ইউজার লগইন
রাজনীতি
তাই বুঝতে হবে তোকে শুধু সত্যি-মিথ্যে ঝোঁকে
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ যখন প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু করলো তখন প্রায় সব খেলাতেই অবধারিত ভাবে হারতো। আমি প্রায় কখনোই খেলা দেখতাম না, হারবে জানিই আর অনেক সময় খেলা শুরু না হতেই শেষ, সব আউট। দৈবাৎ কখনো জিতে যাচ্ছে ব্যাপার থাকলেই খেলা দেখতে বসতাম। ভাই, কাজিন, চাচা-মামা অন্যদের সাথে আমি-আমরাও গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিতাম, ছক্কা, চার ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আমাদেরও ফুলতো, লাফালাফি করতাম, বাংলাদেশ তো আমাদেরও, এটাই ভাবতাম। কিন্তু কখনো বিজয় মিছিল, রঙ খেলায় আমাদের-আমার অংশ গ্রহণ ছিলো না, আমাদের পরিধি ছিলো, খেলা শেষ হলে পাড়ায় পাড়ায় মিছিল হবে সেটা বাসার বারান্দা কিংবা ছাদ থেকে দেখা, অন্যদিন বাসার বাইরে পা দেয়ার কোন পারমিশান থাকলেও সেসময় বিশেষ করে সব বন্ধ। পরদিন পেপারে দেখা যেতো বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাস গুলোতে মিছিল হয়েছে, টিএসসিতে রঙ খেলা হয়েছে এবং এই খবরের পাশে আলাদা বক্সে প্রায়শঃই দু’
An Important Discovery
Just found out that all of the meat or fish in not protein. Ever since I knew that men need 56 grams of protein every day, I was saving half of that 100 gram sausage for the next morning. But I was such a fool to do so, since 100 gram of sausage contains only 20 grams of protein. Same story with fish and egg.
This is great news since its a difficult task to stop the temptation to eat the whole piece of sausage or the whole can of fish. I was googling around random things and made this great discovery to save my skinny ass. No wonder why I feel so weak physically. Just finished the rest of the canned sardin fish from morning, now here I come, boosted on protein!
But what the heck is protein? And why do we need it?
প্রবৃদ্ধির দেশে উলম্বরৈখিক যৌনসন্ত্রাস
ছবি শুধু ছবি নয়: এক ছবি হাজার কথার শামিল। কবে পড়েছিলাম, কোথায় পড়েছিলাম, আজ আর মনে নেই। শুধু মনে আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখারও অনেক আগে, কথাগুলি কোথায় যেন পড়েছিলাম। শুধু পড়িনি, পড়াটা সেদিনের কিশোর মনে খুব দাগও কেটেছিল। আর দাগ কেটেছিল বলেই কোনোকোনো ছবির আবেদনে অভিভূত হলে অথবা ছবির অর্থের তাৎপর্য দেখে আজও মনে পড়ে যায়, মনের অজান্তেই উচ্চারণ করি- এক ছবি হাজার কথার শামিল। সব ছবি হয়তো সে রকম নয়; কিন্তু কোনোকোনো ছবি সত্যি- হাজার কথার শামিল হয়ে ওঠে।
একটি ছহি নুডলসবিক্রেতা কোপানিবৃত্তান্ত
পৃথিবীর এক কোনায় একটি গ্রাম ছিলো, সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা। সেই গ্রামের লোকেরা মাছ দিয়া ভাত খাইয়া, জারি-সারি গান গাহিয়া মনের সুখেই দিনাতিপাত করিত। কিছু কিছু মানুষ অবশ্য ভাতের বদলে তখন রুটি কিংবা নুডলস এই জাতীয় দ্রব্যাটি খাইত। যাহারা ভাতে অভ্যস্ত তাহারা তাহাতে আঁৎকাইয়া উঠিতো। রুটি না হয় সহ্য করা গেলো, ভাতের পাশাপাশি তাও চলিয়া যায়, তাহাদের মতই দেখিতে অন্য গোত্রের মানুষরা সেইটা খায়। তাই বলিয়া নুডলস! সেতো পুরোই অশাস্ত্রীয় অনাচার!
ষড়যন্ত্র ও ভুলের মাশুল-৩ নভেম্বর
১৯৭৩ সালে আলজিয়ানে জোটনিরপেক্ষ সম্মেলনে ফিদেল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে দেখা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের। দুইজনের মধ্যে একান্তে কিছুক্ষণ কথাও হয়। বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে শেখ মুজিব বলেন- দেশ গড়ার কাছে দক্ষ লোক না পাওয়ার ফলে কিছু পদে এমন কিছু লোককে বসাতে হয়েছে যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। ক্যাস্ট্রো তখন সর্তক করে মুজিবকে বলেন- “এ কাজ কক্ষনো করবেন না। দক্ষতার চেয়ে এসময় অনেক বেশি প্রয়োজন দেশপ্রেমের। দক্ষতা না থাকলেও যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে তাদেরই দায়িত্ব দিয়ে দিন। দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে দক্ষতা তৈরি হতে সময় লাগে না। আমার কিউবার অভিজ্ঞতায় তাই দেখেছি।”
জার্নাল ৩৩
১. পবিত্র ধর্মগ্রন্থে আছে, “সৃষ্টিকর্তা সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।” দেশ চলছে মদিনা সনদ অনুযায়ী। সেই সূত্রানুসারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি, কমিশনার সবাই ব্লগারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সীমা লঙ্ঘন করলে একেবারে খোঁয়াড়ে পুরে দেবে, হুঁহ। ধর্মগ্রন্থে কার্টুন আঁকা নিষেধ, লেখালেখি নিষেধ, কিন্তু কোপাকোপি নিষেধ নয়। তাই তারা লেখার বদলে লেখা নয়, কার্টুনের মোকাবেলায় কার্টুন নয়, চাপাতির পর চাপাতি চালাবে। তাদেরকে পুলিশ ধরবে না, মন্ত্রী বকবে না, ধর্ম গ্রন্থে কোপাকোপি যেহেতু আইনসিদ্ধ তাই তারা আইনত সীমা লঙ্ঘন করছে না। তারা লাইনেই আছে।
ফাও খাওয়া!
"ফাও খাওয়া" এই শব্দটির সাথে প্রথম পরিচয় হয় ভার্সিটিতে এসে। রাজনৈতিক দলের পাণ্ডারা ফাও খেয়ে থাকেন। সবাই ফাও খায় না তবে অসংখ্য পাতি নেতারা ফাও খেয়ে থাকে। নেতা হয়ে যাওয়ার পর নিজে ফাও না খেলেও নিজের গ্রুপ বা দলের নবাগত মাস্তানদের ফাও খাওয়ার সুযোগ করে দেন। দুই দিন আগে তিতুমীর কলেজের ছেলেরা ফাও খাবারের জের ধরে দোকান মালিকদের সাথে মারামারি করে অতঃপর তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৩০টি গাড়ি ভাংচুর করে নিজেদের মাথা ঠাণ্ডা করে। শুধু তিতুমীর নয় রাজনৈতিক দলের নেতারা বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন কাজ করে থাকে। ঢাকা কলেজের সামনে, নীলক্ষেতের মারামারি বেশির ভাগ সময় এই ফাও খাওয়াকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাই ছাত্র লীগ ফাও খাচ্ছে! বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্র দল ফাও খেয়েছিল। এটা আমাদের দেশে রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেয়র যদি হতে চাও তবে ঝাড়ুদার হও আগে!
ঢাকার মেয়র ইলেকশনের প্রচারণা দেখে মনে হচ্ছে, মেয়র হচ্ছেন তাঁরা বুঝি শহর ঝাড়ু দেওয়ার জন্যে! কী প্রতারণা দিয়ে এসব ভদ্রলোকদের প্রচারণা শুরু! মেয়রদের কাজ শহর ঝাড়ু দেওয়া নয়, ঝাড়ু দেওয়ানো। ভয় হয়, মেয়র হয়ে তাঁরা মেথর বেচারার চাকরিটাই না খেয়ে দেন!
বৈশাখ ১৪২২
অভিজিৎ রায়, বাবু খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের নামকরা সেলিব্রেটি বুদ্ধিজীবিদের কাছ থেকে অনেক সুশীল পোস্ট নাযিল হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের কোমল অনুভূতি তথা ইসলামের মাহাত্ম্য না বুঝে লেখার জন্যে অভিজিৎ, বাবু, রাজীব মৃত্যুবরন করেছে এটাকে তারা সিরিজ পোস্ট লিখে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন ফেবুতে। উদাহরন ছিলো, স্টিফেন হকিং, গ্যালিলিও, ব্রুনো, সক্রেটিস খুন হন নাই, হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তমনারা, সুতরাং দোষ লেখকদের, খুনীদের নয়।
বৈশাখের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈমানী পোস্ট নাযিল হওয়া শুরু হয়েছে ফেসবুকে। হিন্দুয়ানি উৎসবতো বটেই তারওপর মেয়েদের কাপড় চোপড় ঠিক ছিল না, নাভি দেখা গেছে, ওড়না সরে গেছিলো, ভাল মেয়েরা বাড়ি থেকে বের হয় না, মেয়েদের দরকার ছিল কি বৈশাখ উদযাপন করার, আরো কত কী।
পথ হারা পাখি
রাজনৈতিক স্বপ্ন
তড়িঘড়ি করেই
ঘুমটা ভাঙলো শিহাবের। অনেক মজার
একটা সপ্ন দেখতেছিল সে।
একটা মেয়ে তার দিকে কেমন নিশ্চুপ
চোখে তাকিয়ে ছিল।
মেয়েটাকে মনের ছোট্ট
কুঠিরে নিমিষেই স্থান দিয়ে দেয়
সে! চেয়েছিল ওর সাথে কথা বলবে।
যেই ওর কাছে যাবে ঠিক তখনই
মোবাইলের ভাইব্রেশন ঠের
পেলো সে। কয়েক হাজার বার আভিশাপ
দিয়ে ঘুম ঘুম চোখে দেখে মোবাইলের
স্ক্রিনে তার বন্ধু ঈশানের নাম।
- হ্যালো।
- দোস্ত। তু
ই কই? ঘুমাইতাছস নাকি?
- নারে। আমি ধানক্ষেতে তিমি মাছ
ধরতেছি।
- আরে, ফাইজলামি করিস না তো।
ভালো কইরা কথা বল।
- আরে দোস্ত। আমি ঘুমাইতেছিলাম।
ভালো একটা সপ্ন দেখতেছিলাম।
মেয়েটার কাছাকাছি যাইতেছিলাম
খালি আর তুই বদ আমার সপ্নটার মধ্যে বাম
হাত ঢুকাইয়া দিলি। বল, কি হইছে?
- দোস্ত। ৯ টা কাজে।
জলদি ক্যাম্পাসে আয়। ১১টার সময়
ক্যাম্পাসে আজকে ধরীত্রির অষ্টম আশ্চর্য
দেখবি। মিসাইছ না কিন্তু।
আমাদের ঘরে ঘরে রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন একজন করে......
আমাদের ঘরে ঘরে রাজনৈতিক নেতা প্রয়োজন একজন করে......
কথাটি ক্ষোভের নয়, বাস্তবতা বিবেচনায়। এই দেশে সবকিছুতে রাজনৈতিক মেরুকরণ এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে হয় চুপ চাপ সকল অত্যাচার সহ্য করে যেতে হবে নতুবা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হতে হবে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে আজ একথা বলতে বাধ্য হলাম।
জাতীয় শোকদিবসে রাষ্ট্রের স্থপতি স্মরণে
পিতৃমাতৃ হত্যার দায় কাঁধে থাকা সন্তানের বিকাশ ও উন্নয়ন যেমন অবিরত প্রশ্নসাপেক্ষ, ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের স্থপতি হত্যার দায় কাঁধে থাকা জাতিরও বিকাশ প্রশ্নাতীত নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের এত বছর পরেও এটি দিবালোকের মতো সত্য হয়ে আছে। সত্যটা প্রতিদিনের হলেও ১৫ আগস্ট-এলে বড়বেশি স্পষ্ট হয়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দায় শুধু রাষ্ট্রের স্থপতিহত্যাজনিত নয়; ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারকার্য বন্ধ করে রাখারও। বছরের পর বছর। নেতা, রাষ্ট্রনায়ক, শাসক অথবা ব্যক্তিমানুষ হিসেবে তিনি অতিপ্রাকৃত ছিলেন, সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে ছিলেন- এমন কথা কখনো বলি না, বিশ্বাসও করি না। তারপরও তাঁর তুলনা তিনি নিজেই; অন্যকারও সাথে নয়। ৭৫’ পরবর্তী কোন নেতার সাথে তুলনার প্রয়াস তো রীতিমতো অসুস্থ্যতা; অবশ্যই একটি রাজনৈতিক ভাঁড়ামি। ‘দুই বাঙালীর লাহোর যাত্রা’-নামে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটা বই আছে। এতে তিনি পঁচাত্তুর পরবর্তী নয়;
আইপিএল এবং কিছু রাজনৈতিক ভাবনা
সাকিব আল হাসানের জন্যই আইপিএল নিয়ে একটু আগ্রহী হয়ে উঠছি। যেভাবে তারকা হয়ে গেলেন এবারে তাতে সত্যি আনন্দিতই হয়ে উঠছি। আগামীবার হয়তো অনেক বেশি দামে তিনি বিক্রি হবেন। সত্যি সে বাংলাদেশের গর্ব।
কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র জয়ের পর, দুইদিন আগে যে দলগুলো নরেন্দ্র মোদীকে ছিঁইড়া ফেলাইছিলো বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ নেয়ার কথা বলায়, তাগো নেতা-নেত্রীরা যেভাবে মোদী-কে রাঁধার কৃষ্ণ মনে কইরা জপ শুরু করলো, তাতে ভাবলাম ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে "ঢাকা বেঙ্গল টাইগার" নামে আরেকখান দল যোগ হইলে তা নিয়া আমরা বেঙ্গলিরাও একটু নর্দন-কুর্দন করতে পারতাম।
বাস্তবের রাক্ষস-খোক্ষস-ডাইনীরা
ইদানীং আমার সব কিছুই এলো মেলো । কিছুই গুচিয়ে করতে পারিনা । ভাবনারা জঠ পাকায় খালি । লেখালেখি হয়না বহুদিন, অথচ লেখার কত টফিক্স । কত কিছু ঘটে গেল গত দেড় দু’বছরে ! গত বছরের শেষ দু’তিন মাস এবং এ’ বছরের প্রথম মাসে কত সন্ত্রাস হল ! কত মানুষের জান গেল রাজপথে ! গুলিতে, বোমায় ! এরই মাঝে অতি আশ্চর্য একটা নির্বাচণও হল । পুরো দুনিয়া গণতন্ত্রের শিক্ষা এবং দীক্ষা পেল পুঅর বাংলদেশ থেকে । অথচ আমার কিছুই করা হলনা ! অবশ্য আমি একা নই, প্রিয় এ ব্লগটির দু’একজন ছাড়া আর কাউকে যেন ছুঁয়নি ঘটনাগুলো ! তা থাক ওসব ! তারচে বরং নিজের যন্ত্রণার কথা বলি ! আমি কিন্তু লিখতে চাই, নিজের অনুভুতিগুলো রেখে যেতে চাই প্রিয় ব্লগে । কিন্তু হয়না, লিখতে বসলে এলোমেলো হয়ে যায় সব ! চোখের সামনে শৈশবে শোনা রূপকথার দৈত্য-দানো, রাক্ষস-খোক্ষস আর ডাইনীদের বিকট বিকট হা গুলো ভসে উঠে ! অনিদ্য সুন্দর রাজকুমার-রাজকনেদের দেখিনা কোথাও !