ইউজার লগইন
রাজনীতি
আমাদের হতাশ করবেন না
বেশ কিছুদিন যাবত একটা ব্যাপার খুব মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিছুতেই বের করতে পারছিনা আর তা হলো, এই যে গত নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম এভাবে রায় দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসালো একটি যুগপোযোগী নির্বাচনী ইশতিহারের পুরষ্কার স্বরূপ, সেই আওয়ামীলীগ সরকার এই নতুন প্রজন্মকে শেষ পর্যন্ত হতাশ করবে না তো?
১
গত নির্বাচনে আমি দেশেই ছিলাম। নির্বাচনের পরপরই দেশ ছেড়েছি। ১/১১ এর পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টুকুতে বেশ শান্তিতে ছিল সাধারণ জনগন। এখানে সাধারণ জনগন বলতে বুঝিয়েছি আমাদের মত মধ্যবিত্তশ্রেণীর কথা। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বেশীরভাগ সময় শান্তিতেই থাকেন। কোন সরকারী অফিসে ঘুষ লাগতো না, থানায় যেয়ে কোন ব্যাপারে অভিযোগ করলে চমৎকার ব্যবহার পাওয়া যেত। তবে সেক্ষেত্রেও একটা ব্যাপার ছিল, যাদের কোন নিকট আত্মীয় অথবা পরিবারের কেউ সেনাবাহিনীতে ছিল তাদের জন্য ছিল সেটা স্বর্ণযুগ। যাই হোক আজ সেই কথা বলবো না।
আবদুল্লাহ আবু সায়িদ স্যার
``মন্ত্রী-এমপিদের কোনো নীতি নেই` - সায়িদ স্যার এই কথাটি বলার কারনে স্যারকে নাকি আমাদের জাতীয় সংসদে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে, এমনটাই দাবী তোলা হয়েছে শোনা যাচ্ছে! স্যার, আমি এই দেশের নাগরিক, ওই ১৬ কোটির মানুষের মধ্যে আমিও একজন এবং আমি বলছি আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবেনা, কোন ভাবেই না! আপনি যা বলেছেন তা আমারো মনে কথা, আরো অনেকের! ঠিক কথাই বলেছেন!
এই BAL সরকারের আবুল মন্ত্রী গুলো হয়ত আপনাকে জোর করেই ক্ষমা চাওয়াইতে পারে তবে আমরা তা হতে দিবোনা! প্রয়োজন হলে যেই সংসদে আপনাকে ক্ষমা চাইতে ডাকা হচ্ছে ওই সংসদে আমরা আপনার ছাত্ররা দেয়াল তৈরি করে দিবো আপনার জন্য।
১৯৭১ এ পা্কিস্তান বাহিনী ও তার দোসরদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধসমূহ
অপরাধ সংঘটনের কাল: ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ দখলদার পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘Operation Searchlight’ এর মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী বেসামরিক বাঙালিদের উপর আক্রমণ শুরু করে যা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৯(নয়) মাস অব্যাহত থাকে। এই সময়টিই হল অপরাধ সংঘটনের কাল।
এক নজরে অপরাধ সংঘটনকারী পক্ষসমূহ: আগ্রাসী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। তাদের সহযোগী বাহিনী হিসেবে আবির্ভাব হওয়া জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র সংঘ, রাজাকার বাহিনী, শান্তি কমিটি, আল-বদর, আল-শামস, আল-মুজাহিদ বাহিনী ইত্যাদি। এদের প্রত্যেকের ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য দেয়া হবে। চোখ রাখুন এই ব্লগে।
(আমার কিছু কথা .....) লোটাস কামাল ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা প্রসংগ
আমাদের দেশ এখন বিখ্যাত কিসে? নিঃসন্দেহে মন্ত্রী নামের দেবদূতদের মহত কর্মে । বি.এন.পি সরকারের সময় ২/৩ জন মন্ত্রী নিয়ে বিদেশে তদন্ত হয়েছে, হালের আওয়ামী লীগের আবুল হোসেনের কথাতো মহাকাব্য হয়ে গেছে । বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছে । এটা প্রায় নিশ্চিত যে আবুল মিয়া অসৎতা করেছে । তারপরও মন্ত্রীত্ব যায়নি । ভাল ভাল । আর তারেক জিয়া ও কোকো নামের দুই মহান সৎ রাজপুত্রের নামে সিঙ্গাপুর বা কানাডার আদালতের তদন্তের কথা বাদই দিলাম । বাবু সুরজ্ঞিতের কথা বললাম না এই কারণে যে পুরো ব্যাপরটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে । যাক সে কথা । বর্তমানে আমাদের দেশ পজিটিভলি পৃথিবী চিনে কি করে? মুহূর্ত চিন্তা করেই বলে দেওয়া যায় আমাদের ক্রিকেট নিয়ে । আমাদের তামিম, সাকিবদের দিয়ে ।
বিদ্যালয় ও পরীক্ষাকে হরতালের আওতামুক্ত রাখা হোক
বিএনপির ডাকা সাম্প্রতিক তিনদিনের হরতালে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের এ এক বড় অসুবিধা!
দল ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির অপরিহার্যতা !!!!!
ইসলামী ছাত্ররাজনীতির ধারক বাহক ছাত্র শিবির-কে দিয়েই আমার ছাত্র রাজনীতির সাথে পরিচয়। তারপর অনেক কাল পের হলাম, অনেক কিছু দেখলাম, শুনলাম, শিখলাম নিজেও জড়িত ছিলাম। এখন আমার কাছে মনে হয় এককালের সর্বেসর্বা ছাত্ররাজনীতি তার নিজস্ব জৌলুস হারিয়ে বিষফোঁড়ায় রুপ নিয়েছে। বর্তমান কালের ছাত্ররাজনীতির সাধারণ ব্যবচ্ছেদ করলে তাকে দুই ভাবে ভাগ করা যায়, একটি দল ভিত্তিক যা প্রায় নব্বই ভাগের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। অপরটি সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অধিকার আদায়ের রাজনীতি যা অলিক প্রায়। আমার দেখা দল ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির চেহারা বড়ই কুৎসিত। এর সাথে জড়িত খুব কম সংখ্যক ছাত্রই আছে যার ছাত্রদের অধিকার সম্পর্কে নুন্যতম ধারনা আছে। থাকলেও তার কোন পরোয়া তারা করেনা। উপড়ের সারির নেতাদের বেশিরভাগ-ই হন ত্রিশোর্ধ অছাত্ররা যার বেশিরভাগই হয় কোন আইন কলেজ বা হোমিওপ্যাথি কলেজের রেজিস্টারভুক্ত ছাত্র। কালের বিভিন্
যুদ্ধাপরাধের বিচার
যুদ্ধাপরাধের বিচার ।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১
একাত্তরে এদিনে খুলনায় যৌথ বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনী আত্নসমর্পণ করে । প্রায় আট হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের এই আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জয়নাল আবেদীন ।[১]
যদিও নিয়াজীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ‘দুর্গ’ যশোরের পতন ঘটে ৭ ডিসেম্বর।ভারতের ৯ম ডিভিশনের প্রথম কলামটি এক রক্তাক্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে যশোর সেনাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়ে দেখতে পায়, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ ভর্তি সুরক্ষিত বাঙ্কার সম্পূর্ণ জনশূন্য। ২] আগেরদিনই পাক ৯ ডিভিশন (জেনারেল আনসারি) যশো্র ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় । [৩]
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
এদিন সকালে বিমানাক্রমণ বিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছু আগে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী জাতিসংঘের প্রতিনিধি জন কেলীর মাধ্যমে ভারতীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময়সীমা আরও ছ’ঘণ্টার জন্য বাড়িয়ে দিয়ে ভারতের একজন স্টাফ অফিসার পাঠানোর অনুরোধ জানান যাতে অস্ত্র সমর্পণের ব্যবস্থাদি স্থির করা সম্ভব হয়। এই বার্তা পাঠানোর কিছু আগে মেজর জেনারেল নাগরার বাহিনী কাদের সিদ্দিকী বাহিনীকে সঙ্গে করে মিরপুর ব্রীজে হাজির হন এবং সেখান থেকে নাগরা নিয়াজীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। নিয়াজীর আত্মসমর্পণের ইচ্ছা ব্যক্ত হওয়ার পর সকাল ১০:৪০ মিনিটে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে নাগরার বাহিনী ঢাকা শহরে প্রবেশ করে। পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পণের দলিল এবং সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাদি চূড়ান্ত করার জন্য ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের চীফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যেকব মধ্যাহ্নে ঢাকা এসে পৌঁছান। বিকেল চারটার আগেই ব
এ বিজয়ের উৎসবকে আমি ঘৃনা করি
বাংলাদেশে খুব ঘটা করে চল্লিশ বছরের বিজয় দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। টিভিতে, ফেসবুকে, ব্লগে, পত্রিকায় দেশপ্রেমের ঘনঘটার বাহার, মৌসুমী দেশপ্রেম আর বিজয়ের উল্লাসে মাতাল সুশীল সমাজ। কিন্তু আসলে “বিজয়” মানে কি? এক টুকরো ভূমিকে নিজের অধিকারে রেখে তাতে যা খুশি তাই করা? নাকি সেই ভূমিতে বসবাসকারি মানুষদের জীবনধারনের জন্যে সাধারণ নিম্নতম চাহিদাগুলোকে মিটানোর দায়িত্ব কাধে নেয়া? তাই যদি হয় তাহলে কি আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছে আজো? আর যদি আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রায় না পৌঁছে থাকি তাহলে কিসের এই আনন্দ উৎসব? চল্লিশ কেন, চারশ বছরেই কেন উৎসব করতে হবে? যেই বিজয় নেই, তার আবার উৎসব কিসের? অনেক সময় গুরুজনেরা আফশোস করে বলেই ফেলেন, এর থেকে পাকিস্তান আমলই অনেক ভালো ছিল। এতো চোর ডাকাত ছিল না, শান্তিতে রাস্তাঘাটে চলতে পারতাম, ইত্যাদি। এই কি শেষ অব্ধি আমাদের বিজয়ের উপলব্ধি? এই নিরাশা, হতাশা, ক্রনিক মনোবেদনা?
১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। এদিনে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সর্বাত্মক হামলার মুখে পাকসেনারা দিনাজপুর হতে সৈয়দপুরে পালিয়ে যায় এবং দিনাজপুর হয় শত্রু মুক্ত। এদিকে ঢাকা বিজয়ে প্রচন্ড হামলা রাজধানীর চারদিকে। ১৩ ডিসেম্বর রাত থেকে ১৪ ডিসেম্বর ভোর পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে মিত্রবাহিনীর কামান অবিরাম গোলা ছুঁড়ে চলল। নিয়াজীসহ পাকি হানাদারদের হৃদকম্প তখন তুঙ্গে। মিত্রবাহিনীর কামানের গোলা গিয়ে পড়ল ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও। সে গোলার আওয়াজে গোটা শহর কাঁপল। ঢাকার সবাই বুঝল, আর রক্ষা নেই। গভর্নর মালিক সেদিন সকালেই 'সমগ্র পরিস্থিতি' বিবেচনার জন্য গভর্নর হাউসে মন্ত্রিসভার এক জরুরি বৈঠক ডাকলেন। ওই বৈঠক বসানোর ব্যাপারেও রাও ফরমান আলী এবং চীফ সেক্রেটারি মুজাফ্ফর হোসেনের হাত ছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠক বসল বেলা ১১টা নাগাদ। একটি পাকিস্তানী সিগন্যাল থেকে দিল্লীর বিমান সদর দফতর জানতে পারে, মাত্র ঘণ্টাখানেক
১৩ ডিসেম্বর ১৯৭১
চারদিকে উড়ছে বাঙালির বিজয় নিশান । এদিনে পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে মিত্রবাহিনী ঢাকার প্রায় ১৫ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। ৫৭ নম্বর ডিভিশনের দুটো ব্রিগেড এগিয়ে আসে পূর্বদিক থেকে। উত্তর দিক থেকে আসে জেনারেল গন্ধর্ব নাগরার ব্রিগেড এবং টাঙ্গাইলে নামে ছত্রিসেনারা। পশ্চিমে ৪ নম্বর ডিভিশনও মধুমতি পার হয়ে পৌঁছে যায় পদ্মার তীরে। রাত নয়টায় মেজর জেনারেল নাগরা টাঙ্গাইল আসেন। ব্রিগেডিয়ার ক্লের ও ব্রিগেডিয়ার সান সিং সন্ধ্যা থেকে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে নয়টায় টাঙ্গাইল ওয়াপদা রেস্ট হাউজে তারা পরবর্তী যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শুরুতে মেজর জেনারেল নাগরা মুক্তিবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন,
মুক্তিযোদ্ধারা যদি আমাদের বিনা বাধায় এতটা পথ পাড়ি দিতে সাহায্য না করতেন, তাহলে আমাদের বাহিনী দীর্ঘ রাস্তায় যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়তো। রাস্তাতেই আমাদের অনে
১২ ডিসেম্বর ১৯৭১
আগেরদিন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়ার প্রতিনিধি ভোরেন্টসভকে হুঁশিয়ার করে বলেন,
পরদিন (১২ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্নের আগে ভারতকে অবশ্যই যুদ্ধ বিরতি মেনে নিতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্র নিজেই প্রয়োজনীয় সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১১ ডিসেম্বর ১৯৭১
ইসলামাবাদে ইয়াহিয়া খান বেসামাল। ঢাকায় জেনারেল নিয়াজী ও রাওফরমান আলী দিশেহারা। যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় অনিবার্য। অথচ এদিন লে. জেনারেল নিয়াজী ঢাকা বিমান বন্দর পরিদর্শন করতে গিয়ে দম্ভভরে বলেন,
কোনক্রমেই শত্রুকে কাছে ঘেঁষতে দেয়া চলবে না। পাকিস্তানি বাহিনী তাদের ঐতিহ্যকে আরো উজ্জ্বল করবে।
পরে বিমান বন্দরে তিনি বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন।
১০ ডিসেম্বর ১৯৭১
চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা ছাড়া অধিকাংশ দেশের অধিকাংশ জেলা শত্রুমুক্ত। ঢাকায় পরিকল্পিত চূড়ানত্ম হামলা চালিয়ে শত্রুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে যৌথবাহিনী। এদিন মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো ঢাকা বেতার কেন্দ্র স্তব্ধ করে দেয়, বোমা-রকেট ছুড়ে বিধ্বস্থ করে দেয় ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর। মিত্র বাহিনীর বিমান আক্রমণে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। কয়েকটা জাহাজভর্তি পাকিস্তানি বাহিনী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে। সম্মিলিত বাহিনী উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধে সর্বাত্মক সাফল্য অর্জন করেছে। মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর, রংপুর ও সৈয়দপুরের শত্রু বাহিনীকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। যৌথ বাহিনী এই তিন শহর ছাড়া রংপুর ও দিনাজপুর জেলা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে। রাতে পাকিস্তানি বাহিনী জামালপুর গ্যারিসন ছেড়ে ঢাকার