিষয়ে তার সঙ্গে কিছু আলোচনাও হয়েছে। তার কথায় মনে হয়েছে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নিয়ে আমি যে আশাবাদ ও উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করেছি বা করছি, কিছু দেশ ঘুরলে আমার সেই বক্তব্য বদলেও যেতে পারে।
নেপাল শিক্ষা ভ্রমণ:বিষ্ণু দি, মাদারস গ্রুপ এবং নেপালী নারীবাদী প্রতিরোধের উপাখ্যান
বিষ্ণু দি‘র সাথে দেখা করার লোভটা তৈরি হয় কাঠমান্ডু পৌছাবার পরই। নানা আলোচনা-গল্পে একই নামের পুনপৌনিক উচ্চারণ দেখে ভেতরে ভেতরে সে আগ্রহ দানাবাঁধতে থাকে। ডালপালা গজাতে থাকে আরও দ্রুত গতিতে। ভিনে ও শ্বেতা আপার কাছে আগেই শুনেছি যে, বিষ্ণু দি পোখারায় থাকেন। নেপালকে হিমালয় কন্যা বলা হলে পোখারা সম্ভবত সে হিমালয় কন্যার হৃদয়-প্রাণ। যেন প্রকৃতি অকৃপনভাবে ঢেলে দিয়েছে তার সমস্ত সৌন্দর্য। কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ৭-৮ ঘন্টার বাসযাত্রা দুরত্বের পর্যটন শহর পোখারা যাবার পথে আঁকাবাঁকা, উচু-নিচু পাহাড়ী শ্যমলিমা আর দূর হিমালয়ের দুধশুভ্রু আভা থেকে বিচ্ছুরিত সৌন্দর্য উপভোগ এর সাথে একটি বাড়তি আনন্দ হিসেবে যুক্ত হয় বিষ্ণু দির সাথে সাক্ষাতের সম্ভাবনা।
পিকনিকের আরো কিছু প্যাচাল
দাদাভাই মেসবাহ যাযাদের ছবি দিয়া পিকনিকের প্যাচাল শুরু করলাম। কেন করলাম এইটা ব্যাখ্যা করার জরুর না, সবাই জানে। এবি পিকনিক মানেই দাদাভাই।
সাড়ে ৮ টার মধ্যে শাহবাগ থেকে বাসে উঠতে হবে। রিক্সায় উঠে হিসাব করলাম টায়টায় গিয়ে পৌছাব। কিন্তু চালাক বাবাজী ভুল করে প্রেসক্লাব ঘুরে যাওয়াতে পাঁচ মিনিট দেরী। দাদাভাই চিল্লাচিল্লি করবে এইটা জানা। উনি বেহুদাই আমার সাথে ফাপর লন। আর এখন তো দেরী! গিয়া দেখি সবাই চলে এসছে। চরম ত্যাক্ত চেহারা নিয়া ভাই ঝাড়ি মাইরা বাসে উঠাইলেন, এক পেয়ালা চা খাইতে চাইছিলাম ধমক দিয়া বসায় রাখলেন।
রাংটিয়া, সমতল ও পাহাড়ীয়া এলাকা।
বাংলাদেশের শেরপুর দিয়ে ভারত বর্ডারে কাছাকাছি একটি জায়গার নাম রাংটিয়া। সমতল ও পাহাড়ীয়া এলাকা। পাহাড় ভাগাভাগিতে আমরা অনেক কম জায়গা পেয়েছি। পাহাড়ীয়া এলাকার বেশীর ভাগ এলাকাই ভারতের! পাহাড়ের গাছপালা ও পরিবেশ দেখতে চাইলে আপনি রাংটিয়ায় গিয়ে গজনীতে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে খুব ভাল রাস্তা। ময়মনসিংহ, শম্ভুগঞ্জ হয়ে আপনি সরাসরি রাংটিয়া চলে যেতে পারেন। দিনে যেয়ে দিনে ফিরে আসা সম্বব, তা না হলে নালিতাবাড়িতে এক রাত কাটিয়ে পরদিন মধুটিলা ইকোপার্ক দেখে ফিরতে পারেন। টাওয়ারের উপর উঠে বিশুদ্ব হাওয়া খেতে খেতে মনটা এমনিতে চাঙ্গা হয়ে যাবে।
বন্ধুদের নিয়ে বের হয়ে যান।
ছবি, পিকনিকের আরো ছবি
পিকনিকের যা যা ছবি দেওয়া দরকার, সবাই অলরেডি দিয়ে দিয়েছেন। ছবি তোলার অভ্যাস আমার নাই; তাছাড়া বড় বড় কামানসাইজ ক্যামেরাও আমার নাই। তারপরও বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম এবির পিকনিকে। ফটোগ্রাফারেরা বকা-টকা দিবেন না, সেই আশায় কিছু ছবি পোস্টালাম।
১.
সুস্বাদু পাউরুটি-কলা দিয়ে নাস্তা চলছে...
২.
মারাত্মক খাটা-খাটনি করার জন্য মেসবাহ ভাই ও অন্যদের ফুল উপহার।
৩.
আমার বন্ধু
৪.
আমাদের গাজীপুর
বাংলা দেশে ৬৪ জেলা আছে । তার মধ্যে গাজীপুর একটি জেলা । গাজীপুর হাতে পারে বাংলা দেশের একটি অন্যতম পর্যটন জায়গা। গাজীপুরে আছে প্রাকৃতিক নানা সুন্দর্য এবং নানা রকমের জায়গা, যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করবে এবং পাশা পাশা গাজীপুরে ঐতিয্য ধারন করে রাখবে চিরকাল। গাজীপুর নাম করন করা হয়েছে ভাওয়াল রাজাদের আমল ..............................................আসিতেছে (আমাদের গাজীপুর )